ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইসলামের দৃষ্টিতে মানবাধিকার আল্লাহ প্রদত্ত, মানুষ প্রদত্ত নয়: মাশায়েখি রাদ
ইরানের আল-মুস্তাফা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি হুজ্জাতুল ইসলাম শাহাবুদ্দিন মাশায়েখি রাদ বলেছেন, ইসলামের দৃষ্টিতে যে মানবাধিকার কথা বলা হয়েছে সেটা মানুষ প্রদত্ত নয়, সেটা আল্লাহ প্রদত্ত। সেটা হচ্ছে আল্লাহর হুকুম আর আল্লাহর হুকুম বাস্তবায়ন করা মানে আল্লাহর অধিকার প্রদান করা।
তিনি বলেন, আজকের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ইসলাম ও মানবাধিকার। মানবাধিকার এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যদিও জাতিসংঘ কর্তৃক বিশ্বের মানুষদের জন্য মানবাধিকার এই মর্মে আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা গুলোর পক্ষ থেকে এই মানবাধিকার বিষয়টি খুব হাইলাইট করা হয়ে থাকে এবং সেখানে খুব গভীরভাবে এটা পর্যালোচনা করা হয়ে থাকে। তবে আইন প্রণয়ন করা হয় কোনো বিশেষ কিছু দেশের স্বার্থ উদ্ধার করার জন্য এবং আইনগুলো সেই দেশের চিন্তা চেতনা অনুযায়ী হয়ে থাকে।
রোববার (৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মতত্ত্ব অনুষদ ভবনের ৪০১ নং কক্ষে ‘মানবতা ও ইসলাম’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (আইআইইআর) এবং ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স ডিভিশিন (আইএডি)-এর যৌথ আয়োজনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
মাশায়েখি রাদ বলেন, বিশ্বের যে বড় বড় সংস্থাগুলো মানুষের মানবাধিকার নিয়ে কাজ করে থাকে; ইউনেস্কো, ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা আরো এ জাতীয় যে বড় বড় সংস্থাগুলো রয়েছে যদিও বলছি না যে মানুষের জন্য কিঞ্চিত হলেও কাজ হবে না, কিন্তু বড় বড় দেশের বিশাল স্বার্থ চরিতার্থ করার নিমিত্তে এই সংস্থাগুলো আইন প্রণয়ন করা হয়েছে বা সংস্থাগুলো সৃষ্টিই করা হয়েছে।
এই দৃষ্টিকোণ থেকে যখন এই বড় বড় সংস্থাগুলোর কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে তখন তাদের আমল বা আচরণের ক্ষেত্রে মানবাধিকার বিষয়টা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায়। যদিও সেই প্রশ্নবিদ্ধটা খ্রিস্টান দ্বীনের পক্ষ থেকে, হিন্দুদের ক্ষেত্রে বা অন্যান্য দিনের পক্ষ হতে হয়ে থাকুক, বিশেষ করে ইসলামের পক্ষ থেকে যখন মানবাধিকার তুলে ধরতে চাই তখন তাদের চিন্তা চেতনার সাথে খুব বড় ধরনের একটা ফারাক রয়ে যায়।
মাশায়েখি রাদ বলেন, ইসলামে কেসাস পড়ে থাকি, কেসাসের বিধান ইসলামে প্রণীত হয়েছে কিন্তু মানবাধিকারের ওই বড় বড় সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে প্রণীত আইন সেখানে কেসাস বলে কোন শব্দ তাদের ওখানে দেখবেন না, সেই আইনও প্রণীত হয়নি। বিশ্বের বড় বড় মানবাধিকার সংস্থা গুলো যেখানে মানবাধিকার নিয়ে কথা বলা হয়েছে সেই মানবাধিকারের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান অধিকার তুলে ধরা হয়েছে এবং সম-অধিকার সেখানে বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু ইসলামের নারী পুরুষের সম অধিকারের বিষয়টি এখানে উপস্থাপিত হয়নি।
আর এই নারী পুরুষের সম অধিকার বন্টন করার পরিপ্রেক্ষিতে যে সমস্যাটা সৃষ্টি করেছে তারা। নারী পরিবারের ব্যবস্থাপক হিসেবে পাঁচজন বাচ্চা লালন পালন করার বাচ্চাদেরকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে মেধা, সময় সেখানে ব্যয় করবে। নারী ছিল বাড়ির রানী, রানীর মর্যাদায় যে ভূষিত ছিল সেই নারী ওই সম মর্যাদার কারণে এখন নেমে এসেছে রাস্তায় এবং ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে, বাঁশি দিয়ে বলছে কোন গাড়ি কোন দিকে যাবে, কোন রাস্তা বন্ধ হবে সেই কাজে এখন ব্যস্ত হয়েছে তারা।
নারীর এই রাস্তায় নেমে আসার মাধ্যমে তারা বলতে চাচ্ছে পুরুষের মত আমরা নারীকে সমমর্যাদা দিয়েছি কিন্তু আসলে এই নারীর রাস্তায় চলে আসা এবং পুরুষের কাজে শরিক হওয়া, পুরুষের দায়িত্বটা পালন করার মাধ্যমে তাদের মর্যাদা বাড়েনি বরং তাকে নিকৃষ্ট, অপমানিত এবং অপদস্থ করা হয়েছে। বরং যে নারী আমার বাড়িতে রানীর আসনে অধিষ্ঠিত হবে। স্বামী তার জন্য খাওয়া, পড়া, চলার জন্য অর্থ উপার্জন করে তার হাতে এনে দিবে। তার জন্য নিরাপত্তা বিধান করবে সেই পর্যায়ে থেকে তারা নারীকে সরিয়ে এখন পুতুলের মত রাস্তাঘাটে তাদেরকে নাচিয়ে বেড়াচ্ছে। এই নারী-পুরুষের সমমর্যাদা বিধান করতে যেয়ে তারা নারীকে নারীর নারীত্ব থেকে বঞ্চিত করে নারীকে পুরুষত্ব দান করেছে।
তিনি আরও বলেন, পবিত্র কোরআনের দৃষ্টিতে নারীকে এমন করে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে যে নারী এমন মর্যাদা সম্পন্ন যে পুরুষ তার খেদমতকর হিসেবে থাকবে। পুরুষ হচ্ছে নারীর খাদেমের যোগ্যতাসম্পন্ন। পুরুষ অর্থ উপার্জন করবে, নারীর খাদ্য ভরণ পোষণ, তার অর্থনৈতিক সমস্যা, সহযোগিতা এবং সমস্ত জীবনের উপকরণ। পুরুষ উপার্জন করবে নারীকে সম্মানের সহিত তার হাতে তুলে দেবে। আল্লাহর এই সৃষ্টিতে নারীকে এমন মর্যাদা দেয়া হয়েছে যে নারী রানীর আসনে বসে থাকবে পুরুষ তার চতুরদিকে কাবা ঘরের মতো তাওয়াফ করবে।
পশুদের ভিতরেও এই রীতি এমন উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, আমরা যদি মৌমাছিকে দেখি রানী মৌমাছি কখনোই কিন্তু বাইরে বের হয় না। রানী মৌমাছি মৌচাকে বসে থাকে আর অন্য পুরুষ মৌমাছিগুলো খাদেম হিসেবে মধু সঞ্চয় করে নিয়ে আসে জমা করে রানীর কাছে। নারীদের চরিত্র এমন হওয়া উচিত কিন্তু সেটা না হয়ে নারীকে রাস্তায় নিয়ে আসে বরং এই নারীকে তৈরি করেছে পুরুষের খেদমত করার জন্য যেটা কুরআনের পরিপন্থী। পুরুষ এবং নারীর মর্যাদার ক্ষেত্রে এমনটা নয় যে, পুরুষ যে কাজগুলো করবে নারীও সেই একই কাজগুলো করবে এমনটা কুরআনের নির্দেশ নয়।
তিনি আরও বলেন, পরিপূর্ণতা অর্জন করার ক্ষেত্রে আধ্যাত্মিকতা, নুরানী, নারী-পুরুষের শিক্ষা অর্জন করার ক্ষেত্রে এগুলো কোন সমস্যা তৈরি করে না বরং নারী-পুরুষ উভয়ই এই আধ্যাত্মিকতা, ইবাদী ক্ষেত্রে সমমর্যাদা সম্পন্ন সমদায়িত্ব প্রাপ্ত। কিন্তু সামাজিক ক্ষেত্রে এবং কর্ম সম্পাদন করার ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের কর্মস্থল এবং কর্মক্ষেত্র ভিন্ন এবং তাদের আনজাম দেয়ার বিষয়টিও ভিন্ন। নারীর জন্য কিছু নির্দিষ্ট কাজ নির্দিষ্ট করা আছে। পুরুষের জন্য পুরুষের নির্দিষ্ট বিভাগ নির্দিষ্ট করা আছে। তারা একে অপরের জন্য নির্দিষ্ট বিভাগে কর্মরত থাকবে। বর্তমান বিশ্বে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে যে মানবাধিকার প্রণীত হয়েছে এবং মানুষের জন্য যে অধিকার তারা বন্টন করে থাকে তার সাথে ইসলামের মানবাধিকার বন্টনের কিছু ভিন্নতা রয়েছে আমি দার্শনিক দিক থেকে সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে কয়েকটি পার্থক্য তুলে ধরছি।
প্রথম পার্থক্যটা হচ্ছে জাতিসংঘের যে মানবাধিকার আইন প্রণয়ন করেছে সেটা মানুষ কর্তৃক প্রণীত এবং মানুষের চিন্তা গত দিক নির্দেশনা থেকে সেগুলো সৃষ্টি করা হয়েছে। ইসলামের যে মানবাধিকার রচিত হয়েছে সেটা আল্লাহর নির্দেশিত এবং কোরআনের মাধ্যমে সেটা আমাদের সামনে উপবিষ্ট হয়েছে। এবং আমাদের যে ইসলামী মানবাধিকার সেটা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের প্রণোদিত হয়েছে।
পবিত্র কুরআনে যে আয়াতগুলো আমাদের সামনে এসেছে সেখান থেকে বোঝা যায় যে মানুষকে জাতিগতভাবেই, সত্যাগতভাবেই মানুষকে সম্মানিত করা হয়েছে। আল্লাহ ইনসানকে সম্মানিত করেছেন। আল্লাহ বলেননি যে আমি পাহাড়কে সম্মানিত করেছি, পরিবেশকে সম্মানিত করেছি কিংবা আরো এগুলো কোন বিষয়েই আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সম্মানিত করেছি এ কথা বলেনি। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেছেন যে আমি বনি আদমকে সম্মানিত করেছি।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন আগে সম্মানের ভিত্তিতে মানুষকে সম্মান দিয়ে সৃষ্টি করেছি। পরের বার বলেছেন আমি এবাদতের ভিত্তিতে, ন্যায়পরায়ণতার ভিত্তিতে পুরুষ এবং নারীকে পরিচালনা করে থাকি। দ্বিতীয় সূত্রটি হচ্ছে ন্যায়পরায়ণতা।
তৃতীয় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে নিরাপত্তা এবং জীবন পরিচালনা করার অধিকার সেটা সবারই রয়েছে। আল্লাহ যাদেরকে জীবন দিয়েছেন তাদেরকেই নির্বিঘ্নভাবে জীবন পরিচালনা করার এখতিয়ার রয়েছে এবং নিরাপত্তা সহকারে জীবন পরিচালনা করার অধিকার আমাদের সবার রয়েছে।
ইসলাম এখানে স্বাধীন চেতনা নিয়ে, মন মানুষ নিয়ে আকিদাগত ভাবে স্বাধীনতার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। ইসলামে কখনো প্রেসার ক্রিয়েট করে অথবা জোর জবরদস্তি করে কখনো ভয় ভীতি দেখিয়ে কোন আকিদা, বিশ্বাস তৈরি করা যায় না। এটা যার যার নিজস্ব ব্যাপার যার যার স্বাধীনতার ব্যাপার রয়েছে।
চতুর্থ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যে পুরুষ এবং নারীর একে অপরের অধিকার সম্পন্ন করা। পুরুষের ও নারী উভয়ের জন্য পারস্পরিক কিছু অধিকার রয়েছে। আয়াতে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে যে এমনটা নয় যে শুধু নারী খাটবে আর পুরুষ সেগুলো ব্যবহার করবে। বা শুধু পুরুষ খাটবে নারী ব্যবহার করবে এমনটি নয় বরং নারীর কিছু দায়িত্ব রয়েছে পুরুষের ব্যাপারে আনজাম দেওয়া পুরুষেরও তদ্রুপ কিছু দায়িত্ব রয়েছে নারীর ব্যাপারে আনজাম দেয়ার। পঞ্চম বৈশিষ্ট্যটি হচ্ছে হাক্কে মালিক বা মালিকের হক যিনি আমাদের মালিক থাকবে সে পরিচালকের একটি হক আমাদের আদায় করতে হবে সে দায়িত্বও আমাদের উপরে রয়েছে।
দ্বিতীয় পার্থক্য মুসলিম মানবাধিকারের সাথে সেটা হচ্ছে এই যে নিরাপত্তা বিধান নিশ্চিত করা, মানুষের অধিকার বাস্তবায়নের যে কমিটমেন্ট থাকা দরকার সে কমিটমেন্ট তাদের নাই। যে আইন বা মানুষের অধিকার তারা তৈরি করেছে এমন যে, শুধুমাত্র শাস্তি দেয়ার বিধানটা এখানে প্রণয়ন করছে। এবং সেই শাস্তি দিচ্ছে কারা? একদল মানুষ আরেকদল মানুষকে শাস্তি দিচ্ছে। যদিও আমাদের সমাজে অনেক মানবাধিকারের কাজ সম্পাদিত হয়ে থাকে সেই মানবাধিকারের কাজ আমরা দেখে সন্তুষ্ট হলেও তাদের নিয়ত টা কি আসলে এই মানবাধিকার বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে,পর্দার আড়ালে কি উদ্দেশ্যে মানবাধিকার বাস্তবায়ন করা হচ্ছে? তাদের কি চিন্তা চেতনা এটা আমরা ভেবে দেখি না এবং ভেবে দেখার ইচ্ছাও পোষণ করি না।
কিন্তু ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে যে মানবাধিকার বর্ণিত হয়েছে সেখানে দুইটা জিনিসই নিশ্চিত শাস্তির বিধান ও পুরস্কারের বিধান। সমাজে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আল্লাহর পক্ষ থেকে যে বিধান রয়েছে যদি পালন করি তাহলে পুরস্কৃত হব অন্যথায় শাস্তি পাব। এটাই হচ্ছে আল্লাহ প্রদত্ত বিধান। এক্ষেত্রে সয়ংক্রিয়ভাবে একটা দায়িত্ব চলে আসে মুসলিম হিসেবে আল্লাহ বলেছেন তাই এই কাজটাকে আনজাম দিচ্ছি।
আরেকটা বিধান রয়েছে। হক এবং দায়িত্বের ভেতরে কিছু বিষয় রয়েছে যদি কোন বিষয়ের ব্যাপারে আমার হক থাকে তাহলে অন্যদের উচিত হবে তাদের অর্পিত দায়িত্ব যেন তারা আদায় করে। যদি অন্যদের ব্যাপারে আমার কোন দায়িত্ব থাকে তাহলে আমার উচিত হবে তাদের সেই হকটা যেন আমি আদায় করি।
উদাহরণস্বরূপ, যেমন আমার অধিকার রয়েছে স্বাধীনভাবে জীবন যাপন করার তাই আপনার উচিত হবে আমাকে স্বাধীনভাবে জীবন যাপন করার সুযোগ দেওয়া। এটা আপনাদের দায়িত্ব। একই সাথে আমার অধিকার এবং আপনাদের দায়িত্ব বলে একটি বিষয় রয়েছে। কিন্তু ইসলাম এরকমটা বলা হয়নি। ইসলাম বলছে যে অধিকারটা আমার আছে এবং অন্যদের উপর আমি দায়িত্বপ্রাপ্ত, আমার উপরে যে অধিকার বর্তাচ্ছে ঠিক এভাবে আমার দায়িত্বও বাড়ছে যে অধিকারটা আমি পেলাম সে অধিকারের প্রেক্ষাপটে বিপরীতমুখী যদি চিন্তা করি, অন্যদের প্রতি আমার দায়িত্বও বেড়ে গেল।
আমার অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে এরকমটা কখনোই করা যাবে না যে, আমি অধিকার প্রাপ্ত আর আপনারা দায়িত্বপ্রাপ্ত।
কালকে আমাদের ময়দানে আমাকে জিজ্ঞাসা করা হবে তুমি এমনটা কেন করেছো যে তুমি শুধু অধিকার প্রাপ্ত আর অন্যেরা দায়িত্বপ্রাপ্ত, তোমার কি কিছু করার ছিল না অন্যের নিমিত্তে? তখন আমাকে অবশ্যই দায়িত্বের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হবে। সর্বশেষ যে বিষয়টি বলবো সেটা হচ্ছে ইসলামের দৃষ্টিতে যে মানবাধিকার কথা বলা হয়েছে সেটা মানুষ প্রদত্ত নয়, সেটা আল্লাহ প্রদত্ত। সেটা হচ্ছে আল্লাহর হুকুম আর আল্লাহর হুকুম বাস্তবায়ন করা মানে আল্লাহর অধিকার প্রদান করা।
তাই যদি ইসলামের দৃষ্টিতে মানবাধিকার আদায় না করি ,আল্লাহর অধিকার বাস্তবায়ন না করি তাহলে আল্লার নিমিতে আল্লাহর অধিকারে আমরা আনজাম দিলাম না। আমরা তেমন একটি সময় অতিবাহিত করছি যে এই মানবাধিকার আমরা লঙ্ঘিত হতে দেখছি গাজায়, সুদানে এবং বিশ্বের আরো অনেক জায়গায়। মানবাধিকার যে লঙ্ঘিত হচ্ছে এটা বুঝানোর জন্য আপনাদের সামনে দার্শনিক আলোচনা করার দরকার নাই। একটু তাকিয়ে দেখলে আমরা দেখতে পাবো বিশ্বে মানবাধিকার কিভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে। আজকের বিশ্বে আমেরিকা সবথেকে বেশি মানবাধিকার লংঘন করছে। আমেরিকা বলেছে ইসরাইলের অধিকার আছে যে মানুষের উপরে বম্বিং করে ৭০ হাজার মানুষকে সেখানেই কতল করে ফেলা।
পরিশেষে তিনি কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আল-মুস্তাফা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা সম্পর্ক উন্নয়ন ঘটানোর বিষয়-সহ ভবিষ্যতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রছাত্রীদের ইরানের ভূমিতে দেখবেন বলে প্রত্যাশা করেন।
সেমিনার অনুষ্ঠানে ইরানের আল-মুস্তাফা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিনিধি হুজ্জাতুল ইসলাম শাহাবুদ্দিন মাশায়েখি রাদ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। সেমিনারে আইআইইআরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রোউপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদ/কাফি/সাকিব
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ, আবেদন শুরু আজ
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আরও ১০ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। প্রথম ধাপে যাদের ছয় বিভাগ থেকে বেছে নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগের জন্য ১০ হাজার ২১৯টি সহকারী শিক্ষক পদে আবেদন আহ্বান করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
আজ শনিবার (৮ নভেম্বর) থেকে আগ্রহীরা আবেদন করতে পারবেন, যা করা যাবে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এ জন্য ফরম পূরণের নির্দেশনা পাওয়া যাবে টেলিটকের ওয়েবসাইটে (http://dpe.teletalk.com.bd)। সেখানে থাকা নির্দেশনা অনুসরণ করে প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
এসব পদে নিয়োগের জন্য প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা হবে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ (৪ স্কেলে ন্যূনতম ২ দশমিক ২৫ ও ৫ স্কেলে ন্যূনতম ২ দশমিক ৮) স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি। তবে শিক্ষা জীবনে কোনো স্তরে তৃতীয় বিভাগ অথবা সমমানের জিপিএ অথবা তৃতীয় শ্রেণি অথবা সমমানের সিজিপিএ গ্রহণযোগ্য হবে না।
এবার আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ টাকা। টেলিটকের ১২ টাকা চার্জসহ মোট ১১২ টাকা দিতে হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বলছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫ এবং ওই বিধিমালার ২ নভেম্বর তারিখের সংশোধন অনুযায়ী নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
জানা গেছে, বিবাহিত নারী প্রার্থীরা আবেদনে তাদের স্বামী অথবা বাবার স্থায়ী ঠিকানার যে কোনো একটিতে আবেদন করতে পারবেন। তবে এ দুটি স্থায়ী ঠিকানার মধ্যে তিনি যেটি আবেদনে দেবেন, তার প্রার্থিতা সেই উপজেলা বা থানার জন্য বিবেচিত হবে। নিয়োগ প্রক্রিয়া হবে উপজেলা বা থানাভিত্তিক। প্রার্থী যে উপজেলা বা থানার স্থায়ী বাসিন্দা তিনি সে উপজেলা বা থানার শূন্য পদে নিয়োগের জন্য বিবেচিত হবেন। আবেদনে নিজ জেলা, থানা বা উপজেলা ভুল করলে তার প্রার্থিতা বাতিল বলে গণ্য হবে।
শর্ত হিসেবে বলা হয়েছে নির্বাচিত প্রার্থীকে নিজ উপজেলা বা থানায় চাকরি করতে হবে। তার বদলি নিজ উপজেলা বা থানার বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সীমিত থাকবে।
প্রার্থীদের প্রথমে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এর ফলাফলের ভিত্তিতে নির্বাচিত প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
অষ্টম শ্রেণি পাসে চাকরি দেবে ওয়ালটন
ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসিতে ‘পলিশিং মেশিন অপারেটর’ পদে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহীরা আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। প্রার্থীকে অবশ্যই জেএসসি/জেডিসি/অষ্টম শ্রেণি পাস হতে হবে। গাজীপুর জেলায় কাজ করার মানসিকতা থাকতে হবে।
প্রতিষ্ঠানের নাম: ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি
পদের নাম: পলিশিং মেশিন অপারেটর
পদসংখ্যা: ৫ জন
শিক্ষাগত যোগ্যতা: জেএসসি/জেডিসি/অষ্টম শ্রেণি পাস
অভিজ্ঞতা: ২-৬ বছর
বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে
চাকরির ধরন: ফুল টাইম
প্রার্থীর ধরন: পুরুষ
বয়স: ২০-৪০ বছর
কর্মস্থল: গাজীপুর (কালিয়াকৈর)
আবেদনের নিয়ম: আগ্রহীরা এখানে ক্লিক ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি করে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ১৫ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।
সূত্র: বিডিজবস ডটকম
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ
৪৪তম বিসিএসের সম্পূরক ফল প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন। বৃহ্স্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাতে সংস্থাটির ওয়েবসাইটে এ ফল প্রকাশ করা হয়।
পিএসসির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিগত ২৮ অক্টোবর ২০২৫ তারিখের এস.আর.ও. নং-৪২৯-আইন/২০২৫ মারফত জারিকৃত বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা-২০১৪ এর সংশোধিত বিধি ১৭ মোতাবেক ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়ে বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রতীয়মান হয়েছে যে, ৪৪তম বিসিএস পরীক্ষা-২০২১ এর বিগত ৩০ জুন ২০২৫ তারিখে ঘোষিত ফলাফলে ক্যাডার পদে সাময়িকভাবে মনোনয়নপ্রাপ্ত এবং ৪৪ বিসিএস এর পূর্ববর্তী কোনো বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে নিযুক্ত হয়ে কোনো ক্যাডার পদে কর্মরত ৩০৩ জন প্রার্থী লিখিত Declaration প্রদান করত: অভিপ্রায় প্রকাশ করেছেন যে, তাঁরা কর্তব্যরত একই ক্যাডার পদে কিংবা তাদের পছন্দক্রমের নিরিখে তদপেক্ষা নিম্নের কোনো ক্যাডার পদে যোগদান করবেন না।
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা-২০১৪ এর সংশোধিত বিধি ১৭(২)(গ)-তে বর্ণিত বিধান অনুযায়ী দফা ১-এ বর্ণিত কারণে উক্ত ৩০৩ জন প্রার্থির মধ্যস্থিত ২৬০ জন প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য সরকারের নিকট সুপারিশ করা হইতে বিরত থাকা, ৪৩ জন প্রার্থীকে তাঁদের কর্মরত ক্যাডার পদের চেয়ে পছন্দক্রম অনুযায়ী উপরের পদে সাময়িক মনোনয়ন প্রদান ও উদ্ভূত শূন্যপদ পূরণ করার নিমিত্তে মেধাক্রম অনুসারে ২৫৭ জনকে মেধাতালিকা থেকে নির্বাচন ও মনোনয়ন প্রদান এবং এই প্রক্রিয়ায় ১১৩ জন প্রার্থীর ক্যাডার পদের পূর্বের সুপারিশ পরিবর্তিত হয়ে তাদের পছন্দক্রমের উপরের পদে মনোনয়ন প্রদানের সপক্ষে বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
উল্লেখ্য যে, সংশ্লিষ্ট পদের মেধা তালিকায় পদসংশ্লিষ্ট যোগ্যতার নিরিখে যোগ্য প্রার্থী না থাকায় ২৬০টি পদ শূণ্য হলেও নতুন ২৫৭ জনকে সাময়িকভাবে মনোনয়ন প্রদান করা হয়েছে।
বিএড/এমএড সনদ না থাকায় নিম্নবর্ণিত ৫জন রেজিস্ট্রেশন নম্বরধারী ধারী প্রার্থীর অনুকুলে বিগত ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে প্রদত্ত ক্যাডার পদের (প্রভাষক, টিচার্স ট্রেনিং কলেজ) মনোনয়ন এতদ্বারা বাতিল করা হলো- ১১১৪৫০৯৫, ১১০৬৪৮০৬, ১১০৮৮০৯৮, ১১০৭৫৭৩৮, ১৩০০৫৮৬৯।
উপর্যুক্ত দফা-২-তে বর্ণিত সিদ্ধান্তের ফলশ্রুতিতে উদ্ভূত শূন্যপদে প্রার্থী নির্বাচনের জন্য সংশোধিত বিধি ১৭-এর উপবিধি (৩)-এর ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন ৪৪তম বি.সি.এস. পরীক্ষা-২০২১ এর প্রস্তুত্বকত মেধাক্রম তৎসহ প্রচলিত কোটা সংক্রান্ত বিধান অনুসরণপূর্বক সম্পূরক ফলাফল প্রস্তুত করত: বিগত ৩০ জুন ২০২৫ তারিখের ফলাফলের সাথে সমন্বয়পূর্বক ৪৪তম বি.সি.এস. পরীক্ষা-২০২১ এর বিভিন্ন ক্যাডারের মোট ১,৭১০ (এক হাজার সাত শত দশ) টি বিজ্ঞাপিত শূন্য পদের বিপরীতে ১৬৮১ টি পদে নিয়োগের জন্য নিম্নবর্ণিত রেজিস্ট্রেশন নম্বরধারী যোগ্য প্রার্থীদেরকে সাময়িকভাবে (Provisionally) মনোনয়ন পদায়ন করা হয়েছে।
এমকে
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জকসু নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে আগামী ২২ ডিসেম্বর। কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের পাশাপাশি একই দিন একটি ছাত্রী হল সংসদের নির্বাচনও হবে।
আজ বুধবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল ঘোষণা করেন জকসু নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনের আচরণ বিধিমালা প্রকাশ ৫ নভেম্বর। নির্বাচনের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ ৬ নভেম্বর। ভোটার তালিকার বিষয়ে আপত্তি জানানোর শেষ তারিখ ৯ নভেম্বর, নিষ্পত্তি ১১ নভেম্বর। ১২ নভেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।
মনোনয়নপত্র বিতরণ ১৩,১৬ ও ১৭ নভেম্বর। এই তিন দিন সকাল নয়টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হবে।
মনোনয়নপত্র দাখিল ১৭ ও ১৮ নভেম্বর (সকাল নয়টা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত)। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৯ ও ২০ নভেম্বর।
প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ২৩ নভেম্বর। প্রার্থীদের আপত্তি ও নিষ্পত্তি গ্রহণ ২৪,২৫ ও ২৬ নভেম্বর। প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট ২৭ ও ৩০ নভেম্বর। প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ ৩ ডিসেম্বর।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ৪,৭ ও ৮ ডিসেম্বর। প্রত্যাহার করা প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ ৯ ডিসেম্বর।
প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচার চলবে ৯ থেকে ১৯ ডিসেম্বর। ভোট গ্রহণ ২২ ডিসেম্বর (সকাল নয়টা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত)। ভোট গ্রহণ শেষে হবে ভোট গণনা। ফলাফল ঘোষণা ২২-২৩ ডিসেম্বর।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইবিতে ভিন্নধর্মী প্রতিযোগীতা
পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ‘পোস্টার প্রেজেন্টেশন প্রতিযোগিতা–২০২৫’ এর আয়োজন করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রীন ভয়েস বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুর ২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বর প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা পরিবেশ ও টেকসই উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে পোস্টার উপস্থাপন করেন।
গ্রীন ভয়েস ইবি শাখার সভাপতি মো. ইমতিয়াজ আহম্মেদ ইমন সভাপতিত্বে এবং মো. নাসিম আলির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির উপদেষ্টা ড. আব্দুল আল মুহিত ও আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আরমীন খাতুন ।
বিচারক হিসেবে ছিলেন ইবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি তাজমুল জায়িম, ইবি রিপোর্টার্স ইউনিটি’র সভাপতি ফারহানা নওসিন তিতলী, ইবি প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবির হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটারের সভাপতি সাইফুন্নাহার লাকী, জুলাই ৩৬ হল ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি জান্নাতুল তামান্না এবং ইবি শাখা সমন্বয়ক ও গ্রীন ভয়েস-এর সাবেক সভাপতি এস.এম.সুইট।
পোস্টার প্রেজেন্টেশন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা “শিল্পায়ন বনাম পরিবেশ: টেকসই উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ”, “বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ: নিষ্কাশনে আলো সচেতনতা”, “প্লাস্টিক দূষণ: একবার ব্যবহারে শত বছরের ক্ষতি”, “মরুকরণ: মৎস্য ও ভূমি বিজ্ঞানের বৈজ্ঞানিক ভূমিকা”, “কার্বন বাণিজ্য ব্যবস্থা: পরিবেশ রক্ষায় বাজার নীতি”, “অভ্যন্তরীণ নদী অববাহিকা ধ্বংস: বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠাপট”, “জলবায়ু পরিবর্তন ও খাদ্য নিরাপত্তা সংকট” এবং “পারমাণবিক শক্তি: পরিষ্কার জ্বালানি নাকি নতুন হুমকি” ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে উপস্থাপনা করেন।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, এ ধরনের কর্মসূচি তাঁদের চিন্তাকে আরও পরিবেশবান্ধব ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়ক।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মো. মিলন রানা মুরাদ বলেন, আজকের পোস্টার প্রেজেন্টেশনে অংশগ্রহণকারীরা পরিবেশ-সংকট ও তার সমাধান বিষয়ে যে সৃজনশীল দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেছে, তা আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্য আশার আলো। গ্রীন ভয়েস ইবি শাখা সবসময়ই পরিবেশ সংরক্ষণ ও মানবিক উন্নয়নের যেকোনো প্রয়াসে পাশে থাকবে।
শাখা গ্রীন ভয়েস-এর সভাপতি মো. ইমতিয়াজ আহম্মেদ ইমন বলেন, পরিবেশ সচেতনতা মূলক বিভিন্ন বিষয়ের উপরে গ্রুপ ভিত্তিক প্রেজেন্টেশন প্রতিযোগিতাটি মূলত পরিবেশ সচেতন তরুণ সমাজ গড়তে টেকসই উন্নয়ন, পরিবেশ বান্ধব দেশ বিনির্মানে তরুণদের আগ্রহ জাগিয়ে তোলা। সেইসাথে পরিবেশ নিয়ে আগামীর প্রজন্মকে সবুজ বার্তা পৌঁছে দেওয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম



