আন্তর্জাতিক
অবৈধ প্রবাসীদের জন্য নতুন উদ্যোগ সৌদি আরবের
বিভিন্ন দেশের অসংখ্য অবৈধ প্রবাসী বসবাস করেন সৌদি আরবে। অনেকদিন ধরেই তাদের দেশে ফেরা আরও সহজ করতে কাজ করছে দেশটির সরকার। তার ধারাবাহিকতায় এবার ‘সেলফ-ডিপোর্টেশন প্ল্যাটফর্ম’ নামে একটি আধুনিক ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে দেশটির পাসপোর্ট অধিদপ্তর।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত ডিজিটাল গভর্নমেন্ট ফোরাম ২০২৫-এ এই তথ্য জানিয়েছে সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নতুন এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অবৈধ প্রবাসীরা অনলাইনেই আবেদন করে দেশে ফেরার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন। এতে দীর্ঘদিনের জটিল ও সময়সাপেক্ষ প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার অবসান ঘটবে বলে মন্ত্রণালয় জানায়।
কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, সৌদি আরবের বিমানবন্দর ও সীমান্তে যাত্রী চলাচলকে আধুনিক প্রযুক্তির আওতায় আনতে চালু করা হচ্ছে ‘স্মার্ট ট্র্যাক’ নামের একটি বিশেষ ব্যবস্থা।
এ ব্যবস্থায় যাত্রীরা স্মার্ট ক্যামেরার মাধ্যমে পরিচয় যাচাই করে পাসপোর্ট কর্মকর্তার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছাড়াই সীমান্ত অতিক্রম করতে পারবেন।
এ ছাড়া ‘ডিজিটাল টুইনস’ নামে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক একটি নতুন প্রযুক্তিও চালু করা হবে, যা জনসমাগমের গতিবিধি বিশ্লেষণ, অপেক্ষার সময় নির্ধারণ এবং সেবার মান পর্যবেক্ষণ করবে।
সৌদি কর্তৃপক্ষের মতে, ২০৩০ সালের আগে এসব উদ্যোগের মাধ্যমে দেশটির ভ্রমণ ও প্রবাসী সেবা খাতে এক নতুন যুগের সূচনা হবে, যেখানে প্রযুক্তিই হবে সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দু।
আন্তর্জাতিক
‘ভারত যদি বাংলাদেশে নজর দেয়, পাকিস্তানের মিসাইল কিন্তু দূরে নয়’
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের দল মুসলিম লীগ-এনের এক নেতা ভারতকে হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যদি ভারত বাংলাদেশে খারাপ কোনো অভিপ্রায়ে নজর দেয় (হামলা করে) তাহলে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও মিসাইল এর জবাব দেবে।
কামরান সাঈদ উসমানী নামে এ নেতা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক জোট গঠনের আহ্বানও জায়েছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে।
কামরান সাঈদ উসমানী এক ভিডিওতে বলেছেন, “যদি ভারত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে হামলা করে। যদি কেউ খারাপ অভিপ্রায়ে বাংলাদেশের দিকে চোখ দেওয়ার সাহস দেখায়, মনে রাখুন, পাকিস্তানের জনগণ, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী আর আমাদের মিসাইল কিন্তু দূরে নয়।”
উসমানী বলেন, বাংলাদেশে যদি ভারত ‘অখণ্ড ভারত’ চিন্তাভাবনা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে তাহলে পাকিস্তান এটি সহ্য করবে না।
তিনি দাবি করেন, পাকিস্তান এর আগেও ভারতকে কঠিন পরিস্থিতিতে ফেলেছে, যদি প্রয়োজন হয় তাহলে আবারও এমনটি করবে। তিনি বলেন, সীমান্তে বিএসএফ বাংলাদেশকে বিরক্ত করছে এবং বাংলাদেশকে হিন্দু রাষ্ট্র বানানোর চেষ্টা করছে।
তিনি প্রস্তাব দিয়ে বলেন, “আমাদের প্রস্তাব হলো বাংলাদেশের পাকিস্তানের সঙ্গে সামরিক জোট গঠন করা উচিত। বাংলাদেশে পাকিস্তানের আর পাকিস্তানে বাংলাদেশের ঘাঁটি স্থাপন করা উচিত।”
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক জোট হলে এই অঞ্চলের আঞ্চলিক শক্তির গতিপথ ব্যাপকভাবে উল্টে যাবে। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে।
এমকে
আন্তর্জাতিক
গ্রিস উপকূলে নৌকা থেকে ৪৩৭ জন বাংলাদেশি অভিবাসী উদ্ধার
গ্রিসের গাভদোস উপকূলের কাছে মাছ ধরার নৌকা থেকে উদ্ধার ৫৩৯ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মধ্যে ৪৩৭ জনই বাংলাদেশি নাগরিক বলে নিশ্চিত করেছে স্থানীয় লিমেনার্কিও (কোস্ট গার্ড) কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোরে আগিয়া গ্যালিনির দক্ষিণে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করা অভিবাসীদের রেথিম্নোর কিত্রেনোসি ভবনে নেওয়া হয়। সেখানে হেলেনিক কোস্ট গার্ড সদস্যদের তত্ত্বাবধানে তাদের নিবন্ধন ও পরিচয় শনাক্তকরণ করা হয়।
কর্তৃপক্ষ জানায়, উদ্ধার হওয়া অভিবাসীদের মধ্যে রয়েছে চারজন নারী ও দুইজন অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশু। তবে অধিকাংশই পুরুষ।
রেথিম্নোর কোস্ট গার্ড প্রধান কিরিয়াকোস পাত্তাকোস জানান, নিবন্ধন শেষ হয়েছে। এখন মূল লক্ষ্য মানবপাচার চক্র শনাক্ত করা এবং অভিবাসীদের দ্রুত অন্যত্র স্থানান্তর।
রেথিম্নো পৌরসভার উপ-মেয়র (নাগরিক সুরক্ষা) ইয়োরগোস স্কোরদিলিস বলেন, এত বেশি সংখ্যক অভিবাসী সামলানোর মতো অবকাঠামো রেথিম্নোর নেই। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সমন্বয়ের ঘাটতির কারণে স্থানীয় প্রশাসন চাপে পড়ছে।
তিনি জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হয়েছে, সোমবার ৩০০ জন অভিবাসী স্থানান্তরিত হবেন এবং বাকিদের পরের সপ্তাহে অন্য জায়গায় পাঠানো হবে।
উদ্ধার হওয়া অভিবাসীদের মধ্যে বাংলাদেশি ৪৩৭ জন, পাকিস্তানি ৪৬ জন, মিশরীয় ৩৪ জন, ইরিত্রিয়ান ১২ জন (এর মধ্যে ৪ নারী ও ২ শিশু), সোমালিয়ান পাঁচজন, সুদানের দুইজন, ইয়েমেনের দুইজন ও ফিলিস্তিনি একজন।
কর্তৃপক্ষের ধারণা, অভিবাসীরা লিবিয়ার পূর্বাঞ্চল থেকে পাচারকারীদের মাধ্যমে অন্তত ৩৬ ঘণ্টার ঝুঁকিপূর্ণ সমুদ্রযাত্রা করে গ্রিসে এসেছেন।
গ্রিসের বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগ করা হলে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাহিদা রহমান সুমনা জানান, এ বিষয়ে অফিসিয়ালি কোনো তথ্য তাদের জানা নেই।
আন্তর্জাতিক
হাদি হত্যার দ্রুত-স্বচ্ছ তদন্তের আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ড অনুসারে দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত পরিচালনা করারও আহ্বান জানিয়েছেন।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে দেওয়া ব্রিফিংয়ে মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক এ তথ্য জানান।
ব্রিফিংয়ে দুজারিক জানান, ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ড জাতিসংঘের নজরে এসেছে। মহাসচিব এই ঘটনার নিন্দা এবং তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে বলেন, দেশের নির্বাচন সামনে রেখে উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে সকল পক্ষকে সহিংসতা থেকে বিরত থাকতে হবে। তিনি সংশ্লিষ্টদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, উত্তেজনা কমাতে এবং সহিংসতা এড়াতে সকল পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন করতে হবে, যাতে একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন পরিবেশ বজায় থাকে।
এর আগে ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দেয় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন। হত্যাকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে বাংলাদেশ সরকারকে দ্রুত ও নিরপেক্ষ, পুঙ্খানুপুঙ্খ ও স্বচ্ছ তদন্তের আহ্বানও জানায় সংস্থাটি। এক বিবৃতিতে মানবাধিকার কমিশনার ফলকার তুর্ক দেশে শান্তি বজায় রাখা এবং দায়ীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন।
জেনেভা থেকে পাঠানো ওই বিবৃতিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনার বলেন, গত বছর বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের বিশিষ্ট নেতা ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডে তিনি গভীরভাবে মর্মাহত। তিনি উল্লেখ করেন, গত সপ্তাহে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরে চিকিৎসধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন হাদি। বিবৃতিতে তিনি বলেন, প্রতিশোধ কেবল বিভেদকে আরও গভীর করবে এবং সবার অধিকার ক্ষুণ্ন করবে।
আন্তর্জাতিক
রুশ তেল স্থাপনা-টহল জাহাজে ইউক্রেনের হামলা
রাশিয়ার তেল স্থাপনা এবং টহল জাহাজে হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। এক বিবৃতিতে ইউক্রেন জানিয়েছে, তাদের ড্রোন লুকোইলে রাশিয়ার একটি তেল স্থাপনায় আঘাত করেছে। কাস্পিয়ান সাগরে একটি তেল স্থাপনার কাছে একটি সামরিক টহল জাহাজেও হামলা চালানো হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে মস্কোর তেল অবকাঠামোতে আক্রমণ জোরদার করেছে কিয়েভ। খবর রয়টার্সের।
ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফ শুক্রবার এই হামলার কথা জানিয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে কাস্পিয়ান সাগরে রাশিয়ার অবকাঠামো লক্ষ্য করে ধারাবাহিক হামলা চালাচ্ছে ইউক্রেন। তবে ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেছে এমন হামলা এটাই প্রথম।
ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী বলছে, হামলায় ফিলানোভস্কি তেল স্থাপণার একটি ড্রিলিং প্ল্যাটফর্ম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চলতি মাসে এর আগেও কমপক্ষে আরও দুবার এই স্থাপনা ড্রোন হামলার শিকার হয়েছে।
এদিকে ইউক্রেনের ওডেসা বন্দরের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুক্রবার গভীর রাতে ওডেসার আশেপাশের বন্দর অবকাঠামোতে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সাতজন নিহত এবং ১৫ জন আহত হয়েছেন।
টেলিগ্রামে এক পোস্টে দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী ওলেক্সি কুলেবা লিখেছেন, সন্ধ্যায় রাশিয়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ওডেসা অঞ্চলের বন্দর অবকাঠামোতে হামলা চালিয়েছে।
কুলেবা এবং ওডেসার আঞ্চলিক গভর্নর ওলেহ কিপার বলেছেন, প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুসারে সাতজন নিহত এবং ১৫ জন আহত হয়েছেন।
বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত একটি সূত্র জানিয়েছে, পিভডেনিতে ওই হামলা চালানো হয়েছে যা, এই অঞ্চলের তিনটি বন্দরের মধ্যে একটি।
আন্তর্জাতিক
ইউক্রেন এক বছরে ৫ লাখ সেনা হারিয়েছে: রাশিয়া
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে প্রায় ৫ লাখ ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে রাশিয়া। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রে বেলৌসোভ রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক বোর্ড মিটিংয়ে এ দাবি করেন।
যদিও রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্যের বিষয়ে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি ইউক্রেন। রাষ্ট্রায়ত্ত সম্প্রচারমাধ্যম রাশিয়ান টেলিভিশন (আরটি) জানায়, বুধবার অনুষ্ঠিত ওই বোর্ড মিটিংয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বেলৌসোভ বলেন, ২০২৫ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত রুশ বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে প্রায় ৫ লাখ ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছে। এত বিপুল ক্ষতির কারণে নিকট ভবিষ্যতে কিয়েভের পক্ষে বাহিনী পুনর্গঠন করা কঠিন হবে। কারণ এই প্রাণহানির ফলে দেশটির বেসামরিক জনগণ সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক যোগদানে আগ্রহ হারাচ্ছে।
তিনি আরও দাবি করেন, চলতি বছরে ইউক্রেন এক লাখ তিন হাজারের বেশি সমরাস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম হারিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রায় ৫ হাজার ৫০০ ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান, যেগুলো পশ্চিমা দেশগুলোর সহায়তায় ইউক্রেন পেয়েছিল।
উল্লেখ্য, ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করা এবং ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য কিয়েভের তদবিরকে কেন্দ্র করে কয়েক বছর ধরে টানাপোড়েন চলার পর ২০২২ সালে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া।
যুদ্ধ শুরুর অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি একটি ডিক্রি জারি করেন। ওই ডিক্রির মাধ্যমে ইউক্রেনের ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী পুরুষদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
যুদ্ধের শুরুতে বেসামরিকদের জন্য ইউক্রেনের সেনাবাহিনীতে যোগদানের সর্বনিম্ন বয়স ছিল ২৭ বছর। পরে তা কমিয়ে ২৫ বছর করা হয়।
এমকে




