অর্থনীতি
জ্বালানি তেলের দাম কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি

আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ চালু করেছে সরকার। দেশে প্রথমবারের মতো স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণের ঘোষনায় জ্বালানি তেলের দাম কমেছে। আগমীকাল শুক্রবার থেকে নতুন দাম কার্যকর হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) নতুন মূল্যের প্রজ্ঞাপন জারি করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনে দেখা যায়, প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনে দাম কমেছে ৭৫ পয়সা। পেট্রল কমেছে ৩ টাকা ও অকটেনে কমেছে ৪ টাকা।
এতে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১০৯ টাকা থেকে কমে হয়েছে ১০৮ টাকা ২৫ পয়সা। ভেজাল প্রতিরোধে কেরোসিনের দাম ডিজেলের সমান রাখা হয়। অকটেনের দাম ১৩০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ১২৬ টাকা। আর পেট্রলের দাম ১২৫ টাকা থেকে কমে হয়েছে ১২২ টাকা।
জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণের সূত্র নির্ধারণ করে নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয় গত ২৯ ফেব্রুয়ারি। এতে বলা হয়, দেশে ব্যবহৃত অকটেন ও পেট্রল ব্যক্তিগত যানবাহনে বেশি ব্যবহৃত হয়। তাই বাস্তবতার নিরিখে বিলাস দ্রব্য (লাক্সারি আইটেম) হিসেবে সব সময় ডিজেলের চেয়ে অকটেন ও পেট্রলের দাম বেশি রাখা হয়।
অকটেন ও পেট্রল বিক্রি করে সব সময়ই মুনাফা করে সরকারি প্রতিষ্ঠান বিপিসি। মূলত ডিজেলের ওপর বিপিসির লাভ-লোকসান নির্ভর করে। দেশে ব্যবহৃত জ্বালানি তেলের ৭৫ শতাংশই ডিজেল। দীর্ঘ সময় ধরে ডিজেল বিক্রি করেও মুনাফা করছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে বর্তমানে ডিজেল থেকে তেমন মুনাফা হচ্ছে না। খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আরও আগেই দাম কমানোর সুযোগ ছিল।
কাফি

অর্থনীতি
১৫ দিনে রেমিট্যান্স এলো সাড়ে ১৭ হাজার কোটি টাকা

চলতি অক্টোবর মাসের প্রথম ১৫ দিনে দেশে এসেছে প্রায় ১৪৩ কোটি ৫০ লাখ (এক দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার) মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ১৭ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ, প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৯ কোটি ৫৬ লাখ ডলার বা ১,১৬৭ কোটি টাকার প্রবাসী আয়।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, চলতি বছরের অক্টোবরের প্রথম ১৫ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ কোটি ৫০ লাখ ডলার বেশি। গত বছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিলো ১৩১ কোটি ডলার।
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরু থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ৯০২ কোটি ১০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই-১৩ অক্টোবর, ২০২৪) রেমিট্যান্স ছিলো ৭৮৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার। অর্থবছর অনুযায়ী রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের মাস ভিত্তিক প্রবাসী আয়ের প্রবাহ ছিল যথাক্রমে—জুলাই মাসে ২৪৭ কোটি ৭৮ লাখ ডলার, আগস্টে ২৪২ কোটি ১৯ লাখ ডলার এবং সেপ্টেম্বরে ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ডলার।
উল্লেখ্য, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মার্চ মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি ডলারে পৌঁছেছিলো, যা ছিলো ওই অর্থবছরের সর্বোচ্চ রেকর্ড। পুরো অর্থবছরে প্রবাসী আয় দাঁড়ায় ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিলো ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার। ওই অর্থবছরের মাসভিত্তিক রেমিট্যান্স ছিলো— জুলাইয়ে ১৯১.৩৭ কোটি, আগস্টে ২২২.১৩ কোটি, সেপ্টেম্বরে ২৪০.৪১ কোটি, অক্টোবরে ২৩৯.৫০ কোটি, নভেম্বরে ২২০ কোটি, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি, ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি, মার্চে ৩২৯ কোটি, এপ্রিলে ২৭৫ কোটি, মে মাসে ২৯৭ কোটি এবং জুনে ২৮২ কোটি ডলার।
অর্থনীতি
এক ও দুই টাকার কয়েন নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা

১ ও ২ টাকার কয়েন নিয়ে জনগণের উদ্দেশে নতুন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বিজ্ঞপ্তিতে ১ ও ২ টাকার ধাতব মুদ্রাকে (কয়েন) বৈধ উল্লেখ করার পাশাপাশি তা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানানোর ব্যাপারে সতর্ক করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব কমিউনিকেশন্স অ্যান্ড পাবলিকেশন্স থেকে গণমাধ্যমে এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় ১ ও ২ টাকার ধাতব মুদ্রা লেনদেনে কেউ কেউ অনীহা প্রকাশ করছেন। কিন্তু কাগজের নোটের পাশাপাশি প্রচলিত সব ধরনের ধাতব মুদ্রাই বৈধ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এসব মুদ্রা নগদ লেনদেনে গ্রহণ না করা আইনবিরোধী। সর্বসাধারণকে ১ ও ২ টাকার ধাতব মুদ্রা স্বাভাবিকভাবে লেনদেনে ব্যবহারের অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
অর্থনীতি
বেপজার নতুন নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোয়াজ্জেম

বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) ১৮তম নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দিয়েছেন মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন।
তিনি বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে যোগদান করেন। মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমানের স্থলাভিষিক্ত হলেন মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন।
বেপজায় যোগদানের আগে মেজর জেনারেল মোয়াজ্জেম বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সপ্তম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) এবং বরিশালের এরিয়া কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯২ সালের ২০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্টিলারি কোরে কমিশন লাভ করেন মেজর জেনারেল মোয়াজ্জেম হোসেন। দীর্ঘ ও বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে তিনি কমান্ড, স্টাফ এবং প্রশিক্ষণমূলক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত থেকে অসাধারণ নেতৃত্ব ও পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি দুটি আর্টিলারি ব্রিগেড এবং দুটি আর্টিলারি রেজিমেন্টের নেতৃত্ব দিয়েছেন। এছাড়া বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে প্লাটুন কমান্ডার, একটি ডিভিশনের কর্নেল স্টাফ এবং সেনা সদর দপ্তরের পরিচালক (বাজেট) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ (ডিএসসিএসসি), মিরপুর থেকে স্নাতক এবং ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ (এনডিসি) থেকে ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স (এনডিসি) ও আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স (এএফডব্লিউসি) সম্পন্ন করেছেন।
এছাড়া তিনি চীনের নানজিং আর্টিলারি একাডেমি এবং পাকিস্তানের স্কুল অব আর্টিলারিতে প্রশিক্ষণসহ বিদেশে বিভিন্ন সামরিক মহড়ায় অংশ নিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস থেকে এমফিল ডিগ্রি অর্জন করেছেন এবং বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করছেন।
অর্থনীতি
জাল নোটের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সতর্কবার্তা

দেশে বিপুল পরিমাণ জাল নোট ছড়িয়ে পড়েছে—সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন খবর ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, এ ধরনের ভ্রান্ত তথ্য জনমনে বিভ্রান্তি ও অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের কমিউনিকেশন্স অ্যান্ড পাবলিকেশন্স বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে জাল নোট তৈরি, বহন ও লেনদেন করা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ এবং এটি দণ্ডনীয় অপরাধ। বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জাল টাকার প্রচলন রোধে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে এবং নিয়মিতভাবে কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে।
জনসাধারণকে জাল নোট শনাক্ত ও প্রতিরোধে আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এজন্য চারটি করণীয় নির্দেশনা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সেগুলো হলো—নোট গ্রহণের সময় জলছাপ, নিরাপত্তা সুতা, অসমতল ছাপা, রঙ পরিবর্তনশীল কালি ও ক্ষুদ্র লেখা ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য যাচাই করা, বড় অঙ্কের লেনদেন ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে সম্পন্ন করা, নগদ লেনদেনে যতটা সম্ভব ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করা এবং সন্দেহজনক নোট পেলে বা জাল নোট সংক্রান্ত কোনো তথ্য জানা গেলে তাৎক্ষণিকভাবে নিকটস্থ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অথবা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, ‘আসল নোট চিনুন, নিরাপদ লেনদেন নিশ্চিত করুন’—এই স্লোগানে জনগণকে সচেতন করতে নিয়মিত প্রচারণা চালানো হচ্ছে। আসল নোটের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট ভিজিট করার পরামর্শও দিয়েছে দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থার প্রধান নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি।
অর্থনীতি
আরও ৫ পোশাক কারখানা পেলো এলইইডি সনদ

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে সবুজ শিল্পায়নের ধারা আরও একধাপ এগিয়ে গেলো। সম্প্রতি দেশের আরও পাঁচটি পোশাক কারখানা লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন (এলইইডি) সনদের স্বীকৃতি পেয়েছে। এরমধ্যে তিনটি কারখানা পেয়েছে প্লাটিনাম এবং দুটি পেয়েছে গোল্ড সার্টিফিকেশন।
পরিবেশবান্ধব কারখানার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) এই সনদ দিয়ে থাকে। ইউএসজিবিসি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের স্থপতিদের সমন্বয়ে গঠিত একটি কাউন্সিল। পৃথিবীজুড়ে এটি পরিবেশবান্ধব ভবন ও কারখানা নির্মাণে পরামর্শ ও সহায়তা দিয়ে থাকে।
প্লাটিনাম সার্টিফিকেশনপ্রাপ্ত কারখানাগুলোর মধ্যে পাকিজা নিট কম্পোজিট লিমিটেড এলইইডি প্লাটিনাম সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে ৮৭ পয়েন্ট পেয়ে। ফ্যাশন পালস লিমিটেড ৮৭ পয়েন্ট স্কোর করে এলইইডি প্লাটিনাম সনদ অর্জন করেছে।
একইভাবে, গাভা প্রাইভেট লিমিটেডও ৮৭ পয়েন্ট পেয়ে এলইইডি প্লাটিনাম সার্টিফিকেশন লাভ করেছে।
এদিকে, ভিজ্যুয়াল নিটওয়্যারস লিমিটেড ৭৬ পয়েন্ট পেয়ে এলইইডি গোল্ড সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে। অন্যদিকে, ট্যালিসম্যান পারফরম্যান্স লিমিটেড ৬২ পয়েন্ট স্কোর করে এলইইডি গোল্ড সার্টিফিকেশন পেয়েছে।
বাংলাদেশে সবুজ শিল্পের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা ইউএসজিবিসির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশে মোট ২৬৮টি কারখানা এলইইডি সনদপ্রাপ্ত। যার মধ্যে ১১৪টি প্লাটিনাম ও ১৩৫টি গোল্ড সার্টিফাইড কারখানা। এছাড়া বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি উচ্চ রেটিংপ্রাপ্ত এলইইডি কারখানার মধ্যে ৬৮টি এখন বাংলাদেশের। তৈরি পোশাক খাতের টেকসই উন্নয়নে বাংলাদেশের এ অর্জন বিশ্বে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।