জাতীয়
সড়ক দুর্ঘটনায় এক মাসে প্রাণ গেলো ৪৪১ জনের
চলতি বছরের অক্টোবর মাসে সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৪১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে, যা গত মাসের তুলনায় ৫.৭৫ শতাংশ বেশি। বুধবার (১৯ নভেম্বর) প্রকাশিত রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অক্টোবর মাসে মোট ৪৮৬টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় নিহত ৪৪১ জনের পাশাপাশি আহত হয়েছেন ১১২৮ জন। নিহতদের মধ্যে ৫৭ জন নারী এবং ৬৩ জন শিশুও রয়েছে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বর মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন গড়ে ১৩.৯ জন নিহত হলেও অক্টোবরে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪.৭ জনে। পরিসংখ্যান বলছে, মোট নিহতের ৩১ দশমিক ৬ শতাংশই ছিলেন মোটরসাইকেল আরোহী। অক্টোবর মাসে ১৯২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৩৭ জন।
এছাড়া, এই সময়ে ৯৮ জন পথচারী দুর্ঘটনায় নিহত হন, যা মোট নিহতের ২২ দশমিক ২২ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারীদের মধ্যে নিহত হয়েছেন ৬২ জন, যা মোট নিহতের ১৪.৫ শতাংশ।
সড়ক দুর্ঘটনার পাশাপাশি অক্টোবর মাসে ৯টি নৌ-দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত এবং চারজন নিখোঁজ হয়েছেন। এছাড়া, ৪৬টি রেল ট্র্যাক দুর্ঘটনায় ৪৩ জন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছেন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, সংঘটিত দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৬৬টি জাতীয় মহাসড়কে, ১৪৮টি আঞ্চলিক সড়কে, ৮১টি গ্রামীণ সড়কে এবং ৮৭টি শহরের সড়কে ঘটেছে।
বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১২১টি দুর্ঘটনায় ১১২ জন নিহত হয়েছেন, অন্যদিকে সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ২৬টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত হয়েছেন।
ফাউন্ডেশন মনে করছে, অধিকাংশ দুর্ঘটনার কারণ অতিরিক্ত গতির কারণে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ হারানো। এই গতি নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তির মাধ্যমে নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি চালকদের মোটিভেশনাল প্রশিক্ষণ প্রয়োজন।
এছাড়াও, যানবাহনের বেপরোয়া গতি ও পথচারীদের অসচেতনতার কারণে পথচারী নিহতের ঘটনা বাড়ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এজন্য সরকারি উদ্যোগে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে জীবনমুখী সচেতনতামূলক প্রচারণার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
এমকে
জাতীয়
শর্ত বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছে মালয়েশিয়া: আসিফ নজরুল
বৈশ্বিক শ্রমবাজারে বাংলাদেশের সুযোগ তৈরি এবং তা সব রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য অবারিত করাই বর্তমান সরকারের প্রধান লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট প্ল্যাটফর্মের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান তিনি।
প্রবাসীকল্যাণ উপদেষ্টা জানান, মালয়েশিয়া থেকে কর্মী নিয়োগের বিষয়ে সম্প্রতি যে ১০টি শর্ত দেয়া হয়েছে, তার মধ্যে কয়েকটি শর্তের বিষয়ে বাংলাদেশ শক্ত আপত্তি জানিয়েছে। একই সঙ্গে শর্তগুলো পূরণের সময়সীমা বাড়ানোর দাবি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা রিক্রুটিং এজেন্সির সঙ্গে কথা বলে জানিয়েছি যে বেশিরভাগ শর্ত পূরণ করা সম্ভব নয়। এগুলো পূরণ করতে গেলে সিন্ডিকেট হবে আবার।
ড. আসিফ নজরুল জানান, বাংলাদেশ চায় সুযোগ যত বেশি সম্ভব যেন অবারিত করা হয় এবং এ জন্য শর্তগুলো শিথিল করা জরুরি। মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ এই বিষয়গুলো বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছে। তবে শর্ত শিথিল না করা পর্যন্ত এবং শ্রমবাজার যথাসম্ভব সব এজেন্সির জন্য উন্মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত মালয়েশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ ও কূটনৈতিক আদান-প্রদান অব্যাহত থাকবে।
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার অতীতে বহুবার জটিলতা এবং সিন্ডিকেটের কারণে বন্ধ হয়েছে। ২০১৮ সালে দুর্নীতির অভিযোগে বাজারটি বন্ধ হওয়ার পর, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে নতুন সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে ২০২২ সালে এটি পুনরায় চালু হয়। কিন্তু সম্প্রতি মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশসহ অন্যান্য কর্মী প্রেরণকারী দেশ (যেমন: ভারত, নেপাল, মিয়ানমার) থেকে কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন করে কড়াকড়ি আরোপ করেছে।
গত অক্টোবরের শেষের দিকে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি চিঠি দিয়ে রিক্রুটিং এজেন্সির সংখ্যা যৌক্তিক করার জন্য ১০টি বাধ্যতামূলক মানদণ্ড নির্ধারণ করে। তাদের দাবি, এতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে।
এই শর্তগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো: কমপক্ষে ৫ বছর কর্মী পাঠানোর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে; বিগত ৫ বছরে কমপক্ষে ৩ হাজার কর্মী পাঠানোর রেকর্ড থাকতে হবে; অন্তত ৩টি ভিন্ন দেশে কর্মী পাঠানোর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে; কমপক্ষে ১০ হাজার বর্গফুটের নিজস্ব স্থায়ী অফিস থাকতে হবে; নিজস্ব প্রশিক্ষণ সুবিধা থাকতে হবে; মানবপাচার, জোরপূর্বক শ্রম, মানি লন্ডারিং বা অন্য কোনো অপরাধে সংশ্লিষ্ট না থাকার রেকর্ড থাকতে হবে।
বাংলাদেশের রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকদের সংগঠনসহ অনেকেই এই শর্তগুলোকে ‘অযৌক্তিক, অবাস্তব ও বৈষম্যমূলক’ বলে মনে করছেন। তাদের আশঙ্কা, এত কঠোর মানদণ্ড পূরণ করা অধিকাংশ এজেন্সির পক্ষেই সম্ভব নয়, যার ফলে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার পুনরায় হাতেগোনা কয়েকটি এজেন্সির (সিন্ডিকেট) নিয়ন্ত্রণে চলে যেতে পারে এবং অভিবাসন ব্যয় বাড়তে পারে।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ গ্রেপ্তার
ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) যৌথ টিম। ১৮৯ কোটি টাকার ঋণ কেলেঙ্কারি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) তার নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তদন্ত কর্মকর্তা উপ-সহকারী পরিচালক মো. শাহজালালের নেতৃত্বে দুদকের একটি টিম আজই তাকে আদালতে হাজির করবেন বলে সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।
ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ ২০২৫ সালের ১৬ জুলাই ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগ করেন। এর আগে তিনি রূপালি ব্যাংকের এমডি ও অগ্রণী ব্যাংকসহ কয়েকটি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর অগ্রণী ব্যাংকের চট্টগ্রামের আছাদগঞ্জ শাখা থেকে নিয়ম ভেঙে ঋণ নেওয়ার মাধ্যমে ১৮৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংকটির সাবেক এমডি সৈয়দ আব্দুল হামিদ, নুরজাহান গ্রুপের পরিচালক ও ওবায়েদ উল্লাহসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
মামলার আসামিরা হলেন- অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ আব্দুল হামিদ, অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড আছাদগঞ্জ শাখার সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার ও মহাব্যবস্থাপক মোস্তাক আহমেদ, সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক মো. আবুল হোসেন তালুকদার, সাবেক মহাব্যবস্থাপক (ঢাকা সার্কেল-২) মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ, সাবেক মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শামস উল ইসলাম, সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক তাজরীনা ফেরদৌসী ও সাবেক মহাব্যবস্থাপক মো. মোফাজ্জল হোসেন।
এছাড়া মেসার্স মিজান ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. মিজানুর রহমান, জাসমীর ভেজিটেবল ওয়েল লিমিটেডের এমডি জহির আহমেদ, ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক টিপু সুলতান ও ফরহাদ মনোয়ারকেও আসামি করা হয়েছে।
দুদক সূত্রে জানা যায়, মেসার্স মিজান ট্রেডার্সের নামে ছোলা ও গম আমদানির জন্য ঋণ মঞ্জুর করা হলেও প্রকৃত সুবিধাভোগী ছিল নুরজাহান গ্রুপ ও তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠান জাসমীর ভেজিটেবল ওয়েল লিমিটেড। বেতনভোগী কর্মকর্তা মিজানুর রহমানকে ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে ঋণ অনুমোদন ও উত্তোলন করে। নুরজাহান গ্রুপের একটি বেনামি প্রতিষ্ঠানের নামে শাখায় হিসাব খোলা থেকে শুরু করে হিসাব পরিচালনার জন্য নুরজাহান গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান জাসমীর ভেজিটেবল অয়েলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির আহমেদকে হিসাব পরিচালনার জন্য দেওয়া হয়। নতুন এই প্রতিষ্ঠানকে বিপুল অঙ্কের ঋণ মঞ্জুরি এবং পরে ঋণ মঞ্জুরিপত্রের শর্তাবলি যথাযথভাবে পরিপালন নিশ্চিত না করে সু-পরিকল্পিতভাবে ব্যাংকের ৫১ কোটি টাকা (বর্তমানে সুদে-আসলে ১৮৯.৮০ কোটি টাকা) আত্মসাৎ করে আসামিরা।
এমকে
জাতীয়
নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে সেনাবাহিনীর সহায়তা প্রয়োজন: প্রধান উপদেষ্টা
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ, উৎসবমুখর ও আনন্দময় করতে সেনাবাহিনীর সহায়তা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে মিরপুর সেনানিবাসের ডিফেন্স সার্ভিস কমান্ড ও স্টাফ কলেজ (ডিএসসিএসসি) অডিটোরিয়ামে আয়োজিত কোর্স-২০২৫ গ্র্যাজুয়েশন সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিতে গিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ড. ইউনূস বলেন, দেশবাসীর দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত এই নির্বাচনকে সত্যিকার অর্থে একটি শান্তিপূর্ণ উৎসব এবং আনন্দমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত করতে আমাদের সেনাবাহিনীর সহায়তা একান্তভাবে কামনা করছি।
এর আগে, তিনি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সেনাবাহিনীর ভূমিকা স্মরণ করে বলেন, সেনাবাহিনী সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এবং এই কারণে আমি তাদের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করি।
এবারের কোর্সে বাংলাদেশ, চীন, ভারত, তুরস্ক ও পাকিস্তানসহ বিশ্বের ২৪টি দেশের ৩১১ জন তরুণ সামরিক অফিসার অংশগ্রহণ করেন। কোর্স সম্পন্নকারী অফিসাররা তাদের অর্জিত জ্ঞান ব্যক্তি ও পেশাগত জীবনে কাজে লাগিয়ে দেশের যে কোনো সংকটময় মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
কোর্সে অংশ নেওয়া এক বাংলাদেশি অফিসার বলেন, ডিএসসিএসসি-তে এই কোর্সে আমরা যে নেতৃত্ব, কৌশল এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করেছি, তা আমাদের দেশের এবং এর বাইরে যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত করবে। বিশেষ করে যে কোনো জাতীয় সংকটে আমরা আমাদের অর্জিত জ্ঞান প্রয়োগ করতে প্রস্তুত।
চীনের এক অফিসার বলেন, বাংলাদেশের এই সামরিক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে চলেছে। ২৩টি দেশের সহকর্মীদের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ পাওয়ায় আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক এবং বোঝাপড়া আরও শক্তিশালী হয়েছে। আমরা আশা করি, এই জ্ঞান ভবিষ্যতে আমাদের নিজ নিজ দেশকে নিরাপত্তা দিতে কাজে লাগবে।
বাংলাদেশি আরেক অফিসার বলেন, আমাদের প্রধান উপদেষ্টা যে কথাগুলো বলেছেন, তা অত্যন্ত সময়োপযোগী। আমরা আশা করি, আমরা যারা এই কোর্স সম্পন্ন করলাম, তারা দেশ রক্ষায় এবং প্রয়োজনে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজে, যেমন: একটি সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়ায়, আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত থাকব।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশসহ ২৪টি দেশের সামরিক বাহিনীর তরুণ অফিসারদের মধ্যে সনদ তুলে দেন প্রধান উপদেষ্টা।
এমকে
জাতীয়
শুরু প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন, জেনে নিন কোন দেশে কখন
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ডাকযোগে ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দিতে ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ নামের একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছে।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন অ্যাপটি উদ্বোধন করেন। দেশের ইতিহাসে এই প্রথম প্রবাসীরা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, অ্যাপে নিবন্ধনের পর প্রবাসী ভোটারদের কাছে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে। সেখানে টিক বা ক্রস চিহ্ন দিয়ে ভোট দিতে পারবেন তারা। ব্যালটে ‘না’ ভোটেরও সুযোগ থাকবে; তবে শুধু সেই আসনে যেখানে একজন প্রার্থী আছেন, সেখানকার ভোটাররাই ‘না’ ভোট দিতে পারবেন।
ইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ধাপে ধাপে বিভিন্ন দেশের প্রবাসীরা ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধনের সুযোগ পাবেন। বিভিন্ন অঞ্চলের জন্য পাঁচ দিন করে নিবন্ধনের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ বুধবার থেকে পূর্ব এশিয়া, আফ্রিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকার প্রবাসীদের নিবন্ধনের মাধ্যমে এই কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) মোট ১৪৮টি নির্দিষ্ট দেশে পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধনের সময়সূচি ঘোষণা করেছে। অঞ্চলভিত্তিক ধাপে ধাপে সম্পন্ন হবে এই নিবন্ধন কার্যক্রম।
পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকার ৫২ দেশে ১৯ থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধন চলবে।
উত্তর আমেরিকার ১৪ দেশ ও ওশেনিয়ার দুটি দেশে নিবন্ধন চলবে ২৪ থেকে ২৮ নভেম্বর।
ইউরোপের ৪২ দেশে ২৯ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে নিবন্ধন করতে হবে।
সৌদি আরবে নিবন্ধন শুরু হবে ৪ ডিসেম্বর, চলবে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
ব্যালট পাঠানোর খামের সঙ্গে একটি ঘোষণাপত্র দেওয়া হবে, যেখানে ভোটারকে স্বাক্ষর করতে হবে। ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর না থাকলে সেই ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।
প্রবাসীদের পাশাপাশি নির্বাচনি দায়িত্বে থাকা সরকারি কর্মকর্তা এবং দেশের ৭১টি কারাগারের বন্দি ও কয়েদিরাও এবার পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেবেন। তাদের জন্যও আলাদা নিবন্ধন পদ্ধতি থাকবে।
ইসি সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৫০ লাখ প্রবাসী ভোটারকে এবারের নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগের আওতায় আনার লক্ষ্য রয়েছে নির্বাচন কমিশনের।
ইসির অতিরিক্ত সচিব ও প্রবাসী ভোটার প্রকল্পের পরিচালক কে এম আলী নেওয়াজ জানান, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হলে অ্যাপে প্রতিটি আসনের প্রার্থী ও প্রতীক দেখা যাবে। এরপর ভোটাররা ১১৯টি প্রতীকের মধ্যে পছন্দেরটিতে টিক বা ক্রস দিতে পারবেন।
প্রকল্পের টিম লিডার সালীম আহমাদ খান বলেন, ভোট দেওয়ার পর ব্যালট রিটার্ন খামে ভরে নিকটস্থ পোস্ট অফিসে জমা দিলেই হবে। ডাকমাশুল আগে থেকেই পরিশোধ করা থাকবে, ফলে ব্যালট নিরাপদে বাংলাদেশে পৌঁছে যাবে।
এমকে
জাতীয়
বাংলাদেশ ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে ভারতের বিরুদ্ধে ১-০ গোলের জয় পাওয়ায় বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস অভিনন্দন জানিয়েছেন।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক অভিনন্দন বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এই জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে। এটি কেবল একটি ফুটবল ম্যাচের জয় নয়; এটি লক্ষ লক্ষ তরুণ-তরুণী, যারা খেলাধুলাকে ইতিবাচক শক্তির উৎস হিসেবে দেখে, তাদের জন্য অনুপ্রেরণা। জাতি গঠনে খেলাধুলার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ভারতের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে এমন একটি জয় এক্ষেত্রে একটি তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি।
অভিনন্দন বার্তায় তিনি আরও বলেন, এই জয় বাংলাদেশের ফুটবলের গৌরবময় দিনগুলো ফিরে পেতে সহায়তা করবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ২০২৪ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ফুটবলকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে আসছে এবং আশা রাখি আগামী দিনের সরকারগুলো এই ধারা অব্যাহত রাখবে।
এর আগে, মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) ঢাকায় ফুটবলপ্রেমী দর্শকে পরিপূর্ণ স্টেডিয়ামে অর্জিত এই জয়টি ২২ বছর পর ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে বাংলাদেশের প্রথম জয়।
এমকে



