ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের খবরে ঢাবিতে আনন্দ মিছিল

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্দেশে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের ঘোষণায় আনন্দ মিছিল করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে খবরটি প্রকাশিত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উল্লাসে ফেটে পড়েন। পরে তারা আনন্দ মিছিল নিয়ে ভিসি চত্বর থেকে রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে জড়ো হন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। এই মুহূর্তে খবর এলো, ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হলো; মুহূর্তে খবর এলো, সন্ত্রাসী লীগ নিষিদ্ধ হলো; হৈ হৈ রৈ রৈ, সন্ত্রাস লীগ গেলি কই; এই মুহূর্তে খবর এলো, ক্যাম্পাস সন্ত্রাসমুক্ত হলো- ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটি আজ সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলন থেকে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল। তার আগেই সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল সরকার। বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে বিশেষ করে গত ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হত্যা, নির্যাতন, গণরুমকেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নসহ নানা ধরনের জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল এবং এ সম্পর্কিত প্রামাণ্য তথ্য দেশের সব প্রধান গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এবং কিছু সন্ত্রাসী ঘটনায় সংগঠনটির নেতাকর্মীদের অপরাধ আদালতেও প্রমাণিত হয়েছে। গত ১৫ জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ জনগণকে উন্মত্ত ও বেপরোয়া সশস্ত্র আক্রমণ করে শতশত নিরপরাধ শিক্ষার্থী ও ব্যক্তিকে হত্যা করেছে এবং আরও অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন করেছে।
সরকারের কাছে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ রয়েছে যে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কাজে জড়িত আছে।
এই অবস্থায় সরকার ‘সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯’ এর ধারা ১৮ এর উপ-ধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল এবং ওই আইনের তফসিল-২ এ ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’ নামীয় ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্ত্বা হিসেবে তালিকাভুক্ত করল বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
এমআই

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
চাকসুর ভোটগ্রহণ শেষ, ফলের অপেক্ষা

শেষ হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় শেষ হয়। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন
কমিশন সূত্র জানায়, ভোটগ্রহণ শেষ। ভোট গণনার প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে এবং গণনার পুরো প্রক্রিয়া সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। ভোট ঘিরে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভোট গণনায় অযথা সময় নষ্ট হবে না। প্রিসাইডিং কর্মকর্তার হাতে ছবি সম্বলিত ভোটার তালিকা রয়েছে। তারা মিলিয়ে দেখছেন। তাই জাল ভোট দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত কোনো ধরনের অভিযোগ পাইনি।
তিনি আরও বলেন, যথাসময়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীরা সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে ভোট দিচ্ছে। ডাকসু, জাকসুর মতো ভোট গণনায় বিলম্ব হবে না। কারণ আমরা ওএমআর মেশিনে ভোটগণনা করব। এটা আমাদের স্বতন্ত্রতা।
এদিকে সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি অনুষদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৫টি হলের জন্য নির্ধারিত ১৫টি কেন্দ্রে। মোট ৬০টি কক্ষে ৬৮৯টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
১৪টি এলইডি স্ক্রিনে সরাসরি দেখানো হয়েছে ভোট গ্রহণ ও গণনা। ভোটগ্রহণ করা হয় ব্যালট পেপারে। গণনা হবে ওএমআর মেশিনে।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট ৯০৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে ১৩টি প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলিয়ে ৪১৫ জন এবং হল ও হোস্টেল সংসদে ৪৯৩ জন।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
চাকসুর ভোটগ্রহণ শুরু

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শুরু হওয়া ভোট চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
৩৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া চাকসুর সপ্তম নির্বাচন ঘিরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। এই নির্বাচনকে তাঁরা ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক চর্চার পুনরুজ্জীবন হিসেবে দেখছেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, চাকসুর ২৬ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪১৫ জন প্রার্থী। ১৪টি হল ও একটি হোস্টেলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আরও ৪৯৩ জন। সব মিলিয়ে মোট প্রার্থী ৯০৮ জন, যার মধ্যে নারী প্রার্থী ৪৭ জন। নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ২৭ হাজার ৫১৮ জন শিক্ষার্থী।
বিকেল চারটায় ভোটগ্রহণ শেষে ওএমআর পদ্ধতিতে ভোট গণনা শুরু হবে। হল সংসদের ফলাফল কেন্দ্রেই ঘোষণা করা হবে, আর কেন্দ্রীয় সংসদের ফল ঘোষণা করা হবে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের মিলনায়তনে।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ভোট হবে পাঁচটি অনুষদের পাঁচটি ভবনে মোট ১৫টি কেন্দ্রে। এসব কেন্দ্রে ৬০টি ভোটকক্ষ ও ৬৮৯টি বুথ রাখা হয়েছে।
প্রকৌশল অনুষদ ভবনে সোহরাওয়ার্দী হলের ৪ হাজার ৩৬ জন ভোট দেবেন। কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের নতুন ভবনে (শহীদ হৃদয় চন্দ্র তরুয়া ভবন) ভোট দেবেন ৫ হাজার ২৬৩ শিক্ষার্থী। বিজ্ঞান অনুষদ ভবনে ৪ হাজার ৫৩৮ জন, সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ভবনে ৬ হাজার ৬০৬ জন এবং ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ভবনে ৭ হাজার ৭৩ জন ভোটার রয়েছেন।
প্রতিটি ভোটকক্ষে গোপন বুথের বাইরে স্থাপন করা হয়েছে ৯০টি সিসিটিভি ক্যামেরা। পাশাপাশি ১৫টি ভোটকেন্দ্রে পরিস্থিতি দেখানোর জন্য ২০টি এলইডি স্ক্রিন বসানো হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের জন্য দেওয়া নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ভোটকক্ষে প্রবেশের আগে আইডি কার্ড দেখাতে হবে এবং কর্মকর্তাদের মাধ্যমে যাচাই শেষে ব্যালট নিতে হবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী বলেন, পুরো ক্যাম্পাসকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। পুলিশ, এপিবিএন, বিজিবি, র্যাবসহ প্রায় ১২ শতাধিক সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। র্যাবের ৮টি প্লাটুন থাকবে ফল ঘোষণার পর পর্যন্ত।
চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সানতু বলেন, চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকায় সব ইউনিট প্রস্তুত আছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে আমরা প্রস্তুত। শিক্ষার্থীদের নির্বিঘ্নে ভোট উৎসবে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি ভবনের ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার অধ্যাপক মোহাম্মদ ফজলুর কাদের বাংলানিউজকে বলেন, সকাল সাড়ে নয়টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেলে চারটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে। আমাদের ভোটেরা ভোট দিতে প্রস্তুত রয়েছে। আমাদের সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
বিশ্ববিদ্যালয়ে আল্টিমেটাম ছাড়া কোনো কাজ হয় না: ইবি ছাত্রদল আহ্বায়ক

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আল্টিমেটাম ছাড়া কোনো কাজ হয় না বলে মন্তব্য করেছেন শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ। মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) পূর্বের আল্টিমেটাম দেওয়া দাবির অগ্রগতি জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (রুটিন ভিসি) অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলীর সাথে সাক্ষাৎ এর পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
সাহেদ আহম্মেদ বলেন, আমরা গতকাল দায়িত্বপ্রাপ্ত ভিসির কাছে দুই দফা দাবি দিয়েছিলাম। তার আপডেট জানতে আজ স্যারের সাথে আবারও দেখা করেছি। আমাদের দাবিগুলো হলো, ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়ক দ্রুত সংস্কার করার ব্যবস্থা করা এবং কুষ্টিয়া থেকে ঝিনাইদহ পর্যন্ত রেল যোগাযোগের ব্যবস্থা চালু করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
তিনি বলেন, আমাদের কিছু মৌখিক দাবি ছিল। যেমন, ক্যাম্পাসে একটি ফায়ার সার্ভিস স্থাপন এবং ক্যাম্পাস সংলগ্ন শেখপাড়া-শান্তিডাঙ্গা এলাকায় যে বিদ্যুৎ সমস্যা আছে তার সমাধানের উদ্যোগ নেয়া। কারণ এখানে প্রায় কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ভোগান্তির শিকার হয়। আমরা আশাবাদী যে প্রশাসন আমাদের দাবিগুলো দ্রুত পূরণ করবেন। তবে আমরা ইতোপূর্বে দেখেছি যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আসলে আল্টিমেটাম ছাড়া কোনো কাজ হয় না বা বাস্তবায়ন দেখি না।
সাক্ষাৎকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (রুটিন ভিসি) অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, ছাত্রদল যে দাবিগুলো করেছে সেগুলো প্রায় কাজ শুরু হয়ে গেছে। কিছু কাজ চলমান। আর কিছু নীতি নির্ধারনী কাজ আছে যেগুলো মাননীয় উপাচার্য আসলে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিবেন।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
৪৯তম বিশেষ বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) এমসিকিউ টাইপ লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশের আগেই ৪৯তম (বিশেষ) বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করেছে। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ২৬ অক্টোবর ৪৯তম (বিশেষ) বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হবে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মতিউর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘৪৯তম (বিশেষ) বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা ২৬ অক্টোবর শুরু হবে। নির্ধারিত তারিখেই পরীক্ষা শুরু করার প্রস্তুতি নিয়েছে কমিশন। লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশের কাজও দ্রুতগতিতে চলছে, যাতে ফলাফল প্রকাশ ও মৌখিক পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যায়।’
পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, ফল প্রকাশের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। এমসিকিউ টাইপ লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন, যাচাই ও ক্রস চেকের কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, নির্ধারিত সময়ে মৌখিক পরীক্ষা শুরু করতে চাইলে ফল প্রকাশে আর বিলম্বের সুযোগ নেই। ফলে এই সপ্তাহেই বা সর্বোচ্চ আগামী সপ্তাহে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ হতে পারে।
এই বিশেষ বিসিএসটি সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের জন্য আয়োজন করা হয়েছে। চলতি বছরের ২১ জুলাই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছিল। এমসিকিউ টাইপের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ১০ অক্টোবর। পরীক্ষায় মোট উপস্থিত ছিল ১ লাখ ৭৬ হাজার ৬৭০ জন। উপস্থিতির হার ৫৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
পিএসসি জানায়, শিক্ষার বিশেষ এই বিসিএসে ৬৮৩টি পদে নিয়োগ দেওয়া হবে এবং মোট ৩ লাখ ১২ হাজারের বেশি প্রার্থী আবেদন করেছেন। অর্থাৎ গড়ে প্রতিটি পদের বিপরীতে প্রার্থীর সংখ্যা প্রায় ৪৫৬।
চাকরিপ্রত্যাশীরা পিএসসির এই উদ্যোগকে সময়োপযোগী বলে দেখছেন। কারণ, শিক্ষা ক্যাডারে দীর্ঘদিন ধরে শূন্য পদ ছিল। এবার দ্রুত নিয়োগ হলে শিক্ষা খাতে শূন্যস্থান কিছুটা পূরণে সহায়তা করবে।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি ৩য় বর্ষের পরীক্ষা স্থগিত

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মঙ্গলবার অনুষ্ঠেয় ২০২৩ সালের ডিগ্রি (পাস) ও সার্টিফিকেট কোর্স তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা এবং প্রফেশনাল কোর্সের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) রাতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৩ সালের ডিগ্রি (পাস) ও সার্টিফিকেট কোর্স তৃতীয় বর্ষের স্থগিত পরীক্ষা (গণিত (১৩৩৭০৩)/ উচ্চাঙ্গ সংগীত ব্যবহারিক (১৩৪৫০২) ষষ্ঠ পত্র আগামী ২৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে।
আরও বলা হয়, গত ১৯ আগস্ট ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী- পরীক্ষার অন্যান্য তারিখ, বিষয় ও বিষয় কোড অপরিবর্তিত থাকবে। এ ছাড়া, প্রফেশনাল কোর্সের স্থগিত করা পরীক্ষার সময়সূচি পরে জানানো হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।