জাতীয়
নির্বাচন সামনে রেখে বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা উপদেষ্টা পরিষদ
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে সার্বিক প্রস্তুতি, সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, অভিযান পরিচালনা এবং সহিংসতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বৈঠকে বসেছে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) সকাল ১১টায় সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক শুরু হয়। আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ১৫তম বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এই বৈঠকের আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে—
১. দেশব্যাপী চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, সংঘবদ্ধ দুষ্কৃতিকারীদের কর্মকাণ্ড রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ।
২. জুলাই হত্যাকাণ্ডের শহীদদের মামলার রেকর্ড, তদন্ত ও অগ্রগতি বিষয়ক আলোচনা, দেশে অস্থিরতা সৃষ্টিকারী উসকানিমূলক সাইবার প্রচারণার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ।
৩. নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণের বিরুদ্ধে আইনগত ও সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
৪. মাদকের অপব্যবহার রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ সম্পর্কিত আলোচনা।
৫. শীর্ষ সন্ত্রাসীদের জামিন পরবর্তী সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধ, নির্মূল ও নিয়ন্ত্রণ এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনসমূহের অপতৎপরতা রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ।
৬. গার্মেন্টস বা শিল্পকারখানার শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ নিশ্চিত করা।
৭. গার্মেন্টস, কারখানা, ওষুধ শিল্পসহ বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির তৎপরতা বিষয়ে আলোচনা।
৮. অস্ত্র জমা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান পরিচালনা সংক্রান্ত আলোচনা।
৯. সীমান্ত ও পার্বত্যাঞ্চল পরিস্থিতি বিষয়ক আলোচনা।
১০. রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইন-শৃঙ্খলাসহ সার্বিক পরিস্থিতি বিষয়ক আলোচনা।
১১. মা ইলিশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত আলোচনা।
বৈঠকে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, শিল্প এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান, খাদ্য ও ভূমি বিষয়ক উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার উপদেষ্ট আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ, ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।
জাতীয়
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৬৫৯
শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত (একদিনে) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নতুন করে আরও ৬৫৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে এ সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নতুন করে কারো মৃত্যু হয়নি।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১২৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০৪ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৭০ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১২৪ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৫৭ জন, খুলনা বিভাগে ৩১ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ৪৭ জন রোগী রয়েছেন।
এদিকে, গত এক দিনে সারা দেশে ৬৫৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৬১ হাজার ৩৯৩ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৬৪ হাজার ২৯৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ২৫৯ জনের।
জাতীয়
বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ড তদন্তে আনা হচ্ছে ৪ দেশের বিশেষজ্ঞ টিম: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে ৪টি দেশের বিশেষজ্ঞ টিম আনা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বিষয়টি জানিয়েছেন।
শনিবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত কার্গো ভিলেজ ও ই-গেট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কোনো ধরনের অব্যবস্থাপনা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে আন্তর্জাতিকভাবে নিরপেক্ষ তদন্ত করা হবে। এজন্য অস্ট্রেলিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য ও তুরস্কের বিশেষজ্ঞদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তারা তদন্ত করে আগুন লাগার কারণ ও দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করবেন।’
তিনি আরও বলেন, বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন একটি দুর্ঘটনা। নিজস্ব ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট দ্রুত আগুন নেভানোর কাজ শুরু করলেও আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লেগেছে।
রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের সুবিধার্থে শিগগিরই বিমানবন্দরের ই-গেট খুলে দেওয়া হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের জন্য পাসপোর্ট ফি কমানোর উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে।’
গত ১৮ অক্টোবর শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বিপুল পরিমাণ পণ্য ও অবকাঠামোর ক্ষতি হয়। ফায়ার সার্ভিস, সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী এবং বিজিবির সদস্যরা টানা সাড়ে সাত ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। বর্তমানে সীমিত আকারে আমদানি পণ্য খালাসের কাজ চলছে।
এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি) জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
জাতীয়
জাতিসংঘকে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে: ড. ইউনূস
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, শান্তি ও বহুপাক্ষিকতার যৌথ আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য জাতিসংঘকে ক্রমাগত বিকশিত হতে হবে এবং সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, ‘যদি জাতিসংঘ আমাদের সবার শান্তি ও বহুপাক্ষিক সহযোগিতার আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে চায়, তবে তাকে অবশ্যই পরিবর্তিত বিশ্ব বাস্তবতার সঙ্গে অভিযোজিত হতে হবে। আমরা জাতিসংঘ সংস্কারের পক্ষে— যাতে এটি আরও গতিশীল, সমন্বিত এবং পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে সবার প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম হয়।’
প্রধান উপদেষ্টা ২৪ অক্টোবর জাতিসংঘ দিবস উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন। এ বছর জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার ৮০তম বার্ষিকী পালন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘এই তাৎপর্যপূর্ণ দিনে আমরা অঙ্গীকার করছি যে, জাতিসংঘ সনদে কল্পিত শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল বিশ্ব গড়ে তুলতে বাংলাদেশ তার দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবে।’
অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রসমূহ, জাতিসংঘ সব অংশীদার এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে ‘জাতিসংঘ দিবস’-এর শুভেচ্ছা জানান।
তিনি বলেন, ‘এ দিনটি হলো ভয় ও অভাবমুক্ত বিশ্ব গড়ে তোলার অঙ্গীকার নতুন করে স্মরণ করার একটি সুযোগ। একই সঙ্গে জাতিসংঘ যে বহুপাক্ষিক সহযোগিতা ও ঐকমত্যের চেতনা বহন করে, তা পুনরুজ্জীবিত করারও সময়।’
গত আট দশকে জাতিসংঘ তার কার্যক্রমের পরিধি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছে এবং বিশ্বজুড়ে সম্পৃক্ততা আরও গভীর করেছে বলে মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা, মানবাধিকার সুরক্ষা এবং টেকসই উন্নয়ন ও মানবকল্যাণে এক অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে।’
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সদস্যপদ পাওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ একটি সক্রিয়, দায়িত্বশীল ও অবদানশীল সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
তিনি বলেন, ‘শান্তির সংস্কৃতির পতাকা হাতে নিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনগুলোতে অংশ নিয়েছে এবং নীল হেলমেটধারী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম শীর্ষ অবদানকারী দেশ হিসেবে অবস্থান করছে।’
‘আমাদের অনেক সাহসী শান্তিরক্ষী বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করেছেন,’ যোগ করেন অধ্যাপক ইউনুস।
তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন, বাণিজ্য কিংবা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার ক্ষেত্রেই হোক—বাংলাদেশসহ বৈশ্বিক দক্ষিণের দেশগুলো নিয়মভিত্তিক বহুপাক্ষিক ব্যবস্থায় বিকশিত হয়।
‘তবে উদ্বেগের বিষয় হলো, একতরফা সিদ্ধান্ত ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে বৈষম্যমূলক আচরণের ফলে বিশ্বে উত্তেজনা বেড়ে চলেছে,’ তিনি মন্তব্য করেন।
সাম্প্রতিক সংঘাতসমূহ বিশ্বকে গভীর অনিশ্চয়তার মুখে ফেলেছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের স্বীকার করতে হবে যে বহুপক্ষীয় কূটনীতি এখন কঠিন পরীক্ষার মুখে। চরম জাতীয়তাবাদ ও মানবিক কষ্টের প্রতি উদাসীনতা মানবজাতির দীর্ঘ সংগ্রামে অর্জিত অগ্রগতিকে ধ্বংস করছে।’
তিনি বলেন, ‘আজ বিশ্বের মানুষ গাজার এক ভয়াবহ গণহত্যার সরাসরি সম্প্রচার প্রত্যক্ষ করছে।’
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব অঞ্চলেও আমরা রোহিঙ্গাদের অধিকারবঞ্চনা ও নির্যাতনের সাক্ষী। এটি সাংস্কৃতিক পরিচয়ভিত্তিক রাজনীতির ফল। এ বিষয়ে আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নতুন মনোযোগ কামনা করেছি।’
জাতীয়
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় আজ ঢাকার অবস্থান চতুর্থ
বায়ুদূষণে বিশ্বের শহরগুলোর তালিকায় চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে রাজধানী ঢাকা। সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক বায়ুর মান নির্ধারণ সংস্থা আইকিউএয়ারের সূচক অনুযায়ী, শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ৯টায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) ১৭৯ স্কোর নিয়ে ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’পর্যায়ে রয়েছে।
ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উপাদান হলো বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫-এর উপস্থিতি, যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। সকালে ঢাকার বাতাসে এই অতিক্ষুদ্র বস্তুকণার পরিমাণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্ধারিত নিরাপদ মানদণ্ডের চেয়ে প্রায় ১৭ গুণ বেশি রয়েছে বলে জানা গেছে।
ঢাকার অভ্যন্তরে কিছু এলাকায় বাতাসের মান আরও বেশি খারাপ অবস্থায় রয়েছে। সকালে ঢাকার কল্যাণপুর এলাকায় বাতাসের মান ছিল ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’, যার একিউআই স্কোর ছিল ২১২। এছাড়া অন্য যে সব এলাকায় বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে বেচারাম দেউড়ি (১৯৮), দক্ষিণ পল্লবী (১৮৭), ইস্টার্ন হাউজিং (১৭৯), গোড়ান (১৬৪), মাদানি সরণির বেজ এজওয়াটার (১৫৮), গুলশানের গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (১৫৫) ও তেজগাঁওয়ের শান্তা ফোরাম (১৫৫)।
এদিন বিশ্বের শহরগুলোর তালিকায় ঢাকার চেয়েও খারাপ অবস্থানে রয়েছে তিনটি শহর। শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, যা ৩৬৩ একিউআই স্কোর নিয়ে বাতাসের মানকে ‘বিপজ্জনক’ পর্যায়ে নিয়ে গেছে। এর ঠিক পরেই দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দুই শহর দিল্লি ও কলকাতা, যেখানে বাতাসের মান ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে।
আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী বায়ুর মানের এই স্তরগুলো নির্ধারণ করা হয়: স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ‘ভালো’ বলে বিবেচিত হয়; ৫১ থেকে ১০০ হলে ‘মাঝারি বা সহনীয়’; সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর; ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত ‘অস্বাস্থ্যকর’; ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘দুর্যোগপূর্ণ’ বা বিপজ্জনক বলে বিবেচিত হয়।
জাতীয়
ইসরায়েলের পশ্চিম তীর দখল নীতির কঠোর নিন্দা বাংলাদেশের
ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য একটি বিল অনুমোদন দেওয়া হয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট নেসেটে। ইসরায়েলের এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। ইসরায়েলি পার্লামেন্টে গৃহীত সেই খসড়া আইনের কঠোর নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশও।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এই নিন্দা জানায় বাংলাদেশ। বিবৃতিতে অধিকৃত পশ্চিম তীরের ওপর ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ চাপিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে তেল আবিবের প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানানো হয়।
বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েল অবৈধ বসতি সম্প্রসারণের মাধ্যমে দখলদারিত্ব অব্যাহত রাখছে, যা আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ ও নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব ২৩৩৪ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
বাংলাদেশ পুনর্ব্যক্ত করেছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশের ওপর ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই। ঢাকা আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের পরামর্শমূলক অভিমতকে স্বাগত জানিয়েছে। এই অভিমত ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে দায়িত্বগুলোকে পুনর্ব্যক্ত করেছে।
বিবৃতিতে বাংলাদেশ ফিলিস্তিনি জনগণের অবিচ্ছেদ্য অধিকার, আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং ১৯৬৭ সালের সীমানার ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে।




