সারাদেশ
সখিপুরে সাজেদা-জাব্বার হাসপাতালের উদ্বোধন
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর শরীয়তপুর জেলার সখিপুর বাজারে আধুনিক চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র সাজেদা-জাব্বার হাসপাতালের উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় আনুষ্ঠানিক এ হাসপাতালের উদ্বোধন করা হয়।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক শাহজাহান মুন্সির উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এই হাসপাতাল উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে সখিপুরে আধুনিক চিকিৎসা সেবার এক নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শান্তির প্রতীক কবুতর ও বেলুন উড়িয়ে এবং ফিতা কেটে হাসপাতালের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এলাকার জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, চিকিৎসক, ব্যবসায়ী ও অসংখ্য স্থানীয় মানুষ।
হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা প্রিয় শাহজাহান মুন্সি বলেন, সখিপুর ও আশপাশের মানুষ যেন উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত না হন, সেই লক্ষ্যেই সাজেদা-জাব্বার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এখানে মানবতার সেবাই হবে মুখ্য বিষয়। আমি চাই- এই হাসপাতাল সবার জন্য উন্মুক্ত থাকুক এবং সখিপুর থেকেই একদিন নার্সিং হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হোক।
তিনি আরও বলেন, ২৫ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সকল রোগীর জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হবে।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. শফিকুর রহমান কিরন। তিনি বলেন, শাহজাহান মুন্সি ভাইয়ের এই উদ্যোগ সখিপুরের মানুষের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। এই হাসপাতাল শুধু চিকিৎসা নয়, মানবতার সেবায়ও অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন বকাউল বলেন, সাজেদা-জাব্বার হাসপাতাল মানসম্মত চিকিৎসার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এখানকার সাধারণ মানুষ এখন স্বল্প খরচে উন্নত চিকিৎসা সেবা পাবেন।
সাবেক এডিশনাল আইজিপি মো. মনির হোসেন বকাউল বলেন, প্রিয় শাহজাহান মুন্সি ভাইয়ের এই মহৎ উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। তাঁর জন্য আন্তরিক দোয়া ও শুভ কামনা রইল।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি বাচ্চু সরকার, সখিপুর বিএনপির সদস্য সচিব মাজহারুল ইসলাম সরদার, থানা যুবদলের সভাপতি মাসুম বালা, যুবনেতা সারোয়ার আহমেদ দিপু, সখিপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মানিক সরদার, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান রাজীব সরদার, সাবেক ছাত্রদল সভাপতি তোফায়েল আহমেদ সরদার, স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক ফাইজুল ইসলাম সরদার, ছাত্রদলের সভাপতি নিহাদ মাহমুদ সরদারসহ স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাজেদা-জাব্বার হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান মুন্সি, পরিচালক জায়ান মুন্সি, সায়ান মুন্সি, মো. আজাদ মুন্সি, মো. খোকন মুন্সি, মানিক মুন্সি ও নাসির উদ্দিন।
উদ্বোধন শেষে অতিথিবৃন্দ হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখেন এবং এর আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম, পরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও সেবার মান দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
কাফি
সারাদেশ
নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে নামতে প্রস্তুত জেলেরা
ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমের দীর্ঘ ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আবারও ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেলার প্রায় তিন লাখ জেলে। এরইমধ্যে মাছ শিকারের জাল, নৌকা ও ট্রলারসহ বিভিন্ন উপকরণ প্রস্তুত ও মেরামতের কাজ শুরু করেছেন তারা। নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে কাঙিক্ষত পরিমাণ ইলিশ শিকার করে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা জেলেদের।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে ভোলার সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের ভোলার খাল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, জেলেপল্লির জেলেরা নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে ইলিশ শিকারের প্রস্তুতি নিচ্ছেন পুরোদমে। মাছ শিকারের জাল, নৌকা, ট্রলারসহ বিভিন্ন উপকরণ প্রস্তুত করছেন তারা। কেউ নতুন করে জাল কিনে প্রস্তুত করছেন মাছ শিকারের জন্য। আবার কেউ কেউ নতুন ট্রলার ও নৌকা বানিয়ে শেষ সময়ের মতো প্রস্তুত করে নিচ্ছেন। কেউবা পুরোনো জাল, নৌকা ও ট্রলার মেরামত করছেন। নিষেধাজ্ঞা শেষে ২৫ অক্টোবর দিনগত রাত ১২টার পরে নদীতে নামবেন জেলেরা।
ওই এলাকার জেলে সুমন মাঝি ও সোহেল মাঝি জানান, সরকারি ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে তারা নদীতে ইলিশ শিকারের জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। ধারদেনা ও ঋণ নিয়ে নতুন করে জাল কেনা ও পুরোনো ট্রলার মেরামতের কাজ করেছেন। নদীতে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ ইলিশ পেয়ে এসব ধারদেনা পরিশোধ করবেন।
একই এলাকার জেলে খলিল মাঝি ও জাকির মাঝি বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময় সরকারিভাবে ২৫ কেজি করে চাল পেয়েছি। আর সব কিছুই কিনতে হয়েছে। আয়-রোজগার বন্ধ থাকায় ধারদেনা করে সংসার চালাতে হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার সময় এনজিওর কিস্তিও পরিশোধ করতে পারিনি। আমরা নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি।’
আবুল কালাম মাঝি ও নুর উদ্দিন মাঝি জানান, গতবছর নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে গিয়ে ২-৩ দিন ভালোই ইলিশ পেয়েছেন। তবে এরপর নদীতে ইলিশের দেখা মিলেনি। যে কারণে গতবছর অনেক কষ্টে কাটাতে হয়েছে। ওই বছরের ধারদেনা এখনো পরিশোধ করতে পারেননি। এবারও কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ ইলিশ না পেলে কষ্টের শেষ থাকবে না।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন বলেন, নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা নদীতে আশানুরূপ ইলিশ শিকার করতে পারবেন বলে আশা করি। বিগত দিনের দারদেনা পরিশোধ করে তারা ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হবেন।
তিনি আরও জানান, নিষেধাজ্ঞার ২২ দিনে ভোলার সাত উপজেলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী থেকে দুই শতাধিক জেলেকে আটক এবং বিপুল পরিমাণ ইলিশ ও জাল জব্দ করা হয়েছে। এরমধ্যে একশোর বেশি জেলেকে জেল-জরিমানা করা হয়েছে।
ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম হওয়ায় ৪ থেকে ২৫ অক্টোবর দিনগত রাত ১২টা পর্যন্ত ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। ভোলার সাত উপজেলায় বেসরকারি হিসেবে প্রায় তিন লাখ জেলে রয়েছে। এরমধ্যে সরকারিভাবে নিবন্ধত জেলের সংখ্যা প্রায় এক লাখ ৭০ হাজার।
সারাদেশ
ভেদরগঞ্জে বর্ণিল আয়োজনে কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
বর্ণিল আয়োজনে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জের সখিপুরে উদযাপিত হয়েছে দেশের বহুল জনপ্রিয় দৈনিক কালবেলা পত্রিকার তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে সখিপুর প্রেস ক্লাব কার্যালয়ে কেক কাটা ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি এক প্রাণবন্ত মিলনমেলায় পরিণত হয়।
সময় কণ্ঠস্বরের উপজেলা প্রতিনিধি এম. এম. জসিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় এবং কালবেলার উপজেলা প্রতিনিধি শাহীন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে. এম. রাফসান রাব্বি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাজী শরীয়তউল্লাহ কলেজের অধ্যক্ষ অশোক চন্দ্র ঠিকাদার, সখিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফয়েজ আহম্মেদ, শহীদ সিরাজ সিকদার কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোতালেব মাঝি, সখিপুর থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান রাজিব সরদার, সখিপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ফাইজুল ইসলাম সরদার, সখিপুর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি তোফায়েল আহমেদ সরদার, মোহনা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি মাহবুব আলম, কালবেলা-এর জেলা প্রতিনিধি খান মোহাম্মদ সিহান, নিউজ২৪-এর জেলা প্রতিনিধি বিধান মজুমদার অনি, সখিপুর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমীন জুয়েল, দৈনিক সমকালের উপজেলা প্রতিনিধি আশিকুর রহমান হৃদয়, অর্থসংবাদ ভেদরগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি তাহের আলী, গোসাইরহাট উপজেলা প্রতিনিধি সাহেদ আলম, দৈনিক মাতৃভূমির ক্রাইম রিপোর্টার আতিকুর রহমান, কাইউম খান ও আল আমিনসহ স্থানীয় সাংবাদিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা, তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন এবং সমাজের বাস্তব চিত্র তুলে ধরার মাধ্যমে দৈনিক কালবেলা অল্প সময়েই পাঠকের আস্থা অর্জন করেছে। গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও সামাজিক সমস্যার চিত্র সংবাদে তুলে ধরায় পত্রিকাটির অবদান প্রশংসনীয়।
বক্তারা আরও বলেন, সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার চর্চা বজায় রেখে কালবেলা ভবিষ্যতে দেশের গণমাধ্যম জগতে আরও অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা স্থানীয় সাংবাদিকদের সম্মানজনক পরিবেশে কাজের সুযোগ সৃষ্টি ও সংবাদ সংগ্রহে প্রশাসনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন সখিপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও চ্যানেল এস টেলিভিশনের উপজেলা প্রতিনিধি মো. সাইফুল ইসলাম ঢালী। তিনি বলেন, কালবেলা শুধু একটি পত্রিকা নয়-এটি সত্যের পক্ষে কলমধারীদের একটি পরিবার। এর সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরে আমরা গর্বিত।
অর্থসংবাদ/কাফি/তাহের
সারাদেশ
হাজী মো. এরশাদ হোসেন মোল্লার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল
শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানার উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মোল্লা কান্দিতে মরহুম হাজী মো. এরশাদ হোসেন মোল্লার ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) সকাল ১১টায় মরহুমের নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় এ মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন তাঁর সন্তান মো. গোলাম মোস্তফা মোল্লা।
মিলাদ ও দোয়ার মাহফিলে দোয়া পরিচালনা করেন পীরে কামেল আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মো. আবু ছালেহ (পীর সাহেব), উত্তর তারাবুনিয়া দরবার শরীফ।
এ সময় বক্তারা মরহুম হাজী মো. এরশাদ হোসেন মোল্লার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বলেন, তিনি জীবদ্দশায় এলাকার উন্নয়ন ও সমাজকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি ছিলেন একজন সৎ, নির্লোভ ও পরোপকারী ব্যক্তি, যার স্মৃতি আজও এলাকার মানুষের হৃদয়ে অমলিন।
অনুষ্ঠানে এলাকার অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসল্লি, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, এবং স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মিলাদ ও দোয়া মাহফিল শেষে মরহুমের কবর জিয়ারত করা হয়। পরবর্তীতে প্রায় এক হাজার মানুষের জন্য তবারক ও খাবারের আয়োজন করা হয়। শেষে মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয় এবং তাঁর পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়।
সারাদেশ
চোখের আলো নেই, তবু কর্মের আলোয় আলোকিত সেলিম গায়েন
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুরের উত্তর তারাবুনিয়ার গায়েন কান্দির সেলিম গায়েনের বয়স প্রায় ৬০ বছর। ছোটবেলায় বসন্ত রোগে আক্রান্ত হয়ে দৃষ্টি হারান তিনি। তবে চোখের আলো হারালেও, জীবন থেকে হারাননি আত্মবিশ্বাস আর কর্মের আলো।
প্রায় ৪৫ বছর ধরে গ্রামে দোকানদারি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন সেলিম গায়েন। গ্রামের মানুষ তাকে চেনে ‘অন্ধ সেলিম’ নামে, কিন্তু তার কর্মদক্ষতা ও সততায় আজও সবাই মুগ্ধ। অন্ধ হয়েও সৌরবিদ্যুতের লাইট ও ফ্যান মেরামত করতে পারেন তিনি। শুধু নিজের দোকানের জন্য নয়, এলাকার মসজিদেও বিনা পারিশ্রমিকে লাইট ও ফ্যান ঠিক করে দেন। পাশাপাশি নিয়মিত আজান দেন স্থানীয় মসজিদে।
তার ৯ সন্তানের মধ্যে ৪ছেলে প্রবাসে আছেন। তবে কারও কাছে সাহায্যের হাত না বাড়িয়ে নিজেই হালাল উপার্জনের পথে জীবন গড়েছেন তিনি। কিছুদিন আগে তার দোকান থেকে প্রায় ২০ হাজার টাকা চুরি হয়। জীবনের শেষ বয়সে এমন ঘটনায় মন ভেঙে গেলেও তিনি হাল ছাড়েননি। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নিজের দোকানেই কাটান সময়।
চোখের আলো না থাকলেও, কর্ম আর সততার আলোয় আলোকিত হয়ে উঠেছেন সেলিম গায়েনের জীবন। অন্ধ হয়েও তিনি যেন সমাজের এক জ্বলজ্বলে দৃষ্টান্ত যে প্রমাণ করে, ইচ্ছা থাকলে অসম্ভব বলে কিছু নেই।
এলাকার মানুষ তাকে একজন ভালো ও সৎ মানুষ হিসেবে শ্রদ্ধা করেন। সমাজের সবাই তাকে সম্মান ও ভালোবাসেন। অনেকেই বলেন, সেলিম গায়েনের মতো মানুষ আজকাল বিরল। তার সততা, ধৈর্য ও পরিশ্রম দেখে গ্রামের তরুণরাও অনুপ্রাণিত হয়। স্থানীয়রা তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় নিয়মিত দোয়া করেন, যেন তিনি আরও দীর্ঘদিন সমাজের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকেন।
অর্থসংবাদ/কাফি/তাহের
সারাদেশ
শরীয়তপুরের বালা পরিবারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানার চরসেনসাস ও আরশীনগর এলাকার ঐতিহ্যবাহী বালা পরিবার এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছে। স্থানীয় শুভাকাঙ্ক্ষী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উদ্যোগে এই সভাটি শনিবার (১৮ অক্টোবর) সকাল ১০টায় চরসেনসাস ইউনিয়নের তারাবুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি শফিকুর রহমান কিরণ। এতে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট সমাজসেবক হাজ্বী আবুল কাশেম বালা।
দলমত নির্বিশেষে বালা পরিবারের সদস্যরা এই মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। প্রধান অতিথি আলহাজ্ব শফিকুর রহমান কিরণ বলেন, বালা পরিবার এই অঞ্চলের ঐতিহ্য ও ঐক্যের প্রতীক। তিনি বলেন, রাজনৈতিক ভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও এলাকার উন্নয়ন ও মানবসেবার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে হাজ্বী আবুল কাশেম বালা বলেন, বালা পরিবারের সুনাম ও ঐতিহ্য ধরে রাখতে হলে পরিবারের সবাইকে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, রাজনীতি ভিন্ন হলেও সবার উদ্দেশ্য মানুষের কল্যাণ হওয়া উচিত।
বালা পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সখিপুর থানা বিএনপির সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম বালা, থানা যুবদলের সভাপতি মাসুম বালা, সাবেক ছাত্রনেতা মাইদুল ইউসুফ জিসান বালা, আক্তারুজ্জামান বালা এবং আব্দুল কাদের বালাসহ অনেকে সভায় উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষক, ব্যবসায়ী ও তরুণ সমাজের প্রতিনিধিরা এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।




