কর্পোরেট সংবাদ
আমেরিকান অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে এক অনবদ্য সন্ধ্যা
আমেরিকান অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন তাদের বহুল প্রশংসিত ‘ব্রেইন গেইন সিরিজ’-এর সর্বশেষ পর্ব আয়োজন করে। গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) গুলশানে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসির (ইউসিবি) প্রধান কার্যালয়ে এটি আয়োজন করা হয়। ‘সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড এন্টারপ্রাইজেস: এ গ্লোবাল পারস্পেকটিভ’ শিরোনামের এই সেশনে মূল বক্তা ছিলেন ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক ও আমেরিকান অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আজীবন সদস্য আসিফ সালেহ।
বৈঠকটি পরিণত হয় এক প্রাণবন্ত, চিন্তাশীল ও অনুপ্রেরণামূলক সন্ধ্যায়। এতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য, বিশিষ্ট উদ্যোক্তা, উন্নয়নকর্মী ও গণমান্য অতিথিবৃন্দ। সবার আগ্রহের মূল বিষয় ছিল—কীভাবে বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা ও উদ্ভাবন বাংলাদেশের উন্নয়নযাত্রায় বাস্তব পরিবর্তনের অনুঘটক হতে পারে।
মূল বক্তব্যে আসিফ সালেহ তাঁর সমৃদ্ধ কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা থেকে তুলে ধরেন এক অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি—নিউইয়র্ক ও লন্ডনে গোল্ডম্যান স্যাকস-এ ১২ বছরের পেশাগত জীবন থেকে শুরু করে ইউএনডিপি বাংলাদেশ ও ব্র্যাক-এ নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা পর্যন্ত।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য সরকারি, বেসরকারি ও অলাভজনক—এই তিন খাতের যৌথ উদ্যোগ অপরিহার্য। সহযোগিতাই এখন সবচেয়ে বড় শক্তি।’
তিনি ব্যাখ্যা করেন, কীভাবে বৈশ্বিক সামাজিক উদ্যোগের মডেল ও উন্নয়ন কাঠামোকে স্থানীয় বাস্তবতার সঙ্গে মিলিয়ে টেকসই সামাজিক প্রভাব তৈরি করা সম্ভব। তাঁর বক্তব্য তরুণ পেশাজীবীদের অনুপ্রাণিত করে নতুনভাবে ভাবতে—নিজেদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতাকে দেশের উন্নয়নে কীভাবে আরও কার্যকরভাবে কাজে লাগানো যায়।
অনুষ্ঠানের সূচনা করেন আমেরিকান অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি ও ইউসিবি চেয়ারম্যান শরীফ জাহির। তিনি বলেন, আমেরিকান অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন বিশ্বাস করে—বিদেশে অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা দেশের উন্নয়নে বিনিয়োগ করাই প্রকৃত ব্রেইন গেইন।
পুরো সেশনটি সঞ্চালনা করেন অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি নুসরাত আমান। তিনি সুচিন্তিত প্রশ্ন ও উপস্থাপনার মাধ্যমে আলোচনা পর্বকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলেন। তাঁদের কথোপকথনের মধ্য দিয়ে উঠে আসে সামাজিক উদ্যোগের পরিবর্তিত রূপরেখা, উন্নয়ন সহযোগিতার নতুন দিগন্ত, এবং যুক্তরাষ্ট্র-শিক্ষিত পেশাজীবীদের জাতীয় উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত হওয়ার বাস্তব পথনির্দেশ।
২০১১ সালে শুরু হওয়া আমেরিকান অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ‘ব্রেইন গেইন ইনিশিয়েটিভ’-এর মূল লক্ষ্য হলো—বিদেশে শিক্ষিত বাংলাদেশিদের অর্জিত জ্ঞান, দক্ষতা ও বৈশ্বিক অভিজ্ঞতাকে দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে কাজে লাগানো। এই উদ্যোগ আজ প্রমাণ করছে, যেখানে একসময় ‘ব্রেইন ড্রেইন’ ছিল উদ্বেগের কারণ, এখন সেটিই রূপ নিয়েছে ‘ব্রেইন গেইন’-এর আশাবাদী বাস্তবতায়।
আসিফ সালেহ নিজেই এই দর্শনের এক অনন্য উদাহরণ। ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরাম তাঁকে ‘ইয়াং গ্লোবাল লিডার (২০১৩)’ এবং এশিয়া সোসাইটি তাঁকে ‘এশিয়া ২১ ফেলো (২০১২)’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তাঁর যাত্রা প্রমাণ করে—বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা ও দৃষ্টিভঙ্গি দেশের উন্নয়নে কীভাবে পরিবর্তনের শক্তি হয়ে উঠতে পারে।
কর্পোরেট সংবাদ
সিডিবিএলের এমডি ও সিইও হলেন আব্দুল মোতালেব
সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন মো. আবদুল মোতালেব। মোতালেব আইসিটি পেশাজীবি হিসাবে আর্থিক খাতে ৩৭ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করছেন। তিনি ডিপোজিটরি সেবা, স্টক এক্সচেঞ্জ অপারেশন এবং প্রযুক্তি অবকাঠামোতে বিশেষজ্ঞ।
তিনি সিডিবিএলে ২০১৮ সালে চীফ টেকনোলজি অফিসার (সিটিও) হিসেবে যোগদান করে পরবর্তীতে ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) এবং ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এক্সচেঞ্জ টেকনোলজি, আইডেন্টিটি ম্যানেজমেন্ট, পাসপোর্ট এন্ড ইমিগ্র্যাশন ম্যানেজমেন্ট এ তার বিস্তৃত অভিজ্ঞতা রয়েছে।
মোতালেব বলেন, সিডিবিএলের এমডি হিসাবে নিয়োগপ্রাপ্তিতে আমি সম্মানিত এবং বাংলাদেশের` পুঁজিবাজারে উদ্ভাবন, দক্ষতা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সিডিবিএলের পরিচালনা পর্ষদ আশা প্রকাশ করেছে যে মোতালেব এর এই নিয়োগ সিডিবিএলের চলমান ডিজিটাল রূপান্তর উদ্যোগগুলিকে ত্বরান্বিত করবে এবং নেতৃত্বকে আরও সুদৃঢ় করবে। তার বিস্তৃত অভিজ্ঞতা এবং দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গি সিডিবিএল এর কার্যক্ষমতা, স্বচ্ছতা এবং সেবার উৎকর্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
মোতালেব বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) হতে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। তার নেতৃত্ব সিডিবিএলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। তার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সিডিবিএল প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সকল স্টেকহোল্ডারের জন্য টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণের সব আয়োজন বিকাশ পেমেন্টে
একদিনের ছুটি হোক বা লম্বা অবকাশ, বাঙালির ভ্রমণের নেশা চিরন্তন। প্রকৃতির টানে কিংবা পেশাগত প্রয়োজনে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ ছুটে চলেন দেশের নানা প্রান্তে এবং বিদেশে। আর এই ভ্রমণ আয়োজনের সব ধরনের পেমেন্টে স্বস্তি এনে দিয়েছে বিকাশ। নগদ টাকা বহনের ঝুঁকি, কাউন্টারে লম্বা লাইনে দাঁড়ানোর ঝক্কি বা ভাঙতি টাকার সমস্যা—এই সবকিছুকে পেছনে ফেলে ভ্রমণপিপাসুরা এখন শুধু হাতের মোবাইল আর কাধে ঝোলানো ব্যাগটি নিয়েই বেড়িয়ে পড়ছেন নিশ্চিন্তে। বাস, ট্রেন, লঞ্চ বা বিমানের টিকিট বুকিং, হোটেল রিজার্ভেশন বা খাবার অর্ডার—সবকিছুর পেমেন্টই সম্পন্ন হচ্ছে হাতের মুঠোয় থাকা বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে। বিকাশ পেমেন্টের এই সুবিধা পুরো ভ্রমণকে করেছে আরও ঝামেলাহীন ও নিরাপদ।
টিকিট বুকিং থেকে অগ্রিম পেমেন্ট: হাতের মুঠোয় সব সমাধান
যাত্রার পরিকল্পনা থেকে শুরু করে গন্তব্যে পৌঁছানো পর্যন্ত, পুরো প্রক্রিয়াটি এখন ভ্রমণপ্রেমীদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। বাস, ট্রেন বা বিমানের টিকিট বুকিংয়ে ডিজিটাল পেমেন্টের সুবিধা নিয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সামিউল আলীম বলেন, “অফিস থেকে ছুটি পেলেই আমরা দল বেঁধে ট্রেকিংয়ে যাই। ট্রেনের টিকিট কাটা থেকে শুরু করে দুর্গম এলাকার ট্যুর গাইডের অগ্রিম পেমেন্ট—সবই বিকাশে করি। দলের সবার কাছ থেকে চাঁদা সংগ্রহ করাও অনেক সহজ হয়ে গেছে। সবচেয়ে বড় স্বস্তি হলো, সঙ্গে অতিরিক্ত ক্যাশ টাকা রাখার ঝুঁকিটা আর থাকে না। জরুরি দরকার পড়লে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা কার্ড থেকে সহজেই টাকা ‘অ্যাড মানি’ করে নেওয়া যায়।”
কম খরচে হোটেল-রিসোর্ট বুকিং
কেবল টিকিট নয়, দেশ এবং বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তের হোটেল ও রিসোর্ট বুকিংয়ের ক্ষেত্রেও ডিজিটাল পেমেন্ট এখন ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য এক বিশ্বস্ত মাধ্যম। আগে থেকেই পছন্দের হোটেল বা রিসোর্ট বুকিং দেওয়া একদিকে যেমন ভ্রমণকারীদের অপ্রত্যাশিত ঝামেলা থেকে মুক্ত রাখে, অন্যদিকে বিশেষ ডিসকাউন্ট এবং ক্যাশব্যাক পাওয়ার সুযোগও থাকে, যা ভ্রমণের সামগ্রিক খরচ কমাতে সাহায্য করে।
নিয়ম করে প্রতি মাসে ঘুরতে বের হওয়া দম্পতি সিনথিয়া ও তারেক বলেন, “আমরা বাজেট-ফ্রেন্ডলি ট্যুরের চেষ্টা করি। ট্যুর প্ল্যান করার সময় বিকাশের অ্যাপে বা ওয়েবসাইটে একবার চোখ বুলিয়ে নিই। কোন হোটেল বা ট্যুর অপারেটর কী অফার দিচ্ছে, সেটা দেখে বুকিং করলে খরচ অনেকটা কমে আসে। তাছাড়া, দেশের সব পর্যটন এলাকায় এখন ডিজিটাল পেমেন্টের সুযোগ থাকায় টাকা নিয়ে বেশি ভাবতে হয় না।”
প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ক্যাশলেস লেনদেন, উপকৃত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা
বিকাশ যে কেবল শহর বা অনলাইনে পেমেন্টের সুবিধা দিচ্ছে তা নয়। দুর্গম বা প্রত্যন্ত এলাকার স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও এখন বিকাশ মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করছেন। এর ফলে পর্যটকরা খাবার, স্থানীয় পরিবহন বা ছোটখাটো কেনাকাটার বিলও খুব সহজে পরিশোধ করতে পারছেন।
সিলেটে ভোলাগঞ্জের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র সাদা পাথরের কাছে একটি খাবারের দোকান চালান নুরুল আমিন। তিনি বলেন, “সারা দেশ থেকে পর্যটকরা এখানে আসেন। অনেকেই আসার আগে ফোনে খাবারের অর্ডার দিয়ে বিকাশে বিলের কিছু অংশ অগ্রিম পাঠিয়ে দেন। এখন আমার একটি মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট আছে। এতে আমাদেরও ব্যবসার সুবিধা হয়েছে, আর পর্যটকদেরও ভাঙতি টাকা নিয়ে চিন্তা করতে হয় না।”
নিরাপদ ও সাশ্রয়ী ভ্রমণের পাশাপাশি বিভিন্ন অফার
বিকাশ পেমেন্ট ব্যবস্থা ভ্রমণে এনেছে দ্রুততা, নিরাপত্তা এবং স্বাচ্ছন্দ্য। কিউআর কোড স্ক্যান করে পেমেন্ট, অনলাইন গেটওয়ে ব্যবহার করে টিকিট কাটা বা জরুরি অবস্থায় নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা ‘অ্যাড মানি’ করার মতো সুবিধাগুলো ভ্রমণকে ‘ক্যাশলেস’ এবং ‘ঝামেলামুক্ত’ করে তুলেছে। পাশাপাশি, ভ্রমণপ্রেমীদের বেড়ানোকে আরও আনন্দময় ও সাশ্রয়ী করতে টিকেট ও হোটেল বুকিংয়ে প্রায়সই নানা ধরনের অফার দিয়ে থাকে বিকাশ।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের এমডিকে অপসারণ
আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফরমান আর চৌধুরীকে অপসারণের জন্য সোমবার (২৭ অক্টোবর) অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে তাঁকে অপসারণে অনুমতি চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করেছিল আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক। অনুমতি পাওয়ার পর ব্যাংকের চাকরি হারিয়েছেন তিনি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ বিলুপ্ত করে স্বতন্ত্র পরিচালকদের দায়িত্ব দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। গত এপ্রিলে এমডিকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়। এরপর নিরীক্ষায় তাঁর নানা অনিয়ম উঠে এলে তাঁকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয় ব্যাংকটি।
ব্যাংকটির তথ্য অনুযায়ী, ফরমান আর চৌধুরীকে যেসব কারণে অপসারণ করা হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হলো নিয়োগে গুরুতর অনিয়ম, সিএসআর তহবিলের অপব্যবহার, খেলাপি ঋণ গোপন, নিরাপত্তা সঞ্চিতি না রেখে মুনাফা দেখানো, এজেন্ট ব্যাংকিং সেবায় অনিয়ম, অতিরিক্ত বোনাস ও বেতন বৃদ্ধি। এ ছাড়া বেতনের বাইরে অতিরিক্ত অর্থ নিয়ে তিনি ফেরত দেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান গণমাধ্যমকে বলেন, এমডিকে অপসারণ বিষয়ে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তে সম্মতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
গত বছরের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে ব্যাংকটি বিতর্কিত ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সাইফুল আলমের (এস আলম) নিয়ন্ত্রণে ছিল। ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন এস আলমের ভাই আবদুস সামাদ। সরকার পরিবর্তনের পর ব্যাংকটিতে স্বতন্ত্র পরিচালকদের দায়িত্ব দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনে ব্যাংকটির নানা অনিয়মের চিত্র উঠে এসেছে।
কর্পোরেট সংবাদ
এনআরবিসি ব্যাংকের উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়নে এনআরবিসি ব্যাংক উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজন করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) ফেনীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধায়নে এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে পরিচালিত অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মসূচি “স্কিলস ফর ইন্ডাস্ট্রি কম্পিটিটিভনেস অ্যান্ড ইনোভেশন প্রোগ্রাম (এসআইসিআইপি)” প্রকল্পের অংশ হিসেবে মাসব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে।
প্রশিক্ষণে এনআরবিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. মো. তৌহিদুল আলম খান উদ্যোক্তাদের ব্যাংকিং সেবা, বিনিয়োগ, ব্যবসা পরিচালনা, উদ্যোগ গ্রহণ এবং ব্যবসায়িক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
এসময় বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, এনআরবিসি ব্যাংকের ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট বিভাগ-২ এর প্রধান শেখ আহসানুল হক, কুমিল্লা জোনের প্রধান কাজী মোহাম্মদ জিয়াউল করীমসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এনআরবিসি ব্যাংকের এমডি ও সিইও ড. মো. তৌহিদুল আলম খান বলেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক উদ্যোক্তা উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সেই কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা এনআরবিসি ব্যাংক প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষদেরকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে নানা ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। এনআরবিসি ব্যাংকের সারাদেশে বিস্তৃত বিপুল সংখ্যক শাখা ও উপশাখার মাধ্যমে আমরা স্বল্প সুদে সহজ শর্তে অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্রখাতে অর্থায়ন করছি।
কর্পোরেট সংবাদ
কার্বন হিসাব প্রকাশের মধ্য দিয়ে ব্যাংকিং খাতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি) প্রথমবারের মতো প্রকাশ করেছে ‘সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট ২০২৪’। এ রিপোর্টের মাধ্যমে ব্যাংকটি আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের কার্বন হিসাব প্রকাশ করেছে। যা দেশের ব্যাংকিং খাতে টেকসই উদ্যোগের এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
রিপোর্টে ইউসিবি তাদের ঋণ ও বিনিয়োগ কার্যক্রম থেকে সৃষ্ট মোট কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ পরিমাপ ও প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি টেকসই ব্যাংকিং অনুশীলনে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
সম্প্রতি ইউসিবির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রিপোর্টটি উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান জনাব শরীফ জহীর। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ এবং ব্যাংকের সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট টিমের কর্মকর্তারা।
রিপোর্টে স্কোপ ৩ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে জিম ফাউন্ডেশনের পিসিএএফ (পিসিএএফ)-ভিত্তিক টেমপ্লেট ব্যবহার করে। পাশাপাশি ব্যাংকের নিজস্ব কার্যক্রম থেকে সৃষ্ট স্কোপ ১ ও ২ (প্রত্যক্ষ ও জ্বালানি-সম্পর্কিত নির্গমন) হিসাবও সীমিত আকারে যুক্ত করা হয়েছে।
ইউসিবি জানিয়েছে, ভবিষ্যতে ব্যাংকটি সবুজ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে অর্থায়ন আরও জোরদার করবে এবং ধীরে ধীরে উচ্চ কার্বন-নির্ভর শিল্পে বিনিয়োগ কমাবে। একই সঙ্গে ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রমে বিদ্যুৎ ও কাগজ ব্যবহারে সাশ্রয়ী পদক্ষেপ গ্রহণ, কার্বন ফুটপ্রিন্ট নিয়মিত পরিমাপ ও প্রকাশের মাধ্যমে ২০৫০ সালের মধ্যে শূন্য কার্বন নিঃসরণে পৌঁছানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
অনুষ্ঠানে ব্যাংকের চেয়ারম্যান জনাব শরীফ জহীর বলেন, “মানবজাতির অস্তিত্বের সবচেয়ে বড় হুমকি হলো বায়ুমণ্ডলে লাগামহীন কার্বন নির্গমন। এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে। ইউসিবির ২০২৪ সালের সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট কেবল একটি দলিল নয়; এটি আমাদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন—যেখানে আর্থিক অগ্রগতি, সামাজিক কল্যাণ ও পরিবেশ সুরক্ষা একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত।”
রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ইউসিবি পরিবেশ, সামাজিক ও গভর্নেন্স (ইএসজি) নীতিমালাকে তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার কেন্দ্রে রেখেছে। ২০২৪ সালে ব্যাংকটি গ্রিন ও সাসটেইনেবল ফাইন্যান্সিং খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জ্বালানি-দক্ষ প্রযুক্তি, টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সবুজ স্থাপনা ও জলবায়ু সহনশীল কৃষি উদ্যোগে অর্থায়নের মাধ্যমে ইউসিবি কৃষক ও জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তায় সরাসরি অবদান রাখছে।
টেকসই ব্যাংকিং মানেই ভালো ব্যাংকিং। ইউসিবির এই টেকসই উদ্যোগ কেবল পরিবেশের জন্য নয়, বরং তাদের গ্রাহক, ঋণগ্রহীতা এবং শেয়ারহোল্ডারদের জন্যও সুফল বয়ে আনবে-গ্রাহকরা আরও স্বচ্ছ ও দায়িত্বশীল ব্যাংকিং সেবা পাবেন। ঋণগ্রহীতারা সবুজ প্রকল্পে অর্থায়নের সুযোগ পাবেন, যা দীর্ঘমেয়াদে খরচ কমাবে। শেয়ারহোল্ডাররা নিশ্চিত হতে পারবেন যে তাদের বিনিয়োগ টেকসই ও কম-ঝুঁকিপূর্ণ খাতে ব্যবহৃত হচ্ছে।
‘সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট ২০২৪’ ইউসিবির আর্থিক স্থিতি, পরিবেশগত দায়িত্ববোধ এবং সামাজিক ন্যায়ের প্রতি দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতির সুস্পষ্ট প্রতিফলন।




