জাতীয়
দেশে নারীর চেয়ে পুরুষদের বেকারত্ব বেড়েছে
এক বছরের ব্যবধানে দেশের বেকারের সংখ্যা কোনো পরিবর্তন হয়নি। চলতি বছরের মার্চ মাস শেষে বেকারের সংখ্যা ২৫ লাখ ৯০ হাজার। গত বছরের একই সময়েও বেকারের সংখ্যা ছিল ২৫ লাখ ৯০ হাজার।
বছরের ব্যবধানে মোট বেকারের সংখ্যায় পরিবর্তন না এলেও নারীর তুলনায় পুরুষের বেকারের সংখ্যা বেড়েছে ৩০ হাজার। অন্যদিকে নারী বেকারের সংখ্যা কমেছে ৩০ হাজার।
সোমবার (৬ মে) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ত্রৈমাসিক শ্রমশক্তি জরিপের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) শ্রমশক্তি জরিপের তথ্য বলছে, মার্চ মাস শেষে দেশে বেকারের সংখ্যা ২৫ লাখ ৯০ হাজার। গত বছরের মার্চ শেষেও বেকারের সংখ্যা একই ছিল। তবে এবারের জরিপ বলছে, দেশে পুরুষ বেকারের সংখ্যা ৩০ হাজার বেড়ে ১৭ লাখ ৪০ হাজারে দাঁড়িয়েছে, যেটি এক বছর আগেও ছিল ১৭ লাখ ১০ হাজারে। একই সময়ে নারী বেকারের সংখ্যা ৩০ হাজার কমে ৮ লাখ ৫০ হাজারে দাঁড়িয়েছে। গত বছরের মার্চ মাস শেষে নারী বেকার ছিল ৮ লাখ ৮০ হাজার।
বেকারের সংজ্ঞায় বিবিএস বলছে, বেকার মূলত তারাই যারা গত ৭দিনে কমপক্ষে একঘণ্টাও কোনো কাজ করেনি কিন্তু কাজ করার জন্য প্রস্তুত ছিল। শুধু তাই নয়, যারা গত ৩০ দিনে বেতন বা মজুরির বিনিময়ে কোনো না কোনো কাজ খুঁজেছেন কিন্তু পাননি তারাই বেকার। যারা গত সাতদিনে কমপক্ষে একটি মুরগিও পালন করেছেন তাদেরকে বেকার হিসেবে গণ্য করে না বিবিএস।
হালনাগাদ তথ্য বলছে, চলতি বছরের মার্চ মাস শেষে বেকারত্বের হার দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ, গত বছরের মার্চ মাসেও বেকারত্বের হার একই ছিল। তবে পুরুষ বেকারত্বের হার বেড়েছে ৩ দশমিক ৫৯ শতাংশ হয়েছে, যেটি এক বছর আগেও ছিল ৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ। তবে নারী বেকারত্বের হার কমে ৩ দশমিক ৩৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, এক বছর আগে যা ছিল ৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
বিবিএস বলছে, শ্রমশক্তিতে এখন ৭ কোটি ৩৭ লাখ ৫০ হাজার নারী-পুরুষ আছেন। তাদের মধ্যে ৭ কোটি ১১ লাখ ৬০ হাজার লোক কর্মে নিয়োজিত। বাকিরা বেকার।
এ ছাড়া শ্রমশক্তির বাইরে বিশাল জনগোষ্ঠী আছে। তারা কর্মে নিয়োজিত নয়, আবার বেকার হিসেবেও বিবেচিত নয়। এমন জনগোষ্ঠীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি ৮২ লাখ ৬০ হাজার। তারা মূলত সাধারণ ছাত্র, অসুস্থ ব্যক্তি, বয়স্ক নারী-পুরুষ, কাজ করতে অক্ষম ব্যক্তি, অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি এবং কর্মে নিয়োজিত নন বা নিয়োজিত হতে অনিচ্ছুক গৃহিণী।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
চাকরির পেছনে না ছুটে তরুণদের উদ্যোক্তা হতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোনো মতে পাস করে চাকরির পেছনে ছুটে না বেড়িয়ে নিজে উদ্যোক্তা হয়ে চাকরি দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। এজন্য আমরা নানান সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছি। এসব সুবিধা আমাদের ছেলে-মেয়েদের নিতে হবে।
রবিবার (১৯ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় এসএমই পণ্যমেলা-২০২৪ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
নারী উদ্যোক্তা আরও বাড়াতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, নারীদের আরও বেশি সুযোগ করে দিতে হবে। তাহলে নারী-পুরুষ সমান তালে এগিয়ে যাবে। নারীদের গৃহস্থালী কাজের স্বীকৃতি দিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠন করে ২০১০ থেকে ২০২১ সালের প্রেক্ষিত পরিকল্পনা করে বাস্তবায়ন করেছি। এরই মধ্যে আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সুপারিশ পেয়েছি। ২০২৬ সাল থেকে আমরা উন্নয়নশীল দেশ হবো।
তিনি বলেন, আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের প্রতি বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত। একসময় এসব ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাই বড় হবে। তারা উপকৃত হবে, দেশ উপকৃত হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নানান পণ্য উৎপাদন হয়। এগুলো দেশের অভ্যন্তরে বাজারজাত করার সুযোগ তৈরি করতে হবে। নিজের দেশের চাহিদা বাড়ছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ছে। দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি রপ্তানি করার সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। রপ্তানি বহুমুখী করতে হবে। পাশাপাশি দেশের ভেতরে বাজার সৃষ্টি করতে হবে। পদ্মার ওপারে বিশাল কর্মক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। সেখানে এসএমই উদ্যোক্তারা কাজ করতে পারেন।
শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে তিনি বলেন, শ্রমিকদের জীবনমান উন্নত করা, তাদের সুযোগ সুবিধা দেখা, এসব করলে তাদের থেকে বেশি কাজ করিয়ে নিতে পারবেন।
শিল্পের প্রসারে পরিবেশ সুরক্ষার তাগিদ দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, জলবায়ুর অভিঘাতে যেন আমরা ক্ষতিগ্রস্ত না হই। শিল্পের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে। সামান্য কয়টা টাকা বাঁচাতে গিয়ে যেন পরিবেশ নষ্ট না হয়। আমরা চাই শিল্প কারখানা গড়ে উঠুক, কিন্তু পরিবেশ নষ্ট না করে।
তিনি বলেন, করোনা মাহমারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, এখন আবার যুক্ত হয়েছে ফিলিস্তিনে ইজরায়েলের হামলা। এসবের ফলে নানান সংকটে আমদানি ব্যয় বেড়েছে। দ্রব্যমূল্যও বেড়েছে। আমরা সেটি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমি এখানে দেখছি উদ্যোক্তাদের ৬০ ভাগ নারী। এটা দেখে আমি খুব খুশি। কারণ একটা দেশের বড় অংশকে পেছনে ফেলে দেশকে এগিয়ে নেওয়া যায় না। তাদের সঙ্গে নিয়েই চলতে হবে। পুরুষরাও চাইলে স্ত্রী, মায়ের নামে উদ্যোগ নিয়ে এসএমই ঋণের সুযোগটা নিতে পারেন। কারণ তারা নিজের নামে তো ৪ শতাংশ সুদে ঋণ পাবেন না। নারীদের নামে করলে পাবেন। আমি বলবো, পুরুষরা চাইলে সে সুযোগটা নিতে পারেন। কারণ আমরা চাই, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা বাড়ুক।
তিনি বলেন, মানুষের কর্মক্ষমতা ও উদ্যম কাজে লাগাতে পারলে তারা সোনার মানুষ হবে। এরাই সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারবে। আমরা এরই মধ্যে ১০০টা ইকোনমিক জোন করেছি। শুধু বিদেশি বিনিয়োগ নয়, দেশি বিনিয়োগও চাই। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা ইকানমিক জোনে জায়গা নিয়ে কাজ করতে পারেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০১ সালে গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দেইনি বলে ক্ষমতায় আসতে পারিনি। আমি বঙ্গবন্ধুর মেয়ে, দেশের স্বার্থ অন্যের হাতে তুলে দিতে পারি না। বিরোধীদলে থাকতে আমাদের পরিকল্পনা করি। সরকারে এসে সেটি বাস্তবায়ন শুরু করি। ২০০৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত আজকের বাংলাদেশ কিন্তু বদলে গেছে। বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। কৃষি, শিল্পসহ নানান খাতে ব্যাপক এগিয়েছি। কৃষিতে গবেষণায় গুরুত্ব দিয়েছি। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছি।
তিনি বলেন, পঁচাত্তরের পর কোনো সরকার দেশকে এগিয়ে নেওয়ার পদক্ষেপ নেয়নি। বরং পিছিয়েছে। আমরা ক্ষমতায় আসার পর কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও উদ্যোক্তা তৈরির নানান পদক্ষেপ নেই। বেসরকারি খাত উন্মুক্ত করি। ব্যাংক, বিমা, টেলিকম, এয়ারলাইন্সসহ বিভিন্ন খাতে বেসরকারি উদ্যোগের সুযোগ করে দেই। বিদ্যুতেও বেসরকারি খাতকেও সুযোগ দিয়েছি। যাতে উৎপাদন বাড়ে এবং মানুষের কাজের সুযোগ হয়। শুধু উৎপাদন করলে হবে না, এটার সঠিক বাজারজাতকরণেও নজর দেই।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। এসময় উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম, এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাসুদুর রহমানসহ মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও সরকারের পদস্থ কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট খাতের উদ্যোক্তারা।
বক্তব্যের পর প্রধানমন্ত্রী জাতীয় এসএমই পণ্যমেলা-২০২৪ এর উদ্বোধন ঘোষণা করেন। পরে অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ঢাকায় আসছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২১-২২ মে বাংলাদেশ সফরে আসছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং। তার এই সফরের মূল লক্ষ্য থাকবে- বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করা এবং আঞ্চলিক শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তার জন্য সহযোগিতা জোরদারের উপায় খুঁজে বের করা।
রবিবার (১৯ মে) সরকারি কর্মকর্তারা বলেন, তার সফরে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন, রোহিঙ্গা সংকট, সামুদ্রিক নিরাপত্তা, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, পেনি ওং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া গ্রুপের ডেপুটি সেক্রেটারি এবং পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য বিভাগের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অফিসের প্রধান মিশেল চ্যানসহ একটি ছোট প্রতিনিধি দল।
রোহিঙ্গা শিবিরের পরিস্থিতি দেখতে সেখানে যাওয়ার কথা রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের চূড়ান্ত প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী রোহিঙ্গা ইস্যুকে আলোচনায় রাখতে অস্ট্রেলিয়ার সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ।
রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখার এবং তাদের প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৯ সালে তৎকালীন অস্ট্রেলিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মরিস পেন অর্থনীতিবিষয়ক একটি বহুপক্ষীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন, তবে সেটি দ্বিপক্ষীয় সফর ছিল না। কিন্তু ওই সময় থেকেই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের রূপান্তর শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা আসছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আওয়ামী লীগ দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ৯৬ সালে আমরা (আওয়ামী লীগ) ক্ষমতায় এসে দেশকে প্রথম খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করি। রোববার (১৯ মে) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় এসএমই পণ্যমেলা-২০২৪ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আমি কৃষির ওপর গুরুত্ব দিই, আদালা বাজেট রাখি। সে সময় প্রথম দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করি। ২০০৯ আবার ক্ষমতায় এসে দেখি দেশ খাদ্য সংকটে। এখানে নীতির ব্যাপারে একটা প্রশ্ন রয়েছে। কারণ, যেদিন আমি সংসদে বলেছিলাম দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তখন বিরোধী দলের সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান বলেছিলেন, স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া ভালো না। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলে খাদ্য সাহায্য পাওয়া যাবে না। তখন আমি উঠে বললাম, কারও কাছে ভিক্ষা করে দেশের মানুষ চলবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ভিক্ষুক জাতির কোনো ইজ্জত থাকে না। আমরা সম্মান নিয়ে চলতে চাই। কারণ বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন আমার মাটি আছে, মানুষ আছে। এই সোনার মাটি আর মানুষ দিয়েই তো আমি সোনার বাংলা গড়ে তুলব।
তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি মানুষের উদ্যোম এবং কর্ম ক্ষমতাকে যদি আমরা কাজে লাগাতে পারি তাহলে এই সোনার মানুষগুলোই তো উপযুক্ত হবে এবং সোনার বাংলা গড়ে তুলবে।
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম, এসএমই ফাউন্ডেশনের নতুন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমানসহ অনেকে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
জাতীয় এসএমই পুরস্কার পেলেন সাত উদ্যোক্তা
সাত ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা পেয়েছেন জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার- ২০২৩। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। পুরস্কার প্রাপ্তদের নগদ পুরস্কার, ট্রফি ও সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে।
আজ রবিবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় এসএমই পণ্যমেলা-২০২৪ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার পেয়েছেন- বর্ষসেরা নারী ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা স্বপ্না রাণী সেন, বর্ষসেরা পুরুষ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা মো. শাফাত কাদির, বর্ষসেরা পুরুষ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা মো. ওয়ালিউল্লাহ ভূঁইয়া, বর্ষসেরা ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তা তাসলিমা মিজি, বর্ষসেরা পুরুষ মাঝারি উদ্যোক্তা আশরাফ হোসেন মাসুদ, বর্ষসেরা মাঝারি নারী উদ্যোক্তা সীমা সাহা ও বর্ষসেরা স্টার্ট আপ মদিনা আলী।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ফের বাড়লো কাঁচা মরিচের ঝাঁঝ
কাঁচা মরিচের দাম গত ১০ দিনের ব্যবধানে দ্বিগুণ বেড়েছে। বর্তমানে এই পণ্যের দাম প্রতি কেজি ২০০ টাকা ছাড়িয়েছে। কোথাও কোথাও আরও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বছরের এই সময়ে বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহে কিছুটা ঘাটতি থাকে। ফলে আমদানি করে মরিচের প্রয়োজন মেটাতে হয়। তবে এবার দাম বাড়তে থাকলেও সরকারের পক্ষ থেকে দাম নিয়ন্ত্রণে এখনো কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।
এবার কাঁচা মরিচের দাম বাড়ছে ঈদুল আজহার মাসখানেক আগে থেকেই। গত বছর কোরবানির সময়ে ঢাকায় কাঁচা মরিচের কেজি ৭০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। তখন দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দিয়েছিল।
শনিবার রাজধানীর মগবাজার ও কারওয়ান বাজার ঘুরে ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃষ্টির কারণে বাজারে মরিচের সরবরাহ কমেছে। ফলে ১০ দিন আগে যে কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, এখন খুচরা বাজারে তার দাম ২০০ থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। অর্থাৎ এ সময়ে কাঁচা মরিচের দাম দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। এক কেজির কম কিনলে বিক্রেতারা আরও বেশি দাম চাইছেন।
বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে এখন যে মরিচ আসছে, তার মান খুব ভালো নয়। কারণ, গ্রীষ্মকালীন মরিচের গাছ এখন শুকিয়ে এসেছে। ফলনও আগের তুলনায় কম পাওয়া যাচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সঙ্গনিরোধ শাখা সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি (আইপি) দেওয়া হয়নি। তবে বাজারে কাঁচা মরিচের দাম ও সরবরাহ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। চাহিদা ও সরবরাহ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।
এমআই