অর্থনীতি
নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা বৃহস্পতিবার, বাড়বে সুদহার
![নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা বৃহস্পতিবার, বাড়বে সুদহার পুঁজিবাজার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/06/bangladesh-bank-4.jpg)
উচ্চ মূল্যস্ফীতিসহ নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যে ২০২৪–২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতি দিতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ ব্যাংক এই অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ের ‘মনিটারি পলিসি স্টেটমেন্ট’ প্রকাশ করবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জনের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় মুদ্রানীতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ ঋণ, মুদ্রা সরবরাহ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ, বৈদেশিক সম্পদ কতটুকু বাড়বে বা কমবে এর একটি পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রেওয়াজ অনুযায়ী এতদিন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হতো। কিন্তু রেওয়াজ ভেঙে এবার তারা সংবাদ সম্মেলন না করে নিজেদের ওয়েবসাইটে এটি প্রকাশ করবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় গণমাধ্যম কর্মীরা গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এবং ডেপুটি গভর্নরসহ এ নিয়ন্ত্রক সংস্থার সব অনুষ্ঠান বর্জন করে চলেছেন। এ কারণেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রানীতি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে বলে জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক গত মে মাসে সুদহার বাজারভিত্তিক করে দেয়। ফলে এখন ১৬ শতাংশে উঠেছে সুদহার। একই সঙ্গে ডলারের দর নির্ধারণের নতুন পদ্ধতি ‘ক্রলিং পেগ’ চালু করায় ডলারের দাম ১১৮ টাকায় উঠেছে। এরপরও মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী ধারায় রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নীতি সুদহার বাড়ানো ও টাকার সরবরাহ কমানোর পরিকল্পনা ঠিক করা হচ্ছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৭ শতাংশে রাখার ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে অর্থবছর শেষে গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশে। চলতি অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা আছে। এজন্য ডলার বিক্রির মাধ্যমে বাজার থেকে টাকা উত্তোলনের পাশাপাশি সরকারকে টাকা ছাপিয়ে ধার দেওয়া বন্ধ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে সংকটে থাকা কয়েকটি ব্যাংককে ঠিকই টাকা ছাপিয়ে বিশেষ উপায়ে ধার দিচ্ছে । এ কারণে মুদ্রা সরবরাহ কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় নিয়ন্ত্রণে থাকছে না।
সরকার চলতি অর্থবছরে দেশের ব্যাংক খাত থেকে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে। এরই মধ্যে সরকারি ঋণের ট্রেজারি বিলের সুদহার উঠেছে ১১ দশমিক ৯৫ শতাংশে ও বন্ডের সুদহার বেড়ে হয়েছে ১২ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। বিশাল অংকের এ বাজেটের ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ ২ লাখ ৬৬ হাজার কোটি টাকা। যা মোট জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ।
বাজেটের আয়-ব্যয়ের বিশাল ঘাটতি পূরণে প্রধান ভরসাস্থল হিসাবে ব্যাংক খাত বেছে নিয়েছে সরকার। ফলে এবারও ঘাটতি পূরণে ব্যাংক ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ব্যাংক ঋণ নেবে বলে লক্ষ্য ঠিক করেছে সরকার। এই অংক চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ হাজার ১০৫ কোটি টাকার বেশি। চলতি অর্থবছরের বাজেটে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে এক ৩২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা ঋণ নেয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছিল সরকার। তবে সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রায় এটি বাড়িয়ে এক ৫৫ হাজার ৯৩৫ কোটি টাকা ঠিক করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
অর্থনীতি
উন্নয়নশীল এশীয় দেশে প্রবৃদ্ধি বাড়ার পূর্বাভাস এডিবির
![উন্নয়নশীল এশীয় দেশে প্রবৃদ্ধি বাড়ার পূর্বাভাস এডিবির পুঁজিবাজার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/08/adbweb.jpg)
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসে কিছুটা পরিবর্তন আনলো এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)। নতুন প্রকাশিত এই পূর্বাভাসে উন্নয়নশীল এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি সামান্য বাড়ানো হয়েছে। বুধবার (১৭ জুলাই) প্রকাশিত এই পূর্বাভাসে এই তথ্য জানায় সংস্থাটি।
চলতি বছরে উন্নয়নশীল এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশ হবে বলে নতুন করে পূর্বাভাস দিয়েছে এডিবি। এর আগে এই প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৯ শতাংশ হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছিল সংস্থাটি। এছাড়া পরবর্তী বছরের এই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আগের পূর্বাভাস অনুযায়ী ৪ দশমিক ৯ শতাংশেই স্থির রাখা হয়েছে।
মূলত চলতি বছরে এ অঞ্চলের দেশীয় চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে রফতানির পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করে এডিবি। এ জন্য এ বছরে দেশগুলোতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও বাড়তে যাচ্ছে।
পাশাপাশি বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের দাম ধীরে ধীরে সহনশীল পর্যায়ে নিয়ে আসা এবং উচ্চ সুদহারের দীর্ঘস্থায়ী প্রভাবের জন্য এ অঞ্চলের মুদ্রাস্ফীতিও কমে ২ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
মহামারি পরবর্তী সময়ে দেশগুলোতে অভ্যন্তরীণ চাহিদা সমন্বয় করতে পারার কারণে অর্থনৈতিক গতি ফিরে আসছে বলে মনে করছে সংস্থাটি। তাছাড়া মহামারির পরে রফতানি কার্যক্রম ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাওয়ার কারণেও, এ অঞ্চলের অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার দ্রুত হচ্ছে বলে জানায় এডিবি।
দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বিরূপ আবহাওয়া এবং খাদ্যপণ্য রফতানিতে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার জন্য এখনও খাদ্য মূল্যস্ফীতি অনেক বেশি। তবে এ অঞ্চলের মধ্যে ভারত এখনও সবচাইতে বেশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে, ২০২৪ অর্থবছরেও অপরিবর্তিত ৭ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছে দেশটি। এ ক্ষেত্রে ভারতের শিল্পখাত আরও শক্তিশালী হবে বলে ধারণা করছে সংস্থাটি।
এর আগে গত ১১ এপ্রিলে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উঠে আসে ২০২৩ সালে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। যা ২০২৪ সালে বেড়ে দাঁড়াবে ৬ দশমিক ১ শতাংশে এবং ক্রমান্বয়ে বেড়ে ২০২৫ সালে এই প্রবৃদ্ধি গিয়ে দাঁড়াবে ৬ দশমিক ৬ শতাংশে।
সেইসঙ্গে মূল্যস্ফীতির ক্ষেত্রে উল্টো চিত্র ঘটবে বলে জানিয়েছিল এডিবি। ২০২৩ সালে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ শতাংশ, যা কমে ২০২৪ সালে ৮ দশমিক ৪ শতাংশ হবে বলে জানানো হয়েছিল। পরবর্তী অর্থবছরে (২০২৪-২৫) এর পরিমাণ আরও কমে ৭ শতাংশে নামবে বলে জানিয়েছিল এডিবি।
চলতি অর্থবছরে ভারতের সর্বোচ্চ ৭ শতাংশের পরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হিসেবে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল এডিবি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এইচএসবিসির নতুন সিইওর নাম ঘোষণা
![এইচএসবিসির নতুন সিইওর নাম ঘোষণা পুঁজিবাজার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2022/12/HSBC-1.jpg)
এইচএসবিসি হোল্ডিংসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে জর্জেস এলহেদারি নিয়োগ পেয়েছেন। আগামী ২ সেপ্টেম্বর তিনি দায়িত্ব নেবেন বলে জানা গেছে। গত আট বছরেরও কম সময়ে বিশ্বের অন্যতম বড় এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তিনি তৃতীয় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পেলেন।
রয়টার্স জানিয়েছে, এলহেদারি বর্তমানে এইচএসবিসির প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা। তিনি নোয়েল কুইনের স্থলাভিষিক্ত হবেন। ২০২০ সাল থেকে এলহেদারি এইচএসবিসির গ্লোবাল ব্যাংকিং অ্যান্ড মার্কেটস ব্যবসা বিভাগে যৌথ নেতৃত্ব দিয়েছেন।
এলহেদারির জন্ম লেবাননে। ২০০৫ সালে তিনি এইচএসবিসিতে যোগ দেন। ২০২২ সালে অনেকটা হঠাৎ করে তাঁকে প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর আগে তিনি বেশ লম্বা সময়ের জন্য ছুটিতে ছিলেন। ২০১৬ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে তিনি এইচএসবিসির মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আমেরিকা ও তুর্কিয়ে অঞ্চলের প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
নোয়েল কুইন পাঁচ বছর ধরে এইচএসবিসির নেতৃত্ব দিয়েছেন। চাকরি ছাড়ায় তাঁর নোটিশ পিরিয়ড শেষ হবে ২০২৫ সালের এপ্রিলে।
কুইনের সময় ব্যাংকের অনেক সম্পদ বিক্রি হয়েছে, এটি একটি বৈশ্বিক মহামারি পার হয়েছে এবং ১৬০ বছরের ব্যাংকটি ভাঙার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে তাঁর সময়েই ব্যাংকটি মুনাফা অর্জনে রেকর্ড করেছে। সম্পদের বিবেচনায় এইচএসবিসি ইউরোপের সবচেয়ে বড় ব্যাংক। ব্যালান্স শিটে সম্পদের পরিমাণ ৩ লাখ কোটি ডলার।
এশিয়ার সঙ্গে এইচএসবিসির ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। এ সম্পর্ক ব্যবহার করে ব্যাংকটি তার মুনাফা আরও বাড়াতে চায়। ২০০৮ সালের আর্থিক সংকটের পর এইচএসবিসি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অফিস গুটিয়ে নিয়েছে। ফলে দেশে দেশে ব্যাংকটির উপস্থিতি এক-চতুর্থাংশ কমেছে। বিপরীতে তারা এশিয়ায় পুঁজি ও সম্পদ বাড়িয়েছে।
গ্রুপের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা হিসেবে এলহেদারির স্থলাভিষিক্ত কে হবেন, সে ব্যাপারে যথাসময়ে ঘোষণা দেওয়া হবে বলে এইচএসবিসি জানিয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
রপ্তানি তথ্য সংশোধনে জিডিপি কমবে না: অর্থ মন্ত্রণালয়
![রপ্তানি তথ্য সংশোধনে জিডিপি কমবে না: অর্থ মন্ত্রণালয় পুঁজিবাজার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/04/ortho-montronaloy.jpg)
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের রপ্তানি তথ্যের মধ্যে সমন্বয় সাধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থা বর্তমানে একই পদ্ধতি অবলম্বন করছে। এর প্রেক্ষিতে সরকার আশা করছে এখন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুারো (ইপিবি) প্রকাশিত রপ্তানি তথ্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কোন পার্থক্য থাকবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংক এবং ইপিবির রপ্তানি তথ্যের মধ্যে পার্থক্য উঠে আসার প্রেক্ষিতে সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে গত ১৫ জুলাই, সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এসব কথা বলা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, রপ্তানির বিপরীতে যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা প্রকৃতপক্ষে দেশে আসে বাংলাদেশ ব্যাংক শুধুমাত্র সেই পরিমাণ অর্থ রপ্তানির পরিমাণ হিসেবে প্রকাশ করে থাকে। মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) হিসেব করার সময় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) কেন্দ্রিয় ব্যাংকের এই হিসেবকে বিবেচনায় নিয়ে থাকে। ফলে সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমে রপ্তানি কমে যাওয়া এবং এর ফলে জিডিপি ও মাথাপিছু আয় কমে যাওয়ার যে আশঙ্কা করা হচ্ছে তা সঠিক নয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ব্যালেন্স অব পেমেন্টের চলতি হিসেব এবং আর্থিক হিসেবের কিছু ক্ষেত্রে উপাত্তের পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। তবে এর ফলে ব্যালেন্স অব পেমেন্টের সার্বিক ভারসাম্যে কোন পরিবর্তন আসবে না। পুনর্বিন্যস্ত ব্যালেন্স অব পেমেন্ট ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়, এছাড়া রপ্তানির ওপর নগদ আর্থিক প্রণোদনার পরিমাণ বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশিত প্রকৃত রপ্তানি আয় প্রাপ্তি এবং থার্ড পার্টি অডিটের মাধ্যমে প্রকৃত ক্যাশ ইনসেনটিভ নিরূপনের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। সুতরাং রপ্তানির বিপরীতে যে নগদ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে তা সঠিক। উল্লেখ্য, রপ্তানি তথ্য সমন্বয়ের লক্ষ্যে গতকাল রোববার অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, এনবিআর, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং ইপিবি’র উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর আব্দুর রউফ তালুকদার, এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, অর্থ সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জমান মজুমদার, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, ইপিবি’র ভাইস-চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
গ্রামীণফোনের রাজস্ব আয় ৪ হাজার ২২০ কোটি
![গ্রামীণফোনের রাজস্ব আয় ৪ হাজার ২২০ কোটি পুঁজিবাজার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/04/Grameenphone-GP-ltd-1.jpg)
২০২৪ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল থেকে জুন) ৪ হাজার ২২০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে দেশের অন্যতম শীর্ষ মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন (জিপি)। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই), নেটওয়ার্ক উন্নয়ন এবং গ্রাহককেন্দ্ৰিক ডিজিটাল সেবায় কৌশলগত পদক্ষেপের মাধ্যমে বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকেও চলমান প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছে গ্রামীণফোন। চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে গ্রামীণফোন লিমিটেড ৪ হাজার ২২০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি।
তাছাড়া নতুন ২৩ লাখ গ্রাহক নিয়ে দ্বিতীয় প্রান্তিকের শেষে গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৫০ লাখে। গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহকের ৫৮ দশমিক ৩ শতাংশ বা ৪ কোটি ৯৭ লাখ গ্রাহক ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করছেন।
গ্রামীণফোনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর নীতি, ক্রমাগত জ্বালানি সম্পদের দামের সমন্বয়, ভর্তুকি হ্রাস, সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি এবং ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাবে সামষ্টিক অর্থনীতিতে চাপ আগের বছরের তুলনায় আরও বেড়েছে। এ চ্যালেঞ্জগুলো সত্ত্বেও জিপি প্রবৃদ্ধির কৌশলে মনোযোগী ছিল, তাই প্রবৃদ্ধি ধরে রেখে ব্যবসায় স্থিতিশীলতা বজায় রেখেছে। মাইজিপি অ্যাপের বর্তমান সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২ কোটি, যা অ্যাপটিকে দেশের বৃহত্তম সেলফ-সার্ভিস অ্যাপ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
তিনি আরও বলেন, এআই প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে আমরা বিভিন্ন স্মার্ট কৌশল অবলম্বন করেছি। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- এআই-চালিত ডায়নামিক নেটওয়ার্ক অপটিমাইজেশন সিস্টেম স্থাপন, যা রিয়েল টাইম মুভমেন্টের ওপর ভিত্তি করে নির্বিঘ্ন সংযোগ দিয়েছে। গ্রামীণফোনের মাধ্যমে গ্রাহকদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে এবং টেকসই ভবিষ্যৎ গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এর কর্মচারীরা।
গ্রামীণফোনের চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) অটো রিসব্যাক বলেন, এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় সাবস্ক্রিপশন ও ট্র্যাফিক রেভিনিউ ৬ দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা আগের প্রান্তিকে ছিল ৫ দশমিক ২ শতাংশ। দক্ষতা ও অটোমেশনের ওপর ভিত্তি করে খরচের চাপ কমানো হয়েছে এবং ৬০ দশমিক ৪ শতাংশের একটি শক্তিশালী ইবিআইটিডিএ মার্জিন অর্জনে সক্ষম হয়েছে জিপি।
তিনি বলেন, গ্রামীণফোন এ নিয়ে টানা ১৩ প্রান্তিকে আর্থিক অগ্রগতি এবং ইবিআইটিডিএর ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে। ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি ও শক্তিশালী ব্যালেন্স শিটের জন্য বোর্ড এ প্রান্তিকের জন্য শেয়ারপ্রতি ১৬ টাকার অন্তর্বর্তী লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
দুর্যোগ মোকাবেলায় স্বেচ্ছাসেবক দল তৈরি করবে এফবিসিসিআই
![দুর্যোগ মোকাবেলায় স্বেচ্ছাসেবক দল তৈরি করবে এফবিসিসিআই পুঁজিবাজার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/nfjkvfj.jpg)
দুর্যোগ মোকাবিলা ও ব্যবস্থাপনায় প্রতি জেলায় প্রাইভেট সেক্টর ইমার্জেন্সি রেস্পন্স টিম বা স্বেচ্ছাসেবক দল তৈরি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকালে এফবিসিসিআইর মতিঝিল কার্যালয়ে ‘ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অ্যাসেসমেন্ট টুল অ্যান্ড প্রাইভেট সেক্টর ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম ম্যানেজমেন্ট গাইডলাইন’ শীর্ষক এক কর্মশালায় একথা জানানো হয়।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং এশিয়ান ডিজাস্টার প্রিপেয়ার্ডনেস সেন্টারের (এডিপিসি) সহযোগিতায় দিনব্যাপী এই কর্মশালার আয়োজন করে এফবিসিসিআই সেইফটি কাউন্সিল।
কর্মশালায় জানানো হয়, দুর্যোগ মোকাবিলা ও ব্যবস্থাপনায় প্রতি জেলায় প্রাইভেট সেক্টর ইমার্জেন্সি রেস্পন্স টিম বা স্বেচ্ছাসেবক দল তৈরি করা হবে। এছাড়া প্রতিটি জেলা চেম্বারে তৈরি করা হচ্ছে সেইফটি সেল। যার মাধ্যমে প্রাইভেট সেক্টর ইমার্জেন্সি রেস্পন্স টিম পরিচালিত হবে। এই স্বেচ্ছাসেবক দল জেলা প্রশাসনের অধীনে দুর্যোগ আইন, এসওডি এবং স্বেচ্ছাসেবক গাইডলাইন অনুসরণ করে কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
এসময় এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী দুর্যোগ মোকাবিলায় দেশের বেসরকারি খাতের কর্ণধার হিসেবে এফবিসিসিআই এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য সবাইকে যথাপোযুক্ত পরামর্শ ও মতামত দেয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আবদুল ওয়াদুদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগ রোধ করা যাবে না, তবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় প্রস্তুতি রাখতে হবে। জরুরি মুহূর্তে বা দুর্যোগের সময় কে কি দায়িত্ব পালন করবে সেটি আগে থেকেই নির্ধারণ করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
কর্মশালায় গেস্ট অব অনার হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন এশিয়ান ডিজাস্টার প্রিপেয়ার্ডনেস কাউন্সিলের (এডিপিসি) টেকনিক্যাল লিড ড. মোনা সি. আনন্দ এবং সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআইর সহসভাপতি ড. যশোদা জীবন দেবনাথ। কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর পরিচালক এবং এফবিসিসিআই ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটির সহআহ্বায়ক মো. নিয়াজ আলী চিশতি, এফবিসিসিআইর মহাসচিব মো. আলমগীর, এফবিসিসিআই সেইফটি কাউন্সিলের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবু নাঈম মো. শহীদুল্লাহ, বিভিন্ন সংস্থা ও বাণিজ্যিক সংগঠনের প্রতিনিধি এবং অন্যরা।
এমআই