কর্পোরেট সংবাদ
এনআরবিসি ব্যাংকের উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়নে এনআরবিসি ব্যাংক উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজন করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) ফেনীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধায়নে এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে পরিচালিত অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মসূচি “স্কিলস ফর ইন্ডাস্ট্রি কম্পিটিটিভনেস অ্যান্ড ইনোভেশন প্রোগ্রাম (এসআইসিআইপি)” প্রকল্পের অংশ হিসেবে মাসব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে।
প্রশিক্ষণে এনআরবিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. মো. তৌহিদুল আলম খান উদ্যোক্তাদের ব্যাংকিং সেবা, বিনিয়োগ, ব্যবসা পরিচালনা, উদ্যোগ গ্রহণ এবং ব্যবসায়িক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
এসময় বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, এনআরবিসি ব্যাংকের ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট বিভাগ-২ এর প্রধান শেখ আহসানুল হক, কুমিল্লা জোনের প্রধান কাজী মোহাম্মদ জিয়াউল করীমসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এনআরবিসি ব্যাংকের এমডি ও সিইও ড. মো. তৌহিদুল আলম খান বলেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক উদ্যোক্তা উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সেই কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা এনআরবিসি ব্যাংক প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষদেরকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে নানা ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। এনআরবিসি ব্যাংকের সারাদেশে বিস্তৃত বিপুল সংখ্যক শাখা ও উপশাখার মাধ্যমে আমরা স্বল্প সুদে সহজ শর্তে অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্রখাতে অর্থায়ন করছি।
কর্পোরেট সংবাদ
কার্বন হিসাব প্রকাশের মধ্য দিয়ে ব্যাংকিং খাতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি) প্রথমবারের মতো প্রকাশ করেছে ‘সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট ২০২৪’। এ রিপোর্টের মাধ্যমে ব্যাংকটি আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের কার্বন হিসাব প্রকাশ করেছে। যা দেশের ব্যাংকিং খাতে টেকসই উদ্যোগের এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
রিপোর্টে ইউসিবি তাদের ঋণ ও বিনিয়োগ কার্যক্রম থেকে সৃষ্ট মোট কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ পরিমাপ ও প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি টেকসই ব্যাংকিং অনুশীলনে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
সম্প্রতি ইউসিবির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রিপোর্টটি উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান জনাব শরীফ জহীর। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ এবং ব্যাংকের সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট টিমের কর্মকর্তারা।
রিপোর্টে স্কোপ ৩ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে জিম ফাউন্ডেশনের পিসিএএফ (পিসিএএফ)-ভিত্তিক টেমপ্লেট ব্যবহার করে। পাশাপাশি ব্যাংকের নিজস্ব কার্যক্রম থেকে সৃষ্ট স্কোপ ১ ও ২ (প্রত্যক্ষ ও জ্বালানি-সম্পর্কিত নির্গমন) হিসাবও সীমিত আকারে যুক্ত করা হয়েছে।
ইউসিবি জানিয়েছে, ভবিষ্যতে ব্যাংকটি সবুজ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে অর্থায়ন আরও জোরদার করবে এবং ধীরে ধীরে উচ্চ কার্বন-নির্ভর শিল্পে বিনিয়োগ কমাবে। একই সঙ্গে ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রমে বিদ্যুৎ ও কাগজ ব্যবহারে সাশ্রয়ী পদক্ষেপ গ্রহণ, কার্বন ফুটপ্রিন্ট নিয়মিত পরিমাপ ও প্রকাশের মাধ্যমে ২০৫০ সালের মধ্যে শূন্য কার্বন নিঃসরণে পৌঁছানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
অনুষ্ঠানে ব্যাংকের চেয়ারম্যান জনাব শরীফ জহীর বলেন, “মানবজাতির অস্তিত্বের সবচেয়ে বড় হুমকি হলো বায়ুমণ্ডলে লাগামহীন কার্বন নির্গমন। এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে। ইউসিবির ২০২৪ সালের সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট কেবল একটি দলিল নয়; এটি আমাদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন—যেখানে আর্থিক অগ্রগতি, সামাজিক কল্যাণ ও পরিবেশ সুরক্ষা একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত।”
রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ইউসিবি পরিবেশ, সামাজিক ও গভর্নেন্স (ইএসজি) নীতিমালাকে তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার কেন্দ্রে রেখেছে। ২০২৪ সালে ব্যাংকটি গ্রিন ও সাসটেইনেবল ফাইন্যান্সিং খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জ্বালানি-দক্ষ প্রযুক্তি, টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সবুজ স্থাপনা ও জলবায়ু সহনশীল কৃষি উদ্যোগে অর্থায়নের মাধ্যমে ইউসিবি কৃষক ও জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তায় সরাসরি অবদান রাখছে।
টেকসই ব্যাংকিং মানেই ভালো ব্যাংকিং। ইউসিবির এই টেকসই উদ্যোগ কেবল পরিবেশের জন্য নয়, বরং তাদের গ্রাহক, ঋণগ্রহীতা এবং শেয়ারহোল্ডারদের জন্যও সুফল বয়ে আনবে-গ্রাহকরা আরও স্বচ্ছ ও দায়িত্বশীল ব্যাংকিং সেবা পাবেন। ঋণগ্রহীতারা সবুজ প্রকল্পে অর্থায়নের সুযোগ পাবেন, যা দীর্ঘমেয়াদে খরচ কমাবে। শেয়ারহোল্ডাররা নিশ্চিত হতে পারবেন যে তাদের বিনিয়োগ টেকসই ও কম-ঝুঁকিপূর্ণ খাতে ব্যবহৃত হচ্ছে।
‘সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট ২০২৪’ ইউসিবির আর্থিক স্থিতি, পরিবেশগত দায়িত্ববোধ এবং সামাজিক ন্যায়ের প্রতি দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতির সুস্পষ্ট প্রতিফলন।
কর্পোরেট সংবাদ
ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিকে এমপ্লয়ি ব্যাংকিং সেবা দেবে ব্র্যাক ব্যাংক
বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির কর্মকর্তাদের কাস্টমাইজড এমপ্লয়ি ব্যাংকিং সেবা দিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির সাথে চুক্তি করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
এই চুক্তির আওতায় ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির কর্মকর্তারা ব্র্যাক ব্যাংকের আকর্ষণীয়, ঝামেলাহীন ও সুবিধাজনক ব্যাংকিং সেবা উপভোগ করবেন, যেখানে রয়েছে স্যালারি অ্যাকাউন্ট, মাল্টি-কারেন্সি ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ঋণসুবিধা, ডিপিএস, ফিক্সড ডিপোজিটসহ ব্র্যাক ব্যাংক এমপ্লয়ি ব্যাংকিং প্রপোজিশনের আরও অনেক সুযোগ-সুবিধা।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও তারেক রেফাত উল্লাহ খান এবং ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন।
এ সময় ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক শামস রহমান, ট্রেজারার এয়ার কমডর (অব.) ইশফাক ইলাহী চৌধুরী, ডিরেক্টর অব ফাইন্যান্স তোহিদুল ইসলাম এফসিএ, রেজিস্ট্রার মাশফিকুর রহমান এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকটির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব রিটেইল ব্যাংকিং মো. মাহীয়ুল ইসলাম, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব ব্রাঞ্চ ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক শেখ মোহাম্মদ আশফাক, হেড অব এমপ্লয়ি ব্যাংকিং একেএম শাহাদুল ইসলাম, হেড অব প্রিমিয়াম ব্যাংকিং সৈয়দ মাহিন জুবাইদ, মতিঝিল ব্রাঞ্চের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার সৈয়দা মাহজাবিন, হেড অব এমপ্লয়ি ব্যাংকিং প্রপোজিশন অ্যান্ড সিনিয়র রিলেশনশিপ ম্যানেজার জেবুন নাহার ও অ্যন্যান্য কর্মকর্তারা।
এই উদ্যোগটি উদ্ভাবনী ও সুবিধাজনক আর্থিক সেবার মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ক্ষমতায়ন করার ব্যাপারে ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যক্ত করা প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। ব্যাংকটি আধুনিক ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে গ্রাহকদের দৈনন্দিন ব্যাংকিং অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ ও কার্যকর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংক ও মাস্টারকার্ডের উদ্যোগে চবিতে চালু হলো ক্যাশলেস ক্যাম্পাস
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি ও মাস্টারকার্ড যৌথভাবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণাঙ্গ ক্যাশলেস ক্যাম্পাস উদ্বোধন করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’ উদ্যোগের অংশ হিসেবে চালু হওয়া এই অগ্রযাত্রার মাধ্যমে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও দর্শনার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সর্বত্র ক্যাশলেস লেনদেন করতে পারবেন। এর ফলে নগদ অর্থের ওপর নির্ভরশীলতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে এবং স্মার্ট আর্থিক সেবার প্রসার ত্বরান্বিত হবে। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পেমেন্ট গ্রহণের জন্য বাংলা কিউআর যুক্ত করা হয়েছে। ফলে ক্যাফেটেরিয়া, বইয়ের দোকান,প্রশাসনিক অফিস ও ট্রেন স্টেশন- সব জায়গাতেই ডিজিটাল লেনদেন করা সম্ভব হবে।
এছাড়া, শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি একটি এক্সক্লুসিভ ডেবিট কার্ড চালু করা হয়েছে, যা তাদের দৈনন্দিন আর্থিক কার্যক্রম আরও সহজ ও নিরাপদভাবে সম্পন্ন করতে সহায়তা করবে। ইসলামী ব্যাংক ও মাস্টারকার্ডের যৌথ ব্রান্ডেড এই কার্ড শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে সরবরাহ করা হবে।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্টের পরিচালক রাফেজা আক্তার কান্তার সভাপতিত্বে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. মকবুল হোসেন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আলতাফ হুসাইন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, বাংলদেশ ব্যাংকের পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে গভর্নর মহোদয়ের স্বাগত বক্তব্য সংবলিত ভিডিও প্রদর্শন এবং “ক্যাশলেস বাংলাদেশ” উদ্যোগ সম্পর্কিত একটি উপস্থাপনা পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্টের যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন। অনুষ্ঠানে মাস্টারকার্ডের রিটেইল অ্যান্ড কমার্সের প্রধান জুবায়ের হোসেনসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী ও কর্মকর্তাবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দসহ ইসলামী ব্যাংক ও মাস্টারকার্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
নারায়ণগঞ্জে বিকেএমইএ কার্যালয়ে আইএফআইসি ব্যাংকের এটিএম বুথ উদ্বোধন
আর্থিক লেনদেন আরও সহজ এবং দ্রুততর করতে নারায়ণগঞ্জের চাষারায় অবস্থিত বিকেএমইএ (বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন) প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে এটিএম বুথ স্থাপন করেছে আইএফআইসি ব্যাংক।
বুধবার (২২ অক্টোবর) এই বুথটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মেহমুদ হোসেন ও বিকেএমইএ প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম।
অনুষ্ঠানে আইএফআইসি ব্যাংকের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা; ডিএমডি, সিআইও ও সিআরও মো. মনিতুর রহমান, হেড অব অপারেশনস হেলাল আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ ব্রাঞ্চের চিফ ম্যানেজার আব্দুর রহমান। বিকেএমইএ’র পক্ষে উপস্থিত ছিলেন এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট ফজলে শামীম এহসান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অমল পোদ্দার, ভাইস প্রেসিডেন্ট (ফাইন্যান্স) মো. মোরশেদ সারোয়ার, ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রাশেদ। এছাড়াও আইএফআইসি ব্যাংক ও বিকেএমইএ প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এর মধ্য দিয়ে আইএফআইসি ব্যাংকের সম্মানিত গ্রাহকগণ এটিএম বুথটির মাধ্যমে সহজেই টাকা উত্তোলন, আইএফআইসি বা অন্য ব্যাংকের একাউন্ট ও কার্ডে ফান্ড ট্রান্সফার, ব্যালন্স চেক, মিনি স্টেটমেন্ট, কার্ড এক্টিভ ও পিন পরিবর্তন সহ অন্যান্য এটিএম সংক্রান্ত বিভিন্ন সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। আইএফআইসি ব্যাংক এই ধরনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের মাধ্যমে গ্রাহকদের সুবিধা প্রদান করতে এবং দেশের আর্থিক খাতে ডিজিটাল রূপান্তরের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামি ডিজিটাল ব্যাংক চালু করতে চায় আকিজ রিসোর্স
বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচনের লক্ষ্যে ডিজিটাল ব্যাংক নিয়ে আসার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগ্রুপ আকিজ রিসোর্স লিমিটেড। তারা শরিয়াহভিত্তিক পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ব্যাংক চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাজধানীর আকিজ হাউজে আয়োজিত “আকিজ রিসোর্স ডিজিটাল ইকোসিস্টেম: পরিবর্তনে নেতৃত্বদানকারী” শীর্ষক এক প্রেস মিটে প্রতিষ্ঠানটি এ কথা জানায়।
প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ জসিম উদ্দিন বলেন, “আকিজ রিসোর্স বিশ্বাস করে ব্যাংকিং শুধু লেনদেন নয়, এটি মানুষের আর্থিক ক্ষমতায়ন ও সামাজিক অগ্রগতির হাতিয়ার। ঐতিহ্যের শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আমরা এমন একটি ডিজিটাল ব্যাংক তৈরি করতে চাই, যা প্রযুক্তি, নৈতিকতা ও মানবিকতার সমন্বয়ে পরিচালিত হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মুনাফা ডিজিটাল ব্যাংক হবে বাংলাদেশের প্রথম শরিয়াহ-সম্মত, সম্পূর্ণ সুদমুক্ত ও পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ব্যাংক। এই ব্যাংকের মূল লক্ষ্য নৈতিক, স্বচ্ছ ও দায়বদ্ধ ব্যাংকিং ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা— যেখানে গ্রাহকরা সার্ভিস চার্জ ছাড়াই সব ধরনের ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা পাবেন।
প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা জানান, এই উদ্যোগ বাংলাদেশের ইসলামী ফাইন্যান্স খাতে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। এটি হবে এমন একটি ব্যাংকিং ব্যবস্থা, যেখানে প্রযুক্তি ও শরিয়াহ নীতির সমন্বয়ে তৈরি হবে ন্যায্য, মানবকেন্দ্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থিক অভিজ্ঞতা।
চিফ বিজনেস ডেভেলপমেন্ট অফিসার তৌফিক হাসান বলেন, আমরা এমন এক ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা গড়ে তুলতে চাই, যা সবার জন্য উন্মুক্ত। প্রযুক্তির সহায়তায় দেশের প্রতিটি নাগরিক যেন ব্যাংকিংয়ের আওতায় আসে— এটাই আমাদের লক্ষ্য।
চিফ ডিজিটাল ও ইনোভেশন অফিসার ইঞ্জি. মো. ফিরোজ কবির জানান, আকিজ রিসোর্সের প্রযুক্তি টিম ইতোমধ্যে ভবিষ্যতের ব্যাংকিং অবকাঠামো তৈরি করছে। যেখানে ব্যাংকিং হবে দ্রুত, সহজ ও ব্যবহারবান্ধব। ব্যাংকের দরজায় না গিয়েও গ্রাহক তার সব আর্থিক কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- চিফ পিপল অফিসার মোহাম্মদ আফসার উদ্দিন এবং আই-বিওএস লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী এসকে মো. জায়েদ বিন রশিদ।




