ব্যাংক
রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংকে বড় রদবদল

রাষ্ট্রায়ত্ত চার বাণিজ্যিক ব্যাংক, বিশেষায়িত ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ৯ মহাব্যবস্থাপককে (জিএম) উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) পদে পদোন্নতি দিয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।
এদের মধ্যে সোনালী ব্যাংকের জিএম রেজাউল করিম, মো. নূরুন নবী ও মোহাম্মদ শাহজাহানকে একই ব্যাংকের ডিএমডি এবং সোনালী ব্যাংকের জিএম মো. রফিকুল ইসলামকে বেসিক ব্যাংকের ডিএমডি করা হয়েছে। অগ্রণী ব্যাংকের জিএম রূবানা পারভীনকে একই ব্যাংকের ডিএমডি এবং অগ্রণী ব্যাংকের জিএম জিএম নুরুল হুদাকে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ এর ডিএমডি হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।
সোনালী ব্যাংকের জিএম মো. নজরুল ইসলামকে জনতা ব্যাংকের ডিএমডি, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের জিএম মোহা. খালেদুজ্জামানকে একই ব্যাংকের ডিএমডি করা হয়েছে।
এছাড়া, জনতা ব্যাংকের জিএম মো. আশরাফুল আলমকে একই ব্যাংকে ডিএমডি হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ব্যাংক
সাময়িকভাবে সরকারি মালিকানায় নেওয়া যাবে যেকোনো ব্যাংক, অধ্যাদেশ জারি

দেউলিয়া হওয়া বা দেউলিয়ার ঝুঁকিতে থাকা ব্যাংককে ‘ভালো করার স্বার্থে’ সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক চাইলে যেকোনো তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে সাময়িকভাবে রাষ্ট্রায়ত্ত মালিকানায় নিতে পারবে।
শুক্রবার গেজেট আকারে প্রকাশ হওয়া ‘ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এ এমন বিধান রাখা হয়েছে।
নতুন এ অধ্যাদেশে দেউলিয়া হওয়া বা দেউলিয়ার ঝুঁকিতে থাকা ব্যাংককে ‘ভালো করার স্বার্থে’ সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংককে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, কোনো দুর্বল ব্যাংকের ক্ষেত্রে মার্জ (একীভূতকরণ) কিংবা প্রশাসক নিয়োগের প্রয়োজন পড়লে এ অধ্যাদেশ মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দেউলিয়ার উপক্রম হওয়া ব্যাংকের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে আলাদা বিভাগ গঠন করা হবে বলেও অধ্যাদেশে বলা হয়েছে।
কোনো ব্যাংকে প্রশাসক নিয়োগ হলে সে বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট, সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ওয়েবসাইট ও বহুল প্রচারিত একটি বাংলা ও একটি ইংরেজি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে।
ব্যাংকের কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য এক বা একাধিক ‘ব্রিজ ব্যাংক’ প্রতিষ্ঠা করা যাবে বলেও অধ্যাদেশের বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো দুর্বল ব্যাংকের সব ধরনের ব্যবসায়িক কার্যক্রম স্থগিত বা নিষিদ্ধও করতে পারবে।
দুর্বল বা দেউলিয়া হওয়া ব্যাংকের কার্যক্রম সাময়িকভাবে পরিচালনার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক গঠিত ব্যাংক হলো ব্রিজ ব্যাংক।
অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, কোনো ব্যাংকের সুবিধাভোগী মালিক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ব্যাংকের সম্পদ বা তহবিল নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করলে ও প্রতারণামূলকভাবে অন্যের স্বার্থে ব্যবহার করলে বাংলাদেশ ব্যাংক ওই ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা (রেজল্যুশন) নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতাই হল রেজল্যুশন।
এসব ব্যাংক মূলধন ঘাটতিতে পড়লে বিদ্যমান শেয়ারধারী অথবা নতুন শেয়ারধারী দিয়ে মূলধন বাড়ানোর সুযোগ রাখা হয়েছে অধ্যাদেশে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার চাইলে সাময়িকভাবে ইসলামি ধারাসহ যেকোনো ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মালিকানাও নিতে পারবে।
এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এক বা একাধিক শেয়ার হস্তান্তর আদেশ জারি করতে পারবে। শেয়ার হস্তান্তর গ্রহীতাকে অবশ্য সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি হতে হবে।
কোনো ব্যাংকের লাইসেন্স বাতিল হলে বাংলাদেশ ব্যাংক সেটির অবসায়নের জন্য আদালতে আবেদন করতে পারবে। আদালত বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোনীত কাউকে অবসায়ক নিয়োগ দেবে। অবসায়ন আদেশ কার্যকর হওয়ার পর কোনো ব্যাংকের দায়ের ওপর সুদ বা অন্য কোনো মাশুল কার্যকর হবে না।
এতে বলা হয়েছে, কোনো ব্যাংক নিজে থেকেও অবসায়নের প্রক্রিয়ায় যেতে পারবে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ছাড়া কার্যক্রম বন্ধ করতে পারবে না। লাইসেন্স প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার সাত কর্মদিবসের মধ্যে আমানত ও দুই মাসের মধ্যে অন্যান্য দায় পরিশোধ করতে হবে বলেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, কারো কর্ম, নিষ্ক্রিয়তা ও সিদ্ধান্তের কারণে কোনো ব্যাংক ব্যর্থ হবে ব্যাংকের ক্ষতি হলে সেই দায় তাকে নিতে হবে।
অধ্যাদেশের আওতায় জারি হওয়া বিধিবিধান অমান্যকারীদের ৫০ লাখ টাকা জরিমানা হতে পারে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
এনআরবিসি ব্যাংকের নতুন এমডি ও সিইও তৌহিদুল আলম খান

এনআরবিসি ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে ড. মো. তৌহিদুল আলম খান গত ৫ মে যোগদান করেছেন। বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে ৩২ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ও পেশাদার ব্যাংকার হিসাবে পরিচিত তৌহিদুল আলম খান ইতিপূর্বে ন্যাশনাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ড. তৌহিদ ১৯৯৩ সালে অগ্রণী ব্যাংকে সিনিয়র অফিসার হিসেবে তার ব্যাংকিং ক্যারিয়ার শুরু করেন। পরবর্তীতে প্রাইম ব্যাংকে তিনি সিন্ডিকেশন অ্যান্ড স্ট্রাকচার্ড ফাইন্যান্স বিভাগের নেতৃত্ব দেন এবং বাংলাদেশে বেসরকারী বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে সিন্ডিকেশন ফাইন্যান্সিং-এ লিড অ্যারেঞ্জার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যাংকসমূহের মধ্যে প্রাইম ব্যাংক ও ব্যাংক এশিয়ায় প্রধান ব্যবসায়িক কর্মকর্তা (সিবিও), প্রধান ঋণ ঝুঁকি কর্মকর্তা (সিআরও) এবং প্রধান মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ও পরিপালন কর্মকর্তাসহ (ক্যামেলকো) ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।
নটরডেমিয়ান তৌহিদুল আলম খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিন্যান্সে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএমএবি) একজন ফেলো সদস্য। তিনি ব্যাংকিং সেক্টরে জিআরআই পদ্ধতিতে টেকসই ঋণ ঝুঁকির উপর গবেষণা করেন ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
ড. তৌহিদ বাংলাদেশের প্রথম সার্টিফাইড সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্টিং অ্যাসিউরার (সিএসআরএ) হিসেবে স্বীকৃত। শিক্ষা ও গবেষণামূলক অবদানের জন্য তিনি অসংখ্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন, যা তাঁকে অর্থনীতি ও টেকসই উন্নয়ন কর্মসূচিতে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে একজন সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
এবি ব্যাংকের এমডি ও সিইও হলেন সৈয়দ মিজানুর রহমান

বেসরকারি খাতের অন্যতম পুরোনো ব্যাংক এবি ব্যাংকের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন সৈয়দ মিজানুর রহমান। এবি ব্যাংকের পক্ষ থেকে আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
সৈয়দ মিজানুর রহমান ২০১১ সালের মার্চ মাসে সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে এবি ব্যাংকে যোগদান করেন। অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে, যা তিনি ২০২৪ সালের ১৩ আগস্টে গ্রহণ করেছিলেন, তিনি ব্যাংকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে সাফল্যের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ব্যাংকিং সেক্টরে দীর্ঘ ২৮ বছরেরও বেশি সময়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে সৈয়দ মিজানুর রহমানের। এবি ব্যাংকে যোগদানের পূর্বে তিনি ঢাকা ব্যাংক, আইপিডিসি, ব্যাংক আলফালাহ এবং ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংকের মতো স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত ছিলেন। এই দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি ব্রাঞ্চ ব্যাংকিং, রিটেইল, প্রসেস ট্রান্সফরমেশন, বিজনেস ডেভলপমেন্ট এবং কর্পোরেট কমিউনিকেশনসহ ব্যাংকিং খাতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার দক্ষতা ও জ্ঞানের স্বাক্ষর রেখেছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
ছুটিতে পাঠানো হলো সাউথইস্ট ব্যাংকের এমডিকে

সাউথইস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নুরুদ্দিন মো. ছাদেক হোসেনকে তিন মাসের জন্য বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। গতকাল রোববার থেকে এই ছুটি কার্যকর হয়েছে এবং আগামী ৪ আগস্ট পর্যন্ত বহাল থাকবে।
ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, সাউথইস্ট ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ কিছু অনিয়মের অভিযোগের তদন্তের স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমডি ছুটিতে থাকাকালীন, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) আবিদুর রহিম চৌধুরী ৪ আগস্ট পর্যন্ত এমডি বা ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করবেন।
এর আগে, দেশের আরও সাতটি ব্যাংকের এমডিকেও বিভিন্ন কারণে ছুটিতে পাঠানো হয়েছিল। কোনো ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শে, আবার কোনো ক্ষেত্রে পরিচালনা পর্ষদের নিজস্ব সিদ্ধান্তে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। মূলত অনিয়মের সুষ্ঠু তদন্তের লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়েছিল।
সাউথইস্ট ব্যাংকের অভ্যন্তরে কেনাকাটা, সংস্কার ও প্রচারের নামে বড় অঙ্কের অর্থ তছরুপের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও, ব্যাংকটিতে নিয়োগ, তহবিল ব্যবহার এবং ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রেও নানা ধরনের অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ব্যাংকটির অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনে এই অনিয়মগুলো ধরা পড়ে।
এইসব অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যে ব্যাংকের তিনজন কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন। তারা হলেন ওয়ারেস উল মতিন (সাতটি বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন), মোহাম্মদ তানভীর রহমান (করপোরেট অ্যাফেয়ার্স ও করপোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি বিভাগের প্রধান) এবং এ কে এম নাজমুল হায়দার (কোম্পানি সচিব)। নিরীক্ষায় জানা গেছে, এই কর্মকর্তারা তৎকালীন পরিচালনা পর্ষদের সহায়তায় ব্যাংকে একটি অনিয়মের চক্র তৈরি করেছিলেন।
উল্লিখিত সময়ে আলমগীর কবির ব্যাংকটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন। সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের দায়ে বড় অঙ্কের জরিমানা সত্ত্বেও তিনি বহাল ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি চেয়ারম্যান পদ ছাড়লেও পরিচালক হিসেবে রয়ে গেছেন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর সেপ্টেম্বর মাসে সাউথইস্ট ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে পরিবর্তন আসে এবং ২০ বছর পর এম এ কাশেম পুনরায় চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এর আগে, ২০০৪ সাল থেকে টানা ২০ বছর আলমগীর কবির এই পদে ছিলেন।
এছাড়াও, সাউথইস্ট ব্যাংক ঋণখেলাপির তথ্য গোপন করে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের তিন প্রার্থী (সাবের হোসেন চৌধুরী, মোরশেদ আলম ও মামুনুর রশিদ কিরণ) এবং বেঙ্গল ব্যাংকের পরিচালক প্রকৌশলী আবু নোমান হাওলাদারের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক পরিদর্শনে এসব ভয়াবহ অনিয়মের তথ্য উঠে এসেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক খেলাপি ঋণ নিয়মিত দেখানোর সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছে। পরিদর্শনে প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকার ঋণে বিভিন্ন অনিয়মের তথ্যও উঠে এসেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
বিদেশে শিক্ষা-চিকিৎসা ফি পাঠানো সহজ করলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

দেশের ব্যাংকগুলোকে আন্তর্জাতিক কার্ড প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে বৈধভাবে রেমিট্যান্স পাঠানোর অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে করে বিদেশে পড়াশোনা, চিকিৎসা, ভিসা ফিসহ নির্দিষ্ট কিছু খাতে টাকা পাঠানো এখন আরো সহজ হবে।
আজ রোববার (৪ মে) বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত এক সার্কুলার জারি করে।
এর আগে শুধুমাত্র নিজস্ব নামে ইস্যুকৃত আন্তর্জাতিক কার্ড ব্যবহার করে ব্যাংকগুলো এ ধরনের রেমিট্যান্স পাঠাতে পারত। নতুন নির্দেশনায় এই সুযোগকে আরো সম্প্রসারিত করা হয়েছে। এখন থেকে ব্যাংকগুলো আন্তর্জাতিক কার্ড নেটওয়ার্ক-যেমন ভিসা, মাস্টারকার্ড বা ইউনিয়নপের মতো প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে গ্রাহকদের নির্ধারিত খাতে রেমিট্যান্স পাঠানোর সুযোগ দেবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা সার্কুলারে বলা হয়েছে, এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সদস্যপদ ফি, তথ্যপ্রযুক্তি-সংক্রান্ত ব্যয়, বিদেশে শিক্ষার খরচ, ভিসা ফি, প্রশিক্ষণের নিবন্ধন ফি, চিকিৎসা খরচসহ কিছু নির্দিষ্ট খাতে বৈধভাবে রেমিট্যান্স পাঠানো যাবে।
ব্যবসায়ী ও প্রযুক্তি খাত সংশ্লিষ্টরা এই উদ্যোগকে সময়োপযোগী হিসেবে উল্লেখ করে জানান, এতে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রক্রিয়া সহজ ও কম খরচে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি এটি একটি বিকল্প চ্যানেল হিসেবে কাজ করবে। এর ফলে বৈদেশিক লেনদেন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতার সঙ্গে সহজ ও দ্রুত হবে, যা ব্যাংকিং খাতকে আরও গতিশীল এবং আধুনিক করে তুলবে।
কাফি