কর্পোরেট সংবাদ
বক্ষব্যাধি ইনস্টিউট ও হাসপাতালে এবি ব্যাংকের কালেকশন বুথ উদ্বোধন

এবি ব্যাংক পিএলসি পূর্ণাঙ্গ আধুনিক ব্যাংকিং সুবিধা নিয়ে জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিউট ও হাসপাতালে একটি কালেকশন বুথ উদ্বোধন করেছে। ব্যাংকের মহাখালী শাখার অধীনে পরিচালিত এই বুথটি হাসপাতালের সকল ফি জমা নেয়াসহ ডাক্তার, নার্স ও স্টাফদের পে-রোল সুবিধাদি প্রদান করবে।
বুথটির উদ্বোধন করেন এবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ মিজানুর রহমান এবং জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিউট ও হাসপাতালের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিউট ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. গোলাম সারওয়ার, চিকিৎসা তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ; আল মেহেদী, এবি ব্যাংকের ব্র্যান্ড কমিউনিকেশন ডিপার্টমেন্টের প্রধান তানিয়া সাত্তার এবং মহাখালী শাখার শাখা ব্যবস্থাপক চৌধুরী এ.এন.এম মোশারফ আলী বেগসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ।

কর্পোরেট সংবাদ
চট্টগ্রামে শিপিং এজেন্টদের নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের কর্মশালা

শিপিং ইন্ডাস্ট্রিতে নিরবচ্ছিন্ন ট্রেড এবং পেমেন্ট সল্যুশনের প্রসারে বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসএএ) সহযোগিতায় চট্টগ্রামে একটি কর্মশালার আয়োজন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
‘সিমলেস ট্রেড অ্যান্ড পেমেন্ট সল্যুশনস: রেগুলেটরি কমপ্লায়েন্স অ্যান্ড সেন্ট্রাল ব্যাংক রিপোর্টিং ফর শিপিং এজেন্টস’ শীর্ষক কর্মশালায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে শিপিং এজেন্টদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরা হয়। এই খাতে টেকসই উন্নতি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আয়োজনে সিনিয়র ব্যাংকাররা অটোমেশন, কার্যকর পেমেন্ট ব্যবস্থা, নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনা পরিপালন এবং রিপোর্টিংয়ে স্বচ্ছতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের হোটেল আগ্রাবাদে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. মকবুল হোসেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রাম অফিসের পরিচালক আরিফুজ্জামান ও অতিরিক্ত পরিচালক মনিরুল হায়দার।
বিএসএএ থেকে উপস্থিত ছিলেন সিকম শিপিংয়ের মালিক আমিরুল হক ও খায়রুল আলম সুজনসহ অ্যাসোসিয়েশনের অন্যান্য পরিচালক ও সদস্যরা। ব্র্যাক ব্যাংক থেকে সেশন পরিচালনা করেন ব্যাংকটির হেড অব রিজিওনাল কর্পোরেট (চট্টগ্রাম) কায়েশ চৌধুরী, হেড অব ট্রানজ্যাকশন ব্যাংকিং এ. কে. এম. ফয়সাল হালিম এবং হেড অব অ্যাকাউন্ট সার্ভিসেস তাহের মৃধা।
একটি দূরদর্শী আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক বিশ্বাস করে, শিপিং ইন্ডাস্ট্রি বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের মেরুদণ্ড এবং জাতীয় অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি। এই খাতের আধুনিকায়নে সহায়তা করতে ব্র্যাক ব্যাংক ক্লায়েন্টদের উদ্ভাবনী আর্থিক ও ডিজিটাল সল্যুশন প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটি তাঁদের দক্ষতা বাড়াতে ও নিয়ন্ত্রক নির্দেশনা পালনে সহায়তার পাশাপাশি বৈশ্বিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা সক্ষমতাও ত্বরান্বিত করবে।
দেশের শিপিং খাতের উন্নয়নে ব্র্যাক ব্যাংকের এ ধরনের উদ্যোগ দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে আরও বেগবান করবে বলে বিশ্বাস করে ব্যাংকটি।
কর্পোরেট সংবাদ
আইএফআইসি ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তার পদোন্নতি প্রদান

পেশাগত কর্মদক্ষতা, নিষ্ঠা ও প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নেওয়ার নিরলস প্রয়াসের স্বীকৃতি হিসেবে অক্টোবর মাসে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির ১৩৬ জন কর্মকর্তাকে বিভিন্ন পদে পদোন্নতি প্রদান করা হয়েছে। এর মাধ্যমে পেশাগত উৎকর্ষ সাধনের ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে চলতি বছরেই আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির বিভিন্ন পদে মোট পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৯১৩ তে উন্নীত হলো।
গত রবিবার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর আইএফআইসি টাওয়ার-এ বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। হাইব্রিড পদ্ধতিতে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা এবং সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট টিমের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ৪০ জন কর্মকর্তার হাতে সরাসরি পদোন্নতির পত্র হস্তান্তর করা হয় এবং ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা ও উপশাখায় কর্মরত আরও ৯৬ জন কর্মকর্তার কাছে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পদোন্নতি পত্র প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা বলেন, আমাদের প্রতিটি সফলতার পেছনে যাঁরা নীরবে, নিষ্ঠায় ও দক্ষতায় অবিচল থেকেছেন- তাঁরা হলেন আইএফআইসি ব্যাংকের প্রকৃত শক্তি। আপনাদের কঠোর পরিশ্রম, দায়িত্বশীলতা ও প্রতিশ্রুতিই আজ আমাদের প্রতিষ্ঠানকে এ জায়গায় নিয়ে এসেছে। আপনাদের প্রতি আমরা গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। পদোন্নতি শুধু একটি স্বীকৃতি নয়—এটি এক ধরণের সম্মান, যা কর্মীদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং একটি অনুপ্রেরণামূলক কর্মপরিবেশ গড়ে তোলে। আমরা বিশ্বাস করি, এই সম্মান আপনাদের আগামী দিনগুলোর পথচলাকে করবে আরও দৃঢ়, আরও উদ্যমী এবং আরও সফল।
কর্পোরেট সংবাদ
এস আলমের অবৈধ নিয়োগ বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

ব্যাংক খাতের অর্থ লুটকারী এস আলম কর্তৃক অবৈধভাবে নিয়োগকৃত অদক্ষ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ইসলামী ব্যাংক থেকে অপসারনের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে ইসলামী ব্যাংক শেয়ারহোল্ডারস ফোরাম।
সোমবার (৬ অক্টোবর) রাজধানীর দিলকুশায় ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারের সামনে মানববন্ধন করেন তারা। একই সাথে সারাদেশে ইসলামী ব্যংকের প্রতিটি শাখার সামনে ইসলামী ব্যাংক গ্রাহক ফোরাম অবিলম্বে ইসলামী ব্যংক থেকে এস আলমের মাধ্যমে অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বরখাস্ত করার দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
সমাবেশে বক্তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে ইসলামী ব্যাংক থেকে অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্তদের অপসারণের আহ্বান জানান। আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে অবৈধ এসব কর্মকর্তাদের অপসারণ করা না হলে শেয়ারহোল্ডার ও গ্রাহকরা বৃহত্তর আন্দোলন শুরু করবে বলে জানিয়েছেন।
প্রধান কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন মো. মোহতাছিম বিল্লাহ, হাফিজুর রহমান, ইমাম হোসাইন, মাহমুদুল হাসান, এটিএম সিরাজুল হক, ড.হারুনুর রশিদ, মো. মুস্তাফিজুর রহমান ও মো. রতন সহ আরো অনেকে।
এসময় ইসলামী ব্যংক গ্রাহক ফোরাম, সচেতন ব্যবসায়ী ফোরাম, ইসলামী ব্যাংক প্রাক্তন ব্যাংকার পরিষদ ও বৈষম্যবিরোধী চাকুরী প্রত্যাশী পরিষদ, সচেতন পেশাজীবী গ্রুপ, ইসলামী ব্যাংক সিবিএ এবং সচেতন ব্যাংকার সমাজ একই দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, এস আলম রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ২০১৭ সালে ইসলামী ব্যংক জবরদখল করে নেয়। এ ব্যাংক থেকে বৈধ মালিকদের ভয় দেখিয়ে বিদায় করে। পাশাপাশি বিদেশী শেয়ারহোল্ডারদেরও নানাবিধ ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বিতাড়ন করে। এ ব্যাংককে নিজের কব্জায় নিয়ে তিনি ইচ্ছামত নিয়োগ দিয়ে মোটা অংকের টাকা আয় করেছেন। তিনি কোন রকম বিজ্ঞাপন ছাড়াই পটিয়া চট্টগ্রামের লোক নিয়োগ দিয়ে এ ব্যাংকের চমৎকার কর্মপরিবেশ এবং উন্নত গ্রাহক সেবা ধ্বংস করে দিয়েছেন।
বক্তারা বলেন, ইসলামী ব্যাংক মানবতা দেখিয়ে এতদিন এসব কর্মকর্তাদের চাকরিতে রেখেছে। এতে ব্যাংকই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রতিবছর এসব অবৈধ কর্মকর্তার পিছনে ১৫০০ কোটি টাকার উপরে ব্যায় হচ্ছে। ইসলামী ব্যাংক তাদের বৈধ করার জন্য যোগ্যতা মূল্যায়ন পরীক্ষার আয়োজন করেছিল। ব্যাংকের সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করে তারা এ বাংকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এটি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বড় ধরণের বিদ্রোহ। এ ধরণে বিদ্রোহীদের ব্যাংকে বহাল রাকার আর কোন বৈধ পথ খোলা নাই। তাদেরকে দ্রুত অপসারণ করার জন্য বক্তারা ব্যাংক কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান। তারা সারা দেশ থেকে মেধা যাচাইয়ের মাধ্যমে সৎ ও যোগ্য প্রার্থী নিয়োগ দেয়ার দাবী জানান।
তারা আরো বলেন, অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্তদের অপসারণকে কোন ভাবেই মানবাধিকার লঙ্ঘন বলা যাবে না। ৬৩ টি জেলার মানুষকে বঞ্চিত করে শুধুমাত্র পটিয়া এবং চট্টগ্রামের লোকদের রাতের আঁধারে বাক্স বসিয়ে চাকরি দিয়ে দেশের সাধারণ মানুষের মানবাধিকার লংঘন করা হয়েছিল। অবৈধ কর্মকর্তাদের অপসারনের মাধ্যমে এ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডার ও গ্রাহকরা যেকোন মূল্যে ইসলামী ব্যাংককে মাফিয়ার হাত থেকে রক্ষা করবে।
জানা গেছে, এস আলম ইসলামী ব্যাংক দখলের পর ২০১৭ থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন পদমর্যাদায় শুধুমাত্র চট্টগ্রামের ৭২২৪ জনকে অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়েছে। এর মধ্যে ৪৫০০ জনের বেশি শুধুমাত্র পটিয়া উপজেলার। সারা দেশের চাকরিপ্রার্থীদের বঞ্চিত করে একটি জেলার প্রার্থীদের গোপনে নিয়োগ দিয়ে ব্যাংকের শৃংখলা চরমভাবে ধ্বংস করা হয়েছে।
এছাড়াও ব্যাংকের পুরোনো কর্মীদের ব্যাংক থেকে বিতাড়ন করে নিজ উপজেলার লোক নিয়োগ দেয়ার কর্মসূচী হাতে নেয় এস আলম। ২০২৪ সালের মার্চ থেকে জুলাই বিপ্লব পর্যন্ত ব্যাংকের দেড় শতাধিক কর্মকর্তা কর্মচারিকে নানাবিধ ভয়ভীতি দেখিয়ে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় এবং বরখাস্ত করে।
নূরুল হক নামক একজন ড্রাইভার বলেন, আমাকে তৎকালীন এইচআরের একজন প্রতিনিধি ডেকে নিয়ে বলেন “আপনি পদত্যাগপত্র জমা দেন। তা না হলে আপনি সার্ভিস বেনিফিট থেকে বঞ্চিত হবেন।” বাধ্য হয়ে আমি পদত্যাগপত্র জমা দেই। এভাবে বারবার চাপ দেয়া হয়। আমার মত খলিল, আব্দুর রহমান, আব্দুল মোমিন ও দেলোয়ারও পদত্যাগপত্র জমা দিতে বাধ্য হয়। তিনি বলেন, এভাবে ড্রাইভার, মেসেঞ্জার ও ক্লিনারসহ কয়েকশ নিম্নপদস্থ এবং আরো বেশ কিছু কর্মকর্তা ও নির্বাহীদের জোরপূর্বক অবসরে পাঠানো হয়। আমাদের সবারই চাকরির বয়স আরও পাঁচ বছর অবশিষ্ট ছিল। এস আলমের পিএস আকিজ উদ্দিন পটিয়া উপজেলা থেকে লোক নিয়োগ দেয়ার জন্য এমন করেছিল বলে তিনি জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নির্বাহী বলেন, এস আলমের কথামত ভুয়া বিনিয়োগের ফাইলে সাক্ষর না করায় ব্যাংকের বেশ কজন ঊর্ধ্বতন নির্বাহীকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের হাতে হাতকড়া পরিয়ে অপরাধী হিসেবে মিডিয়ার সামনে উপস্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে তাদেরকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
উল্লেখ্য, অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত এসব কর্মকর্তার যোগ্যতা ও দক্ষতা মূল্যায়নের জন্য ব্যাংক ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র মাধ্যমে মূল্যায়ন পরীক্ষার আয়োজন করে। এসব কর্মকর্তারা মূল্যায়ন পরীক্ষা দিতে অস্বীকার করে। ২৭ সেপ্টেম্বর এসব কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে ৫৩৮৫ জনের মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে বলা হয়। ব্যাংকের সিদ্ধান্তকে অমান্য করে এদের একটি বড় অংশ অর্থাৎ ৪৯৭১ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকে। এর মধ্যে ৪১৪ জন কর্মকর্তা মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশ নেন। যারা পরীক্ষায় অংশ নেয়নি ব্যাংক তাদের ওএসডি করেছে এবং বিদ্রোহী ৪০০ জনকে চাকুরিচ্যুত করেছে। পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত তাদেরকে অপারেশনাল কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে।
কর্পোরেট সংবাদ
রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের সুরক্ষায় গার্ডিয়ান ও ক্লিনিকলের যৌথ উদ্যোগ

দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ইন্স্যুরেন্স সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড স্বাস্থ্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ক্লিনিকল লিমিটেডের সাথে এক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মী ও তাদের পরিবারের জন্য একটি সমন্বিত ইন্স্যুরেন্স ও স্বাস্থ্যসেবা প্যাকেজ চালু করেছে গার্ডিয়ান।
সম্প্রতি, রাজধানী ঢাকায় গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা লক্ষাধিক প্রবাসীর স্বাস্থ্যসেবা ও আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিতে যে চ্যালেঞ্জ রয়েছে সেগুলো মোকাবিলা করা এ উদ্যোগের মূল লক্ষ্য। নতুন চালু করা এ প্যাকেজের আওতায় থাকছে লাইফ ও হেলথ ইন্স্যুরেন্স সুবিধা, ক্লিনিকলের মাধ্যমে আনলিমিটেড ডাক্তারের পরামর্শ, চাকরি হারালে আর্থিক সুরক্ষা এবং দেশে থাকা পরিবারের সদস্যদের জন্য সামগ্রিক স্বাস্থ্যসেবা সহায়তা।
গার্ডিয়ানের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী শেখ রকিবুল করিম, এফসিএ ও ক্লিনিকল লিমিটেডের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও চিফ অপারেশনস অফিসার পারভেজ আহমেদ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। গার্ডিয়ানের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির হেড অব মাইক্রোইন্স্যুরেন্স ডিজিটাল চ্যানেল অ্যান্ড এডিসি আব্দুল হালিম এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক্রোইন্স্যুরেন্স ডিজিটাল চ্যানেল অ্যান্ড এডিসি মো. নওশাদুল করিম চৌধুরী।
ক্লিনিকলের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির হেড অব বিজনেস সাদ এম. মিলকান এবং হেড অব টেকনোলজি সাবা শামস।
এবিষয়ে শেখ রকিবুল করিম বলেন, এই অংশীদারিত্ব আমাদের প্রবাসী ভাই-বোনদের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার প্রতিফলন। যারা কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে পরিবারকে সহায়তা করছেন এবং দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন, তাদের জন্য টেকসই ও সহজলভ্য সমাধান দিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ক্লিনিকলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও চিফ অপারেশনস অফিসার পারভেজ আহমেদ বলেন, গার্ডিয়ানের নির্ভরযোগ্য ইন্স্যুরেন্স সেবার সঙ্গে আমাদের স্বাস্থ্যসেবা যুক্ত হওয়ায় এটি আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আমাদের যৌথ লক্ষ্য হলো প্রত্যেক প্রবাসী কর্মী ও তাদের পরিবারের কাছে সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী স্বাস্থ্যসেবা ও আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
এই উদ্যোগ বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য সুস্বাস্থ্য ও নিরাপদ ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। গার্ডিয়ান ও ক্লিনিকলের এ যৌথ প্রচেষ্টা রেমিট্যান্স যোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের আরও উন্নত আর্থিক সুরক্ষা ও মানসিক শান্তি নিশ্চিত করবে।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের অডিট বিষয়ক কর্মশালা

ইসলামী ব্যাংক ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্চ একাডেমির (আইবিটিআরএ) উদ্যোগে ‘ইফেক্টিভ অডিটিং: টুলস অ্যান্ড টেকনিকস’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (৫ অক্টোবর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মশালার উদ্বোধন করেন ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আলতাফ হুসাইন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর কে এম মুনিরুল আলম আল-মামুন। এছাড়া, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ্ ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
বিভিন্ন সেশন পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডাইরেক্টর মু. আলাউদ্দীন হোসেন, জয়েন্ট ডাইরেক্টর মো. শাহাদাৎ হোসেন, ডেপুটি ডাইরেক্টর লেনিন আজাদ পলাশ ও ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মু. মিজানুর রহমান।
এছাড়া আইবিটিআর’র বিভিন্ন কোর্স কো-অর্ডিনেটর, ফ্যাকাল্টি মেম্বার ও অডিট ডিভিশনের ১১০ কর্মকর্তা কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
এসএম