প্রবাস
মালদ্বীপে বাংলাদেশি পর্যটক ২৯ শতাংশ বেড়েছে

ভিসা ছাড়াই বিশ্বের ৪২টি দেশ ভ্রমণ করতে পারেন বাংলাদেশি পর্যটকেরা। তার মধ্যে ভারত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ অন্যতম। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এই দেশটিতে অন অ্যারাইভাল ভিসার সুবিধা থাকায় তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশি পর্যটকদের ভ্রমণ করা খুব সহজ। অন্যান্য দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মালদ্বীপে চলতি বছরের প্রথম আট মাসে বাংলাদেশি পর্যটক বেড়েছে ২৯ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) স্থানীয় গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশটির মার্কেটিং অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইব্রাহিম শিউরি একথা জানান।
বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যগুলোর মধ্যে মালদ্বীপ একটি। যার উচ্চতা মাত্র সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে দুই দশমিক তিন মিটার। যেন এক সমুদ্র জলে দাঁড়িয়ে থাকা নীল জলরাশির একটি দেশ।
১২০০টি দ্বীপ এবং ২৬টি প্রবালদ্বীপের এই অপরূপ দেশটি পর্যটকদের অপার্থিব সব বিলাসিতার কেন্দ্রবিন্দু। যার জন্যই বিশ্বের নামকরা তারকা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সবাই মালদ্বীপ ভ্রমণে ভিড় করেন। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশি পর্যটকদেরও স্বপ্নের সেরা গন্তব্য হয়ে উঠেছে এই দেশটি।
মালদ্বীপের বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিদেশি পর্যটকদের আগমন বাড়ানোর জন্য সমুদ্র সৈকত এবং রসালো ল্যান্ডস্কেপে এনেছেন বড় পরিবর্তন। যা বিশ্ব পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। যার ফলে অন্যান্য দেশের ভ্রমণ পিপাসুদের সাথে পাল্লা দিয়ে মালদ্বীপে প্রতিদিনই বাংলাদেশি পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে পর্যটন স্পষ্টগুলো।
চলতি বছরের প্রথম আট মাসে ২০ হাজার ৮৪০ জন বাংলাদেশি পর্যটক ভ্রমণ করেছেন দেশটিতে। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৯ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির মার্কেটিং অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইব্রাহিম শিউরি।
এছাড়াও তিনি উল্লেখ করেন, নতুন করে মালদ্বীপের পর্যটন শিল্পে পরিবর্তন আনায় প্রতিদিনই দেশটিতে ভিড় করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ভ্রমণ পিপাসুরা। তবে দেশটির নতুন এই পরিবর্তিত পর্যটন বাজারের সবচেয়ে বেশি চমক হচ্ছে বাংলাদেশি পর্যটক বৃদ্ধি পাওয়া। মালদ্বীপের এই ঊর্ধ্বমুখী পর্যটকদের প্রবণতা বজায় রাখার জন্য তাদের বিপণন প্রচেষ্টা আরও প্রসারিত করবে বলেও জানান তিনি।
বর্তমানে মালদ্বীপে পর্যটক আগমনের শীর্ষ ২০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশি পর্যটকের অবস্থান ১৬তম স্থানে বলেও জানিয়েছেন দেশটির পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।

প্রবাস
ভোটাধিকারের দাবিতে প্যারিসে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সমাবেশ

প্রবাস থেকে ভোট দেওয়ার অধিকার নিশ্চিত করার দাবিতে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় প্যারিসে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে একটি বড় সমাবেশের আয়োজন করেছেন ফ্রান্সে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
বাংলাদেশ নাগরিক পরিষদের উদ্যোগে এই সমাবেশে সকল প্রবাসীকে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের এই দাবি দীর্ঘদিনের, কিন্তু অতীতের কোনো সরকারই তাদের এই মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। প্রবাসীরা বলেন, দেশের অর্থনীতিতে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও, তাদের ভোটাধিকার নিয়ে বরাবরই অবহেলা করা হয়েছে। তারা মনে করেন, যদি এবারও এই ব্যবস্থা না করা হয়, তবে হয়তো ভবিষ্যতে আর কোনোদিনই তা হবে না।
তারা আরও জানান, সম্প্রতি বৈষম্য ও ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে প্রবাসীরা সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। বিভিন্ন দেশে দূতাবাস ও হাইকমিশন ঘেরাও করে তারা প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এমনকি সর্বশেষ ৫ আগস্ট রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধ করে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। তাই, দেশের প্রতি এমন অবদান রাখা প্রবাসীদের ভোটাধিকার আর কোনোভাবেই উপেক্ষা করা উচিত নয়। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনেই যেন তাদের ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়, সেই দাবি জোরালোভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
প্রবাসী নেতারা বলেন, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান তৎপরতা দেখতে চান তারা। যত দ্রুত সম্ভব প্রবাসীদের ভোটার তালিকা তৈরির কাজ শুরু করার দাবিও জানানো হয়েছে।
প্রবাস
মালয়েশিয়ায় বিশেষ অভিযান, ৩৭৭ বাংলাদেশি আটক

মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে ইমিগ্রেশন বিভাগের বিশেষ অভিযানে ৭৭০ জন অবৈধ প্রবাসীকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় দেশটির পর্যটনকেন্দ্রিক এলাকা বুকিত বিনতাংয়ে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আটকদের মধ্যে বাংলাদেশি ৩৭৭ জন, মিয়ানমার ২৩৫, ভারত ৫৮, নেপাল ৭২, ইন্দোনেশিয়া, ১৯ (১৭ জন পুরুষ, দুইজন নারী) অন্যান্য ৯ জন (৩ জন পুরুষ, ৬ জন নারী) রয়েছেন।
ইমিগ্রেশন এনফোর্সমেন্ট বিভাগের পরিচালক বাসরি ওথমান বলেন, স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রায় প্রতিদিনই আমাদের অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযোগ ছিল, এলাকাটি বিদেশি নাগরিকদের অবৈধ কর্মকাণ্ডের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু।
বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই বসবাস, মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসা, কাগজপত্রের অপব্যবহার, এসব কারণে তাদের আটক করা হয়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শুরু হওয়া অভিযানে ১০৬ জন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা অংশ নেন। মোট ২ হাজার ৪৪৫ জনকে তল্লাশি করা হয়, এর মধ্যে ১ হাজার ৬০০ জন বিদেশি এবং ৮৪৫ জন স্থানীয় নাগরিক ছিলেন।
বাসরি বলেন, অভিযানের সময় কয়েকজন প্রবাসী দোকানে লুকানোর চেষ্টা করেন এবং কেউ কেউ ছাদে উঠে যায়। তবে পুরো এলাকা ঘিরে রাখায় তারা শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ে।
অভিযানে একটি অবৈধ জুয়া কেন্দ্রও শনাক্ত করা হয়, যেখানে সিসিটিভি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা ছিল। সেখান থেকে আটজন বিদেশিকে জুয়ারত অবস্থায় আটক করা হয়।
আটকদের পুত্রাজায়া ইমিগ্রেশন অফিসে নিয়ে প্রাথমিক স্ক্রিনিং শেষে ডিটেনশন ডিপোতে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩ এর ধারা ৬(৩), ১৫(৪) এবং প্রবিধান ৩৯(বি) অনুযায়ী তদন্ত চলছে।
বাসরি ওথমান জানিয়েছেন, এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়মিত পরিদর্শন করা হবে যেন নিয়োগকর্তারা অনুমোদিত বিদেশিকর্মী কোটা মেনে চলেন।
প্রবাস
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী এক্সচেঞ্জের প্রতারণা, রোমে প্রবাসীদের বাংলাদেশ দূতাবাস ঘেরাও

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসির আওতাধীন ইতালিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী এক্সচেঞ্জের (এসআরএল) বিরুদ্ধে প্রতারণা মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। প্রায় দুই হাজার বাংলাদেশি প্রবাসীর পাঠানো প্রায় ৮ লাখ ইউরো আটকে রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। এ ঘটনায় সম্প্রতি রোমস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ঘেরাও ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ইতালির বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা এজেন্ট ও ভুক্তভোগী বাংলাদেশিরা।
জানা গেছে, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসির শতভাগ মালিকানাধীন ইতালিভিত্তিক ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী এক্সচেঞ্জ (এস.আর.এল) প্রায় দুই হাজার প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো প্রায় ৮ লাখ ইউরো (প্রায় ১২ কোটি টাকার সমান) আটকে রেখেছে। চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি থেকে প্রতিষ্ঠানটি প্রবাসীদের এসব পাঠানো বৈধ রেমিট্যান্সের টাকা হস্তান্তর করছে না। এরই মধ্যে গত মার্চ মাসে প্রবাসীদের টাকার কোন সমাধান না করে বন্ধ করে দেয়া হয় রোমে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়। হঠাৎ করেই এমন কর্মকাণ্ডে বিপাকে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটির এজেন্টগুলো।
এছাড়া, ভুক্তভোগী বাংলাদেশিরা সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেন। দফায় দফায় রোম দূতাবাস ও মিলান কনস্যুলেট অফিসে লিখিত অভিযোগ জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। এক পর্যায় লাগাতার দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচির ঘোষণা করেন ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগী প্রবাসীরা জানান, ইতোমধ্যে রোম ও মিলানোর বাংলাদেশ দূতাবাস, বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস, নন রেসিডেন্স গ্লোবাল রেমিটেন্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ইকরাম ফরাজি, অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নানের কাছে লিখিত অভিযোগ পাঠিয়েও কোন সুরাহা পাননি।
তাদের দাবি, এই অর্থ প্রবাসীদের কঠোর পরিশ্রমের ফসল এবং তা দ্রুত গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়া হোক। তারা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, বৈধ পথে টাকা পাঠিয়েও যদি প্রবাসীরা নিরাপত্তাহীনতায় থাকে তাহলে বৈধ পথে টাকা পাঠিয়ে নিরাপত্তা কোথায়? অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর ব্যাংকের বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান এবং নতুন কর্মকর্তাদের অধীনে এই আত্মসাতের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী প্রবাসীরা।
প্রবাসী বাংলাদেশিরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সমাধান না পেলে তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য দূতাবাস ঘেরাও, বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধসহ আরও কঠোর কর্মসূচি পালন করবেন। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এই পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী হলে দেশের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং প্রবাসীরা বৈধ চ্যানেলে টাকা পাঠিয়ে এমন হয়রানির স্বীকার হলে বৈধ পথে টাকা পাঠানোর উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে, ফলে হুন্ডির মতো অবৈধ চ্যানেল সক্রিয় হবে।
কাফি
প্রবাস
কলিং ভিসায় ২৪ লাখ ৬৮ হাজার কর্মী নেবে মালয়েশিয়া

বিদেশি শ্রমিক নিয়োগে ফের কলিং ভিসার কোটা উন্মুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে মালয়েশিয়া। কলিং ভিসায় দেশটি সাড়ে ২৪ লাখের বেশি কর্মী নেবে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) এক ঘোষণায় এ কথা জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসিউশন ইসমাইল। মালয়েশিয়ার প্রধান প্রধান গণমাধ্যম এ খবর প্রকাশ করেছে।
দীর্ঘ চার বছরের নিষেধাজ্ঞার পর ২০২২ সালের ৯ আগস্ট মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত হলেও এর সাত মাস পর ২০২৩ সালের ১৮ মার্চ দেশটির তৎকালীন মানবসম্পদমন্ত্রী ভি শিবকুমার এক বিবৃতিতে জানান, বিদেশি কর্মীদের জন্য কোটার আবেদন ও অনুমোদন পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে।
প্রায় দুই বছর পর আজ মঙ্গলবার বিদেশি কর্মী নিয়োগ বিষয়ে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একটি যৌথ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় কলিং ভিসার কোটা উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসিউশন ইসমাইল জানান, কৃষি, বাগান ও খনি খাতসহ মোট ১৩টি উপখাতে বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের আবেদন গ্রহণ করা হবে।
এর মধ্যে সার্ভিস সেক্টরের হোলসেল অ্যান্ড রিটেল, ল্যান্ড ওয়্যার হাউস, সিকিউরিটি গার্ডস, মেটাল অ্যান্ড স্ক্রাপ ম্যাটেরিয়ালস, রেস্তোরাঁ, লন্ড্রি, কার্গো এবং বিল্ডিং ক্লিনিং খাতে শ্রমিক নিয়োগের সুযোগ থাকছে।
তিনি আরও বলেন, নির্মাণ খাত অর্থাৎ কনস্ট্রাকশন সেক্টরে নিয়োগ কেবল সরকারি প্রকল্পে সীমাবদ্ধ থাকবে, আর উৎপাদন (ম্যানুফ্যাক্টর) খাতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে মালয়েশিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এমআইডিএ) এর আওতাধীন নতুন বিনিয়োগকে।
এবারের কলিং ভিসা/বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের আবেদনের সুযোগ শুধু খাতভিত্তিক অফিসিয়াল এজেন্সিগুলো পাবে। আগের মতো কোনো এজেন্ট বা সরাসরি নিয়োগকর্তা স্বাধীনভাবে আবেদন করতে পারবে না। আবেদন যাচাইবাছাই শেষে তা অনুমোদন করবে ফরেন ওয়ার্কার্স টেকনিকাল কমিটি এবং পরে জয়েন্ট (যৌথ) কমিটি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, এখন ২৪ লাখ ৬৭ হাজার ৭৫৬ জন শ্রমিকের কোটা চালু আছে, যা বছর শেষ (৩১ ডিসেম্বর-২০২৫) পর্যন্ত বহাল থাকবে।
এরপর বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ সীমিত করে কেবল দেশের মোট জন শক্তির ১০% পর্যন্ত অনুমতি দেওয়া হবে। তবে এ কোটায় বাংলাদেশিরা কতজন আবেদন করতে পারবে তা জানায়নি দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা মিডিয়াগুলো।
প্রবাস
মালয়েশিয়ার বিমানবন্দরে আটকে গেল ৯৮ বাংলাদেশি

মালয়েশিয়া কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয়েছে ৯৮ বাংলাদেশিকে। দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি পাননি তারা। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মালয়েশীয় বার্তাসংস্থা বার্নামা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, মালয়েশিয়ার সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ এবং সুরক্ষা সংস্থা (একেপিএস) বিমানবন্দরের প্রথম টার্মিনালে রাত ১টা থেকে সকাল ৭টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত অভিযান চালায়। এ সময় ১৮১ জনের কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা। এদের মধ্যে ৯৮ বাংলাদেশি মালয়েশিয়ায় প্রবেশের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দেখাতে পারেননি। পরে তাদের ‘নো টু ল্যান্ড’ নোটিশ দেওয়া হয়।
একেপিএস এক বিবৃতিতে বলেছে, যাদের আটকে দেওয়া হয়েছে তারা ঢাকা থেকে একটি ভোরের ফ্লাইটে এসেছেন। দিনের বেলা যেহেতু কঠোর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়, সেটি এড়াতে খুব সম্ভবত তারা ভোরে আসেন।
ভুয়া হোটেল বুকিং, রিটার্ন টিকিট না থাকা এবং পর্যাপ্ত অর্থ থাকার প্রমাণ দিতে না পারায় ওই বাংলাদেশিদেরকে মালয়েশিয়ায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।
তারা বলেছে, যাদের আটকে দেওয়া হয়েছে তারা (পর্যটন ভিসায় এসে) খুব সম্ভবত মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করে ভিসার অপব্যবহার করত। তাদের অবৈধভাবে কাজ ও থাকার পরিকল্পনা ছিল।
সীমান্তের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং জাতীয় নিরাপত্তা শক্তিশালীকরণে এই অভিযান চালানো হয়েছে। ভবিষ্যতেও এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংস্থাটি।
কাফি