জাতীয়
অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট যেভাবে কাটবেন
এই অনলাইনের সময়ে স্টেশনে গিয়ে দিন-রাত লাইন ধরে টিকিট কেনার সময় ফুরিয়েছে। তাই বাংলাদেশ রেলওয়ে ঈদে ট্রেন যাত্রার সব টিকিট অনলাইনে বিক্রি করবে। এবার ঢাকা থেকে বহির্গামী ট্রেনের আসন সংখ্যা হবে ৩৩ হাজার ৫০০টি।
বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইট থেকে সহজেই যাত্রীরা টিকিট সংগ্রহ করতে পারেন। সেক্ষেত্রে রেলওয়ের ওয়েবসাইটে একবার রেজিস্ট্রেশন করলেই চলবে। যারা আগে রেজিস্ট্রেশন করেছেন, তারা শুধুমাত্র লগ ইন করেই টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন।
রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া
>> প্রথমে বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইটে (www.eticket.railway.gov.bd) প্রবেশ করতে হবে।
>> প্রবেশের পর ওয়েবসাইটের উপরের দিকে রেজিস্ট্রেশন (Registration) ট্যাব ক্লিক করতে হবে। এতে রেজিস্ট্রেশন নামে নতুন একটি পেজ আসবে। এ পেজে ব্যক্তিগত তথ্যাদি দিয়ে (Personal Information) সংশ্লিষ্ট ঘরগুলো পূরণ করতে হবে। মোবাইল নম্বরে একটি ওটিপি (OTP) চলে আসবে। সেটি সঠিকভাবে পূরণ করে ভেরিফাই (Verify) বাটনে ক্লিক করতে হবে।
>> সব তথ্য ঠিক থাকলে রেজিস্ট্রেশন সফল (Successful) হবে এবং বাংলাদেশ রেলওয়ে নামে নতুন একটি পেজ আসবে। এখানে ইউজার (User) অটো লগ ইন (Log In) হয়ে যাবে।
টিকিট কেনার পদ্ধতি
>> প্রথমে বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইটে (www.eticket.railway.gov.bd) প্রবেশ করতে হবে।
>> অটো লগ ইন (Log In) না হয়ে থাকলে প্যানেলে ই-মেইল ঠিকানা (E-mail address) ও পাসওয়ার্ড (Password) পূরণ করে লগ ইন (Log In) বাটনে ক্লিক করতে হবে।
>> লগ ইনের পর যে পেজটি আসবে তাতে কাঙ্ক্ষিত ভ্রমণ তারিখ, প্রারম্ভিক স্টেশন, গন্তব্য স্টেশন, শ্রেণি পূরণ করে ফাইন্ড টিকিট (Find Ticket) বাটনে ক্লিক করতে হবে। পরের পেজে ট্রেনের নাম, সিট অ্যাভেলেবিলিটি (আসন আছে কি নেই) ও ট্রেন ছাড়ার সময় দেখাবে।
>>ট্রেন অনুযায়ী ভিউ সিটস (আসন দেখুন) বাটনে ক্লিক করে আসন খালি থাকার সাপেক্ষে পছন্দের আসন (seat) সিলেক্ট করে কন্টিনিউ পারচেজে (Continue Purchase) ক্লিক করতে হবে।
>> ভিসা (VISA) কার্ড, মাস্টার (MASTER) কার্ড কিংবা বিকাশে (bkash) পেমেন্ট করলে একটি ই-টিকিট অটো ডাউনলোড (Auto Download) হবে। পাশাপাশি যাত্রীর ই-মেইলে টিকিটের কপি চলে যাবে।
>> ই-মেইলের ইনবক্স থেকে টিকিটটি প্রিন্ট করে ফটো আইডিসহ ই-টিকেট প্রদত্ত টিকিট প্রিন্ট ইনফরমেশন (Ticket Print Information) দিয়ে সংশ্লিষ্ট সোর্স স্টেশন থেকে যাত্রার আগে ছাপানো টিকিট সংগ্রহ করা যাবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এক হাজার ৩৫০ কোটি টাকার এলএনজি কিনবে সরকার
সিঙ্গাপুর ও কাতার থেকে তিন কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে মোট খরচ হবে ১ হাজার ৩৫০ কোটি ২৪ লাখ ২৯ হাজার ৭৪০ টাকা। এর মধ্যে সিঙ্গাপুরের গানভর প্রাইভেট লিমিটেড থেকে দুই কার্গো এবং কাতারের কাতার এনার্জি ট্রেডিং এলএলসি থেকে এক কার্গো এলএনজি কেনা হবে।
বুধবার (৮ মে) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের জানান, ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ (সংশোধনী ২০২১)’ এর আওতায় স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সিঙ্গাপুরের গানভর প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি এমএমবিটিইউ ১০.৪৬২২ মার্কিন ডলার হিসেবে মোট ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানিতে ৪৫২ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ৭০ টাকা ব্যয় হবে। প্রতি এমএমবিটিইউর আগের ক্রয় মূল্য ছিল ১০.৮৬৩৭ মার্কিন ডলার।
অপর এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সিঙ্গাপুরের একই প্রতিষ্ঠান থেকে আরও এক কার্গো এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি এমএমবিটিইউ ১০.৪৬২২ মার্কিন ডলার হিসেবে মোট ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানিতে ৪৫২ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ৭০ টাকা ব্যয় হবে।
এ ছাড়া জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অপর এক প্রস্তাবে কাতার এনার্জি ট্রেডিং এলএলসি থেকে প্রতি এমএমবিটিইউ ১০.৩০ মার্কিন ডলার হিসেবে এক কার্গো এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে মোট ব্যয় হবে ৪৪৫ কোটি ৪০ লাখ ৪৯ হাজার ৬০০ টাকা।
এর আগে গত ২৫ এপ্রিল আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে সিঙ্গাপুর থেকে দুই কার্গো এলএনজি কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়। তার আগে ৩ এপ্রিল অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় সিঙ্গাপুর ও সুইজারল্যান্ড থেকে তিন কার্গো এলএনজি কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ফের ঢাকায় আসছেন ডোনাল্ড লু
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু দুইদিনের জন্য বাংলাদেশ সফরের উদ্দেশে আগামী ১৪ মে ঢাকা আসবেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সব দলকে সংলাপে অংশগ্রহণের চিঠি লেখার পর এটিই তার প্রথম বাংলাদেশ সফর। তার এ সফরের খবরে ইতোমধ্যে ব্যাপক কানাঘুষা শুরু হয়েছে দেশের কূটনৈতিক পরিমণ্ডলে।
তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, মার্কিন এ কূটনীতিকের ঢাকা সফর রাজনৈতিক নয়। বরং রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা করতেই তিনি বাংলাদেশে আসছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বুধবার (৮ মে) সাংবাদিকদের হাছান মাহমুদ বলেন, ডোনাল্ড লুর ঢাকা সফরের মূল ইস্যু রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা করা। তার এ সফরে আগামীতে ঢাকা ও ওয়াশিংটনের মধ্যকার দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক আরো গভীর ও জোরদার হবে বলেও এসময় আশাবাদ ব্যক্ত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
দুইদিনের এ সফরকালে ডোনাল্ড লু দেশের বিভিন্ন পর্যায়ে কয়েকটি বৈঠক ও মতবিনিময় করবেন বলে ধারণা করছে কূটনৈতিক মহল।
গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠনের পর এটাই হতে যাচ্ছে ডোনাল্ড লুর প্রথম ঢাকা সফর। এর আগে গত বছরের ১৪ জানুয়ারি তিনি ঢাকা সফর করেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আজ বিশ্ব গাধা দিবস
ছোটবেলা থেকেই আমরা একটা নামের সাথে পরিচিত। আর তা হলো গাধা। কোনো ভুল করলেই গাধার সঙ্গে তুলনা করা যেন একটি রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে! যদিও আমরা অনেকে গাধা দেখিনি। তবুও কারো কারো উপাধি হয়ে দাঁড়ায় গাধা! তাও আবার ব্যাঙ্গাত্মক হিসেবে। তাই বলা যায়, রীতি মতো অপমান করতেই যেন বলা হয়, ‘গাধার মতো কথা বলো না’ কিংবা ‘গাধার মতো কাজ করো না’।
আপনাকেও হয়তো একদিন কেউ গাধা বলেছিল, সেই কথাতে বেশ কষ্টও পেয়েছিলেন। কিন্তু আজ সেই কষ্টের কথা ভুলে যান। আজ যদি কেউ আপনাকে গাধার সঙ্গে তুলনা করেই ফেলে, তাহলে একটুও রাগ করবেন না। কারণ আজ বিশ্ব গাধা দিবস। প্রতি বছরের ৮ মে বিশ্ব গাধা দিবস উদযাপন করা হয়।
আচ্ছা, এই যে কোনো ভুল করলে, কখনো বোকামি করলে এই প্রাণীটির সঙ্গে তুলনা করা হয়, কিন্তু গাধা কী সে কথা জানে? আমরা গাধাকে যতটা বোকা ভাবি, গাধা কী আসলে ততটা বোকা? মনে হয় না, কারণ এই প্রাণীটি বছরের পর বছরের ধরে মরুভূমির মতো প্রতিকূল পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে এখনো পৃথিবীতে টিকে আছে। মানুষ তাদের দিয়ে পণ্য বহনের কাজ করাচ্ছে, গাধা কিন্তু সেই কাজ ঠিকঠাক করে যাচ্ছে। তাই স্পষ্টতই গাধা একটি পরিশ্রমী প্রাণি। অথচ মানুষ গাধাকে নিষ্ক্রিয় ভাবে, বোকা ভাবে! মানুষের এই ভাবনার পেছনে আদৌ কোনো যুক্তি আছে কি না তা জানা মুশকিল।
বরং গাধা এমন একটি প্রাণী যারা সারাদিনের কঠোর পরিশ্রমকে ভয় পায় না। গাধারা গাড়ি টানে, কলকারখানা চালায় ও মাইলের পর মাইল পথ হেঁটে মালামাল বহন করে। এমনকি অন্য প্রাণী হাল ছেড়ে দিলেও গাধা হাল ছাড়ে না। তারা মালিকের প্রতি অনুগত থাকে। এমন একটি প্রাণীকে সম্মান না করে অসম্মান করার কোনো যুক্তি নেই।
বিশ্ব গাধা দিবসের ধারণাটি এসেছিল রাজিক আর্কের মাথা থেকে। তিনি একজন বিজ্ঞানী এবং তার আগ্রহ মূলত মরুভূমির প্রাণীদের নিয়ে। প্রায় দশ বছর আগে তিনি লক্ষ্য করেন, সারা বিশ্বের মানুষ গাধাকে নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার করলেও এই প্রাণীটিকে কোনো সম্মান করে না। তাই গাধাদের সম্মান জানাতে ও তাদের পরিশ্রমের মূল্যায়নে একটি ফেসবুক পেজ চালু করেছিলেন তিনি। সেই পেজে তিনি এই প্রাণীটির বিভিন্ন প্রজাতির কথা লিখতেন। অবশেষে ২০১৮ সালে বিশ্ব গাধা দিবস উদযাপনের ধারণা আসে এবং তখন থেকে দিবসটি উদযাপন হয়ে আসছে।
আধুনিক গাধার দুটি পূর্বপুরুষ আছে। উভয়ই আফ্রিকান বন্য গাধার উপ-প্রজাতি এবং এগুলো হলো সোমালি বন্য গাধা ও নুবিয়ান বন্য গাধা। তারা মাইলের পর মাইল কার্গো টানতে সক্ষম। অন্যান্য প্রাণীর তুলনায় বেশি সময় পরিশ্রম করতে পারে। তাদের চলার গতি ঘণ্টায় ৩১ মাইল পর্যন্ত হতে পারে। গাধার গড় আয়ু ৫০ থেকে ৫৪ বছরের মধ্যে হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ডলারের দাম ৭ টাকা বাড়ালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ডলারের অফিসিয়াল দাম ১১০ থেকে ১১৭ টাকায় উন্নীত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বুধবার একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ দাম ঘোষণা করা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, নতুন এ সিদ্ধান্তের ফলে পণ্যের দাম বেড়ে যাবে, চাপে পড়বে সাধারণ মানুষ।
বুধবার (৮ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এখন থেকে ক্রলিং পেগ নামের নতুন পদ্ধতিতে ডলার কেনাবেচা হবে। এ পদ্ধতিতে ডলারের রেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৭ টাকা। কিন্তু গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ডলারের দাম ছিল ১১০ টাকা। যা ছিল অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাফেদা নির্ধারিত।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানিনির্ভর দেশ হওয়ায় আমদানি খরচ বেড়ে যাবে, দাম বাড়বে পণ্যের। চাপ বাড়বে সাধারণ মানুষের ওপর। মূল্যস্ফীতি আরও বেড়ে যাবে। নেতিবাচক প্রভাব পড়বে আমদানিতে।
এ বিষয়ে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সহ-সভাপতি এবং বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, আমাদের দেশ আমদানিনির্ভর। দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের অর্থনীতি চাপে আছে। এখন হঠাৎ করেই ডলার দাম খুব বেশি হলে এর নেতিবাচক প্রভাব তৈরি হবে। বিশেষ করে আমদানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। পণ্যের আমদানি খরচ বেড়ে যাবে অনেক। এতে পণ্যের দামও বাড়াতে বাধ্য হবেন আমদানিকারকরা।
তিনি বলেন, হঠাৎ করেই ডলারের বেশি দাম বাড়ার এমন সিদ্ধান্তে চাপে পড়বেন সাধারণ মানুষ। মূল্যস্ফীতি আরও বেড়ে যাবে, মানুষ কষ্ট পাবেন। তবুও আমাদের অর্থনীতিকে একটা জায়গাতে আনতে হবে। এক্ষেত্রে ধীরে ধীরে দাম বাড়লে হয়তো কষ্ট কিছুটা কম হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের উচিৎ হবে সবদিক বিবেচনায় নেওয়া।
এ নিয়ে সাবেক তত্ত্বাবধারক সরকারের উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ডলারের রেট ১১৭ টাকা নির্ধারণ ক্রলিং পেগের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা গেলে ভালো। তবে এতে মূল্যস্ফীতি বাড়ার সম্ভাবনা অবশ্যই রয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে দরপত্র কিনেছে ৭ কোম্পানি
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, এখন পর্যন্ত ৭টি আন্তর্জাতিক কোম্পানি দেশের সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে অংশ নিতে দরপত্র কিনেছে। গত মার্চে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করার পর আজ বুধবার (৮ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে এ সংক্রান্ত এক সেমিনার শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সমুদ্রে কাজ করার অন্য অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করছেন। আজকের সেমিনারেও ১৫টির বেশি আন্তর্জাতিক কোম্পানি অংশ নিয়েছে।
‘চলতি বছরে আহ্বান করা দরপত্রে দেশের স্বার্থের পাশাপাশি বিনিয়োগকারী কোম্পানির স্বার্থও দেখা হয়েছে। ফলে আমরা এবারের দরপত্র নিয়ে বেশ আশাবাদী’, বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বলেন, আগের দরপত্রের তুলনায় নতুন দরপত্রে অনেক পার্থক্য। এখন অনেক সুবিধা বেড়েছে। এখন দুই পক্ষের জন্যই লাভজনক চুক্তি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা মধ্যমপন্থা অবলম্বন করে একটি পিএসসি (প্রডাক্ট শেয়ারিং কন্ট্রাক্ট) করেছি।’
এমআই