অর্থনীতি
এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ বাড়ানোর তাগিদ

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে নেওয়া উদ্যোগগুলো কার্যকর করতে বেসরকারি খাতকে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত করার কোনো বিকল্প নেই। এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বেসরকারি খাতের সম্পৃক্ততা বাড়াতে এফবিসিসিআইকে পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আখতার হোসেন।
সোমবার (২৭ মে) এফবিসিসিআইয়ের মতিঝিল কার্যালয়ে আয়োজিত বাংলাদেশ প্রাইভেট সেক্টর ওয়ার্কিং কমিটির (বিপিএসডব্লিউসি) ফাইভ থিমেটিক গ্রুপের দ্বিতীয় সভায় এ পরামর্শ দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নে অন্যতম অংশীজন হলো বেসরকারি খাত। কাজেই বেসরকারি খাতের অভিভাবক হিসেবে এখানে এফবিসিসিআইয়ের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এসডিজি বাস্তবায়নে এফবিসিসিআই কীভাবে আরও কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে সে বিষয়ে কৌশলপত্র তৈরি করা যেতে পারে। এফবিসিসিআইয়ের সকল সদস্যকে এসডিজির লক্ষ্যগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত করা এবং তা অর্জনে উদ্যোগী করতে হবে। এক্ষেত্রে এফবিসিসিআই প্রয়োজন মনে করলে একাডেমিয়া ও এক্সপার্টদের সহযোগিতা নিতে পারে।
এসডিজি বাস্তবায়নে সরকারের নানা উদ্যোগ ও পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন মো. আখতার হোসেন। এ অগ্রযাত্রায় এফবিসিসিআইয়ের নেতৃত্বে বেসরকারি খাতের পূর্ণ সহযোগিতা থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
সভায় অংশ নিয়ে এসডিজির এজেন্ডা বাস্তবায়নে সরকার, বেসরকারি খাত ও জাতিসংঘের এজেন্সিগুলো কীভাবে আরও কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে সে বিষয়ে আলোকপাত করেন বিপিএসডব্লিউসির সদস্যরা। এসময় টেকসই উন্নয়নে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রভাব ও গুরুত্ব অনুযায়ী থিমেটিক এসডিজি এজেন্ডাগুলোর ওপর মতামত জানান তারা।
ওয়ার্কিং গ্রুপ-৪ এর কনভেনর এ কে এম শামসুদ্দোহার সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘের বিভিন্ন এজেন্সি এসডিজি ফোকাল পয়েন্ট এবং প্রতিনিধি, এফবিসিসিআইয়ের সেইফটি কাউন্সিলের উপদেষ্টা এবং বিপিএসডব্লিউসির সদস্য সচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবু নাঈম মো. শহীদুল্লাহ, এফবিসিসিআইয়ের বাণিজ্য ও ট্যারিফ নীতি বিষয়ক উপদেষ্টা মনজুর আহমেদ, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের (বিইএফ) মহাসচিব ফারুক আহমেদ প্রমুখ।
এমআই

অর্থনীতি
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকের পদত্যাগ

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক মুখপাত্র মেজবাউল হক পদত্যাগ করেছেন।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান মেজবাউল হকের পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য,পদত্যাগপত্রে তিনি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়েছেন।
অর্থনীতি
চা শ্রমিক-মালিকদের দাবি পূরণে কাজ করছে সরকার: শ্রম উপদেষ্টা

চা শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি পূরণ ও চা শিল্পের সার্বিক উন্নয়নে আন্তর্বর্তীকালীন সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চা শিল্পের উন্নয়ন ও কল্যাণবিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। টি অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের সঙ্গে এ আলোচনা হয়।
শ্রম উপদেষ্টা বলেন, চা শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি পূরণ ও চা শিল্পের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। চা শ্রমিকদের নির্বাচন, মজুরি বৃদ্ধি, রেশন চালু, আবাসন ব্যবস্থার উন্নয়ন, শ্রমিকদের সন্তানদের শিক্ষা খরচ দেওয়া, চিকিৎসা সুবিধা বৃদ্ধি এবং স্পেশালাইজড হাসপাতাল স্থাপনের বিষয়ে ইতিবাচকভাবে কাজ করছে সরকার।
এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, চা শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবিগুলো দ্রুত পূরণের জন্য অর্থ, বাণিজ্য, শিল্প, ভূমি মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যাংকের প্রতিনিধিদের নিয়ে শিগগির একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করা হবে। এছাড়া শ্রমিক ও মালিক প্রতিনিধিদের নিয়ে ত্রিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে এ খাতের সমস্যা সমাধান করা হবে।
আগামী দুর্গাপূজার আগে চা-শ্রমিকদের বোনাস নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নারী শ্রমিকদের জন্য উন্নত স্যানিটেশন ও সুপেয় পানির ব্যবস্থার জন্য চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগীয় কমিশনারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চা শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন নির্বাচন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে একটি কমিটি গঠন করে ডিসেম্বরের মধ্যেই এ নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. সানোয়ার জাহান ভূঁইয়া, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, চা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থনীতি
দুর্গাপূজায় ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন পেল ৩৭ প্রতিষ্ঠান

আসন্ন দুর্গাপূজায় ভারতে ইলিশ রপ্তানির জন্য ৩৭টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব এস এইচ এম মাগফুরুল হাসান আব্বাসী স্বাক্ষরিত আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে দুর্গাপূজা। তার আগে বাংলাদেশের ইলিশ পাচ্ছেন ভারতীয়রা।
আদেশে বলা হয়েছে, আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ইলিশ রপ্তানির জন্য ৩৭টি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ১ হাজার ২০০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে ৫ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত রপ্তানির সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ইলিশ রপ্তানির ক্ষেত্রে সরকার কিছু শর্ত আরোপ করেছে।
শর্তাবলীর মধ্যে রয়েছে- রপ্তানি নীতি ২০২৪-২৭ এর বিধি-বিধান অনুসরণ করতে হবে। এ অনুমতির মেয়াদ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে ৫ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। শুল্ক কর্তৃপক্ষ রপ্তানিযোগ্য পণ্যের যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। পরবর্তী আবেদনের ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী অনুমোদিত পরিমাণ থেকে প্রকৃত রপ্তানির পরিমাণ সংক্রান্ত সব তথ্য-প্রমাণ দাখিল করতে হবে। অনুমোদিত পরিমাণের চেয়ে বেশি রপ্তানি করা যাবে না।
এ ছাড়া প্রতিটি পণ্য চালান রপ্তানিকালে শুল্ক কর্তৃপক্ষ ASYCUDA World System পরীক্ষা করে অনুমোদিত পরিমাণের অতিরিক্ত পণ্য রপ্তানি না করার বিষয়টি নিশ্চিত হবেন। এ অনুমতি কোনোভাবেই হস্তান্তরযোগ্য নয়, অনুমোদিত রপ্তানিকারক কোনোক্রমেই নিজে রপ্তানি না করে সাব–কন্ট্রাক্ট দিতে পারবেন না। সরকার প্রয়োজনে যে কোনো সময় এ রপ্তানি অনুমতি বাতিলের ক্ষমতা সংরক্ষণ করে।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত জাতীয় রপ্তানি নীতিতে (২০১৫-১৮) ইলিশ শর্ত সাপেক্ষে রপ্তানিযোগ্য পণ্যের তালিকায় রাখা হয়। পরের দুটি রপ্তানি নীতিতেও তা একই রকম রাখা হয়।
জানা গেছে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের ইলিশ নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। গত পাঁচ বছরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, বাংলাদেশ থেকে যে পরিমাণ ইলিশ রপ্তানি হয়েছে, তা মোট উৎপাদনের মাত্র শূন্য দশমিক ২৯ শতাংশ। এ ছাড়া সরকার যে পরিমাণ রপ্তানির অনুমোদন দেয়, তার কম ইলিশ যায় ভারতে। যেমন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত বছর ৭৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৩ হাজার ৯৫০ টনের অনুমতি দিলেও বেনাপোল ও আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে সব মিলিয়ে ইলিশ রপ্তানি হয়েছে প্রায় ৮০২ টন।
উল্লেখ্য, ইলিশ রপ্তানির প্রথম অনুমতি দেওয়া হয় ২০১৯ সালে। সেবার বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিকেজি ইলিশ ৬ ডলার (বাংলাদেশের ৫০৭ টাকা) দরে প্রথম তিন চালান পাঠানো হয়েছিল। পরে অবশ্য তা প্রতিকেজি ১০ ডলারে উন্নীত হয়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্যে দেখা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৪৭৬ টন বা ৪ লাখ ৭৬ হাজার কেজি ইলিশ রপ্তানি হয়। এতে আয় হয় সাড়ে ৩৯ লাখ ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে ১ হাজার ৬৯৯ টন ইলিশ রপ্তানি করে আয় হয় ১ কোটি ৬৪ লাখ ডলার। তখন প্রতিকেজি ইলিশ ১০, ৬ ও ৮ ডলার দামে রপ্তানি হয়। ২০২১-২২ অর্থবছরে ১ হাজার ২৩০ টন রপ্তানি করে আয় হয় ১ কোটি ২৪ লাখ ডলার। প্রতিকেজির রপ্তানি মূল্য ছিল ১০ ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১ হাজার ৩৯১ টন ইলিশ রপ্তানি করে আয় হয় ১ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৮০২ টন ইলিশ রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশের আয় হয়েছে ৮০ লাখ ডলার। তখন প্রতিকেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য ছিল ১০ ডলার বা ১ হাজার ৯৮ টাকা।
অর্থনীতি
ব্যাংকে কোটিপতির সংখ্যায় নতুন রেকর্ড

দেশের ব্যাংক খাতে কোটি টাকার বেশি জমা থাকা হিসাবের সংখ্যায় রেকর্ড গড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২৫ সালের মার্চ শেষে এই ধরনের হিসাবের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ২১ হাজার ৩৬২টি। জুন শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ৩৩৬টিতে। অর্থাৎ মাত্র তিন মাসে নতুন করে যুক্ত হয়েছে ৫ হাজার ৯৭৪টি কোটিপতি হিসাব।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কোটি টাকার হিসাব মানেই সব সময় কোনো ব্যক্তি কোটিপতি—এমনটি নয়। অনেক সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সংস্থা এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও কোটি টাকার বেশি অর্থ ব্যাংকে জমা রাখে। তাছাড়া, একজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান একাধিক ব্যাংক হিসাব খুলতে পারেন, ফলে একই ব্যক্তির নামে একাধিক কোটিপতি হিসাব থাকতে পারে। কোটিপতি হিসাব বৃদ্ধির এই প্রবণতা নতুন নয়।
এদিকে, মার্চ শেষে সব হিসাব মিলিয়ে মোট আমানত ছিল ১৯ লাখ ২৩ হাজার ৫০৪ কোটি টাকা। জুন শেষে তা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৯৬ হাজার ৫৮৩ কোটি টাকায়। তিন মাসে আমানত বেড়েছে প্রায় ৭৩ হাজার ৭৫ কোটি টাকা।
এই সময়ের মধ্যে দেশে ব্যাংক হিসাবের মোট সংখ্যা ১৬ কোটি ৫৭ লাখ ৬৮ হাজার ৮২১টি থেকে বেড়ে হয়েছে ১৬ কোটি ৯০ লাখ ২ হাজার ৬৭১টি। অর্থাৎ, নতুনভাবে প্রায় ৩২ লাখ ৯৫ হাজার ব্যাংক হিসাব খোলা হয়েছে। একই সময়ে ব্যাংক খাতে আমানতের পরিমাণও বেড়েছে।
বিশেষভাবে লক্ষ্য করার বিষয় হলো, কোটি টাকার বেশি জমা থাকা হিসাবগুলোতে জমার পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। মার্চ শেষে এসব হিসাবে মোট জমা ছিল ৭ লাখ ৮৩ হাজার ৬৫৩ কোটি টাকা, যা জুন শেষে দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৮০ হাজার ৭৭২ কোটি টাকায়। অর্থাৎ তিন মাসে কোটিপতি হিসাবগুলোতে জমা বেড়েছে প্রায় ৯৭ হাজার ১১৯ কোটি টাকা।
স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে দেশে মাত্র ৫টি কোটি টাকার হিসাব ছিল। ১৯৭৫ সালে এই সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৭টিতে, ১৯৮০ সালে হয় ৯৮টি। এরপর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই সংখ্যা ক্রমেই বাড়তে থাকে।
১৯৯০ সালে ছিল ৯৪৩টি কোটি টাকার হিসাব ছিল। ২০০১ সালে ৫ হাজার ১৬২টি এবং ২০০৮ সালে বেড়ে হয় ১৯ হাজার ১৬৩টি। ২০২০ সালের শেষে কোটিপতি হিসাব দাঁড়ায় ৯৩ হাজার ৮৯০টিতে। এরপর ২০২১ সালে তা বেড়ে হয় ১ লাখ ৯ হাজার ৭৬টি, ২০২২ সালে ১ লাখ ৯ হাজার ৯৪৬টি এবং ২০২৩ সালে দাঁড়ায় ১ লাখ ১৬ হাজার ৯০৮টিতে। ২০২৪ সালের শেষে হিসাবের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ২১ হাজার ৮১টি, যা ২০২৫ সালের মার্চে দাঁড়ায় ১ লাখ ২১ হাজার ৩৬২টিতে এবং জুনে এসে পৌঁছায় ১ লাখ ২৭ হাজার ৩৩৬টিতে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, ব্যাংক খাতে কোটিপতি হিসাব বাড়ার বিষয়টি দেশের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক। এটি ব্যবসা-বাণিজ্যে টাকার প্রবাহ এবং জনগণের আমানত রাখার সক্ষমতা বৃদ্ধিকে নির্দেশ করে।
অর্থনীতি
১৩ দিনে রেমিট্যান্স এলো প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা

চলতি মাস সেপ্টেম্বরের প্রথম ১৩ দিনে দেশে ১৩০ কোটি ৬০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ১৩ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৩০ কোটি ৬০ লাখ ডলার। যা গত বছরের একই সময়ের (২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের ৬ দিন) চেয়ে ১৫ কোটি ৬০ ডলার বেশি।
বিদায়ী বছরের একই সময়ে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছিলেন ১১৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স।
চলতি অর্থবছরের (২০২৫-২৬) প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে ২৪৭ কোটি ৭৯ লাখ ১০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৩০ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা।
এ ছাড়া সদ্য বিদায়ী আগস্টে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৪২ কোটি ২০ লাখ ডলার বা ২৯ হাজার ৫৪৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা।