ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
৪৭তম বিসিএসের আবেদন শুরু আজ

সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন (বিপিএসসি) ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে ৪৭তম বিসিএসের আবেদন। প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন ৩০ জানুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।
পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষা থেকে আবেদন ফি ও মৌখিক পরীক্ষার (ভাইভা) নম্বর কমানো হয়েছে। এ বিসিএসে মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ২০০ থেকে কমিয়ে ১০০ করা হয়েছে।
আবেদন ফি ৭০০ টাকার পরিবর্তে ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীভুক্ত প্রার্থী, প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য আবেদন ফি ধরা হয় ৫০ টাকা।
গত ৯ ডিসেম্বর থেকে এই বিসিএসের আবেদন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সরকারি চাকরিতে আবেদন ফি কমানোর প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় ৪৭তম বিসিএসের আবেদন গ্রহণ স্থগিত রাখে পিএসসি।
গত ২৮ নভেম্বর ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুযায়ী, ৪৭তম বিসিএসের আবেদনপত্র পূরণ ও ফি জমা শুরু হওয়ার কথা ছিল ১০ ডিসেম্বর সকাল ১০টায়। শেষ সময় ছিল ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। এবার প্রথমবারের মতো আবেদনের বয়সসীমা থাকছে ৩২ বছর। তবে অনিবার্য কারণে ৪৭তম বিসিএসের অনলাইন আবেদন স্থগিত করে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
৪৭তম বিসিএসে তিন হাজার ৪৮৭ জনকে ক্যাডার এবং নন-ক্যাডার পদে ২০১ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। সবচেয়ে বেশি শূন্যপদ স্বাস্থ্য ক্যাডারে। এ ক্যাডারে সহকারী সার্জন পদে ১ হাজার ৩৩১ এবং সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে ৩০টি শূন্যপদে নিয়োগ দেওয়া হবে।
কাফি

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
শিক্ষার্থীর মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে ছাত্রশিবিরের ‘টর্চ লাইট’ মিছিল

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মেধাবী শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহ’র রহস্যজনক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে ‘টর্চ লাইট’ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এসময় নিরাপদ ক্যাম্পাস ও শতভাগ আবাসিকতা নিশ্চিত করার দাবিও জানান সংগঠনটি।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) রাত ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় থেকে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকের সামনে সমবেত হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে তারা।
মিছিলে তারা ‘আমার ভাই মরলো কেন’ প্রশাসন জবাব চাই’, ‘পুকুরে লাশ কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘সাজিদ হত্যার তদন্ত, করতে হবে করতে হবে’, ‘আর কত পরলে লাশ, প্রশাসনের হবে লাজ’, ‘ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত কর, করতে হবে’, ‘লাশ নিয়ে রাজনীতি, চলবে না চলবে না’, ‘প্রশাসনের তালবাহানা, চলবে না চলবে না’, ‘শিবিরের অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরো দিবো রক্ত’ ইত্যাদি স্লোগান দেয়।
এসময় শাখা ছাত্রশিবির নেতা হাসানুল বান্না অলি বলেন, ‘সদর হাসপাতালের ডাক্তার বলেছে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আসতে আড়াই মাস সময় লাগবে। আমরা আগামী ২ দিনের মধ্যে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট দেখতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির আগামী ৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন টালবাহানা করে তদন্তের নামে মুলা ঝুলিয়ে দেয়। আমরা কেউ সাজিদের মতো হতে চাই না। আমরা তার রহস্যময় মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।’
শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মু. মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘আমরা আজকে সবাই এখানে একত্রিত হয়েছি আমাদের ভাই সাজিদ আবদুল্লাহকে কেন হারালাম এটা জানার জন্যে। এটার সুষ্ঠু তদন্ত প্রশাসনকে করতে হবে। এটা নিয়ে প্রশাসন কোন অবহেলা করতে পারবে না, এটাকে নিয়ে কোন রাজনীতির আশ্রয় নেয়া যাবে না। আপনারা শিক্ষার্থীদের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন-দশ কার্যদিবসের ভেতরে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করবেন। যদি তা এগারো দিনে গড়ায় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়কে অচল করে দেয়া হবে। আজকে ছাত্রশিবির দলীয় দাবি নিয়ে এখানে আসে নাই, শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এখানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।’
এছাড়া তিনি আরও বলেন, ‘এখানে শিক্ষার্থীদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয় নাই। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে লাইটিং ও সিসিটিভি স্থাপন করা হয় নাই, যদি আপনারা মনে করেন আপনাদের টাকা নাই, নিজেদের কাঙ্গালী মনে হয়, তাহলে আমাদেরকে বলুন ভিক্ষা দিয়ে প্রশাসনকে সহায়তা করবো। কিন্তু এই কাঙ্গালিপনা আমাদের দেখাবেন না।’
তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবি নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিত করতে হবে। বড় ভাই রাজনীতি সিস্টেম আর চলবে না। শুধু এখানে-সেখানে বক্তব্য দেয়া প্রশাসনের কাজ নয়। শিক্ষার্থীদর নিরাপত্তা নিশ্চিত সহ সুবিধা-অসুবিধা দেখা প্রশাসনের কাজ। যদি শিক্ষার্থীদের সুবিধা-অসুবিধা না বুঝেন তাহলে এমন এক আন্দোলন গড়ে তোলা হবে যাতে প্রশাসন টিকতে পারবে না। ইকসু নিশ্চিত করতে হবে তাহলে প্রশাসন হবে শিক্ষার্থীবান্ধব। নাহলে প্রশাসন শিক্ষার্থীবান্ধব হবে না। আগামীকাল থেকে শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ে যে আন্দোলন হবে ইসলামী ছাত্রশিবির সবসময় সাথে থাকবে।’
অর্থসংবাদ/সাকিব/কাফি
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবি শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় দুই তদন্ত কমিটি গঠন

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শাহ আজিজুর রহমান হল পুকুরে এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় প্রশাসন কর্তৃক পাঁচ সদস্যের ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি এবং ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে শহীদ জিয়াউর রহমান হল প্রশাসন।
শুক্রবার (১৮ জুলাই ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ ও শহীদ জিয়াউর রহমান হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আব্দুল গফুর গাজী স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এসব তথ্য জানা যায়।
অফিস সূত্রে জানা যায়, গত (১৭জুলাই) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে শাহ আজিজুর রহমান হল সংলগ্ন পুকুর থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২০২২ বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহ’র ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে সঠিক ও প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদানের জন্য উপাচার্য একটি ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করেছেন।
ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন। অন্য সদস্যরা হলেন- শাহ আজিজুর রহমান হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড.এ টি এম মিজানুর রহমান, লালন শাহ হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. গাজী আরিফুজ্জামান খান, আল হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান ও সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড.খাইরুল ইসলাম।
গঠিত কমিটিকে আগামী ১০ (দশ) কার্যদিবসের মধ্যে উপাচার্যের নিকট রিপোর্ট পেশ করার জন্য অনুরোধ করা হয়।
ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট সদস্যদের নিয়ে আগামীকাল থেকেই কার্যক্রম শুরু করবো। যেহেতু বিষয়টি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার সাথে জড়িত।’
এদিক হল প্রশাসনের আদেশ সূত্রে জানা যায়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২০২২ বর্ষের শহীদ জিয়াউর রহমান হলের ১০৯ নং কক্ষে অবস্থানরত মেধাবী শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহ এর পুকুরে ডুবে মৃত্যুর বিষয়টি যথাযথ তদন্ত করে প্রতিবেদন প্রদানের লক্ষ্যে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হলো।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, ‘ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হল প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকেও একটি তদন্ত কিমিটি করছে। ময়নাতদন্ত করা হয়েছে, রিপোর্ট পেলেই আমরা প্রকৃত ঘটনাটি জানতে পারবো। সবকিছুই পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিচার বিশ্লেষণ করা হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (উপাচার্যের দায়িত্বে থাকা) অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা বের করা হবে।’
অর্থসংবাদ/সাকিব/কাফি
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
পুকুর থেকে ইবি শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার, ক্যাম্পাসজুড়ে শোক

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শাহ আজিজুর রহমান হল সংলগ্ন পুকুর থেকে এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আল কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহ। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শাখা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্রদল, শিবির, ছাত্র ইউনিয়ন, খেলাফত মজলিস’সহ ক্যাম্পাসজুড়ে শোক প্রকাশ করেছে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শোক প্রকাশ ও রহস্যজনক মৃত্যুর তদন্তের দাবি জানান তারা।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সাড়ে ৬ টায় ইবির নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে কুষ্টিয়া মেডিকেলে পাঠানো হলে মৃত্যু ঘোষণা করে ডাক্তার সুতপা রায়। তিনি জানান, ‘ডুবে যাওয়ার সিম্পটম পাওয়া গেছে। প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে পেঠের লান্স ফেটে ডুবে গিয়ে মারা গেছে। তবে পোস্টমর্টেম করানোর পর বিস্তারিত জানা যাবে।
প্রত্যক্ষদর্শী আকমল জানান, আছরের নামাজের পর হঠাৎ করে পুকুরে মাঝে কিছু একটা দেখেছিলাম। পুকুরে অনেক সময় ময়লার স্তুূপ ভেসে থাকে তাই তেমন কিছু মনে করেনি। পরবর্তীতে লাশ পুকুরের কিনারায় আসে তখন বুঝতে পারি এটা মানুষের মৃতদেহ। এরপর সবাই জানতে পেরে জড়ো হয়। পরবর্তীতে পুলিশ উপস্থিততে পুকুর থেকে মরদেহ তোলা হয়।
জানা গেছে, সাজিদ গতকাল বন্ধুদের সাথে ফুটবল খেলছিলেন। এরপর থেকে বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করা হয়নি। আজ ৬ টার দিকে পুকুরে লাশ দেখা গেলে সাড়ে ৬ টার দিকে নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে উদ্ধার করা হয়েছে। পরে ইবি মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে অ্যাম্বুলেন্স করে কুষ্টিয়া সদরে নেওয়া হয়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ওই সময় পুকুর পাড়ে সাজিদের জুতা পাওয়া যায়। তিনি শহিদ জিয়াউর রহমান হলের ১০৯ নং রুমের আবাসিক শিক্ষার্থী।
মৃত ব্যক্তির এক বন্ধু ইনসাফ জানান, ‘আমি গতকাল দিনাজপুরে গেছিলাম। তার সাথে গতকাল দুপুর ২ টা পর্যন্ত ছিলাম। রাত থেকে কল দিয়ে যাচ্ছি- বন্ধ। তবে সকালে কেউ একজন কল রিসিভ করে কথা বলেননি।’ আমার ৮ বছরের বন্ধু বলে কান্না ভেঙে পড়েন তার বন্ধু ইনসাফ।
ইবি থানার ওসি মেহেদী হাসান বলেন, স্টাফদের সহায়তায় আমরা লাশটা কিনারায় আনার ব্যবস্থা করি এবং তাকে উপরে তুলে সে মারা গেছে না বেঁচে আছে এটা নিশ্চিত হওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যে মেডিকেল সেন্টার আছে সেখানে প্রেরণ করি। এখানে ডাক্তার মৃত্যু নিশ্চিত বা কোন কিছু ক্লিয়ার না হতে পেরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল (২৫০ বেড) প্রেরণ করেন।
ইবি মেডিকেলের চিকিৎসক মো. শাহেদ বলেন, লাশটা যখন মেডিকেলে সাড়ে ছয়টার দিকে আনা হয় তখন পালস ছিল না। ডেড সিম্পটম দেখে বুঝা যাচ্ছিল সাত থেকে আট ঘন্টা পূর্বে মৃত্যু ঘটেছে। মেডিকেলে আমরা ডেড ক্লিয়ারেন্স করতে পারি না। পুলিশি কেস ও পোস্টমর্টেমের ব্যপার থাকে তাই নিয়ম অনুযায়ী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, ৬ টার দিকে শিক্ষার্থীরা জানালে দ্রুত পুলিশ নিয়ে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া সদরে যায়। ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। ডাক্তার আপাতত ডুবে যাওয়ার আলামত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন এবং পোস্টমর্টেম করানোর পর বিস্তারিত জানা যাবে। শিক্ষার্থীর অভিভাবক আসলে সম্মতিক্রমে পোস্টমর্টেম করানো হবে।
উল্লেখ্য, সাজিদ আব্দুল্লাহর বাড়ি টাঙ্গাইল জেলায়। তিনি বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী এবং শিল্পী হিসেবে তার বেশ সুনাম রয়েছে। তার এমন মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার। শিক্ষক -শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, এটা কোনো স্বাভাবিক মৃত্যু হতে পারে না। এর পিছনে কোনো না কোনো রহস্য লুকিয়ে আছে। এ মৃত্যুর সঠিক তদন্ত দাবি করছি। সাজিদ আব্দুল্লাহ’র মৃত্যুতে আমরা শোকাহত।
অর্থসংবাদ/সাকিব/কাফি
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
৪৮তম বিশেষ বিসিএস পরীক্ষা আজ, নিয়োগ পাবেন ৩ হাজার চিকিৎসক

৪৮তম বিশেষ বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা (এমসিকিউ) আজ অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার (১৮ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টাব্যাপী এ পরীক্ষা শুধুমাত্র রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে।
স্বাস্থ্যখাতের জন্য জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসক নিয়োগে আয়োজিত এই বিশেষ বিসিএসে মোট ৩ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সূত্রে জানা গেছে, মোট ৩ হাজার চিকিৎসকের মধ্যে ২ হাজার ৭০০ জনকে সহকারী সার্জন এবং ৩০০ জনকে সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে নিয়োগ দেওয়া হবে।
পিএসসির নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রার্থীদের সকাল ৮টা থেকে ৯টা ৩০ মিনিটের মধ্যে পরীক্ষার কেন্দ্রে উপস্থিত থাকতে হবে। নির্ধারিত সময়ের পর কেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে না। পরীক্ষার্থীদের শুধু প্রবেশপত্র ও কালো কালি ব্যবহারযোগ্য বলপেন সঙ্গে আনার অনুমতি রয়েছে। নিষিদ্ধ কোনো সামগ্রী সঙ্গে আনলে নেওয়া হবে আইনানুগ ব্যবস্থা।
জানা গেছে, ২০০ নম্বরের এই লিখিত পরীক্ষাটি হবে এমসিকিউ পদ্ধতিতে। এর মধ্যে মেডিকেল সায়েন্স বিষয়ে ১০০ নম্বর এবং সাধারণ বিষয়ে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। সাধারণ বিষয়ের মধ্যে বাংলা, ইংরেজি, বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি, মানসিক দক্ষতা এবং গাণিতিক যুক্তি- এই ছয়টি ভাগে প্রশ্ন বিভক্ত থাকবে।
এই লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা ১০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন।
চিকিৎসক সংকট মোকাবিলায় সরকার এই বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে দ্রুত নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে। পরীক্ষার সার্বিক নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে পিএসসি সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের কথা জানিয়েছে।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
বিপিএমসিএ’র প্রথম নির্বাচিত সভাপতি ডা. শেখ মহিউদ্দিন

বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ এসোসিয়েশনের (বিপিএমসিএ) প্রথম নির্বাচিত সভাপতি হয়েছেন আদ্-দ্বীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজের ডা. শেখ মহিউদ্দিন। সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ইস্ট-ওয়েস্ট মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন।
নিয়ম অনুযায়ী প্রতি দুই বছর অন্তর নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার ১৫ বছরে সরাসরি কোন নির্বাচন হয়নি। এতোদিন সিলেকশনের মাধ্যমেই কতিপয় পদবীধারীরা পদে আসীন হয়েছেন। এবার প্রথমবারের মতো সরাসরি ভোটে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ মালিকদের সংগঠনে সভাপতি ও সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন তারা।
বুধবার (১৬ জুলাই) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এই ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সদস্যরা ভোট দিয়ে বিপিএমসিএ এর নেতৃত্ব নির্বাচিত করেছেন।
ডা. মো. মঈনুল আহসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের নির্বাচন বোর্ড বুধবার রাত ১০ টায় নির্বাচনের ফলাফল ঘোষনা করেন। মহিউদ্দিন-মুকিত পরিষদ থেকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ঢাকার বসুন্ধরা আদ্-দ্বীন মেডিকেল কলেজের ডা. মুহাম্মদ আব্দুস সবুর নির্বাচিত হয়েছেন।
সভাপতি পদে ঢাকার আদ্-দ্বীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজের ডা. শেখ মহিউদ্দীন এবং সাধারন সম্পাদক পদে সিরাজগঞ্জের নর্থ বেঙ্গল মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. এম. এ. মুকিত প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন।
অন্যদিকে, আফরোজা-মোয়াজ্জেম প্যানেল থেকে মুন্নু মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান আফরোজা খানম রিতা সভাপতি পদে এবং ইষ্ট-ওয়েষ্ট মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. মোয়াজ্জেম হোসেন সাধারন সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন।
বিপিএমসিএ’র কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি পদে একটি, সাধারণ সম্পাদক পদে একটি, সহ-সভাপতি পদে পাঁচটি, যুগ্মসম্পাদক পদে চারটি, অর্থ সম্পাদক পদে একটি, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে একটি, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক পদে তিনটি, আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে একটি, শিক্ষা, সাংস্কৃতি ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক পদে একটি এবং কার্যনির্বাহী সদস্য পদে তিনটি পদ-সহ সর্বমোট ২১টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে ১১০ টি ভোটের মধ্যে ৯২ টি ভোট কাস্ট হয়েছে।