Connect with us

অর্থনীতি

রিজার্ভ বেড়ে ২১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে

Published

on

দুই

রেমিট্যান্স প্রবাহের ইতিবাচক ধারা ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের টাকা-ডলার অদলবদল (সোয়াপ) সুবিধা চালুর পরে এবার বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ বেড়ে ২১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলারের ঘরে এসেছে।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাতে এ তথ্য জানা গেছে। আজ রিজার্ভ বেড়ে ২১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার হয়েছে, যা গত সোমবার ২০ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার ছিল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, ২০২১ সালের আগস্টে রিজার্ভ দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর ছাড়িয়েছিল। বিদেশ থেকে ঋণ নেয়াসহ বিভিন্ন উপায়ে ওই সময় রিজার্ভ বাড়ানো হয়। এরপর সংকটের কারণে ২৯ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে করে কমতে–কমতে গত নভেম্বর শেষে ১৯ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলারে নেমেছিল। এরপর আবারও বেড়ে ডিসেম্বরে ২১ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন হয়। তবে জানুয়ারি শেষে আবার কমে ১৯ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলারে নেমে যায়। এখন সোয়াপের ফলে রিজার্ভ ফের বাড়ছে।

ব্যাংকাররা জানান, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নানা অনিশ্চয়তার কারণে প্রবাসী কিংবা রপ্তানিকারকদের অনেকে ডলার ধরে রাখছিলেন। এসব ডলার দেশে আনতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত ডিসেম্বরে এক নির্দেশনার মাধ্যমে রেমিট্যান্সের সুবিধাভোগীর নামেও বৈদেশিক মুদ্রায় অ্যাকাউন্ট খুলে ডলার রাখার সুযোগ দেয়া হয়। এর বিপরীতে সুদ মিলছে ৭ থেকে ৯ শতাংশের বেশি। এ ছাড়া বিদেশ ভ্রমণ থেকে দেশে ফিরে আরএফসিডি অ্যাকাউন্ট খুললে ১০ হাজার ডলার পর্যন্ত রেখে ৭ শতাংশের বেশি সুদ দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের মাধ্যমে দেশে অর্থ আনতে বিভিন্নভাবে উৎসাহিত করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে (জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি) ব্যাংকিং চ্যানেলে ৪২৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭৬ কোটি ডলার বা ২১ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেশি। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরুর দিকে রেমিট্যান্স কম থাকায় অর্থবছরের ৮ মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) প্রবাসী আয় বেড়েছে মাত্র ১০৫ কোটি ডলার বা ৭ দশমিক ৫১ শতাংশ। এ সময় প্রবাসীরা মোট এক হাজার ৫০৬ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। গত অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ১ হাজার ৪০১ কোটি ডলার।

কাফি

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে চায় তুরস্ক

Published

on

দুই

বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বি-পক্ষীয় বাণিজ্য দ্রুত দুই বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যেতে চায় তুরস্ক। বুধবার (৮ মে) দুপুরে চট্টগ্রামের টাইগারপাসে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) কার্যালয়ে মেয়রের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন এ মন্তব্য করেন।

সাক্ষাৎকালে চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বিপুল বিনিয়োগ করেছেন। নগরীর যোগাযোগ অবকাঠামোকে ঢেলে সাজাতে আড়াই হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। এ ছাড়া, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনেও নেওয়া হয়েছে একাধিক প্রকল্প। ফলে বৈদেশিক বিনিয়োগের জন্য চট্টগ্রাম একটি আদর্শ স্থানে পরিণত হয়েছে। তুরস্ক এই সুবর্ণ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ব্যাপক বিনিয়োগের মাধ্যমে লাভবান হতে পারে।

এ সময় রাষ্ট্রদূত রামিস সেন বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে তুরস্কের দ্বি-পক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে। গত অর্ধশতাব্দীতে বাংলাদেশের সুখ-দুঃখে সব সময় তুরস্ক পাশে ছিল। তবে তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের গভীরতা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয় না। এ জন্য তুরস্কের লক্ষ্য সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ এবং তুরস্কের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যকে দুই বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়া। বাংলাদেশ তুরস্ক থেকে আমদানির চেয়ে রফতানি বেশি করে, অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে।

‘বর্তমানে তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য মূলত টেক্সটাইল খাতকেন্দ্রিক। তুরস্ক বাংলাদেশে টেক্সটাইল খাতের বিভিন্ন যন্ত্র ও কেমিক্যাল রফতানি করে। অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে তুরস্ক তৈরি পোশাক আমদানি করে। তুরস্ক কেবল টেক্সটাইল খাতে সীমাবদ্ধ না থেকে দ্বি-পক্ষীয় বাণিজ্যের বহুমুখীকরণ করতে চায়।’

তুরস্কের স্বাস্থ্য খাতের সাফল্য তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত বলেন, বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি মেডিক্যাল ট্যুরিজম ডেস্টিনেশনের একটি তুরস্ক। গ্রীষ্মকালে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে ট্যুরিস্টরা চিকিৎসা নিতে তুরস্কে যান, কারণ তুরস্কের স্বাস্থ্য খাত অত্যন্ত জটিল ও বিরল বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা দিতে সক্ষম। কোভিডকালে তুরস্কে টুরিস্টের সংখ্যা কিছুটা কমলেও গত বছর এই সংখ্যা বেড়ে আবার ৫০ মিলিয়নে উন্নীত হয়েছে।

সামরিক খাতেও তুরস্ক এগিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, ফেব্রুয়ারিতে তুরস্ক নিজেদের তৈরি পঞ্চম প্রজন্মের স্টিলথ ফাইটার যুদ্ধবিমান “কান” উড্ডয়ন করেছে, যা তুরস্কের গভীর সামরিক শক্তির পরিচায়ক। এ ছাড়া ড্রোন নির্মাণ এবং বিভিন্ন সামরিক প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে তুরস্ক। তুরস্ক তার অর্জিত জ্ঞান বাংলাদেশের সঙ্গে আদান-প্রদান করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- তুরস্কের রিয়ার অ্যাডমিরাল মুস্তফা কায়া, কর্নেল এরদাল শাহিন, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশে তুরস্কের অনারারি কনসাল জেনারেল সালাহউদ্দিন কাশেম খান।

এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা ১৪.৭৬৯ বিলিয়নে নামিয়ে আনলো আইএমএফ

Published

on

দুই

চলতি অর্থবছর শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশি মুদ্রার রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা ২০ দশমিক ১০ বিলিয়ন থেকে কমিয়ে ১৪ দশমিক ৭৬৯ বিলিয়ন ডলার করতে সম্মত হয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।

আইএমএফের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর ফলে আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তির অর্থ পেতে বাংলাদেশের আর কোনো বাঁধা থাকলো না। ঋণের তৃতীয় কিস্তিতে ১ দশমিক ১৫২ বিলিয়ন ডলার পাবে বাংলাদেশ।

জানা গেছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে রিজার্ভ লক্ষ্যমাত্রা ১৪ দশমিক ৮৮৫ বিলিয়ন ডলার এবং ডিসেম্বর শেষে এ লক্ষ্যমাত্রা ১৫ দশমিক ৩০০ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ২০২৫ সালের মার্চ শেষে ১৬ দশমিক ৬০১ বিলিয়ন ডলার এবং জুন শেষে তা ১৯ দশমিক ৪৪০ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিপিএম৬ মেথড অনুযায়ী, বর্তমানে প্রকৃত রির্জাভ আছে ১৫ বিলিয়ন ডলার। ফলে আইএমএফের নতুর টার্গেটের তুলনায় দেশে রির্জাভ কিছুটা বেশি আছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ কীভাবে তার রিজার্ভ বাড়াবে সে বিষয়ে একটি পরিকল্পনা দিয়েছে আইএমএফ।

এদিকে বাংলাদেশ আইএমএফ ঋণের তৃতীয় কিস্তির অর্থ পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় সফররত দাতা সংস্থাটির ডেভেলপমেন্ট মাইক্রোইকোমিক্স ডিভিশনের প্রধান ক্রিস পাপাগেওর্জিউ। বুধবার (৮ মে) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

আইএমএফ প্রতিনিধিদল জানায়, বাংলাদেশের ঋণের পরবর্তী কিস্তি পেতে কোনো সমস্যা হবে না। ঋণদাতা তাদের বোর্ড মিটিংয়ের পর তৃতীয় কিস্তি ছাড় করবে। এরই মধ্যে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর উপায় নিয়ে কাজ করবে সরকার।

ক্রিস পাপাগেওর্জিউ বলেছেন, আইএমএফের তৃতীয় কিস্তির ঋণ পেতে বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে আইএমএফ প্রতিনিধিদল। এখন আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দাতা সংস্থাটির নির্বাহী বোর্ডের অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে।

আইএমএফ প্রতিনিধিদল প্রধান বলেন, আইএমএফ-সমর্থিত কর্মসূচির আওতায় গুরুত্বপূর্ণ কাঠামোগত সংস্কার করেছে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে পেট্রোলিয়াম পণ্যের জন্য ফর্মুলাভিত্তিক জ্বালানি মূল্য সমন্বয় নীতি তারা বাস্তবায়ন করেছেন। মূল্যস্ফীতিসহ নানা সমস্যা থাকা সত্ত্বেও বিনিময় হার পুনর্বিন্যাসে বাংলাদেশ ব্যাংক যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, সেগুলোকে স্বাগত জানিয়েছে আইএমএফ।

তিনি বলেন, নীতিগত পদক্ষেপ গ্রহণ শুরু করলে সামষ্টিক অর্থনীতি ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হবে। ধারণা করছি, আমদানি সংকোচ ও নীতি কাঠামোর কারণে চলতি অর্থবছরে প্রকৃত জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ। যাইহোক আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ কমে এবং আমদানি বেড়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৬ শতাংশ হবে বলে আমরা আশা করছি।

আমরা অনুমান করছি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৪ শতাংশ হবে। তবে কঠোর নীতির মিশ্রণ এবং বৈদেশিক খাদ্য ও দ্রব্যমূল্য কমার কারণে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি কমে ৭ দশমিক ২ শতাংশ হবে।

বাংলাদেশে জিডিপির তুলনায় রাজস্ব আদায় কম হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে আইএমএফ প্রতিনিধিদলের প্রধান বলেন, উন্নয়নমূলক বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য টেকসই রাজস্বকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এক্ষেত্রে জিডিপির দশমিক ৫ শতাংশ রাজস্ব বাড়াতে আগামী বাজেটে বাস্তব কর নীতি এবং বিভিন্ন প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিতে হবে।

মানি লন্ডারিং নিয়ে আইএমএফ কোনো কথা বলে না, কিন্তু শুল্ক অব্যাহতি কমাতে এনবিআরকে পরামর্শ দিচ্ছে। সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে আইএমএফ প্রতিনিধিদলের প্রধান বলেন, আইএফএফের একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি হচ্ছে অর্থ-পাচার নিয়ন্ত্রণ করা। আমাদের টার্গেট বিভিন্ন প্রোগ্রামকে সমর্থন দেওয়া যাতে ট্যাক্স বাড়ে। এনবিআরের সঙ্গে আমাদের প্রোগ্রাম আছে। মানি লন্ডারিং নিয়ে আমরা বিএফআইইউ’র সঙ্গে কাজ করছি। আমাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আমরা সুশাসন প্রতিষ্ঠার কথা বলি। এর মধ্যেই অর্থ-পাচার সমস্যার সমাধান আছে।

মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার মানুষের কষ্ট হচ্ছে, এর মধ্যে ট্যাক্স বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন, এতে মানুষের ভোগান্তি আরও বাড়বে কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের কর্মসূচির একটি বড় অংশ হলো সামাজিক নিরাপত্তা। কাজেই আমাদের নীতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ওপর কি প্রভাব ফেলে সে বিষয়ে সতর্ক থাকি। এনবিআরের সঙ্গে আলোচনায় বিষয়গুলো থাকে।

সুদের হার বেশি থাকার পরেও মূল্যস্ফীতি বেশি কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সুদের হার বাড়ালেও বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি স্টাবল আছে। আমাদের কাছে নতুন তথ্য আছে মূল্যস্ফীতি কমতির দিকে। বাংলাদেশে আগামী বছর মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে আসবে বলে আমরা মনে করছি।

ব্যাংক মার্জার নিয়ে করা এক প্রশ্নের উত্তরে ক্রিস পাপাগেওর্জিউ বলেন, ব্যাংক রি-ক্যাপিটালাইজেশনের যে উদ্যোগ নিয়েছে আমি মনে করি কখনো কখনো এর দরকার আছে। কারণ বাংলাদেশে ৬১টি ব্যাংক আছে, এরমধ্যে কিছু খুবই স্ট্রং, কিছু স্ট্রং না।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলার অংশ হিসেবে আইএমএফ গত বছরের জানুয়ারিতে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করে। ঋণ অনুমোদনের পরপরই প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার ছাড় করে সংস্থাটি। আগামী ২০২৬ সাল পর্যন্ত সাড়ে তিন বছরে সাত কিস্তিতে পুরো অর্থ দেওয়ার কথা রয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি অনুমোদন দেয় আইএমএফের বোর্ড।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

আগামী অর্থবছরে বাড়বে প্রবৃদ্ধি, কমবে মূল্যস্ফীতি: আইএমএফ

Published

on

দুই

আমদানি সংকোচন ও নীতি কাঠামোর কারণে চলতি (২০২৩-২৪) অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৫.৪ শতাংশ হতে পারে এমন পূর্বাভাস দিয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) জানিয়েছে, আগামী (২০২৪-২৫) অর্থবছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৬.৬ শতাংশ হবে।

জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়ার পাশাপাশি আগামী অর্থবছর মূল্যস্ফীতিও কমে আসবে বলে জানিয়েছে এই দাতা সংস্থা। আইএমএফ বলছে, চলতি বছর (বছর ভিত্তি) মূল্যস্ফীতি ৯.৪ শতাংশ হবে। তবে আগামী (২০২৪-২৫) অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি কমে ৭.২ শতাংশে নেমে যাবে।

বুধবার (৮ মে) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা সফররত আইএমএফ প্রতিনিধি দলের প্রধান ক্রিস পাপাগেওর্জিউ।

ক্রিস পাপাগেওর্জিউ বলেন, নীতিগত পদক্ষেপ গ্রহণ শুরু করলে সামষ্টিক অর্থনীতি ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হবে। আমদানি সংকোচন ও নীতি কাঠামোর কারণে চলতি অর্থবছর প্রকৃত জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৫.৪ শতাংশ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ কমে এবং আমদানি বেড়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.৬ শতাংশ হবে বলে আমরা আশা করছি।

তিনি বলেন, আমরা অনুমান করছি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৯.৪ শতাংশ হবে। তবে কঠোর নীতির মিশ্রণ এবং বৈদেশিক খাদ্য ও দ্রব্যমূল্য কমার কারণে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি কমে ৭.২ শতাংশ হবে।

বাংলাদেশে জিডিপির তুলনায় রাজস্ব আদায় কম হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে আইএমএফ প্রতিনিধি দলের প্রধান বলেন, উন্নয়নমূলক বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য টেকসই রাজস্ব অগ্রাধিকার দিতে হবে। এক্ষেত্রে জিডিপির দশমিক ৫ শতাংশ রাজস্ব বাড়াতে আগামী বাজেটে বাস্তব করনীতি এবং বিভিন্ন প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিতে হবে।

মানি লন্ডারিং নিয়ে আইএমএফ কোনো কথা বলে না, কিন্তু শুল্ক অব্যাহতি কমাতে এনবিআরকে পরামর্শ দিচ্ছে। সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে আইএমএফ প্রতিনিধি দলের প্রধান বলেন, আইএফএফের একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি হচ্ছে অর্থপাচার নিয়ন্ত্রণ করা। আমাদের টার্গেট বিভিন্ন প্রোগ্রাম সমর্থন দেওয়া যাতে ট্যাক্স বাড়ে। এনবিআরের সঙ্গে আমাদের প্রোগ্রাম আছে। মানি লন্ডারিং নিয়ে আমরা বিএফআইইউ’র সঙ্গে কাজ করছি। আমাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আমরা সুশাসন প্রতিষ্ঠার কথা বলি। এর মধ্যেই অর্থপাচার সমস্যার সমাধান আছে।

মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় মানুষের কষ্ট হচ্ছে, এরমধ্যে ট্যাক্স বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন, এতে মানুষের ভোগান্তি আরও বাড়বে কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের কর্মসূচির একটি বড় অংশ হলো সামাজিক নিরাপত্তা। কাজেই আমাদের নীতি দরিদ্র গোষ্ঠীর ওপর কী প্রভাব ফেলে সে বিষয়ে আমরা সতর্ক থাকি। এনবিআরের সঙ্গে আলোচনায় বিষয়গুলো থাকে।

সুদের হার বেশি থাকার পরও মূল্যস্ফীতি বেশি কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সুদের হার বাড়ালেও বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি স্ট্যাবল আছে। আমাদের কাছে নতুন তথ্য আছে, মূল্যস্ফীতি কমতির দিকে। বাংলাদেশে আগামী বছর মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে আসবে বলে আমরা মনে করছি।

ব্যাংক মার্জার নিয়ে করা এক প্রশ্নের উত্তরে ক্রিস পাপাগেওর্জিউ বলেন, ব্যাংক রিক্যাপিটালাইজেশনের যে উদ্যোগ নিয়েছে আমি মনে করি কখনো কখনো এর দরকার আছে। কারণ বাংলাদেশে ৬১টি ব্যাংক আছে, এরমধ্যে কিছু খুবই স্ট্রং, কিছু স্ট্রং নয়।

এর আগে আইএমএফ প্রতিনিধি দলের প্রধান বলেন, আইএমএফ নির্বাহী বোর্ডের অনুমোদনের পর ঋণের তৃতীয় কিস্তি বাংলাদেশ পাবে।

তিনি বলেন, আইএমএফের তৃতীয় কিস্তির ঋণ পেতে বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধি দল। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দাতা সংস্থাটির নির্বাহী বোর্ডের অনুমতির অপেক্ষায়। এরপর দ্বিতীয় পর্যালোচনা শেষে ৯৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের কিস্তির ছাড় দেওয়া হবে।

আইএমএফের ডেভেলপমেন্ট মাইক্রো ইকোনমিক্স ডিভিশনের এই প্রধান বলেন, আইএমএফ-সমর্থিত কর্মসূচির আওতায় গুরুত্বপূর্ণ কাঠামোগত সংস্কার করেছে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে পেট্রোলিয়াম পণ্যের জন্য ফর্মুলাভিত্তিক জ্বালানি মূল্য সমন্বয় নীতি তারা বাস্তবায়ন করেছেন।

মূল্যস্ফীতিসহ নানান সমস্যা থাকার পরও বিনিময় হার পুনর্বিন্যাসে বাংলাদেশ ব্যাংক যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, সেগুলো স্বাগত জানিয়েছে আইএমএফ।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলার অংশ হিসেবে আইএমএফ গত বছরের জানুয়ারিতে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করে। ঋণ অনুমোদনের পরপরই প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার ছাড় করে সংস্থাটি। ২০২৬ সাল পর্যন্ত সাড়ে তিন বছরে সাত কিস্তিতে পুরো অর্থ দেওয়ার কথা রয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি অনুমোদন দেয় আইএমএফের বোর্ড।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

ঋণের স্মার্ট সুদহার পদ্ধতি থেকে সরে এলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

Published

on

দুই

মাত্র দশ মাসের মাথায় ব্যাংক ঋণের সুদহার নির্ধারণ পদ্ধতি সিক্স মান্থ মুভিং এভারেজ রেট (স্মার্ট) প্রত্যাহার করলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ঋণের সুদহার পুরোপুরি বাজারভিত্তিক করতে ছয় মাসের ট্রেজারি বিলের গড় সুদ ভিত্তিক সুদহার ব্যবস্থা প্রত্যাহার করা হলো।

বুধবার (৮ মে) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ছয় মাসের ট্রেজারি বিলের গড় সুদহারের সঙ্গে নির্ধারিত মার্জিন যোগ করে এতদিন ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার নির্ধারণ করা হতো। আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চা অনুসরণের মাধ্যমে ব্যাংক ঋণের সুদহার পুরোপুরি বাজারভিত্তিক করতে ঋণের সুদহার নির্ধারণে স্মার্ট ভিত্তিক সুদহার ব্যবস্থা প্রত্যাহার করা হলো। ঋণের চাহিদা ও ঋণযোগ্য তহবিলের জোগান সাপেক্ষে ব্যাংকা-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণের সুদহার নির্ধারিত হবে।

ঋণের বাজারভিত্তিক সুদহার নির্ধারণে পাঁচটি শর্ত আরোপ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যার মধ্যে রয়েছে- ব্যাংকগুলো ঋণের খাতভিত্তিক সুদের হার ঘোষণা করবে এবং তুলনামূলক ঝুঁকি বিবেচনায় গ্রাহকভেদে ঘোষিত হারের চেয়ে এক শতাংশ কম বা বেশি হারে ঋণ বিতরণ করতে পারবে। এক্ষেত্রে ঋণের মঞ্জুরিপত্রে সুদহার অপরিবর্তনশীল নাকি পরিবর্তনশীল তা উল্লেখ থাকতে হবে।

কোনো ঋণের সুদহার পরিবর্তনশীল হলে তা বছরে সর্বোচ্চ কতবার বৃদ্ধি করা হবে এবং কত শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে তা আবশ্যিকভাবে মঞ্জুরিপত্রে উল্লেখ থাকতে হবে।

কোনো ঋণ অথবা ঋণের কিস্তি সম্পূর্ণ বা আংশিক মেয়াদোত্তীর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হলে যে সময়ের জন্য মেয়াদোত্তীর্ণ হবে, সে সময়ে চলমান ঋণ বা তলবি ঋণের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ঋণস্থিতির ওপর এবং মেয়াদি ঋণের ক্ষেত্রে মেয়াদোত্তীর্ণ কিস্তির ওপর সর্বোচ্চ দেড় শতাংশ দণ্ড সুদ আরোপ করা যাবে।

ব্যাংক থেকে ঘোষিত সুদহারের অতিরিক্ত কোনো সার্ভিস চার্জ আদায় করা যাবে না।

বাংলাদেশ ব্যাংক বা সরকার কর্তৃক গঠিত প্রণোদনা প্যাকেজ/বিশেষ তহবিল/পুনঃঅর্থায়ন/প্রাক-অর্থায়ন তহবিলের আওতায় দেওয়া ঋণের সুদহার নির্ধারণে সংশ্লিষ্ট তহবিলের জন্য প্রণীত নীতিমালা প্রযোজ্য হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের স্মার্ট পদ্ধতি অনুযায়ী ঋণের সুদহার প্রতি মাসেই বাড়ছে। সে পদ্ধতি অনুযায়ী গত মার্চে ব্যাংক ঋণের সুদহার ১৩ দশমিক ১১ শতাংশ উন্নীত হয়। যা আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে ছিল ১২ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

সিআইপি কার্ড পাচ্ছেন ১৮৪ ব্যবসায়ী

Published

on

দুই

রপ্তানি বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৮৪ ব্যবসায়ীকে ২০২২ সালের জন্য বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা সিআইপি হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৪০ জনকে সিআইপি (রপ্তানি) এবং ৪৪ ব্যবসায়ী নেতাকে সিআইপি (ট্রেড) সম্মানে ভূষিত করা হবে।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৮ মে) বিকেল ৩টায় হোটেল রেডিসন ব্লুতে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু দেশের খ্যাতনামা রপ্তানিকারকদের সিআইপি (রপ্তানি ও টেড) কার্ড দেবেন।

নীতিমালা অনুযায়ী, ২০২২ সালের জন্য ২২ খাতের মধ্যে ১৮টি পণ্য ও সেবা খাত এবং ইপিজেডভুক্ত ‘সি’ ক্যাটাগরিতে মোট ১৪০ জনকে সিআইপি (রপ্তানি) এবং ৪৪ জনকে সিআইপি (ট্রেড) সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে। এ বছর পণ্য ও সেবা সংশ্লিষ্ট ২০ খাতে মোট ৩২৮টি আবেদন পাওয়া যায়। মেলামাইন ও জাহাজ নির্মাণশিল্প খাতে কোনো আবেদন পাওয়া যায়নি। ন্যূনতম আয়ের নিচে রপ্তানি আয় হওয়ায় চা খাতের একটি আবেদন অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়। রপ্তানিকারক, ব্যবসায়ী নেতা, সরকারি কর্মকর্তা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে সিআইপি (রপ্তানি)-২০২২ কার্ড প্রদান করা হবে। রপ্তানি খাতে অবদানের জন্য এক বছর মেয়াদে সিআইপি (রপ্তানি) নির্বাচন করা হয়। তবে বর্তমানে নির্বাচিত সিআইপিরা পরবর্তী বছরের সিআইপি (রপ্তানি) ঘোষণার পূর্ব পর্যন্ত সিআইপি (রপ্তানি) মর্যাদায় ভূষিত থাকবেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সিআইপি (রপ্তানি)-২০২২ নির্বাচনের ক্ষেত্রে সিআইপি (রপ্তানি) নীতিমালা-২০১৩ অনুসরণ করা হয়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালকের নেতৃত্বে প্রাথমিক বাছাই কমিটি এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের (রপ্তানি) নেতৃত্বে চূড়ান্ত বাছাই/নির্বাচন কমিটির মাধ্যমে প্রতিটি আবেদনপত্র মূল্যায়ন করা হয়। আবেদনপত্র মূল্যায়নের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের রপ্তানি আয় এবং নতুন বাজারে প্রবেশ ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করা হয়। এছাড়া রপ্তানিকারকের বাণিজ্য বিরোধের সংশ্লিষ্টতা, আয়কর, ভ্যাট, শুল্ক এবং ঋণ গ্রহণ/পরিশোধ ইত্যাদি সম্পর্কিত বিষয়াদিও যাচাই করা হয়। খেলাপি ঘোষিত আবেদনকারীদের আবেদন চূড়ান্ত মূল্যায়নে বিবেচনা করা হয় না।

সিআইপি (রপ্তানি) হিসেবে নির্বাচিত ব্যাবসায়ীরা বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশ পাস ও গাড়ির স্টিকার প্রাপ্তি, জাতীয় অনুষ্ঠান ও মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ, ব্যবসা সংক্রান্ত ভ্রমণে বিমান, রেলপথ, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকার, ব্যবসায়িক কাজে বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে লেটার অব ইন্ট্রোডাকশন প্রাপ্তি, নির্বাচিত সিআইপি তার স্ত্রী, পুত্র, কন্যা ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে কেবিন প্রাপ্তির অগ্রাধিকার এবং বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহার সুবিধা পেয়ে থাকেন। সরকারিভাবে প্রদত্ত সিআইপি কার্ডধারী বিদেশি ক্রেতার কাছে আস্থা ও সুনামের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক গ্রহণযোগ্যতা তুলে ধরতে পারেন, যা তার ব্যবসায়িক সম্পর্ককে সুদৃঢ় করার পাশাপাশি দেশের সার্বিক রপ্তানি প্রসারে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।

পণ্য/সেবার খাতওয়ারি মনোনীত সিআইপিদের (রপ্তানি ও ট্রেড) মধ্যে কাঁচাপাট ২ জন, পাটজাত পণ্য ৪ জন, চামড়াজাত দ্রব্য ৬ জন, হিমায়িত খাদ্য ৪ জন, তৈরি পোশাক (ওভেন) ১৮ জন মনোনীত হয়েছেন। এছাড়া কৃষিজাত দ্রব্য ৫ জন, অ্যাগ্রোপ্রসেসিং ৫ জন, হালকা প্রকৌশলী পণ্য ৪ জন, ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য তিনজন, হস্তশিল্পজাত পণ্য চারজন, স্পেশালাইজড/হোমটেক্সটাইল পণ্য চারজন, তৈরি পোশাক (নিটওয়্যার) ৩৪ জন, সিরামিক পণ্যিএকজন, প্লাস্টিকজাত পণ্য চারজন, টেক্সটাইল (ফেব্রিক্স) সাতজন, কম্পিউটার সফটওয়্যার দুজন, আসবাবপত্র একজন, বিবিধ পণ্য ২৭ জন, ইপিজেডভুক্ত সি ক্যাটাগরিতে ৫ জন সিআইপি হয়েছেন। একই সঙ্গে ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যে সিআইপি (ট্রেড ক্যাটাগরি) মনোনীত হয়েছেন ৪৪ জন।

সিআইপি কার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন
দুই
পুঁজিবাজার7 mins ago

দুই ঘণ্টায় লেনদেন ৫২১ কোটি টাকা

দুই
পুঁজিবাজার13 mins ago

তিন কোম্পানির লেনদেন চালু রবিবার

দুই
সারাদেশ16 mins ago

চট্টগ্রামে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত

দুই
অন্যান্য26 mins ago

ছয় অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা

দুই
জাতীয়30 mins ago

যুক্তরাজ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর সম্পত্তির অনুসন্ধান চেয়ে রিট

দুই
পুঁজিবাজার38 mins ago

পূবালী ব্যাংকের লেনদেন বন্ধ রোববার

দুই
অর্থনীতি53 mins ago

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে চায় তুরস্ক

দুই
জাতীয়60 mins ago

হজযাত্রীদের আবেগ অনুভূতিকে সম্মান দেখাতে হবে: ধর্মমন্ত্রী

দুই
আন্তর্জাতিক1 hour ago

শিক্ষার্থী ভিসায় কঠিন শর্ত জুড়ে দিলো অস্ট্রেলিয়া

দুই
আবহাওয়া1 hour ago

বায়ুদূষণে শীর্ষে লাহোর, তৃতীয় ঢাকা

দুই
জাতীয়2 hours ago

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২৬

দুই
পুঁজিবাজার2 hours ago

বিবিএস ক্যাবলসের শেয়ারহোল্ডার পরিচালকের শেয়ার বিক্রি সম্পন্ন

দুই
জাতীয়2 hours ago

জাতিসংঘের দুর্নীতি প্রতিরোধী সংস্থার সদস্য হলো বাংলাদেশ

দুই
পুঁজিবাজার2 hours ago

ওয়ালটনের উদ্যোক্তা পরিচালকের শেয়ার বিক্রি সম্পন্ন

দুই
পুঁজিবাজার2 hours ago

মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই মিথুন নিটিংয়ের

দুই
আন্তর্জাতিক2 hours ago

ভারতে কমছে হিন্দুদের সংখ্যা, বেড়েছে মুসলিম

দুই
আইন-আদালত3 hours ago

সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় আজ

দুই
পুঁজিবাজার3 hours ago

সিটি ব্যাংকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ

দুই
রাজধানী3 hours ago

রাজধানীতে যেসব মার্কেট বন্ধ বৃহস্পতিবার

দুই
পুঁজিবাজার3 hours ago

পূবালী ব্যাংকের প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ

দুই
আন্তর্জাতিক3 hours ago

সার্বিয়ায় বিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগ করবে চীন

দুই
জাতীয়3 hours ago

হজযাত্রার প্রথম ফ্লাইটে সৌদি গেলেন ৪১৩ যাত্রী

দুই
রাজনীতি12 hours ago

আ.লীগের যৌথসভা শুক্রবার

দুই
অর্থনীতি12 hours ago

রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা ১৪.৭৬৯ বিলিয়নে নামিয়ে আনলো আইএমএফ

দুই
সারাদেশ13 hours ago

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হলেন যারা

Advertisement

ফেসবুকে অর্থসংবাদ

২০১৮ সাল থেকে ২০২৩

অর্থসংবাদ আর্কাইভ

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১