প্রবাস
লটারিতে পাঁচ তারকা হোটেলের মালিক হলেন কাতার প্রবাসী জাহেদুল

কাতারে বাংলাদেশ দূতাবাস ও বাংলাদেশ এম এইচ এম স্কুল এন্ড কলেজের উদ্যোগে আয়োজনে বাংলাদেশ ট্রেড, রিয়েল এস্টেট, রেমিট্যান্স ফেয়ারে গোল্ড স্যান্ডস গ্রুপের লটারিতে পুরস্কার জিতেছেন কাতার প্রবাসী নির্মাণ শ্রমিক জাহেদুল ইসলাম। তিনি কক্সবাজার অথবা কুয়াকাটায় নির্মাণাধীন চলমানকৃত বিশ্ব মানের চেইন ম্যানেজমেন্টের পাঁচ তারকা হোটেলের একটি সুইট এর আংশিক মালিকানা পান। যার মূল্য ৬ লক্ষ টাকা, যা আগামী কয়েক বছরে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা মূল্য হবে বলে ধারণা করা হয়।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে দোহা আল হেলাল বাংলাদেশ দূতাবাসে গোল্ড স্যান্ডস গ্রুপের সিনিয়র পরিচালক শাহাদাত হোসেন বাহার এ চুক্তিপত্রের দলিল হস্তান্তর করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম ও দূতাবাসের কাউন্সিলর ডেপুটি চিফ অফ মিশন ওয়ালিউর রহমান।
এর আগে ২১শে ডিসেম্বর মেলার সমাপনী দিনে হাজারো দর্শকের সামনে কাতারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম হাজারো র্যাফেল ড্র কুপন এর মধ্যে কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তির নাম ঘোষণা করেন।
গোল্ড স্যান্ডস গ্রুপের সিনিয়র পরিচালক শাহাদত হোসেন বাহার বলেন, চার লাখ কাতার প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের মধ্যে অন্তত এক জনকে পুরস্কার দিতে পেড়ে আমি আনন্দিত। গোল্ড স্যান্ডস গ্রুপ প্রবাসীদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে কক্সবাজার এবং কুয়াকাটায় আন্তর্জাতিক ফাইভ স্টার নির্মাণের পাশাপাশি ঢাকায় পূর্বাচল এবং মাওয়াতে দুটি আধুনিক ল্যান্ড প্রজেক্ট এবং বসুন্ধরাতে ওয়ার্ল্ড ক্লাস অ্যাপার্টমেন্ট প্রজেক্ট নির্মাণ করছে গ্রুপটি। বর্তমানে ট্যুরিজম ইনফ্রাটেকচার ডেভেলপমেন্ট এ প্রাইভেট সেক্টর এ সবচেয়ে বেশী বিনিয়োগ রয়েছে গোল্ড স্যান্ডস গ্রুপের বলে জানান তিনি।
রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের স্বনামধন্য কোম্পানিগুলোর আগমনে কাতার প্রবাসীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত হবে এবং কাতার-বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে এই ধরনের মেলার আয়োজন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এসময় গোল্ড স্যান্ডস গ্রুপের এমন ভিন্নধর্মী আয়োজনের প্রশংসা করেন রাষ্ট্রদূত।
রাফেল ড্র বিজয়ী কাতার প্রবাসী জাহেদুল ইসলাম, বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার বাসিন্দা।
কাফি

প্রবাস
বিএনপি চীন শাখার বনভোজন

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) বৃহত্তর চীন শাখার উদ্যেগে সংগঠনটির সাংগঠনিক বন্ধন সুদৃঢ় এবং কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে এক সফল ও আনন্দময় বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত ৬ ও ৭ অক্টোবর দুই দিনব্যাপী বনভোজনটি চীনের হুইঝু শহরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে আয়োজিত হয়। এই দুই দিনের অনুষ্ঠান ঐক্য ও উদ্যমের মধ্য দিয়ে চায়নায় বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করলো।
এই মনোরম সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে চায়না বিএনপির নেতা সাখাওয়াত হোসেন কানন, শেখ মাহবুবুর রশীদ, ওয়ালী উল্লাহ, এস এম আল-আমিন, হাসমত আলী মৃধা জেমস, সালাউদ্দিন রিক্তা, মনোয়ার বায়েজীদ, মো. রোমান, জসিম উদ্দিন, খোরশেদ আলম অপু, রাসেল আহমেদ প্রমুখ। এছাড়াও, চায়না বিএনপির নেতা আসিফ হক রুপু ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানের সাথে সংযুক্ত হন।
প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যবর্তী এই দুই দিন ছিল সম্প্রীতি, আলোচনা ও পরিকল্পনায় পরিপূর্ণ। নেতা-কর্মীরা একত্রিত হয়ে দলীয় সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করার পথ নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা করেন, ভবিষ্যত পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন এবং জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা ও ঐক্যবদ্ধ থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। ভবিষ্যতেও এমন কর্মসূচির মাধ্যমে তারা প্রবাসে দলীয় কাঠামো ও কার্যক্রমকে আরও সুসংহত করতে বদ্ধপরিকর।
এই অনুষ্ঠানে দেশটিতে বসবাসরত শতাধিকেরও বেশি বাংলাদেশি এবং বিএনপি ও এর অংঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
প্রবাস
মালয়েশিয়ায় ২৪ বাংলাদেশিসহ ৯৭ জন আটক

মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গর রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৯৭ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির অভিবাসন দপ্তর। এদের মধ্যে ২৪ জন বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন। অভিযানে প্রায় ৯০ জন কর্মকর্তা অংশ নেন।
সোমবার (৬ অক্টোবর) মালয়েশিয়ার অভিবাসন দপ্তরের মহাপরিচালক জাকারিয়া শা’বান জানান, জিম পুত্রজায়া গতকাল ডাউনটাউন জালান রেকো ও ক্লাং এলাকার রাতের বাজারে গোপন অভিযান চালায়। এসব এলাকায় বহুদিন ধরে অভিযোগ ছিল, বিপুলসংখ্যক বিদেশি, বিশেষ করে অবৈধ অভিবাসীরা অস্থায়ী কর্মভিসা (পিএলকেএস) এর আড়ালে লুকিয়ে বসবাস করছে।
অভিযানে মোট ৮৮৪ জনের কাগজপত্র পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে মালিক বা স্থানীয় নিয়োগদাতাসহ ৯৭ জন বিদেশিকে আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে, ইন্দোনেশিয়া ৪৪, বাংলাদেশ ২৪, মিয়ানমার ৯, ভারত ৭, পাকিস্তান ২, কম্বোডিয়া ও শ্রীলঙ্কান একজন করে নাগরিক রয়েছেন।
আটকদের বয়স ১৮ থেকে ৬২ বছরের মধ্যে। তাদের বিরুদ্ধে ১৯৫৯/৬৩ সালের অভিবাসন আইনের ৬(১)(সি) ও ১৫(১)(সি) ধারা অনুযায়ী তদন্ত চলছে।
অভিযান শেষে আটক অভিবাসীদের পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য সেলাঙ্গরের বেরানাং ইমিগ্রেশন ডিপো ও কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ডিপোতে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রবাস
প্রবাসীদের সতর্ক করলো কাতারে অবস্থানরত বাংলাদেশ দূতাবাস

অযাচিত অর্থ আদায়ের বিষয়ে প্রবাসী কর্মীদের সতর্ক করেছে কাতারের দোহায় অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দূতাবাস থেকে পাঠানো এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, বিভিন্ন শপিংমলসহ অন্যান্য জায়গায় পার্কিংয়ে যারা কার ওয়াশিংয়ের কাজে নিয়োজিত আছেন, তাদের মধ্য থেকে কতিপয় বাংলাদেশিকে আটক করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। যদিও তাদের বৈধ কাতার আইডি ও কাজের অনুমতি রয়েছে।
দূতাবাস জানায়, এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, কতিপয় ক্লিনিং কোম্পানির নিযুক্ত কিছু কর্মী কাতার সরকারের নিয়ন্ত্রাধীন পার্কিংয়ে কার ওয়াশিংয়ের কাজে নিয়োজিত আছেন। তারা পার্কিংয়ে গাড়ি আসামাত্র কার ওয়াশের জন্য গাড়ির কাঁচে ‘নক’ করেন। তারা গাড়িতে বসা যাত্রীদের বিরক্ত করেন এবং কার ওয়াশ করতে না চাইলে অযাচিতভাবে অর্থ দাবী করেন, যা অনভিপ্রেত।
দূতাবাস বলছে, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গোচরীভূত হওয়ায় তারা পাবলিক পার্কিংয়ে কার ওয়াশে নিয়োজিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এ ধরণের অযাচিত সমস্যা এড়িয়ে চলতে কার ওয়াশিং কোম্পানি এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্কতা অবলম্বনের অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
প্রবাস
ভোটাধিকারের দাবিতে প্যারিসে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সমাবেশ

প্রবাস থেকে ভোট দেওয়ার অধিকার নিশ্চিত করার দাবিতে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় প্যারিসে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে একটি বড় সমাবেশের আয়োজন করেছেন ফ্রান্সে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
বাংলাদেশ নাগরিক পরিষদের উদ্যোগে এই সমাবেশে সকল প্রবাসীকে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের এই দাবি দীর্ঘদিনের, কিন্তু অতীতের কোনো সরকারই তাদের এই মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। প্রবাসীরা বলেন, দেশের অর্থনীতিতে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও, তাদের ভোটাধিকার নিয়ে বরাবরই অবহেলা করা হয়েছে। তারা মনে করেন, যদি এবারও এই ব্যবস্থা না করা হয়, তবে হয়তো ভবিষ্যতে আর কোনোদিনই তা হবে না।
তারা আরও জানান, সম্প্রতি বৈষম্য ও ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে প্রবাসীরা সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। বিভিন্ন দেশে দূতাবাস ও হাইকমিশন ঘেরাও করে তারা প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এমনকি সর্বশেষ ৫ আগস্ট রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধ করে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। তাই, দেশের প্রতি এমন অবদান রাখা প্রবাসীদের ভোটাধিকার আর কোনোভাবেই উপেক্ষা করা উচিত নয়। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনেই যেন তাদের ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়, সেই দাবি জোরালোভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
প্রবাসী নেতারা বলেন, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান তৎপরতা দেখতে চান তারা। যত দ্রুত সম্ভব প্রবাসীদের ভোটার তালিকা তৈরির কাজ শুরু করার দাবিও জানানো হয়েছে।
প্রবাস
মালয়েশিয়ায় বিশেষ অভিযান, ৩৭৭ বাংলাদেশি আটক

মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে ইমিগ্রেশন বিভাগের বিশেষ অভিযানে ৭৭০ জন অবৈধ প্রবাসীকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় দেশটির পর্যটনকেন্দ্রিক এলাকা বুকিত বিনতাংয়ে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আটকদের মধ্যে বাংলাদেশি ৩৭৭ জন, মিয়ানমার ২৩৫, ভারত ৫৮, নেপাল ৭২, ইন্দোনেশিয়া, ১৯ (১৭ জন পুরুষ, দুইজন নারী) অন্যান্য ৯ জন (৩ জন পুরুষ, ৬ জন নারী) রয়েছেন।
ইমিগ্রেশন এনফোর্সমেন্ট বিভাগের পরিচালক বাসরি ওথমান বলেন, স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রায় প্রতিদিনই আমাদের অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযোগ ছিল, এলাকাটি বিদেশি নাগরিকদের অবৈধ কর্মকাণ্ডের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু।
বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই বসবাস, মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসা, কাগজপত্রের অপব্যবহার, এসব কারণে তাদের আটক করা হয়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শুরু হওয়া অভিযানে ১০৬ জন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা অংশ নেন। মোট ২ হাজার ৪৪৫ জনকে তল্লাশি করা হয়, এর মধ্যে ১ হাজার ৬০০ জন বিদেশি এবং ৮৪৫ জন স্থানীয় নাগরিক ছিলেন।
বাসরি বলেন, অভিযানের সময় কয়েকজন প্রবাসী দোকানে লুকানোর চেষ্টা করেন এবং কেউ কেউ ছাদে উঠে যায়। তবে পুরো এলাকা ঘিরে রাখায় তারা শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ে।
অভিযানে একটি অবৈধ জুয়া কেন্দ্রও শনাক্ত করা হয়, যেখানে সিসিটিভি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা ছিল। সেখান থেকে আটজন বিদেশিকে জুয়ারত অবস্থায় আটক করা হয়।
আটকদের পুত্রাজায়া ইমিগ্রেশন অফিসে নিয়ে প্রাথমিক স্ক্রিনিং শেষে ডিটেনশন ডিপোতে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩ এর ধারা ৬(৩), ১৫(৪) এবং প্রবিধান ৩৯(বি) অনুযায়ী তদন্ত চলছে।
বাসরি ওথমান জানিয়েছেন, এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়মিত পরিদর্শন করা হবে যেন নিয়োগকর্তারা অনুমোদিত বিদেশিকর্মী কোটা মেনে চলেন।