অর্থনীতি
এমডি নিয়োগের যোগ্যতা যাচাইয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কমিটি

ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে ব্যাংকের মনোনীত ব্যক্তির যোগ্যতা যাচাইয়ের চার সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কমিটির নাম দেওয়া হয়েছে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদে নিয়োগ/পুনঃনিয়োগ বিষয়ক মূল্যায়ন কমিটি।
রবিবার (৩ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্বেচ্ছায় বা পর্ষদের চাপে যেকোনোভাবে ব্যাংকের এমডি পদ ছাড়তে গেলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন লাগবে। এমডি নিয়োগের আগে তার শিক্ষাগত যোগ্যতা, কর্ম অভিজ্ঞতাসহ প্রস্তাব পাঠাতে হবে বাংলাদেশ ব্যাংকে। মনোনীত ব্যক্তির সাক্ষাৎকার নেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি কমিটি। ওই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে এমডি নিয়োগে অনুমোদন দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রজ্ঞাপনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, ব্যাংকের এমডি হিসেবে ব্যাংকের মনোনীত ব্যক্তির যোগ্যতা, উপযুক্ততা, অভিজ্ঞতা, বয়স ও নেতৃত্বের গুণাবলীর বিষয়াদি যাচাইয়ের একজন ডেপুটি গভর্নরের নেতৃত্বে চার সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এমডি নিয়োগ মূল্যায়ন কমিটিতে সভাপতি হিসেবে থাকবেন ডেপুটি গভর্নর (ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত)। বাকি তিন সদস্যের মধ্যে রয়েছেন- নির্বাহী পরিচালক (ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত), নির্বাহী পরিচালক (ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত) এবং পরিচালক (ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ, ডিভিশন-২)।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নিয়োগের মেয়াদ হবে সাধারণভাবে তিন বছর। তবে তিনি পুনর্নিয়োগের যোগ্য হবেন। পুনর্নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীর বয়স যদি ৬৫ বছর অতিক্রান্ত হতে তিন বছরের কম সময় থাকে তবে সেক্ষেত্রে উক্ত সময়ের জন্যও তাকে নিয়োগ দেওয়া যাবে। তবে যে মেয়াদের জন্যই প্রস্তাব করা হোক না কেন বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রার্থীর সাক্ষাৎকার গ্রহণের পর তার উপযুক্ততা পরীক্ষান্তে যে মেয়াদের জন্য নিয়োগ সুপারিশ করা হবে সে মেয়াদের জন্য তাকে ব্যাংক নিয়োগ প্রদান করবে।
এর আগের গত ২৭ ফেব্রুয়ারি এক নির্দেশনায় বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, এমডিকে অপসারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতি লাগবে। কোনো এমডি চরম স্খলন বা বিচ্যুতিপূর্ণ কাজ না করলে চুক্তির মেয়াদপূর্তির আগে কাউকে তার পদ থেকে অপসারণ বা চুক্তি বাতিল করা যাবে না। চুক্তি বাতিল বা অপসারণ করতে চাইলে সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠাতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক এরূপ প্রস্তাব অনুমোদন করলে এক মাস পর তা কার্যকর হবে। একইভাবে বাংলাদেশ ব্যাংক নাকচ করলে মেয়াদের অবশিষ্ট সময় এমডি স্বপদে বহাল থাকবেন। মেয়াদ শেষের আগে কেউ পদত্যাগ করতে চাইলে পরিচালনা পর্ষদের সুপারিশসহ বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠাতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকে ব্যক্তিগত শুনানির পর যে সিদ্ধান্ত দেবে, তা কার্যকর হবে।

অর্থনীতি
বছরে একবারের বেশি স্বর্ণ আনলে মিলবে না ব্যাগেজ রুলসের ছাড়

শুল্ক পরিশোধ করে বিদেশ থেকে স্বর্ণ আনার সুবিধা আরও সংকুচিত করলো অন্তর্বর্তী সরকার। শুল্ক পরিশোধ সুবিধার আওতায় ঘন ঘন দেশে স্বর্ণ আমদানিকে নিরুৎসাহিত করতে ব্যাগেজ রুলসে পরিবর্তন আনা হয়েছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে।
এখন থেকে কোনো যাত্রী বছরে একবারের বেশি ব্যাগেজ রুলসের সুবিধায় স্বর্ণ আনতে পারবেন না।
সোমবার (২ জুন) অর্থমন্ত্রী ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের রেকর্ডকৃত বক্তব্যের মাধ্যমে এই সংশোধনের ঘোষণা দেন।
বর্তমানে ঘোষণা দিয়ে একজন যাত্রী বছরে যতবার ইচ্ছা ১১৭ গ্রাম বা ১০ ভরি স্বর্ণ আনতে পারেন এবং এতে ৪০ হাজার টাকা কর দিতে হয়।
এই পরিবর্তনের ফলে কোনো যাত্রী বছরে একবারের বেশি ব্যাগেজ রুলসের সুবিধায় স্বর্ণ আনতে পারবেন না।
বাণিজ্যিকভাবে স্বর্ণ আমদানির অনুমতি থাকলেও বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) নেতারা বলছেন, আমদানির তুলনায় ব্যাগেজ রুলসের আওতায় স্বর্ণ আনা তুলনামূলক সস্তা। তাই অনেকে আমদানির বদলে যাত্রীদের মাধ্যমে ব্যাগেজ রুলস ব্যবহারে বেশি আগ্রহী।
এমনকি অনেক চোরাচালানকারীও এই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সরকার ২০১৮ সালে দেশে বাণিজ্যিকভাবে স্বর্ণ আমদানির অনুমতি দিলেও তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ওই বছর থেকে চার বছরে আনুষ্ঠানিক চ্যানেলে দেশে এসেছে মাত্র ১৪৫ কেজি স্বর্ণ, যা দেশে স্বর্ণের বার্ষিক চাহিদার এক শতাংশেরও কম।
তবে ব্যাগেজ রুলসের আওতায় প্রতিদিন শত কেজির বেশি স্বর্ণ দেশে প্রবেশ করছে, যা আইনি হলেও আমদানির হিসাব ও নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকছে।
আগের ব্যাগেজ রুলস অনুযায়ী, একজন নারী যাত্রী ১০০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণালঙ্কার বিনা শুল্কে আনতে পারতেন।
অর্থনীতি
বাড়ছে না বিদ্যুতের দাম

বিদ্যুৎ উৎপাদনের সার্বিক ব্যয় ১০ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব করা হলেও আপাতত দাম বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সোমবার (২ জুন) ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণায় তিনি এ তথ্য জানান।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আপাতত বিদ্যুতের মূল্য না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। একইসঙ্গে চলতি বছরের মধ্যে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ৬৪৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
তিনি বলেন, বিদ্যমান উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রেক্ষাপটে নীতিগতভাবে আমরা বিদ্যুতের মূল্য আপাতত না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিদ্যুৎ খাতে প্রদত্ত ভর্তুকির পরিমাণ ক্রমান্বয়ে হ্রাস করার লক্ষ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সার্বিক ব্যয় ১০ শতাংশ কমানোর পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তিগুলোও পর্যালোচনা করছি এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় কমাতে এনার্জি অডিট করার উদ্যোগ নিয়েছি।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, গ্যাস উত্তোলন বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ বছরের মধ্যেই অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ৬৪৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করার এবং ২০২৮ সালের মধ্যে স্থানীয় কূপ থেকে অতিরিক্ত ১৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
অর্থনীতি
চলতি জুনেই মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে নেমে আসবে: অর্থ উপদেষ্টা

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিগত মাসগুলোতে সরকারের ধারাবাহিক সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অবলম্বন করায় এবং সরকারি ব্যয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ হ্রাস পাওয়ায় মূল্যস্ফীতি হ্রাস পেয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি জুন মাসেই পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে নেমে আসবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সোমবার (২ জুন) ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় এ কথা বলেন। তার এ বক্তৃতা বাংলাদেশ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, গত বছরের আগস্ট মাসে আমাদের সরকার যখন দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করে তখন আমাদের সামনে সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল নিয়ন্ত্রণহীন মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরে মানুষকে স্বস্তি দেওয়া।
তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিগত মাসগুলোতে আমরা ধারাবাহিকভাবে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অবলম্বন করেছি। এর ফলে নীতি সুদের হার ১৫০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে এখন ১০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মুদ্রানীতির আওতায় গৃহীত কার্যক্রমকে সহায়তা করতে সংকোচনমূলক রাজস্বনীতি অনুসরণ করা হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমিয়ে আনায় সার্বিকভাবে সরকারি ব্যয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে। এর ইতিবাচক প্রভাব ইতোমধ্যে দৃশ্যমান হয়ে উঠতে শুরু করেছে। পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসের ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে ৯ দশমিক ১৭ শতাংশে নেমে এসেছে। আশার কথা হলো এবারের রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্মরণকালের মধ্যে সবচাইতে স্থিতিশীল ছিল। এ ধারা অব্যাহত থাকলে এই জুন মাসেই পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশের কোঠায় নেমে আসবে। মূল্যস্ফীতির সঙ্গে এ লড়াইয়ের ফলে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার অন্যান্য বছরের তুলনায় কিছুটা কম হতে পারে।
মূল্যস্ফীতির নিম্নমুখী ধারা অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল থাকা জরুরি উল্লেখ করে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল থাকা অত্যাবশ্যক। প্রবাস আয়ের প্রবৃদ্ধি আশাব্যঞ্জক হওয়ায় এবং রপ্তানি স্থিতিশীল থাকায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এপ্রিল মাসে বৃদ্ধি পেয়ে ২৭ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে, যা টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সে কারণে আমরা বিগত ১৪ মে তারিখে বাজারভিত্তিক মুদ্রা বিনিময় হার চালু করেছি।
কাফি
অর্থনীতি
বাড়বে প্লাস্টিক পণ্যের দাম

২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে প্লাস্টিকের তৈরি আসবাবপত্র, তৈজসপত্রসহ সব ধরনের পণ্যে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট দ্বিগুণ করার প্রস্তাব করতে যাচ্ছে সরকার।
সোমবার (২ জুন) আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানান।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, প্লাস্টিকের তৈরি সব ধরনের টেবিলওয়্যার, কিচেনওয়্যার, গৃহস্থালী সামগ্রী, হাইজেনিক ও টয়লেট্রিজ সামগ্রীসহ অনুরূপ যেকোনো পণ্যের উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাটের হার ৭ দশমিক ৫ শতাংশের পরিবর্তে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
অর্থনীতি
বাজেটে রেকর্ড বরাদ্দ বেড়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের

২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জন্য ২৪২৩ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছেন সরকারের প্রধান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এর মধ্যে ১৪৪০ কোটি ৩৭ লাখ টাকা উন্নয়ন খাতে এবং ৯৮২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা পরিচালন খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
সোমবার (০২ জুন) অর্থ উপদেষ্টা ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এ বরাদ্দের ঘোষণা দেন।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে এই মন্ত্রণালয়ের মোট বরাদ্দ ছিল ১৫৮০ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। সে তুলনায় নতুন প্রস্তাবিত বাজেট প্রায় ৮৪২ কোটি টাকা বেশি, যা এক লাফে প্রায় ৫৩ শতাংশ বৃদ্ধি।
উন্নয়ন খাতে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প
নতুন অর্থবছরের বাজেটে ক্রীড়া ও যুব উন্নয়নের বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে:
-উপজেলা পর্যায়ে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্ব
-নড়াইলে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ স্টেডিয়াম ও টেবিল টেনিস ভবনের আধুনিকায়ন
-ইনডোর ও ভলিবল স্টেডিয়াম নির্মাণ
-বিকেএসপির প্রশিক্ষণ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে বড় অঙ্কের বরাদ্দ
যুব উন্নয়নে প্রযুক্তিনির্ভর পরিকল্পনা
যুব সমাজকে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরের লক্ষ্যে বাজেটে কিছু প্রযুক্তিভিত্তিক প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে:
-প্রযুক্তিনির্ভর সম্পদ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্প (তৃতীয় পর্ব)
-‘টেকনোলজি এমপাওয়ারমেন্ট সেন্টার অন হুইলস’ প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্ব)
-৬৪ জেলায় তথ্যপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সক্ষমতা বৃদ্ধি
-৪৮ জেলায় ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি প্রকল্প
এছাড়া কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্র, সাভারের প্রশিক্ষণ সুবিধা সম্প্রসারণ, কক্সবাজারে নারীদের জন্য দক্ষতা বৃদ্ধির ‘লিভিং নো ওয়ান বিহাইন্ড’ প্রকল্প, ‘ইকোনোমিক অ্যাকসিলারেশন ফর নিট’ এবং ‘লাইফ স্কিলড এডুকেশন ইন ইয়ুথ ট্রেনিং সেন্টার’ শীর্ষক প্রকল্পগুলোও বাজেটে স্থান পেয়েছে।
ক্রীড়া খাতের অগ্রাধিকার
প্রস্তাবিত বাজেটে ক্রীড়া খাতেও বেশ কিছু লক্ষ্যনির্ভর বরাদ্দ রয়েছে:
-জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ ও আয়োজন
-প্রতিভাবান ক্রীড়াবিদ সনাক্তকরণ, প্রশিক্ষণ ও পুরস্কার প্রদান
-ক্রীড়াবিদদের জন্য কল্যাণ অনুদান
-ক্রীড়া অবকাঠামো নির্মাণ ও আধুনিকায়ন
-জেলা ও উপজেলায় ক্রীড়ার পরিবেশ তৈরি
যুব সমাজ ও ক্রীড়াঙ্গনের জন্য বিস্তৃত রূপরেখা
এই বাজেটের মাধ্যমে সরকার দেশের যুব সমাজকে দক্ষ, আত্মনির্ভরশীল ও প্রযুক্তিবান করে গড়ে তোলার পাশাপাশি ক্রীড়াঙ্গনকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এগিয়ে নিতে চায়। যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি, স্বেচ্ছাসেবী কাজে সম্পৃক্তকরণ এবং জাতীয় উন্নয়নে সক্রিয় অংশগ্রহণই এই বাজেটের মূল লক্ষ্য বলে জানানো হয়েছে।