Connect with us

অর্থনীতি

পুষ্টিকর খাবার কিনতে পারেন না সাড়ে ১২ কোটি মানুষ

Published

on

ভারত

দেশে পণ্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বাজারে যাবতীয় ব্যয় বহন শেষে প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে পারছেন না ১২ কোটি ৫২ লাখ মানুষ। গত ২০২১ সালে করা বিশ্বব্যাংকের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। বর্তমানে এ সংখ্যা আরও বেড়েছে বলে জানিয়েছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

গতকাল শনিবার সিপিডির নিজস্ব কার্যালয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানটির বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান এবং গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রতিবারের মতো আগামী অর্থবছরেও সরকার একটি গতানুগতিক বাজেট দিতে যাচ্ছে।

কিন্তু অর্থনীতিকে মূলধারায় ফিরিয়ে আনতে হলে বাজেটে কাঠামোগত সংস্কার ও মন্ত্রণালয়ের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। ইতোমধ্যে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা হারিয়ে ফেলেছে। তাই আগামী বাজেটে মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার, রাজস্ব আয় বাড়ানো, সরকারের ব্যয় নিয়ন্ত্রণ, বিভিন্ন খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে মধ্যমেয়াদি সংস্কার এবং সামাজিক নিরাপত্তায় গুরুত্ব আরও বাড়ানো।

মূল প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়, বিশ্বব্যাংকের প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং টুফটস ইউনিভার্সিটি ২০২১ সালে একটি রিপোর্ট তৈরি করেছে। ওই রিপোর্টে বলা হয়, বাংলাদেশের ১২ কোটি ৫২ লাখ মানুষ পণ্যের উচ্চমূল্যের কারণে প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে পারছে না। যা দেশের মোট জনসংখ্যার ৭৩ দশমিক ৯ শতাংশ। ২০২৪ সালে এই সংখ্যাটি আরও বিশাল হবে। সিপিডি বলছে, নানা কারণে খাদ্যের দাম বাড়ছে।

এরমধ্যে রয়েছে-বাজারের বিভিন্ন কারসাজি, কিছু শক্তিশালী কোম্পানির বাজারে আধিপত্য এবং সরকারের প্রয়োজনীয় নিয়ন্ত্রণের অভাব। সাম্প্রতিক সময়ে বেশকিছু প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অতিরিক্ত বেড়েছে। এরমধ্যে রয়েছে-মসুর ডাল, পেঁয়াজ, ছোলা, বেসন, ভোজ্যতেল, চিনি, আলু, মাংস, কাঁচামরিচ, চিড়া, মুড়ি, খেজুর এবং বেগুনসহ রমজানকেন্দ্রিক পণ্য। প্রতিবছরই রমজানে জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার উদ্যোগ নেয়। কিন্তু এখানে সফলতা খুব কমই আসে।

মূল প্রবন্ধে আরও বলা হয়, দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বড় ধরনের চাপের মধ্যে রয়েছে। বিশেষ করে মূল্যস্ফীতির চাপে মানুষের জীবনযাত্রা সংকটে পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করাই ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। সিপিডি বলেছে, ১০ থেকে ১১ বছর ধরে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রাজস্ব আহরণে বড় ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরেও এই ঘাটতি থাকবে। বছর শেষে তা ৮২ হাজার কোটি টাকা হতে পারে। তারা আরও বলেছে, সরকারের বাজেট ঘাটতি কমেছে ঠিক, কিন্তু ঘাটতি নিরসনে বাণিজ্যিক ব্যাংকের ওপর সরকারের নির্ভরশীলতা বেড়েছে। বছরজুড়ে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের উপরে। এছাড়া রপ্তানি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, প্রবাসী আয়, বিদেশি বিনিয়োগসহ বহিঃস্থ খাতের প্রায় সব সূচকে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অর্থনীতি এখন বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। এরমধ্যে রাজস্ব আহরণ ও বাজেট বাস্তবায়নে শ্লথগতি, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ব্যাংকে তারল্যের সংকট, রপ্তানি, প্রবাসী আয় এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। এমন বাস্তবতায় আগামী বাজেট প্রণয়নে তিনটি বিষয়কে মূল লক্ষ্য নির্ধারণের পরামর্শ দিয়েছে সিপিডি। প্রথমত, সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেওয়া, দ্বিতীয়ত, রাজস্ব আহরণ বাড়াতে উদ্যোগ নেওয়া, যাতে ব্যাংকের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে রাজস্ব আয় থেকে প্রয়োজনীয় ব্যয় করা যায় এবং তৃতীয়ত, দক্ষতার সঙ্গে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরকারি ব্যয় করা, যাতে অর্থের অপচয় না হয়।

সংস্থাটির মতে, শেয়ারবাজারের বাইরে থাকা কোম্পানির কর সাড়ে ৭ শতাংশ বেশি হওয়া উচিত। না হলে কোম্পানিগুলো বাজারে আসতে চাইবে না। এছাড়াও ইংলিশ মিডিয়ামের শিক্ষার্থীদের ওপর থেকে কর প্রত্যাহার এবং মোটরসাইকেলের মালিকদের ওপর কর আরোপের প্রস্তাব করে সিপিডি। এক্ষেত্রে ১০০ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেলের কর দেড় হাজার টাকা, ১০১ থেকে ১৫০ সিসি ৩ হাজার এবং ১৫০ সিসির উপরে মোটরসাইকেলের জন্য ৫ হাজার টাকা অগ্রীম আয়করের প্রস্তাব করা হয়।

অর্থসংবাদ/এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি

ঈদ পর্যন্ত কোনো পণ্য ঘাটতি থাকবে না: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

Published

on

ভারত

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, আমাদের পণ্যের কোনো ঘাটতি নেই। আগামী ঈদ পর্যন্ত কোনো পণ্য ঘাটতি থাকবে না।

মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

বাজার নিয়ন্ত্রণে বিশেষ কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা, বাজারে তো কোনো স্বস্তি নেই এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের পণ্যের কোনো ঘাটতি নেই। আগামী ঈদ পর্যন্ত কোনো পণ্য ঘাটতি থাকবে না। আমরা তো বাজার নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি না। বাজার যাতে সঠিকভাবে কার্যকর থাকে, চাহিদা ও জোগান অনুসারে যাতে মূল্যটা নির্ধারিত হয় এবং আমদানিকৃত পণ্যের দাম যাতে নির্দেশক মূল্যের কাছাকাছি থাকে, এটাই আমাদের চেষ্টা থাকে। আমরা তো ন্যায্যমূল্যের দোকান খুলিনি। এটা তো মুক্তবাজার অর্থনীতি।

বাজার মনিটরিংয়ে কী কোনো অবহেলা করা হয়েছে, যে কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে নতুন করে নির্দেশনা দিয়েছেন, জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, রোজার আগে-পরে আমরা বাজার স্থিতিশীল রাখতে তৎপর ছিলাম। নতুন সরকার আসার পরে সময়টা কম ছিল, জোরটা অনেক বেশি ছিল—বাজারে যাতে কোনোভাবে খাদ্যের কিংবা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের কোনো সংকট না হয়।

তিনি বলেন, রোজার পরে বাজার স্থিতিশীল ছিল। সামনে আবার কোরবানির ঈদ আসছে। ঈদ এলে আমাদের দেশের কিছু লোক আছে, যারা সুযোগ-সন্ধানী, সরবরাহ ঠিক থাকার পরেও জিনিসপত্রের দাম দুয়েক জায়গায় বেড়ে যায়। সেই লক্ষ্যে গত রোজার ঈদের সময় যেভাবে মনিটরিং করেছি, প্রধানমন্ত্রী আমাকে আবারও সেটা করতে বলেছেন। ঈদে যাতে ভোক্তারা কোনো অসুবিধায় না পড়েন, ন্যায্যমূল্যে জিনিসপত্র পায়, সেজন্য দিক নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এটা আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হয়েছে, কাজে গতি পাবে।

প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, মনিটরিং আবার সচল করব। যাতে ঈদ সামনে রেখে বাজার থেকে কেউ সুযোগ-সুবিধা নিতে না পারেন। এটা নিয়মিত মনিটরিং। একটা স্বাভাবিক গতিতে কার্যক্রম চলে, আরেকটি বিভিন্ন পরিস্থিতিতে রমজানে, ঈদে আমাদের বিশেষ ব্যবস্থা থাকে। আমাদের অভিভাবক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছেন। আমাদের কার্যক্রম জোরদার হবে, দৃশ্যমান হবে।

কাফি

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

রপ্তানির বাধা চিহ্নিতকরণ ও সমাধান খুঁজবে এফবিসিসিআই

Published

on

ভারত

রপ্তানি বহুমুখীকরণ এবং বাজার সম্প্রসারণকে বেগবান করতে এ খাতের প্রধান বাধাসমূহ চিহ্নিত করবে এফবিসিসিআই। একইসাথে এ সংকট থেকে উত্তরণের জন্য সমাধানও খুঁজে কাজ করবে সংগঠনটি। সোমবার (মে ২০) বিকেলে এফবিসিসিআইর মতিঝিল কার্যালয়ে আয়োজিত রপ্তানি বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির দ্বিতীয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মো. আমিন হেলালী।

সভায় সভাপতিত্ব করেন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান এবং এফবিসিসিআইর সাবেক পরিচালক মেহেদী আলী। কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ এবং এফবিসিসিআইর পরিচালক সালমা হোসেন এ্যাশ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

আমিন হেলালী বলেন, তৈরি পোশাক ছাড়াও আমাদের দেশে অনেক শিল্প খাত ভালো করছে। প্রাথমিকভাবে আমাদের নির্ধারণ করতে হবে কোন খাতগুলো রপ্তানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। সুনির্দিষ্ট তালিকা তৈরি করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদের আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের সুযোগ করে দিতে হবে।

তিনি বলেন, নিজেদের প্রচেষ্টায় ব্যবসায়ীরা ইতোমধ্যে বিভিন্ন বাজারে নিজেদের জায়গা করে নিয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি খাতের সমন্বয় জোরদার এবং সরকারের সহযোগিতা নিয়ে সমন্বিতভাবে অগ্রসর হওয়ার সময় এসেছে। এসময় ভারতের সেভেন সিস্টার্স, চীন, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, নেপালসহ প্রতিবেশী দেশ এবং সম্ভাবনাময় অন্যান্য বাজারে পণ্য রপ্তানির বাধা চিহ্নিতকরণ ও সমাধান খুঁজে বের করতে কমিটির সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

আন্তর্জাতিক বাজারে নিজেদের অবস্থানকে শক্তিশালী করতে রপ্তানিকারকদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধি, ব্যবসার ব্যয় সংকোচন এবং গবেষণা ও উন্নয়নের পরামর্শ দেন এফবিসিসিআই’র পরিচালক এবং বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ফারুক হাসান।

কমিটির চেয়ারম্যান মেহেদী আলী জানান, কমিটির উদ্যোগে ঢাকা এবং চট্টগ্রামে রপ্তানি মেলার আয়োজন করা হবে। সেই সাথে, রপ্তানি বহুমূখীকরণ এবং বাজার সম্প্রসারণ বিষয়ে একাধিক সেমিনারও অনুষ্ঠিত হবে।

খাতভিত্তিক সমস্যাগুলো রপ্তানি বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটিতে লিখিত আকারে জমা দিতে সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানানা কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ সালমা হোসেন এ্যাশ।

মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে, রপ্তানি বৃদ্ধিতে বন্দর সমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধি; কার্গো বিমানের ভাড়ায় স্থিতিশীলতা বজায় রাখা; দেশে উৎপাদিত পণ্যের মান উন্নয়ন, বিভিন্ন বাজারের চাহিদা অনুযায়ী পণ্যের মানোন্নয়ন, প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধি, ব্যবসায় ব্যয় হ্রাস প্রভৃতি বিষয়ে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দেন কমিটির সদস্যরা।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র পরিচালক হাফেজ হাজী হারুন-অর-রশীদ, মোঃ আবুল হাশেম, এফবিসিসিআই’র মহাসচিব মোঃ আলমগীর, কমিটির কো-চেয়ারম্যান এবং সদস্যবৃন্দ প্রমুখ।

এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

কোরবানির ঈদ পর্যন্ত বাড়বে না ভোজ্যতেলের দাম

Published

on

ভারত

ডলারের দাম বাড়লেও আগমী কোরবানির ঈদের আগে দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম সমন্বয়ন করা হবে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসমাল টিটু।

তিনি বলেন, আমদানিনির্ভর পণ্য বিশেষ করে ভোজ্যতেলের কোনো অ্যাডজাস্টমেন্ট (সমন্বয়) করবো না। আশ করছি উৎপাদনকারী ও আমদানিকারক যারা আছেন, ঈদ পর্যন্ত নতুন করে কোনো মূল্য বেঁধে দেবে না। পুরোনো মূল্যেই তারা সরবরাহ করতে পারবেন। ডলারের দাম বাড়লেও ভোক্তাদের সুবিধার্তে পণ্যের দাম একই পর্যায় রাখবো।

মঙ্গলবার (২১ মে) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।

ডলারের দাম বাড়ায় আমদানিনির্ভর পণ্যের দামও বাড়বে, এতে ভোক্তাদের ওপর চাপ বাড়বে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে টিটু বলেন, আমি আপনাদের নিশ্চিত করে বলতে চাই, ডলারের অ্যাডজাস্টমেন্টটা হলো ১০ টাকা থেকে ১৭ টাকা। এতে ভোক্তা পর্যায়ে কোনো প্রভাব পড়বে না।

কেন পড়বে না- সেই ব্যাখ্যা দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কারণ আমদানিকারকরা তখনই অভিযোগ করছিলেন যে ব্যাংক থেকে তারা সরকারি নির্দিষ্ট রেটে ডলার পাচ্ছিলেন না, তারা তখনই ১২০ টাকা, ১২২ টাকা, একেকজন একেকভাবে প্রাইভেটলি সেটলড (নিষ্পত্তি) করছিলেন।

তিনি বলেন, এখন সরকার সমন্বয় করার কারণে সরকারি রেটেই তারা আমদানি করতে পারবেন। কাজেই আমদানিনির্ভর পণ্য বিশেষ করে ভোজ্যতেলের কোনো অ্যাজাস্টমেন্ট (সমন্বয়) করবো না।

তিনি আরও বলেন, আগে যে দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল, ঈদের আগ পর্যন্ত নতুন কোনো দাম নির্ধারণ করা হবে না। পুরোনো দামেই তারা সরবরাহ করতে পারবেন।

তাহলে ঈদের পরে ক্রেতাদের জন্য দুঃসংবাদ অপেক্ষা করছে? সাংবাদিকরা এমন প্রশ্ন করলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা একটা আন্তর্জাতিক পণ্য। কোথায় যুদ্ধ হবে, অর্থনীতির কোথায় কী হবে, সেটা নিয়ে আগাম ধারণা করা যাবে না। তবে এই মুহূর্তে নতুন করে মূল্যা নির্ধারণের প্রয়োজনীয়তা আছে বলে আমি মনে করি না। যদি আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বেড়ে যায়, তাহলে তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা চিন্তা করবো।

বাজার মনিটরিংয়ে কী কোনো অবহেলা করা হয়েছে, যে কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে নতুন করে নির্দেশনা দিয়েছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, রমজানের আগে-পরে আমরা বাজার স্থিতিশীল রাখতে তৎপর ছিলাম। নতুন সরকার আসার পরে সময়টা কম ছিল, জোরটা অনেক বেশি ছিল, বাজারে যাতে কোনোভাবে খাদ্যের কিংবা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের কোনো সংকট না হয়।

তিনি বলেন, রমজানের পর বাজার স্থিতিশীল ছিল। সামনে আবার কোরবানির ঈদ। ঈদ এলে আমাদের দেশের কিছু লোক আছে, যারা সুযোগ সন্ধানী, সরবরাহ ঠিক থাকার পরও জিনিসপত্রের দাম দুয়েক জায়গায় বেড়ে যায়। সেই লক্ষ্যে গত রোজার ঈদের সময় যেভাবে মনিটরিং করেছি, প্রধানমন্ত্রী আমাকে আবারও সেটা করতে বলেছেন। ঈদে যাতে ভোক্তারা কোনো অসুবিধায় না পড়েন, ন্যায্যমূল্যে জিনিসপত্র পান, সেজন্য দিকনির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এটা আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হয়েছে, কাজে গতি পাবে।

তিনি আরও বলেন, মনিটরিং আবার সচল করবো, যেন ঈদ সামনে রেখে বাজার থেকে কেউ সুযোগ-সুবিধা নিতে না পারেন। এটা নিয়মিত মনিটরিং। একটা স্বাভাবিক গতিতে কার্যক্রম চলে, আরেকটি বিভিন্ন পরিস্থিতিতে রমজানে, ঈদে আমাদের বিশেষ ব্যবস্থা থাকে। আমাদের অভিভাবক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছেন। তাহলে আমাদের কার্যক্রম জোরদার হবে, দৃশ্যমান হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কোনো উৎপাদন কিংবা সরবরাহ করি না। আমরা মোটামুটি কৃষি ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ওপর নির্ভর করে তাদের কাছ থেকে সরবরাহ পেয়ে ভোক্তাদের কাছে নিশ্চিত করি। তাদের নিয়ে একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আজ যেহেতু খাদ্য ও কৃষিমন্ত্রী ছিলেন না, তাই ঈদের আগে আরেকবার বসবো। সেখানে খাদ্য ও কৃষিপণ্য পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে মাঠপর্যায়ে নির্দেশনা দেবো।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার

Published

on

ভারত

২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে ৮ম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কিনবে সরকার। মঙ্গলবার (২১ মে) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান এসব তথ্য জানিয়েছেন।

সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের একটা প্রস্তাব ছিল রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির। এই প্রস্তাবটি গৃহীত হয়েছে। এর ক্রয়মূল্য ৯৫ কোটি ৭০ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য ২৭১.৫০ মার্কিন ডলার। এর পূর্বমূল্য ছিল ২৮৪.১৭ মার্কিন ডলার।

সুপারিশ করা দরদাতা সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড। এটির বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি)।

এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

নিতাইগঞ্জে নিম্নমুখী ডালের বাজার, কমেছে দাম

Published

on

ভারত

ডালের পাইকারি বাজার হিসেবে প্রসিদ্ধ নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জে সব ধরনের ডালের দাম কমেছে। রোজার পরে পণ্যটির চাহিদা কমে আসায় বাজারে তৈরি হয়েছে নিম্নমুখী প্রবণতা। ফলে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে ডালের দাম কেজিতে কমেছে ২-৫ টাকা পর্যন্ত। আবার কোনো কোনো ডালের দাম কেজিতে কমেছে ১০-১২ টাকা পর্যন্ত।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি মসুর ডাল বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে। একই ডাল রমজান মাসের শুরুতে বেচাকেনা হয়েছিল ১২৪ টাকা কেজি দরে। দিল্লি সুপার ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ১২২-১২৩ টাকা কেজি দরে। দুই সপ্তাহ আগে এটি বেচাকেনা হয়েছিল ১২৫ টাকা কেজি দরে। বোল্ডার মসুর ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ৯৮-১০০ টাকা কেজি দরে, দুই সপ্তাহ আগেও যা ছিল ১০২ টাকা। ফাটি মসুর ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ৯৮ টাকা কেজি দরে, দুই সপ্তাহ আগে এটি ছিল ১০২ টাকা কেজি দরে।

খেসারি ডাল বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে প্রতি কেজি ৮৬ টাকায়। একই ডাল কিছুদিন আগেও বেচাকেনা হয়েছিল ১০৬ টাকা কেজি দরে। বুটের ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ৮২ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে এটি বেচাকেনা হয়েছিল কেজিপ্রতি ৮৫ টাকায়। ছোলা বেচাকেনা হচ্ছে প্রতি কেজি ৮৮ টাকায়, দুই সপ্তাহ আগে যা ছিল ৯০ টাকা।

অন্যদিকে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে মুগ ডালের দাম কমেছে ১২ টাকা। অ্যাঙ্কর ডালের দাম কমেছে কেজিতে ১০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের আগে মুগ ডালের চাহিদা বেশি থাকায় ও মিল থেকে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম কিছুটা বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু ঈদের পর চাহিদা কমে যাওয়ায় দামও কমেছে। এখন প্রতি কেজি মুগ ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ১৫৫ ও অ্যাঙ্কর ৬৭ টাকায়।

এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন
ভারত
কর্পোরেট সংবাদ12 mins ago

এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা ও চট্টগ্রামের ফ্রি হেলথ ক্যাম্প

ভারত
জাতীয়26 mins ago

আগামীকাল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সংবর্ধনা দেবেন রাষ্ট্রপতি

ভারত
জাতীয়30 mins ago

পার্বত্য অঞ্চলে স্কুল নির্মাণের সুপারিশ

ভারত
পুঁজিবাজার31 mins ago

ব্লকে ৭০ কোটি টাকার লেনদেন

ভারত
জাতীয়44 mins ago

১৮২ কোটি ৪০ লাখ টাকার সয়াবিন তেল কিনবে সরকার

ভারত
জাতীয়45 mins ago

দ্বিতীয় ধাপে ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা

ভারত
অর্থনীতি46 mins ago

ঈদ পর্যন্ত কোনো পণ্য ঘাটতি থাকবে না: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

ভারত
জাতীয়48 mins ago

১১২ কোটি টাকার বৈদ্যুতিক ক্যাবল কিনবে সরকার

ভারত
অর্থনীতি55 mins ago

রপ্তানির বাধা চিহ্নিতকরণ ও সমাধান খুঁজবে এফবিসিসিআই

ভারত
জাতীয়1 hour ago

২০ হাজার ভূমিহীন পরিবার ঘর পাচ্ছেন

ভারত
জাতীয়1 hour ago

দুই দিন বিঘ্নিত হবে ডেসকোর প্রিপেইড রিচার্জ সেবা

ভারত
জাতীয়1 hour ago

ঢাকায় এসেছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ভারত
জাতীয়1 hour ago

নিখোঁজ এমপি আনারের কোনো হালনাগাদ তথ্য নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ভারত
খেলাধুলা1 hour ago

লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে দল পেলেন তাসকিন

ভারত
পুঁজিবাজার1 hour ago

চার কোম্পানির লেনদেন বন্ধ বৃহস্পতিবার

ভারত
অর্থনীতি2 hours ago

কোরবানির ঈদ পর্যন্ত বাড়বে না ভোজ্যতেলের দাম

ভারত
পুঁজিবাজার2 hours ago

লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ভারপ্রাপ্ত এমডি হলেন কামরুজ্জামান

ভারত
জাতীয়2 hours ago

বাংলাদেশিরা ১ দিনেই পাবেন ভারতের ভিসা

ভারত
জাতীয়2 hours ago

রাইসির মৃত্যুতে বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় শোক ২৩ মে

ভারত
জাতীয়2 hours ago

চালের উৎপাদন বেড়েছে চারগুণেরও বেশি: কৃষিমন্ত্রী

ভারত
অর্থনীতি2 hours ago

৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার

ভারত
পুঁজিবাজার2 hours ago

সিকদার ইন্স্যুরেন্সের সর্বোচ্চ দরপতন

ভারত
পুঁজিবাজার3 hours ago

দরবৃদ্ধির শীর্ষে প্রাইম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড

ভারত
পুঁজিবাজার3 hours ago

লেনদেনের শীর্ষে ওরিয়ন ফার্মা

ভারত
পুঁজিবাজার3 hours ago

সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে শেয়ারবাজারে

Advertisement

ফেসবুকে অর্থসংবাদ

২০১৮ সাল থেকে ২০২৩

অর্থসংবাদ আর্কাইভ

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১