পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজারে সচেতনতা বাড়াতে জেলা-উপজেলায় বিএসইসির উদ্যোগ
দেশব্যাপী বিনিয়োগ শিক্ষা ও পুঁজিবাজার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে উদ্যোগ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এর অংশ হিসেবে বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রমে সরাসরি সম্পৃক্ত হচ্ছে মাঠ প্রশাসন অর্থাৎ দেশের সব জেলা ও উপজেলা প্রশাসন।
সোমবার (২০ অক্টোবর) বিএসইসির মুখপত্র ও পরিচালক আবুল কালামের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে বিএসইসি’র অনুরোধে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গত ৮ অক্টোবর একটি স্মারক জারি করে সব জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে (ইউএনও) বিনিয়োগ শিক্ষা বিস্তারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএসইসি মনে করছে, সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সহযোগিতা দেশের অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি, নিরাপদ বিনিয়োগ চর্চা ও মূলধন বাজারের টেকসই উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
মাঠ প্রশাসনের জন্য বিএসইসির দিকনির্দেশনাগুলো নিচে তুলে ধরা হলো-
ওয়েবসাইটে লিংক সংযুক্তি: প্রতিটি জেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইটে বিএসইসির আর্থিক সাক্ষরতা বিষয়ক ওয়েবসাইট www.finlitbd.com এবং ইউটিউব চ্যানেলের (https://www.youtube.com/@financialliteracyprogramba6178) লিংক যুক্ত করা;
সেমিনার ও কর্মশালায় সহযোগিতা: জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিএসইসি আয়োজিত বিনিয়োগ সচেতনতা সেমিনার, কর্মশালা ও প্রশিক্ষণ আয়োজন এবং সমন্বয়ে প্রশাসন কর্তৃক সহায়তা প্রদান।
মাসিক সভায় আলোচ্যসূচি: জেলা মাসিক সমন্বয় সভায় বিনিয়োগ শিক্ষা ও নিরাপদ বিনিয়োগ সচেতনতা সৃষ্টির বিষয়টি নিয়মিত আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত করা।
প্রচার-প্রকাশনা উদ্যোগ: জেলা তথ্য অফিসের সহায়তায় বিনিয়োগ শিক্ষা বিষয়ক প্রচার ও প্রকাশনা কার্যক্রম পরিচালনা করা;
নির্দিষ্ট দায়িত্ব প্রদান: জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার বা সিনিয়র সহকারী কমিশনার (ব্যবসা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ শাখা)-কে শেয়ারবাজার বিনিয়োগসংক্রান্ত তথ্য ও সহায়তা প্রদানের দায়িত্ব দেওয়া;
সরকারের বিভিন্ন বিভাগের এই সম্মিলিত উদ্যোগ দেশের সাধারণ জনগণের মাঝে বিনিয়োগ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করবে। ফলে নিরাপদ ও জ্ঞানভিত্তিক বিনিয়োগ সংস্কৃতি গড়ে উঠবে, যা দেশের শেয়ারবাজারকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা করছে বিএসইসি।
কাফি
পুঁজিবাজার
বিআইসিএম’র রিসার্চ সেমিনার
বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের (বিআইসিএম) রিসার্চ সেমিনার-৫০ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (৭ ডিসেম্বর) ইন্সটিটিউটের মাল্টিপারপাস হলে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে “ইন্ট্র্যাডে ভোলাটিলিটি অ্যান্ড ট্রেডিং একটিভিটি ডাইনামিক্স ইন বাংলাদেশ ইকুইটি মার্কেট”- শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইন্সটিটিউটের প্রভাষক ফাইমা আক্তার।
ইন্সটিটিউটের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট ওয়াজিদ হাসান শাহ’র সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনায় আয়োজিত উক্ত সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেমের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হুসাইন আহমেদ এনামুল হুদা ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসির হেড অব প্রোডাক্ট অ্যান্ড মার্কেট ডেভেলপমেন্ট সাইয়িদ মাহমুদ জুবায়ের। আলোচকগণ অনলাইনে যুক্ত থেকে রিসার্চ সেমিনারে উপস্থাপনার বিভিন্ন দিক নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খু আলোচনা করেন।
ইন্সটিটিউটের অভ্যন্তরীণ গবেষকদের গবেষণার উৎকর্ষতা সাধনের লক্ষ্যে বিআইসিএম নিয়মিতভাবে রিসার্চ সেমিনার আয়োজন করে থাকে। এরই অংশ হিসেবে রিসার্চ সেমিনার-৫০ আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠিত রিসার্চ সেমিনারে ইন্সটিটিউটের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) নাজমুছ সালেহীনসহ সকল অনুষদ সদস্য ও কর্মকর্তাবৃন্দসহ আমন্ত্রিত অন্যান্য অতিথিগণ উপস্থিত ছিলেন।
এমকে
পুঁজিবাজার
বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলসের ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসির ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন করা হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানিটির ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করেছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড। কোম্পানিটির দীর্ঘমেয়াদী ‘এএএ’ এবং স্বল্প মেয়াদী ‘এসটি-১’ রেটিং হয়েছে।
কোম্পানিটির গত ৩০ জুন, ২০২৫ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও রেটিং ঘোষণা তারিখ পর্যন্ত সময়ের আনুসাঙ্গিক তথ্যের ভিত্তিতে এ রেটিং নির্ণয় করা হয়েছে।
এসএম
পুঁজিবাজার
জিপিএইচ ইস্পাতের পর্ষদ সভা তারিখ নির্ধারণ
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেড পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ১০ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৪টায় কোম্পানিটির পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আলোচিত সভায় ৩০ সেপ্টেম্বর,২০২৫ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ সভা এ প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।
এসএম
পুঁজিবাজার
লুব-রেফের পর্ষদ সভা তারিখ নির্ধারণ
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেড পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ১০ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৩টায় কোম্পানিটির পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আলোচিত সভায় ৩০ সেপ্টেম্বর,২০২৫ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ সভা এ প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।
এসএম
পুঁজিবাজার
বেক্সিমকোর সুকুকের মেয়াদ আরও ৬ বছর বাড়াতে সুপারিশ
বেক্সিমকো গ্রিন সুকুক বন্ডের মেয়াদ ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিনিয়োগকারীদের মূলধন ফেরত দিতে না পারায় বন্ডটির মেয়াদ ২০৩২ সাল পর্যন্ত বাড়ানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশে গঠিত ওয়ার্কিং কমিটি।
ট্রাস্টি ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) নেতৃত্বাধীন ২১ সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সুপারিশটি করা হয়েছে।
কমিটি জানিয়েছে, বেক্সিমকো কর্তৃপক্ষ তাদেরকে জানিয়েছে যে গ্রুপের বর্তমান আর্থিক অবস্থার কারণে ম্যাচুরিটিতে সব টাকা পরিশোধ সম্ভব নয়। ফলে ৩,০০০ কোটি টাকার এই সুকুকের মেয়াদ ছয় বছর বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
সুকুক বন্ড ইস্যুর শর্ত অনুযায়ী পাঁচ বছরে পর্যায়ক্রমে বন্ডটির ২০ শতাংশ করে বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ারে রূপান্তর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তিন বছরে রূপান্তর হয়েছে মাত্র ৬.৩৬ শতাংশ বা ১৯০ কোটি টাকার ইউনিট। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, অর্ধ-বার্ষিক ৯ শতাংশ মুনাফা বিনিয়োগকারীদের কাছে বেশি আকর্ষণীয় হওয়ায় রূপান্তরের আগ্রহ কমে গেছে।
অন্যদিকে ফ্লোর প্রাইসে বেক্সিমকোর শেয়ারের দাম ১১০.১০ টাকায় স্থির থাকায় কনভার্সন বাস্তবসম্মত ছিল না। বর্তমানে সেকেন্ডারি মার্কেটে সুকুক ৫৮.৫০ টাকায় লেনদেন হচ্ছে, ফলে রূপান্তর বিনিয়োগকারীদের জন্য অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে।
বেক্সিমকোর এক কর্মকর্তা জানান, গ্রুপের বর্তমান পরিস্থিতিতে মেয়াদপূর্তিতে মূলধন দেওয়া সম্ভব নয়। মেয়াদ বাড়ানো হলে তা সম্ভব হবে।
সুকুকের অর্থায়নে তিনটি প্রকল্প—তিস্তা সোলার পার্ক, করতোয়া সোলার পার্ক এবং বেক্সিমকো টেক্সটাইল সম্প্রসারণ—হাতে নেওয়া হয়। তবে এর মধ্যে কেবল তিস্তা প্রকল্প থেকেই আয় হচ্ছে।
২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত তিস্তা সোলার পার্ক ১,৬৯৩.৩১ কোটি টাকা আয় করেছে। এর মধ্যে ১,০৪৪ কোটি টাকা বিনিয়োগকারীদের মুনাফা হিসেবে পরিশোধ করা হয়েছে এবং ২৪৮.৩৯ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে পরিচালন কাজে। সিঙ্কিং ফান্ডসহ বর্তমানে মোট স্থিতি রয়েছে ৪০১ কোটি টাকা। কিন্তু এই অর্থ এবং আগামী এক বছরের সম্ভাব্য আয় দিয়েও মূলধন ফেরত দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে এসপিভি।
অন্যদিকে ২০২৪ সালের জুলাইয়ের ঘটনাবহুল পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত করতোয়া সোলার পার্ক এখনো বন্ধ। এটি পুনরায় চালু করতে ১৫০ কোটি টাকা প্রয়োজন। টেক্সটাইল ইউনিটও এলসি সংকটে আংশিক বন্ধ আছে। ফলে সুকুক পরিশোধের একমাত্র উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে তিস্তার আয়।
ওয়ার্কিং কমিটি জানিয়েছে, করতোয়া প্রকল্পে ১৫০ কোটি টাকা অতিরিক্ত বিনিয়োগ করা গেলে মেয়াদ ছয় বছর থেকে পাঁচ বছরে নামানো যেতে পারে। এ ছাড়া সুকুকের ভিত্তিহার ৯ শতাংশ অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
কমিটি আরও সুপারিশ করেছে—
তিস্তা প্রকল্পের ৬৫০ একর জমি, করতোয়ার ১৩০ একর জমি এবং বেক্সিমকো টেক্সটাইলের ছয়তলা ভবন এসপিভির আওতায় আনা হোক এবং চূড়ান্ত পেমেন্টের সময় ব্যবহারের জন্য সিঙ্কিং ফান্ডের আকার বাড়ানো হোক। বর্তমানে প্রকল্পের জমি বন্ধক না থাকায় লিজ চুক্তি সংশোধনের সুপারিশও করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনা করে বিএসইসির কাছে পাঠাবে। এরপর কমিশন মেয়াদ বাড়ানো বা টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেবে। বিএসইসি জানিয়েছে, এখনো বেক্সিমকো সুকুকের মেয়াদ বৃদ্ধির কোনো আবেদন তাদের কাছে আসেনি।
বিনিয়োগকারীদের অবস্থান: ১২.০৬ শতাংশ ইউনিটধারী আইএফআইসি সিকিউরিটিজ জানিয়েছে, মেয়াদ বাড়াতে তাদের আপত্তি নেই; তবে মুনাফা হার ২ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে তারা। আইএফআইসি ব্যাংকের মুখপাত্র রফিকুল ইসলাম বলেন, “বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ বিবেচনায় মুনাফার হার বাড়াতে হবে।”
এক নজরে বেক্সিমকো সুকুক (৩ হাজার কোটি টাকা)
প্রথম বেসরকারি শরীয়াহভিত্তিক অ্যাসেট-ব্যাকড কর্পোরেট সুকুক; প্রাইভেট প্লেসমেন্টে সংগ্রহ: ২,৪৩৯ কোটি টাকা; আইপিও থেকে: ৫৫৮ কোটি টাকা
তিস্তা প্রকল্প বরাদ্দ: ১,৮৮৬.৮৩ কোটি → ব্যয়: ২,১৫৫ কোটি টাকা; করতোয়া বরাদ্দ: ৩০৮.৩১ কোটি → ব্যয়: ৩৯ কোটি টাকা; টেক্সটাইল বরাদ্দ: ৮০৫ কোটি → ব্যয়: ৮০৬ কোটি টাকা



