জাতীয়
এক লগইনে মিলবে মিউটেশন, খতিয়ান ও এলডি ট্যাক্সের সেবা: ভূমি সচিব
১৮০ দিনের কর্মকৌশলের অংশ হিসেবে শিগগিরই ল্যান্ড সার্ভিস গেটওয়ের (এলএসজি) মাধ্যমে ২য় প্রজন্মের মিউটেশন, খতিয়ান ও এলডি ট্যাক্সের আন্তঃসংযুক্ত সেবা শুরু করা হচ্ছে। এতে আলাদাভাবে তিনটি সিস্টেমে প্রবেশ না করে, সিস্টেমে একবার লগইন করেই তিনটি সেবা পাওয়া সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন ভূমি সচিব মো. খলিলুর রহমান।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ভূমি ভবনের কেন্দ্রীয় সেমিনার হলে ‘ভূমি মন্ত্রণালয়ের ১৮০ দিনের স্মার্ট কৌশল বাস্তবায়ন’ শীর্ষক এক কর্মশালায় ভূমি সচিব এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আন্তঃসংযুক্ত সেবার ফলে মিউটেশন থেকে সরাসরি খতিয়ান যাচাই, মিউটেশনের সাথে-সাথে হোল্ডিং নম্বর দেওয়া ও ভূমি উন্নয়ন কর নির্ধারণ সম্ভব হবে। এছাড়া ভূমি সেবার সকল তথ্যও কলের মাধ্যমে জানানোর ব্যবস্থাও থাকছে।
সচিব ভূমি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আপনাদের সবার চেয়ে অনেক কম বয়সেই, ১৯৪৮ সাল থেকেই, ভূমির উপর দেশের সাধারণ মানুষদের ন্যায্য অধিকারের কথা বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে বলা শুরু করেছিলেন। ১৯৫৩ সাল থেকেই বিভিন্ন জাতীয় আন্দোলনে তিনি ভূমি অধিকারের বিষয়টি প্রাধান্য দিয়েছিলেন। স্বাধীনতার পর নিয়েছিলেন ভূমি সংস্কার বিষয়ক অনেক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত।
বঙ্গবন্ধুর চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে নিজ নিজ ক্ষেত্রে, সর্বোচ্চটুকু দিয়ে, দক্ষ, স্বচ্ছ এবং জনবান্ধব স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পিত স্মার্ট সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখার জন্য ভূমি কর্মকর্তাদের আহ্বান জানান ভূমি সচিব।
কর্মশালায় সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), সহকারী কমিশনার (ভূমি), ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা এবং ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
তিস্তা প্রকল্পে অর্থায়নে আগ্রহী ভারত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিস্তা প্রকল্পে ভারত অর্থায়ন করতে চায় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বৃহস্পতিবার (৯ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঢাকা সফররত ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক করে তিস্তায় দেশটির অর্থায়নে আগ্রহের কথা জানান।
এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন বিনয় কোয়াত্রা। সেখান থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এসে মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন।
বিনয় মোহন কোয়াত্রার সঙ্গে বৈঠকে তিস্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘তিস্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিস্তায় আপনারা জানেন আমরা একটি বৃহৎ প্রকল্প নিয়েছি। ভারত (ইন্ডিয়া) সেখানে অর্থায়ন (ফিন্যান্স) করতে চায়। আমি যেটা বলেছি সেটা হচ্ছে, তিস্তা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে, সেটি আমাদের প্রয়োজন (নিড) অনুযায়ী হতে হবে। আমাদের প্রয়োজন (নিড) যেনো ফুলফিল হয়।’
তিস্তা প্রকল্পে চীন আগ্রহী, ভারতও টাকা দিতে চায়, আমরা কোনটা গ্রহণ করব সেটা কি ঠিক করেছি কিনা? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ভারত আমাদেরকে এ ক্ষেত্রে সহায়তা করতে চাচ্ছে, সেই বিষয় নিয়ে আজকে আলোচনা হয়েছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ‘ভারতের ভিসা যেন দ্রুত হয় সেটি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তারা আন্তরিক এটি সহজতর করার জন্য। নেপাল এবং ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি করা ফ্যাসিলেট করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এটি হলে নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনা যাবে। সীমান্ত হত্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারতে নির্বাচন চলছে। সেটি শেষ হলে প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে যাবেন।’
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
চট্টগ্রামে বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ বিমানের এক পাইলট নিহত
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় জাওয়াদ নামের এক পাইলট নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুর সাড় ১২টার দিকে পতেঙ্গার বানৌজা ঈসা খাঁ হাসপাতালে (নেভি হাসপাতাল) তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত আরেক কো-পাইলট একই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন নগর পুলিশের উপকমিশনার (বন্দর) শাকিলা সোলতানা।
তিনি বলেন, ‘বিমান বাহিনীর বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ বিমানের পাইলট ও কো-পাইলট প্যারাসুট দিয়ে নেমে এলে তাদেরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বানৌজা ঈসা খাঁ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বেলা ১২টার দিকে তাদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অসীম জাওয়াদ নামে একজনের মৃত্যু হয়।’
এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিমান বাহিনীর ওয়াইএকে-১৩০ নামক যুদ্ধবিমানটি উড্ডয়নকালে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এ সময় বিমানটির পেছন দিকে আগুন লেগে যায় এবং চট্টগ্রাম বোট ক্লাবের অদূরে কর্ণফুলী নদীতে আছড়ে পড়ে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
দশ মাসে ২৩৮৯ টন মসুর ডাল আমদানি
সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) দেশে মোট ২ হাজার ৩৮৯ টন মসুর ডাল আমদানি হয়েছে। যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১ হাজার ৫৬৬ টন বা ১৯০ শতাংশ বেশি। গত বছরের প্রথম ১০ মাসে মসুর ডাল আমদানির পরিমাণ ছিল ৮২৩ টন।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব বিভাগ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, দেশের বাজারে বাড়তি চাহিদার কারণে এর আমদানিতে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দিয়েছে। ফলে গত দশ মাসে পণ্যটির আমদানি অন্তত দেড় হাজার টন বেড়েছে। আমদানি বেড়ে যাওয়ায় কমেছে ভোগ্যপণ্যটির দাম।
সাতক্ষীরা জেলা সদরের সুলতানপুর বড় বাজার ঘুরে জানা গেছে, প্রকারভেদে মসুর ডালের দাম কেজিতে ৬-৭ টাকা করে কমেছে। গতকাল আমদানীকৃত মাঝারি আকারের ভারতীয় মসুর ডাল প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ১০৬ টাকায়। এছাড়া নেপালি চিকন ১৩০ ও দেশীয় মসুর ডাল ১২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা এসএম আব্দুল্লাহ জানান, মসুর ডালের দাম কিছুটা কমতির দিকে। বাজারে সরবরাহ বাড়ায় মূলত দাম কমেছে বলে জানান তিনি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সরকারি খরচে হজে যাচ্ছেন ৬৩ মুসল্লি
সরকারি খরচে এবার হজে যাচ্ছেন ৬৩ জন মুসল্লি। তবে তাদের বিমানের ভাড়া পরিশোধ করতে হবে। রাষ্ট্রীয় খরচে হজ পালনের জন্য মনোনীতদের বিমান টিকিট বাবদ এক লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা দিতে হবে।
বুধবার (৮ মে) ধর্ম মন্ত্রণালয় সরকারি খরচে হজ পালনকারীদের তালিকা প্রকাশ করেছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে তালিকাসহ প্রধান হিসাব রক্ষণ ও অর্থ কর্মকর্তার কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, হজ ও ওমরা ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২২ অনুযায়ী সরকারের আর্থিক সহায়তায় ৬৩ জনের হজ পালনে সম্মতি জ্ঞাপন করা হলো।
চিঠিতে আরও বলা হয়, রাষ্ট্রীয় খরচে হজ পালনকারী ব্যক্তিরা বিমানের ফ্লাইট পাওয়া সাপেক্ষে আগামী ৬ জুন সৌদি আরব যাবেন এবং ১০ জুলাই বাংলাদেশে ফিরবেন।
গত বছর সরকারি খরচে হজে গিয়েছিলেন ২৩ জন। সে হিসেবে এবার সরকারি খরচে হজে যাওয়ার সংখ্যা ৪০ জন বেড়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
যুক্তরাজ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর সম্পত্তির অনুসন্ধান চেয়ে রিট
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী যুক্তরাজ্যে প্রায় ২০ কোটি ব্রিটিশ পাউন্ড (২৭৭০ কোটি টাকা) মূল্যের ৩৫০টিরও বেশি সম্পত্তি কিনে রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্য গড়ে তোলার ঘটনার অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. সালাউদ্দিন জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন। দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
সম্প্রতি ‘সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সাম্রাজ্য যুক্তরাজ্যে’- শিরোনামে জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
প্রতিবেদনের প্রথমাংশে বলা হয়, উত্তর-পশ্চিম লন্ডনের ব্যক্তিগত আবাসিক রাস্তায় একটি সম্পত্তি ২০২২ সালে ১ কোটি ৩৮ লাখ ডলারে (১৫২ কোটি টাকায়) বিক্রি হয়। রিজেন্টস পার্ক এবং লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ড থেকে পাথর ছোড়া দূরত্বে যুক্তরাজ্যের রাজধানীর সবচেয়ে সমৃদ্ধ এলাকাগুলোর একটিতে সাদা টাউনহাউসের সারি। একটি সম্পত্তি বিপণন কোম্পানির আলোকচিত্রে দেখা যায়, এর মেঝে থেকে সিলিং পর্যন্ত জানালা, বেশ কয়েকটি ফ্লোরজুড়ে সর্পিল সিঁড়ি, রয়েছে থিয়েটার এবং ব্যায়ামাগার।
সম্পত্তি প্ল্যাটফর্মের হিসাবে বর্তমানে বাড়িটির দাম ১৮০ কোটি টাকারও (১.৩ কোটি পাউন্ড) বেশি। বাড়িটি বাংলাদেশের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদের মালিকানাধীন। ২০১৬ সাল থেকে তিনি যুক্তরাজ্যে প্রায় ২৭৭০ কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি গড়ে তুলেছেন।
অথচ বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী দেশটির কোনো নাগরিক, বাসিন্দা এবং সরকারি কর্মচারী বছরে ১২ হাজার ডলারের (১৩ লাখ ১৭ হাজার টাকার) বেশি অর্থ দেশের বাইরে নিতে পারেন না। বাংলাদেশের আইনে কর্পোরেশনের বিদেশে তহবিল স্থানান্তরেও নানা বিধিনিষেধ রয়েছে। শুধু কিছু শর্ত পূরণ সাপেক্ষে অনুমতি দেওয়া হয়।
এমআই