জাতীয়
১৩ নভেম্বর ঘিরে শঙ্কা নেই, ঢাকাবাসীই রুখে দেবে: ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী জানিয়েছেন, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ‘লকডাউন’ কর্মসূচি ঠেকাতে রাজধানীতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এই কর্মসূচির দিন ১৩ নভেম্বর নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হবে।
এক সপ্তাহ ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ১৩ নভেম্বর নিয়ে নানা আশঙ্কার কথা বলা হচ্ছে উল্লেখ করে এ বিষয়ে আতঙ্কিত না হতে ঢাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।
কমিশনার বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ডাকা আগামী ১৩ নভেম্বরের লকডাউনের কর্মসূচি ঘিরে সামাজিকমাধ্যমে নানা আশঙ্কার কথা বলা হচ্ছে। আশ্বস্ত করতে চাই, শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। ঢাকাবাসীই এই নাশকতা রুখে দেবে।’
শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, ‘মোটরসাইকেলে করে এসে একটি বা দুইটি ককটেল মেরে যারা পালিয়ে যাচ্ছে, অনতিবিলম্বে আমরা তাদের ধরে ফেলব।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ঢাকাবাসীই এই নাশকতা রুখে দেবে। অতীতে যেসব স্বৈরশাসকের পতন হয়েছে, সেসব দলের নাশকতা ঢাকাবাসীই মোকাবেলা করেছে। এবারও ঢাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও অন্যান্য সংস্থা সম্মিলিতভাবে এটাকে রুখে দেবে। ভয়ের কোনো কারণ নেই।’
নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার হবে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ১৩ নভেম্বর আরও বাড়বে। প্রতিনিয়ত পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত দলের অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
অনেক সন্ত্রাসী ছাড়া পেয়েছেন, তারা সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে, ডিএমপি সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ সাজ্জাত আলী বলেন, ‘ঢাকা মহানগরীতে অপরাধ খুবই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। চলতি বছরের এপ্রিল-মে মাসে যে হারে ছিনতাইসহ অন্যান্য অপরাধ হচ্ছিল, সেসব ঘটনার ব্যাপক উন্নতি ঘটেছে।’
তিনি বলেন, গত এক বছরের বেশি সময় ধরে পুলিশ রাস্তার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাতেই ব্যস্ত সময় কাটিয়েছে। এমন কোনো গোষ্ঠী নেই যে তারা দাবি-দাওয়া নিয়ে রাস্তায় নামেনি। কিন্তু পুলিশ কোনো মারণাস্ত্র ব্যবহার বা লাঠিপেটা না করেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছে।
শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশের নীতি হলো আমরা কোনো মানুষকে লাঠিপেটা করতে চাই না। নিতান্তই প্রয়োজন হলে পানি ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করা হয়েছে, যেটা আপনারা শিক্ষকদের আন্দোলনের ক্ষেত্রে দেখেছেন।
উচ্চ আদালতে নিরাপত্তা নিয়ে আইনজীবীদের শঙ্কা আছে, বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, উচ্চ আদালত মানুষের বিচার পাওয়ার জায়গা। সেখানে যেতে আমরা কাউকে বাধা দিতে চাই না। তবে ১৩ নভেম্বরের আগেই সেখানে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেবো। তবে আমরা এমন কিছু করতে চাই না, যেটাতে বিচারপ্রার্থীরা হয়রানির শিকার হন।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা পুরো ঢাকা মহানগরীকে একটা নেটওয়ার্কের মধ্যে আনার জন্য কাজ করছি। ঢাকাকে স্মার্টসিটি হিসেবে গড়ে তুলতে একটা প্রকল্পও হাতে নেওয়া হয়েছে। এখানে আর্থিক বিষয় আছে, প্রায় ১২০০ কোটি টাকার প্রকল্প এটি। এই প্রকল্পটি পাস হলেই পুরো শহর সিসি ক্যামেরার আওতায় চলে আসবে।
জাতীয়
দেশের সব বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি
কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচিকে ঘিরে শাহজালালসহ দেশের সব বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতা ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বেবিচকের সদর দপ্তর থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি বিমানবন্দরগুলোতে পাঠানো হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো হাউজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর থেকেই বিমানবন্দরগুলোতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এবার এর পাশাপাশি বাড়তি সতর্কতার নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি।
চিঠিতে বলা হয়, সব বিমানবন্দরে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি বিমানবন্দর এলাকায় সব ধরনের টহল বৃদ্ধি এবং মনিটরিং ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করা হয়েছে। সম্ভাব্য যেকোনও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া সব বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সংখ্যক নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সার্বিক ফায়ার সার্ভেইল্যান্স কার্যক্রম আরও জোরদার করা হয়েছে, যাতে জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত সাড়া দেওয়া সম্ভব হয়।
বেবিচকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মাদ কাউছার মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেন, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। জনস্বার্থে সবাইকে সচেতন থাকার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচিকে ঘিরে গত দুই দিন ধরে এক ধরনের উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। ইতোমধ্যে যানবাহনে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ওইদিন নাশকতা-বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।
জাতীয়
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে ৩-৪ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত: আইন উপদেষ্টা
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ঘোষণা করেছেন, ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়নের বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আগামী তিন থেকে চার দিনের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীতে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ তথ্য জানান এবং আশা প্রকাশ করেন, সরকারের নেওয়া এই সিদ্ধান্ত সব রাজনৈতিক দল মেনে নেবে।
দেশের সংস্কারপ্রক্রিয়া নিয়ে চলমান বিতর্কের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, রাতারাতি সব সংস্কার শেষ করা সম্ভব নয়। বাস্তবে এত বড় ধরনের সংস্কার করা সহজসাধ্য নয় এবং ক্রমান্বয়ে সংস্কার করলে ভালো জায়গায় পৌঁছানো সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, সবাই মনে করেন সব সংস্কার এখনই করে ফেলতে হবে, কিন্তু বিষয়টি এত সহজ নয়। তিনি নিজের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে বলেন, আমরা যখন অ্যাকটিভিজম করেছি তখন ভেবেছি কত সহজ, কিন্তু এখন বুঝতে পারছি কত কঠিন।
তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, সব সংস্কার যেন সংবিধানেই আটকে গেছে, অন্য কোনো সংস্কার কারো চোখেই পড়ে না।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সংবিধানকে কোনো ‘ম্যাজিক’ হিসেবে উল্লেখ না করে বলেন, শুধু লিখে দিলেই সমাধান হয়ে যায় না; রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং জনগণের অভ্যাস বাদ না দিলে কোনো কিছু পরিবর্তন হবে না।
সাংবিধানিক ব্যর্থতার একটি উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, সংবিধানে রাষ্ট্রপতি স্বাধীনভাবে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেবেন বলে লেখা থাকলেও, কখনো কি তা হয়েছে?
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের দেওয়া বেশির ভাগ প্রস্তাবই ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে দাবি করে তিনি জোর দিয়ে বলেন, কমিশনের দেওয়া ৭০-৮০ ভাগ সংস্কার প্রস্তাব ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন হয়ে গেছে, অথচ অপপ্রচার করে বলা হয়, “কোথায় সংস্কার, কোথায় সংস্কার?”
ভবিষ্যতে নির্বাচিত সরকারের কাছে এই সংস্কারগুলো ধরে রাখার অনুরোধ রেখে আইন উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচিত সরকার এলে এই সংস্কারগুলো ধরে রাখবে কি না, তা নিয়ে একটি ভীতি কাজ করে। তিনি নতুন সরকারের প্রতি অনুরোধ করেন যেন তারা সংস্কারগুলো ধরে রাখেন এবং সেগুলোকে আরো শক্ত অবস্থানে নিয়ে যান।
জাতীয়
বুধবার ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
বিতরণ লাইন মেরামত ও সংরক্ষণ কাজের জন্য আগামীকাল বুধবার (১২ নভেম্বর) সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না। এদিন সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সিলেটের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবদুর রাজ্জাক এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ১১ কেভি শিবগঞ্জ ফিডারের শিবগঞ্জ পয়েন্ট, শিবগঞ্জ সোনারপাড়া, টাইম স্কয়ার এবং ১১ কেভি উপশহর ফিডারের উপশহর ব্লক-এ, বাংলাদেশ ব্যাংক কোয়ার্টার, ব্লক-সি, তেররতন, ব্লক-জে, ট্রাফিক অফিস ও আশপাশের এলাকাগুলোয় বিদ্যুৎ থাকবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য বিউবোর পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।
জাতীয়
ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯১২
সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত (একদিনে) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯১২ জন।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, গত একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৯১২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৩৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৫১ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ১৩০ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৯৪ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৩১ জন, খুলনা বিভাগে ৭২ জন (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে), রাজশাহী বিভাগে ৮৮ জন (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে), রংপুর বিভাগে ৩ জন (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ও সিলেট বিভাগে ৫ জন (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
এদিকে গত একদিনে সারা দেশে ৯২৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৭৬ হাজার ৯৩৮ জন।
এ বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৮০ হাজার ৬৩৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৩১৮ জনের।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ৫৭৫ জন। এর আগে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয় এবং ওই বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।
জাতীয়
১৩ নভেম্বর ঘিরে খোলা জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধ
রাস্তার পাশে পরিবহণের জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এসব তেল দুর্বৃত্তরা অগ্নিসংযোগ বা অন্যান্য কাজে ব্যবহার করে থাকে বলে মনে করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ১৩ নভেম্বরের কর্মসূচি নিয়ে সতর্ক আছে সরকার। কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সহ্য করা হবে না।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ১৩ নভেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে কোনও ধরণের আশঙ্কার কারণ নেই। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে, রাস্তার ধারে পেট্রোল বিক্রি বন্ধ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না। আগামী ১৩ নভেম্বর ঘিরে আমাদের কার্যক্রম চলছে। কেপিআইগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, কিছু জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলে বড় ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে বাহিনীর সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, অনেকেই বলেন সন্ত্রাসীরা খুব তাড়াতাড়ি জামিন পেয়ে যায়। এজন্য যারা জামিন দেয় তাদের প্রতি অনুরোধ, তারা যেন সন্ত্রাসীদের জামিন না দেয়।
এ সময় সন্দেহভাজন কাউকে দেখলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানোর অনুরোধ জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমাদের নির্বাচনের প্রস্তুতি মোটামুটি সন্তোষজনক। প্রস্তুতি শেষ হলে আমরা একটা মহড়াও দেব।
তিনি বলেন, নির্বাচনে প্রায় দেড় লাখ পুলিশ, এক লাখ সেনাবাহিনীর সদস্য, ৩৫ হাজারের মতো বিজিবি এবং সাড়ে পাঁচ লাখের ওপরে আনসার সদস্য মোতায়েত থাকবে।



