আন্তর্জাতিক
দ্য ইকোনমিস্টের কান্ট্রি অব দ্য ইয়ার বাংলাদেশ

প্রভাবশালী বৃটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টের কান্ট্রি অব দ্য ইয়ার ২০২৪ খেতাব জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। জুলাইয়ের নজিরবিহীন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ১৫ বছরের স্বৈরশাসনের পতন হওয়ায় এ খেতাব জিতলো দেশটি।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে প্রকাশিত দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। তবে ২০২৪ সালের সেরা দেশ বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত তালিকায় ছিল পাঁচটি দেশ। বাংলাদেশ ছাড়াও সিরিয়া, আর্জেন্টিনা, দক্ষিণ আফ্রিকা ও পোল্যান্ড ছিল এই তালিকায়। শেষ পর্যন্ত দ্য ইকোনমিস্টের সংবাদদাতাদের মধ্যে ‘উত্তপ্ত বিতর্কে’র মাধ্যমে বাংলাদেশকে বেছে নেওয়া হয়।
এবারের বর্ষসেরা নির্বাচিত বাংলাদেশ ছাড়াও বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করায় রানারআপ হয় সিরিয়া। এছাড়া, অর্থনৈতিক সংস্কারের জন্য আর্জেন্টিনা, খারাপ সরকারের বিপক্ষে গিয়ে নতুন সরকার গঠনের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা ও পোল্যান্ড এই চূড়ান্ত তালিকায় স্থান পায়।
বৃটিশ গণমাধ্যমটি ২০২৪ সালের জন্য সেরা দেশের তালিকা প্রকাশ করে বলেছে, সবচেয়ে ধনী, সুখী বা নৈতিকভাবে শ্রেষ্ঠ স্থান অধিকারী কি না, সেই হিসাবে নয়; সেরা দেশ বেছে নেওয়া হয় আগের ১২ মাসে সবচেয়ে বেশি উন্নতি করেছে কি না, সেই বিচারে।
বাংলাদেশ সম্পর্কে দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, আমাদের এবারের বিজয়ী বাংলাদেশ। দেশটিতে আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে আন্দোলনে ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। তিনি একজন স্বাধীনতা সংগ্রামীর কন্যা। একসময় তিনি বাংলাদেশের দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু ধীরে ধীরে তিনি দমনপীড়ন শুরু করেন। পাশাপাশি নির্বাচনে কারচুপি করেন, বিরোধীদের জেলে পাঠান ও নিরাপত্তা বাহিনীকে বিক্ষোভকারীদের গুলি করার নির্দেশ দেন। তার সময়ে প্রচুর অর্থ চুরি হয়েছিল।
সাময়িকীটি আরও বলে, প্রধান বিরোধী দল বিএনপি দুর্নীতিপ্রবণ মন্তব্য করে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলের সময় প্রতিশোধমূলক সহিংসতার ইতিহাস রয়েছে। দেশটির প্রধান বিরোধী দল বিএনপি দুর্নীতিগ্রস্ত। সেখানে ইসলামি চরমপন্থার উত্থান একটি বড় হুমকি। তবে এখন পর্যন্ত তাদের পরিবর্তন আশাব্যঞ্জক। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দেশটিতে রয়েছে একটি অস্থায়ী সরকার, যা ছাত্র, সেনাবাহিনী, ব্যবসায়ী ও নাগরিক সমাজের সমর্থন পেয়েছে। এই সরকার শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে এবং অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করেছে।
সেরা দেশ হিসেবে বেছে নেওয়া কারণ জানিয়ে ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৫ সালে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে হবে এবং সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে কখন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দেশটিকে প্রথমে আদালতের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে হবে ও বিরোধীদের সংগঠিত হওয়ার সময় দিতে হবে। এর কোনোটিই সহজ হবে না। কিন্তু এক স্বৈরশাসককে উৎখাত করে আরও উদার সরকার গঠনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশকে এ বছর সেরা দেশ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে সেরা দেশ হিসেবে বিজয়ী হয়েছিল গ্রীস। দেশটি দীর্ঘ আর্থিক সংকট থেকে নিজেদের টেনে তোলায় এবং একটি সংযত মধ্যপন্থী সরকার পুনর্নির্বাচিত করায় সেরা দেশ নির্বাচিত হয়। এর আগের বছরগুলোর বিজয়ীদের মধ্যে গৃহযুদ্ধ অবসানের জন্য কলম্বিয়া, রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রতিরোধের জন্য ইউক্রেন এবং গণতন্ত্রায়নের জন্য মালাউই নাম রয়েছে।

আন্তর্জাতিক
অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন ৩ জন

২০২৫ সালের অর্থনীতিতে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক জোয়েল মোকিয়র, লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্সের অধ্যাপক ফিলিপ আগিয়োঁ ও যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন ইউনিভার্সিটি অধ্যাপক পিটার হাউইট।
উদ্ভাবননির্ভর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য তাদের এ স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটের দিকে তাদের নাম ঘোষণা করে রয়েল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস।
প্রযুক্তিগত অগ্রগতির মাধ্যমে টেকসই প্রবৃদ্ধির পূর্বশর্তগুলো চিহ্নিত করার জন্য পুরস্কারের অর্ধেক পেলেন জোয়েল মোকিয়র।
সৃজনশীল বিনাশের (ক্রিয়েটিভ ডেস্ট্রাকশন) মাধ্যমে টেকসই প্রবৃদ্ধির তত্ত্ব প্রদানের জন্য বাকি অর্ধেক যৌথভাবে পেলেন ফিলিপ আগিয়োঁ ও পিটার হাউইট।
অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কারের আনুষ্ঠানিক নাম “অ্যালফ্রেড নোবেলের স্মৃতিতে অর্থনৈতিক বিজ্ঞানে সুইডিশ রিক্সব্যাংক পুরস্কার”। এ বছরের পুরস্কারের অর্থমূল্য ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা (প্রায় ১২ লাখ মার্কিন ডলার)।
এটি এ বছরের শেষ নোবেল পুরস্কার।
আন্তর্জাতিক
মেক্সিকোতে ঝড় ও ভূমিধসে নিহত ৪৪

দুই মৌসুমি ঝড় প্রিসিলা এবং রেমন্ডের আঘাত এবং ভারী বর্ষণের জেরে সৃষ্ট বন্যা-ভূমিধসে মেক্সিকোতে নিহত হয়েছেন ৪৪ জন এবং ২৭ জন এখনও নিখোঁজ আছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
রবিবার দেশটির কেন্দ্রীয় দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে এ তথ্য।
বিবৃতির তথ্য অনুযায়, ঝড়-বৃষ্টি ও ভূমিধসে মেক্সিকোর ৫টি রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভেরাক্রুজ। এই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ১৬ জন নিহত হয়েছেন হিদালাগো রাজ্যে; পুয়েবলা ও কুয়েরেতারো রাজ্য থেকে উদ্ধার করা হয়েছে যথাক্রমে ৯ জন এবং ১ জনের মরদেহ।
মৌসুমি ঝড় প্রিসিলা ও রেমন্ডের জেরে গত ৬ অক্টোবর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ভারী বর্ষণ শুরু হয় মেক্সিকোজুড়ে। আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুসারে, শুধু ভেরাক্রুজেই তিন দিনে ৫৪০ মিলিমিটার (২১ ইঞ্চিরও বেশি) বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
৯ অক্টোবরের পর থেকে ঝড় ও বৃষ্টির তেজ কমতে থাকে। এ সময় উদ্ধার অভিযানে নামে জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তর ও সেনাবাহিনী। দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রবল বৃষ্টির জেরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভূমিধস হয়েছে। ঝড়ো হাওয়ায় অনেক এলাকায় গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে বাড়িঘরের ওপর পড়েছে। ফলে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
৬ অক্টোবর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত চলা ব্যাপক এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে মেক্সিকোর ৫৫টি শহরে মোট ১৬ হাজার বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে। এছাড়া বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছেন ৩ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ।
৬ অক্টোবর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত চলা ব্যাপক এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে মেক্সিকোর ৫৫টি শহরে মোট ১৬ হাজার বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে। এছাড়া এখনও বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছেন ৩ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ।
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শিনবাম গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় বলেছেন, “রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের সমন্বয়ে দেশজুড়ে উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা শুরু করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত সবাইকে সহায়তা করা হবে। কেউ বাদ যাবে না।”
আন্তর্জাতিক
মালয়েশিয়ায় অভিযানে বাংলাদেশিসহ ৬২ প্রবাসী আটক

মালয়েশিয়ার জোহর রাজ্যের ইমিগ্রেশন বিভাগ পরিচালিত অভিযানে বিভিন্ন দেশের ৬২ জন বিদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছে।
আটকদের মধ্যে রয়েছেন, মিয়ানমারের ৩০, ইন্দোনেশিয়া ৫, বাংলাদেশ ৩, ভারত ২, নেপাল ১, শ্রীলঙ্কা ১, মিয়ানমার ১৪ নারী, ইন্দোনেশিয়ার ৩, ভিয়েতনামের ২ নারী এবং মিয়ানমারের একজন শিশু নাগরিক।
রাতে শহরের দুটি ভিন্ন এলাকায় পরিচালিত এই অভিযানে অবৈধভাবে কর্মরত বিদেশিদের শনাক্ত করা হয়।
জোহর ইমিগ্রেশন বিভাগের পরিচালক দাতুক মোহাম্মদ রুসদি মোহাম্মদ দারুস এক বিবৃতিতে জানান, স্থানীয় সূত্র ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সন্ধ্যা ৭টা থেকে অভিযান শুরু হয়। সন্দেহভাজন দুটি রেস্টুরেন্টে অভিযান চালানো হয়, যেখানে বিদেশি শ্রমিকদের বৈধ অনুমতি ছাড়া কাজ করার অভিযোগ ছিল।
তিনি জানান, অভিযানটি পরিচালনা করে ইমিগ্রেশন বিভাগের এনফোর্সমেন্ট ইউনিট, যার সঙ্গে সহযোগিতা করে মালয়েশিয়া বর্ডার কন্ট্রোল অ্যান্ড সিকিউরিটি এজেন্সির সুলতান ইস্কান্দার ভবনের টিম।
মোট ১৪৩ জনের পরিচয় যাচাইয়ের পর ৬২ জনকে আটক করা হয়, যাদের বয়স তিন থেকে ৫০ বছরের মধ্যে।
মোহাম্মদ রুসদি বলেন, আটকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইমিগ্রেশন অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে— বৈধ ভ্রমণ নথি না থাকা, ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়া এবং ভিসা অপব্যবহার করে অবৈধভাবে কাজ করা।
এছাড়া দুটি রেস্টুরেন্টের স্থানীয় মালিককেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে ১৯৫৯/৬৩ সালের ইমিগ্রেশন আইনের অধীনে বিদেশি কর্মী নিয়োগের অভিযোগ আনা হবে। অভিযান চলাকালে তিনজন সাক্ষীকে তদন্তে সহায়তার জন্য বোরাং ২৯ (ফর্ম ২৯) প্রদান করা হয়েছে।
আটক ব্যক্তিদের পরবর্তী তদন্তের জন্য সেতিয়া ট্রপিকা ইমিগ্রেশন ডিপোতে পাঠানো হয়েছে।
রুসদি জনসাধারণকে আহ্বান জানান, অবৈধ অভিবাসন, মানবপাচার ও অভিবাসী চোরাচালান সংক্রান্ত তথ্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাতে, যেন জাতীয় নিরাপত্তা ও সামাজিক শৃঙ্খলা বজায় থাকে।
আন্তর্জাতিক
অস্থায়ী ভিসার ৮২ পেশার তালিকা তৈরি করেছে যুক্তরাজ্য

শ্রমিক ঘাটতি মোকাবিলার লক্ষ্যে একটি নতুন অভিবাসন প্রকল্পের অধীনে অস্থায়ী কাজের ভিসার জন্য নতুন উদ্যোগ নিয়েছে যুক্তরাজ্য। এ লক্ষ্যে অস্থায়ী কর্ম ভিসার জন্য মধ্য-দক্ষতার ৮২টি পেশার তালিকা প্রকাশ করেছে দেশটি।
ইংলিশ চ্যানেলে অনিয়মিত পথে নৌকায় অভিবাসী আগমন নিয়ে দেশটির ভোটারদের মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে। মতামত জরিপে পপুলিস্ট দল রিফর্ম ইউকের চেয়ে লেবার পার্টির পিছিয়ে থাকার কারণে প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারও চাপে পড়েছেন।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, মূলত ভোটারদের মন জয়ের লক্ষ্যেই অভিবাসনের বিষয়ে আরও কঠোর অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করছেন স্টারমার।
পাশাপাশি মন্থর অর্থনীতি এবং কিছু খাতে কর্মী ঘাটতি সংকটও দেশটিতে তীব্র হয়ে দেখা দিয়েছে।
ব্রিটেনে যেসব কাজে অস্থায়ী ঘাটতি রয়েছে, সেই তালিকার ৮২টি পেশার সুপারিশ করেছে অভিবাসন বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটি (এমএসি)। প্রতিবেদনে প্রয়োজনীয় যোগ্যতায় ছাড় দিয়ে এসব চাকরিতে বিদেশি কর্মীদের যুক্তরাজ্যে সীমিত প্রবেশাধিকার প্রদান করার সুপারিশ করা হয়েছে।
কমিটি বলেছে, ‘এমএসি যেসব পেশার সুপারিশ করবে, সেগুলোতে অভিবাসী শ্রমের প্রয়োজনীয়তা কমানো এবং স্থানীয় কর্মীদের সর্বাধিক ব্যবহারে গৃহীত পরিকল্পনাও উপস্থাপন করতে হবে।’
প্রস্তাবিত পেশার তালিকায় ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনিশিয়ান, ওয়েল্ডার, ফটোগ্রাফার, অনুবাদক এবং লজিস্টিক ম্যানেজারও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী, যোগ্য অভিবাসী কর্মীদের তিন থেকে পাঁচ বছরের ভিসা দেওয়া যেতে পারে। তবে সরকার নীতি পরিবর্তন না করলে তাদের স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি না দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
আবেদনকারীদের ইংরেজি ভাষায় ন্যূনতম দক্ষতার প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে হবে এবং নিয়োগকর্তাদের স্থানীয় কর্মীদের প্রশিক্ষণ এবং নিয়োগের পরিকল্পনা জমা দিতে হবে।
২০২৬ সালের জুলাই মাসে পর্যালোচনার দ্বিতীয় ধাপে এই পেশার তালিকা চূড়ান্ত করা হবে।
ক্যানাডা ও অস্ট্রেলিয়ায় একই ধরনের পরিকল্পনা বিদ্যমান রয়েছে। এসব দেশে স্বাস্থ্যসেবা, প্রকৌশল ও দক্ষ বাণিজ্যে শ্রমঘাটতি পূরণের জন্য ভিসা প্রকল্প কার্যকর রয়েছে।
দুই দিনের ভারত সফরে স্টারমার ভারত সরকারের সঙ্গে ভিসা চুক্তির সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, এর আগে এই ইস্যুটির কারণে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনা বাধাগ্রস্ত হয়েছিল।
আন্তর্জাতিক
মক্কায় বিপুল স্বর্ণখনি আবিষ্কার, বিশ্ববাজারে নতুন সম্ভাবনার ইঙ্গিত

সৌদি আরবের মক্কা অঞ্চলে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণের খনি আবিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। মানসুরা–মাসারাহ স্বর্ণখনির দক্ষিণে নতুন এই খনি আবিষ্কারের ফলে রাজতন্ত্রটির স্বর্ণখনন খাতের পরিসর আরও বিস্তৃত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।
আরবিয়ান গালফ বিজনেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নব আবিষ্কৃত স্বর্ণখনিটি প্রায় ১২৫ কিলোমিটারজুড়ে বিস্তৃত—যা ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খনিজ আবিষ্কার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এই আবিষ্কার সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’–এর অংশ, যার মূল লক্ষ্য তেলের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে বিকল্প খাত, বিশেষ করে খনিজ শিল্পকে অর্থনীতির অন্যতম স্তম্ভে পরিণত করা।
রাষ্ট্রীয় খনিজ কোম্পানি ‘মাআদেন’ জানিয়েছে, প্রায় ১০০ কিলোমিটারজুড়ে উচ্চমাত্রার স্বর্ণখনি শনাক্ত হয়েছে। খনন নমুনা বিশ্লেষণে প্রতি টন মাটিতে সর্বোচ্চ ২০ দশমিক ৬ গ্রাম পর্যন্ত স্বর্ণের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
মাআদেনের প্রধান নির্বাহী রবার্ট উইলে বলেছেন, ‘এই নতুন আবিষ্কার মক্কাকে বৈশ্বিক স্বর্ণখনি মানচিত্রে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।’
বিশেষজ্ঞদের মতে, নতুন এই খনি আবিষ্কার সৌদি আরবের স্বর্ণ উৎপাদন সক্ষমতা বহুগুণ বাড়াবে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং বৈশ্বিক বিনিয়োগ আকর্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ধারণা করা হচ্ছে, এটি আন্তর্জাতিক স্বর্ণবাজারেও প্রভাব ফেলবে, যেখানে বর্তমানে প্রতি ১০ গ্রাম স্বর্ণের দাম ১,১১৫ ডলারের বেশি।
মানসুরা–মাসারাহ খনিতে বর্তমানে প্রায় ৭০ লাখ আউন্স স্বর্ণের মজুত রয়েছে এবং প্রতিবছর সেখান থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার আউন্স স্বর্ণ উত্তোলন করা হয়। নতুন আবিষ্কারটির ফলে খনি কার্যক্রম আরও বিস্তৃত হবে এবং প্রায় ১২৫ কিলোমিটারজুড়ে একটি বিশ্বমানের স্বর্ণবেল্ট গড়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শিল্প ও খনিজসম্পদ মন্ত্রী বান্দার আলখোরাইফ বলেন, ‘সৌদি আরবের খনিজ খাত বর্তমানে বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল খাতগুলোর একটি। এই আবিষ্কার আমাদের অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যকরণের যাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।’
এছাড়া মাআদেন জানিয়েছে, ওয়াদি আল-জাও এবং জাবাল শাইবান অঞ্চলেও নতুনভাবে স্বর্ণ ও তামার উচ্চমাত্রার খনিজের সন্ধান মিলেছে।
বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ স্বর্ণভাণ্ডারধারী দেশ (অক্টোবর ২০২৫ অনুযায়ী)
১. যুক্তরাষ্ট্র – ৮,১৩৩.৫ টন
২. জার্মানি – ৩,৩৫১ টন
৩. ইতালি – ২,৪৫১.৮ টন
৪. ফ্রান্স – ২,৪৩৭ টন
৫. রাশিয়া – ২,৩৩২.৭ টন
এর আগে অস্ট্রেলিয়াকে প্রায় ১০,০০০ টন স্বর্ণভাণ্ডারসহ বিশ্বের বৃহত্তম স্বর্ণভাণ্ডারধারী দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হতো।