সারাদেশ
বনশ্রীতে হিজড়াদের সঙ্গে চাঁদার অঙ্ক নিয়ে চুক্তি

সংবাদ মাধ্যমগুলোতে প্রায়ই খবর আসে- বিয়ে বাড়িতে চাঁদা দাবি করে না পেয়ে ভাঙচুর করেছে হিজড়ারা, অবরুদ্ধ হয়েছে পরিবার। নবজাতক হওয়ার খবরে বাসায় গিয়ে চাঁদা না পেয়ে ভাঙচুর করেছে; হিজড়াদের ছিনতাই ও অবৈধ কার্যকলাপ ঠেকাতে গিয়ে আহত হয়েছেন পুলিশ সদস্য।
এমন ঘটনা সামাজিকভাবে যেমন বিব্রত কর, তেমনি অস্বস্তিরও বটে। তাই এসব ঘটনা থেকে পরিত্রাণ পেতে বাড়িওয়ালা, ফ্ল্যাট মালিক, ভাড়াটিয়া, দোকান মালিক, ব্যবসায়ী, হোটেল মালিক ও ভ্যান দোকানদারদের যেন কোনো ধরনের বিরক্ত না করে- এমন শর্তে রাজধানীর বনশ্রী আবাসিক এলাকা কর্তৃপক্ষ ওই এলাকার হিজড়া গ্রুপগুলোর জন্য ‘বকশিস’ নির্ধারণ করেছে বলে জানা গেছে।
যদিও এ বিষয়টি বনশ্রী আবাসিক এলাকা কর্তৃপক্ষ ও ওই হিজড়া গ্রুপগুলোর কোনো সদস্যই স্বীকার করেননি। তবে বনশ্রী আবাসিক এলাকা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হিজড়াদের অত্যাচারে তারা অতিষ্ট।
বনশ্রী আবাসিক এলাকা কর্তৃপক্ষ সভা করে ৫টি ক্যাটাগরিতে বকশিস নির্ধারণ করেছে এমন একটি পত্র গণমাধ্যমের হাতে রয়েছে। ওই পত্রে বলা হয়েছে, গত ৮ জুন সোসাইটির কার্যালয়ে ওই এলাকার হিজড়াদের ৪টি গ্রুপ এবং তাদের গ্রুপ প্রধান ময়নার সঙ্গে সোসাইটির কার্যনির্বাহী পরিষদের নেতাদের বিভিন্ন কার্যক্রম ও বকশিস উঠানো বিষয়ে আলোচনা হয়। উভয় পক্ষের মধ্য আলোচনা শেষে শর্ত সাপেক্ষে ও নির্ধারিত হারে এলাকার বাড়ি/ফ্ল্যাট মালিক, ভাড়াটিয়া এবং দোকাদারদের পক্ষ থেকে হিজড়াদের বকশিস দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শর্তে যা যা রয়েছে
১. কোনো হিজড়া বনশ্রী আবাসিক এলাকায় বসবাসকারী বাড়িওয়ালা, ফ্ল্যাট মালিক, ভাড়াটিয়া, দোকান মালিক, ব্যবসায়ী, হোটেল মালিক ও ভ্যান দোকানদারের কাছ থেকে সোসাইটি নির্ধারিত বকশিসের বাইরে কারো কাছ থেকে জোর করে নিজেদের ইচ্ছামতো কোনো বকশিস বা চাঁদা তুলতে পারবে না।
২. পত্রে উল্লিখিত ৪ জন হিজড়া ছাড়া অন্য কেউ বনশ্রী আবাসিক এলাকায় (এ থেকে এন-ব্লক পর্যন্ত) বকশিস তুলতে পারবে না।
৩. কাউকে কোনো প্রকার চাপ সৃষ্টি করা, অকথ্য গালিগালাজ করা, অশালিন অঙ্গভঙ্গী প্রকাশ করা, বাজে পরিবেশ সৃষ্টি করা, হাতে তালি দেওয়া অথবা ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ কোনো প্রকার ঝগড়া-ঝাটি করতে পারবে না। এছাড়া সোসাইটির নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে কোনো ধরনের খারাপ ব্যবহার করতে পারবে না। এমন ধরনের কর্মকাণ্ড পরিলক্ষিত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
যেসব খাতে যত টাকা নিতে পারবে হিজড়ারা
ওই পত্রে বলা হয়েছে, মানবিক দিক বিবেচনা করে খাতওয়ারি বকশিসের হার নির্ধারণ করা হলো। যদি কোন বাড়িওয়ালা, ভাড়াটিয়া, দোকানদারের কাছে নির্ধারিত টাকার চেয়ে বেশি দাবি করেছে- এমন কোনো তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলাসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য যে, এই সিদ্ধান্ত সোসাইটি যেকোন সময় পরিবর্তন বা বাতিল করার ক্ষমতা রাখে।
হিজড়ারা বিয়ের অনুষ্ঠান ও কোনো পরিবারে নতুন বাচ্চা জন্মগ্রহণ করলে সেখান থেকে ১০০০ টাকা বকশিস নিতে পারবে; শুধু রমজানে ঈদে বাড়ির মালিক থেকে ২০০ টাকা নিতে পারবে; বনশ্রী আবাসিক এলাকার দোকানদারদের থেকে শুধু রমজান ঈদে ১০০ টাকা এবং দোকান থেকে মাসে একবার (১ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে) ৪০ টাকা নিতে পারবে।
বনশ্রী আবাসিক এলাকায় হিজড়াদের ৪টি গ্রুপ রয়েছে। তাদের গ্রুপ প্রধান হচ্ছে ‘ময়না’। ওই এলাকায় বকশিস তুলবেন হিরা, ফুলি, বিজলী ও রিতা হিজড়া। এছাড়া বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সুরসুরি হিজড়াও। সবার ঠিকানা হিসেবে ‘গোড়ান হাঁড়াভাঙ্গা মোড়’ এলাকার কথা উল্লেখ আছে।
বিষয়টি জানতে গ্রুপ প্রধান ময়না হিজড়ার মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে সংযোগ পাওয়া যায় তালিকায় দুই নম্বরে হিরা হিজড়ার মোবাইল নম্বরে। সবকিছু শোনার পর তিনি ‘আমি জানি না’ বলে কলটি কেটে দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দক্ষিণ বনশ্রী প্লট মালিক সমিতির সভাপতি ফরিদ উদ্দিন খন্দকার বলেন, হিজড়াদের অত্যাচারে না থাকার মত অবস্থা আমাদের। আমরা কোনো ফি নির্ধারণ করিনি। আমরা কেন টাকা দেবো তাদের? তারা কি আমাদের কোনো ওয়েল উইশার, যে তাদের আমরা টাকা দেবো।
তিনি বলেন, পুলিশ কনভেনশন হলে দুই তিন থানা মিলে একটি মিটিং হয়েছিল। ওই মিটিংয়ে আমরা বলেছি, আমাদের অসুবিধার কথাগুলো। ডিসি-ওসি বলছেন, তাদের ধরে সরাসরি থানায় জানাতে এবং তারা কোর্টে চালান করে দেবে।
চিঠিতে ফি নির্ধারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আগের কাগজ। আজকে কালকের কোনো কাগজ পেয়েছেন কি না? এই কাগজের এখন আর কোনো ভিত্তি নাই। হিজড়াদের যেখানে পাওয়া সেখানে ধরে থানায় দিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

সারাদেশ
দক্ষিণ চট্টগ্রামের অর্ধশত গ্রামে শুক্রবার ঈদুল আজহা

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আগামীকাল শুক্রবার (৬ জুন) ঈদুল আজহা পালন করবেন চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার মির্জারখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা। প্রায় ২০০ বছরের ঐতিহ্য অনুযায়ী দরবারের অনুসারী দক্ষিণ চট্টগ্রামের অন্তত ৬০টি গ্রামের বাসিন্দারা এভাবে ঈদ, রোজা ও বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব উদযাপন করে আসছেন।
জানা যায়, সাতকানিয়ার মির্জারখীল, এওচিয়ার গাটিয়া ডেঙ্গা, মাদার্শা, খাগরিয়ার মৈশামুড়া, পুরানগড়, চরতির সুইপুরা, চন্দনাইশের কাঞ্চননগর, হারালা, বাইনজুরি, কানাইমাদারি, সাতবাড়িয়া, বরকল, দোহাজারী, জামিরজুরি, বাঁশখালীর কালীপুর, চাম্বল, শেখেরখীল, ছনুয়া, আনোয়ারার বরুমছড়াসহ তৈলারদ্বীপের ৬০ গ্রামের বাসিন্দারা শুক্রবার ঈদুল আজহার নামাজ শেষে পশু কোরবানি দেবেন।
মির্জারখীল গ্রামের বাসিন্দা ও ওই দরবারের অনুসারী কামরুল হাসান জানান, সৌদি আরবের সঙ্গে মিলিয়ে শুক্রবার আমরা ঈদের নামাজ পড়ব। এরপর আমরা পশু কোরবানি দেব। ঈদের যাবতীয় প্রস্তুতি আমরা সম্পন্ন করেছি।
কাফি
সারাদেশ
বিদ্যুৎ সংযোগ ছাড়াই মিটারে অতিরিক্ত বিল: গোপন ফাঁস করলেন পল্লী বিদ্যুৎ কর্মী

বিদ্যুৎ ব্যবহার না করলেও প্রতি মাসে হঠাৎ করে মিটারে কয়েকশো ইউনিট বেড়ে যাচ্ছে। এমনকি হাজার হাজার ইউনিট পর্যন্ত হিসাব দেখাচ্ছে নতুন লাগানো ডিজিটাল মিটার। আর এতে করে ভোগান্তিতে পড়ছেন গ্রামীণ বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। এবার এই রহস্য ফাঁস করলেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এক কর্মী। তার কথায় উঠে এসেছে একটি বিস্ময়কর তথ্য—‘অটো পালস’ নামে এক প্রযুক্তিগত প্রতারণা যেটি মিটার চালু না থাকলেও ইউনিট যোগ করে চলেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মী জানান, আমি প্রতিমাসে একটা মিটার দেখে আসতাম, গ্রাহকের ব্যবহার ছিল ৩০ ইউনিট। হঠাৎ এক মাস পরে গিয়ে দেখি সেখানে ৩০০ ইউনিট উঠেছে! আমি গ্রাহককে জিজ্ঞাসা করি— আপনি কি নতুন কিছু ব্যবহার করছেন? তিনি বলেন, না আগেও যা ব্যবহার করতাম এখনও তাই করি।
তদন্ত করে দেখা যায়, বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকলেও মিটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পালস সৃষ্টি হচ্ছে, যেটিকে বলা হচ্ছে ‘অটো পালস’। এই পালস তৈরি হওয়ায় ব্যবহার ছাড়াও মিটারে ইউনিট যোগ হচ্ছে। ফলে বাড়ছে বিল, তৈরি হচ্ছে মিথ্যা খরচের হিসাব।
পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীর ভাষায়, এই অটো পালস ২০০, ৩০০ এমনকি ১০০০ ইউনিট পর্যন্ত বাড়াতে পারে, এমনকি গ্রাহক কিছু ব্যবহার না করলেও। আমাদের হাতে মিটার থাকে, আমরা সেটা চোখে দেখি—কোনও সংযোগ ছাড়াই পালস চলছে।
এই সমস্যার মূল কারণ হিসেবে নিম্নমানের মিটার সরবরাহ এবং দুর্নীতিকে দায়ী করেন তিনি। বলেন,বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কিছু কর্মকর্তা অল্প দামে নিম্নমানের মিটার কিনে বেশি দামে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলোর কাছে বিক্রি করছে। অথচ বাজারে এর চেয়ে ভালো মিটার পাওয়া যায়।
এই কর্মীর দাবি, প্রায় প্রতিটি সমিতিতে প্রতি মাসে ৮০-৯০ হাজার মিটারে একই ধরনের অটো পালস সমস্যা দেখা দেয়। আর ভুক্তভোগী হন লাখ লাখ গ্রাহক।
সবচেয়ে ভয়াবহ তথ্যটি হলো—গ্রাহকের কোনো ব্যবহার না থাকলেও এই বিল পরিশোধ বাধ্যতামূলক। কারণ হিসেবে জানানো হচ্ছে, সিস্টেমে যা উঠেছে, সেটা গ্রাহককে দিতেই হবে।
সারাদেশ
আজ থেকে ঢাকায় আসবে ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন

ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে কোরবানির পশু পরিবহনের সুবিধার্থে আজ (২ জুন) থেকে ঢাকায় আসছে তিনটি ‘ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন’। বাংলাদেশ রেলওয়ের উদ্যোগে বিশেষ এ ট্রেনগুলো জামালপুর থেকে কোরবানির পশু নিয়ে রাজধানীতে প্রবেশ করবে। এরমধ্যে প্রথম ২টি ট্রেন জামালপুর থেকে ঢাকায় আসবে আজ। অন্যটি আসবে আগামীকাল।
ঈদ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ের নেওয়া কর্মপরিকল্পনা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
রেলওয়ের ঈদ কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, কোরবানির পশু পরিবহনের জন্য এবার ঈদে ৩টি ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন চালানো হবে। প্রতিটি ক্যাটল স্পেশাল ট্রেনে ব্রেকভ্যানসহ থাকবে মোট ২৬টি কোচ।
ক্যাটল স্পেশাল-১
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ বাজার থেকে ২ জুন বিকাল ৫টায় ছেড়ে ঢাকায় পৌছাবে ৩ জুন ভোর সাড়ে ৬টায়।
ক্যাটল স্পেশাল-২
জামালপুরের ইসলামপুর বাজার থেকে ২ জুন দুপুর ৩টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে ঢাকায় পৌছাবে ৩ জুন রাত ১টা ৫০ মিনিটে।
ক্যাটল স্পেশাল-৩
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ বাজার থেকে ৩ জুন বিকাল ৫টায় ছেড়ে ঢাকায় পৌছাবে ৪ জুন ভোর সাড়ে ৬টায়।
সারাদেশ
আজ ১১ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

গ্যাস পাইপলাইনের জরুরি স্থানান্তর কাজের জন্য আজ ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ জেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় ১১ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
রবিবার (১ জুন) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
এতে বলা হয়, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ জেলার ডিএনডি খাল খনন প্রকল্পের আওতায় গ্যাস পাইপলাইনের জরুরি স্থানান্তর কাজের জন্য সোমবার (২ জুন) সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত মোট ১১ ঘণ্টা ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ এলাকার টেংরা, বাহির টেংরা, হাজীনগর, আমতলা, বড়ভাঙ্গা, কোদালদোয়া, সানাড়পাড়, নিমাইকাশারি, নামা শ্যামপুর, জিয়া সরণী, জাপানি বাজার, তিতাস গ্যাস সড়ক, ছাপড়া মসজিদ, রূপসী বাংলা হাসপাতাল, শনির আখড়া, আরএস টাওয়ার সংলগ্ন এলাকা, গোবিন্দপুর, মাতুয়াইল ও মৃধাবাড়ী এলাকার সব শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ সময় আশপাশের এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে।
গ্রাহকদের এমন সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
সারাদেশ
হঠাৎ অজ্ঞান ব্যাংকের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে আইএফআইসি ব্যাংকের একটি সাব ব্রাঞ্চ থেকে কর্মকর্তা- কর্মচারীদের অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রবিবার দুপুর ১টার দিকে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
তারা হলেন, ব্যাংকের ম্যানেজার সৌমিক জামান খান, কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমান, হোসনা আক্তার, মেরিনা, সুকান্ত ও সিকিউরিটি গার্ড কামাল মিয়া।
কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, দুপুর ১টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা গিয়ে ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে তাদের ভাগলপুরের জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তিনি আরও জানান, কি কারণে তাদের এ অবস্থা হয়েছে সেটি এখনও জানা যায়নি। তদন্তের পর তারা সুস্থ হলে বিস্তারিত জানা যাবে। তবে ব্যাংকে ডাকাতির কোনো লক্ষণ পাওয়া যায়নি। ব্যাংকে কতজন কর্মকর্তা-কর্মচারী বা কোনো গ্রাহক ছিলেন কিনা তাৎক্ষণিক জানান যায়নি।
এ বিষয়ে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আদনান আক্তার বলেন, ম্যানেজার সৌমিক জামান খান ও কর্মকর্তা কামাল হোসেনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তারা আমাদের কোনো তথ্যই দিতে পারেনি। স্বজনরা তাদের ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
কাফি