কর্পোরেট সংবাদ
দেশের প্রথম এসএমই ডেবিট কার্ড চালু করলো প্রাইম ব্যাংক
দেশের প্রথম আন্তর্জাতিক রেমিট্যান্স সুবিধাসহ এসএমই ডেবিট কার্ড চালু করেছে প্রাইম ব্যাংক পিএলসি। ফলে এখন থেকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা (এসএমই) সহজে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে আন্তর্জাতিক অনলাইন পেমেন্ট করতে পারবেন। এই প্রাইম ব্যাংক এসএমই ডেবিট কার্ড স্থানীয়ভাবে পিওএস, এটিএম ও অনলাইন লেনদেনের জন্যও ব্যবহার করা যাবে। একক মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলো এই এসএমই ডেবিট কার্ড গ্রহণ করতে পারবে, আর পার্টনারশিপ বা লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে নিবন্ধিত এসএমই প্রতিষ্ঠানগুলো এসএমই প্রিপেইড কার্ড গ্রহণ করতে পারবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক একটি সার্কুলারের আলোকে প্রথমবারের মতো এই কার্ড চালুর উদ্যোগ নিয়েছে প্রাইম ব্যাংক। যার মাধ্যমে এসএমই উদ্যোক্তারা অনলাইনে আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক পেমেন্ট করতে পারবেন। এ উদ্যোগের আওতায় এসএমই ফাউন্ডেশনে নিবন্ধন যাচাই করার মাধ্যমে এসএমই গ্রাহকরা এখন অনলাইনে ব্যবসা-সংক্রান্ত পেমেন্ট করতে পারবেন। বৈধ ব্যবসায়িক ব্যয়ের ক্ষেত্রে এসএমই ডেবিট কার্ডে প্রতিবার সর্বোচ্চ ৬০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত রিফিল করা যাবে, যা বছরে সর্বোচ্চ ৩,০০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত রিফিল করা যাবে।
আজ মঙ্গলবার (০৭ অক্টোবর) রাজধানীর নিকুঞ্জে অবস্থিত প্রাইম টাওয়ারে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড এসপিডি পরিচালক নওশাদ মোস্তফা। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড এসপিডি পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম, যুগ্ম পরিচালক মো. আয়ুব আলী, যুগ্ম পরিচালক এবং মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের পরিচালক সোহেল আলিম।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাইম ব্যাংক পিএলসির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এম. নাজিম এ. চৌধুরী। তিনি বলেন, প্রাইম ব্যাংক সবসময় এসএমই উদ্যোক্তাদের আর্থিকভাবে সক্ষম করে তুলতে উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে কাজ করে আসছে। আন্তর্জাতিক রেমিট্যান্স সুবিধাসহ এই এসএমই ডেবিট কার্ড চালুর মাধ্যমে বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা এখন বৈশ্বিক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আরও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে অংশ নিতে পারবেন। এটি আমাদের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- হেড অব ডিস্ট্রিবিউশনস মামুর আহমেদ; হেড অব এসএমই মোহাম্মদ আমিনুর রহমান এবং প্রাইম ব্যাংক পিএলসির হেড অব কার্ডস জোয়ার্দ্দার তানভীর ফয়সাল।
কর্পোরেট সংবাদ
বীমা সেবা চালু করল ইউসিবি
ব্যাংকের মাধ্যমে গ্রাহকদের সরাসরি বীমা সেবা দিতে ব্যাংকাসুরেন্স সেবা চালু করেছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি)। জীবন বীমা এবং সাধারণ বীমা উভয় ক্ষেত্রেই গ্রাহকরা ইউসিবির যেকোনো শাখা থেকে এই সুবিধা নিতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের পদ্মা হলে এক আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে ব্যাংকাসুরেন্স পণ্যের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স পিএলসির চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান, জীবন বীমা করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মুহিবুজ্জামান, ইউসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ মামদুদুর রশীদ, ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ সেলিম, ইউসিবির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদনান মাসুদসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানে ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স পিএলসির চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বলেন, ইউসিবি, জীবন বীমা ও ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স এক প্ল্যাটফর্মে কাজ শুরু করায় দেশের বীমা সেবায় নতুন দরজা খুলেছে। এখন গ্রাহকরা আগের তুলনায় আরও সুবিধাজনকভাবে বীমা সেবা নিতে পারবেন।
অতিরিক্ত সচিব ও জীবন বীমা করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মুহিবুজ্জামান বলেন, ইউসিবি ব্যাংকাসুরেন্স চালুর জন্য খুব ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়েছে-এটা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। দেশের মানুষ এখন বেশি রোজগার করছে, ফলে ব্যাংকিংয়ের পাশাপাশি বীমা নেওয়ার প্রয়োজনিও বেড়েছে। ব্যাংক ও বীমা কোম্পানি একসাথে কাজ করায় গ্রাহকরা এখন আরও সহজে বীমা সুবিধা পাবেন। এতে মানুষের আস্থা বাড়বে এবং অনেক পরিবার আর্থিক সুরক্ষা পাবে বলেও তিনি আশা করেন।
ইউসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ মামদুদুর রশীদ বলেন, এই বীমা সেবাগুলো মানুষকে ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করতে সাহায্য করবে, পরিবারকে দেবে আর্থিক নিরাপত্তা। সন্তানের পড়াশোনা বা ভ্রমণের খরচ নিশ্চিন্ত করবে। এখন থেকে ইউসিবির যেকোনো শাখায় গিয়ে গ্রাহকরা জীবন বীমা ও সাধারণ বীমা-দুটো সেবাই নিতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে দুজন নির্বাচিত গ্রাহকের হাতে প্রতীকীভাবে প্রথম প্রিমিয়াম রিসিপ্ট (এফপিআর) তুলে দেওয়ার মাধ্যমে বিক্রয় কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করা হয়।
এমকে
কর্পোরেট সংবাদ
এসএমসি এন্টারপ্রাইজের সঙ্গে ব্র্যাক ব্যাংকের চুক্তি
এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডকে অ্যাডভান্সড ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তি করেছে ব্র্যাক ব্যাংক। এর ফলে প্রতিষ্ঠানটির দেশজুড়ে বিস্তৃত রিসিভেবল অপারেশন আরও সহজ, দ্রুত ও স্বচ্ছ হবে।
ব্র্যাক ব্যাংকের অ্যাডভান্সড ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট সল্যুশন প্রতিষ্ঠানটির কালেকশন প্রক্রিয়া আরও সহজ ও ঝামেলাহীন করার পাশাপাশি ডিস্ট্রিবিউটর ভ্যালু চেইনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে।
সম্প্রতি ঢাকায় ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়।
এই চুক্তির আওতায় এসএমসি এন্টারপ্রাইজ ব্র্যাক ব্যাংকের ভার্চুয়াল অ্যাকাউন্ট সিস্টেম ব্যবহার করে ডিস্ট্রিবিউটরদের কাছ থেকে রিয়েল-টাইম পেমেন্ট সংগ্রহ করতে পারবে, যা প্রতিষ্ঠানটির রিসিভেবল ডেটার যথার্থতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি ম্যানুয়াল প্রক্রিয়ার প্রয়োজনীয়তা হ্রাস করবে।
এছাড়াও, এসএমসি এন্টারপ্রাইজ নিজেদের কর্পোরেট গ্রাহকদের কাছ থেকে পেমেন্ট সংগ্রহে ব্র্যাক ব্যাংকের ডিজিটাল ব্যাংকিং প্ল্যাটফর্ম ‘কর্পনেট’ ব্যবহার করবে। কালেকশন ও ডিসবার্সমেন্ট প্রক্রিয়া একক ডিজিটাল ইন্টারফেসে আসার ফলে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রমে দক্ষতা ও নিয়ন্ত্রণ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও তারেক রেফাত উল্লাহ খান, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব হোলসেল ব্যাংকিং মো. শাহীন ইকবাল সিএফএ, হেড অব ট্রানজ্যাকশন ব্যাংকিং এ. কে. এম. ফয়সাল হালিম, হেড অব কমার্শিয়াল ব্যাংকিং এ. টি. এম. জামাল উদ্দিন এবং ট্রানজ্যাকশন ব্যাংকিংয়ের হেড অব লোকাল অ্যান্ড গ্লোবাল কর্পোরেট ইউনিট মুসাব্বির আহমেদ।
এই চুক্তির বিষয়ে তারেক রেফাত উল্লাহ খান বলেন, “ব্র্যাক ব্যাংক দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, শক্তিশালী ফাইন্যান্সিয়াল ইকোসিস্টেমই শক্তিশালী ব্যবসার ভিত্তি। আমাদের ডিজিটাল ট্রানজ্যাকশন ব্যাংকিং সল্যুশনগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যা এসএমসির মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর ফাইন্যান্সিয়াল কার্যক্রমকে করবে আরও সহজ, গতিশীল ও কার্যকর। প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানকে ক্ষমতায়ন করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর সায়েফ উদ্দিন নাসির, চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার আবুল বশির খান, জেনারেল ম্যানেজার চন্দ্র নাথ মণ্ডল এবং ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ তানভীর হোসেন।
এই উদ্যোগটি উদ্ভাবনী ও প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে কর্পোরেট গ্রাহকদের আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও সক্ষমতা উন্নত করার ব্যাপারে ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যক্ত করা প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
এমকে
কর্পোরেট সংবাদ
জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের সঙ্গে আইএফআইসি ব্যাংকের চুক্তি
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি এবং জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ মেডিকেল সার্ভিসেস লিমিটেডের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক একটি বিশেষ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর পুরান পল্টনস্থ আইএফআইসি টাওয়ারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এই চুক্তির আওতায় আইএফআইসি ব্যাংকের গ্রাহক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের সদস্যগণ জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে বিশেষ ছাড়ে উন্নত চিকিৎসা বিষয়ক বিভিন্ন সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
আইএফআইসি ব্যাংকের পক্ষে হেলাল আহমেদ, হেড অব অপারেশন্স এবং জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ হাসপাতালের পক্ষে সরদার এ রাজ্জাক, পরিচালক, ফাইন্যান্স এন্ড এইচআর, নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করেন।
এ সময় অনুষ্ঠানে আইএফআইসি ব্যাংকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন- মো মনিতুর রহমান, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ ইনফরমেশন অফিসার, মো রফিকুল ইসলাম, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ অব ব্রাঞ্চ বিজনেস, কে.এ.আর.এম মোস্তফা কামাল, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ অব এইচআর এন্ড লজিস্টিকস। জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন মুরাদ হোসেন খান, নির্বাহী পরিচালক, শহীদুল আলম রিপন, জেনারেল ম্যানেজার, জনাব মাসুদ খান, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার-সহ উভয় প্রতিষ্ঠানে শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা।
এমকে
কর্পোরেট সংবাদ
কম সুদে ঋণ দেবে ইউসিবি
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ‘ডিজিটাল ক্ষুদ্রঋণ’ পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের একটি চুক্তি সই করেছে। এই চুক্তির মাধ্যমে ইউসিবি বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা ব্যবহার করে কম সুদে ছোট অঙ্কের ঋণ দেবে। পুরো প্রক্রিয়াটি মোবাইল ও ইন্টারনেট–নির্ভর হবে, তাই গ্রাহকরা খুব তাড়াতাড়ি, সহজ আর স্বচ্ছভাবে এই ঋণ নিতে পারবেন। বিশেষ করে যারা আগে ব্যাংকের সেবা পেতেন না, তাদের জন্য এটি নতুন সুযোগ তৈরি করবে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে চুক্তি সই হয়। ইউসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মামদুদুর রশীদ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বিভাগের পরিচালক মো. ইকবাল মহসীন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. মো. হাবিবুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক রুপ রতন পাইনসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কর্মকর্তারা বলেন, এই ডিজিটাল ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থা দেশের আর্থিক সেবা আরও সহজ করবে এবং কম আয়ের মানুষের জীবনযাত্রা উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ গ্রেপ্তার
ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) যৌথ টিম। ১৮৯ কোটি টাকার ঋণ কেলেঙ্কারি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) তার নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তদন্ত কর্মকর্তা উপ-সহকারী পরিচালক মো. শাহজালালের নেতৃত্বে দুদকের একটি টিম আজই তাকে আদালতে হাজির করবেন বলে সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।
ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ ২০২৫ সালের ১৬ জুলাই ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগ করেন। এর আগে তিনি রূপালি ব্যাংকের এমডি ও অগ্রণী ব্যাংকসহ কয়েকটি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর অগ্রণী ব্যাংকের চট্টগ্রামের আছাদগঞ্জ শাখা থেকে নিয়ম ভেঙে ঋণ নেওয়ার মাধ্যমে ১৮৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংকটির সাবেক এমডি সৈয়দ আব্দুল হামিদ, নুরজাহান গ্রুপের পরিচালক ও ওবায়েদ উল্লাহসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
মামলার আসামিরা হলেন- অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ আব্দুল হামিদ, অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড আছাদগঞ্জ শাখার সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার ও মহাব্যবস্থাপক মোস্তাক আহমেদ, সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক মো. আবুল হোসেন তালুকদার, সাবেক মহাব্যবস্থাপক (ঢাকা সার্কেল-২) মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ, সাবেক মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শামস উল ইসলাম, সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক তাজরীনা ফেরদৌসী ও সাবেক মহাব্যবস্থাপক মো. মোফাজ্জল হোসেন।
এছাড়া মেসার্স মিজান ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. মিজানুর রহমান, জাসমীর ভেজিটেবল ওয়েল লিমিটেডের এমডি জহির আহমেদ, ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক টিপু সুলতান ও ফরহাদ মনোয়ারকেও আসামি করা হয়েছে।
দুদক সূত্রে জানা যায়, মেসার্স মিজান ট্রেডার্সের নামে ছোলা ও গম আমদানির জন্য ঋণ মঞ্জুর করা হলেও প্রকৃত সুবিধাভোগী ছিল নুরজাহান গ্রুপ ও তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠান জাসমীর ভেজিটেবল ওয়েল লিমিটেড। বেতনভোগী কর্মকর্তা মিজানুর রহমানকে ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে ঋণ অনুমোদন ও উত্তোলন করে। নুরজাহান গ্রুপের একটি বেনামি প্রতিষ্ঠানের নামে শাখায় হিসাব খোলা থেকে শুরু করে হিসাব পরিচালনার জন্য নুরজাহান গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান জাসমীর ভেজিটেবল অয়েলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির আহমেদকে হিসাব পরিচালনার জন্য দেওয়া হয়। নতুন এই প্রতিষ্ঠানকে বিপুল অঙ্কের ঋণ মঞ্জুরি এবং পরে ঋণ মঞ্জুরিপত্রের শর্তাবলি যথাযথভাবে পরিপালন নিশ্চিত না করে সু-পরিকল্পিতভাবে ব্যাংকের ৫১ কোটি টাকা (বর্তমানে সুদে-আসলে ১৮৯.৮০ কোটি টাকা) আত্মসাৎ করে আসামিরা।
এমকে



