কর্পোরেট সংবাদ
আমেরিকান অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে এক অনবদ্য সন্ধ্যা
আমেরিকান অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন তাদের বহুল প্রশংসিত ‘ব্রেইন গেইন সিরিজ’-এর সর্বশেষ পর্ব আয়োজন করে। গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) গুলশানে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসির (ইউসিবি) প্রধান কার্যালয়ে এটি আয়োজন করা হয়। ‘সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড এন্টারপ্রাইজেস: এ গ্লোবাল পারস্পেকটিভ’ শিরোনামের এই সেশনে মূল বক্তা ছিলেন ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক ও আমেরিকান অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আজীবন সদস্য আসিফ সালেহ।
বৈঠকটি পরিণত হয় এক প্রাণবন্ত, চিন্তাশীল ও অনুপ্রেরণামূলক সন্ধ্যায়। এতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য, বিশিষ্ট উদ্যোক্তা, উন্নয়নকর্মী ও গণমান্য অতিথিবৃন্দ। সবার আগ্রহের মূল বিষয় ছিল—কীভাবে বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা ও উদ্ভাবন বাংলাদেশের উন্নয়নযাত্রায় বাস্তব পরিবর্তনের অনুঘটক হতে পারে।
মূল বক্তব্যে আসিফ সালেহ তাঁর সমৃদ্ধ কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা থেকে তুলে ধরেন এক অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি—নিউইয়র্ক ও লন্ডনে গোল্ডম্যান স্যাকস-এ ১২ বছরের পেশাগত জীবন থেকে শুরু করে ইউএনডিপি বাংলাদেশ ও ব্র্যাক-এ নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা পর্যন্ত।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য সরকারি, বেসরকারি ও অলাভজনক—এই তিন খাতের যৌথ উদ্যোগ অপরিহার্য। সহযোগিতাই এখন সবচেয়ে বড় শক্তি।’
তিনি ব্যাখ্যা করেন, কীভাবে বৈশ্বিক সামাজিক উদ্যোগের মডেল ও উন্নয়ন কাঠামোকে স্থানীয় বাস্তবতার সঙ্গে মিলিয়ে টেকসই সামাজিক প্রভাব তৈরি করা সম্ভব। তাঁর বক্তব্য তরুণ পেশাজীবীদের অনুপ্রাণিত করে নতুনভাবে ভাবতে—নিজেদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতাকে দেশের উন্নয়নে কীভাবে আরও কার্যকরভাবে কাজে লাগানো যায়।
অনুষ্ঠানের সূচনা করেন আমেরিকান অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি ও ইউসিবি চেয়ারম্যান শরীফ জাহির। তিনি বলেন, আমেরিকান অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন বিশ্বাস করে—বিদেশে অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা দেশের উন্নয়নে বিনিয়োগ করাই প্রকৃত ব্রেইন গেইন।
পুরো সেশনটি সঞ্চালনা করেন অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি নুসরাত আমান। তিনি সুচিন্তিত প্রশ্ন ও উপস্থাপনার মাধ্যমে আলোচনা পর্বকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলেন। তাঁদের কথোপকথনের মধ্য দিয়ে উঠে আসে সামাজিক উদ্যোগের পরিবর্তিত রূপরেখা, উন্নয়ন সহযোগিতার নতুন দিগন্ত, এবং যুক্তরাষ্ট্র-শিক্ষিত পেশাজীবীদের জাতীয় উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত হওয়ার বাস্তব পথনির্দেশ।
২০১১ সালে শুরু হওয়া আমেরিকান অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ‘ব্রেইন গেইন ইনিশিয়েটিভ’-এর মূল লক্ষ্য হলো—বিদেশে শিক্ষিত বাংলাদেশিদের অর্জিত জ্ঞান, দক্ষতা ও বৈশ্বিক অভিজ্ঞতাকে দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে কাজে লাগানো। এই উদ্যোগ আজ প্রমাণ করছে, যেখানে একসময় ‘ব্রেইন ড্রেইন’ ছিল উদ্বেগের কারণ, এখন সেটিই রূপ নিয়েছে ‘ব্রেইন গেইন’-এর আশাবাদী বাস্তবতায়।
আসিফ সালেহ নিজেই এই দর্শনের এক অনন্য উদাহরণ। ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরাম তাঁকে ‘ইয়াং গ্লোবাল লিডার (২০১৩)’ এবং এশিয়া সোসাইটি তাঁকে ‘এশিয়া ২১ ফেলো (২০১২)’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তাঁর যাত্রা প্রমাণ করে—বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা ও দৃষ্টিভঙ্গি দেশের উন্নয়নে কীভাবে পরিবর্তনের শক্তি হয়ে উঠতে পারে।
কর্পোরেট সংবাদ
মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেলেন যমজ বোন
কঠোর পরিশ্রম ও অদম্য ইচ্ছাশক্তির জোরে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়ে যজম দুই বোন মেডিকেল চান্স পেয়েছেন। তাদের মধ্যে ফাবিহা জামান মিহা ৮১.৭৫ নম্বর পেয়ে জাতীয় মেধায় ৮৭৩তম হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে এবং লামিসা জামান লিহা ৭৫ নম্বর পেয়ে জাতীয় মেধায় ৪৬৭৫তম হয়ে নেত্রকোনা মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছেন।
একসঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে তারা চমক সৃষ্টি করেছেন সদ্য প্রকাশিত মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে তাদের এই কৃতিত্বপূর্ণ অর্জনে পরিবার, স্বজন ও এলাকাবাসীর মধ্যে আনন্দের বন্যা বইছে।
মেধাবী এই দুই বোন বর্তমানে বাউন্ডারি রোড ময়মনসিংহে বসবাস করেন। তাদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার ভাটি সাভার গ্রামে। তাদের বাবা ডা. এম, কামরুজ্জামান মানিক, সহযোগী অধ্যাপক, অর্থোপেডিক সার্জারি, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং মা তসলিমা বেগম লাভলী, সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, রসায়ন বিভাগ, নাসিরাবাদ কলেজ, ময়মনসিংহে কর্মরত।
মিহা ও লিহা ময়মনসিংহ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ময়মনসিংহে প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। এসএসসি-২০২৩ পরীক্ষায় মিহা ১২৪৭ নম্বর এবং লিহা ১২৪১ নম্বর, এইচএসসি-২০২৫ পরীক্ষায় মিহা ১১৯২ এবং লিহা ১১৮৫ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। তারা দুই পরীক্ষাতেই মেধাবৃত্তি পেয়েছিলেন।
তাদের বাবা ডা. এম কামরুজ্জামান মানিক জানান, এই সাফল্য শুধু তাদের পরিবারের নয়, পুরো নান্দাইলবাসীর। তাদের এই অর্জন আশপাশের শিক্ষার্থীদের জন্য বড় অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। আমরা আশা করি, তারা ভবিষ্যতে মানবিক চিকিৎসক হয়ে দেশ ও দশের সেবা করবে।
তিনি আরও বলেন, নিজ পেশায় ব্যস্ত থাকতে হয়। মেয়েদের সাফল্যের পেছনে তাদের কঠোর পরিশ্রম ও তাদের শিক্ষক মায়ের দিকনির্দেশনা অনেক কাজে লেগেছে। তাদের শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমিও সার্বিক খোঁজ নিয়েছি।
মিহা ও লিহার মা তসলিমা বেগম লাভলী মা বলেন, মেয়েদের পরিশ্রমের সার্থকতা এসেছে, আল্লাহর শোকরিয়া জ্ঞাপন করি, তারা যেন তাদের মানবিক গুণগুলো আজীবন ধারণ করতে পারে। কারণ ডাক্তারি পেশায় মানবতা খুব প্রয়োজনীয়।
মিহা তার অনুভূতি জানিয়ে বলেন, আলহামদুলিল্লাহ। মানবিক ডাক্তার হয়ে পরিবার, দেশ ও মানুষের সেবা করতে চাই’।
লিহা বলেন, আলহামদুলিল্লাহ। ডাক্তার হয়ে বাবার মতো মানুষের সেবা করতে চাই।
মিহা ও লিহার এই অসাধারণ অর্জনে ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ মোমেনশাহীর অধ্যক্ষ লে. কর্নেল আবু হায়াত মো. রীশাদ মোরশেদ বলেন, মিহা ও লিহা দুজনই একই পরিবারের যমজ বোন হয়েও এই বছর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় মেধাস্থান অর্জন করেছে। এটি আমাদের প্রতিষ্ঠানের জন্য এক অনন্য গৌরবের মুহূর্ত। অধ্যক্ষ হিসেবে আমি গভীর আনন্দ ও গর্ব অনুভব করছি। তাদের এই সাফল্য প্রমাণ করে যে অধ্যবসায়, নিষ্ঠা ও সঠিক দিক নির্দেশনা থাকলে অসাধ্য কিছুই নয়। আমি তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।
কর্পোরেট সংবাদ
আবারও বিকাশের ব্র্যান্ড এনডোর্সার হলেন মেহজাবীন
সফলতার সাথে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে বিকাশের ব্র্যান্ড এনডোর্সার হিসেবে যুক্ত থেকে সাধারণ গ্রাহকদের ডিজিটাল লেনদেনে উৎসাহিত করতে ভূমিকা রেখেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। তরুণ প্রজন্মের মাঝে ডিজিটাল লেনদেনকে সম্প্রসারিত করার এই উদ্যোগে আবারও বিকাশের ব্র্যান্ড এনডোর্সার হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হলেন তিনি।
সম্প্রতি, বিকাশের প্রধান কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানটির চিফ মার্কেটিং অফিসার মীর নওবত আলীর উপস্থিতিতে এই চুক্তি নবায়ন হয়। এসময় বিকাশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিকাশের সাথে এই দীর্ঘ পথচলা এবং পুনরায় যুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে মেহজাবীন বলেন, আমি সব সময়ই এমন ব্র্যান্ডের সাথে কাজ করতে চেয়েছি যারা সাধারণ মানুষের কথা ভাবে এবং তাদের জীবন সহজ করতে কাজ করে। বিকাশের মতো এমন একটি ব্র্যান্ডের সাথে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত। আমি আশা করি, সামনে বিকাশ এমন আরও অনেক কাজ করবে যা মানুষের জীবনকে আরও সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তুলবে।
উল্লেখ্য, আগের মতোই মেহজাবীন যুক্ত থাকবেন বিকাশের বিভিন্ন পণ্য ও সেবাকে জনপ্রিয় করে তোলার উদ্যোগগুলোতে।
কর্পোরেট সংবাদ
এনার্জিপ্যাক পাওয়ারের ৩০তম বার্ষিক সাধারণ সভা
এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসির ৩০ তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর রাওয়া ক্লাবে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার রবিউল আলম। এসময় প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়ুন রশীদ, কোম্পানি সচিব আলাউদ্দিন শিবলি এবং পরিচালনা পর্ষদের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়াহোল্ডার সভায় অংশগ্রহণ করেন।
সভায় শেয়াহোল্ডারগণ গত ৩০ জুন ২০২৫ তারিখে শেষ হওয়া অর্থবছরের জন্য নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণীর অনুমোদন দেন। একই সঙ্গে পরিচালনা পর্ষদ ১০ টাকা মূল্যের প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে।
এজিএমে কোম্পানির টেকসই প্রবৃদ্ধি, সামগ্রিক কর্মদক্ষতা, এবং শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ সংরক্ষণে প্রতি প্রতিষ্ঠানের ধারাবাহিক গুরুত্বের বিষয়টি তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি, পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের অব্যাহত সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে কর্পোরেট সুশাসন ও স্বচ্ছতা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।
এমকে
কর্পোরেট সংবাদ
নগদে মেট্রোরেল কার্ড রিচার্জ এখন ঘরে বসেই
মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জের জন্য এখন কোনো যাত্রীকে লাইনে দাঁড়াতে হবে না বা ভোগান্তি পোহাতে হবে না। এখন মেট্রোরেল যাত্রীরা ঘরে বসে নগদ ওয়ালেটের মাধ্যমে মুহূর্তেই তাদের মেট্রোরেল কার্ড রিচার্জ করতে পারবেন।
ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) ওয়েবসাইটে থাকা লিংকে গিয়ে কার্ড রিচার্জ করা যাবে। বর্তমানে মেট্রোরেলে র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস-এই দুই ধরনের কার্ড ব্যবহৃত হচ্ছে। নগদের মাধ্যমে যাত্রীরা এই দুই ধরনের কার্ড রিচার্জ করতে পারবেন।
মেট্রোরেলে কার্ড রিচার্জ করতে যাত্রীদের প্রথমে র্যাপিড পাস-এর ওয়েবসাইট (www.rapidpass.com.bd) বা অ্যাপে যেতে হবে। র্যাপিড পাস ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করা না থাকলে কার্ড রেজিস্ট্রেশন অপশনে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে অ্যাকাউন্ট নিবন্ধন করতে হবে। এরপর গ্রাহকের কার্ডটির তথ্য দিয়ে কার্ডটি নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে।
নিবন্ধনের পর সাইন ইন করতে হবে। সাইন ইন সম্পন্ন হলে যাত্রীরা তাদের প্রয়োজনীয় কার্ড নির্বাচন করে রিচার্জের অঙ্ক নির্বাচন করবেন। এরপর মোবাইল ব্যাংকিং অফশনে ক্লিক করে নগদ অপশনটি নির্বাচন করতে হবে। পরবর্তীতে আবারো রিচার্জের জন্য নগদ গ্রাহকেরা নগদ ওয়ালেট নম্বরটি সেভ করে রাখতে পারবেন। ফলে বারবার আর নম্বর দিতে হবে না। অপশন নির্বাচনের পর নগদ নম্বর প্রদান করতে হবে এবং মেসেজে পাওয়া ওটিপি প্রদান করে ব্যক্তিগত পাসওয়ার্ড প্রদান করলে কার্ড রিচার্জ সম্পন্ন হবে।
অনলাইন রিচার্জের পর স্টেশনে থাকা অ্যাড ভ্যালু মেশিন (এভিএম)-এ কার্ডটি ট্যাপ করে রিচার্জকৃত ব্যালেন্স যুক্ত করতে হবে। রিচার্জ সফল হলে নিবন্ধিত মোবাইল নম্বরে একটি এসএমএস চলে যাবে। একটি কার্ডে একবারে ১০০ টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত রিচার্জ করা যাবে।
এমকে
কর্পোরেট সংবাদ
বিকাশ অ্যাপে সিটি ব্যাংকের ৫ হাজার কোটি টাকার ডিজিটাল লোন বিতরণ
বিকাশ অ্যাপ থেকে ১ কোটি ২৭ লাখ বারেরও বেশি সিটি ব্যাংক-এর জামানতবিহীন ডিজিটাল লোন নিলেন গ্রাহকরা। চালু হওয়ার মাত্র তিন বছরেই ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি ডিজিটাল লোন বিতরণের মধ্য দিয়ে অর্জিত হলো এই মাইলফলক। এখন পর্যন্ত দেশের ৬৪টি জেলা থেকেই ১৯ লাখেরও বেশি গ্রাহক এই লোন সুবিধা গ্রহণ করেছেন, যাদের ২৫ শতাংশই নারী।
লোন সুবিধা গ্রহণকারীদের অধিকাংশই একাধিক বার নিয়েছেন এই সেবা। সাধারণ গ্রাহকদের পাশাপাশি প্রথাগত ব্যাংকিংয়ের বাইরে থাকা বা সীমিত ব্যাংকিংয় পাওয়া গ্রাহকের জন্য বিকাশ অ্যাপ থেকে লোন পাবার সুবিধা দেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে টেকসই করে আর্থিক সেবাপ্রাপ্তির সুযোগকে বিস্তৃত করছে। গ্রাহকরা কোন ধরনের কাগজপত্রের ঝামেলা ছাড়াই যেকোনো সময় মাত্র কয়েক ট্যাপে তাৎক্ষণিক ৫০০ টাকা থেকে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত জামানতবিহীন এই লোন নিতে পারছেন। গ্রাহকের লেনদেনের তথ্য বিশ্লেষণ ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্ধারণ করা হচ্ছে কোন গ্রাহক কত টাকার লোন পাবেন সিটি ব্যাংক থেকে।
উল্লেখ্য, এই লোন তারা খরচ করছেন চিকিৎসা, শিক্ষা, ব্যবসার মূলধন বাড়ানো, নতুন উদ্যোগ শুরু করা, ভ্রমণসহ নানা জরুরি প্রয়োজন মেটাতে।
বিকাশ অ্যাপ থেকে সিটি ব্যাংকের ডিজিটাল লোন নেয়ার সময় প্রয়োজন হয় না কোনো নথিপত্রের। লোন নেয়ার পর নির্ধারিত তারিখে ব্যালেন্স থাকা সাপেক্ষে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কিস্তির টাকা জমা হয়ে যায়। এই লোনের উপর ইন্টারেস্ট, প্রসেসিং ফিসহ বিভিন্ন তথ্য লোন নেয়ার সময় অ্যাপ থেকেই দেখে নিতে পারেন গ্রাহক। আবার নির্ধারিত সময়ের আগে লোন পরিশোধ করতে চাইলে শুধু যে কয়দিনের জন্য লোন নিয়েছেন সেই কয়দিনের জন্যই ইন্টারেস্ট দিতে হয়। লোনের কিস্তি পরিশোধের তারিখ অ্যাপ নোটিফিকেশন ও এসএমএস-এর মাধ্যমে মনে করিয়ে দেয়া হয় গ্রাহকদের।
পাশাপাশি, জরুরি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনাকাটা আরও সহজ করতে ‘পে-লেটার’ নামের সেবাও চালু করেছে বিকাশ ও সিটি ব্যাংক। পর্যাপ্ত ব্যালেন্স না থাকলেও প্রয়োজনীয় কেনাকাটায় গ্রাহকরা ‘পে-লেটার’ সেবা ব্যবহার করে বিকাশ অ্যাপ থেকে সিটি ব্যাংকের ডিজিটাল লোনের লিমিট দিয়ে সরাসরি মূল্য পরিশোধ করতে পারছেন। পে-লেটার-এর মাধ্যমে নেয়া লোন ৭ দিনের মধ্যে পরিশোধ করলে দিতে হয় না কোনো ইন্টারেস্ট, আবার সহজ মাসিক কিস্তিতেও পরিশোধ করা যায় লোনটি।




