অর্থনীতি
ক্রেতা কমলেও বেড়েছে গরু ও মুরগির মাংসের দাম

ঈদুল ফিতরে সরবরাহ ঘাটতির প্রভাব পড়েছে বাজারে। যে কারণে ক্রেতা কমলেও কমেনি মাংস, সবজির দাম। কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা করে বেড়েছে গরুর মাংস ও মুরগির দাম। তবে দুটি বাজার খুঁজেও মেলেনি খাসির মাংস।
পেঁয়াজ রসুনে স্বস্তি মিললেও গরুর মাংস আর মুরগির দামে অস্বস্তি প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।
রাজধানীর মিরপুরের উত্তর ও মধ্য পীরেরবাগের একাধিক মাংসের দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কেজিতে অন্তত ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে গরুর মাংসের দাম। কোনো দোকানে আরেকটু বেশি।
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর মিরপুর-২ উত্তর পীরেরবাগ ছাপড়া মসজিদ কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, সবজি, মাছ ও গরুর মাংসের দোকানে ক্রেতাদের ভিড়।
মরিয়ম গোস্ত বিতানের বিক্রেতা বাবুল মিয়া বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে প্রচুর গরু কাটছি। চাহিদা অনুযায়ী বিক্রিও ছিল বেশি। আজকে আর গরু কাটি নাই। তবে চাহিদা থাকায় মিরপুর-১ থেকে একমণ মাংস এনেছি। আর ৫ কেজি বিক্রি বাকি আছে। তিনি বলেন, গতকালও ৭৮০ টাকায় মাংস বিক্রি করছি। আজ ৮০০ টাকা বিক্রি করছি।
তবে কাদের গোশত বিতানে গরুর মাংসের দাম আরও ২০ টাকা বেশি, অর্থাৎ সেখানে ৮২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। পাইকারি এই দোকানে মুরগি ডিমসহ নিত্যপণ্য বিক্রি করা হয়।
কাদের গোশত বিতানের বাদশা মিয়া বলেন, আজও সবচেয়ে বেশি মাংসের চাহিদা। ঈদের আগের দিন থেকে এখানে ৮২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। দেশি মুরগি ৬০০ টাকা, ব্রয়লার ২৩০ টাকা, লেয়ার মুরগি বাজারে নেই। পাকিস্তানি কক ৩৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ডিম মিলছে কমেই, ১২০ টাকা ডজন।
উত্তর পীরেরবাগ এলাকার একটি আবাসিক ভবনের এক বাসিন্দা বলেন, হাসপাতালে চাকরি করি। এ ঈদে ছুটি মেলেনি। বাসায় রাতে কিছু অতিথি আসবে। গরুর মাংস কিনতে এসে দেখি কেজি প্রতি ৪০ টাকা বেশি চাওয়া হচ্ছে। গত ৩ দিন আগেও গরুর মাংসের কেজি ছিল ৭৮০ টাকা। আজকে নিলো ৮২০ টাকা।
নির্মাণ শ্রমিক ফরহাদ গরুর মাংসের দাম শুনে কপালে ভাঁজ নিয়ে মুরগির দাম জানতে চান। সেখানেও বাড়তি দাম। বাধ্য হয়ে ৩৩০ টাকায় একটি পাকিস্তানি কক কিনে ফেরার পথে ফরহাদ বলেন, গরুর মাংস আমগো নাগালের না, মুরগিও দেখতাছি দাম বাড়তাছে। খামু কি? ৩৩০ টাকায় কক কিনে আমগো পোষায় না। কি করমু। ব্রয়লার আর কতো! একটা দিন তো কক খাইতে মন চায়।
মরিয়ম গোশত বিতানের মালিক বাবুল শিকদার বলেন, গরুই বেচতেছিলাম, খাসির মাংসের বাড়তি দাম, তাই দোকানেই তুলি নাই।
ব্রয়লার মুরগি কিনে মুসলিমা বেগম বলেন, কক ৩৩০ টাকা কেজি। কেমনে খামু কন! ব্রয়লারও যে খুব কম তা না, তবে দেড় কেজি ব্রয়লার কিনে যা বাঁচবে তা দিয়ে কিন্তু সবজি কেনা যায়। তাই কক বাদ দিয়ে ব্রয়লারই কিনতে হলো।
মধ্য পীরেরবাগ বিসমিল্লাহ গোশত বিতানে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতা ভিড় করেও ফিরে যাচ্ছেন। মাংস শেষ। মালিক মো. জাহাঙ্গীর বলেন, প্রতি রমজানের ঈদে অন্তত ২০টা গরু কাটি। গতকালও ২টা কাটছি। আজ একটা, তা সকাল সকালই শেষ হয়ে গেছে।
মাছের সরবরাহ কমেছে বাজারে। যা আছে তাও ক্রেতা কম।
নদীর চিংড়ির কেজি ৭০০ টাকা, তবে লাল ও অন্য সাদা চিংড়ি ৬৬০ টাকায় মিলছে। রুই মাছ যেন ছুলেই দাম। ৪৬০ টাকা কেজি হাঁকিয়ে বেচা হচ্ছে ৪২০ টাকায়। তেলাপিয়া ১৮০ টাকা। নলা মাছ ১৬০ টাকা। ইলিশ ৭৬০ থেকে ১৩০০ টাকার মধ্যে আকার অনুযায়ী বিক্রি হচ্ছে।
মাছ বিক্রেতা তরিকুল ইসলাম বাজারে মাছের সরবরাহ কম। ক্রেতাও কম। যা পাইছি তাই বেচতাছি। ক্রেতারা তো মাছের চেয়ে মাংসই বেশি কিনতাছে।
ছাপড়া মসজিদ কাঁচাবাজারে গিয়ে জানা যায়, কিছু সবজিতে বেড়েছে দাম। দামে কাঁচা মরিচের ঝাঁজ নেই। কেজিতে টমেটোর দাম বেড়েছে ২০ টাকা। টমেটো ৬০ টাকা ও গাজর বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। আলু ২০-২৫ টাকায় মিলছে। তবে পটল ও শশায় অসন্তুষ্ট ক্রেতারা।
ছাপড়া মসজিদ কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা সেলিম মিয়া বলেন, বেগুন গত সপ্তাহে কিনেছি ৮০ টাকায়। গত সপ্তাহেও ঢেঁড়শ ছিল ৫০ টাকা, আজ তা ৬০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে, কেজি বাড়তি ১০ টাকা। গত সপ্তাহেও শশার দাম ছিল ৬০টাকা, আজ ৮০ বেচতে হচ্ছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, লাউ ৫০ থেকে ৭০ টাকা পিস, কচুরলতি ৮০ টাকা কজি, ১০ টাকা বাড়তিতে করলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা। ৫০০ গ্রাম ওজনের ছোট পাতা কপির পিস ৫০ টাকা, ঝিঙা ৭০, চিচিঙ্গা ৭০, কাঁচা কলার হালি ৩০ টাকা। পেঁপে আর পটলে বিরক্ত ক্রেতারা। পটল ৮০, পেঁপে ৬০ টাকা।
হুসাইন আল মামুন নামে ক্রেতা বলেন, গরুর মাংসের সঙ্গে আলু আর পটল ভাল লাগে। আলুটার দাম ঠিক আছে। পটল যে ৮০! আর গরুর মাংসের দাম তো জানেনই ৮২০ টাকা! আমাদের মতো মধ্যবিত্তের ৬ সদস্যের পরিবারের জন্য এটা বেশিই।
ধনেপাতার ১০০ গ্রাম ২৫ টাকায় বিক্রি হলেও লেবুর দাম ফের বেড়েছে। ছোট ছোট লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।
সবজি বিক্রেতা আলমগীর বলেন, টমেটো ও গাজরের দাম বাড়তি। পেঁপে ও পটলে বিরক্ত ক্রেতারা। কিন্তু কিছু করার নাই। কেনাই তো বাড়তি আমাদের।

অর্থনীতি
১৫ দিনে রেমিট্যান্স এলো সাড়ে ১৭ হাজার কোটি টাকা

চলতি অক্টোবর মাসের প্রথম ১৫ দিনে দেশে এসেছে প্রায় ১৪৩ কোটি ৫০ লাখ (এক দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার) মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ১৭ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ, প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৯ কোটি ৫৬ লাখ ডলার বা ১,১৬৭ কোটি টাকার প্রবাসী আয়।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, চলতি বছরের অক্টোবরের প্রথম ১৫ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ কোটি ৫০ লাখ ডলার বেশি। গত বছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিলো ১৩১ কোটি ডলার।
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরু থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ৯০২ কোটি ১০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই-১৩ অক্টোবর, ২০২৪) রেমিট্যান্স ছিলো ৭৮৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার। অর্থবছর অনুযায়ী রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের মাস ভিত্তিক প্রবাসী আয়ের প্রবাহ ছিল যথাক্রমে—জুলাই মাসে ২৪৭ কোটি ৭৮ লাখ ডলার, আগস্টে ২৪২ কোটি ১৯ লাখ ডলার এবং সেপ্টেম্বরে ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ডলার।
উল্লেখ্য, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মার্চ মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি ডলারে পৌঁছেছিলো, যা ছিলো ওই অর্থবছরের সর্বোচ্চ রেকর্ড। পুরো অর্থবছরে প্রবাসী আয় দাঁড়ায় ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিলো ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার। ওই অর্থবছরের মাসভিত্তিক রেমিট্যান্স ছিলো— জুলাইয়ে ১৯১.৩৭ কোটি, আগস্টে ২২২.১৩ কোটি, সেপ্টেম্বরে ২৪০.৪১ কোটি, অক্টোবরে ২৩৯.৫০ কোটি, নভেম্বরে ২২০ কোটি, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি, ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি, মার্চে ৩২৯ কোটি, এপ্রিলে ২৭৫ কোটি, মে মাসে ২৯৭ কোটি এবং জুনে ২৮২ কোটি ডলার।
অর্থনীতি
এক ও দুই টাকার কয়েন নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা

১ ও ২ টাকার কয়েন নিয়ে জনগণের উদ্দেশে নতুন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বিজ্ঞপ্তিতে ১ ও ২ টাকার ধাতব মুদ্রাকে (কয়েন) বৈধ উল্লেখ করার পাশাপাশি তা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানানোর ব্যাপারে সতর্ক করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব কমিউনিকেশন্স অ্যান্ড পাবলিকেশন্স থেকে গণমাধ্যমে এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় ১ ও ২ টাকার ধাতব মুদ্রা লেনদেনে কেউ কেউ অনীহা প্রকাশ করছেন। কিন্তু কাগজের নোটের পাশাপাশি প্রচলিত সব ধরনের ধাতব মুদ্রাই বৈধ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এসব মুদ্রা নগদ লেনদেনে গ্রহণ না করা আইনবিরোধী। সর্বসাধারণকে ১ ও ২ টাকার ধাতব মুদ্রা স্বাভাবিকভাবে লেনদেনে ব্যবহারের অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
অর্থনীতি
বেপজার নতুন নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোয়াজ্জেম

বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) ১৮তম নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দিয়েছেন মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন।
তিনি বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে যোগদান করেন। মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমানের স্থলাভিষিক্ত হলেন মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন।
বেপজায় যোগদানের আগে মেজর জেনারেল মোয়াজ্জেম বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সপ্তম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) এবং বরিশালের এরিয়া কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯২ সালের ২০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্টিলারি কোরে কমিশন লাভ করেন মেজর জেনারেল মোয়াজ্জেম হোসেন। দীর্ঘ ও বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে তিনি কমান্ড, স্টাফ এবং প্রশিক্ষণমূলক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত থেকে অসাধারণ নেতৃত্ব ও পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি দুটি আর্টিলারি ব্রিগেড এবং দুটি আর্টিলারি রেজিমেন্টের নেতৃত্ব দিয়েছেন। এছাড়া বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে প্লাটুন কমান্ডার, একটি ডিভিশনের কর্নেল স্টাফ এবং সেনা সদর দপ্তরের পরিচালক (বাজেট) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ (ডিএসসিএসসি), মিরপুর থেকে স্নাতক এবং ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ (এনডিসি) থেকে ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স (এনডিসি) ও আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স (এএফডব্লিউসি) সম্পন্ন করেছেন।
এছাড়া তিনি চীনের নানজিং আর্টিলারি একাডেমি এবং পাকিস্তানের স্কুল অব আর্টিলারিতে প্রশিক্ষণসহ বিদেশে বিভিন্ন সামরিক মহড়ায় অংশ নিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস থেকে এমফিল ডিগ্রি অর্জন করেছেন এবং বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করছেন।
অর্থনীতি
জাল নোটের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সতর্কবার্তা

দেশে বিপুল পরিমাণ জাল নোট ছড়িয়ে পড়েছে—সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন খবর ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, এ ধরনের ভ্রান্ত তথ্য জনমনে বিভ্রান্তি ও অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের কমিউনিকেশন্স অ্যান্ড পাবলিকেশন্স বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে জাল নোট তৈরি, বহন ও লেনদেন করা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ এবং এটি দণ্ডনীয় অপরাধ। বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জাল টাকার প্রচলন রোধে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে এবং নিয়মিতভাবে কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে।
জনসাধারণকে জাল নোট শনাক্ত ও প্রতিরোধে আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এজন্য চারটি করণীয় নির্দেশনা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সেগুলো হলো—নোট গ্রহণের সময় জলছাপ, নিরাপত্তা সুতা, অসমতল ছাপা, রঙ পরিবর্তনশীল কালি ও ক্ষুদ্র লেখা ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য যাচাই করা, বড় অঙ্কের লেনদেন ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে সম্পন্ন করা, নগদ লেনদেনে যতটা সম্ভব ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করা এবং সন্দেহজনক নোট পেলে বা জাল নোট সংক্রান্ত কোনো তথ্য জানা গেলে তাৎক্ষণিকভাবে নিকটস্থ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অথবা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, ‘আসল নোট চিনুন, নিরাপদ লেনদেন নিশ্চিত করুন’—এই স্লোগানে জনগণকে সচেতন করতে নিয়মিত প্রচারণা চালানো হচ্ছে। আসল নোটের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট ভিজিট করার পরামর্শও দিয়েছে দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থার প্রধান নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি।
অর্থনীতি
আরও ৫ পোশাক কারখানা পেলো এলইইডি সনদ

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে সবুজ শিল্পায়নের ধারা আরও একধাপ এগিয়ে গেলো। সম্প্রতি দেশের আরও পাঁচটি পোশাক কারখানা লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন (এলইইডি) সনদের স্বীকৃতি পেয়েছে। এরমধ্যে তিনটি কারখানা পেয়েছে প্লাটিনাম এবং দুটি পেয়েছে গোল্ড সার্টিফিকেশন।
পরিবেশবান্ধব কারখানার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) এই সনদ দিয়ে থাকে। ইউএসজিবিসি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের স্থপতিদের সমন্বয়ে গঠিত একটি কাউন্সিল। পৃথিবীজুড়ে এটি পরিবেশবান্ধব ভবন ও কারখানা নির্মাণে পরামর্শ ও সহায়তা দিয়ে থাকে।
প্লাটিনাম সার্টিফিকেশনপ্রাপ্ত কারখানাগুলোর মধ্যে পাকিজা নিট কম্পোজিট লিমিটেড এলইইডি প্লাটিনাম সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে ৮৭ পয়েন্ট পেয়ে। ফ্যাশন পালস লিমিটেড ৮৭ পয়েন্ট স্কোর করে এলইইডি প্লাটিনাম সনদ অর্জন করেছে।
একইভাবে, গাভা প্রাইভেট লিমিটেডও ৮৭ পয়েন্ট পেয়ে এলইইডি প্লাটিনাম সার্টিফিকেশন লাভ করেছে।
এদিকে, ভিজ্যুয়াল নিটওয়্যারস লিমিটেড ৭৬ পয়েন্ট পেয়ে এলইইডি গোল্ড সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে। অন্যদিকে, ট্যালিসম্যান পারফরম্যান্স লিমিটেড ৬২ পয়েন্ট স্কোর করে এলইইডি গোল্ড সার্টিফিকেশন পেয়েছে।
বাংলাদেশে সবুজ শিল্পের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা ইউএসজিবিসির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশে মোট ২৬৮টি কারখানা এলইইডি সনদপ্রাপ্ত। যার মধ্যে ১১৪টি প্লাটিনাম ও ১৩৫টি গোল্ড সার্টিফাইড কারখানা। এছাড়া বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি উচ্চ রেটিংপ্রাপ্ত এলইইডি কারখানার মধ্যে ৬৮টি এখন বাংলাদেশের। তৈরি পোশাক খাতের টেকসই উন্নয়নে বাংলাদেশের এ অর্জন বিশ্বে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।