কর্পোরেট সংবাদ
ইউটিলিটি বিল পেমেন্টের ডেডলাইন মিস হবে না বিকাশে
বাসার বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে ঘন্টার পর ঘন্টা ব্যাংকের কাউন্টারের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার চিত্র অনেকের কাছেই বেশ পরিচিত ঘটনা। বেসরকারি চাকুরিজীবী মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানও তার কর্মব্যস্ত জীবন থেকে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের জন্য হয় অফিস থেকে অর্ধদিবস ছুটি নিতেন, নয়তো নির্ভর করতেন বাসা দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তির উপর।
এমন অবস্থায় তাঁর জীবনে আক্ষরিক অর্থে স্বস্তি নিয়ে এলো দেশের বৃহত্তম মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশ। কেননা, এখন নিজের ফোন থেকেই বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে যেকোনো সময় বিদ্যুৎ বিল সহ আরও নানা ধরণের বিল পরিশোধ করতে পারছেন তিনি।
আসাদুজ্জামান বলেন, গত বছর দুয়েক ধরে বিদ্যুৎ বিলসহ অন্যান্য বেশকিছু পরিসেবার বিল পরিশোধ করছি বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে। বিল পরিশোধের এই প্রক্রিয়া খুব সহজ এবং পুরো বিষয়টি বেশ স্বচ্ছও বটে। পাশাপাশি, বিল পরিশোধ করার সাথে সাথেই ডিজিটাল রিসিট চলে আসে ফোনে। তবে সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে দিনে রাতে যেকোনো সময় বিল দেয়ার সুযোগ থাকায় বিল পরিশোধের শেষ তারিখ বা ডেডলাইন মিস করার সম্ভাবনা নেই।
দেশ জুড়ে আসাদুজ্জামানের মতো লক্ষ গ্রাহক বিকাশের মাধ্যমে বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, ইন্টারনেট, টিভির মতো ইউটিলিটি বিল পরিশোধ করছেন স্বাচ্ছন্দ্যে ও নিরাপদে।
সম্প্রতি বিদ্যুৎ বিভাগের এক জরিপেও উঠে এসেছে ইউটিলিটি বিল পেমেন্টের মাধ্যম হিসেবে বিকাশের জনপ্রিয়তার কথা। এই জরিপে (যেখানে একাধিক উত্তর দেওয়ার সুযোগ ছিল) দেখা যায়, দেশের ৬৮.৩২ শতাংশ গ্রাহক বিভিন্ন ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে পোস্ট-পেইড বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেন, আর শুধুমাত্র বিকাশ-এর মাধ্যমেই পোস্ট-পেইড বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেন ৬১.১১ শতাংশ গ্রাহক। এছাড়াও, ঐ জরিপে ১৮.০১ শতাংশ গ্রাহক বিদ্যুৎ অফিসে, এবং ১৪.২৬ শতাংশ গ্রাহক অন্যান্য এমএফএস সেবার মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে থাকেন।
বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পাওয়ার ডিভিশনের আওতাধীন পাওয়ার সেল কর্তৃক নিযুক্ত ‘কাস্টমার স্যাটিসফ্যাকশন সার্ভে উইথ রিকমেন্ডেশন অব কোয়ালিটি পাওয়ার সাপ্লাই ইনক্লুডিং এসএআইডিআই/এসএআইএফআই’ (এসএআইডিআই/এসএআইএফআই ব্যবহারপূর্বক মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের পরামর্শসহ গ্রাহক সন্তুষ্টি সমীক্ষা) শীর্ষক জরিপটি পরিচালনা করে উন্নয়ন সংস্থা মাইডাস (মাইক্রো ইন্ডাসট্রিজ ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিস্টেন্স অ্যান্ড সার্ভিসেস)। জরিপটি করা হয় ২০২৩ সালের মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত। চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা, রংপুর, খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার ছয়টি বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির ১৫ হাজার ২৪৫ জন গ্রাহকের উপর জরিপটি চালানো হয়।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৫২.০১ শতাংশ গ্রাহক প্রি-পেইড বিদ্যুতের মিটার এবং ৪৭.৯৯ শতাংশ পোস্ট-পেইড মিটার ব্যবহার করেন। ৬৯.৮৭ শতাংশ মোবাইল বা অনলাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেন। জরিপে উত্তর দেয়া ৯৯.১২ শতাংশ গ্রাহক এমএফএস ও অনলইনে বিল পরিশোধে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এ সেবাকে নিয়ে ৪৬.৫ শতাংশ গ্রাহক ‘ভালো’, ২৯.৫ শতাংশ ‘খুব ভালো’ এবং ২৩.১ শতাংশ গ্রাহক সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
জরিপে আরও দেখা গিয়েছে, অনলাইনে বিল দেয়া বর্তমানে অনেক আধুনিক ও নিরাপদ একটি সেবা, যা আগের চেয়ে অনেক সহজ এবং গ্রাহকরা ঘরে বসেই পেমেন্ট করতে পারছেন। গ্রাহকরা যাতে ঘরে বসেই নির্বিঘ্নে বিল পরিশোধ করতে পারেন, সে বিষয়ে ইউটিলিটি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেয়া হয় জরিপটিতে।
কেবল ইউটিলিটি বিলই নয়, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফি, সরকারি ফি, ক্রেডিট কার্ডের বিলসহ বিভিন্ন সেবার বিল বিকাশ-এর মাধ্যমে পরিশোধ করার সুবিধা গ্রাহকের জীবনকে করেছে আরও সহজ ও গতিশীল।
প্রয়োজনের মুহূর্তে বিল পরিশোধের জন্য বিকাশ-এ পর্যাপ্ত ব্যালেন্স না থাকলেও সমস্যায় পড়তে হয়না বিকাশ অ্যাপের ‘অ্যাড মানি’ সেবার কল্যাণে। কেননা, দরকারের সময় গ্রাহক তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অথবা ভিসা, অ্যামেক্স বা মাস্টারকার্ড থেকে নিমেষেই টাকা ট্রান্সফার করতে পারেন নিজের বা প্রিয়জনের বিকাশ অ্যাকাউন্টে। আবার, বিকাশ অ্যাপে আছে ‘অটো পে’ সুবিধা, যা সেট করে রাখলে নির্দিষ্ট ইউটিলিটি বিলের ক্ষেত্রে নির্ধারিত তারিখে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিল পেমেন্ট হয়ে যায়।
এই সেবা চালু করে রাখলে ডেডলাইন মিস হওয়ার ঝুঁকি এড়ানো যায় খুব সহজেই। বিকাশ থেকে ইউটিলিটি বিল পেমেন্টের বিস্তারিত দেখে নেয়া যাবে এই লিংকে – https://www.bkash.com/products-services/pay-bill
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
নতুন বছরে রূপালী ব্যাংকের এমডির শুভেচ্ছা বিনিময়
ইংরেজী নববর্ষ ২০২৫ এর শুরুতে রূপালী ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলাম ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। বৃহস্পতিবার (০২ জানুয়ারি) এ উপলক্ষ্যে দিলকুশাস্থ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে ভার্চ্যুয়ালি এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিগত বছরের ব্যবসায়িক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিনন্দন জানান। এ সময় তিনি শ্রেণীকৃত ঋণ আদায়সহ নতুন বছরের ব্যবসায়িক কর্মপন্থা নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পারসুমা আলম, হাসান তানভীর ও মো. হারুনুর রশীদ।
এছাড়াও মহাব্যবস্থাপক ইকবাল হোসেন খাঁ, মোহাম্মদ শাহেদুর রহমান, শিকদার ফারুক-ই আযম, মোহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী, ইসমাইল হোসেন শেখ, মোহাম্মদ সাফায়েত হোসেন, কমল ভট্টাচার্য, মো. মইন উদ্দিন মাসুদ, মোহাম্মদ আমির হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, মো. নোমান মিয়া, সালামুন নেছা, তানভীর হাছনাইন মঈন, আবু নাসের মোহাম্মদ মাসুদ, রোকনুজ্জামান, মো. আবুল হাসান, এস. এম দিদারুল ইসলামসহ জোনাল ম্যানেজার, প্রধান কার্যালয়ের সকল বিভাগীয় প্রধান ও শাখা ব্যবস্থাপকগণ এতে অংশ নেন।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
চাকরিচ্যুতরা এস আলমের অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্ত ছিল: সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক
চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের (এসআইবিএল) চাকরিচ্যুত কর্মকর্তারা আমরণ অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। অবস্থান নিয়েছেন ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ের সামনে। আন্দোলনকারীদের দাবি, বিনা কারণে বিনা নোটিশে আমাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। কিন্তু ব্যাংক বলছে, ব্যাংকের সার্ভিস রুলস মোতাবেক এবং নিয়োগ পত্রের ধারা ১০ অনুযায়ী অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্তদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানিয়েছে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (এসআইবিএল)।
ব্যাংকটি বলছে, ব্যাংকিং খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এস আলম গ্রুপের অবৈধ নিয়োগ দেওয়া ৫৭৯ জন কর্মকর্তাকে গত ২৯ অক্টোবর চাকরিচ্যুত করে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক। ব্যাংকের সার্ভিস রুলস মোতাবেক এবং নিয়োগ পত্রের ধারা দশ অনুযায়ী শিক্ষানবিশ সময়কালে ব্যাংক যে কোনো সময় বিনা নোটিশে যেকোনো কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করার অধিকার রাখে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এসব অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্তদের চাকরিচ্যুত করা হয়।
পরবর্তী সময়ে চাকরিচ্যুত কর্মকর্তাদের একটি সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ চাকরি পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে ব্যাংকের নিকট আবেদন করে। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রত্যেকের সঙ্গে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে শুনানির আয়োজন করা হয়। শুনানি পরবর্তী সময়ে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ তাদেরকে চাকরি পুনর্বহাল সম্ভব নয় উল্লেখ করে পত্র প্রদান করে। এই চিঠি পাওয়ার পর গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে চাকরিচ্যুত কর্মকর্তারা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছে এবং লাগাতার ব্যাংকের সামনে অবস্থান করছে। যার ফলে ব্যাংকের গ্রাহকগণ হয়রানির শিকার হচ্ছেন এবং সাধারণ জনগণের স্বাভাবিক চলাফেরা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এমনকি মতিঝিলের সর্বোচ্চ স্থাপনা সিটি সেন্টারের সামনে এ ধরনের কার্যক্রম এই বিল্ডিং এ অবস্থিত অন্যান্য অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদেরও স্বাভাবিক চলাফেরা বাধাগ্রস্ত করছে।
এসআইবিএল আরও জানায়, পটিয়া এলাকার প্রায় ২০০০ কর্মকর্তা নিয়মবহির্ভূত নিয়োগ পেয়ে এখনো এসআইবিএল এ কর্মরত রয়েছে। এসব কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় এবং এস আলম গ্রুপের মদদে এই চাকরিচ্যুত কর্মকর্তারা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। তাদের এই পদক্ষেপ ব্যাংকিং খাত তথা রাষ্ট্রের জন্য হুমকিস্বরূপ। প্রশাসন যদি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাহলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা হতে পারে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে পত্রের মাধ্যমে অবহিত করা হয় এবং তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয় দ্রুত তারা এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম সাদিকুল ইসলাম বলেন, ব্যাংকিং খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিয়োগপত্রের ধারা মেনেই অবৈধভাবে এস আলম গ্রুপের নিয়োগ দেওয়া কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক যে, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর এস আলমের পৃষ্ঠপোষকতায় তারা এ ধরনের বিশৃঙ্খলা করে নৈরাজ্যের সৃষ্টি করছে যা রাষ্ট্রের জন্য হুমকিস্বরূপ এবং সাধারণ জনগণ তথা ব্যাংকের গ্রাহকগণ এর ফলে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। যা মোটেই কাম্য নয়।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রীয় মদদে এস আলম গ্রুপ দেশের ব্যাংকিং খাতে ভয়াবহ দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে চরম অরাজকতার সৃষ্টি করেছিল। বাংলাদেশ ব্যাংক যখন ব্যাংকিং খাত সংস্কারে ইতিবাচক ও প্রশংসনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে তখন এস আলমের মদদপুষ্ট এক গোষ্ঠী আবারও অরাজকতা তৈরিতে সক্রিয় রয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ঝামেলাহীনভাবে বৈধপথে বিকাশে রেমিট্যান্স প্রবাহে প্রবৃদ্ধি ৬৫ শতাংশ
দেশে থাকা প্রিয়জনদের ৪০ লাখেরও বেশি বিকাশ অ্যাকাউন্টে বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। সহজে, তাৎক্ষণিক ও নিরাপদে রেমিট্যান্স পাঠাতে পারার এই সুবিধা রেমিটেন্স প্রবাহের গতি বাড়িয়েছে। ২০২৩ এর তুলনায় ২০২৪-এ বিকাশ-এর মাধ্যমে ৬৫ শতাংশ বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে শক্তিশালী করতেও ভূমিকা রেখেছে।
দেশের অর্থনীতির অন্যতম লাইফলাইন হিসেবে প্রবাসীদের কষ্টার্জিত রেমিট্যান্স দেশের বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহকে গতিশীল ও রিজার্ভকে শক্তিশালী করে জাতীয় অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করছে। সে লক্ষ্যেই, প্রবাসীদের আরও সহজে ও নিরাপদে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য একটি শক্তিশালী ইকোসিস্টেম তৈরি করেছে বিকাশ। বর্তমানে, বিশ্বের ১৪০টিরও বেশি দেশ থেকে ১১০টি আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার অপারেটর (এমটিও) এর মাধ্যমে দেশের ২৫টি শীর্ষ বাণিজ্যিক ব্যাংকে সেটেলমেন্ট হয়ে নিমেষেই রেমিট্যান্স পৌঁছে যাচ্ছে দেশে থাকা প্রিয়জনের বিকাশ অ্যাকাউন্টে।
বিকাশ-এ রেমিট্যান্স পাঠানো বা গ্রহণ করা যায় যেকোনো সময় যেকোনো জায়গায়। এক্ষেত্রে বার বার ব্যাংকে যাওয়ার প্রয়োজনও নেই। এছাড়া, বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকেই রেমিট্যান্সের অর্থ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের পণ্য ও সেবার পেমেন্ট, গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির মতো ইউটিলিটি সেবার বিল পরিশোধ, সেন্ড মানি, মোবাইল রিচার্জ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি সেবার ফি পরিশোধ, অনুদান প্রদান সহ অসংখ্য সেবা ঘরে বসেই নিতে পারছেন প্রবাসীর স্বজনরা।
সহজ, তাৎক্ষণিক ও নিরাপদে রেমিটেন্স পাঠানোর সুবিধার পাশাপাশি বিকাশ-এ এখন রেমিট্যান্সের টাকা ক্যাশ আউট করার খরচও কমেছে। দেশজুড়ে ১৯টি শীর্ষ বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রায় ২,৫০০ এটিএম বুথ থেকে বিকাশ অ্যাপ দিয়ে বা *২৪৭# ডায়াল করে হাজারে মাত্র ৭টাকা চার্জে ক্যাশ আউট করতে পারছেন প্রবাসীর স্বজনরা।
এছাড়াও, বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীদের সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করতে নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রায়শই বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় অফার নিয়ে আসছে বিকাশ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
চাকরি ফিরে পেতে এসআইবিএল কর্মকর্তাদের আমরণ অনশন
চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে আমরণ অনশন ও বিক্ষোভ করেছে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের (এসআইবিএল) চাকরিচ্যুত কর্মকর্তারা। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাজধানীর মতিঝিলে এসআইবিএলের প্রধান কার্যালয়ের সামনে প্রতিষ্ঠানটির শতাধিক চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছেন।
এ সময় চাকরিচ্যুত কর্মকর্তারা জানান, কোনো অগ্রিম নোটিশ ছাড়াই তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ অনৈতিক ও জোরপূর্বক তাদের চাকরি থেকে সরিয়ে দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
এসআইবিএলের বিক্ষোভকারী এক কর্মকর্তা বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই আমাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। আমাদের কোন অপরাধ নাই। চাকরিতে পুনর্বহাল চাই। বাড়িতে অসুস্থ বাবা-মা। চাকরি হারিয়ে আমরা এখন অসহায়। কর্তৃপক্ষ আমাদের কোনো কথা কর্ণপাত করছেন না। চারদিন ধরে আমরা এখানে খেয়ে না খেয়ে অবস্থান করছি। এখন পর্যন্ত আমাদের সাথে কেউ কোন ধরনের যোগাযোগ করেনি।
জানা গেছে, ৬৭২ জন কর্মকর্তাকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করায় তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
অবিলম্বে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি জানান এই আন্দোলনকারী ব্যাংক কর্মকর্তারা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
সোনালী ব্যাংক ও অগ্নি সিস্টেমসের মধ্যে চুক্তি
রাষ্ট্রায়ত্ব সোনালী ব্যাংকের শাখাগুলোতে দ্রুত গতির ইন্টারনেট সেবা প্রদানের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটির সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে দেশের অন্যতম ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান অগ্নি সিস্টেমস লিমিটেড।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাজধানীর মতিঝিলে সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
অগ্নি সিস্টেমসের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক জিয়া সামসী এবং সোনালী ব্যাংকের পক্ষে ব্যাংকটির ডিজিএম মুনমুন মন্ডল চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এসময় অগ্নি সিস্টেমস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সালাম এবং সোনালী ব্যাংকের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তির আওতায় সোনালী ব্যাংকের দেশব্যাপী প্রায় ৫ শতাধিক শাখায় দ্রুত গতির ডাটা কানেক্টিভিটি সেবা নিশ্চিত করবে অগ্নি সিস্টেমস। পাশাপাশি চুক্তির আওতায় দুই প্রতিষ্ঠানের উত্তরোত্তর উন্নতি, উদ্ভাবন এবং পরিষেবা প্রদানে কাজ করবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অগ্নি সিস্টেমসের সিএফওও শেখ জামাল উদ্দিন, কোম্পানি সেক্রেটারি মওদুদ আহমেদ এসিএসসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের উর্ধতন কর্মকর্তারা।
কাফি