অর্থনীতি
বিদেশি বিনিয়োগ হিসাব খোলার তথ্য জানানোর শর্ত শিথিল

বিদেশি বিনিয়োগ হিসাব খোলার তথ্য জানানোর শর্ত শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে এখন থেকে বিনিয়োগকারীদের হিসাব খোলার সঙ্গে সঙ্গে তা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জানাতে হবে না। কর্মকর্তাদের আশা, এতে ব্যাংকগুলো বিদেশি বিনিয়োগের হিসাব খোলায় আরও আগ্রহ দেখাবে।
বুধবার (১ অক্টোবর) এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এক প্রজ্ঞাপনে।
বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে শুরু থেকেই বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অনাবাসী টাকা হিসাব (এনআরটিএ) ও বিদেশি বিনিয়োগের জন্য ব্যবহৃত অস্থায়ী বৈদেশিক মুদ্রা হিসাবের (এফসি) রিপোর্টিংয়ের প্রয়োজনীয়তা শিথিল করা হয়েছে। এখন থেকে ব্যাংকগুলো এসব হিসাব খোলার সঙ্গে সঙ্গে তথ্য না জানিয়ে ১৪ দিনের মধ্যে নগদায়ন সার্টিফিকেট, অনলাইন ট্রানজেকশন আইডি, হিসাবের বিবরণী ও সংশ্লিষ্ট স্থায়ী হিসাবের বিবরণী পাঠাতে পারবে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, বিদেশি তহবিল স্থানীয় মুদ্রায় রূপান্তর অথবা এক বছরের জন্য বৈদেশিক মুদ্রায় রাখা যাবে। দেশীয় মুদ্রায় রূপান্তর হলে অনলাইনে ‘ফরম–সি’ জমা দেওয়া যাবে এবং কোম্পানি গঠনের ১৪ দিনের মধ্যে নির্দিষ্ট নথিতে স্বাক্ষর করতে হবে।
এছাড়া, প্রস্তাবিত বিনিয়োগ নিবন্ধিত না হলে প্রয়োজনীয় খরচ বাদ দিয়ে অবশিষ্ট অর্থ বিদেশে নিয়ে যাওয়া যাবে। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন প্রয়োজন হবে না।

অর্থনীতি
কাঁচা মরিচের দাম ফের ৩০০ টাকা ছাড়ালো

কাঁচা মরিচের দাম আবার ৩০০ টাকা ছাড়াল। খুচরা বাজারে এখন এক কেজি কাঁচা মরিচের দাম ৩২০ টাকার আশপাশে। অবশ্য সাধারণ ক্রেতারা একসঙ্গে এক কেজি কাঁচা মরিচ কেনেন না। ২৫০ গ্রাম কাঁচা মরিচ কিনতে তাঁদের অন্তত ৭৫-৮০ টাকা খরচ করতে হচ্ছে।
পাঁচ দিন আগেও এক কেজি মরিচের দাম ছিল ২০০-২২০ টাকা। অর্থাৎ এই সময়ের মধ্যে প্রতি কেজিতে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে ১০০-১২০ টাকা করে। গত আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে কাঁচা মরিচের দাম কেজিপ্রতি ৩০০ টাকা ছাড়িয়েছিল।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, টাউন হল বাজার, বিজয় সরণিসংলগ্ন কলমিলতা বাজার ও কারওয়ান বাজার ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে কাঁচা মরিচের দামের এ তথ্য জানা গেছে।
মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় ১৫টির মতো সবজির দোকান রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে এই বাজারে গিয়ে দেখা গেল, কোনো সবজির দোকানেই ৩২০ টাকা কেজির নিচে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে না। আর মান একটু ভালো হলে সেই দাম আরেকটু বেশি রাখা হচ্ছে।
বিক্রেতারা জানিয়েছেন, গত তিন দিনে দেশে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। প্রায় একই সময়ে পূজার ছুটিতে পণ্য আমদানির পরিমাণ কমেছে। এতে সব মিলিয়ে বাজারে কাঁচা মরিচসহ সবজির সরবরাহ কমেছে। এ কারণে দাম বেড়েছে।
শুধু কাঁচা মরিচ নয়; বাজারে বেশির ভাগ সবজির দামও বাড়তি। এক সপ্তাহের ব্যবধানে অধিকাংশ সবজির দাম কেজিতে ২০-৩০ টাকা করে বেড়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের মাছ, মুরগি, ডাল ও চালের দাম উচ্চ মূল্যে স্থিতিশীল রয়েছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এখন এক কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৫০ টাকায়, যা সপ্তাহখানেক আগে ছিল ১০০ টাকার আশপাশে। আর ছয়-সাত দিন আগে ধরনভেদে এক কেজি বেগুন ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল, যা আজ বৃহস্পতিবার বিক্রি হয়েছে ১২০-১৪০ টাকায়। যদিও সবচেয়ে চড়া দাম তাল বেগুনের; কেজি ২২০ টাকার ওপরে।
অন্যান্য সবজির দাম কেজিতে ২০-৩০ টাকা করে বেড়েছে। দাম বাড়ার পরে পটোল, চিচিঙ্গা, ঝিঙে, ধুন্দুল, লাউ প্রভৃতি সবজি ৭০-৮০ টাকায় এবং কাঁকরোল, করলা, ঢ্যাঁড়স, বরবটি ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ ৭০-৮০ টাকার নিচে তেমন কোনো সবজি কেনা যাচ্ছে না। টাউন হল বাজার ও কলমিলতা বাজার ঘুরেও কাছাকাছি দাম দেখা গেছে। অবশ্য কারওয়ান বাজারে এসব পণ্যের দাম কিছুটা কম থাকে।
কৃষি মার্কেটের সবজি বিক্রেতা আব্বাস আকন্দ জানান, বর্তমানে বাজারে দেশে উৎপাদিত কাঁচা মরিচ ও টমেটো নেই বললেই চলে। যেসব কাঁচা মরিচ ও টমেটো বিক্রি হচ্ছে, তার প্রায় পুরোটাই ভারত থেকে আমদানি করা। কিন্তু পূজার ছুটির কারণে এসব পণ্যের আমদানি কমেছে। অন্যদিকে দুই-তিন দিন বৃষ্টির কারণে দেশীয় সবজির সরবরাহও কিছুটা কম। এসব কারণে সবজির দাম এতটা চড়া।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা ও একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী সাইয়েদ হুদা বলেন, সবজির দামে কোনো লাগাম নেই। তিন-চার পদের সবজি কিনলেই ৪০০ টাকার ওপরে চলে যাচ্ছে।
অর্থনীতি
এনভয় টেক্সটাইলকে ৩০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বাংলাদেশে তাদের প্রথম সাসটেইনেবিলিটি-লিঙ্কড ঋণ সুবিধা হিসেবে এনভয় টেক্সটাইলস লিমিটেডের সঙ্গে ৩০ মিলিয়ন ডলার বা ৩ কোটি ডলারের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এ ঋণ পরিবেশবান্ধব শিল্পায়ন ও আধুনিকায়নকে এগিয়ে নেবে এবং গার্মেন্টস খাতে নতুন মানদণ্ড তৈরিতে সহায়তা করবে।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে এডিবি জানিয়েছে, এটি বাংলাদেশে এডিবির প্রথম সাসটেইনেবিলিটি-লিঙ্কড ঋণ। এ ধরনের ঋণ হলো ভবিষ্যৎমুখী, পারফরম্যান্সভিত্তিক ঋণ সুবিধা, যেখানে পূর্বনির্ধারিত কর্মক্ষমতার সূচক এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের অগ্রগতি মূল্যায়ন করা হয়।
এনভয়ের জন্য নির্ধারিত লক্ষ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে কারখানার ছাদে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস।
ঋণের অর্থ ব্যবহার করা হবে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার জামিরদিয়ার কারখানায় নতুন স্পিনিং ইউনিট নির্মাণ ও নকশা কাজে, যেখানে বছরে অতিরিক্ত ৪ হাজার ৫৫০ টন সুতা উৎপাদন ক্ষমতা যুক্ত হবে। এটি মূলত ডেনিম উৎপাদনে ব্যবহার হবে। নতুন ইউনিট সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় ও জ্বালানি-সাশ্রয়ী হবে। এছাড়া কারখানার ছাদে ৩.৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার সৌর প্যানেল বসানো এবং স্বল্পমেয়াদি স্থানীয় কার্যকরী মূলধন ঋণ পুনঃঅর্থায়নেও এই অর্থ ব্যবহার হবে।
বাংলাদেশে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জিয়ং বলেন, ‘তৈরি পোশাকশিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকা শক্তি, যা দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশের বেশি জোগান দেয়। এনভয় দেশের শীর্ষ ডেনিম প্রস্তুতকারক। এডিবি আনন্দিত যে এনভয়কে বাংলাদেশে প্রথম সাসটেইনেবিলিটি-লিঙ্কড ঋণ দিচ্ছে। এটি পরিবেশবান্ধব শিল্পায়ন ও আধুনিকায়নকে এগিয়ে নেবে এবং গার্মেন্টস খাতে নতুন মানদণ্ড তৈরি করবে।’
এনভয়ের চেয়ারম্যান কুতুবউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এডিবির অব্যাহত সহায়তা আমাদের জন্য গর্বের। এই সাসটেইনেবিলিটি-লিঙ্কড ঋণ আমাদের উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে, নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ করতে এবং পরিবেশগত প্রভাব আরও কমাতে সহায়তা করবে। এনভয় সবসময় মান, অন্তর্ভুক্তি ও টেকসই উন্নয়নের সর্বোচ্চ মান ধরে রাখার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
এনভয় বর্তমানে বছরে ৫ কোটি ৪০ লাখ গজ ডেনিম উৎপাদন করে, যা দেশের মোট উৎপাদন সক্ষমতার প্রায় ১০ শতাংশ। প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের প্রথম প্লাটিনাম লিড সনদপ্রাপ্ত ডেনিম কারখানার মালিক, যা মার্কিন গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল কর্তৃক স্বীকৃত।
এই প্ল্যান্টটি ময়মনসিংহে ৪৫ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত। এটি একটি শতভাগ রপ্তানিমুখী উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, যা ২০০৮ সালে বাণিজ্যিকভাবে কার্যক্রম শুরু করে এবং ২০১২ সালে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তরিত হয়। বাংলাদেশের প্রথম ডেনিম কারখানা হিসেবে এখানে রোপ ডাইং প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে।
এটি একটি ব্যাকওয়ার্ড ইন্টিগ্রেটেড কারখানা হিসেবে এনভয়ের নিজস্ব স্পিনিং সুবিধা রয়েছে, যা প্রতিদিন ৭০ টন সুতা উৎপাদনে সক্ষম।
অর্থনীতি
চট্টগ্রাম বন্দরে বর্ধিত মাশুল ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ঘোষিত বর্ধিত মাশুল (ট্যারিফ) আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর হচ্ছে। এক মাসের স্থগিতাদেশ শেষ হওয়ায় মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে নতুন এ তারিখ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর নতুন মাশুল কার্যকরে প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছিল। পরে ব্যবসায়ীদের অনুরোধে এটি এক মাস স্থগিত করেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
নতুন মাশুলের কারণে বন্দরে গড়ে ৪১ শতাংশ খরচ বাড়বে ব্যবসায়ীদের। সবচেয়ে বেশি বাড়বে কনটেইনার পরিবহনের মাশুল। এতদিন ২০ ফুট লম্বা একটি কনটেইনারে গড়ে মাশুল ছিল ১১ হাজার ৮৪৯ টাকা। নতুন সিদ্ধান্তে তা দিতে হবে ১৬ হাজার ২৪৩ টাকা। নতুন প্রজ্ঞাপনে মাশুলের ক্ষেত্রে ডলারের বিনিময় মূল্য ধরা হয়েছে ১২২ টাকা।
প্রতি একক কনটেইনার জাহাজ থেকে ওঠানো বা নামানোর জন্য আগে মাশুল ছিল ৪৩ দশমিক ৪০ ডলার বা পাঁচ হাজার ২৯৪ টাকা। এখন তা বাড়িয়ে ৬৮ ডলার বা আট হাজার ২৯৬ টাকা করা হয়েছে। কনটেইনার পণ্যে প্রতি কেজিতে আগে গড়ে মাশুল দিতে হতো এক টাকা ২৮ পয়সা। এখন দিতে হবে ৪৭ পয়সা।
বন্দর দিয়ে কনটেইনার ছাড়াও সাধারণ পণ্য পরিবহন করা হয়। সব ধরনের সাধারণ পণ্যে কেজিপ্রতি মাশুল বাড়বে গড়ে ১৪ পয়সা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বন্দর দিয়ে আসা মোট পণ্যের ৬০ শতাংশ ছিল সাধারণ পণ্য, যেগুলো খালাস হয় বহির্নোঙরে।
অর্থনীতি
সরকারি ক্রয়ে স্বচ্ছতা বাড়াতে নতুন নীতি কার্যকর

সরকারি কেনাকাটায় সুশাসন ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সরকারি ক্রয়নীতিতে (পিপিএ) বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন ক্রয়নীতিতে সব ধরনের সরকারি কেনাকাটায় অনলাইনে দরপত্র আবেদন (ই–জিপি) বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। গত রোববার নতুন এই বিধিমালা গেজেট হিসেবে প্রকাশ করে কার্যকর করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ সরকারি ক্রয় কর্তৃপক্ষ বা পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০০৬ সালে প্রকাশিত পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্টে (পিপিএ) আনা সংশোধনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে নতুন পিপিআর ২০২৫ তৈরি করা হয়। এখন থেকে সরকারি কেনাকাটায় সংশোধিত পিপিএ ২০০৬ ও নতুন পিপিআর ২০২৫ দুটিই কার্যকর হবে।
আরও কী কী পরিবর্তন এসেছে
নতুন সরকারি ক্রয়নীতিতে ১৫৪টি বিধি ও ২১টি তফসিল অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নতুন বিধিমালায় অভ্যন্তরীণ কেনাকাটায় ১০ শতাংশ মূল্যসীমা বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া চুক্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রকৃত উপকারভোগীর (বেনিফিশিয়ারি ওনারশিপ) তথ্য প্রকাশ বাধ্যবাধকতার কথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে সরকারি ক্রয়ে টেকসই কেনাকাটা করতে হবে। সরকারি প্রতিটি কেনাকাটায় কৌশলগত পরিকল্পনা প্রস্তুত বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
নতুন বিধিমালায় আরও বলা হয়, ভৌত সেবাকে স্বতন্ত্র প্রকিউরমেন্ট ক্যাটাগরি হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। এ ছাড়া কাঠামো চুক্তি (ফ্রেমওয়ার্ক অ্যাগ্রিমেন্ট) দর–কষাকষির ক্ষেত্র সম্প্রসারণ করতে হবে। যেকোনো কেনাকাটার পরিকল্পনা বাতিলের জন্য একটি ডেবারমেন্ট বোর্ড (বাতিল করার ক্ষমতাপ্রাপ্ত বোর্ড) প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এ ছাড়া সম্পদ নিষ্পত্তিসংক্রান্ত স্পষ্ট বিধান তৈরি করতে হবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন বিধিমালা তৈরি করতে বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ) এ খাতের অংশীজনদের সঙ্গে পরামর্শ ও আলোচনা করে। আলোচনায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বড় ক্রয়কারী সংস্থা, দরদাতা, সাংবাদিক, নারী উদ্যোক্তা ও উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে ১২টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় অধিকাংশ অংশগ্রহণকারী পুরোনো বিধিমালায় সংশোধন না এনে সম্পূর্ণ নতুন পিপিআর করার মত দেন।
বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটির (বিপিপিএ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মঈন উদ্দীন আহম্মেদ সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বলেন, নতুন বিধিমালা দেশের সরকারি কেনাকাটা সংস্কারের ইতিহাসে মাইলফলক।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব মো. কামাল উদ্দিন বলেন, নতুন এই বিধিমালা সরকারি কেনাকাটার প্রক্রিয়ায় প্রতিযোগিতা ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।
অর্থনীতি
তিন দেশ থেকে ২ লাখ ১০ হাজার টন সার কিনবে সরকার

সরকার ২ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন বিভিন্ন ধরনের সার আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চীন, মরক্কো ও সৌদি আরব থেকে এই সার আমদানি করা হবে। এর জন্য সরকারের মোট ব্যয় হবে ১ হাজার ৭১৪ কোটি ৫১ লাখ ৯১ হাজার ৪৮০ টাকা খরচ হবে।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে কৃষি ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে এই সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় চীনের ‘ব্যানিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং লিমিটেড’ থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানির বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতিটন ডিএপি সারের মূল্য ধরা হয়েছে ৭৭২.৫০ ডলার।
সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অপর এক প্রস্তাবে মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস থেকে ৩০ হাজার টন টিএসপি সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই সার আমদানির ব্যয় ধরা হয়েছে ২১৫ কোটি ২৮ লাখ ৪৩ হাজার ৭৪০ টাকা। প্রতিটন টিএসপি সারের মূল্য ধরা হয়েছে ৫৮৫.৩৩ ডলার।
বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আর এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস থেকে ৩০ হাজার টন টিএসপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। প্রতিটন টিএসপি সারের মূল্য ধরা হয়েছে ৫৮৫.৩৩ ডলার।
মরক্কোর এই প্রতিষ্ঠান থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তির আওতায় আরও ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানির আর একটি প্রস্তাব নিয়ে আসে কৃষি মন্ত্রণালয়। উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এই প্রস্তাবটিও অনুমোদন দিয়েছে। প্রতিটন ডিএপি সারের মূল্য ধরা হয়েছে ৭৬০.৩৩ ডলার।
এছাড়া বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানির আর একটি প্রস্তাব নিয়ে আসে কৃষি মন্ত্রণালয়। এই প্রস্তাবটিও অনুমোদন দেওয়া হয়। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তির আওতায় মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস থেকে এই সার আমদানি করা হবে। প্রতিটন ডিএপি সারের মূল্য ধরা হয়েছে ৭৬০.৩৩ ডলার।
বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়ন্টস কোম্পানি থেকে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাবও অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। প্রতিটন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সারের মূল্য ধরা হয়েছে ৪৩৫ ডলার।