স্বাস্থ্য
এন্টিবায়োটিক ব্যবহারে শরীরে উপকারী ব্যাকটেরিয়াও ধ্বংস হচ্ছে: ফরিদা আখতার

মানবদেহে ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে অনেক সময় এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে শরীরে উপকারী ব্যাকটেরিয়াও ধ্বংস হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
মঙ্গলবার রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে ‘বিশ্ব এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) জনসচেতনতা সপ্তাহ-২০২৪’-উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন ফরিদা আখতার।
তিনি বলেন, তার চেয়ে ভয়ঙ্কর তথ্য হলো আমরা যে এন্টিবায়োটিক খাচ্ছি, তা আবার পরিবেশে ফিরে যাচ্ছে। এ বিষয় নিয়ে কেউ ভাবছে না, এই যে ভাববার বিষয় তা আমাদের ঠিক করতে হবে।
ফরিদা আখতার বলেন, ওয়ান হেলথ বলতে যদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে কেন্দ্রীয়ভাবে রাখা হয় তাহলে শুধু তাদের বিষয় নিয়েই কাজ করবে। ওয়ান+ওয়ান=ওয়ান হবে, না ওয়ান বলতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অথবা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় বুঝাবে তা ভেবে দেখা উচিৎ।
তিনি বলেন, এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সের ক্ষেত্রে সচেতনতা সৃষ্টির ব্যাপারে অত্যন্ত দেরি হয়েছে, এখনই কাজ করার সময়-প্রতিটি মুহূর্ত গুরুত্বপূর্ণ। এবিষয়ে বোঝার ক্ষেত্রে এখনও ঘাটতি রয়েছে। এখন সময় এসেছে দায়িত্ব নেয়ার, কোনো কাজ কোথায় করবো তা জেনে বুঝে করা অতীব জরুরি।
উপদেষ্টা বলেন, আমাদের গড় আয়ু বেড়েছে এর অর্থ এই নয় যে স্বাস্থ্যের দিক থেকে আমরা অনেক উন্নত। আমরা বেঁচে আছি তবে ভালোভাবে বাঁচছি না। সুস্থ্যতার জন্য ওষুধের ওপর নির্ভর নয় বরং ওষুধ ছাড়া আমাদের সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে হবে। এখনও অনেক মানুষ অসুখ হলেই এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করছে, এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স হওয়ার ফলে মানুষ তথা রাষ্ট্রের খরচ বাড়ছে আর মানুষ অসুস্থ থেকে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, নিরাপদ খাদ্য কথাতেই আপত্তি রয়েছে, তার মানে খাদ্য নিরাপদ নয়-খাদ্য নিরাপদ হতে হবে। স্কুল-কলেজ পর্যায়ে এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। জুলাই-আগস্টের বিপ্লবে প্রমাণ হয়েছে তরুণরাই এ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। খাদ্যকে অনিরাপদ করার জন্য বাণিজ্যিকীকরণ করা হচ্ছে, তা আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি না-এখানে আমাদের কাজ করতে হবে। আগামীর বাংলাদেশকে সুস্থ রাখতে তরুণ ছাত্রদের এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে আরও গুরুত্ব দিতে হবে।
বক্তারা প্রাণিজাত খাদ্য উৎপাদন ও চিকিৎসায় এন্টিবায়োটিকের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করাসহ উত্তম খামার চর্চায় খামারীকে উৎসাহ প্রদান, এন্টিবায়োটিক প্রত্যাহার সম্পর্কে খামারীকে সচেতনতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
কাফি

স্বাস্থ্য
চলতি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১০ হাজার ছাড়ালো

দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৫৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আর এই সময়ের মধ্যে একজন মারা গেছেন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ২৪৩ জনের এবং হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৭ হাজার ৭৭০ জন।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দেওয়া তথ্য থেকে এসব জানা যায়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, অক্টোবরে এখন পর্যন্ত ১০ হাজার ৪২৮ জন রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং মারা গেছেন ৪৫ জন। সারা দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ২ হাজার ৬৯৩ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন। যার মধ্যে ঢাকায় ৯৫৭ জন, বাকি ১ হাজার ৭৩৬ জন ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বিভাগে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বলছে, এই বছরের জানুয়ারিতে ১ হাজার ১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪ জন, মার্চে ৩৩৬ জন, এপ্রিলে ৭০১ জন, মে’তে ১ হাজার ৭৭৩ জন, জুনে ৫ হাজার ৯৫১ জন, জুলাইয়ে ১০ হাজার ৬৮৪ জন, আগস্টে ১০ হাজার ৪৯৬ জন এবং সেপ্টেম্বরে ১৫ হাজার ৮৬৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে জানুয়ারিতে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে তিন জন, এপ্রিলে সাত জন, মে’তে তিন জন, জুনে ১৯ জন, জুলাইয়ে ৪১ জন, আগস্টে ৩৯ জন এবং সেপ্টেম্বরে ৭৬ মারা গেছেন।
স্বাস্থ্য
ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪ জনের মৃত্যু

ডেঙ্গু জ্বরে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সঙ্গে এই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৭৫৮ জন।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি নতুন রোগীদের মধ্যে ২০২ জনই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার।
এর বাইরে ঢাকা বিভাগে ১৫৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৮৫ জন, বরিশাল বিভাগে ১৩৩ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৫০ জন, খুলনা বিভাগে ৬২ জন, রংপুর বিভাগে ১৯ জন, রাজশাহী বিভাগে ৪৭ এবং সিলেট বিভাগে ২ জন রোগী ভর্তি হয়েছে।
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ২৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া চলতি বছর এখন পর্যন্ত এই রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ৫৭ হাজার ১৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য
ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৪১

দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুর প্রকোপ কমছেই না। প্রতিদিনই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু খবর আসছে। প্রতিদিন শত শত ডেঙ্গুরোগী ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালে। সারাদেশে সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পাঁচজন মারা গেছেন। এসময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৪১ জন ডেঙ্গুরোগী।
এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩৮ জন এবং শনাক্ত রোগী বেড়ে ৫৬ হাজার ২৫৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় যারা ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তাদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১২৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১০৬ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২১৪ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১৭৩ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১২৮ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৬ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৯ জন, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৭ জন ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩ জন রয়েছেন।
ডেঙ্গুতে একদিনে মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে চারজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং অপরজন ময়মনসিংহের বাসিন্দা।
গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৭৯৩ জন ডেঙ্গুরোগী। এ নিয়ে চলতি বছর আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৫৩ হাজার ৩৫৪ জন।
২০২৪ সালে দেশে মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিল এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছিল ৫৭৫ জনের। এর আগের বছর ২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে মারা যান সর্বোচ্চ এক হাজার ৭০৫ জন এবং আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।
স্বাস্থ্য
সারাদেশে টাইফয়েডের টিকাদান শুরু

সারাদেশে সরকারের ‘সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি’ (ইপিআই)-এর আওতায় ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী প্রায় ৫ কোটি শিশু ও কিশোরকে এক ডোজের টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন (টিসিভি) দেওয়া শুরু হয়েছে।
রবিবার (১২ অক্টোবর) থেকে একযোগে শুরু হয়েছে শিশুদের বিনামূল্যে টাইফয়েডের টিকাদান কর্মসূচি। মাসব্যাপী এই টিকা কর্মসূচি চলবে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত। এই টিকা টাইফয়েড প্রতিরোধে ৯৫ শতাংশের বেশি কার্যকর বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
ইপিআই সূত্রে জানা গেছে, এক ডোজের ইনজেকটেবল টাইফয়েড টিকা ৩ থেকে ৭ বছর পর্যন্ত সুরক্ষা দেবে। গ্যাভি ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্সের সহায়তায় বাংলাদেশে এই টিকা সরবরাহ করা হয়েছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, টাইফয়েডে আক্রান্ত হলে আর্থিক ক্ষতি, দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক জটিলতা এবং অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাই টিকা গ্রহণই সবচেয়ে কার্যকর প্রতিরোধ ব্যবস্থা।
টিকা গ্রহণের জন্য অভিভাবকদের https://vaxepi.gov.bd/registration/tcv ওয়েবসাইটে গিয়ে সন্তানের ১৭-সংখ্যার জন্মনিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধনের পর জন্মনিবন্ধন সনদ ব্যবহার করে অনলাইনে সরাসরি ভ্যাকসিন কার্ড ডাউনলোড করা যাবে।
তবে যেসব শিশুর জন্মনিবন্ধন নেই, তারা নিকটস্থ টিকাকেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তায় নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারবে। নিবন্ধন ছাড়াও টিকা নেওয়া যাবে, তবে সনদ পেতে জটিলতা হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ৪ কোটি ৯০ লাখ শিশুকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১ কোটি ৭০ লাখের বেশি শিশু নিবন্ধন করেছে। কর্মকর্তারা জানান, টিকা সম্পূর্ণ নিরাপদ, এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। বর্তমানে বিশ্বের ২১টিরও বেশি দেশে এই টিকা ব্যবহার হচ্ছে।
তারা আরও বলেন, এত বৃহৎ পরিসরে টিকাদান কার্যক্রম বাস্তবায়ন একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ, তবে সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতায় এটি সফল করা সম্ভব হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্যমতে, টাইফয়েড জ্বর স্যালমোনেলা টাইফি ব্যাকটেরিয়াজনিত একটি সংক্রমণ, যা দূষিত পানি ও খাবারের মাধ্যমে ছড়ায়। উপসর্গের মধ্যে থাকে দীর্ঘস্থায়ী জ্বর, মাথাব্যথা, বমি, ক্ষুধামন্দা ও ডায়রিয়া। ‘গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজ’-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে বাংলাদেশে প্রায় ৪ লাখ ৭৮ হাজার মানুষ টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়, যার মধ্যে ৮ হাজারের বেশি মৃত্যুবরণ করে। আক্রান্তদের প্রায় ৭০ শতাংশই শিশু।
স্বাস্থ্য
ডেঙ্গুতে আরও দুজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৭১৫

দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুর প্রকোপ কমছেই না। প্রতিদিনই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু খবর আসছে। প্রতিদিন শত শত ডেঙ্গুরোগী ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালে। সারাদেশে সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দুজন মারা গেছেন। এসময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭১৫ জন ডেঙ্গুরোগী।
এনিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২১৭ জন এবং শনাক্ত রোগী বেড়ে ৫১ হাজার ৪০৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় যারা ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তাদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭০ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৪২ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১৪১ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১১৪ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩৪ জন, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩২ জন, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১০ জন রয়েছেন।
ডেঙ্গুতে একদিনে যে দুজন মারা গেছেন তাদের মধ্যে একজন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও অন্যজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৬৬ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৬৬৭ জন।
২০২৪ সালে দেশে মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিল এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছিল ৫৭৫ জনের। এর আগের বছর ২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে মারা যান সর্বোচ্চ এক হাজার ৭০৫ জন এবং আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।