জাতীয়
শেখ পরিবারের নামযুক্ত সেনাবাহিনীর ১৬ স্থাপনার নাম পরিবর্তন

শেখ পরিবারের নামযুক্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আওতাধীন ১৬টি সংস্থা, প্রতিষ্ঠান এবং স্থাপনার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অনুমোদনের পর সম্প্রতি এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আগের নাম বাতিল করে নতুন নামকরণের ঘোষণা দিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
নতুন নামের তালিকা অনুযায়ী, টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু সেনানিবাসের নাম পরিবর্তন করে যমুনা সেনানিবাস রাখা হয়েছে। কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ সেনানিবাসের নতুন নাম হয়েছে মিঠামইন সেনানিবাস। সেইসঙ্গে বরিশালের লেবুখালিতে শেখ হাসিনা সেনানিবাসের নাম বদলে বরিশাল সেনানিবাস, শরীয়তপুরের জাজিরায় শেখ রাসেল সেনানিবাসের নাম পরিবর্তন করে পদ্মা সেনানিবাস রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে অবস্থিত বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্সের নাম পরিবর্তন করে বিএমএ একাডেমিক কমপ্লেক্স রাখা হয়েছে এবং হালিশহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্সের নতুন নাম আর্টিলারি সেন্টার অ্যান্ড স্কুল রাখা হয়েছে। কক্সবাজারের রামু সেনানিবাসে অবস্থিত মুজিব রেজিমেন্ট আর্টিলারির নাম বদলে রাখা হয়েছে ১ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি।
একইসঙ্গে ঢাকার বিজয় সরণিতে অবস্থিত অ্যাডহক বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরের নতুন নাম রাখা হয়েছে বাংলাদেশ সামরিক জাদুঘর। আর শরীয়তপুরের জাজিরায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধু কম্পোজিট মিলিটারি ফার্ম চরজানাজাতের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে কম্পোজিট মিলিটারি ফার্ম জাজিরা।
এ ছাড়াও ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের নাম স্বাধীনতা জাদুঘর, টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বঙ্গবন্ধু ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের নাম যমুনা ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ রাখা হয়েছে। সেইসঙ্গে নারায়ণগঞ্জের জলসিঁড়িতে অবস্থিত শেখ রাসেল ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের নতুন নাম আদমজী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ রাখা হয়েছে।

জাতীয়
ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হবেই: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আপনারা সবাই মিলে জাতীয় সনদ তৈরি করেছেন। এখন সরকারের দায়িত্ব হলো উৎসবমুখর নির্বাচন করে দেওয়া।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই সনদ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জরুরি বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হবেই। উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হবে। তার জন্য যা যা করতে হয়, সাধ্য অনুযায়ী আমরা সবকিছু করব। এর সঙ্গে কোনো কম্প্রোমাইজ করা হবে না।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে জুলাই সনদ সই হবে ১৭ অক্টোবর। জাতি অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রয়েছে। উৎসবমুখরভাবে শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) আমরা সেখানে যাব এবং দলিলে (জুলাই সনদ) সই করব।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জুলাই সনদ সই হয়ে গেলেই শেষ হয়ে যাবে না। এটা মস্ত বড় একটা অধ্যায় শেষ হলো। কিন্তু আরও বহু অধ্যায়ের সূত্রপাত হবে। কাজেই সেইভাবে আমরা আগাবো, যাতে এটা কোথাও হারিয়ে না যায়। পাঠ্যবইসহ নানা জায়গায় এটাকে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ করতে হবে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, যে দলিলগুলো আপনারা তৈরি করেছেন সেগুলো হারিয়ে যাবে না। আমি যতদিন পারি চেষ্টা করব এগুলো যেন প্রত্যেকের কাছে যায়। যেন সবার মনের মধ্যে থাকতে পারে কেন আমরা একমত হতে পেরেছি। একমত হওয়া এক জিনিস, এটাকে সঞ্চারিত করা আরেক জিনিস। এই সঞ্চারণের দায়িত্ব আমাদের নিতে হবে সরকার হিসেবে, আমরা প্রক্রিয়া শুরু করব। বিষয়গুলো জনগণের কাছে প্রচার করার মতো ভাষায় প্রচার করতে হবে। আমি বলে রেখেছি, আপনারা যে বিতর্কগুলো করেছেন এগুলো অমুল্য সম্পদ। এইগুলোকে বিষয়ভিত্তিকভাবে ভিডিও করে, বই করে আমাদের কাছে থাকবে, যাতে হারিয়ে না যায়। সামাজিক মাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রচার করলে সবার কাছে পরিষ্কার হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যে অসম্ভবকে আপনারা সম্ভব করেছেন সেটা শুধু বাংলাদেশের ইতিহাসে না পৃথিবীর রাজনৈতিক ব্যবস্থার ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য হয়ে থাকবে। আপনারা কঠিন কঠিন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং সমাধানে এসেছেন। নিজেরা সবাই আন্তরিকভাবে চেষ্টা করেছেন, একটা ঐকমত্যে পৌঁছাতে পেরেছেন। এজন্য আজকে জুলাই সনদ রচিত হয়েছে। সেজন্য আমি একা নই, জাতির সবাই অভিভূত হয়েছে।
তিনি বলেন, আজকে যেই পয়েন্টে এসেছি, সেটা একটা অবিশ্বাস্য কাণ্ড। মানুষ চিরদিন স্মরণ করবে, বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে গর্ববোধ করছে। আমি একজন ব্যক্তি হিসেবে গর্ববোধ করছি, যে এই কাজের সঙ্গে আমি শরিক ছিলাম, অংশীদার ছিলাম। যেই অসম্ভব কাজ আপনারা করলেন এটা যুগযুগ ধরে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ইতিহাসের স্বর্ণ অক্ষরে লিখে রাখার মতো একটা দিন।
বৈঠকে অংশ নেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), গণসংহতি আন্দোলন, জেএসডি (রব), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, এবি পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
জাতীয়
রবিবার থেকে মেট্রোরেল চলাচলের সময় বাড়ছে

রাজধানী ঢাকার জনপ্রিয় গণপরিবহন মেট্রোরেল চলাচলের সময় এক ঘণ্টা বাড়ছে। আগামী রোববার (১৯ অক্টোবর) থেকে এ বাড়তি সময়ে চলাচল শুরু হবে। পাশাপাশি আগামী মাসের মাঝামাঝিতে মেট্রোরেলের ট্রিপের সংখ্যা বাড়ানো হবে। ট্রিপ বাড়লে দুই ট্রেনের মধ্যে বিরতি অন্তত দুই মিনিট কমে যাবে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) মেট্রোরেল নির্মাণ-পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।
ডিএমটিসিএল সূত্র জানায়, মেট্রোরেল চলাচলের সময় ও ট্রিপের সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে গত মাসে সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। এ লক্ষ্যে গত ২৫ সেপ্টেম্বর পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু হয়। এর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার এক বৈঠকে প্রথমে বাড়তি এক ঘণ্টা মেট্রোরেল চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় ডিএমটিসিএল।
আজ দুপুরে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে জানানো হয়, মেট্রোরেল চলাচলের সময় ও ট্রিপের সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে গত মাসে সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। এ লক্ষ্যে গত ২৫ সেপ্টেম্বর পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু হয়। এর মাঝে গতকাল মঙ্গলবার এক বৈঠকে প্রথমে বাড়তি এক ঘণ্টা মেট্রোরেল চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় ডিএমটিসিএল। অন্যদিকে আগামী মাসের মাঝামাঝিতে মেট্রোরেলের ট্রিপের সংখ্যা বাড়ানো হবে। ট্রিপ বাড়লে দুই ট্রেনের মধ্যে বিরতি অন্তত দুই মিনিট কমে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএমটিসিএলের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, মেট্রোরেল চালুর পর যাত্রী সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। তাদের চাহিদা অনুযায়ী পর্যাক্রমে সেবা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী রোববার থেকে দিনে এক ঘণ্টা বাড়তি সময় মেট্রোরেল চালানোর চেষ্টা চলছে। এছাড়া আগামী মাসের মাঝামাঝি সময়ে ট্রিপ বাড়াতে প্রস্তুতি চলছে।
ডিএমটিসিএল সূত্র জানায়, বর্তমানে মেট্রোরেলে দৈনিক গড়ে সাড়ে চার লাখ যাত্রী চলাচল করেন। বাড়তি সময় ও ট্রিপ শুরু হলে যাত্রীসংখ্যা পাঁচ লাখ ছাড়িয়ে যাবে। এ লক্ষ্য নিয়েই ডিএমটিসিএল প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বর্তমানে সপ্তাহে ছয় দিন (শনি থেকে বৃহস্পতিবার) উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে দিনের প্রথম ট্রেন ছাড়ে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে। আগামী রোববার নতুন সূচিতে চলাচল শুরু হলে এই স্টেশন থেকে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে প্রথম ট্রেন ছাড়বে। এখন উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে সবশেষ ট্রেন রাত ৯টায় ছাড়ে। নতুন সূচিতে ছাড়বে রাত সাড়ে ৯টায়।
বর্তমানে মতিঝিল থেকে দিনের প্রথম ট্রেন ছাড়ে সকাল সাড়ে ৭টায়। নতুন সূচিতে সকাল ৭টায় ছাড়বে। রাতে মতিঝিল থেকে সবশেষ ট্রেন ছাড়ে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে। নতুন সূচিতে ছাড়বে রাত ১০টা ১০ মিনিটে। মতিঝিল থেকে ছাড়া সবশেষ ট্রেন এখন উত্তরা উত্তর স্টেশনে পৌঁছায় রাত ১০টার পর। নতুন সূচিতে পৌঁছাবে রাত পৌনে ১১টার দিকে।
এছাড়া এখন শুক্রবার বিকেল তিনটা থেকে মেট্রোরেলের চলাচল শুরু হয়। নতুন সূচিতে সময় আধঘণ্টা এগিয়ে বেলা আড়াইটায় চলাচল শুরু হবে। রাতে চলাচলের সময় বাড়বে আধা ঘণ্টা।
উত্তরা থেকে মতিঝিল রুটে চালানোর জন্য এখন ২৪ সেট ট্রেন রয়েছে। প্রতি সেটে ছয়টি কোচ। বর্তমানে ১২ সেট ট্রেন সার্বক্ষণিক যাত্রী নিয়ে চলাচল করে। ডিএমটিসিএল সূত্র জানায়, বাড়তি সময়ে চালালে ও ট্রিপের সংখ্যা বাড়ালে সার্বক্ষণিক ব্যবহার করা হবে ১৯ সেট ট্রেন। দুই সেট ট্রেন সবসময় ওয়ার্কশপে রাখা হয়। এগুলো দিয়ে চালকের নানান ধরনের পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। এছাড়া সকালে যাত্রী নিয়ে চলাচল শুরুর আগে লাইন পরীক্ষার জন্য এক সেট ট্রেন যাত্রীবিহীন চালানো হয়।
জাতীয়
হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে খালেদা জিয়াকে

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে যাবেন। আজ বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন তিনি। রাত ১১টার দিকে তিনি হাসপাতালে পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবং দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণে প্রয়োজনীয় কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তাকে হাসপাতালে নেওয়া হবে। পরীক্ষা শেষে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
দীর্ঘদিন ধরে নানান জটিল রোগে ভুগছেন খালেদা জিয়া। তিনি বর্তমানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রাখতে চিকিৎসকরা নিয়মিত তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখছেন।
জাতীয়
ইতালি-চীন-পাকিস্তান-তুরস্ক থেকে যুদ্ধবিমান-হেলিকপ্টার কিনছে বাংলাদেশ

দেশের বিমানবাহিনীর আধুনিকায়নে গভীর মনোযোগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরই মধ্যে চীনের কাছ থেকে জে-১০সি যুদ্ধবিমান কেনার সিদ্ধান্ত ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে বিভিন্ন মহলে। এর রেশ কাটতে না কাটতেই এবার খবর, ইতালির কাছ থেকে কেনা হচ্ছে ইউরোফাইটার টাইফুন। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান এবং তুরস্কের তৈরি টি-১২৯ অ্যাটাক হেলিকপ্টারও যোগ হতে যাচ্ছে দেশের বিমানবাহিনীর বহরে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, ২০২৭ সালের মধ্যে ইতালি থেকে ১০টি ৪.৫ প্রজন্মের মাল্টি-রোল কমব্যাট এয়ারক্রাফট ইউরোফাইটার টাইফুন এবং তুরস্ক থেকে ছয়টি টি-১২৯ অ্যাটাক হেলিকপ্টার কেনার পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশের। এ উদ্যোগের নীতিগত অনুমোদন ও দুই দেশের সরকারের সম্মতিতে চুক্তিপত্র চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে ইতালি ও তুরস্কের পক্ষের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করবে অন্তর্বর্তী সরকার।
আর এ পরিকল্পনায় একজন এয়ার ভাইস মার্শালকে সভাপতি করে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির সমন্বয়ে ১২ সদস্যের একটি আন্তমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হবে। এতে প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ও বিমান সদরের বিশেষজ্ঞরা থাকবেন। এসব সংস্থাকে চলতি মাসের ২০ তারিখের মধ্যে প্রতিনিধি মনোনয়ন করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে ইতালি ও তুরস্কের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনায় বসবে এই যৌথ কমিটি এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরের মধ্যে ক্রয়চুক্তি সম্পন্ন করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, যৌথ কমিটি খসড়া চুক্তিপত্র পর্যালোচনা, দর-কষাকষি, চূড়ান্ত মূল্য নির্ধারণ, অর্থপরিশোধ পদ্ধতি ও আনুষঙ্গিক বিষয় নির্ধারণ করবে। চুক্তিতে থাকবে যুদ্ধবিমান সংরক্ষণ, প্রশিক্ষণ, খুচরা যন্ত্রাংশ ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি শর্তাবলি। ক্রয় প্রক্রিয়া জিটুজি (সরকার-টু-গভর্নমেন্ট) পদ্ধতিতেই যাচাই-বাছাই করে করা হবে।
এর আগে, চীনের কাছ থেকে ২০টি জে-১০সি ক্রয়ের ব্যাপারে আলোচনা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। অত্যাধুনিক এ যুদ্ধবিমানগুলো কেনার জন্য প্রায় ২২০ কোটি ডলারের এক প্রস্তাব রাখে সরকার। তাছাড়া, পাকিস্তানের কাছ থেকে ১৬টি জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমানের জন্য আরও প্রায় ৭২০ মিলিয়ন ডলার খরচ ধরা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, পাক-ভারত ও চীন-ভারত সীমান্তে চলমান উত্তেজনা, অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর ও মায়ানমারের সংকট বিবেচনায় দেশের বিমানবাহিনীর আধুনিকায়ন জরুরি। সামরিক সক্ষমতা শক্তিশালী করাই এখন অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকার।
ইউরোফাইটার টাইফুনের বিশেষত্ব:
বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত যুদ্ধবিমানগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ইউরোফাইটার টাইফুন। ফ্রান্সের তৈরি রাফালের সঙ্গে অনেকটাই মিল আছে এর। যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালি ও স্পেনের সম্মিলিত উদ্যোগে এটি তৈরি করেছে একটি কনসোর্টিয়াম। আকাশে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন, শত্রুপক্ষের প্রতিরক্ষাব্যবস্থায় ভাঙন, স্থল আক্রমণ, বৈদ্যুতিক যুদ্ধ—সব ক্ষেত্রে টাইফুন দক্ষতার স্বাক্ষর রাখে। ন্যাটো মানসম্পন্ন টাইফুনে রয়েছে উন্নত প্রযুক্তি ও নমনীয় মডুলার কাঠামো। এর দুটি ইউরোজেট ইজে২০০ টার্বোফ্যান ইঞ্জিন ঘণ্টায় সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৯৫ কিলোমিটার গতিতে উড়তে পারে। রিফুয়েলিং ছাড়া একটানা দুই হাজার ৯০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সক্ষম। সর্বোচ্চ ৫৫ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়তে সক্ষম এই টাইফুন।
ডেল্টা-ডানা ও কানার্ড নকশা যুদ্ধবিমানটিকে দেয় অতুলনীয় গতিশীলতা। এক আসনের হলেও রয়েছে দুই আসনের সংস্করণ। দৈর্ঘ্য প্রায় ১৬ মিটার, ডানার প্রস্থ ১১ মিটার, খালি অবস্থায় ওজন ১১ টন এবং সর্বোচ্চ টেক-অফ ওজন ২৩.৫ টন। এ ছাড়া প্রযুক্তি, রাডার ও সেন্সর সুবিধা, অস্ত্র বহনের সক্ষমতা, স্টেলথ প্রযুক্তি থাকায় শত্রুর রাডারে সহজে ধরা পড়ে না এবং উচ্চতাপ সহনশীল হওয়ায় দীর্ঘক্ষণ লড়াইয়ের সক্ষমতা আছে এই বিমানের।
জাতীয়
চার জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক

দেশের চার জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। জেলাগুলো হলো- চট্টগ্রাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, মাদারীপুর, ফেনী।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ফেনীর জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলামকে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মনিরা হককে ফেনীর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পদে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
এ ছাড়া বিদ্যুৎ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ সোলায়মানকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পদে এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপসচিব মিজ আফছানা বিলকিসকে মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখের প্রজ্ঞাপনমূলে মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল, জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, নওগাঁকে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, চট্টগ্রাম হিসেবে বদলির আদেশে তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য অংশটুকু এতদ্বারা বাতিল করা হলো। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।