Connect with us

জাতীয়

সীমান্তে প্রাণঘাতি অস্ত্র ব্যবহার করা হয় না: বিএসএফ ডিজি

Published

on

সংরক্ষিত আসন

বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) সদস্যরা প্রাণঘাতি অস্ত্র ব্যবহার করে না বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক শ্রী নিতিন আগ্রাওয়াল। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বর্ডারে বিএসএফ প্রাণঘাতি নয়, এমন অস্ত্র ব্যবহার করছে। কিন্তু ক্লোজ রেঞ্জ থেকে প্রাণঘাতি নয়, এমন অস্ত্র দিয়ে গুলি করলেও মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে পারে। সীমান্তহত্যা শূন্যে নামিয়ে আনতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আজ শনিবার ঢাকায় বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫৪তম সীমান্ত সম্মেলনের শেষ দিন বিজিবি-বিএসএফ ডিজির যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

বিএসএফ ডিজি শ্রী নিতিন আগ্রাওয়াল বলেন, সীমান্ত এলাকায় সংঘবদ্ধ অপরাধ, মানবপাচার, চোরাকারবারির মতো নানা অপরাধীরা বিভিন্ন সময় বিএসএফ সদস্যদের উপর আক্রমণ করে। তখন আত্মরক্ষার্থে কখনও কখনও বিএসএফ সদস্যরা ফায়ার করতে বাধ্য হন। গত বছর প্রায় ৬০ জন বিএসএফ সদস্য দার আঘাতে মারাত্মকভাবে আহত হন। বিএসএফের প্রতিরোধে শুধু বাংলাদেশি না, ভারতীয় অপরাধীরাও মারা যায়।

তিনি বলেন, সীমান্তে প্রাণঘাতি অস্ত্র ব্যবহার করা হয় না। কিন্তু ক্লোজ রেঞ্জ থেকে প্রাণঘাতি নয়, এমন অস্ত্র দিয়ে গুলি করলেও মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে পারে। ক্লোজ রেঞ্জ থেকে রাবার বুলেট ছুড়লে সেটি দিয়েও মৃত্যু হতে পারে। যখন বিবিএসএফ সদস্যদের উপর দা দিয়ে হামলা করা হয়। তখন তারা অনেক কাছে চলে আসে। তখন আত্মরক্ষার্থে বিএসএফ সদস্যরা কখনও গুলি করতে বাধ্য হন।

এর বাইরেও বিপুল চোরাকারবারীদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদেরকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি, সীমান্তে মৃত্যু শূন্যে নামিয়ে আনতে। এ জন্য জয়েন্ট বর্ডার পেট্রোলিং, ইন্টেলিজেন্স শেয়ারিংসহ নানা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে বিএসএফ ডিজি শ্রী নিতিন আগ্রাওয়াল বলেন, বাংলাদেশ বর্ডারে বিএসএফ প্রাণঘাতি নয়, এমন অস্ত্র ব্যবহার করছে। সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, আমরা সীমান্তে সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা করছি। আমরা সীমান্তে কোনও হতাহত হোক চাই না।

ঢাকায় ৫-৯ মার্চ বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। বিএসএফ মহাপরিচালক শ্রী নিতিন আগ্রাওয়ালের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল এতে অংশ নেন।

অর্থসংবাদ/এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়

হজযাত্রার প্রথম ফ্লাইটে সৌদি গেলেন ৪১৩ যাত্রী

Published

on

সংরক্ষিত আসন

হজযাত্রীদের সৌদি আরব পাঠাতে চলতি বছর চূড়ান্ত আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলো। আজ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৪টা ৫ মিনিটে পবিত্র হজ পালনের জন্য সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা হন ৪১৩ জন বাংলাদেশি। সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের প্রথম ফ্লাইটে সৌদি আরবের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন তারা।

এরপর সকাল ৭টা ২০ মিনিটে বাংলাদেশ বিমান দ্বিতীয় ফ্লাইটে সৌদি যাবেন‌ ৪১৭ জন। ভোর সাড়ে ৫টায় এই ফ্লাইটের উদ্বোধন করবেন ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। এরপর সকাল ৮টায় ফ্লাইনাস এয়ারের আরেকটি ফ্লাইটের উদ্বোধন করবেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারপ্রথম দিনে সাতটি ফ্লাইট হজযাত্রীদের নিয়ে ঢাকা থেকে সৌদি আরবের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।‌

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর হজে যাওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন ৮৩ হাজার ৩১১ জন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় চার হাজার ৪১৬ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধন করেছেন ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন।

আগামী ৯ মে থেকে ১০ জুন পর্যন্ত জাতীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ১১৭টি হজ পূর্ব ফ্লাইটে করে ৪৫ হাজার ৫২৫ জন এবং মে মাস থেকে ১২ জুনের মধ্যে সৌদি আরবে ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ৪৩টি হজপূর্ব ফ্লাইটে করে বাকী হজযাত্রীদের হজ পালন করতে সৌদি আরবে নিয়ে যাবে।

বাংলাদেশ বিমান ২০ জুন সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশী হজযাত্রীদের নিয়ে ফিরতি ফ্লাইট শুরু করবে এবং সৌদি আরবের বিমান সংস্থা ফ্লাইনাস ২১ জুন থেকে হজ ফিরতি ফ্লাইট চালু করবে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ পালিত হতে পারে। চলতি বছর হজযাত্রীদের ভিসার জন্য আবেদনের সময় নির্ধারিত ছিল ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত। তবে ২৫৯টি বেসরকারি হজ এজেন্সির মধ্যে অনেকেই এই সময়ের মধ্যে ভিসার কার্যক্রম শেষ করতে না পারায় প্রথম ধাপে ৭ মে পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। এরপর দ্বিতীয়বারের মতো ১১ মে পর্যন্ত ভিসার কার্যক্রম শেষ করতে সময় বাড়ায় ধর্ম মন্ত্রণালয়।

কাফি

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা ১৪.৭৬৯ বিলিয়নে নামিয়ে আনলো আইএমএফ

Published

on

সংরক্ষিত আসন

চলতি অর্থবছর শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশি মুদ্রার রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা ২০ দশমিক ১০ বিলিয়ন থেকে কমিয়ে ১৪ দশমিক ৭৬৯ বিলিয়ন ডলার করতে সম্মত হয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।

আইএমএফের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর ফলে আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তির অর্থ পেতে বাংলাদেশের আর কোনো বাঁধা থাকলো না। ঋণের তৃতীয় কিস্তিতে ১ দশমিক ১৫২ বিলিয়ন ডলার পাবে বাংলাদেশ।

জানা গেছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে রিজার্ভ লক্ষ্যমাত্রা ১৪ দশমিক ৮৮৫ বিলিয়ন ডলার এবং ডিসেম্বর শেষে এ লক্ষ্যমাত্রা ১৫ দশমিক ৩০০ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ২০২৫ সালের মার্চ শেষে ১৬ দশমিক ৬০১ বিলিয়ন ডলার এবং জুন শেষে তা ১৯ দশমিক ৪৪০ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিপিএম৬ মেথড অনুযায়ী, বর্তমানে প্রকৃত রির্জাভ আছে ১৫ বিলিয়ন ডলার। ফলে আইএমএফের নতুর টার্গেটের তুলনায় দেশে রির্জাভ কিছুটা বেশি আছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ কীভাবে তার রিজার্ভ বাড়াবে সে বিষয়ে একটি পরিকল্পনা দিয়েছে আইএমএফ।

এদিকে বাংলাদেশ আইএমএফ ঋণের তৃতীয় কিস্তির অর্থ পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় সফররত দাতা সংস্থাটির ডেভেলপমেন্ট মাইক্রোইকোমিক্স ডিভিশনের প্রধান ক্রিস পাপাগেওর্জিউ। বুধবার (৮ মে) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

আইএমএফ প্রতিনিধিদল জানায়, বাংলাদেশের ঋণের পরবর্তী কিস্তি পেতে কোনো সমস্যা হবে না। ঋণদাতা তাদের বোর্ড মিটিংয়ের পর তৃতীয় কিস্তি ছাড় করবে। এরই মধ্যে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর উপায় নিয়ে কাজ করবে সরকার।

ক্রিস পাপাগেওর্জিউ বলেছেন, আইএমএফের তৃতীয় কিস্তির ঋণ পেতে বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে আইএমএফ প্রতিনিধিদল। এখন আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দাতা সংস্থাটির নির্বাহী বোর্ডের অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে।

আইএমএফ প্রতিনিধিদল প্রধান বলেন, আইএমএফ-সমর্থিত কর্মসূচির আওতায় গুরুত্বপূর্ণ কাঠামোগত সংস্কার করেছে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে পেট্রোলিয়াম পণ্যের জন্য ফর্মুলাভিত্তিক জ্বালানি মূল্য সমন্বয় নীতি তারা বাস্তবায়ন করেছেন। মূল্যস্ফীতিসহ নানা সমস্যা থাকা সত্ত্বেও বিনিময় হার পুনর্বিন্যাসে বাংলাদেশ ব্যাংক যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, সেগুলোকে স্বাগত জানিয়েছে আইএমএফ।

তিনি বলেন, নীতিগত পদক্ষেপ গ্রহণ শুরু করলে সামষ্টিক অর্থনীতি ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হবে। ধারণা করছি, আমদানি সংকোচ ও নীতি কাঠামোর কারণে চলতি অর্থবছরে প্রকৃত জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ। যাইহোক আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ কমে এবং আমদানি বেড়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৬ শতাংশ হবে বলে আমরা আশা করছি।

আমরা অনুমান করছি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৪ শতাংশ হবে। তবে কঠোর নীতির মিশ্রণ এবং বৈদেশিক খাদ্য ও দ্রব্যমূল্য কমার কারণে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি কমে ৭ দশমিক ২ শতাংশ হবে।

বাংলাদেশে জিডিপির তুলনায় রাজস্ব আদায় কম হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে আইএমএফ প্রতিনিধিদলের প্রধান বলেন, উন্নয়নমূলক বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য টেকসই রাজস্বকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এক্ষেত্রে জিডিপির দশমিক ৫ শতাংশ রাজস্ব বাড়াতে আগামী বাজেটে বাস্তব কর নীতি এবং বিভিন্ন প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিতে হবে।

মানি লন্ডারিং নিয়ে আইএমএফ কোনো কথা বলে না, কিন্তু শুল্ক অব্যাহতি কমাতে এনবিআরকে পরামর্শ দিচ্ছে। সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে আইএমএফ প্রতিনিধিদলের প্রধান বলেন, আইএফএফের একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি হচ্ছে অর্থ-পাচার নিয়ন্ত্রণ করা। আমাদের টার্গেট বিভিন্ন প্রোগ্রামকে সমর্থন দেওয়া যাতে ট্যাক্স বাড়ে। এনবিআরের সঙ্গে আমাদের প্রোগ্রাম আছে। মানি লন্ডারিং নিয়ে আমরা বিএফআইইউ’র সঙ্গে কাজ করছি। আমাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আমরা সুশাসন প্রতিষ্ঠার কথা বলি। এর মধ্যেই অর্থ-পাচার সমস্যার সমাধান আছে।

মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার মানুষের কষ্ট হচ্ছে, এর মধ্যে ট্যাক্স বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন, এতে মানুষের ভোগান্তি আরও বাড়বে কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের কর্মসূচির একটি বড় অংশ হলো সামাজিক নিরাপত্তা। কাজেই আমাদের নীতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ওপর কি প্রভাব ফেলে সে বিষয়ে সতর্ক থাকি। এনবিআরের সঙ্গে আলোচনায় বিষয়গুলো থাকে।

সুদের হার বেশি থাকার পরেও মূল্যস্ফীতি বেশি কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সুদের হার বাড়ালেও বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি স্টাবল আছে। আমাদের কাছে নতুন তথ্য আছে মূল্যস্ফীতি কমতির দিকে। বাংলাদেশে আগামী বছর মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে আসবে বলে আমরা মনে করছি।

ব্যাংক মার্জার নিয়ে করা এক প্রশ্নের উত্তরে ক্রিস পাপাগেওর্জিউ বলেন, ব্যাংক রি-ক্যাপিটালাইজেশনের যে উদ্যোগ নিয়েছে আমি মনে করি কখনো কখনো এর দরকার আছে। কারণ বাংলাদেশে ৬১টি ব্যাংক আছে, এরমধ্যে কিছু খুবই স্ট্রং, কিছু স্ট্রং না।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলার অংশ হিসেবে আইএমএফ গত বছরের জানুয়ারিতে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করে। ঋণ অনুমোদনের পরপরই প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার ছাড় করে সংস্থাটি। আগামী ২০২৬ সাল পর্যন্ত সাড়ে তিন বছরে সাত কিস্তিতে পুরো অর্থ দেওয়ার কথা রয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি অনুমোদন দেয় আইএমএফের বোর্ড।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

জাতীয়

প্রশাসক নিয়োগের বিধান রেখে ইউনিয়ন পরিষদ বিল পাসের সুপারিশ

Published

on

সংরক্ষিত আসন

প্রশাসক নিয়োগের বিধান রেখে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) বিল পাসের সুপারিশ করেছে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। কমিটির পক্ষ থেকে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে এ সংক্রান্ত সুপারিশসহ বিলের উপর প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৮ মে) ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে অধিবেশনে বিল উপর প্রতিবেদন উত্থাপন করেন সংসদীয় কমিটির সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম। এর আগে গত ৫ মে সংসদে বিলটি উত্থাপন করেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। পরে বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

বিলে বলা হয়েছে, ‘স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৬১ নং আইন), অতঃপর উক্ত আইন বলিয়া উল্লিখিত, এর সর্বত্র উল্লিখিত ‘সচিব’ শব্দের পরিবর্তে ‘ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা’ শব্দসমূহ এবং ‘সচিবের’ শব্দের পরিবর্তে ‘ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তার’ শব্দসমূহ প্রতিস্থাপিত হইবে।’

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে আর্থিকভাবে শক্তিশালীকরণ, সরকার প্রদত্ত বরাদ্দের উপর নির্ভরশীলতা কমানোর উপায় নির্ধারণ এবং ইউনিয়ন পরিষদ আইনকে আরও যুগোপযোগী ও সেবা সহজীকরণের লক্ষ্যে ‘স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) (সংশোধন) আইন-২০২৪’ সংশোধনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সম্মানী প্রদানের বিধান যুক্ত করা হয়েছে। ইহার মাধ্যমে কোন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের বরখাস্তকালীন সময়ে ভাতা প্রদানের বিষয়ে কোন আইনগত জটিলতা থাকিবে না।

আরও বলা হয়েছে, কোন এলাকাকে ইউনিয়ন ঘোষণা বা পরিষদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য সরকার একজন উপযুক্ত কর্মকর্তা বা উপযুক্ত ব্যক্তিকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করবে। গ্রাম আদালত পরিচালনা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারের অর্পিত দায়িত্ব পালন ও প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ ইউনিয়ন পরিষদের কার্যাবলীর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হলে গ্রাম আদালতের কার্যক্রমকে আরও বিস্তৃত ও কার্যকর হবে। এছাড়া বিলে ‘ইউনিয়ন পরিষদ সচিব’ নাম পরিবর্তন করে ‘ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা’ করার বিধান যুক্ত করা হয়েছে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

জাতীয়

৪৮ বছরে বিদেশ গেছেন এক কোটি ৬৩ লাখ মানুষ

Published

on

সংরক্ষিত আসন

গত ৪৮ বছরে এক কোটি ৬৩ লাখ ১২ হাজার ৩২৪ জন বাংলাদেশি বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য গেছেন বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।

বুধবার (৮ মে) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকার দলের শফিউল আলম চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৬ সাল থেকে মার্চ ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এক কোটি ৬৩ লাখ ১২ হাজার ৩২৪ জন কর্মী বৈদেশিক কর্মস্থানের জন্য গেছেন।

পাসপোর্টবিহীন কতজন বাংলাদেশি নাগরিক অবৈধভাবে বিভিন্ন দেশে রয়েছেন, এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য তার মন্ত্রণালয়ে নেই বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগারের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, সরকারের পদক্ষেপের ফলে করোনা পরবর্তী সময়ে বৈদেশিক শ্রমবাজার ঘুরে দাড়াঁতে সক্ষম হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিদেশে পাঠানো কর্মীর সংখ্যা ১১ লাখ ২৬ হাজার ৬০ জন।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত বোয়েসেলের মাধ্যমে স্বল্প/বিনা খরচে ১ লাখ ২৭ হাজার ৫৫৭ জন কর্মী বিদেশে গেছেন।

সরকার দলীয় এমপি নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বের ১৭৬টি দেশে কর্মী প্রেরণ করা হয়েছে।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার জানান, আসন্ন বোরো সংগ্রহ মৌসুমে প্রতি কেজি ৩২ টাকা দরে ৫ লাখ মেট্রিক টন ধান, প্রতি কেজি ৪৫ টাকা দরে ১১ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল, প্রতি কেজি ৪৪ টাকা দরে এক লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল এবং প্রতি কেজি ৩৪ টাকা দরে ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম সংগ্রহের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

নোয়াখালী-২ আসনের মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারি গুদামে (৩০ এপ্রিল) বর্তমানে ১১ লাখ ৩৮ হাজার ৪৬৩ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। এরমধ্যে সাত লাখ ৮৬ হাজার ৩৭৯ টন চাল, তিন লাখ ৫২ হাজার ৮৪ টন গম রয়েছে। বর্তমানে কোনো ধানের মজুত নেই।

স্বতন্ত্র এমপি মো. আবদুল্লাহ’র প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী জানান, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে দেশব্যাপী ২৮ হাজার খাদ্যকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

সরকারদলীয় এমপি হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে শ্রম প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মার্চ, ২০২৪ পর্যন্ত ৭১১৭ শ্রমিকের মাতৃত্ব কল্যাণ সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। মালিক কর্তৃক শ্রমিকদের প্রদানকৃত আর্থিক সুবিধার পরিমাণ ২৬ কোটি ৩১ লাখ ৮৪ হাজার ৭৮৬ টাকা।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

জাতীয়

পুলিশ সুপার হলেন সাত কর্মকর্তা

Published

on

সংরক্ষিত আসন

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থেকে পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) হলেন সাত কর্মকর্তা।

বুধবার (৮ মে) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার সাত কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) করা হলো।

পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তারা হলেন- দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মমিনুল করিম, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. আমিনুল ইসলাম, পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আশ্রাফুজ্জামান, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কবীর আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব, পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম ও পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ছুফি উল্লাহ। এসব কর্মকর্তাকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবর পদোন্নতি পাওয়া পদে যোগদানপত্র পাঠাতে বলা হয়েছে।

পদোন্নতি পাওয়া সাতজন বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের ২৮তম ব্যাচের কর্মকর্তা।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন
সংরক্ষিত আসন
জাতীয়15 mins ago

হজযাত্রার প্রথম ফ্লাইটে সৌদি গেলেন ৪১৩ যাত্রী

সংরক্ষিত আসন
রাজনীতি10 hours ago

আ.লীগের যৌথসভা শুক্রবার

সংরক্ষিত আসন
অর্থনীতি10 hours ago

রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা ১৪.৭৬৯ বিলিয়নে নামিয়ে আনলো আইএমএফ

সংরক্ষিত আসন
সারাদেশ10 hours ago

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হলেন যারা

সংরক্ষিত আসন
আবহাওয়া10 hours ago

কালবৈশাখী নিয়ে সারাদেশে তিনদিনের সতর্কবার্তা

সংরক্ষিত আসন
জাতীয়11 hours ago

প্রশাসক নিয়োগের বিধান রেখে ইউনিয়ন পরিষদ বিল পাসের সুপারিশ

সংরক্ষিত আসন
জাতীয়11 hours ago

৪৮ বছরে বিদেশ গেছেন এক কোটি ৬৩ লাখ মানুষ

সংরক্ষিত আসন
আন্তর্জাতিক11 hours ago

বিশ্ব ফুটবল দিবসের অনুমোদন দিলো জাতিসংঘ

সংরক্ষিত আসন
জাতীয়11 hours ago

পুলিশ সুপার হলেন সাত কর্মকর্তা

সংরক্ষিত আসন
অর্থনীতি12 hours ago

আগামী অর্থবছরে বাড়বে প্রবৃদ্ধি, কমবে মূল্যস্ফীতি: আইএমএফ

সংরক্ষিত আসন
জাতীয়12 hours ago

সচিব পদে পদোন্নতি পেলেন মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী

সংরক্ষিত আসন
কর্পোরেট সংবাদ12 hours ago

ইসলামী ব্যাংকের হজ বুথ উদ্বোধন

সংরক্ষিত আসন
জাতীয়12 hours ago

রিমান্ডে ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্তোরাঁর মালিক

সংরক্ষিত আসন
কর্পোরেট সংবাদ12 hours ago

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের রেমিট্যান্স ক্যাম্পেইনের র‌্যাফেল ড্র

সংরক্ষিত আসন
স্বাস্থ্য13 hours ago

ডেঙ্গুতে আরও ২২ জন আক্রান্ত

সংরক্ষিত আসন
কর্পোরেট সংবাদ13 hours ago

‘বেস্ট ট্রেড প্রোভাইডার’ স্বীকৃতি পেলো স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড

সংরক্ষিত আসন
অর্থনীতি13 hours ago

ঋণের স্মার্ট সুদহার পদ্ধতি থেকে সরে এলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

সংরক্ষিত আসন
জাতীয়13 hours ago

ঢাকায় ভারতের পররাষ্ট্র সচিব

সংরক্ষিত আসন
পুঁজিবাজার14 hours ago

সিইও ফোরামের সঙ্গে বৈঠক করবে ডিএসই

সংরক্ষিত আসন
পুঁজিবাজার14 hours ago

আয় বেড়েছে সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের

সংরক্ষিত আসন
পুঁজিবাজার14 hours ago

প্রিমিয়ার ব্যাংকের প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ

সংরক্ষিত আসন
স্বাস্থ্য14 hours ago

অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পরীক্ষা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সংরক্ষিত আসন
অর্থনীতি14 hours ago

সিআইপি কার্ড পাচ্ছেন ১৮৪ ব্যবসায়ী

সংরক্ষিত আসন
জাতীয়14 hours ago

‘কাচ্চি ভাই’ রেস্তোরাঁর মালিক গ্রেপ্তার

সংরক্ষিত আসন
জাতীয়14 hours ago

পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি অনেকাংশে সংযত করতে পেরেছি: প্রধানমন্ত্রী

Advertisement

ফেসবুকে অর্থসংবাদ

২০১৮ সাল থেকে ২০২৩

অর্থসংবাদ আর্কাইভ

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১