লাইফস্টাইল
ডায়াবেটিস রোগীদের যেসব খাবার এড়িয়ে চলা উচিত
বর্তমানে সারাবিশ্বে ডায়াবেটিস একটি অত্যন্ত প্রচলিত রোগ। এটি পুরোপুরি নিরাময়যোগ্য না হলেও নিয়ন্ত্রণযোগ্য। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কোন খাবার খাওয়া উচিত এবং কোন খাবার পরিহার করা প্রয়োজন,এ বিষয়ে সচেতন থাকা খুবই জরুরি। অনেকে জানেন না কোন খাবারগুলো রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
আজ ১৪ নভেম্বর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস। ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই এই দিনটি পালন করা হয়। এ উপলক্ষে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে যেসব খাবার এড়িয়ে চলা উচিত, সেগুলো নিচে তুলে ধরা হলো-
১. স্যাচুরেটেড ফ্যাট
উচ্চ চর্বিযুক্ত দুধজাত খাবার, মাখন, গরুর মাংস, সসেজ, বেকন, নারকেল ও পাম তেল -এসব স্যাচুরেটেড ফ্যাটসমৃদ্ধ খাবার ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
নিউট্রিলার্নবিডির পুষ্টিবিদ তানজুম তাসনিম স্বপনীল জানান, ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি আগে থেকেই বেশি থাকে। তাই অতিরিক্ত স্যাচুরেটেড ফ্যাট এই ঝুঁকি আরও বাড়ায়। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন জানান, প্রতিদিন মোট ক্যালোরির ১০%-এর কম স্যাচুরেটেড ফ্যাট খাওয়া উচিত, কারণ এটি কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ ও ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স, উভয়ই বাড়াতে পারে।
২. ট্রান্স ফ্যাট
কুকিজ, কেক, পেস্ট্রি, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, ফ্রাইড চিকেন, মাইক্রোওয়েভ পপকর্ন, ফ্রোজেন পিজ্জা- ইত্যাদি ট্রান্স ফ্যাটসমৃদ্ধ খাবার রক্তের চর্বির ভারসাম্য নষ্ট করে। পুষ্টিবিদ স্বপনীল বলেন, ‘ট্রান্স ফ্যাট খারাপ কোলেস্টেরল (এলএলডি)বাড়ায় এবং ভালো কোলেস্টেরল (এইচএলডি) কমায়। এটি ইনফ্লামেশন বাড়ায়, যা ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের কারণ। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে ট্রান্স ফ্যাট হৃদরোগের ঝুঁকি দ্বিগুণ বাড়াতে পারে।’ তাই ট্রান্স ফ্যাট সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে চলাই ভালো।
৩. উচ্চ সোডিয়াম (লবন) যুক্ত খাবার
লবণ সরাসরি রক্তে গ্লুকোজ (শর্করা) বাড়ায় না, কিন্তু ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য লবণের অত্যধিকতা উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ বা কিডনি সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। যদিও লবণ কম খাওয়ার বিষয়েও কিছু বিতর্ক রয়েছে। কিছু গবেষণায় বলা হয়েছে খুব কম লবণ খাওয়া হলে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বাড়তে পারে। তাই একবারে লবন বন্ধ না করে উচ্চ লবণযুক্ত খাবার কম খাওয়া ভালো।’
৪. উচ্চ কোলেস্টেরল জাতীয় খাবার
পুষ্টিবিদ স্বপনীল জানান, অরগান মিট, শেলফিশ, রেড মিট, সসেজ-এসব খাবারে উচ্চ কোলেস্টেরলের পাশাপাশি স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি এবং ফাইবার কম থাকে। এ ধরনের খাবার ওজন বাড়ায়, রক্তচাপ বাড়ায় এবং বিপাকীয় সমস্যা তৈরি করে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণ ও সুষম খাদ্যাভ্যাস বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তাই উচ্চ কোলেস্টেরলযুক্ত খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা জরুরি।
৫. সরল শর্করা
মিষ্টি, কেক, প্যাকেটজাত জুস, কোমল পানীয়, ফাস্টফুড, চিনি-সমৃদ্ধ খাবার ও উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্সযুক্ত খাবার যেমন সাদা ভাত-এসব রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দেয়।পুষ্টিবিদ স্বপনীল বলেন, ‘সরল শর্করা দ্রুত শর্করার মাত্রা বাড়ায়, ফলে ইনসুলিনের চাহিদা হঠাৎ বেড়ে যায়। টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে এটি ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সকে আরও বাড়িয়ে তোলে। তাই এসব খাবার থেকে দূরে থাকা উচিত।’
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সঠিক খাদ্যাভ্যাস অত্যন্ত জরুরি। সুষম ও পরিমিত খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং রোগের জটিলতা প্রতিরোধ করে। তাই সুস্থ থাকতে ডায়াবেটিস রোগীদের এসব ঝুঁকিপূর্ণ খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা উচিত।
লাইফস্টাইল
জয়েন্টের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখতে যেসব খাবার উপকারী
এখনো পুরোপুরি শীত নামেনি, তবে আবহাওয়া ধীরে ধীরে বদলাচ্ছে। ঠাণ্ডা বাড়তে শুরু করলেই অনেকের জয়েন্টের ব্যথা তথা হাঁটু, কোমর বা গাঁটের ব্যথা বেড়ে যায়। এই সময় চিকিৎসার পাশাপাশি খাবারের দিকেও নজর দেওয়া জরুরি। কিছু খাবার নিয়মিত খেলে ব্যথা কিছুটা কমানো সম্ভব।
চলুন, জেনে নিই নিচে এমন পাঁচটি খাবারের কথা যা শীতের সময়ে গাঁটের ব্যথা উপশমে সাহায্য করতে পারে।
হলুদ ও আদা
রান্নাঘরের দুই পরিচিত মসলা; হলুদ ও আদা প্রাকৃতিকভাবে ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে। হলুদের কারকিউমিন যৌগ প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, যা আর্থ্রাইটিসজনিত ব্যথা উপশমে কার্যকর। রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম দুধে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে পান করতে পারেন।
এ ছাড়া প্রতিদিন আদা চা পান করুন বা রান্নায় বেশি করে আদা ব্যবহার করুন।
ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডযুক্ত মাছ
ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড শরীরের প্রদাহ কমায়, ফলে গাঁটের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে থাকে। স্যামন, সার্ডিন, টুনা ইত্যাদি সামুদ্রিক মাছ খেতে পারেন। দেশীয় বিকল্প হিসেবে ইলিশ, রুই বা কাতলার মাছও উপকারী।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ শাকসবজি
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে ফ্রি র্যাডিক্যালের ক্ষতিকর প্রভাব কমায়, যা গাঁটের ব্যথা উপশমে সাহায্য করে। ব্রকলি, পালং শাক, মিষ্টি আলু বা রঙিন শাকসবজি নিয়মিত ডায়েটে রাখুন।
ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার
শীতে সূর্যের আলো কম থাকায় শরীরে ভিটামিন ডি’র ঘাটতি দেখা যায়, যা হাড় দুর্বল করে। এ সময়ে ডিমের কুসুম, ফ্যাটি মাছ, ফর্টিফায়েড দুধ খাওয়া জরুরি। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে সাপ্লিমেন্ট নিতে পারেন।
হাড় মজবুত রাখতে দই, ছানা ও পনির খেতে পারেন।
অলিভ অয়েল
এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলে রয়েছে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট ও ওলিওক্যান্থাল নামের উপাদান, যা ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে। রান্নায় বা সালাদে অন্য তেলের পরিবর্তে অলিভ অয়েল ব্যবহার করুন। এটি হার্ট ও হাড়ের জন্যও উপকারী।
লাইফস্টাইল
শীতে কলা খাওয়া কি ক্ষতিকর?
অনেকে মনে করেন, শীতকালে কলা খেলে ঠান্ডা লেগে যায়। তাই অনেকেই এই সময় কলা খাওয়া বন্ধ করে দেন। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে, এই ধারণা ভুল। বরং পরিমিত পরিমাণে কলা খেলে শরীরের জন্য উপকারই হয়।
শীতকালে কলা খাওয়ার সঙ্গে ঠান্ডা লাগার কোনো সরাসরি সম্পর্ক নেই। চিকিৎসকদের মতে, কলা খাওয়া মানেই ঠান্ডা লাগবে—এমন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই।
তবে যাদের আগে থেকেই অ্যালার্জি, হাঁপানি, নাক দিয়ে পানি পড়া বা হাঁচির সমস্যা আছে, তাদের ক্ষেত্রে কলা খাওয়ার পর সামান্য অস্বস্তি হতে পারে। এমন হলে কিছুদিনের জন্য কলা না খাওয়াই ভালো।
অনেকে ঠান্ডা লাগলে কলা বা টক ফল খেতে নিষেধ করেন, কিন্তু সামান্য পরিমাণে খেলে কোনো ক্ষতি হয় না। বরং কলায় থাকা ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
যাদের কিডনি বা পটাশিয়ামের সমস্যা আছে, তাদের ক্ষেত্রে অবশ্য সতর্ক থাকা দরকার, কারণ কলায় পটাশিয়াম বেশি পরিমাণে থাকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কলায় থাকা ফাইবার হজমে সাহায্য করে এবং পেট ভরা রাখে, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। ডায়াবেটিস রোগীরাও পরিমিত পরিমাণে কলা খেতে পারেন, কারণ এতে থাকা ফাইবার রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, কলা রক্তচাপ কমাতে, হৃদরোগ প্রতিরোধে ও মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখতে সহায়তা করে।
শীতে কলা খাওয়া ক্ষতিকর নয়, বরং পরিমিত পরিমাণে এটি শরীরের জন্য উপকারী। তাই ঠান্ডার ভয়ে কলা খাওয়া বন্ধ করার দরকার নেই—বরং নিয়ম মেনে খান, সুস্থ থাকুন।
লাইফস্টাইল
ব্যাচেলরদের শোবার ঘর গুছিয়ে রাখার সহজ কিছু টিপস
সারা দিনের দৌড়ঝাঁপ শেষে নিজের ঘরে ফিরেই একটু শান্তি খুঁজে পাই আমরা। কিন্তু ঘরে ঢুকে যদি দেখি চারদিকে এলোমেলো জিনিসপত্র, বিছানায় কাপড়ের স্তূপ— তাহলে সেই শান্তি আর টিকে না। ব্যাচেলরদের জন্য বা যারা একা থাকেন— এই অবস্থা খুবই পরিচিত।
তবে কিছু ছোট অভ্যাস আর বুদ্ধি খাটিয়ে ঘরটাকে রাখা যায় বেশ গোছানো। চলুন দেখে নেওয়া যাক এমন কিছু সহজ টিপস।
অপ্রয়োজনীয় জিনিস সরিয়ে ফেলুন
বিছানায় একগাদা বালিশ, দুই-তিনটা চাদর বা শীতকাল শেষে ফেলে রাখা কম্বল— এসবই অগোছালো করে তোলে ঘর। যত কম জিনিস বিছানায় থাকবে, গুছিয়ে রাখা তত সহজ হবে। তাই যা প্রয়োজন নয়, তুলে রাখুন বা সরিয়ে ফেলুন।
ঘুম থেকে উঠে বিছানাটা গুছিয়ে ফেলুন
অনেকেই সকালে উঠে তাড়াহুড়ো করে ওয়াশরুমে ছুটে যান। ওয়াশরুম থেকে ফিরে বিছানাটা গুছিয়ে ফেলা অভ্যাসে আনুন। চাদর ঠিক করে দিন, বালিশ সাজিয়ে দিন— ব্যস! মাত্র ২ মিনিট সময় নেবে, কিন্তু ঘরটা দেখাবে অনেক পরিপাটি।
সপ্তাহে একদিন ‘ঘর পরিষ্কার’ দিন রাখুন
প্রতিদিন ঘর ঝাড়ু, মোছামুছি করা সম্ভব নয়, সেটা একেবারে স্বাভাবিক। তবে সপ্তাহে বা অন্তত মাসে দুদিন রাখুন ঘর ঝাঁট দেওয়া, ধুলা মোছা, বিছানার চাদর বদলানোর জন্য। এতে ঘরে ময়লা জমে থাকবে না।
কাপড় বিছানায় নয়, হ্যাঙ্গারে রাখুন
অনেকেই পরা বা না-পরা কাপড় বিছানায় বা চেয়ারে রেখে দেন। এতে খুব অগোছালো দেখায়। তাই এক কাজ করুন— একটা লন্ড্রি ব্যাগ কিনে নিন বা কিছু হ্যাঙ্গার লাগিয়ে ফেলুন। যেটা ঝুলিয়ে রাখা যায়, ঝুলিয়ে দিন। যেটা ধোয়ার দরকার, ব্যাগে ফেলুন।
জরুরি জিনিসের জন্য আলাদা জায়গা রাখুন
ওষুধ, কাগজপত্র, চাবি— এসব ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখলে প্রয়োজনের সময় খুঁজে পাওয়া যায় না। তাই বিছানার পাশে ছোট একটা টেবিল বা ড্রয়ার রাখুন। এতে জিনিসগুলো হাতের কাছেও থাকবে, আবার ঘরও দেখাবে পরিচ্ছন্ন।
ঘর পরিষ্কার রাখতে বড় কোনো ঝামেলা করতে হবে না। শুধু কিছু ছোট অভ্যাস আর নিয়ম মানলেই চলবে। আর মনে রাখবেন, পরিপাটি ঘর শুধু দেখতেই ভালো লাগে না, মনটাকেও ফ্রেশ রাখে।
নিজেকে ভালো রাখতে হলে নিজের আশপাশটাও ভালো রাখতে হয়— এই ছোট্ট চিন্তা থেকেই শুরু হোক গোছানো জীবনের যাত্রা। সূত্র : রিয়্যাল সিম্পল
লাইফস্টাইল
নিজের জন্য সঠিক পারফিউম বাছাই করবেন কীভাবে
ভালো গন্ধ শুধু অন্যকে আকর্ষণ করে না, নিজের আত্মবিশ্বাসও বাড়ায়। তাই অনেকেই প্রতিদিন পারফিউম ব্যবহার করেন। কিন্তু বাজারে এত রকম ব্র্যান্ড আর সুবাসের ভিড়ে নিজের জন্য একদম পারফেক্ট পারফিউমটা বেছে নেওয়া অনেক সময় কঠিন হয়ে যায়।
একজন অভিজ্ঞ পারফিউমার ক্যাটেরিনা কাতালানি জানিয়েছেন, কীভাবে আপনি আপনার ব্যক্তিত্ব আর পছন্দ অনুযায়ী সঠিক পারফিউম বেছে নিতে পারেন। চলুন জেনে নিই তার কিছু সহজ ও কার্যকর পরামর্শ।
প্রত্যেক মানুষের ব্যক্তিত্ব আলাদা, আর সেই অনুযায়ী সবার গন্ধ, পছন্দও ভিন্ন। কেউ হয়তো হালকা ফুলের ঘ্রাণ পছন্দ করেন, কেউ আবার মসলাদার বা কাঠের সুবাসে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
ক্যাটেরিনা বলেন, পারফিউম শুধু গন্ধই নয়, এটা আপনার মেজাজ, স্টাইল আর আত্মপরিচয়ের একটা অংশ। এমনকি কোনো কোনো সুবাস আমাদের প্রিয় স্মৃতি বা আবেগের সঙ্গেও জড়িয়ে থাকে। তাই পারফিউম নির্বাচনকে হালকা করে দেখার সুযোগ নেই।
সঠিক পারফিউম বাছাই করবেন কীভাবে?
ত্বকে ব্যবহার করে পরীক্ষা করুন
দোকানে গিয়ে পারফিউমের বোতলের মুখ থেকে শুঁকে অনেকেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। এটা একদম ভুল পদ্ধতি।
পারফিউম আসলে আপনার ত্বকের সঙ্গে মিশে কেমন ঘ্রাণ ছড়ায়, সেটা বোঝা জরুরি। কারণ একেকজনের ত্বকের সঙ্গে পারফিউমের রসায়ন ভিন্ন হতে পারে।
পরামর্শ : হাতের কব্জিতে একটু স্প্রে করে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। তারপর ঘ্রাণটা কেমন লাগে বুঝে সিদ্ধান্ত নিন।
একটি নয়, কয়েকটি ঘ্রাণ ট্রাই করুন
ক্যাটেরিনা বলেন, একটা পারফিউমে আটকে না থেকে ভিন্ন ভিন্ন ঘ্রাণও ব্যবহার করা উচিত। কারণ একেক দিন একেক মুড, একেক পরিবেশ—একেক সুবাস আপনার আলাদা দিক ফুটিয়ে তুলতে পারে।
আপনার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে যায় কি না ভাবুন
পারফিউম শুধু ঘ্রাণ নয়, এটা আপনার একটি ‘স্টেটমেন্ট’। আপনি যদি শান্ত স্বভাবের হন, তবে হালকা, ফুলেল সুবাস আপনার জন্য মানানসই। আবার যদি আপনি প্রাণবন্ত ও সাহসী হন, তবে একটু গাঢ় বা মসলাদার ঘ্রাণ মানাবে ভালো।
চুলের জন্য আলাদা পারফিউম
অনেকেই এখন চুলে পারফিউম ব্যবহার করেন। তবে সেটা কেনার সময়ও ঘ্রাণটা যাচাই করে নিন। কারণ চুলে দেওয়া পারফিউমের ঘ্রাণও আপনার আশপাশের মানুষদের কাছে পৌঁছায়।
পারফিউম কেনার আগে যেগুলো খেয়াল রাখবেন
– এসেনসিয়াল অয়েল বেশি থাকলে ঘ্রাণ থাকবে দীর্ঘসময়
– অ্যালকোহল বেশি থাকলে দাম কম হলেও সুবাস তাড়াতাড়ি উড়ে যায়
– উপাদানগুলো দেখে নিন—আপনার ত্বকে বা নাকে অ্যালার্জি হয় কি না বুঝে নিন
– ব্র্যান্ডেড পারফিউম কিনতে চাইলে টেস্টার ব্যবহার করে আগে যাচাই করে নিন
পারফিউম বেছে নেওয়া মানে শুধু ভালো ঘ্রাণ খোঁজা নয়, এটা নিজের একটা ছাপ রেখে যাওয়ার মতো বিষয়। তাই সময় নিয়ে, নিজের পছন্দ ও ব্যক্তিত্ব বুঝে তবেই সিদ্ধান্ত নিন। তাহলে পারফিউম শুধু শরীরে নয়, আপনার আত্মবিশ্বাসেও একটা সুন্দর সুবাস ছড়িয়ে দেবে।
সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান
লাইফস্টাইল
ঘুম থেকে উঠেই পানি খাবেন কেন
সকালের শুরুটা অনেকেরই এক কাপ চা বা কফি দিয়ে হয়। কিন্তু ঘুম থেকে ওঠার পর চা-কফি নয়, সবচেয়ে বেশি দরকার এক গ্লাস পানি। কারণ জানেন কি?
সারারাত একটা লম্বা সময় আমরা ঘুমিয়ে থাকি। আমরা কিছু না করলেও সে সময় শরীর কিন্তু তার কাজ চালিয়ে যেতে থাকে। ঘুমের সময় শরীর অনেক পানি খরচ করে। শ্বাস-প্রশ্বাস, ঘাম ও অন্যান্য প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পানি বের হয়ে যায়। তাই সকালে ঘুম থেকে উঠেই আমাদের গলাটা শুকনো লাগে। আর এই সময় পানি খাওয়া শুধু তৃষ্ণা মেটায় না, বরং শরীরের আরও অনেক উপকার করে।
১. শরীরের টক্সিন বের করে দেয়
রাতভর শরীরে জমে থাকা অপ্রয়োজনীয় উপাদান বা টক্সিন বের করতে সাহায্য করে পানি। সকালে খালি পেটে পানি পান করলে কিডনি ভালোভাবে কাজ করে ও প্রস্রাবের মাধ্যমে টক্সিন শরীর থেকে বের হয়ে যায়।
২. হজম প্রক্রিয়া সচল রাখে
ঘুম থেকে উঠে পানি খেলে পেটের পেশি নরম হয়, ফলে খাবার হজম করা সহজ হয়। অনেকেরই সকালে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকে, পানি সেই সমস্যা কমাতে কার্যকর।
৩. বিপাকক্রিয়া বা মেটাবলিজম বাড়ায়
পানি শরীরের বিপাকক্রিয়া বাড়িয়ে দেয়, ফলে ক্যালরি পোড়ানোর হারও কিছুটা বৃদ্ধি পায়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে এই অভ্যাসটি বেশ উপকারী।
৪. ত্বক রাখে উজ্জ্বল ও আর্দ্র
সারারাত ঘুমের পর ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। পানি শরীরের ভেতর থেকে আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনে, রক্তসঞ্চালন বাড়ায় এবং ত্বককে সতেজ রাখে।
৫. মস্তিষ্ক ও মনোযোগ বাড়ায়
ঘুম থেকে ওঠার পর শরীর সামান্য পানিশূন্য থাকে। পানি পান করলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন প্রবাহ বাড়ে, ফলে মনোযোগ, স্মৃতিশক্তি ও মেজাজ উন্নত হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই এক গ্লাস কুসুম গরম পানি পান করা সবচেয়ে ভালো। চাইলে এতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন। তবে খুব ঠান্ডা পানি খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে।
সূত্র: হার্ভার্ড হেলথ পাবলিকেশনস, মায়ো ক্লিনিক, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ



