অন্যান্য
ইজারার দলিল নিবন্ধনে কর দিতে হবে ৪ শতাংশ

সরকারি প্রতিষ্ঠান বেসরকারি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ভূমি, ফ্ল্যাট ও প্লটসহ অন্যান্য স্থাবর সম্পত্তি ইজারা দিয়ে আসছে। কিন্তু ইজারা দলিল নিবন্ধনের ক্ষেত্রে উৎসে কর ইজারাদার প্রতিষ্ঠান না কি ইজারা নেওয়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পরিশোধ করবে তা নিয়ে প্রশ্ন বা জটিলতা ছিল। সেই জটিলতা নিরসনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে সমাধান দেওয়া হয়েছে। রোববার এক বিশেষ আদেশে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।
এনবিআর বলছে, ইজারাদার প্রতিষ্ঠানকে দলিল নিবন্ধনের সময় ৪ শতাংশ হারে উৎসে কর পরিশোধ করতে হবে। নিবন্ধনের সময় সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিস ইজারাদার প্রতিষ্ঠান এই কর রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হয়েছে কি না তা নিশ্চিত হয়ে নিবন্ধন করবে। তবে ১০ বছরের অধিক সময়ের জন্য ইজারা দেওয়া ভূমি, ফ্ল্যাট, প্লট ও অন্যান্য স্থাবর সম্পত্তি ইজারা দেওয়ার ক্ষেত্রে ওই উৎসে কর কর্তন করতে হবে।
সূত্র জানায়, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জমি, ফ্ল্যাট, প্লট ও অন্যান্য স্থাবর সম্পত্তি বিভিন্ন মেয়াদে ইজারা দিয়ে থাকে। এছাড়া গণপূর্ত, সিটি করপোরেশন, পৌরসভাও বিভিন্ন সময় স্থাবর সম্পত্তি ইজারা দিয়ে থাকে। আবার বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) ও বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বিনিয়োগের শর্তে জমি ইজারা দিয়ে থাকে।
আয়কর আইন, ২০২৩ অনুযায়ী এসব জমি, ফ্ল্যাট, প্লট ও অন্যান্য স্থাবর সম্পত্তি ইজারা দেয়ার ক্ষেত্রে উৎসে আয়কর কর্তন করে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। তবে ইজারাদার প্রতিষ্ঠান না কি ইজারা নেওয়া ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান উৎসে কর পরিশোধ করবে-এই নিয়ে প্রশ্ন তোলায় সম্প্রতি এনবিআর ওই বিষয়ে স্পষ্টীকরণ করে আদেশ জারি করা হয়েছে।
আদেশে বলা হয়েছে, যেসব ক্ষেত্রে কোনো ইজারাদার কর্তৃক অন্যূন ১০ বছর মেয়াদে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ভূমি, ফ্ল্যাট, প্লট বা অন্যান্য স্থাবর সম্পত্তি ইজারা প্রদান করা হয়। অথবা কোনো অর্থনৈতিক অঞ্চল বা শিল্পনগরীতে ভূমি উন্নয়নপূর্বক শিল্প স্থাপনের উপযোগী করে বিনিয়োগকারীর অনুকূলে ইজারা প্রদান করা হয়, সে সকল ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন আইন, ১৯০৮ এর অধীন সংশ্লিষ্ট ভূমি, ফ্ল্যাট, প্লটসহ সকল প্রকার স্থাবর সম্পত্তির ইজারা দলিল নিবন্ধনের সময় রেজিস্ট্রেশন কর্তৃপক্ষ আয়কর আইন, ২০২৩ এর ধারা ১২৮ এর বিধান অনুযায়ী ইজারাদার থেকে ইজারা মূল্যের উপর ৪ শতাংশ হারে কর সংগ্রহ করে তা সরকারি কোষাগারে জমাদান নিশ্চিত করবে।
তবে দুইটি ক্ষেত্রে এই কর কর্তন করতে হবে না। তা হলো—স্থাবর সম্পত্তির ইজারার মেয়াদ ১০ বছরের কম হলে এবং হস্তান্তরকারী ইজারাদার না হলে।
আদেশে বলা হয়েছে, উৎসে কর কর্তনের ক্ষেত্রে চারটি বিষয় বিবেচ্য হবে। যার মধ্যে রয়েছে—১০ বছর বা তদূর্ধ্ব মেয়াদের জন্য ইজারাকৃত স্থাবর সম্পত্তির ইজারা দলিল নিবন্ধনের ক্ষেত্রে আয়কর আইন, ২০২৩ এর ধারা ১২৮ এর অধীন উৎসে কর সংগ্রহ প্রযোজ্য হবে।
ইজারা দলিল নিবন্ধনকালে ইজারাদার উৎসে কর পরিশোধ করবেন। ইজারা দলিল নিবন্ধনকালে আয়কর আইন, ২০২৩ এর ধারা ১২৫, ধারা ১২৬ বা অন্য কোনো ধারার অধীন কর পরিশোধের প্রযোজ্যতা নেই। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ প্রুফ অব সাবমিশন অব রিটার্ন বা পিএসআর উপস্থাপনের ব্যর্থতায় উৎসে কর সংগ্রহের হার অপেক্ষা ৫০ শতাংশ অধিক হবে।
উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে, মফিজুর রহমান নামে এক ব্যক্তি উত্তরা ১৮নং সেক্টরে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্পে ‘সি’ ব্লকের ১৬৫৪ বর্গফুট আয়তনের একটি ফ্ল্যাট পেয়েছেন। রাজউক ৯৯ বছরের জন্য রহমানকে এই ফ্ল্যাট ইজারা দিয়েছে। রহমান ইজারা মূল্য হিসেবে ৪০ লাখ টাকা কিস্তিতে পরিশোধ করে ফ্ল্যাটের ইজারা দলিল নিবন্ধন করতে সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে গিয়েছেন।
এক্ষেত্রে আয়কর আইন, ২০২৩ এর ধারা ১২৮ এর বিধান অনুযায়ী, রাজউক হতে ইজারা মূল্যের ৪ শতাংশ হারে ৪০ লাখ টাকায় এক লাখ ৬০ হাজার টাকা উৎসে কর সংগ্রহ এবং তা সরকারি কোষাগারে জমাদানের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে সাব রেজিস্ট্রার ইজারা দলিল নিবন্ধন করবেন।
আরেক উদাহরণে বলা হয়েছে, শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৫৫ একর জমি শিল্প স্থাপনের উপযোগী করে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান এবিডি লিমিটেডকে ৫০ বছরের জন্য ইজারা প্রদান করেছে। বেজা এবং এবিডি লিমিটেড কর্তৃক সম্পাদিত ল্যান্ড লিজ এগ্রিমেন্ট (এলএলএ) অনুযায়ী, এই জমির ইজারা মূল্য ১০০ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সাব রেজিস্ট্রার ইজারা দলিল নিবন্ধনের পূর্বে বেজা হতে ইজারা মূল্যের ৪ শতাংশ হারে ৪ কোটি টাকা উৎসে কর সংগ্রহ ও তা সরকারি কোষাগারে জমা দান নিশ্চিত করবেন।

অন্যান্য
৭ জেলায় ঝড়-বজ্রবৃষ্টির আভাস, সমুদ্রবন্দরে সতর্কতা

দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল রয়েছে। এছাড়া সাত জেলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়া হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
শনিবার (২৩ আগস্ট) ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য জারি করা সতর্কবার্তায় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝেড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে, আবহাওয়া অফিসের সামুদ্রিক সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত রয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা/ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী সোমবারের (২৫ আগস্ট) মধ্যে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
অন্যান্য
লেনদেনের শীর্ষে বিএসসি

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি)। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বুধবার (২০ আগস্ট) কোম্পানিটির ৩৫ কোটি ৪১ লাখ ২৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিচ হ্যাচারির লেনদেন হয়েছে ২৭ কোটি ৬৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার। আর ২৭ কোটি ২৫ লাখ ৯৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন নিয়ে শীর্ষ তালিকার তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে বেক্সিমকো ফার্মা।
লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- সিটি ব্যাংক, টেকনো ড্রাগস, ওরিয়ন ইনফিউশন, বিকন ফার্মা, সোনালী পেপার, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ এবং মালেক স্পিনিং মিলস পিএলসি।
এসএম
অন্যান্য
আইসিবি এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট এমএফ ওয়ান: স্কিম ওয়ানের সর্বোচ্চ দরপতন

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৪০০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯৪টির দর কমেছে। আজ সবচেয়ে বেশি দর কমেছে আইসিবি এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট এমএফ ওয়ান: স্কিম ওয়ানের।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সোমবার (১৮ আগস্ট) প্রতিষ্ঠানটির দর আগের দিনের তুলনায় ২০ পয়সা বা ৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ কমেছে। যার ফলে আজ ডিএসইর দর পতনের শীর্ষ তালিকায় প্রথম স্থানে স্থান নিয়েছে এই প্রতিষ্ঠানটি।
দর পতনের শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী ব্যাংকের দর কমেছে আগের দিনের তুলনায় ৫ দশমিক ৪০ শতাংশ। আর ৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ দর কমে যাওয়ায় পতনের শীর্ষ তালিকার তৃতীয় স্থানে জায়গা নিয়েছে ইউনিয়ন ক্যাপিটাল।
এছাড়া, আজ ডিএসইতে দর পতনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- মার্কেন্টাইল ব্যাংক, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ, রহিম টেক্সটাইল, প্রিমিয়ার লিজিং, ফার্মা এইডস, ফার্স্ট ফাইন্যান্স এবং ব্যাংক এশিয়া পিএলসি।
এসএম
অন্যান্য
দেশের রিজার্ভ কমলো

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কিছুটা কমেছে। রিজার্ভ কমে এখন ৩০৮০৯ দশমিক ৯৬ মিলিয়ন ডলার বা ৩০ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
রবিবার (১৭ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকে নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩০৮০৯ দশমিক ৯৬ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৩০ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ এখন ২৫৮০৬ দশমিক ৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ২৫ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার।
এর আগে গত ১৪ আগস্ট পর্যন্ত দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত ছিল ৩০৮৩৫ দশমিক ২৫ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৩০ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২৫৮২৭ দশমিক ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ২৫ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে রিজার্ভ সামান্য কমেছে।
এর আগে ১০ আগস্ট পর্যন্ত দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ ছিল ৩০২৪৮ দশমিক ১১ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৩০ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২৫২৩২ দশমিক ৩৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ২৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার।
গত ৪ আগস্ট পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ৩০ বিলিয়ন ডলার এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার। গত ২৪ জুলাই পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩০০০৪ দশমিক ৫০ মিলিয়ন ডলার এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২৪৯৮৮ দশমিক ২৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
নিট রিজার্ভ গণনা করা হয় আইএমএফের বিপিএম-৬ পরিমাপ অনুসারে। দেশের মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বিয়োগ করলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়।
অন্যান্য
গ্রাহকের ক্যাশলেস সেবা আরো সমৃদ্ধ করতে বিকাশ-ট্রাস্ট ব্যাংকের চুক্তি

গ্রাহকের ডিজিটাল লেনদেনে আরো স্বাচ্ছন্দ্য ও সক্ষমতা বাড়াতে যৌথভাবে ট্রাস্ট ব্যাংক ও বিকাশ আরো নতুন সেবা প্রদানের লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির আওতায় দ্রততম সময়ের মধ্যে বিকাশ অ্যাপ থেকে ট্রাস্ট ব্যাংকে ডিপিএস খোলা, আরো সমৃদ্ধ ব্যাংক টু বিকাশ বা বিকাশ টু ব্যাংক ফান্ড ট্রান্সফার, বিকাশ অ্যাপ থেকেই ট্রাস্ট ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট হয়ে সরাসরি ১০ লাখ মার্চেন্ট পয়েন্টে পেমেন্ট করে কেনাকাটার সুযোগ, এজেন্ট ও ডিস্ট্রিবিউটরদের ২৪/৭ স্বয়ংক্রিয় ক্যাশ ব্যবস্থাপনা সহ নানান সেবা চালু হতে যাচ্ছে।
সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে এই চুক্তিপত্র হস্তান্তর করেন ট্রাস্ট্র ব্যাংকের জেনারেল সার্ভিস এন্ড সিকিউরিটি ডিভিশন হেড ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মামুন অর রশীদ (অব.) এবং বিকাশের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ।
এসময় উপস্থিতি ছিলেন ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান জামান চৌধুরী এবং বিকাশের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীরসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান জামান চৌধুরী বলেন, ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যকে সামনে রেখে ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে আসছে ট্রাস্ট ব্যাংক। বিকাশের সাথে ট্রাস্ট্র ব্যাংকের সম্পর্ক আস্থা ও সহযোগিতার। এই দুটি প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে পার্টনারশিপের মাধ্যমে যৌথ সেবা দিয়ে আসছে, ভবিষ্যতে যা আরো বেশি গ্রাহক-কেন্দ্রিক, বিস্তৃত ও নিরবচ্ছিন্ন হবে।
অনুষ্ঠানে বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর বিকাশের উপর আস্থা রাখার জন্য ট্রাস্ট ব্যাংককে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, লাস্ট মাইল সল্যুসন্স প্রোভাইডার হিসেবে ব্যাংকের সেবা আরো বেশি মানুষের কাছে পৌছে দিতে যৌথ উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ। আর্থিক সেবায় প্রান্তিক মানুষের অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করতে কাজ করে যাচ্ছে বিকাশ। ট্রাস্ট ব্যাংকের সাথে এই চুক্তি সাধারণের কাছে আর্থিক সেবাকে আরো সহজ করবে। ডিজিটাল আর্থিক লেনদেনের ইকোসিস্টেম শক্তিশালী করতেও ভূমিকা রাখবে।
উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠান দু’টি এরইমধ্যে ট্রাস্ট কাম সেটেলেমেন্ট অ্যাকাউন্ট, অ্যাড মানি, ট্রান্সফার মানি এবং রেমিটেন্স সেটেলমেন্ট ব্যাংক সেবাগুলো যৌথভাবে দিয়ে আসছে। নতুন এই চুক্তির ফলে ৮ কোটিরও বেশি গ্রাহকের জন্য বিকাশ অ্যাপ থেকেই ট্রাস্টে ব্যাংকে সাপ্তাহিক ও মাসিক ডিপিএস খোলার সুযোগ তৈরি হলো। পাশাপাশি, ট্রাস্ট ব্যাংক ও বিকাশ ফান্ড ট্রান্সফার সেবায় বিভিন্ন সমন্বিত সেবা যুক্ত হবে যা সামগ্রিকভাবে গ্রাহকের লেনদেনকে করবে আরো সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময়। এছাড়া, ট্রাস্ট ব্যাংকের ২৪ ঘন্টা ক্যাশ ব্যবস্থাপনায় যুক্ত হওয়ার সুযোগ পেলেন সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা বিকাশের তিন লাখ ৫০ হাজারের বেশি এজেন্ট।