ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
আকিজ গ্রুপে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

আকিজ গ্রুপের অন্যতম প্রতিষ্ঠান আকিজ বিড়ি ফ্যাক্টরি লিমিটেড নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা পদে একাধিক লোকবল নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। ২৫ মার্চ থেকেই আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে। আবেদন করা যাবে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত প্রার্থীরা মাসিক বেতন ছাড়াও প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি, উৎসব ভাতা, চিকিৎসা সেবাসহ প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী আরো বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
প্রতিষ্ঠানের নাম: আকিজ বিড়ি ফ্যাক্টরি লিমিটেড।
পদের নাম: হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা
বিভাগ: ফ্যাক্টরি
পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়
শিক্ষাগত যোগ্যতা: হিসাববিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি
অন্যান্য যোগ্যতা: যে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কাজের দক্ষতা থাকতে হবে
অভিজ্ঞতা: কমপক্ষে ২ বছর
চাকরির ধরন: ফুলটাইম
কর্মক্ষেত্র: অফিসে
প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ (উভয়)
বয়সসীমা: উল্লেখ নেই
কর্মস্থল: দেশের যেকোনো জায়গায়
বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে
অন্যান্য সুবিধা: প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি, উৎসব ভাতা, চিকিৎসা সেবা
আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
আবেদনের শেষ সময়: ৩১ মার্চ ২০২৪

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
প্রশাসনের সদিচ্ছার অভাবে ভর্তি প্রক্রিয়া আধুনিকায়ন হচ্ছে না: শিবির সভাপতি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মুহা. মাহমুদুল হাসান বলেছেন, ‘আগামীতে শিক্ষার্থীরা যেন ডিজিটাল মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে সেজন্য আমরা প্রশাসনের সাথে কথা বলেছি। কিন্তু প্রশাসনের সদিচ্ছার অভাবে এটা সম্ভব হচ্ছে না। সদিচ্ছা থাকলে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড করা সম্ভব। শিক্ষার্থীদের কষ্ট লাঘব করতে প্রশাসন কাজ করবে বলে আশা করছি।’
গুচ্ছভুক্ত ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যবস্থাকৃত হেল্পডেস্ক পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি।
মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘নতুন শিক্ষাবর্ষে যারা ভর্তি হতে আসছে তাদের দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য আমরা ভর্তি সহায়তা কেন্দ্র চালু করেছি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির প্রক্রিয়াটা একটু জটিল। বিগত দিনগুলোতে দেখেছি ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ২দিন লেগে যেত। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষর নিতে, টাকা জমা দিতে বিভিন্ন ভবন চিনতে সহযোগিতা করার জন্য আমাদের এই ভর্তি সহায়তা কেন্দ্রগুলো কাজ করছে।’
ভর্তি সম্পন্নকারী নবাগত শিক্ষার্থীরা জানান, ‘এই ভর্তি প্রক্রিয়া একটু জটিল। প্রথম এসে বুঝতে পারছিলাম না কোথায় যাবো। সবকিছু একদম নতুন। তারপর ভাইদের সহযোগিতায় কোন কাগজে কত, কোথায় কী লেখা, কোথায় যাওয়া লাগবে ইত্যাদি ভর্তি প্রক্রিয়ার সম্পর্কে জানতে পারি। তবে, বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ এই ভর্তি প্রক্রিয়াকে ডিজিটালাইজ বা অনলাইনে করলে আমাদের জন্য সুবিধা হতো।’
ভর্তিসম্পন্নকারী নবাগত এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, ‘ভর্তি প্রক্রিয়া দেখে জটিল মনে হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এমন হেল্প ডেস্ক সহযোগিতা আমার খুবই ভালো লেগেছে। কারণ, এখানকার ভবন অজানা, ভর্তি প্রক্রিয়াটাও অজানা, কোথায় কী আছে জানি না।’
সরেজমিনে দেখা যায়, গুচ্ছ-ভর্তি উপলক্ষে ৩ আগস্ট থেকে এই কার্যক্রম ধারাবাহিকভাবে চলছে। এর পূর্বে প্রাথমিক ভর্তি প্রক্রিয়ায়ও তারা সহযোগিতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেখা গেছে।
অর্থসংবাদ/কাফি/সাকিব
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ধর্ম অবমাননার অভিযোগে ইবি’র সনাতনী শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল-হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের আব্দুল মুহাইমিন ইসলাম’র বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সনাতনী ধর্মগ্রন্থ সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ ফেসবুক পোস্টের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সনাতনী শিক্ষার্থীরা। তবে বিষয়টি ‘তুলনামূলক বিশ্লেষণধর্মী লেখা’ বলে দাবি করেন অভিযুক্ত শিক্ষার্থী।
বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুর ১ টার দিকে অভিযুক্ত ওই শিক্ষার্থীর স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে প্রশাসন ভবনের সামনে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে মানববন্ধন শেষে তারা প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সনাতনী শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত ধর্ম অবমাননার শিকার হই। আমাদেরও অনুভূতি আছে। আমরা এ ঘটনার যোগ্য বিচার চাইতে আজকে এখানে হাজির হয়েছি। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে ব্যবস্থা নেয়া হোক এবং যে এই কাজ করেছে আমরা তার বহিষ্কার চাই। যেন দ্বিতীয়বার কেউ এমনটি করতে সাহস না করে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ‘গত ৫ আগস্ট রাত সাড়ে ১১টার দিকে আব্দুল মুহাইমিন ইসলাম সনাতনী ধর্মালম্বীদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ শ্রীমদ্ভাগবত গীতা ও আরাধ্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সম্পর্কে অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ পোস্ট করা হয়েছে যেটা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সহ সমগ্র হিন্দু ধর্মালম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এবং শান্তিপূর্ণ সম্প্রীতি বিনষ্ট ও সহনশীল পরিবেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। ধর্মীয় সহাবস্থান ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বজায় রাখা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতি। এই ধরনের অশোভন আচরণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে।’
পত্রে আরও লিখেন, ‘অতএব উক্ত ঘটনার দায়ী ব্যক্তি। ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালার আলোকে প্রয়োজনীয় শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণের এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানাচ্ছি।’
এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী মুহাইমিন বলেন, ‘ এটা ছিল তুলনামূলক বিশ্লেষণধর্মী লেখা। সেখানে রেফারেন্স দিয়ে লেখায় ইনটেনশনালি কোনো ধর্মের অবমাননা করা হয়নি। পোস্ট দেওয়ার পর কারো দৃষ্টিকটু মনে হলে আমাকে বলতে পারত। আক্রমণাত্মক কমেন্ট দেখে অনিরাপত্তায় ভুগছি। পরে ডিলিট দিয়েছি। এর পরেও কেউ কষ্ট পেলে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।’
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শাহিনুজ্জামান বলেন, আমরা অভিযোগ পত্র হাতে পেয়েছি। উভয়ের পত্র নিয়ে তদন্ত কমিটি হয়েছে। কমিটি সার্বিক বিষয় দেখে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
অর্থসংবাদ/কাফি/সাকিব
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জাবির ৬৪ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার, সনদ বাতিল ৭৩ জনের

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় জড়িত ৬৪ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার এবং ৭৩ সাবেক শিক্ষার্থীর সনদ স্থায়ীভাবে বাতিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) প্রশাসন।
সিন্ডিকেট সভা শেষে সোমবার (৪ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় এক সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, হামলার ঘটনায় মোট অভিযুক্ত ২২৯ জনের মধ্যে ১৩০ জন বর্তমান এবং ৯৯ জন সাবেক শিক্ষার্থী। বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬৪ জনকে আজীবন বহিষ্কার, ৩৭ জনকে ২ বছর, ৮ জনকে ১ বছর এবং একজনকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
অপরদিকে, ২০ জনকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সাবেক ৯৯ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৭৩ জনের সনদ বাতিল, ৬ জনের সনদ ২ বছরের জন্য স্থগিত এবং ২০ জনকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
এর আগে, গত ১৭ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ২৮৯ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। যাদের ছাত্রত্ব শেষ, তাদের সনদ স্থগিত এবং পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের ফলাফল স্থগিত করা হয়। এছাড়া অধিকতর তদন্তে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। একইসঙ্গে ৯ শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত এবং তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম ও রেজিস্ট্রার আবু হাসানের পেনশন সুবিধা বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ঢাবিতে বামপন্থি-শিবিরের পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ

ঢাবির টিএসসিতে শিবিরের জুলাই প্রদর্শনীতে বামপন্থি নেতাকর্মীদের তোপের মুখে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দণ্ডিত জামায়াত নেতা গোলাম আজম, আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী, মীর কাশেম আলী, কামরুজ্জামান ও বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সরিয়ে নেওয়ার পর টিএসসির প্রবেশ মুখে প্রক্টোরিয়াল টিমের গাড়ি আটকে শিবির বিরোধী বিক্ষোভ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থি ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা।
এর কিছুক্ষণ পরেই টিএসসিতে উপস্থিত শিবির কর্মীরা বাম বিরোধী বিক্ষোভ করে টিএসসির গেট পর্যন্ত আসেন।
বামপন্থী শিক্ষার্থীরা ‘২৪ এর বাংলায়, রাজাকারের ঠাঁই নাই’, ‘৭১ হারে নাই, হেরে গেছে স্বৈরাচার’ ‘তোরা যারা রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়’ প্রভৃতি স্লোগান দিতে থাকেন।
পাল্টা বিক্ষোভে শিবির নেতাকর্মীরা ‘নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবার’, ‘শাহবাগীদের আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘স্বৈরাচারের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘স্বৈরাচারের বি-টিম, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘কথায় কথায় বাংলা ছাড়, বাংলা কি তোর বাপ-দাদার’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
বিক্ষোভ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই পরেই টিএসসিতে উপস্থিত হন ঢাবি প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন যার যার রাজনৈতিক কথা সে সেটা বলবেই। এতে বাধা দেওয়ার কিছু নেই। শিবির নেতাকর্মীদের টিএসসির বাইরে অবস্থান না করার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।
এ সময় শিবিরের প্রোগ্রাম সংক্ষিপ্ত করার দাবি তোলেন ঢাবি বাগছাসের মুখ্য সংগঠক হাসিব আল ইসলাম। ফলে শিবির নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পড়েন হাসিব। তারা দাবি করেন শিবিরের প্রোগ্রাম বন্ধের পাঁয়তারা করছেন তিনি।
কাফি
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জুলাই বিরোধিতাকারীদের বিচার ছাড়াই ইবিতে জুলাই বর্ষপূর্তি উদযাপন

দীর্ঘ এক বছর পার হলেও ছাত্র জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিরোধিতাকারী শক্তি আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সুষ্ঠু বিচার ব্যতিরেকে জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তি উদযাপন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এসে এক আলোচনা সভায় মিলিত হন তারা।
পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। এসময় শহীদদের দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আ.ব.ম সিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফি। এদিকে অন্য ধর্মাবলম্বীদের তাদের প্রার্থনার সুযোগ প্রদান না করায়, বৈষম্যের অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ করেন ইবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নূর আলম। এসময় শিক্ষার্থীদের একটি অংশ নূরকে উদ্দেশ্য করে ভূয়া স্নোগান দেয়। এসময় বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে প্রক্টরিয়াল বডিসহ উপস্থিত নেতৃবৃন্দ পরিস্থিতি সামাল দেয়।
অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রক্টর ও জুলাই বিপ্লব প্রথম বর্ষপূর্তির আহবায়ক প্রফেসর ড. শাহিনুজ্জামান।
আলোচনা সভায় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, আমার ভিতরে একটা শূন্যতা কাজ করে। কারণ ওয়ালীউল্লাহ আর মুকাদ্দাস ভাইকে এখনো ফেরত পায়নি। আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সব থেকে বড় ভিক্টিম হলো ওয়ালীউল্লাহ আল মুকাদ্দাস ভাই। বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক পদক্ষেপ নেয়া হলো কিন্তু তাদের খোঁজ করার কোনো পদক্ষেপ নেয়া হলো না। ব্যাপারটা হচ্ছে মিলেমিশে আছে ওরা আত্নীয় যেন। একটি বছর পার হয়ে গেল অথচ যারা বলেছিলো এবার হবে ফাইনাল খেলা তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নিয়েছেন? আজকে জবাব দিতে হবে। আপনাদের কোনো মুরোদ নাই? আপনারা শোকজ করতে পারেন না?
তিনি আরও বলেন, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক শিক্ষার্থী সহ ১৩৩ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে। তারা কি শিক্ষার্থী মেরেছিলো? তারা শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার কারণে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কি সেই জ্ঞান নাই? কেন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না? বিগত ১৫ বছর কি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলেন না? তাদের অন্যায়, দূর্নীতি অপকর্ম কি দেখেননি? বরং তাদের আরও সুযোগ করে দিচ্ছেন। তাদের কাজ নাই বিধায় তারা একেরপর চক্রান্ত করে যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিন। জুলাই আকাঙ্খা বাস্তবায়ন করুন।
শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, জুলাই বিপ্লবের এক বছর পার হলেও আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কি কি ব্যবস্থা নিয়েছে আমরা জানতে চাই। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলের প্রক্টর আজাদ ডিপার্ট্মেন্টের সভাপতি কিভাবে হলো? যদি একাডেমিক নিয়মের অজুহাত দেখান তাহলে আপনি উপাচার্য, প্রক্টর, ট্রেজারার হয়েছেন কেন? তাদের বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত কমিটি কি সিদ্ধান্ত নিয়েছে আজকে বলতে হবে। যতদ্রুত সম্ভব তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় পারলে আপনারা কেন পারবেন না। আপনারা কেন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না? যদি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ফ্যাসিস্টদের দোসর কর্মকর্তা কর্মচারীদের ন্যূনতম শোকজ না করা হলে প্রশাসনকে লাল কার্ড দেখানো হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবির সাবেক সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, আজকের এই অনুষ্ঠানে বিএনপি ও জামায়াতপন্থী শিক্ষক-কর্মকর্তারা আছেন। স্বৈরাচারের দোসরদের বিচারে আপনাদের কি কোনো দায় নেই? আপনারা কি ফিডার খান? আমরা প্রশাসনকে বলতে চাই, জুলাই বিপ্লব এবং শিক্ষার্থীদের আশাআকাঙ্খা অনুযায়ী আপনারা ক্যাম্পাস পরিচালনা করুন। জুলাই স্প্রিটকে ধারণ করে যদি ক্যাম্পাস পরিচালনা করতে না পারেন তাহলে চেয়ার ছেড়ে দেন। আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে সরিয়ে দিয়ে সরকার চলেছে, আপনারা কেন পারছেন না? জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। যারা গণহত্যার পক্ষে ছিল তাদের বিরুদ্ধে আমরা কোনো আপোষ করব না।
তিনি আরও বলেন, ছাত্রজনতার যৌক্তিক আন্দোলনকে কটুক্তি করে যারা স্বৈরাচারের পক্ষ অবস্থান নিয়েছিল তাদেরকে বিচার করতে হবে। আপনারা একই ভবনে থাকবেন। একসাথে ঘুমাবেন। একসাথে শোবেন। একসাথে ভাষণ করবেন। আর ঠেলে দিবেন ছাত্রদের দিকে, আপনারা কি ফিডার খান? হয় ফ্যাসিবাদের বিচার করুন নতুবা চেয়ার ছেড়ে দিন!
সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এ.কে.এম মতিনূর রহমান, শিক্ষার্থীরা যে দাবি করেছেন তাদের সাথে সম্পূর্ণ একমত। আজ যদি ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থান সফল না হত, তাহলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতে পারতাম না! চব্বিশের ৪ আগস্ট আমাদের বিপক্ষে গিয়ে যারা আর নয় হেলাফেলা এবার হবে ফাইনাল খেলা স্লোগান দিয়ে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছিল, ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের চিহ্নিত করে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে হবে। যদি সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ব্যর্থ হন, তাহলে আমরা জুলাইয়ের মতো আমরা আবার আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো।
দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, দেশের দুইটি থ্রেট বা বিপদের কথা বলবো যা দুই দিক থেকে আসবে। প্রথমত, আভ্যন্তরীণ বিপদ বলতে দেশের দীর্ঘ ১৬ বছর আমাদের দেশের সকল ব্যবস্থার মধ্যে দীর্ঘ ১৬ বছর ফ্যাসিবাদের দালাল ও ভারতের আধিপত্যে দালালদের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। অনুপ্রবেশকারীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই বিপ্লবকে ব্যর্থ করতে চাইবে এ ব্যাপারে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। আজকে অনেকের বক্তব্য শুনেছি বিশ্ববিদ্যালয় আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো আছেন। শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয় বাংলাদেশের সকল কাঠামোতে অবস্থানরত আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ভারতীয় দালালদের চিহ্নিত করতে করা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। এরপর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ‘আজ যদি আমি তোমাদের জায়গায় থাকতাম আমিও ফাসিস্টদের বিচার দাবি করতাম। ফাসিস্ট চিহ্নিতকরণ তদন্ত কমিটিকে নির্দেশ দিচ্ছি, যেন আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের রিপোর্ট পেশ করে। রিপোর্ট প্রকাশ হলেই আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
তিনি আরও বলেন, একজন বক্তা অনুষ্ঠানের শুরুতে কুরআন তেলাওয়াতের সাথে অন্যান্য ধর্মগ্রন্থ পাঠ করা হলো না কেন এ বিষয়ে তার মনোভাব প্রকাশ করেছে। কথা বলার স্বাধীনতা হিসেবে তার এই মনোভাবের প্রতি আমি শ্রদ্ধা জানাই। আগামীতে আমরা খেয়াল রাখবো অনুষ্ঠান যেন সার্বজনীন চরিত্রে রূপান্তরিত হয়।
এছাড়াও রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনঞ্জুরুল হক, জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, ইবি ইউট্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন, জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জামান খান, সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এ.কে.এম মতিনূর রহমান, গ্রীণ ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. শহীদ মোহাম্মদ রেজওয়ান, প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল গফুর গাজী, আল-কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নাসির উদ্দিন মিঝি, চারুকলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া, আরও ইবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি তাজমুল জায়িম, ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট, ছাত্র শিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান, জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়ার সভাপতি মাহমুদুল হাসান, ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি ইসমাইল হোসেন রাহাত, ছাত্র মজলিশের সভাপতি সাদেক আহমেদ, জিয়া পরিষদ কর্মকর্তা ইউনিটের সভাপতি ওয়ালিউর রহমান পিকুল, গ্রীণ ফোরাম কর্মকর্তা ফোরামের সভাপতি ওমর আলী, জাতীয়তাবাদী কর্মকর্তা ফোরামের সভাপতি আব্দুল মুঈদ বাবুল প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, ২৪ এর বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের কোটা আন্দোলন সরকার পতনের এক দফা দাবিতে রুপ নিলে তা নস্যাৎ করতে নানা ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে ইবি প্রশাসন, আওয়ামীপন্থী সংগঠন বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও শাপলা ফোরাম। আন্দোলন বিরোধিতা ও দমনে তারা দফায় দফায় মিটিং করে নানা কূটকৌশল প্রণয়ন করে। ব্যক্তিগতভাবে টিভি টকশো, অনলাইন প্রচারণা ও শিক্ষার্থীদের হুমকির পাশাপাশি ক্যাম্পাসে জঙ্গি কায়দায় মিছিল-সমাবেশ, ঢাকায় ও গোয়েন্দাদের কাছে ছাত্র আন্দোলনের পক্ষের শিক্ষকদের তালিকা প্রেরণসহ নানা ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠেন আওয়ামী পন্থী শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের একাংশ। এছাড়া ছাত্রলীগের মাধ্যমে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের হুমকির মধ্যে রাখা হয়।
এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশী ভূমিকা পালন করেন ড. বাকী বিল্লাহ বিকুল, ড. মিয়া রশিদুজ্জামান, ড. মাহবুবুল আরেফীন, কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন খান, আব্দুস সালাম সেলিমসহ আরো অনেকে। এদিকে ৪ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনকে নৈরাজ্য দাবি করে ভিসির বাংলোর সামনে থেকে সাবেক প্রক্টর ড. মাহবুবর রহমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয়। প্রাপ্ত ভিডিয়ো মোতাবেক, মিছিলটি সাইন্স ফ্যাকাল্টির সামনে আসলে ড. মাহবুবুল আরেফিন, ড. শেলীনা নাসরিন, শহীদুল ইসলামসহ অন্যান্যরা ‘আর নয় হেলাফেলা, এবার হবে ফাইনাল খেলা’ সহ বিভিন্ন উগ্র স্লোগান দিতে থাকে তারা। এক পর্যায়ে মিছিলটি অনুষদ ভবনের সামনে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। সেখানেও বক্তারা উগ্র ভাষায় ছাত্রদের আন্দোলন প্রতিহত করার ঘোষণা দেয়।
অর্থসংবাদ/সাকিব/কাফি