জাতীয়
রেলের ২৩ হাজার একরের বেশি জমি বেদখল: রেলমন্ত্রী
সারা দেশে রেলের ২৩ জাহার একরের বেশি জমি বেদখল হয়ে আছে। সারা দেশে অনেক লোক আছে যারা, দুই নম্বর কাগজপত্র তৈরি করেছে। মূল কাগজ দেখে মনে হবে দুই নম্বর কাগজটাই জেনুইন। আরএস, এসএ, বিএস রেকর্ডের ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে রেলের জমি বেদখল করে রেখেছে। বেদখলে থাকা জমি দখলের জন্য উচ্ছেদ অভিযান করছে রেল কর্তৃৃপক্ষ। রেলের জমি উদ্ধারে কাউকে একবিন্দু পরিমাণ ছাড় দেওয়া হবে না।
শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন রেলমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম।
উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে পাংশা রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় রেলওয়ে ভূমি হতে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ বিষয়ে রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রশাসন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত স্থানীয়দের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, আপনার জমি যদি কেউ ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে দখল করতে যায়, আপনি দখল করতে দেবেন? কেউ দেবেন না। মারামারি করে হোক, ধরাধরি করে হোক, মামলা করে হোক, যেভাবেই হোক আপনার জমি আপনি দখল করতে দেবেন না। এটা আপনার অধিকার। তেমনি রেলেরও অধিকার তার জমি থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে জমি ফিরিয়ে নেওয়া। আপনারা অবৈধভাবে জমি দখল না করে, বৈধভাবে লিজ নিয়ে ভোগ করেন, আমাদের কোনো আপত্তি নাই। রেলকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে, দেশকে উন্নত করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
এ সময় রেলওয়ে কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, একটু সময় দিয়ে আপনারা সবার কাগজপত্র দেখে ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে যাদের কাগজপত্র অবৈধ, শুধু তাদের স্থাপনা ভাঙবেন। অযথা কারও স্থাপনা ভাঙবেন না। রেলের জমি উদ্ধারে কাউকে একবিন্দু পরিমাণ ছাড় দেওয়া যাবে না।
সম্প্রতি কয়েকটি গণমাধ্যমে ১০০ কিলোমিটারের অতিরিক্ত দূরত্বের সব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেনের রেয়াতি (ছাড়) সুবিধা বাতিলের মাধ্যমে ট্রেনের ভাড়া বাড়ানো হবে বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রেলপথমন্ত্রী বলেন, আপাতত ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই। তবে বর্তমান নির্ধারিত ভাড়া অনেকদিন ধরে অর্থাৎ ২০১৬ সাল থেকে আছে। সবকিছুর দাম বেড়েছে। কিন্তু ট্রেনের টিকিটের দাম বাড়েনি। তেলের দাম বেড়েছে, বগির দাম বেড়েছে, ইঞ্জিনের দাম বেড়েছে, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বেড়েছে। যখন আমরা ট্রেনের টিকিটের ভাড়া বাড়াবো, তখন আগে থেকে সাংবাদিকদের জানিয়েই বাড়াবো।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী। এ মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরুজ্জামান, রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল মোরশেদ আরুজ, পাংশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফরিদ হাসান (ওদুদ), উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মাসুদুর রহমান রুবেল, পাংশা মডেল থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার, পাংশা উপজেলা আ.লীগের সভাপতি খন্দকার সাইফুল ইসলাম (বুড়ো), কালুখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলিউজ্জামান চৌধুরী (টিটো), পাংশা উপজেলা পরিষদের ভাইচ চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দিন বিশ্বাস, রাজবাড়ী প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আব্দুল মতিন প্রমুখ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দেশে সাড়ে ১১ লাখ টন খাদ্য মজুত আছে: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দেশে সরকারি খাদ্য গুদামে সর্বমোট ১১ লাখ ৩৮ হাজার ৪৬৩ টন খাদ্যশস্য মজুত আছে।
বুধবার (৮ মে) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
সংসদে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সরকারি খাদ্য গুদামে সর্বমোট ১১ লাখ ৩৮ হাজার ৪৬৩ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুত আছে। মজুতকৃত খাদ্যশস্যের মধ্যে ৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৭৯ টন চাল ও ৩ লাখ ৫২ হাজার ৮৪ টন গম আছে। এর মধ্যে বর্তমানে ধানের কোনো মজুত নেই। চলতি মাস থেকে ধান সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে। বোরো ধান ও চাল সংগ্রহ পুরোদমে শুরু হলে মজুতের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।
চট্টগ্রাম বিভাগের খাদ্য গুদামে বেশি খাদ্য মজুত রয়েছে। মন্ত্রণালয়ের হিসেব মতে, চট্টগ্রাম বিভাগে খাদ্য মজুত রয়েছে, ২ লাখ ৫৮ হাজার ৯৫১ টন। ঢাকা বিভাগে রয়েছে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৫৭ টন, ময়মনসিংহ বিভাগে রয়েছে ৬৮ হাজার ৬৭০ টন, রাজশাহী বিভাগে রয়েছে ১ লাখ ৮১ হাজার ৮৮ টন, রংপুর বিভাগে রয়েছে ২ লাখ ৭ হাজার ৯৩৫ টন, সিলেটে ৫০ হাজার ৬২১ টন, খুলনায় ১ লাখ ৫৩ হাজার ৬৬৭ টন ও বরিশাল বিভাগে মজুত রয়েছে ৪১ হাজার ৪৭৪ টন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
নীতি সুদহার বাড়ালো বাংলাদেশ ব্যাংক
নীতি সুদহার (পলিসি রেট) ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার থেকে নতুন সুদের হার কার্যকর হবে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি কমাতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার দাবি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের।
বুধবার (৮ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ নিয়ে ২০২২ সালের মে মাস থেকে বেশ কয়েকবার নীতি সুদহার বাড়াল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতি কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটি (এসএলএফ) রেট ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি (এসডিএফ) রেট ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে দেশে কার্যত সব তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এর আগে, গত ১৭ জানুয়ারি নীতি সুদহার ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৭৫ থেকে ৮ শতাংশ নির্ধারণ করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
৪৬৮ কোটি টাকার তেল-ডাল কিনবে সরকার
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত ও সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে মসুর ডাল, সয়াবিন তেল ও রাইস ব্রান তেল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এজন্য ৪৬৮ কোটি ৩৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
এর মধ্যে ২২ হাজার টন মসুর ডাল, এক কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল এবং ৪০ লাখ লিটার রাইস ব্রান তেল কেনা হবে। মসুর ডাল ও রাইস ব্রান তেল কেনা হবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে। আর সয়াবিন তেল কেনা হচ্ছে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে।
বুধবার (৮ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে তেল-ডাল কেনার এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান জানান, টিসিবির জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র (জাতীয়) পদ্ধতিতে নাবিল নাবা ফুডস প্রোডাক্টস লিমিটেডের কাছ থেকে ৬ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল (৫০ কেজির বস্তায়) কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ৬১ কোটি ৯৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম পড়বে ১০৩ টাকা ২৪ পয়সা। যা আগে ছিলও ১০৩ টাকা ৭৫ পয়সা। মসুর ডাল কেনার এ প্রস্তাব নিয়ে আসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অন্য এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে টিসিবির জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র (জাতীয়) পদ্ধতিতে শবনম ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কাছ থেকে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল (৫০ কেজির বস্তায়) কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ১০৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম পড়বে ১০৩ টাকা ৭৫ পয়সা।
এছাড়া অপর এক প্রস্তাবে টিসিবির জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র (জাতীয়) পদ্ধতিতে ৬ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল (৫০ কেজির বস্তায়) কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। রাজশাহীর মেসার্স সালমান খুরশীদের কাছ থেকে ৩ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল এবং খুলনার শেখ অ্যাগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের কাছ থেকে ৩ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনা হবে। এতে মোট ব্যয় হবে ৬০ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। প্রতি কেজির ডালের দাম পড়বে ১০১ টাকা ৪০ পয়সা।
সচিব জানান, টিসিবির জন্য স্থানীয়ভাবে ও সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বসুন্ধরা মাল্টি ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেডের কাছ থেকে এক কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ১৮২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম পড়বে ১৫২ টাকা।
এছাড়া টিসিবির জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র (জাতীয়) পদ্ধতিতে মজুমদার প্রোডাক্টস লিমিটেড এবং মজুমদার ব্রান অয়েল মিলস লিমিটেডের কাছ থেকে ৪০ লাখ লিটার রাইস ব্রান তেল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ৫৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা। প্রতি লিটার রাইস ব্রান তেলের দাম পড়বে ১৪৮ দশমিক ৭৫ টাকা। যা আগে ছিল ১৫২ টাকা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বঙ্গোপসাগরে ২০ ট্রলার ডুবি, নিখোঁজ অর্ধশতাধিক
বঙ্গোপসাগরে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপকূলে ঝড়ের কবলে পড়ে অন্তত ২০টি লবণবাহী ট্রলার ডুবে গেছে। কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ এখন পর্যন্ত ৩০ জনকে উদ্ধার করেছে। নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত অর্ধশতাধিক মাঝি-মাল্লা।
বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টার দিকে এসব ট্রলার ঝড়ের কবলে পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রলারগুলো কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও চট্টগ্রামে বাঁশখালী থেকে লবণবোঝাই করে চট্টগ্রামে আসছিল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম নৌ পুলিশ সুপার আ ফ ম নিজাম উদ্দিন।
তিনি বলেন, সকালে বঙ্গোপসাগরে ঝড়ো হাওয়া শুরু হলে ট্রলারগুলো উল্টে ডুবে যায়। স্থানীয় লোকজন, নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা এখন পর্যন্ত ৩০ জনকে উদ্ধার করেছে। ডুবে যাওয়া ট্রলারের সংখ্যা অন্তত ২০টি। প্রতিটি ট্রলারে পাঁচ থেকে সাতজন মাঝি-মাল্লা ছিলেন। সব মিলিয়ে এখনো অন্তত ৫০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ড উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।
‘এমভি বার আউলিয়া’ নামের এক ট্রলারের মালিক আবুল কাশেম বলেন, ট্রলারটি ৬০ টন লবণ নিয়ে কুতুবদিয়া থেকে চট্টগ্রাম নগরীর দিকে যাচ্ছিল। ঝড়ের একপর্যায়ে কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও বাঁশখালী থেকে আরও ১৫-২০টি লবণবাহী ট্রলার আনোয়ারার গহিরা উপকূলে সাগরে ডুবে যায়। আমার ট্রলারের মাঝি-মাল্লাদের উদ্ধার করা হয়েছে। ডুবে যাওয়া ট্রলারের মূল্য অন্তত ২০ লাখ টাকা।’
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
তিন দেশ থেকে ২৮২ কোটি টাকার ইউরিয়া সার কিনবে সরকার
রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে চলতি অর্থবছরের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার ও সৌদি আরব এ তিন দেশ থেকে ৯০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ২৮২ কোটি ১৫ লাখ টাকা।
বুধবার (০৮ মে) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক এ সংক্রান্ত পৃথক তিনটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) জন্য ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের কাছ থেকে ৭ম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাঙ্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ৯৩ কোটি ৭৭ লাখ ৬১ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক সারে টনের দাম পড়বে ২৮৪.১৭ মার্কিন ডলার। যা আগে ছিল ৩২৮.৬৭ মার্কিন ডলার।
বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) জন্য ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কাতারের কাতার কেমিক্যাল অ্যান্ড পেট্রোকেমিক্যাল মার্কেটিং অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (মুনতাজাত) থেকে ১২তম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার (অপশনাল) ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ৯৩ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ২৮২.৫০ মার্কিন ডলার। যা আগে ছিল ৩৩০.৮৩ মার্কিন ডলার।
সচিব বলেন, টেবিলে আজকে একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে সেটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবটি হলো, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে সৌদি আরব এর সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ১৪তম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার (অপশনাল) ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ৯৫ কোটি ১৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের দাম পড়বে ২৮৮.৩৩ মার্কিন ডলার। যা আগে ছিল ৩৪৭.৫০ মার্কিন ডলার।