অর্থনীতি
রমজান উপলক্ষে ৬০০ টাকা দরে বিক্রি হবে গরুর মাংস
পবিত্র রমজান উপলক্ষে ৬০০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান। আগামী ১০ মার্চ থেকে রাজধানীর ৩০ জায়গায় এ মাংস বিক্রি করা হবে।
সোমবার (৪ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মন্ত্রী।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, রমজান উপলক্ষ্যে সাশ্রয়ী মূল্যে মাছ ও মাংস বিক্রি করা হবে। এর মধ্যে ঢাকার ৩০ স্থানে ভ্রাম্যমাণ ট্রাক সেলের মাধ্যমে গরুর মাংস বিক্রি করা হবে ৬০০ টাকায়, খাসির মাংস ৯০০ টাকা, সলিড ব্রয়লার বিক্রি হবে ২৮০ টাকায়।
তিনি বলেন, ডিম বিক্রি হবে প্রতিটি ১০ টাকা ৫০ পয়সায়। কাজেই এটাই হলো আমাদের একটি অন্তবর্তীকালীন ব্যবস্থা। আগামী ১০ মার্চ সেটা উদ্বোধন করা হবে। এটি ঈদের আগের দিন পর্যন্ত চলবে।
আব্দুর রহমান বলেন, ঢাকার বাইরে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করার তাগিদ আছে। ব্যবসায়ীদের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে আপনারা মানুষকে কষ্ট দিয়ে অধিক মুনাফা লাভের চেষ্টা করবেন না।
ট্রাক সেলের মাধ্যমে ঢাকায় কম দামে মাছ ও মাংস বিক্রি করা হবে। ঢাকার বাইরে এ ধরনের কোনো পরিকল্পনা সরকারের আছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ঢাকায় ৩০ জায়গায় এটা করা হবে। পর্যায়ক্রমে সামর্থ্য অনুসারে এ ব্যাপারগুলো আরও বেশি জায়গায় প্রসারিত করার চেষ্টা করব।
রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ডিসিদের ভূমিকা নিয়ে মন্ত্রী বলেন, রমজান মাসে আমরা কঠোরভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করব। এবার ডিসিরা তাদের সকল সামর্থ্য নিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণে একমত হয়েছেন।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ব্যাংকঋণের সুদহার ১৪ শতাংশের বেশি হবে না: গভর্নর
চলতি অর্থবছরের প্রথম মুদ্রানীতিতে সুদহারের সীমা তুলে স্মার্ট পদ্ধতিতে নির্ণয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে নিয়মিতই বেড়ে চলেছে ব্যাংকঋণের সুদহার। টানা বেড়ে চলা ব্যাংকের সুদহারে এক প্রকার অস্বস্তিতে ফেলেছে দেশের ব্যবসায়ীদের। তবে ব্যবসায়ী নেতাদের আশ্বস্ত করে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার বলেছেন, ব্যাংক ঋণের সুদ ১৪ শতাংশের বেশি হবে না।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) নেতারা এক বৈঠকে সুদহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর এ আশ্বাস দেন।
এসময় এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি জসিম উদ্দিন, বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান কচি, বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম এবংপ্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহসান খান চৌধুরীসহ শীর্ষ ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ডলারের দাম হঠাৎ করেই ৭ টাকা বেড়ে যাওয়ার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আমরা গভর্নরকে বলেছি এটি যেন ১১৭ টাকায় থাকে। তিনি আমাদের এক টাকা কম অথবা বেশির মধ্যে রাখার কথা বলেছেন। ডলার নিয়ে এখনো সমস্যা আছে। আমরা এলসি করার সময়ও একই রেট থাকার কথা বলেছি। গভর্নর আমাদের বলেছেন ডলার সংকট রয়েছে, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সংকট পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।
সুদহার বিষয়ে মাহবুবুল আলম বলেন, ডলারের মতো সুদহার বাজারের ওপরে ছেড়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন যে সুদের হার আছে তাতে ১৪ শতাংশের ওপরে উঠবে না আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ এর মধ্যেই আটকে দেবে সুদহার। তবে ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণে খরচ ৬ থেকে ৮ শতাংশ হলে সুদের হার ১২ শতাংশের ওপরে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, একক গ্রাহক ঋণসীমা হঠাৎ বেড়েছে ডলার রেটের কারণে। ডলারের দাম একবারে বেশি হওয়ায় ঋণও বেড়েছে। ডলারের দাম একসঙ্গে ৭ টাকা বাড়ার কারণে যে পরিমাণ ঋণ বেড়েছে সে পরিমাণ টাকার দীর্ঘমেয়াদি ঋণের আবেদন করেছেন ব্যবসায়ীরা। এখানে বিশেষ বিবেচনায় ছাড় দেওয়ার কথা জানিয়েছেন গভর্নর।
এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্মার্ট (ট্রেজারি বিলের ছয় মাসের চলমান গড় হার) রেফারেন্স রেট ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে বাজারভিত্তিক সুদহারে ফিরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছিল। গত ৫ মে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর বলেন, আমি মনে করি, আমরা বাজারভিত্তিক সুদহারের খুব কাছাকাছি। আশা করছি খুব শীঘ্রই আমরা একটি সম্পূর্ণ বাজারভিত্তিক সুদহার ব্যবস্থায় চলে যাব।
বাংলাদেশ ব্যাংক ৮ মে নীতি সুদহার ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে সাড়ে ৮ শতাংশ করেছে। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল এ ধরনের হার নির্ধারণের পরামর্শ দিয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশকে আইএমএফ-এর ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়ার অন্যতম শর্ত এটি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
চট্টগ্রামের বে টার্মিনালে ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করলো আবুধাবি পোর্টস
চট্টগ্রাম বন্দরের বে টার্মিনাল প্রকল্পের অধীন মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণে ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করছে আবুধাবি পোর্টস গ্রুপ (এডি পোর্টস)। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে এডি পোর্টস, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (সিপিএ), নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং এডি পোর্টসের বাংলাদেশ এজেন্ট সাইফ পাওয়ারটেকের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করা হয়েছে।
জানা যায়, টার্মিনালটি নির্মিত হলে চট্টগ্রাম বন্দর বছরে ১০ লাখ টিইইউ (টোয়েন্টি-ফুট ইকুইভ্যালেন্ট ইউনিট) কন্টেইনার এবং ৭০ লাখ মেট্রিক টন কার্গো হ্যান্ডলিং করতে পারবে। এতে দেশের আমদানি ও রপ্তানি দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি পরিবহন খরচ এবং সময় কমে আসবে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহেল এর আগে বলেছিলেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ টার্মিনালের অর্থায়নের জন্য এডি পোর্টসের প্রাথমিক প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। তবে নন-বাইন্ডিং সমঝোতার সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামীর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বর্তমান চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে পতেঙ্গা হালিশহর উপকূল বরাবর আড়াই হাজার একর জমিতে বে টার্মিনালটি নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পের অধীনে মোট ৪টি টার্মিনাল নির্মিত হবে। এর মধ্যে আবুধাবি পোর্ট গ্রুপের বিনিয়োগ সহায়তায় মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণ করবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া দেড় বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে পিএসএ ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেড (পূর্বের পোর্ট অব সিঙ্গাপুর অথোরিটি) এবং ডিপি ওয়ার্ল্ড (দুবাইভিত্তিক একটি আমিরাতি বহুজাতিক লজিস্টিক কোম্পানি) উভয়ে দেড় বিলিয়ন ডলার করে বিনিয়োগ করে দুটি কন্টেইনার টার্মিনাল করবে। লিকুইড কার্গো টার্মিনাল নির্মাণে সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে ইস্ট কোস্ট গ্রুপ ও তাদের বিদেশি সহযোগী প্রতিষ্ঠান।
এছাড়া বে টার্মিনালের চ্যানেল তৈরিতে বিনিয়োগ করা হবে ৫০০ মিলিয়ন ডলার। ব্রেক ওয়াটার (ঢেউ নিরোধক বাধ), ট্রাক টার্মিনালসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে বিনিয়োগ হবে প্রায় ১০০০ কোটি ডলার।
চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, বে টার্মিনাল প্রকল্পের মাল্টিপারপাস টার্মিনাল এবং দুটি কন্টেইনার টার্মিনালে বার্থের দৈর্ঘ্য তিন হাজার ৯৫০ মিটার। এর মধ্যে মাল্টিপারপাস টার্মিনালে বার্থের দৈর্ঘ্য দেড় হাজার মিটার। মাল্টি পারপাস টার্মিনালের মোট বার্থসংখ্যা ৫টি। টার্মিনালে প্যানামেক্স ক্লাসের কন্টেইনার জাহাজ, বাল্ক ক্যারিয়া, রো রো শিপ ইত্যাদি জাহাজ ভিড়তে পারবে। দুটি কন্টেইনার টার্মিনালের প্রতিটির বার্থ এরিয়া হবে এক হাজার ২২৫ মিটার করে। কন্টেইনার টার্মিনালে বার্থের সংখ্যা ৪টি করে মোট ৮টি।
এ বিষয়ে এডি পোর্টস গ্রুপের স্থানীয় এজেন্ট সাইফ পাওয়ারটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার রুহুল আমিন জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে চুক্তি করার ক্ষেত্রে সকল কমপ্লায়েন্স মেনেছে এডি পোর্টস গ্রুপ।
বাংলাদেশ ফ্রোইট ফরোয়ার্ডার অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট খায়রুল আলম সুজন বলেন, বে টার্মিনাল প্রকল্প আমাদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা। সেটি বাস্তবায়ন হতে চলেছে; এটি নিঃসন্দেহে ইতিবাচক। টার্মিনালটির কার্যক্রম শুরু হলে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে গতি আসবে, বড় জাহাজ ভিড়তে পারবে। এতে সময় ও ব্যয় কমে আসবে।
তিনি আরও বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে জাহাজ ভেড়ানোর ক্ষেত্রে জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভর করতে হবেনা। টার্মিনালটিতে ছয় হাজার কন্টেইনার বহনক্ষমতাসম্পন্ন জাহাজ পরিচালনা করা সম্ভব হবে। বর্তমান বন্দরের জেটিতে প্রায় দুই হাজার কন্টেইনার ধারণক্ষমতার জাহাজ ঢুকতে পারে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে ১০ মিটার গভীরতা ও ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের বড় জাহাজ প্রবেশ করতে পারে না। বে টার্মিনালে ভিড়তে পারবে ১২ মিটার গভীরতা ও ২৮০ মিটার পর্যন্ত দৈর্ঘ্যের জাহাজ।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
২১ মে ব্যাংক বন্ধ থাকবে যেসব এলাকায়
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের দেশের ১৫৭টি উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সব ব্যাংক মঙ্গলবার (২১ মে) বন্ধ থাকবে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন (ডিওএস) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ১৫ মে তারিখের প্রজ্ঞাপন মোতাবেক আগামী ২১ মে রংপুর বিভাগের ২১টি, রাজশাহী বিভাগের ১৯টি, খুলনা বিভাগের ২৫টি, বরিশাল বিভাগের ১৪টি, ঢাকা বিভাগের ৩০টি, ময়মনসিংহ বিভাগের ১১টি, সিলেট বিভাগের ১১টি ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২৬টি উপজেলায় পরিষদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচন উপলক্ষে ভোটের দিন সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকাগুলোতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে নির্বাচন উপলক্ষে ভোটের দিন সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় অবস্থিত তফসিলি ব্যাংকগুলোর আঞ্চলিক কার্যালয়সহ সব শাখা বা উপশাখা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এ ছাড়া এ-সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে দেশে কার্যত সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন বাজেট অনুমোদন
আগামী অর্থবছরের (২০২৪-২৫) জন্য দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন বাজেট অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি)। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন এনইসি চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে, গত ৭ মে পরিকল্পনা কমিশনের বর্ধিত সভায় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) খসড়া চূড়ান্ত করা হয়। সভা শেষে পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিৎ কর্মকার বিস্তারিত জানান।
তিনি বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জন্য দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন দিয়েছে এনইসি। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে এক লাখ ৬৫ হাজার কোটি এবং বৈদেশিক ঋণ থেকে এক লাখ কোটি টাকা ব্যয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
সিনিয়র সচিব বলেন, আগামী অর্থবছরের জন্য এডিপিতে সরকারি ও বৈদেশিক সহায়তা মিলে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। এর বাইরেও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন আছে ১৩ হাজার ২৮৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে ধরলে নতুন এডিপির আকার দাঁড়াবে দুই লাখ ৭৮ হাজার ২৮৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আসছে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি
আগামী অর্থবছরের (২০২৪-২৫) জন্য বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) প্রস্তুত করেছে পরিকল্পনা কমিশন। নতুন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন বাজেট চূড়ান্ত করেছে পরিকল্পনা কমিশন। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় অর্থবছরের জন্য উন্নয়ন বাজেট অনুমোদনের জন্য তোলা হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন এনইসি চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে, গত ৭ মে পরিকল্পনা কমিশনের বর্ধিত সভায় এডিপির খসড়া চূড়ান্ত করা হয়।
পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে আগামী অর্থবছরে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জন্য দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) খসড়া চূড়ান্ত করেছে পরিকল্পনা কমিশন। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে এক লাখ ৬৫ হাজার কোটি এবং বৈদেশিক ঋণ থেকে এক লাখ কোটি টাকা ব্যয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
কর্মকর্তারা আরও জানান, আগামী অর্থবছরের জন্য নতুন এডিপির যে আকার নির্ধারণ করা হয়েছে, এটি চলতি অর্থবছরের মূল এডিপির তুলনায় দুই হাজার কোটি বা শূন্য দশমিক ৭৬ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া, সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (আরএডিপি) তুলনায় ২০ হাজার কোটি টাকা বা ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ বেশি। অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে। এই খাতে বরাদ্দের পরিমাণ ৭০ হাজার ৬৮৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। তবে, মন্ত্রণালয়ভিত্তিক সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাবে স্থানীয় সরকার বিভাগ। তাদের জন্য বরাদ্দ থাকছে ৩৮ হাজার ৮০৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
পরিকল্পনা কমিশন জানায়, আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত এডিপিতে সরকারি ও বৈদেশিক সহায়তা মিলে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। এর বাইরেও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন আছে ১৩ হাজার ২৮৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে ধরলে নতুন এডিপির আকার দাঁড়াবে দুই লাখ ৭৮ হাজার ২৮৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
এডিপির ১৫টি খাতের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৪০ হাজার ৭৫১ কোটি ৮৬ লাখ এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাচ্ছে শিক্ষা খাত ৩১ হাজার ৫২৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা। অন্যান্য খাতের মধ্যে গৃহায়ন ও কমিউনিটি সুবিধাবলী ২৪ হাজার ৮৬৮ কোটি তিন লাখ, স্বাস্থ্যে ২০ হাজার ৬৮২ কোটি ৮৮ লাখ, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়নে ১৭ হাজার ৯৮৬ কোটি ২১ লাখ এবং কৃষি খাতে ১৩ হাজার ২১৯ কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া, শিল্প ও অর্থনৈতিক সেবায় ছয় হাজার ৪৯২ কোটি ১৮ লাখ, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তিতে চার হাজার ৭৮৬ কোটি ৯২ লাখ, ধর্ম-সংস্কৃতি ও বিনোদনে তিন হাজার ৪৯২ কোটি, সামাজিক সুরক্ষায় তিন হাজার ৩০৪ কোটি, জনশৃঙ্খলা ও সুরক্ষায় তিন হাজার ৩০৮ কোটি এবং সাধারণ সরকারি সেবা খাতে দেওয়া হচ্ছে দুই হাজার ১৩৩ কোটি টাকা।
আগামী অর্থবছরের এডিপিতে মন্ত্রণালয়ভিত্তিক দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগকে। তাদের জন্য বরাদ্দ থাকছে ৩২ হাজার ৪২ কোটি টাকা। তৃতীয় সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ বিভাগকে দেওয়া হচ্ছে ২৯ হাজার ১৭৬ কোটি টাকা। এ ছাড়া, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে ১৬ হাজার ১৩৫ কোটি, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগকে ১৩ হাজার ৭৪১ কোটি, রেলপথ মন্ত্রণালয়কে ১৩ হাজার ৭২৫ কোটি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়কে ১২ হাজার ৮৮৬ কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে। আর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগকে ১১ হাজার ৩৮৭ কোটি, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়কে ১০ হাজার ৩৭৩ কোটি এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে আট হাজার ৬৮৭ কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে।
আগামী অর্থবছরের এডিপিতে বরাদ্দসহ মোট প্রকল্প থাকছে এক হাজার ৩৩৭টি। এর মধ্যে বিনিয়োগ প্রকল্প এক হাজার ১৪৯টি, কারিগরি সহায়তার ৮৬টি এবং সমীক্ষা প্রকল্প রয়েছে ২৩টি। মোট প্রকল্পের মধ্যে চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপি থেকে স্থানান্তর হবে এক হাজার ২৭৭টি প্রকল্প। বাকিগুলোর মধ্যে নতুন অনুমোদিত প্রকল্প রয়েছে ৬০টি।