রাজনীতি
দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের অবস্থা খুবই খারাপ : আমীর খসরু
দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বর্তমানে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের অবস্থা খুবই খারাপ। ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। নির্বাচিত সরকারের অভাবে দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে না।
শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজশাহী জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতি বিষয়ক এক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজশাহী বিভাগীয় ব্যবসায়ী ফোরাম এ সভার আয়োজন করে।
আমীর খসরু বলেন, শুধু রাজনৈতিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করলেই হবে না, অর্থনীতিকেও গণতন্ত্রায়ন করা প্রয়োজন। অতীতের অর্থনৈতিক মডেল সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করেনি, বরং একটি গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করেছে। ব্যবসায়ীরা ব্যবসার চেয়ে লুটপাটে বেশি ব্যস্ত ছিল।
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘সবার জন্য অর্থনীতি’ চালু করবে, যাতে উন্নয়নের সুফল সবাই পায়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো বেকারত্ব। বিএনপি সরকার গঠন করলে ১৮ মাসে ১ কোটি বেকারকে চাকরি দেওয়া হবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের মাধ্যমে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, জনগণের মতামত জনগণকেই দিতে হবে। দেশের মানুষ আগামী নির্বাচনে তাদের সিদ্ধান্ত দেবে। যে দলগুলো তাদের দাবিদাওয়া পূরণ করতে চায়, তাদের জনগণের কাছে যেতে হবে। জনগণের মতামত নিতে হবে, জনগণের ম্যান্ডেট নিতে হবে। কারো মতামত জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া চলবে না।
আমীর খসরু বলেন, গণতন্ত্র মানে জনগণের প্রশ্নের সম্মুখীন হওয়া, রাজনৈতিক দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন নয়। অতীতে আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ওপর জুলুম করে নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিল, কিন্তু জনগণ তার জবাব দিয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে মেগা প্রকল্পের নামে জনগণের অর্থ অপচয় করবে না, বরং ছোট ছোট শিল্প করে ঘরে ঘরে আয়ের ব্যবস্থা করবে।
তিনি আরো বলেন, যারা ঐকমত্যে আছে, তারা তাদের মতামত জনগণের ওপর চাপিয়ে দিতে চায়। তাদের এ দায়িত্ব কেউ দেয়নি। এসব করে তারা নির্বাচন বিলম্বিত করতে চাচ্ছে।
এফবিসিসিআইর সাবেক পরিচালক ও রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি মো. লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু।
এতে বক্তব্য দেন রাজশাহী চেম্বারের সিনিয়র সহসভাপতি সুলতান মাহমুদ সুমন, নাটোর চেম্বারের সভাপতি আব্দুল মান্নান, নওগাঁ চেম্বারের সাবেক সভাপতি আলহাজ জাহাঙ্গীর হোসেন, জয়পুরহাট চেম্বারের সাবেক সভাপতি আমিনুল বারি, হিলি বন্দর আমদানি-রপ্তানি গ্রুপের সভাপতি ফেরদৌস হক ও সোনামসজিদ স্থলবন্দর গ্রুপের সভাপতি আলহাজ একরামুল হক।
রাজনীতি
বিএনপি বলে আমরা জামায়াত, আবার জামায়াত বলে বিএনপি : হাসনাত আব্দুল্লাহ
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘বিএনপি বলে আমরা জামায়াত আবার জামায়াত বলে আমরা বিএনপির, তার মানে আমরা ঠিক পথেই আছি। একসময় ডানপন্থীরা আমাদের বামপন্থী বলত, আবার বামপন্থীরা বলত আমরা ডানপন্থী। এর মানে আমরা মধ্যপন্থায় আছি। আমরা বিএনপি নই, জামায়াতও নই।’
শনিবার (১ নভেম্বর) বিকেলে ৪টায় পটুয়াখালী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এনসিপির জেলা সমন্বয় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘বিপ্লবের সার্টিফিকেট যদি নিতে হয় চুপ্পুর কাছ থেকে, তাহলে সেটা মানে ছোট হাসিনার কাছ থেকে নেওয়া। আসলে উনারা বড়টার কাছ থেকে নিতে চায়, কিন্তু বলতে পারে না। একজন মুক্তিযোদ্ধাকেও যদি বলেন চুপ্পুর কাছ থেকে সার্টিফিকেট নিতে হবে তাকে রাজি করাতে পারবেন না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের মৌলিক অবস্থান থেকে কখনো সরে যাইনি। জোটে কাকে নেব, তা আমরা ঠিক করব যারা সংস্কার, ইনস্টিটিউশনাল ইনফরমেশন এবং কনস্টিটিউশন রিফর্মেশনের পক্ষে থাকবে, তারাই আমাদের সঙ্গে থাকবে। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও বাংলাদেশের সংস্কারের পক্ষে যারা, আমরা তাদের সঙ্গে নিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ব।’
তিনি বলেন, ‘অনেকে তো জুলাই সনদে সই করছেন।
আগে আমরা বলেছিলাম, আগে দেখাতে হবে তারপর আমরা সই করব কি না, ঠিক করব। তখন আমাদের বিরোধিতা করা হয়েছিল, এখন তারাই আমাদের পথে আসছে। জরিনার কথা বলে সকিনার সিগনেচার দেয়, এভাবে হবে না।’
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির বরিশাল বিভাগীয় সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন, এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা আলম মিতু ও যুগ্ম সদস্যসচিব ফয়সাল মাহমুদ শান্ত। সভার সভাপতিত্ব করেন এনসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব ও পটুয়াখালী জেলা সমন্বয়কারী জহিরুল ইসলাম মুসা।
এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন নেতারা।
রাজনীতি
জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের কোনো সুযোগ নেই: মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের কোনো সুযোগ নেই। শনিবার (০১ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে মুক্তিযোদ্ধা দলের এক আলোচনাসভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, একটি মহল অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে একাত্তরকে ভুলিয়ে দিতে চাইছে। তবে তারা সফল হবে না, কারণ একাত্তরই আমাদের জন্মভূমি। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তারা মুক্তিযুদ্ধকে ‘গোলমাল’ আখ্যা দিয়েছিল, কিন্তু জাতি সেটা ভুলে যায়নি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, অভ্যুত্থানের তিন মাসের মধ্যে যদি নির্বাচন হয়ে যেত, তবে অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার সাহস পেত না। আমাদের ঘোষিত ৩১ দফায় সব সংস্কারের বিষয় স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে। আমরা সংস্কারের পক্ষে অবস্থান করছি। পিআর অনুষ্ঠিত হবে কী হবে না, তা আগামী সংসদ নির্ধারণ করবে। পিআর না হলে নির্বাচন হবে না- এ কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। তবুও সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে বিএনপি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে।
শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ভারতে বসে বিভিন্ন মিডিয়াকে শেখ হাসিনা সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন। তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য ভারত সরকারকে অনুরোধ করা উচিত, কারণ তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
এদিকে শনিবার দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, বিএনপি এখন অর্জুন গাছের ছালের মতো; যার যখন প্রয়োজন, কেটে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, দেশ বর্তমানে বহুরূপীদের খপ্পরে পড়েছে। এখন বিএনপির করণীয় হলো ধৈর্য ধরে সময়ের অপেক্ষা করা।
তৎকালীন সরকারের কাছ থেকেও জামায়াত সুবিধা পেয়েছিল বলে মন্তব্য করেন মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি বলেন, জামায়াতের অনেক শীর্ষ নেতা একসময় জাসদের সঙ্গে যুক্ত ছিল, গলাকাটা পার্টির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। ৫ আগস্টের পর থেকে শিবিরের অনেক সদস্য ছাত্রলীগের ভেতর থেকে বের হয়েছে, আর এখন তারা বলছে- তারা প্রকাশ্যেই ছিল।
তিনি আরও বলেন, জামায়াত এখন রূপ বদলাতে শুরু করেছে। তারা হিন্দু সম্প্রদায়কে নিয়ে সমাবেশ করছে, যাতে বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। কারণ, বিএনপি এখন এমন এক অর্জুন গাছের ছালের মতো; যার যখন প্রয়োজন কেটে নিয়ে যায়। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার দায়ে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার আহ্বানও জানান মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
রাজনীতি
বিদ্যমান নির্বাচনী পদ্ধতিতে দেশ কলঙ্কিত হয়েছে: অধ্যাপক মুজিবুর রহমান
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, বিদ্যমান পদ্ধতিতে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশকে কলঙ্কিত করা হয়েছে। এই পদ্ধতিতেই ২০১৪ সালে ভোটারবিহীন একতরফা নির্বাচন, ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে এবং ২০২৪ সালে আমি-ডামি নির্বাচন হয়েছে। সেই পদ্ধতি বহাল রেখে কোনভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যায় না, জনগণের সরকার গঠিত হতে পারে না।
শনিবার (১ নভেম্বর) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শাহবাগ পশ্চিম থানার উদ্যোগে জাতীয় জাদুঘর গেইটে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহনমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের সর্বোত্তম পদ্ধতি হচ্ছে পিআর পদ্ধতি। পিআর পদ্ধতিতে ভোট হলে কেউ ভোট চুরি করতে পারবে না, কেন্দ্র দখল দিতে যাবে না, মনোনয়ন বাণিজ্য হবে না। ফলে কালো টাকার ছড়াছড়িও বন্ধ হয়ে যাবে। জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে এবং প্রতিটি ভোটের মূল্যায়নের মাধ্যমে জনগণের সরকার গঠিত হবে।
এসময় তিনি আরও বলেন, মানুষের মৌলিক ৫টি অধিকার রাষ্ট্র নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু অতীতের কোনো সরকার মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করেনি। তারা তাদের নিজেদের সুটকেস ভর্তি করার কাজে ব্যস্ত ছিল। জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির সৎ, যোগ্য, আল্লাহভীরু, নৈতিক ও আদর্শিক নেতৃত্ব তৈরি করছে। যার দৃষ্টান্ত ঢাবির শিক্ষার্থীরা সহ পুরো দেশবাসী দেখতেছে। ডাকসুতে ইসলামী ছাত্রশিবির মনোনীত প্যানেল বিজয়ী হওয়ার পর মাত্র ২ মাসে যা করেছে বিগত ৫৪ বছরে তা কেউ ঢাবি শিক্ষার্থীদের জন্য করেনি, করতে পারেনি। জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে একই ভাবে রাষ্ট্রের অভাবনীয় পরিবর্তন ঘটিয়ে দেশকে একটি কল্যাণ ও মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর (ঢাকা-৮ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী) এডভোকেট ড হেলাল উদ্দিন বলেন, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতার রাজনীতি করে না; জামায়াত মানুষের কল্যাণে নিবেদিত সংগঠন। জামায়াতে ইসলামী ৪ দফা কর্মসূচিতে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে। তারমধ্যে অন্যতম একটি সমাজ সংস্কার ও সমাজ সেবা। সামাজিক সেবামূলক যেকোন কাজ জামায়াতে ইসলামী দলমত, ধর্ম বর্ণ, জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশেষে পরিচালনা করে আসছে। জামায়াত ক্ষমতায় গেলে এই ধারা অব্যাহত রেখে প্রতিটি নাগরিকের সমান অধিকার, মর্যাদা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করবে। ‘যারা এখন বলে ক্ষমতায় গিয়ে এই করবে, সেই করবে; তারা বিগত সময়ে যখন ক্ষমতায় ছিল তখন কী করেছে জনগণ তা জানে’।
তিনি বলেন, আওয়ামী অপশাসনের ১৫ বছর তাদের নেতারা বিদেশে নিরাপদে উন্নত জীবনযাপন করেছে। কিন্তু জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মী দেশের মানুষের অধিকার আদায়ে আপোষহীন সংগ্রাম চালিয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর কোনো নেতাকর্মী বিদেশে চলে যায়নি। জীবন দিয়েছে, রক্ত দিয়েছে তারপরও জামায়াতের কোনো নেতা আধিপত্যবাদের কাছে মাথানত করে দেশের মানুষকে রেখে বিদেশে চলে যায়নি। জামায়াত নেতারা জেল-জুলুম, নির্যাতনের শিকার হয়েছে, খুন- গুম, আয়না ঘরের অমানবিক টর্চারের শিকার হতে হয়েছে। এতো জুলুম-নির্যাতনের পরও জামায়াতে ইসলামী একদিনের জন্যও কার্যক্রম বন্ধ রাখেনি, রাখবে না। কোনো ষড়যন্ত্র জামায়াতে ইসলামীর অগ্রযাত্রা বন্ধ করতে পারেনি, পারবে না। জামায়াতে ইসলামীর সবচেয়ে বড় শক্তি জনগণের আস্থা ও ভালোবাসা।
ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি বন্ধ করতে একটি দল গোপন ষড়যন্ত্র করছে। তারা প্রথমে গণভোটের পক্ষে সমর্থনই দেয়নি। পরবর্তীতে জনগণের চাপে পড়ে গণভোটের পক্ষে সমর্থন দিলেও গণভোটের সময় নিয়ে নানারকম টালবাহানা করছে। গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি হয়ে গেলে ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে না পারার ভয়ে তারা কোনভাবেই গণভোট মেনে নিতে পারছে না, চাচ্ছে না। তাদের মনে রাখতে হবে, জুলাই আন্দোলনের দুই হাজার শহীদ পরিবার এবং ৫০ হাজারের অধিক আহত জুলাই যোদ্ধা জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া কোনো নির্বাচন মেনে নেবে না। জামায়াতে ইসলামী ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, তবে জনগণ যেভাবে নির্বাচন চায় জামায়াতে ইসলামীও সেভাবে নির্বাচন চায়। অবশ্যই নভেম্বরের মধ্যে গণভোট এবং ফেব্রুয়ারিতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে হবে।
শাহবাগ পশ্চিম থানা নায়েবে আমীর ডা. মেসবাহ উদ্দিন সায়েমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ডা. মো. আনোয়ারুল হক, ডা. হাফিজুর রহমান প্রমুখ।
শাহবাগ পশ্চিম থানা সেক্রেটারি এম. লোকমান হোসেনের পরিচালনায় এবং ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদপ্রার্থী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আলফেসানী’র সার্বিক তত্ত্বাবধানে পরিচালিত মেডিকেল ক্যাম্পে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা ও পরামর্শ প্রদানের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং ঔষধ সরবরাহ করা হয়৷
এদিকে ড. হেলাল উদ্দিন, ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন লালমনিরহাটের কাজিউল ইসলামকে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে ১ লাখ টাকার আর্থিক অনুদানের চেক প্রদান করেন। উল্লেখ্য কাজিউলের ব্রেইন টিউমার অপারেশনের জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন জানতে পেরে ড. হেলাল উদ্দিন তাকে এই সহযোগিতা করেন।
কাফি
রাজনীতি
গণভোট আগে না হলে নির্বাচনের কোনো মূল্য নেই: জামায়াত আমির
জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট না হলে এর কোনো মূল্য নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে ফেরার পথে পূর্ব লন্ডনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
জামায়াতে ইসলামির আমীর বলেন, ক্ষমতায় গেলে দেশ থেকে দুর্নীতি দূর করা হবে। প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা হবে। গুম খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত ২৫ সেনা কর্মকর্তা ভয়ানক মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে বলেও এসময় মন্তব্য করেন ডা. শফিকুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতে ইসলামী ইউরোপের মুখপাত্র ব্যারিস্টার আবু বকর মোল্লা, জামায়াতে ইসলামির প্রতিনিধি ও সেইভ বাংলাদেশ’র চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম, সিলেট মহানগর জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সেক্রেটারি সিরাজুল ইসলাম শাহীন, ব্যারিস্টার মাহবুবুল আলম সালেহীসহ অনেকে।
রাজনীতি
চার ক্যাম্পাসে শিবিরের ভূমিধস জয় রহস্যজনক: নুর
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছেন, ছাত্রদল ও শিবির নানা বাস্তবতায় এতদিন ক্যাম্পাসে যেতে পারতো না, প্রকাশ্যে পরিচয়ও দিতো না। শিবির তো একেবারে নিষিদ্ধ ছিল। তবুও সব বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের জয়জয়কার, এটা আমার কাছে রহস্যজনক।
শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘পলিটিক্স ল্যাব: পাবলিক ডায়ালগ’ শীর্ষক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
নুরুল হক নুর বলেন, ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও জাহাঙ্গীরনগর এই চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের একেবারে ভূমিধস বিজয় হয়েছে। সবাই জানে স্বতন্ত্ররা যারা জিতছে তারাও শিবিরের নেক্সাসের। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষিত তরুণরা কেন তাদের ভোট দিলো?
তিনি আরও বলেন, আমার বিশ্লেষণে শিবিরের এই সাফল্যের পেছনে কাজ করছে তাদের ‘ওয়েলফেয়ার বেইজড পলিটিক্স’ বা কল্যাণভিত্তিক রাজনীতি। তারা ছাত্রদের নানা সুবিধা দেয়। অনেকে বলছেন, কিছু হাসপাতালে শিবির এমন চুক্তি করেছে যেখানে সদস্যদের পরিবার খুব কম খরচে চিকিৎসা নিতে পারে।
গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা বলেন, আমরা যে তরুণদের নিয়ে স্বপ্ন দেখি, যে তরুণদের নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই পরিবর্তনের দিকে। তারা যদি…গ্রামে আমরা দেখি ৫০০ থেকে ১০০০ টাকায় মানুষ ভোট দিয়ে দেয় আরেকজনকে। বাছ-বিচার করে না। সেটা জনসচেতনতার অভাব। যার ফলে অযোগ্য মানুষ সংসদে চলে আসে, নেতৃত্বে চলে আসে; তাহলে উচ্চশিক্ষিত তরুণরা তো তাই করছে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন, আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক পারভেজ করিম আব্বাসী প্রমুখ।




