Connect with us

আইন-আদালত

রাষ্ট্রপতিকে প্রধান বিচারপতির শপথ পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে রিট

Published

on

বিএসইসি

রাষ্ট্রপতিকে জাতীয় সংসদের স্পিকারের শপথবাক্য পাঠ করানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়েছে। রিটে রাষ্ট্রপতিকে প্রধান বিচারপতি শপথ পাঠ করাবেন মর্মে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

সোমবার (১০ মার্চ) গীতিকবি ও সংবিধান বিশ্লেষক শহীদুল্লাহ ফরায়জীর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার ওমর ফারুক এই রিট আবেদন করেন।

রিটে আইন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে। ব্যারিস্টার ফারুক গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রথম সংবিধানে রাষ্ট্রপতিকে প্রধান বিচারপতির শপথ পড়ানোর বিধান ছিল। পরবর্তীতে সংবিধান সংশোধন করে রাষ্ট্রপতিকে স্পিকারের শপথ পড়ানোর বিধান সংযুক্ত করা হয়। আমরা রিটে চেয়েছি রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতিকে যেমন শপথ পড়াবেন, তেমনি রাষ্ট্রপতিকে প্রধান বিচারপতি শপথ পড়াবেন।

রিটের যুক্তিতে শহীদুল্লাহ ফরায়জী বলেন, বিশ্বের অধিকাংশ দেশে রাষ্ট্রপতি বা প্রেসিডেন্টকে শপথবাক্য পাঠ করান সেই দেশের প্রধান বিচারপতি। সংসদীয় সরকার পদ্ধতি বা রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকার পদ্ধতির দেশেও রাষ্ট্রপতি শপথ গ্রহণ করেন প্রধান বিচারপতির কাছে। এটা বিশ্বব্যাপী সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত ও প্রতিষ্ঠিত রেওয়াজ। কিন্তু বাংলাদেশে এর ব্যত্যয় দেখা যাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশের রাষ্ট্রপতিকে শপথবাক্য পাঠ করান জাতীয় সংসদের স্পিকার। রাষ্ট্রের প্রধানের শপথ গ্রহণের ক্ষেত্রে বিচার বিভাগকে উপেক্ষা করা প্রকারান্তরে রাষ্ট্রের তিন বিভাগের মধ্যে ভারসাম্য বিনষ্ট করা। এতে সংবিধানের গভীর দার্শনিক ভিত্তি থেকে রাষ্ট্র বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সেই দার্শনিক ভিত্তি হচ্ছে- রাষ্ট্রপতি সংসদ কর্তৃক নির্বাচিত হয়ে প্রধান বিচারপতির কাছে শপথ গ্রহণ করে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন, এটাই হচ্ছে প্রজাতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য সাংবিধানিক নির্দেশনা।

বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে।

কাফি

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আইন-আদালত

স্ত্রী-ছেলেসহ সালমান এফ রহমানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

Published

on

বিএসইসি

শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা এবং বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, তার স্ত্রী সৈয়দা রুবাবা রহমান, ভাই আহমেদ সোহাইল ফসিহুর রহমান, ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান এবং আহমেদ সোহাইলের ছেলে আহমেদ শাহরিয়ার রহমানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১০ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, দুদকের পক্ষ থেকে সালমান এফ রহমানসহ পাঁচজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করা হয়। আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন।

এর আগে মামলার অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, সালমান এফ রহমান ও অন্যদের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজার জালিয়াতি এবং বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ গ্রহণপূর্বক আত্মসাৎসহ হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। এ অবস্থায় সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা একান্ত আবশ্যক।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

আইন-আদালত

নাসা গ্রুপের নজরুলের তিন দেশের সম্পদ জব্দের আদেশ

Published

on

বিএসইসি

নাসা গ্রুপের কর্ণধার ও এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের নামে থাকা বিদেশের সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে যুক্তরাজ্য, আইল অব ম্যান ও জার্সিতে তার সম্পদ রয়েছে।

রবিবার (৯ মার্চ) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আক্তারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

জব্দ হওয়া স্থাবর সম্পদের মধ্যে যুক্তরাজ্যে ৩৭ দশমিক ৯৫ মিলিয়নের পাঁচটি বাড়ি রয়েছে। এছাড়া আইল অব ম্যানে একটি ও জার্সিতে একটি বাড়ি রয়েছে। পাশাপাশি আইলে অব ম্যানে থাকা একটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

এর আগে, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৭৮১ কোটি ৩১ লাখ ২২ হাজার ৪৫৪ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

আইন-আদালত

সিকদার পরিবারের ৪২ বিও অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধ

Published

on

বিএসইসি

ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও ব্যবসায়ী জয়নুল হক সিকদার ও তার পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন ৪২টি বিও হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রবিবার (৯ মার্চ) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক আশিকুর রহমান এসব হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের জয়নুল হক সিকদার ও সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, নামে-বেনামে জনগণের আমানতের অর্থ লুটপাটসহ ঘুষের বিনিময়ে বিধিবহির্ভূতভাবে ঋণ দেওয়া ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য চার সদস্য বিশিষ্ট একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। অভিযোগ অনুসন্ধানকালে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সিকদার পরিবারের সদস্য কর্তৃক জনগণের আমানতকৃত হাজার হাজার কোটি টাকা বিধিবহির্ভূতভাবে ঋণ প্রদান ও মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে আত্মসাতের তথ্য পাওয়া যায়। ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের লিগ্যাল ডিভিশন থেকে ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান জয়নুল হক সিকদার ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ছত্রছায়ায় দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধান চলমান।

এদিকে গত ২৯ আগস্ট অনুষ্ঠিত ব্যাংকের ৫০৬তম সভার নির্দেশনা অনুযায়ী সিকদার পরিবার ও সংশ্লিষ্ট সহযোগী প্রতিষ্ঠানের নামে ন্যাশনাল ব্যাংক লি. এবং এনবিএল সিকিউরিটিজ লি. এর ধারণকৃত শেয়ারের তালিকা প্রেরণ করা হয়। উল্লিখিত শেয়ারগুলোর হস্তান্তর স্থগিত/ব্লক করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ব্যাংক ও ব্যাংকের আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ব্যাংক থেকে অনুরোধ জানানো হয়।

প্রাপ্ত তথ্যমতে বর্তমানে সিকদার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্য বিদেশে অবস্থান করছেন। বিদেশে থেকে তারা তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট শেয়ারগুলো বিক্রি/স্থানান্তরের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মর্মে তথ্য পাওয়া যায়। যেহেতু উক্ত বিও অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সিকদার পরিবারের সদস্য এবং তাদের নিকট আত্মীয়দের নামে অর্জিত শেয়ারগুলো বিক্রি/স্থানান্তর হয়ে গেলে রাষ্ট্রের সমূহ ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। সেজন্য এসব বিও হিসাব অবিলম্বে অবরুদ্ধ করা একান্ত আবশ্যক।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

আইন-আদালত

সাবেক মেয়র সূচনার ফ্ল্যাট ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের আদেশ

Published

on

বিএসইসি

দুর্নীতি মামলায় কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র তাহসীন বাহার সূচনার ৯টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া রাজধানীর উত্তরায় জমিসহ একটি ফ্ল্যাট ক্রোক করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৩ মার্চ) দুর্নীতি দমন কমিশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া এই আদেশ দেন।

দুদকের পক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর রেজাউল করিম রেজা আবেদনটি করেন। আবেদনে বলা হয়, সূচনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলোতে ১ কোটি ৫৯ লাখ টাকার বেশি জমা আছে এবং তার ফ্ল্যাটটি শহরের উত্তরা এলাকায় অবস্থিত।

আবেদনে আরও বলা হয়, কুমিল্লা-৬ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের মেয়ে সূচনার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় থেকে ৩ কোটি ৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৭০ টাকা অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। তার সঙ্গে জড়িত ১৬টি ব্যাংক হিসাবে ৪ কোটি ২২ লাখ ৫৮ লাখ ৭৫ হাজার ১৯৩ টাকা সন্দেহজনক লেনদেনসহ অস্বাভাবিক আর্থিক কর্মকাণ্ডের প্রমাণ পেয়েছে দুদক।

বিশ্বস্ত সূত্রে দুদক জানতে পেরেছে, সূচনা ওইসব অ্যাকাউন্ট থেকে ওই অর্থ অন্যত্র স্থানান্তরের চেষ্টা করছে। তাই তাকে এ কাজ থেকে বিরত রাখার জন্য একটি আদেশ প্রয়োজন।

২০ জানুয়ারি বাহার, মেহেরুন্নেসা এবং তাহসিনের বিরুদ্ধে তিনটি পৃথক দুর্নীতির মামলা করে দুদক।

গত বছরের ১১ নভেম্বর একই আদালত এ কে এম বাহাউদ্দিন বাহার, তার স্ত্রী মেহেরুন্নেসা, মেয়ে তাহসীন বাহার সূচনা এবং ছেলে আইমন বাহারের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

তাহসীন বাহার সূচনা কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রথম নারী মেয়র ছিলেন। তার বাবা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার কুমিল্লা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। সূচনা কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন।

২০২৪ সালের ৯ মার্চ তিনি কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের উপনির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মেয়র নির্বাচিত হন। ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়ার পর ১৯ আগস্ট দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের মেয়রকে অপসারণ করায় তিনি পদচ্যুত হন। এরপর থেকে পলাতক রয়েছে সূচনা।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

আইন-আদালত

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদার খালাসের রায় বহাল

Published

on

বিএসইসি

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড থেকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া খালাসের রায় বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

সোমবার (৩ মার্চ) সকালে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

এর আগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড থেকে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে খালাস দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর রাষ্ট্রপক্ষ গত মাসে লিভ টু আপিল করে। আবেদনের বিষয়ে উল্লেখ করে ২৩ ফেব্রুয়ারি সময়ের আরজি জানান দুদকের আইনজীবী। এরই পরিপরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের আপিল বিভাগ বিষয়টি ‘নট টুডে’ (আজ নয়) রাখেন। ওইদিন আদালত বলেন, এক সঙ্গে শুনানি হবে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সেটি শুনানির জন্য কজলিস্টে ওঠে।

মামলায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ এর আগে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে, যা ২৩ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ছিল। ওইদিন আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে বিষয়টি উল্লেখ করে দুদকের আইনজীবী আসিফ হাসান বলেন, দুদক লিভ টু আপিল করেছে। একসঙ্গে শুনানির জন্য সময়ের আরজি জানান তিনি।

এ সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক। পরে তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিলের সঙ্গে দুদকের করা লিভ টু আপিল রোববার (২ মার্চ) আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় আসবে।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালতের দণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া এবং অপর দুজনের করা পৃথক আপিল মঞ্জুর করে গত ২৭ নভেম্বর রায় দেন হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতের দেওয়া রায় বাতিল করা হয়। মামলা থেকে খালাস পান খালেদা জিয়া ও অপর দুজন। এই দুজন হলেন হারিস চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম ও সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর রাষ্ট্রপক্ষ ফেব্রুয়ারি মাসে লিভ টু আপিল করে। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে গত ২০ ফেব্রুয়ারি দুদক একটি লিভ টু আপিল করে। এই দুই লিভ টু আপিলের ওপর এখন আপিল বিভাগে একসঙ্গে শুনানি হতে যাচ্ছে।

দুদকের আইনজীবী আসিফ হাসান বলেন, দুদকের আবেদনটি কার্যতালিকায় ছিল না। তাই রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিলের সঙ্গে ট্যাগ করে একসঙ্গে শুনানির জন্য আরজি জানিয়ে সময় চাওয়া হয়।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। একই সাজা হয় অপর আসামিদের।

বিচারিক আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে একই বছরের ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া। শুনানি নিয়ে ২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে বিচারিক আদালতের দেওয়া অর্থদণ্ডের আদেশ স্থগিত করেন।

এর ধারাবাহিকতায় খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য উদ্যোগ নেন তার আইনজীবীরা। আপিল শুনানির পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে মামলার পেপারবুক (মামলার বৃত্তান্ত) তৈরির জন্য অনুমতি চেয়ে খালেদা জিয়ার আবেদন গত বছরের ৩ নভেম্বর মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট। শুনানি শেষে এই আপিল মঞ্জুর করে রায় দেন হাইকোর্ট।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

পুঁজিবাজারের সর্বশেষ

বিএসইসি বিএসইসি
পুঁজিবাজার2 hours ago

বিএসইসির সার্ভেইল‍্যান্সে অনিয়মের শঙ্কা দুদকের

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সার্ভেইল‍্যান্স সিস্টেমের ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়ে...

বিএসইসি বিএসইসি
পুঁজিবাজার3 hours ago

পদত্যাগ করলেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক (ইডি) মো. মাহবুবুল আলম...

বিএসইসি বিএসইসি
পুঁজিবাজার4 hours ago

বিএসইসির ঘটনা বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন করেছে: চেয়ারম্যান

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন বিএসইসিতে সংঘঠিত ঘটনা দেশে ও বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন করেছে এবং এ ধরণের ন্যাক্কারজনক...

বিএসইসি বিএসইসি
পুঁজিবাজার5 hours ago

জামিন পেলেন বিএসইসির ১৩ কর্মকর্তা

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের গানম্যান মো. আশিকুর রহমান করা...

বিএসইসি বিএসইসি
পুঁজিবাজার6 hours ago

তুং হাই নিটিংয়ের সর্বোচ্চ দরপতন

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৪ কোম্পানির মধ্যে...

বিএসইসি বিএসইসি
পুঁজিবাজার6 hours ago

দরবৃদ্ধির শীর্ষে বসুন্ধরা পেপার

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৪ কোম্পানির...

Orion Infusion Orion Infusion
পুঁজিবাজার6 hours ago

লেনদেনের শীর্ষে ওরিয়ন ইনফিউশন

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৯৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট...

Advertisement
Advertisement

Advertisement

সোশ্যাল মিডিয়া

২০১৮ সাল থেকে ২০২৩

অর্থসংবাদ আর্কাইভ

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১৩১৫
১৬১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১  
বিএসইসি
জাতীয়10 minutes ago

বেক্সিমকোর ১৬ হাজার শ্রমিকের চূড়ান্ত পাওনা পরিশোধ

বিএসইসি
অর্থনীতি31 minutes ago

এলডিসি উত্তরণে আরও ২-৩ বছর সময় প্রয়োজন: ডিসিসিআই

বিএসইসি
রাজনীতি39 minutes ago

বিচার ও সংস্কার করুন, আমরাই নির্বাচনের ব্যবস্থা করে দেব: নাহিদ

বিএসইসি
জাতীয়44 minutes ago

এনআইডিতে যুক্ত করা যাবে একাধিক স্ত্রীর নাম

বিএসইসি
জাতীয়58 minutes ago

নাগরিক সেবা নিয়ে ডিএনসিসির গণশুনানি আগামীকাল

বিএসইসি
পুঁজিবাজার2 hours ago

বিএসইসির সার্ভেইল‍্যান্সে অনিয়মের শঙ্কা দুদকের

বিএসইসি
অর্থনীতি2 hours ago

ঈদে আসবে না ‘নতুন নোট’

বিএসইসি
পুঁজিবাজার3 hours ago

পদত্যাগ করলেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম

বিএসইসি
রাজনীতি3 hours ago

জুলাইয়ে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এনসিপির ইফতার

বিএসইসি
আইন-আদালত3 hours ago

রাষ্ট্রপতিকে প্রধান বিচারপতির শপথ পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে রিট

বিএসইসি
জাতীয়10 minutes ago

বেক্সিমকোর ১৬ হাজার শ্রমিকের চূড়ান্ত পাওনা পরিশোধ

বিএসইসি
অর্থনীতি31 minutes ago

এলডিসি উত্তরণে আরও ২-৩ বছর সময় প্রয়োজন: ডিসিসিআই

বিএসইসি
রাজনীতি39 minutes ago

বিচার ও সংস্কার করুন, আমরাই নির্বাচনের ব্যবস্থা করে দেব: নাহিদ

বিএসইসি
জাতীয়44 minutes ago

এনআইডিতে যুক্ত করা যাবে একাধিক স্ত্রীর নাম

বিএসইসি
জাতীয়58 minutes ago

নাগরিক সেবা নিয়ে ডিএনসিসির গণশুনানি আগামীকাল

বিএসইসি
পুঁজিবাজার2 hours ago

বিএসইসির সার্ভেইল‍্যান্সে অনিয়মের শঙ্কা দুদকের

বিএসইসি
অর্থনীতি2 hours ago

ঈদে আসবে না ‘নতুন নোট’

বিএসইসি
পুঁজিবাজার3 hours ago

পদত্যাগ করলেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম

বিএসইসি
রাজনীতি3 hours ago

জুলাইয়ে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এনসিপির ইফতার

বিএসইসি
আইন-আদালত3 hours ago

রাষ্ট্রপতিকে প্রধান বিচারপতির শপথ পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে রিট

বিএসইসি
জাতীয়10 minutes ago

বেক্সিমকোর ১৬ হাজার শ্রমিকের চূড়ান্ত পাওনা পরিশোধ

বিএসইসি
অর্থনীতি31 minutes ago

এলডিসি উত্তরণে আরও ২-৩ বছর সময় প্রয়োজন: ডিসিসিআই

বিএসইসি
রাজনীতি39 minutes ago

বিচার ও সংস্কার করুন, আমরাই নির্বাচনের ব্যবস্থা করে দেব: নাহিদ

বিএসইসি
জাতীয়44 minutes ago

এনআইডিতে যুক্ত করা যাবে একাধিক স্ত্রীর নাম

বিএসইসি
জাতীয়58 minutes ago

নাগরিক সেবা নিয়ে ডিএনসিসির গণশুনানি আগামীকাল

বিএসইসি
পুঁজিবাজার2 hours ago

বিএসইসির সার্ভেইল‍্যান্সে অনিয়মের শঙ্কা দুদকের

বিএসইসি
অর্থনীতি2 hours ago

ঈদে আসবে না ‘নতুন নোট’

বিএসইসি
পুঁজিবাজার3 hours ago

পদত্যাগ করলেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম

বিএসইসি
রাজনীতি3 hours ago

জুলাইয়ে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এনসিপির ইফতার

বিএসইসি
আইন-আদালত3 hours ago

রাষ্ট্রপতিকে প্রধান বিচারপতির শপথ পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে রিট