Connect with us

অর্থনীতি

বৈদেশিক ঋণের প্রকল্প বাস্তবায়নে গতি বাড়ানোর নির্দেশ

Published

on

সিইও ফোরাম

বৈদেশিক অর্থায়নপুষ্ট প্রকল্পসমূহের অর্থছাড় ও বাস্তবায়নে গতি বাড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।

এ লক্ষ্যে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে অগ্রগতি পর্যালোচনার উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বুধবার (৬ মার্চ) মুখ্য সচিবের সভাপতিত্বে ওই কমিটির প্রথম সভা পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কমিটির সদস্য সচিব, প্রধান কার্যক্রম বিভাগ, পরিকল্পনা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব সত্যজিত কর্মকারসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগসমূহের জ্যেষ্ঠ সচিব/সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এডিপিভুক্ত ৪৭টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের বৈদেশিক অর্থায়নপুষ্ট প্রকল্পসমূহের অর্থছাড়/অগ্রগতি পর্যালোচনা, গ্রিন অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ডেভেলপমেন্ট (জিসিআরডি) নীতিমালার আলোকে প্রকল্প নির্ধারণ এবং পরিকল্পনা বিভাগ কর্তৃক প্রণীত প্রজেক্ট প্ল্যানিং সিস্টেম (পিপিএস) সফটওয়্যারের মাধ্যমে অনলাইনে প্রকল্প প্রক্রিয়াকরণের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

সভায় এডিপি/আরএডিপি অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানোর আগে মন্ত্রণালয়/বিভাগসমূহ যথাযথভাবে পরীক্ষা করে পরিকল্পনা কমিশনে পিপিএস সফটওয়্যারের মাধ্যমে অনলাইনে পাঠানোর বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়। এছাড়া, বৈদেশিক অর্থায়ন প্রাপ্তির লক্ষ্যে জিসিআরডি নীতিমালার আলোকে যথাযথ যাচাই করে প্রকল্প পরিকল্পনা কমিশনে পাঠাতে সভায় নির্দেশনা দেওয়া হয়।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত আরএডিপিতে প্রকল্প ঋণ/অনুদান খাতে ৪৭টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের মধ্যে ১০টি মন্ত্রণালয়/বিভাগ (বিদ্যুৎ বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ, রেলপথ মন্ত্রণালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, সেতু বিভাগ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়)-এর অনুকূলে বরাদ্দকৃত অর্থ আরএডিপিতে প্রকল্প ঋণ/অনুদানের মোট বরাদ্দের প্রায় ৮০ শতাংশ।

এ মন্ত্রণালয়/বিভাগসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতির ওপর আরএডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি বহুলাংশে নির্ভর করে। ফলে এ মন্ত্রণালয়/বিভাগসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি নিয়ে সভায় আলোচনা করা হয়। একই সঙ্গে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত আরএডিপিতে প্রকল্প ঋণ/অনুদান ব্যবহারে ৩৪ শতাংশের নিচে অগ্রগতিসম্পন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগসমূহের প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করা হয়।

এছাড়া সভায় বৈদেশিক অর্থায়নপুষ্ট প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নে ধীরগতির কারণ বা চ্যালেঞ্জ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্য সচিব পরিপত্র অনুসারে পুল গঠন করে প্রকল্প পরিচালক দ্রুত নিয়োগ ও প্রকল্প ঋণ/অনুদান ব্যবহারসহ সংশ্লিষ্ট প্রয়োজনীয় বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান এবং প্রকল্প অনুমোদনের সময় যুগপৎভাবে পিডি (প্রকল্প পরিচালক) নিয়োগের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি, বৈদেশিক অর্থায়নপুষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রকিউরমেন্ট প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপে উন্নয়ন সহযোগীর কাছ থেকে সম্মতি/অনাপত্তি (এনওসি) গ্রহণের বিষয়টি সহজীকরণের লক্ষ্যে প্রয়োজনে রাষ্ট্রদূতরাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে সভা করার বিষয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগকে (ইআরডি) অনুরোধ করেন।

একই সঙ্গে লাইন অব ক্রেডিটের (এলওসি) মাধ্যমে বাস্তবায়িত কিছু প্রকল্পে উদ্ভূত জটিলতা দ্রুত নিরসনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ইআরডিকে নির্দেশনা দেন মুখ্য সচিব।

সবুজ ও জলবায়ু সহনশীল উন্নয়নে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন ও ব্যবহার বাড়ানোর বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয় সভায়। নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের লক্ষ্যে কৃষিজমিতে (যে ফসলি হোক না কেন) কোনো সোলার প্ল্যান্ট স্থাপন করা যাবে না মর্মে অনুশাসন দেন মুখ্য সচিব। সেই অনুশাসন কঠোরভাবে প্রতিপালনের জন্য নির্দেশনা দেন তিনি।

পাশাপাশি মুখ্য সচিব জ্যেষ্ঠ সচিব/সচিবদের প্রকল্প বাস্তবায়নে নিবিড়ভাবে সংযুক্ত থেকে নিয়মিতভাবে পরিবীক্ষণ করার জন্য অনুরোধ করেন। সর্বোপরি বৈদেশিক অর্থায়নপুষ্ট প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করার জন্য গঠিত কমিটির সভা নিয়মিত আয়োজনের জন্য অনুরোধ করেন এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বৈদেশিক অর্থায়নপুষ্ট প্রকল্পসমূহের অর্থছাড় ও বাস্তবায়ন অগ্রগতি বৃদ্ধি পাবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এসএম

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি

রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা ১৪.৭৬৯ বিলিয়নে নামিয়ে আনলো আইএমএফ

Published

on

সিইও ফোরাম

চলতি অর্থবছর শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশি মুদ্রার রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা ২০ দশমিক ১০ বিলিয়ন থেকে কমিয়ে ১৪ দশমিক ৭৬৯ বিলিয়ন ডলার করতে সম্মত হয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।

আইএমএফের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর ফলে আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তির অর্থ পেতে বাংলাদেশের আর কোনো বাঁধা থাকলো না। ঋণের তৃতীয় কিস্তিতে ১ দশমিক ১৫২ বিলিয়ন ডলার পাবে বাংলাদেশ।

জানা গেছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে রিজার্ভ লক্ষ্যমাত্রা ১৪ দশমিক ৮৮৫ বিলিয়ন ডলার এবং ডিসেম্বর শেষে এ লক্ষ্যমাত্রা ১৫ দশমিক ৩০০ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ২০২৫ সালের মার্চ শেষে ১৬ দশমিক ৬০১ বিলিয়ন ডলার এবং জুন শেষে তা ১৯ দশমিক ৪৪০ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিপিএম৬ মেথড অনুযায়ী, বর্তমানে প্রকৃত রির্জাভ আছে ১৫ বিলিয়ন ডলার। ফলে আইএমএফের নতুর টার্গেটের তুলনায় দেশে রির্জাভ কিছুটা বেশি আছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ কীভাবে তার রিজার্ভ বাড়াবে সে বিষয়ে একটি পরিকল্পনা দিয়েছে আইএমএফ।

এদিকে বাংলাদেশ আইএমএফ ঋণের তৃতীয় কিস্তির অর্থ পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় সফররত দাতা সংস্থাটির ডেভেলপমেন্ট মাইক্রোইকোমিক্স ডিভিশনের প্রধান ক্রিস পাপাগেওর্জিউ। বুধবার (৮ মে) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

আইএমএফ প্রতিনিধিদল জানায়, বাংলাদেশের ঋণের পরবর্তী কিস্তি পেতে কোনো সমস্যা হবে না। ঋণদাতা তাদের বোর্ড মিটিংয়ের পর তৃতীয় কিস্তি ছাড় করবে। এরই মধ্যে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর উপায় নিয়ে কাজ করবে সরকার।

ক্রিস পাপাগেওর্জিউ বলেছেন, আইএমএফের তৃতীয় কিস্তির ঋণ পেতে বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে আইএমএফ প্রতিনিধিদল। এখন আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দাতা সংস্থাটির নির্বাহী বোর্ডের অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে।

আইএমএফ প্রতিনিধিদল প্রধান বলেন, আইএমএফ-সমর্থিত কর্মসূচির আওতায় গুরুত্বপূর্ণ কাঠামোগত সংস্কার করেছে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে পেট্রোলিয়াম পণ্যের জন্য ফর্মুলাভিত্তিক জ্বালানি মূল্য সমন্বয় নীতি তারা বাস্তবায়ন করেছেন। মূল্যস্ফীতিসহ নানা সমস্যা থাকা সত্ত্বেও বিনিময় হার পুনর্বিন্যাসে বাংলাদেশ ব্যাংক যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, সেগুলোকে স্বাগত জানিয়েছে আইএমএফ।

তিনি বলেন, নীতিগত পদক্ষেপ গ্রহণ শুরু করলে সামষ্টিক অর্থনীতি ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হবে। ধারণা করছি, আমদানি সংকোচ ও নীতি কাঠামোর কারণে চলতি অর্থবছরে প্রকৃত জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ। যাইহোক আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ কমে এবং আমদানি বেড়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৬ শতাংশ হবে বলে আমরা আশা করছি।

আমরা অনুমান করছি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৪ শতাংশ হবে। তবে কঠোর নীতির মিশ্রণ এবং বৈদেশিক খাদ্য ও দ্রব্যমূল্য কমার কারণে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি কমে ৭ দশমিক ২ শতাংশ হবে।

বাংলাদেশে জিডিপির তুলনায় রাজস্ব আদায় কম হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে আইএমএফ প্রতিনিধিদলের প্রধান বলেন, উন্নয়নমূলক বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য টেকসই রাজস্বকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এক্ষেত্রে জিডিপির দশমিক ৫ শতাংশ রাজস্ব বাড়াতে আগামী বাজেটে বাস্তব কর নীতি এবং বিভিন্ন প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিতে হবে।

মানি লন্ডারিং নিয়ে আইএমএফ কোনো কথা বলে না, কিন্তু শুল্ক অব্যাহতি কমাতে এনবিআরকে পরামর্শ দিচ্ছে। সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে আইএমএফ প্রতিনিধিদলের প্রধান বলেন, আইএফএফের একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি হচ্ছে অর্থ-পাচার নিয়ন্ত্রণ করা। আমাদের টার্গেট বিভিন্ন প্রোগ্রামকে সমর্থন দেওয়া যাতে ট্যাক্স বাড়ে। এনবিআরের সঙ্গে আমাদের প্রোগ্রাম আছে। মানি লন্ডারিং নিয়ে আমরা বিএফআইইউ’র সঙ্গে কাজ করছি। আমাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আমরা সুশাসন প্রতিষ্ঠার কথা বলি। এর মধ্যেই অর্থ-পাচার সমস্যার সমাধান আছে।

মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার মানুষের কষ্ট হচ্ছে, এর মধ্যে ট্যাক্স বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন, এতে মানুষের ভোগান্তি আরও বাড়বে কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের কর্মসূচির একটি বড় অংশ হলো সামাজিক নিরাপত্তা। কাজেই আমাদের নীতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ওপর কি প্রভাব ফেলে সে বিষয়ে সতর্ক থাকি। এনবিআরের সঙ্গে আলোচনায় বিষয়গুলো থাকে।

সুদের হার বেশি থাকার পরেও মূল্যস্ফীতি বেশি কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সুদের হার বাড়ালেও বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি স্টাবল আছে। আমাদের কাছে নতুন তথ্য আছে মূল্যস্ফীতি কমতির দিকে। বাংলাদেশে আগামী বছর মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে আসবে বলে আমরা মনে করছি।

ব্যাংক মার্জার নিয়ে করা এক প্রশ্নের উত্তরে ক্রিস পাপাগেওর্জিউ বলেন, ব্যাংক রি-ক্যাপিটালাইজেশনের যে উদ্যোগ নিয়েছে আমি মনে করি কখনো কখনো এর দরকার আছে। কারণ বাংলাদেশে ৬১টি ব্যাংক আছে, এরমধ্যে কিছু খুবই স্ট্রং, কিছু স্ট্রং না।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলার অংশ হিসেবে আইএমএফ গত বছরের জানুয়ারিতে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করে। ঋণ অনুমোদনের পরপরই প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার ছাড় করে সংস্থাটি। আগামী ২০২৬ সাল পর্যন্ত সাড়ে তিন বছরে সাত কিস্তিতে পুরো অর্থ দেওয়ার কথা রয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি অনুমোদন দেয় আইএমএফের বোর্ড।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

আগামী অর্থবছরে বাড়বে প্রবৃদ্ধি, কমবে মূল্যস্ফীতি: আইএমএফ

Published

on

সিইও ফোরাম

আমদানি সংকোচন ও নীতি কাঠামোর কারণে চলতি (২০২৩-২৪) অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৫.৪ শতাংশ হতে পারে এমন পূর্বাভাস দিয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) জানিয়েছে, আগামী (২০২৪-২৫) অর্থবছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৬.৬ শতাংশ হবে।

জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়ার পাশাপাশি আগামী অর্থবছর মূল্যস্ফীতিও কমে আসবে বলে জানিয়েছে এই দাতা সংস্থা। আইএমএফ বলছে, চলতি বছর (বছর ভিত্তি) মূল্যস্ফীতি ৯.৪ শতাংশ হবে। তবে আগামী (২০২৪-২৫) অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি কমে ৭.২ শতাংশে নেমে যাবে।

বুধবার (৮ মে) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা সফররত আইএমএফ প্রতিনিধি দলের প্রধান ক্রিস পাপাগেওর্জিউ।

ক্রিস পাপাগেওর্জিউ বলেন, নীতিগত পদক্ষেপ গ্রহণ শুরু করলে সামষ্টিক অর্থনীতি ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হবে। আমদানি সংকোচন ও নীতি কাঠামোর কারণে চলতি অর্থবছর প্রকৃত জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৫.৪ শতাংশ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ কমে এবং আমদানি বেড়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.৬ শতাংশ হবে বলে আমরা আশা করছি।

তিনি বলেন, আমরা অনুমান করছি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৯.৪ শতাংশ হবে। তবে কঠোর নীতির মিশ্রণ এবং বৈদেশিক খাদ্য ও দ্রব্যমূল্য কমার কারণে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি কমে ৭.২ শতাংশ হবে।

বাংলাদেশে জিডিপির তুলনায় রাজস্ব আদায় কম হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে আইএমএফ প্রতিনিধি দলের প্রধান বলেন, উন্নয়নমূলক বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য টেকসই রাজস্ব অগ্রাধিকার দিতে হবে। এক্ষেত্রে জিডিপির দশমিক ৫ শতাংশ রাজস্ব বাড়াতে আগামী বাজেটে বাস্তব করনীতি এবং বিভিন্ন প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিতে হবে।

মানি লন্ডারিং নিয়ে আইএমএফ কোনো কথা বলে না, কিন্তু শুল্ক অব্যাহতি কমাতে এনবিআরকে পরামর্শ দিচ্ছে। সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে আইএমএফ প্রতিনিধি দলের প্রধান বলেন, আইএফএফের একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি হচ্ছে অর্থপাচার নিয়ন্ত্রণ করা। আমাদের টার্গেট বিভিন্ন প্রোগ্রাম সমর্থন দেওয়া যাতে ট্যাক্স বাড়ে। এনবিআরের সঙ্গে আমাদের প্রোগ্রাম আছে। মানি লন্ডারিং নিয়ে আমরা বিএফআইইউ’র সঙ্গে কাজ করছি। আমাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আমরা সুশাসন প্রতিষ্ঠার কথা বলি। এর মধ্যেই অর্থপাচার সমস্যার সমাধান আছে।

মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় মানুষের কষ্ট হচ্ছে, এরমধ্যে ট্যাক্স বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন, এতে মানুষের ভোগান্তি আরও বাড়বে কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের কর্মসূচির একটি বড় অংশ হলো সামাজিক নিরাপত্তা। কাজেই আমাদের নীতি দরিদ্র গোষ্ঠীর ওপর কী প্রভাব ফেলে সে বিষয়ে আমরা সতর্ক থাকি। এনবিআরের সঙ্গে আলোচনায় বিষয়গুলো থাকে।

সুদের হার বেশি থাকার পরও মূল্যস্ফীতি বেশি কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সুদের হার বাড়ালেও বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি স্ট্যাবল আছে। আমাদের কাছে নতুন তথ্য আছে, মূল্যস্ফীতি কমতির দিকে। বাংলাদেশে আগামী বছর মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে আসবে বলে আমরা মনে করছি।

ব্যাংক মার্জার নিয়ে করা এক প্রশ্নের উত্তরে ক্রিস পাপাগেওর্জিউ বলেন, ব্যাংক রিক্যাপিটালাইজেশনের যে উদ্যোগ নিয়েছে আমি মনে করি কখনো কখনো এর দরকার আছে। কারণ বাংলাদেশে ৬১টি ব্যাংক আছে, এরমধ্যে কিছু খুবই স্ট্রং, কিছু স্ট্রং নয়।

এর আগে আইএমএফ প্রতিনিধি দলের প্রধান বলেন, আইএমএফ নির্বাহী বোর্ডের অনুমোদনের পর ঋণের তৃতীয় কিস্তি বাংলাদেশ পাবে।

তিনি বলেন, আইএমএফের তৃতীয় কিস্তির ঋণ পেতে বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধি দল। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দাতা সংস্থাটির নির্বাহী বোর্ডের অনুমতির অপেক্ষায়। এরপর দ্বিতীয় পর্যালোচনা শেষে ৯৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের কিস্তির ছাড় দেওয়া হবে।

আইএমএফের ডেভেলপমেন্ট মাইক্রো ইকোনমিক্স ডিভিশনের এই প্রধান বলেন, আইএমএফ-সমর্থিত কর্মসূচির আওতায় গুরুত্বপূর্ণ কাঠামোগত সংস্কার করেছে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে পেট্রোলিয়াম পণ্যের জন্য ফর্মুলাভিত্তিক জ্বালানি মূল্য সমন্বয় নীতি তারা বাস্তবায়ন করেছেন।

মূল্যস্ফীতিসহ নানান সমস্যা থাকার পরও বিনিময় হার পুনর্বিন্যাসে বাংলাদেশ ব্যাংক যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, সেগুলো স্বাগত জানিয়েছে আইএমএফ।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলার অংশ হিসেবে আইএমএফ গত বছরের জানুয়ারিতে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করে। ঋণ অনুমোদনের পরপরই প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার ছাড় করে সংস্থাটি। ২০২৬ সাল পর্যন্ত সাড়ে তিন বছরে সাত কিস্তিতে পুরো অর্থ দেওয়ার কথা রয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি অনুমোদন দেয় আইএমএফের বোর্ড।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

ঋণের স্মার্ট সুদহার পদ্ধতি থেকে সরে এলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

Published

on

সিইও ফোরাম

মাত্র দশ মাসের মাথায় ব্যাংক ঋণের সুদহার নির্ধারণ পদ্ধতি সিক্স মান্থ মুভিং এভারেজ রেট (স্মার্ট) প্রত্যাহার করলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ঋণের সুদহার পুরোপুরি বাজারভিত্তিক করতে ছয় মাসের ট্রেজারি বিলের গড় সুদ ভিত্তিক সুদহার ব্যবস্থা প্রত্যাহার করা হলো।

বুধবার (৮ মে) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ছয় মাসের ট্রেজারি বিলের গড় সুদহারের সঙ্গে নির্ধারিত মার্জিন যোগ করে এতদিন ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার নির্ধারণ করা হতো। আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চা অনুসরণের মাধ্যমে ব্যাংক ঋণের সুদহার পুরোপুরি বাজারভিত্তিক করতে ঋণের সুদহার নির্ধারণে স্মার্ট ভিত্তিক সুদহার ব্যবস্থা প্রত্যাহার করা হলো। ঋণের চাহিদা ও ঋণযোগ্য তহবিলের জোগান সাপেক্ষে ব্যাংকা-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণের সুদহার নির্ধারিত হবে।

ঋণের বাজারভিত্তিক সুদহার নির্ধারণে পাঁচটি শর্ত আরোপ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যার মধ্যে রয়েছে- ব্যাংকগুলো ঋণের খাতভিত্তিক সুদের হার ঘোষণা করবে এবং তুলনামূলক ঝুঁকি বিবেচনায় গ্রাহকভেদে ঘোষিত হারের চেয়ে এক শতাংশ কম বা বেশি হারে ঋণ বিতরণ করতে পারবে। এক্ষেত্রে ঋণের মঞ্জুরিপত্রে সুদহার অপরিবর্তনশীল নাকি পরিবর্তনশীল তা উল্লেখ থাকতে হবে।

কোনো ঋণের সুদহার পরিবর্তনশীল হলে তা বছরে সর্বোচ্চ কতবার বৃদ্ধি করা হবে এবং কত শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে তা আবশ্যিকভাবে মঞ্জুরিপত্রে উল্লেখ থাকতে হবে।

কোনো ঋণ অথবা ঋণের কিস্তি সম্পূর্ণ বা আংশিক মেয়াদোত্তীর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হলে যে সময়ের জন্য মেয়াদোত্তীর্ণ হবে, সে সময়ে চলমান ঋণ বা তলবি ঋণের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ঋণস্থিতির ওপর এবং মেয়াদি ঋণের ক্ষেত্রে মেয়াদোত্তীর্ণ কিস্তির ওপর সর্বোচ্চ দেড় শতাংশ দণ্ড সুদ আরোপ করা যাবে।

ব্যাংক থেকে ঘোষিত সুদহারের অতিরিক্ত কোনো সার্ভিস চার্জ আদায় করা যাবে না।

বাংলাদেশ ব্যাংক বা সরকার কর্তৃক গঠিত প্রণোদনা প্যাকেজ/বিশেষ তহবিল/পুনঃঅর্থায়ন/প্রাক-অর্থায়ন তহবিলের আওতায় দেওয়া ঋণের সুদহার নির্ধারণে সংশ্লিষ্ট তহবিলের জন্য প্রণীত নীতিমালা প্রযোজ্য হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের স্মার্ট পদ্ধতি অনুযায়ী ঋণের সুদহার প্রতি মাসেই বাড়ছে। সে পদ্ধতি অনুযায়ী গত মার্চে ব্যাংক ঋণের সুদহার ১৩ দশমিক ১১ শতাংশ উন্নীত হয়। যা আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে ছিল ১২ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

সিআইপি কার্ড পাচ্ছেন ১৮৪ ব্যবসায়ী

Published

on

সিইও ফোরাম

রপ্তানি বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৮৪ ব্যবসায়ীকে ২০২২ সালের জন্য বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা সিআইপি হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৪০ জনকে সিআইপি (রপ্তানি) এবং ৪৪ ব্যবসায়ী নেতাকে সিআইপি (ট্রেড) সম্মানে ভূষিত করা হবে।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৮ মে) বিকেল ৩টায় হোটেল রেডিসন ব্লুতে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু দেশের খ্যাতনামা রপ্তানিকারকদের সিআইপি (রপ্তানি ও টেড) কার্ড দেবেন।

নীতিমালা অনুযায়ী, ২০২২ সালের জন্য ২২ খাতের মধ্যে ১৮টি পণ্য ও সেবা খাত এবং ইপিজেডভুক্ত ‘সি’ ক্যাটাগরিতে মোট ১৪০ জনকে সিআইপি (রপ্তানি) এবং ৪৪ জনকে সিআইপি (ট্রেড) সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে। এ বছর পণ্য ও সেবা সংশ্লিষ্ট ২০ খাতে মোট ৩২৮টি আবেদন পাওয়া যায়। মেলামাইন ও জাহাজ নির্মাণশিল্প খাতে কোনো আবেদন পাওয়া যায়নি। ন্যূনতম আয়ের নিচে রপ্তানি আয় হওয়ায় চা খাতের একটি আবেদন অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়। রপ্তানিকারক, ব্যবসায়ী নেতা, সরকারি কর্মকর্তা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে সিআইপি (রপ্তানি)-২০২২ কার্ড প্রদান করা হবে। রপ্তানি খাতে অবদানের জন্য এক বছর মেয়াদে সিআইপি (রপ্তানি) নির্বাচন করা হয়। তবে বর্তমানে নির্বাচিত সিআইপিরা পরবর্তী বছরের সিআইপি (রপ্তানি) ঘোষণার পূর্ব পর্যন্ত সিআইপি (রপ্তানি) মর্যাদায় ভূষিত থাকবেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সিআইপি (রপ্তানি)-২০২২ নির্বাচনের ক্ষেত্রে সিআইপি (রপ্তানি) নীতিমালা-২০১৩ অনুসরণ করা হয়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালকের নেতৃত্বে প্রাথমিক বাছাই কমিটি এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের (রপ্তানি) নেতৃত্বে চূড়ান্ত বাছাই/নির্বাচন কমিটির মাধ্যমে প্রতিটি আবেদনপত্র মূল্যায়ন করা হয়। আবেদনপত্র মূল্যায়নের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের রপ্তানি আয় এবং নতুন বাজারে প্রবেশ ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করা হয়। এছাড়া রপ্তানিকারকের বাণিজ্য বিরোধের সংশ্লিষ্টতা, আয়কর, ভ্যাট, শুল্ক এবং ঋণ গ্রহণ/পরিশোধ ইত্যাদি সম্পর্কিত বিষয়াদিও যাচাই করা হয়। খেলাপি ঘোষিত আবেদনকারীদের আবেদন চূড়ান্ত মূল্যায়নে বিবেচনা করা হয় না।

সিআইপি (রপ্তানি) হিসেবে নির্বাচিত ব্যাবসায়ীরা বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশ পাস ও গাড়ির স্টিকার প্রাপ্তি, জাতীয় অনুষ্ঠান ও মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ, ব্যবসা সংক্রান্ত ভ্রমণে বিমান, রেলপথ, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকার, ব্যবসায়িক কাজে বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে লেটার অব ইন্ট্রোডাকশন প্রাপ্তি, নির্বাচিত সিআইপি তার স্ত্রী, পুত্র, কন্যা ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে কেবিন প্রাপ্তির অগ্রাধিকার এবং বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহার সুবিধা পেয়ে থাকেন। সরকারিভাবে প্রদত্ত সিআইপি কার্ডধারী বিদেশি ক্রেতার কাছে আস্থা ও সুনামের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক গ্রহণযোগ্যতা তুলে ধরতে পারেন, যা তার ব্যবসায়িক সম্পর্ককে সুদৃঢ় করার পাশাপাশি দেশের সার্বিক রপ্তানি প্রসারে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।

পণ্য/সেবার খাতওয়ারি মনোনীত সিআইপিদের (রপ্তানি ও ট্রেড) মধ্যে কাঁচাপাট ২ জন, পাটজাত পণ্য ৪ জন, চামড়াজাত দ্রব্য ৬ জন, হিমায়িত খাদ্য ৪ জন, তৈরি পোশাক (ওভেন) ১৮ জন মনোনীত হয়েছেন। এছাড়া কৃষিজাত দ্রব্য ৫ জন, অ্যাগ্রোপ্রসেসিং ৫ জন, হালকা প্রকৌশলী পণ্য ৪ জন, ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য তিনজন, হস্তশিল্পজাত পণ্য চারজন, স্পেশালাইজড/হোমটেক্সটাইল পণ্য চারজন, তৈরি পোশাক (নিটওয়্যার) ৩৪ জন, সিরামিক পণ্যিএকজন, প্লাস্টিকজাত পণ্য চারজন, টেক্সটাইল (ফেব্রিক্স) সাতজন, কম্পিউটার সফটওয়্যার দুজন, আসবাবপত্র একজন, বিবিধ পণ্য ২৭ জন, ইপিজেডভুক্ত সি ক্যাটাগরিতে ৫ জন সিআইপি হয়েছেন। একই সঙ্গে ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যে সিআইপি (ট্রেড ক্যাটাগরি) মনোনীত হয়েছেন ৪৪ জন।

সিআইপি কার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

নীতি সুদহার বাড়ালো বাংলাদেশ ব্যাংক

Published

on

দেশে মূল্যস্ফীতি কমাতে নীতি সুদহার বৃদ্ধি

নীতি সুদহার (পলিসি রেট) ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার থেকে নতুন সুদের হার কার্যকর হবে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি কমাতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার দাবি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের।

বুধবার (৮ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ নিয়ে ২০২২ সালের মে মাস থেকে বেশ কয়েকবার নীতি সুদহার বাড়াল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতি কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটি (এসএলএফ) রেট ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি (এসডিএফ) রেট ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে দেশে কার্যত সব তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এর আগে, গত ১৭ জানুয়ারি নীতি সুদহার ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৭৫ থেকে ৮ শতাংশ নির্ধারণ করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন
সিইও ফোরাম
রাজনীতি9 hours ago

আ.লীগের যৌথসভা শুক্রবার

সিইও ফোরাম
অর্থনীতি9 hours ago

রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা ১৪.৭৬৯ বিলিয়নে নামিয়ে আনলো আইএমএফ

সিইও ফোরাম
সারাদেশ10 hours ago

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হলেন যারা

সিইও ফোরাম
আবহাওয়া10 hours ago

কালবৈশাখী নিয়ে সারাদেশে তিনদিনের সতর্কবার্তা

সিইও ফোরাম
জাতীয়10 hours ago

প্রশাসক নিয়োগের বিধান রেখে ইউনিয়ন পরিষদ বিল পাসের সুপারিশ

সিইও ফোরাম
জাতীয়11 hours ago

৪৮ বছরে বিদেশ গেছেন এক কোটি ৬৩ লাখ মানুষ

সিইও ফোরাম
আন্তর্জাতিক11 hours ago

বিশ্ব ফুটবল দিবসের অনুমোদন দিলো জাতিসংঘ

সিইও ফোরাম
জাতীয়11 hours ago

পুলিশ সুপার হলেন সাত কর্মকর্তা

সিইও ফোরাম
অর্থনীতি11 hours ago

আগামী অর্থবছরে বাড়বে প্রবৃদ্ধি, কমবে মূল্যস্ফীতি: আইএমএফ

সিইও ফোরাম
জাতীয়11 hours ago

সচিব পদে পদোন্নতি পেলেন মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী

সিইও ফোরাম
কর্পোরেট সংবাদ12 hours ago

ইসলামী ব্যাংকের হজ বুথ উদ্বোধন

সিইও ফোরাম
জাতীয়12 hours ago

রিমান্ডে ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্তোরাঁর মালিক

সিইও ফোরাম
কর্পোরেট সংবাদ12 hours ago

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের রেমিট্যান্স ক্যাম্পেইনের র‌্যাফেল ড্র

সিইও ফোরাম
স্বাস্থ্য12 hours ago

ডেঙ্গুতে আরও ২২ জন আক্রান্ত

সিইও ফোরাম
কর্পোরেট সংবাদ12 hours ago

‘বেস্ট ট্রেড প্রোভাইডার’ স্বীকৃতি পেলো স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড

সিইও ফোরাম
অর্থনীতি13 hours ago

ঋণের স্মার্ট সুদহার পদ্ধতি থেকে সরে এলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

সিইও ফোরাম
জাতীয়13 hours ago

ঢাকায় ভারতের পররাষ্ট্র সচিব

সিইও ফোরাম
পুঁজিবাজার13 hours ago

সিইও ফোরামের সঙ্গে বৈঠক করবে ডিএসই

সিইও ফোরাম
পুঁজিবাজার13 hours ago

আয় বেড়েছে সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের

সিইও ফোরাম
পুঁজিবাজার13 hours ago

প্রিমিয়ার ব্যাংকের প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ

সিইও ফোরাম
স্বাস্থ্য14 hours ago

অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পরীক্ষা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সিইও ফোরাম
অর্থনীতি14 hours ago

সিআইপি কার্ড পাচ্ছেন ১৮৪ ব্যবসায়ী

সিইও ফোরাম
জাতীয়14 hours ago

‘কাচ্চি ভাই’ রেস্তোরাঁর মালিক গ্রেপ্তার

সিইও ফোরাম
জাতীয়14 hours ago

পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি অনেকাংশে সংযত করতে পেরেছি: প্রধানমন্ত্রী

সিইও ফোরাম
জাতীয়14 hours ago

দেশে সাড়ে ১১ লাখ টন খাদ্য মজুত আছে: খাদ্যমন্ত্রী

Advertisement

ফেসবুকে অর্থসংবাদ

২০১৮ সাল থেকে ২০২৩

অর্থসংবাদ আর্কাইভ

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১