লাইফস্টাইল
ঈদের ছুটিতে বাসা-বাড়ি ছাড়ার আগে যে কাজগুলো করবেন
পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে বাসা-বাড়ি ছেড়ে ছুটছেন নিজ নিজ গ্রামে। ঈদের ছুটিতে কেউ এক সপ্তাহ আবার কেউ ১০ দিন এমনকি একমাস পর্যন্তও কেউ কেউ বাড়ির বাইরে থাকেন। তবে কোথায় দীর্ঘদিনের জন্য যাওয়ার আগে অবশ্যই বসতঘর পরিপাটি করে রেখে তবেই বের হন। না হলে ঘটতে পারে মারাত্মক বিপদ!
অপ্রস্তুত ও এলোমেলোভাবে বাড়িটিকে ফেলে রেখে যাওয়া কখনোই ঠিক হবে না। এক্ষেত্রে ফিরে এসে বাড়ির সবকিছু গোছানো ও ক্ষয়ক্ষতিহীনভাবে ফিরে পেতে বেশ কয়েকটি কাজ গুছিয়ে যাওয়া উচিত। এমনকি নিরাপত্তার খাতিরে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রেখে তবেই বের হন ঘর থেকে। জেনে নিন কোথায় যাওয়ার আগে ঘর কীভাবে গুছিয়ে যাবেন-
যাওয়ার আগে প্রতিটি ঘর গুছিয়ে রাখুন ও ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করুন। অনেকেই কোথাও বের হওয়ার আগে তাড়াহুড়োতে ঘর নোংরা করে বেরিয়ে পড়েন। এতে ফিরে এসে নোংরা ঘর দেখলে মেজাজ আরও খারাপ হয় এমনকি তাৎক্ষণিক ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে বিপাকে পড়েন কেউ কেউ। তাই বের হওয়ার আগে অবশ্যই ঘর পরিষ্কার করে যান।
বাড়ি ছাড়ার আগে ময়লা আবর্জনা ফেলে দিতে ভুলবেন না। তা না হলে সেগুলো পঁচে-গলে ঘরভর্তি দুর্গন্ধ ছড়াবে। বাড়ির অন্যান্য ঘরগুলো তো বটেই, বিশেষ করে রান্নাঘর পরিষ্কারের সময় বেশি মনোযোগী হন। দীর্ঘদিনের জন্য ঘরের বাইরে গেলে অবশ্যই ফ্রিজ খালি করুন। ফ্রিজে যদি পচনশীল খাবার থাকে তাহলে তা ফেলে দিন না হয় খেয়ে নিন তখনই। এছাড়া ফ্রিজ খালি করে বন্ধ করে গেলে বিদ্যুৎ বিলও বাঁচবে।
একই সঙ্গে ঘরের সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস আনপ্লাগ করুন। বাড়িতে এয়ার কন্ডিশনার থাকলে সেটি বন্ধ করুন ও আনপ্লাগ করুন। গিজার থাকলে সেটিও মনে করে আনপ্লাগ করে রাখুন। ওয়াশিং মেশিনের ক্ষেত্রেও একই কাজ করা জরুরি। ঘর থেকে বের হওয়ার সময় অবশ্যই ফ্যান, লাইটসহ সব ধরনের পাওয়ার সুইচ বন্ধ করে যান। না হলে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
ওয়াইফাই ও কম্পিউটারের সংযোগও বন্ধ করে যান কোথাও যাওয়ার আগে। গ্যাসের চুলা অনেক সময় ঠিকভাবে বন্ধ হয় না। আগুন না জ্বললেও দেখা যায় আস্তে আস্তে গ্যাস বের হয় চুলা থেকে। এমন ক্ষেত্রে বিস্ফোরণ ঘটার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই ঘর থেকে বের হওয়ার আগে অবশ্যই গ্যাসের চাবি ঠিকমতো বন্ধ করেছেন কি না তা যাচাই করুন।
ঘরের সব জানালা ও দরজা বন্ধ করা হয়েছে কি না কমপক্ষে দুবার চেক করুন। এখন যেহেতু বর্ষাকাল তাই যে কোনো সময়েই ঝড় বৃষ্টি হতে পারে। তাই ঘর ছাড়ার আগে জানালা-বারান্দার দরজাগুলো ভালো করে বন্ধ করুন। ছুটিতে কোথাও যাওয়ার আগে অবশ্যই ঘরের ফার্নিচার ঢেকে রাখুন। এতে ফার্নিচার কেবল ধূলা-বালিমুক্ত থাকবে।
অনেকের ঘরেই নগদ অর্থসহ গহনা থাকে। এসব মূল্যবান জিনিস অবশ্যই নিরাপদ কোনো স্থানে রেখে যান। প্রয়োজনে ব্যাংকের লকারে কিংবা নিকট আত্মীয়ের কাছেও রেখে দিতে পারেন। ঘর ছাড়ার আগে অবশ্যই সব পানির ট্যাপগুলো চেক করে নিন, কোনো খোলা থাকলে তা বন্ধ করুন ভালোভাবে।
এমনকি বাথরুমে বালতি, মগ বা বদনায় পানি রাখবেন না। দীর্ঘদিন জমে থাকা পানিতে মশার প্রজনন ঘটতে পারে। আপনার এই কয়েকটি পদক্ষেপ দীর্ঘসময়ের ছুটিকে করবে নিশ্চিন্ত ও আনন্দময়। এই কাজগুলো করে গেলে ঘরে ফিরে আর দ্রুত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা করতে ব্যস্ত হতে হবে না।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
প্রতিদিন দই খাওয়ার উপকারিতা
আমাদের প্রতিদিনের খাবারে দই রাখা উপকারী একথা কম-বেশি সবারই জানা। কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখেছেন যে প্রতিদিন এক বাটি দই খেলে আমরা কী স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে পারি? দই তৈরি হয় দুধ থেকে এবং এটি ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি-২, ভিটামিন বি -১২, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো বেশ কয়েকটি প্রয়োজনীয় পুষ্টিতে ভরা। দইয়ের একটি সুবিধা হলো এটি হালকা এবং দুধের চেয়ে সহজে হজম হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক দই খাওয়ার উপকারিতা-
১. হজমের জন্য ভালো
দই একটি দুর্দান্ত প্রোবায়োটিক (একটি উপাদান যাতে জীবন্ত ব্যাকটেরিয়া থাকে)। এই ভালো এবং উপকারী ব্যাকটেরিয়াগুলো অন্ত্রের কার্যকলাপকে উন্নত করতে, স্ফীত পাচনতন্ত্রকে প্রশমিত করতে এবং পেট খারাপের সমস্যা দূর করতে পরিচিত।
২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
দই খেলে তা রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং অন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখে। অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের একটি দল দ্বারা পরিচালিত একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রতিদিন ২০০ গ্রাম দই খেলে তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সাহায্য করে।
৩. সুন্দর এবং স্বাস্থ্যকর ত্বক
দই খেলে তা আমাদের ত্বকে ময়েশ্চারাইজিং প্রভাব ফেলে এবং এটি শুষ্ক ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে নিরাময় করে। কিছু নির্দিষ্ট গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যার কারণে অনেকেই ব্রণের সমস্যায় ভোগেন। দই একটি অন্ত্রের কার্যকারিতা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে যা স্বাস্থ্যকর ত্বক বজায় রাখে। দই দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাকও একটি চমৎকার সৌন্দর্য উপাদান কারণ এতে ল্যাকটিক অ্যাসিড রয়েছে, যা এক্সফোলিয়েটর হিসাবে কাজ করে এবং সমস্ত মৃত কোষ ও দাগ দূর করে।
৪. উচ্চ রক্তচাপ হ্রাস করে
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন (AHA) এর উচ্চ রক্তচাপ গবেষণা বৈজ্ঞানিক সেশনে উপস্থাপিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা বেশি চর্বিহীন দই খেয়েছেন তাদের উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার সম্ভাবনা অন্যদের তুলনায় ৩১ শতাংশ কম। পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো পুষ্টির পাশাপাশি দইয়ের বিশেষ প্রোটিনগুলো উচ্চ রক্তচাপ কমাতে এবং একটি স্বাস্থ্যকর হৃদপিণ্ডকে উন্নীত করতে সাহায্য করে।
৫. হাড়ের জন্য ভালো
ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার অনুযায়ী এক কাপ দই (২৫০ গ্রাম) এ প্রায় ২৭৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। ক্যালসিয়ামের দৈনিক ডোজ শুধুমাত্র হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখতে সাহায্য করে না বরং হাড়কে শক্তিশালীও করে। এতে চর্বি এবং ক্যালোরি কম থাকে এবং তাই এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
রক্তস্বল্পতা দূর করতে যেসব ফল খাবেন
রক্তস্বল্পতা দেখা দিলে তা আরও অনেক অসুখের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই আমাদের সুস্থতার জন্য রক্তস্বল্পতার সমস্যা দূর করা জরুরি। এই সমস্যা মোকাবিলায় রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ ঠিক রাখার জন্য কাজ করতে হবে। খেতে হবে এমন সব খাবার যা রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে। উপকারী ও কার্যকরী সেসব খাবার নিয়মিত খেলেই পাবেন মুক্তি। চলুন জেনে নেওয়া যাক রক্তস্বল্পতা দূর করতে কোন খাবারগুলো খাবেন-
বেদানা
সুস্বাদু ও রসালো ফল বেদানা। এটি দেখতে যেমন সুন্দর তেমন উপকারীও। নিয়মিত বেদানা খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। বেদনায় থাকে ভিটামিন কে, ভিটামিন সি, ফাইবার, পটাশিয়াম ও প্রোটিন। সেইসঙ্গে থাকে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি। এই ভিটামিন সি রক্তস্বল্পতা দূর করতে দারুণ কার্যকরী। তাই আপনার খাবারের তালিকায় এই উপকারী ফল যোগ করতে পারেন।
আপেল
প্রতিদিন একটি আপেল খাওয়ার অনেক উপকারিতার কথা বলে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। আসলেই তাই। নিয়মিত আপেল খেলে তা অনেক অসুখ থেকেই আপনাকে দূরে রাখবে। আপেলে থাকে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ফ্লেভানয়েড, ডায়েটরি ফাইবার এবং আয়রন। যে কারণে নিয়মিত এই ফল খেলে শরীরে হিমোগ্লোবিনের ভারসাম্য বজায় থাকে। ফলে রক্তস্বল্পতা থেকে বাঁচা সহজ হয়।
লেবু
লেবু খাওয়ার অনেক উপকারিতা সম্পর্কে জানা আছে নিশ্চয়ই? ভিটামিন সি এর অন্যতম উৎস হলো এই লেবু। তাই নিয়মিত লেবু খেলে তা রক্তস্বল্পতা দূর করতে কাজ করে। লেবুর শরবত কিংবা লেবু দিয়ে তৈরি ডিটক্স ওয়াটার পান করুন। এতে সুস্থ ও সতেজ থাকা সহজ হবে।
বেরি জাতীয় ফল
বেরি জাতীয় ফলে থাকে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, আয়রন, ভিটামিন সি। এই উপাদানগুলো হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি কমাতে কাজ করে। তাই বেরি জাতীয় ফল নিয়মিত খেলে তা দ্রুতই রক্তস্বল্পতা দূর করতে কাজ করে। খাবারের তালিকায় এই ফল যোগ করে নিন। এতে উপকার পাবেন।
তরমুজ
তরমুজ গ্রীষ্মকালের অন্যতম জনপ্রিয় ফল। টুকটুকে লাল এই ফল খেতেও ভীষণ সুস্বাদু। গরমের সময়ে এটি আপনার জন্য বিশেষ সহায়ক একটি ফল হতে পারে। এই ফলে থাকে প্রচুর ভিটামিন সি। তাই নিয়মিত তরমুজ খেলেও রক্তস্বল্পতা দূর হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
বেশি ঘুমালে কি ওজন বাড়ে?
ঘুমের সঙ্গে ওজনের একটি সম্পর্ক আছে বলে মনে করা হয়। বিশেষ করে বেশি ঘুমালে ওজন বাড়ে এমন কথা আপনি অনেকবারই শুনে থাকবেন। দুপুরের ঘুম স্বাস্থ্যকর নয় বা এটি মোটা হওয়ার নেপথ্যে কাজ করে এমন ধারণাও অনেকে। কেউ কেউ আবার বলেন, শরীরে মেদ বেশি হলে ঘুমও বেশি পায়। এগুলো কি আসলেই সত্যি? কী বলছে গবেষণা?
সম্প্রতি ঘুম এবং মেদের সম্পর্ক নিয়ে একটি গবেষণা চালিয়েছে ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটি অব লিডিস। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৯৮০ সালের তুলনায় বর্তমানে ওবেসিটি বা স্থূলত্বের শিকার মানুষের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ। যার ফলে বৃদ্ধি পেয়েছে টাইপ টু ডায়াবেটিসের মতো সমস্যাও। এর সঙ্গে কি ঘুমের সম্পর্ক রয়েছে?
এই গবেষণা চালানো হয়েছিল মোট ১৬১৫ জন পূর্ণবয়স্ক মানুষের ওপরে। যেখানে ১৬১৫ জনের খাবারের তালিকা এবং গড় ঘুমের সময় ভালোভাবে বিশ্লেষণ করে দেখা হয়েছে। গবেষণার ফল প্রকাশ হয় ‘প্লাস ওয়ান’ নামক জার্নালে। যেখানে জানানো হয়েছে চমকপ্রদ তথ্য।
গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রচলিত ধারণা সঠিক নয়। সেখানে বলা হয়েছে, কম ঘুমই বরং শরীরে বাড়তি মেদের কারণ কারণ হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, যারা দিনে গড়ে ছয় ঘণ্টা ঘুমান তাদের কোমরের মাপ প্রতি দিন নয় ঘণ্টা ঘুমোনো মানুষের তুলনায় তিন সেন্টিমিটার বেশি। কম ঘুমালে ওজনও বেশি বাড়ে।
গবেষণায় আরও উল্লেখ করা হয় যে, পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়ার ফলে বাড়ে ডায়াবেটিসের মতো অসুখও। গবেষকরা বলছেন, প্রত্যেকের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার ওপরে নির্ভর করে তার কতটুকু ঘুম প্রয়োজন। তবে সাধারণত একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির জন্য দিনে সাত থেকে নয় ঘণ্টা আরামদায়ক ঘুম প্রয়োজন। নয়তো বাড়তে থাকে ওজন বৃদ্ধির ভয়। তাহলে বুঝতেই পারছেন, শরীরে বাড়তি মেদের জন্য ঘুমকে দায়ী করা যাবে না। তবে ঘুম হতে হবে পর্যাপ্ত। এমনটাই বলেছেন, এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত গবেষকরা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
গরমে নিজেকে সুস্থ রাখবেন যেভাবে
তাপমাত্রা যতই ৪০ ছাড়াক, আপনাকে কাজে বেরোতেই হবে। আর চড়া রোদে বাড়ির বাইরে বেরোনো বিপদকে ডেকে আনার সমান। কিন্তু কর্মস্থলে তো যেতেই হয়। তাই গরমে যত কষ্টই হোক, আপনাকে বাইরে বেরোতেই হবে। কিন্তু রোদে বেরিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লেই মুশকিল। কাঠফাটা রোদে সান স্ট্রোকের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
এছাড়া, ঘাম বসে সর্দি-কাশি হওয়াও সম্ভাবনাও থাকে। আর যদি এই গরমে ভাজাভুজি, মশলাদার খাবার খান, সেখানেও হতে পারে বদহজম। কিন্তু রোদে বেরিয়েও কীভাবে নিজেকে সুস্থ রাখবেন, সেটিই সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের।
১. রাস্তায় বেরোলে সঙ্গে পানির বোতল রাখুন। হাঁটুন বা বাসে-ট্রামে চড়ে যান, মাঝে মাঝে জল খেতে থাকুন। জল ছাড়াও রাস্তায় ডাব দেখতে পেলে ডাবের জল কিনে খান।
২. এই গরমে গাঢ় রঙের পোশাক এড়িয়ে চলুন। হালকা রঙের পোশাক পরুন। সুতির ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। পাশাপাশি রোদ থেকে মুখ বাঁচাতে টুপি, সানগ্লাস ও ছাতা ব্যবহার করুন। লু-এর হাত থেকে সুরক্ষিত থাকতে সুতির স্কার্ফ দিয়ে মাথা ও মুখ ঢেকে ফেলুন।
৩. গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে মৌসুমি ফলের ওপর জোর দিন। গ্রীষ্মকালীন ফল হিসেবে তরমুজ, আনারস, শসা, জামরুল, পাকা পেঁপের কদর বেশি। এসব ফলের মধ্যে জলের পরিমাণ বেশি। এগুলো খেলে দেহে তরলের ঘাটতিও পূরণ হবে।
৪. গরমে চা-কফি একদম এড়িয়ে চলুন। এতে থাকা ক্যাফেইন শরীরকে ডিহাইড্রেট করে দিতে পারে। পাশাপাশি দেহের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। এমনকি কোল্ড ড্রিংক্সও এড়িয়ে চলুন।
৫) গরমে বাইরের তেল-মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। বাড়ির খাবার খান আর হালকা খাবার খান। অতিরিক্ত প্রোটিন ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এই গরমে না খাওয়াই ভাল। প্রয়োজনে চিঁড়ে দই, পান্তা ভাত, দই ভাত, টকের ডালের মতো খাবার খান। শুধু খেয়াল রাখুন, খাবারে যেন তরলের পরিমাণ বেশি হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
যেসব খাবার দইয়ের সঙ্গে খাবেন না
গরমের সময়ে দই খেলে পাওয়া যায় বাড়তি প্রশান্তি। লাচ্ছি কিংবা বোরহানি বলুন, কিংবা শেষপাতে মিষ্টি দই এসময় অনেকেই খেয়ে থাকেন। তাপমাত্রায় এই তীব্রতায় এ ধরনের খাবার সত্যিই প্রশান্তি জোগায়। দই খাওয়ার রয়েছে অনেক উপকারিতাও। ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি -২, ভিটামিন বি -১২, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় উপাদান থাকে দইয়ে। তবে এই দইয়ের সঙ্গে কয়েকটি খাবার খাওয়া যাবে না। কোন খাবারগুলো? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
মাছ
গরমের দিনে মাংসের চাইতে বেশি মাছটাই খাওয়া হয়ে থাকে। এসময় রুই-কাতলার মতো মাছ খাওয়া হয় বেশি। অনেকে দই দিয়ে মাছও রান্না করছেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাছের সঙ্গে দই খাওয়া চলবে না। কারণ এই দুই প্রোটিন একসঙ্গে পেটে গেলে বাঁধতে পারে বিপত্তি। তাই এদিকে খেয়াল রাখতে হবে। মাছ খাওয়ার সময় বা পরপরই দই খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
আম
গরমের সময়ের অন্যতম আকর্ষণ হলো পাকা আম। এসময় অনেকে দইয়ের সঙ্গে আম চটকে খেতেও পছন্দ করেন। কিন্তু এমনটা করা যাবে না। বিশেষজ্ঞরা এই দুই খাবার একসঙ্গে খেতে নিষেধ করছেন। কারণ আম ও দই একসঙ্গে খাওয়া শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর নয়। এই দুই খাবার একসঙ্গে খেলে থাকে অ্যালার্জির ভয়। তাই যাদের এ ধরনের সমস্যা হওয়ার ভয় আছে তারা আগেভাগেই এড়িয়ে চলবেন।
পেঁয়াজ
খাবারের সঙ্গে কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ার অভ্যাস বাঙালির পুরোনো। সালাদ কিংবা রায়তা তৈরিতে পেঁয়াজের ব্যবহার হয়ে থাকেই। কিন্তু আপনি যদি দইয়ের সঙ্গে পেঁয়াজ খেয়ে থাকেন তবে তা আপনার শরীরের জন্য উপকারী নাও হতে পারে। তাই রায়তা তৈরিতে পেঁয়াজটা বাদ দিয়ে দিন। কারণ এই দুই খাবার একসঙ্গে খেলে দেখা দিতে পারে অ্যালার্জি বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
ভাজাপোড়া
ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার খাওয়া এমনিতেই উপকারী নয়, এর সঙ্গে দই যোগ করে খেলে তা আরও বেশি অপকারী হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভাজাপোড়ার সঙ্গে দই খাওয়া এড়িয়ে চলাই উত্তম। তাই কখনোই এই দুই খাবার একসঙ্গে বা পরপর খাবেন না। দই খেতে হলে এসব খাওয়ার পর আধা ঘণ্টার মতো বিরতি নিয়ে তবেই খান।
কাফি