জাতীয়
কমলাপুরে বেড়েছে ঘরমুখো মানুষের ভিড়, সময়মতো ছাড়ছে ট্রেন
পবিত্র ঈদ উপলক্ষে পরিবারের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন রাজধানীবাসী। অনেকেই যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে ট্রেনকে বেছে নিয়েছেন। ঈদ উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে। যারা অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করেছিলেন তারা এখন ভ্রমণ করতে পারছেন। এবার ট্রেনে ঈদ যাত্রায় খুশি যাত্রীরা৷ দেখা যায়নি ভোগান্তির তেমন কোন চিত্র, ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় নেই। সময়মতো গন্তব্যের উদ্দেশ্যে স্টেশন ছেড়ে যাচ্ছে ট্রেন।
আজ সোমবার (৮ এপ্রিল) সকালে সরেজমিনে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে দেখা যায়, একের পর এক ট্রেন নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে যাচ্ছে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রুটে যাতায়াতকারী মহানগর প্রভাতী ট্রেনটি স্টেশন ছাড়ার সময় ছিল ৭টা ৪৫ মিনিটে৷ ট্রেনটি এক মিনিটও বিলম্ব না করে নির্দিষ্ট সময়েই স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম ত্যাগ করে।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন সূত্র জানায়, সকাল থকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (সকাল ৮ টা ২০ মিনিট) মহানগর প্রভাতী, বালাকা, ধুমকেতু, পারাবত, সুন্দরবন, নীলসাগর এক্সপ্রেসসহ মোট ১১ টি ট্রেন বিভিন্ন গন্তব্যে স্টেশন ত্যাগ করেছে।
ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার জানান, ট্রেনের কোনো সিডিউল বিপর্যয় নেই। এমনকি ট্রেন যাত্রায় বিলম্বও নেই। প্রতিটি ট্রেন তার নির্দিষ্ট সময়সূচি অনুযায়ী স্টেশন ত্যাগ করছে। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি এবং সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এবারের ঈদ যাত্রায় রেলওয়ের ব্যবস্থাপনায় খুশি সাধারণ যাত্রীরা। তারা বলছেন, ট্রেনে ঈদ যাত্রায় আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় এবার স্বস্তিদায়ক৷ একদিনে ট্রেন যেমন সময়মতো ছাড়ছে অন্যদিকে বিনা টিকিটের কোন যাত্রী ভ্রমণ করতে পারছেন না। রেলওয়ের ব্যবস্থাপনায় যাত্রাও ভালো হচ্ছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
৮ মে ১৪১ উপজেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা
প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট উপলক্ষ্যে আগামী ৮ মে (বুধবার) সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।
সোমবার (৬ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. কামরুজ্জামান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়েছে, অ্যালোকেশন অব বিজনেস অ্যামং দি ডিফারেন্ট মিনিস্ট্রিজ অ্যান্ড ডিভিশন্স-এর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অংশে ৩৭ নম্বর ক্রমিকের অনুবলে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের চাহিদা মোতাবেক ১৪১টি উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ভোটগ্রহণের দিন অর্থাৎ ৮ মে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলো।
এবার ৮ মে থেকে ৫ জুন পর্যন্ত চার ধাপে দেশের উপজেলাগুলোয় নির্বাচন করছে ইসি। পরবর্তী ধাপের ভোটেও সাধারণ ছুটি থাকবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দেশে নারীর চেয়ে পুরুষদের বেকারত্ব বেড়েছে
এক বছরের ব্যবধানে দেশের বেকারের সংখ্যা কোনো পরিবর্তন হয়নি। চলতি বছরের মার্চ মাস শেষে বেকারের সংখ্যা ২৫ লাখ ৯০ হাজার। গত বছরের একই সময়েও বেকারের সংখ্যা ছিল ২৫ লাখ ৯০ হাজার।
বছরের ব্যবধানে মোট বেকারের সংখ্যায় পরিবর্তন না এলেও নারীর তুলনায় পুরুষের বেকারের সংখ্যা বেড়েছে ৩০ হাজার। অন্যদিকে নারী বেকারের সংখ্যা কমেছে ৩০ হাজার।
সোমবার (৬ মে) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ত্রৈমাসিক শ্রমশক্তি জরিপের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) শ্রমশক্তি জরিপের তথ্য বলছে, মার্চ মাস শেষে দেশে বেকারের সংখ্যা ২৫ লাখ ৯০ হাজার। গত বছরের মার্চ শেষেও বেকারের সংখ্যা একই ছিল। তবে এবারের জরিপ বলছে, দেশে পুরুষ বেকারের সংখ্যা ৩০ হাজার বেড়ে ১৭ লাখ ৪০ হাজারে দাঁড়িয়েছে, যেটি এক বছর আগেও ছিল ১৭ লাখ ১০ হাজারে। একই সময়ে নারী বেকারের সংখ্যা ৩০ হাজার কমে ৮ লাখ ৫০ হাজারে দাঁড়িয়েছে। গত বছরের মার্চ মাস শেষে নারী বেকার ছিল ৮ লাখ ৮০ হাজার।
বেকারের সংজ্ঞায় বিবিএস বলছে, বেকার মূলত তারাই যারা গত ৭দিনে কমপক্ষে একঘণ্টাও কোনো কাজ করেনি কিন্তু কাজ করার জন্য প্রস্তুত ছিল। শুধু তাই নয়, যারা গত ৩০ দিনে বেতন বা মজুরির বিনিময়ে কোনো না কোনো কাজ খুঁজেছেন কিন্তু পাননি তারাই বেকার। যারা গত সাতদিনে কমপক্ষে একটি মুরগিও পালন করেছেন তাদেরকে বেকার হিসেবে গণ্য করে না বিবিএস।
হালনাগাদ তথ্য বলছে, চলতি বছরের মার্চ মাস শেষে বেকারত্বের হার দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ, গত বছরের মার্চ মাসেও বেকারত্বের হার একই ছিল। তবে পুরুষ বেকারত্বের হার বেড়েছে ৩ দশমিক ৫৯ শতাংশ হয়েছে, যেটি এক বছর আগেও ছিল ৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ। তবে নারী বেকারত্বের হার কমে ৩ দশমিক ৩৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, এক বছর আগে যা ছিল ৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
বিবিএস বলছে, শ্রমশক্তিতে এখন ৭ কোটি ৩৭ লাখ ৫০ হাজার নারী-পুরুষ আছেন। তাদের মধ্যে ৭ কোটি ১১ লাখ ৬০ হাজার লোক কর্মে নিয়োজিত। বাকিরা বেকার।
এ ছাড়া শ্রমশক্তির বাইরে বিশাল জনগোষ্ঠী আছে। তারা কর্মে নিয়োজিত নয়, আবার বেকার হিসেবেও বিবেচিত নয়। এমন জনগোষ্ঠীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি ৮২ লাখ ৬০ হাজার। তারা মূলত সাধারণ ছাত্র, অসুস্থ ব্যক্তি, বয়স্ক নারী-পুরুষ, কাজ করতে অক্ষম ব্যক্তি, অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি এবং কর্মে নিয়োজিত নন বা নিয়োজিত হতে অনিচ্ছুক গৃহিণী।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
জেদ্দায় ইউএস-বাংলার ফ্লাইট শুরু ১ আগস্ট
সৌদি আরবের জেদ্দায় আগামী ১ আগস্ট থেকে ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। সপ্তাহের প্রতিদিন ৪৩৬ আসনের এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ দিয়ে সরাসরি ঢাকা থেকে জেদ্দায় ফ্লাইট পরিচালিত হবে।
সোমবার (৬ মে) থেকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের সব বিক্রয় মাধ্যমে ঢাকা-জেদ্দা রুটের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স জানায়, ঢাকা থেকে সোম, বুধ, শুক্র ও শনিবার বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে জেদ্দার উদ্দেশ্যে ফ্লাইট ছেড়ে যাবে এবং জেদ্দায় স্থানীয় সময় রাত ৯টা ১০ মিনিটে অবতরণ করবে। পুনরায় জেদ্দা থেকে রাত ১১টা ১০ মিনিটে ফ্লাইট ছেড়ে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে অবতরণ করবে।
এছাড়া মঙ্গলবার ঢাকা থেকে সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে ও রোববার সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে উড্ডয়ন করে যথাক্রমে স্থানীয় সময় রাত ১০টা ও ১০টা ৫ মিনিটে জেদ্দায় অবতরণ করবে। পুনরায় মঙ্গলবার ও রোববার রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে জেদ্দা থেকে উড্ডয়ন করে বুধবার ও সোমবার সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করবে।
সপ্তাহের বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা থেকে ছেড়ে জেদ্দার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে পৌঁছাবে এবং জেদ্দা থেকে রাত ৮টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে ঢাকায় সকাল ৬টা ২৫ মিনিটে পৌঁছাবে।
ঢাকা থেকে জেদ্দার ন্যূনতম ভাড়া ট্যাক্স ও সারচার্জসহ ওয়ানওয়ে ৫৮ হাজার ৬০৫ টাকা এবং রিটার্ন ভাড়া ৯৬ হাজার ৩৭ টাকা। এছাড়া জেদ্দা থেকে ঢাকার ওয়ানওয়ের ন্যূনতম ভাড়া ৮৯৩ সৌদি রিয়েল এবং রিটার্ন ভাড়া ১ হাজার ৬১১ সৌদি রিয়েল।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স জানায়, দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ওমরাহ হজ পালন করার সুপ্ত ইচ্ছাকে পূর্ণতা দিতেই ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স সরাসরি ঢাকা থেকে পবিত্র শহর জেদ্দায় ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে। এছাড়া রেমিট্যান্সযোদ্ধারা যেন সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ যেকোনো গন্তব্যে স্বল্পতম সময়ে গমন করতে পারেন সে ব্যাপারে যত্নশীল থাকবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
বর্তমানে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে দুটি এয়ারবাস ৩৩০-৩০০, নয়টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০সহ মোট ২৪টি এয়ারক্রাফট রয়েছে। বর্তমানে অভ্যন্তরীণ সব রুট ছাড়াও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স দুবাই, শারজাহ, আবুধাবী, মাস্কাট, দোহা, মালে, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, গুয়াংজু, চেন্নাই ও কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
গ্রামে লোডশেডিং না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং না করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শহরেও যাতে লোডশেডিং না হয় সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
সোমবার (৬ মে) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।
এদিন মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী লোডশেডিংয়ের বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন- এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কেবিনেটের কথা তো কেবিনেটে চলে গেছে। এটা তো বাইরে বলা যাবে না।
লোডশেডিং নিয়ে সারাদেশের মানুষ কষ্ট পাচ্ছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, সারা বাংলাদেশে কিছু কিছু অঞ্চলে আমাদের কিছুটা লোডশেডিং করতে হচ্ছে। বিশেষত গ্রামাঞ্চলে অনেক জায়গায়। এটি আমরা গত এক মাস ধরে পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের বেশ কিছু পাওয়ার প্ল্যান্ট, বিশেষত ওয়েল বেইজড পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো বন্ধ আছে। সেগুলো আমরা ধীরে ধীরে চালু করছি। তেলের স্বল্পতা ছিল, অর্থ স্বল্পতা ছিল- এ বিষয়গুলোকে নজরদারি করে আমরা এখন একটি ভালো পরিস্থিতিতে আছি।
নসরুল হামিদ বলেন, এ বিষয়গুলো সংসদে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়গুলো সার্বিকভাবে সবাই, যারা সংসদ সদস্য, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও ওয়াকিবহাল। প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন যেন গ্রামাঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ যত দ্রুত পারা যায় ব্যবস্থা করতে। আমরা সেটাই ব্যবস্থা করে এখন একটা ভালো অবস্থায় আছি।
এর ফলে কি শহরে লোডশেডিং বাড়বে- জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমার মনে হয় না কোথাও লোডশেডিং করে অন্য জায়গায় দেওয়ার ব্যবস্থাটা করতে হবে। তবে আমি মনে করি আগের থেকে ভালো অবস্থায় এখন আমরা আছি।
গ্রামে তো প্রচুর লোডশেডিং করা হচ্ছে- এ বিষয়ে তিনি বলেন, এখন (লোডশেডিং) কমে গেছে। কারণ, আমি তো প্রতিদিন নিউজ পাচ্ছি। আজকে যদি দেখেন জিরো লোডশেডিং। আস্তে আস্তে কমে আসছে। আমাদের পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো আসছে। আমাদের বেশকিছু পাওয়ার প্ল্যান্ট বন্ধ রাখা ছিল। কারণ, জ্বালানি তেলের স্বল্পতা ছিল। যারা তেল আনার কথা তারা আনতে পারছিলেন না। তারা দেরি করছিলেন। যে কারণে প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াটের মতো (লোডশেডিং) প্রথম দিকে ছিল। এখন ৫০০ থেকে জিরোর দিকে চলে আসছে। আশা করছি ভবিষ্যতে এটি ভালোর দিকে যাবে।
তেলের সমস্যা কেটেছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি, আমাদের নিজেদের কাছ থেকে তেল দেওয়ার। বিপিসি থেকে তেল দেওয়ার। এখন সেটারই ব্যবস্থা চলছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় কিছু টাকা ছাড় করেছে, সেটা কি পাওয়া শুরু করেছেন- জানতে চাইলে নসরুল হামিদ বলেন, আমরা কিছু কিছু করে পাচ্ছি। সেটা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করছি।
উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ডের পরও লোডশেডিং কেন, এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ড আবার সর্বোচ্চ চাহিদাও আছে। সেটার মধ্যে তো একটা পার্থক্য আছে। কারণ এবার আপনারা দেখেছেন বিগত ৫০ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। সেই তাপমাত্রার জন্য তো আমরা কেউ প্রস্তুত ছিলাম না।
তিনি বলেন, আমাদের জেনারেশনে যতটুকু প্রস্তুত ছিলাম আমরা সে পর্যন্ত গিয়েছি। তার উপরে যাওয়ার জন্য আমাদের চেষ্টা ছিল। আমরা করতে পারতাম। কিন্তু মুশকিলটা হলো অর্থ এবং তেলের সংস্থান। এ দুটো জিনিসকে সমন্বয় করতে হবে। সেটা করতে আমাদের যে সময়টুকু লেগেছে তখন বেশকিছু জায়গায়, গ্রামাঞ্চলের অনেক জায়গায় লোডশেডিং করতে হয়েছে। সার্বিকভাবে এখন পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তো এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী। উনি সবসময় নির্দেশনা দিয়ে গেছেন লোডশেডিং করা যাবে না, লোডশেডিং মুক্ত রাখতে হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
মঙ্গলবার ঢাকায় আসছেন ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী
দুই দিনের সফরে মঙ্গলবার (৭ মে) ঢাকায় আসছেন যুক্তরাজ্যের ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি (আইপিএস) বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যান-মারি ট্রিভেলিয়ান। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে বছর ব্যবধানে তিনি বাংলাদেশ সফরে আসছেন।
সোমবার (৬ মে) ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশন প্রতিমন্ত্রী ট্রিভেলিয়ানের বাংলাদেশ সফরের তথ্য জানিয়েছে।
ব্রিটিশ হাইকমিশন জানায়, আইপিএস বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশ সফরে ট্রিভেলিয়ান দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদারে যুক্তরাজ্যের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করবেন। তার সফরে যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ আধুনিক অর্থনীতি, নিরাপত্তা এবং অভিবাসন অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করবে।
ট্রিভেলিয়ান ঢাকা সফরকালে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে একটি নতুন বাণিজ্য নীতি সংক্রান্ত প্রকল্প ঘোষণা করবেন, যা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে সাহায্য করবে। তিনি বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য যুক্তরাজ্যের নতুন তহবিল ১২ মিলিয়ন পাউন্ড সহায়তার ঘোষণা দেবেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশের যুবক এবং দুর্বল গোষ্ঠীগুলোকে জলবায়ু সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডে জড়িত করতে যুক্তরাজ্যের নতুন সমর্থন ঘোষণা করবেন।
প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। দুটি আলোচনায় অভিবাসন সহযোগিতা, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহযোগিতার বিষয় থাকবে।
এছাড়া ট্রিভেলিয়ান ব্যবসায়ী নেতা, মানবাধিকার কর্মী, জলবায়ু বিশেষজ্ঞ, সুশীল সমাজের সংগঠন ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সংশ্লিষ্ট বৈঠকগুলোতে দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধির ভিত্তি হিসেবে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের গুরুত্ব তুলে ধরবেন।
ব্রিটিশ হাইকমিশন প্রতিমন্ত্রী ট্রিভেলিয়ানের উদ্বৃতি দিয়ে জানায়, অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে নতুন বাণিজ্য নীতি প্রকল্পের আওতায় যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ ধাপ এগিয়ে নিয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসতে পেরে আমি আনন্দিত।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা মিয়ানমার ও বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের জন্য আমাদের সমর্থনে অটল রয়েছি। বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য বিশুদ্ধ পানি, স্বাস্থ্যসেবা, আশ্রয় এবং সুরক্ষা পরিষেবা বাড়াতে যুক্তরাজ্য নতুন করে ১২ মিলিয়ন পাউন্ড সহায়তা করবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, আইপিএস প্রতিমন্ত্রীকে বাংলাদেশে স্বাগত জানাতে পারব বলে আমি আনন্দিত। বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্ব আমাদের দুই দেশের জনগণ এবং সাংস্কৃতিক বন্ধনের মাধ্যমে দৃঢ় করেছে।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ অংশীদারিত্ব আরও শক্তিশালী হতে চলেছে। কারণ, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা যৌথ কাজ থেকে শুরু করে রোহিঙ্গাদের প্রতি আমাদের অবিচল সমর্থন এবং জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে আমাদের অংশীদারিত্ব আরও সামনে এগিয়ে নিতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
প্রসঙ্গত, গত বছরের (২০২৩) মার্চে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন প্রতিমন্ত্রী ট্রিভেলিয়ান।