জাতীয়
ঈদযাত্রায় ট্রেন ও বগির সংখ্যা বাড়বে

ঈদযাত্রায় ট্রেন ও বগির সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম। শুক্রবার বেলা সোয়া ১১টায় রাজবাড়ী স্টেশনে সাংবাদিকদের একথা জানান তিনি।
রেলমন্ত্রী বলেন, শিগগিরই আমাদের মিটিং রয়েছে। মিটিংয়ে এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
তিনি বলেন, ঈদযাত্রায় যাত্রীদের বিশেষ সুবিধার্থে ট্রেন ও বগির সংখ্যা বাড়ানো হবে। এ ছাড়া অনলাইনে টিকিটের পাশাপাশি আমরা স্টেশনগুলোতেও টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা করবো। অতিরিক্ত যেসব বগি যুক্ত করা হবে সেখানে বসার এবং দাঁড়ানোর যাত্রী যেতে পারবে। ঈদকে সামনে রেখে ট্রেনে সব সুযোগ-সুবিধা রাখা হবে।
রেলওয়ের জনবল সংকটের ব্যাপারে রেলমন্ত্রী বলেন, চালক ও স্টেশনমাস্টার নিয়োগের জন্য ইতোমধ্যে লিখিত পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। যারা ভালো করবে তাদেরকে নিয়োগ দেয়ার মাধ্যমে বন্ধ থাকা এবং নতুন স্টেশনগুলো চালু করা হবে।
প্রসঙ্গত, রেলমন্ত্রী দুই দিনের সরকারি সফরে গিয়েছেন রাজবাড়ীতে। সকাল ৮টা ১০ মিনিটে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে যাত্রা করেন। বেলা সোয়া ১১টায় তিনি রাজবাড়ী রেলস্টেশনে পৌঁছান। এ সময় রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিমসহ রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রেলমন্ত্রী ও তার সহধর্মিণী সাঈদা হাকিমকে ফুল দিয়ে বরণ করেন।
জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। রাজবাড়ী রেলস্টেশন পরিদর্শন শেষে রাজবাড়ী সার্কিট হাউসে রেলমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।

জাতীয়
চট্টগ্রামে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর উদ্যোগ

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, নগরের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে রাজস্ব আদায়ে মনোযোগী হতে হবে। তবে কর আদায়ের নামে কোনো নাগরিক যেন হয়রানির শিকার না হন, তা দেখতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকালে চসিক পাবলিক লাইব্রেরির হলরুমে রাজস্ব বিভাগের মাঠপর্যায়ের কর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
মেয়র বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামোসহ নগরের সব উন্নয়ন কাজ এই রাজস্বের ওপর নির্ভরশীল। তাই রাজস্ব সংগ্রহে আন্তরিকতা, পেশাদারিত্ব ও সদাচরণ অপরিহার্য।
তিনি আরও বলেন, চসিক হোল্ডিং ট্যাক্স ব্যবস্থাকে অটোমেশন করতে একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করছে। ভবিষ্যতে অনলাইনে কর পরিশোধের সুযোগ চালু হলে নাগরিক ভোগান্তি কমবে এবং স্বচ্ছতা বাড়বে।
রাজস্ব আদায়ে প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না জানিয়ে মেয়র বলেন, কারও প্রভাব দেখিয়ে কর ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা বরদাশত করা হবে না। আইন অনুযায়ী কাজ করুন, আমি আপনাদের পাশে আছি।
২৩ জুন চসিকের নতুন অর্থবছরের বাজেট পেশ করা হবে জানিয়ে মেয়র বলেন, হাতে আছে মাত্র ১০–১১ দিন। এই সময়ে সংগঠিতভাবে রাজস্ব আদায় করতে হবে। প্রয়োজনে আমি নিজে বড় করদাতাদের সঙ্গে কথা বলব।
মেয়র বলেন, রাজস্ব আদায় কেবল একটি আর্থিক কাজ নয়, এটি আস্থার জায়গা। মানুষ বিশ্বাস করে কর দেয়, যেন তাদের সন্তান ভালো স্কুলে পড়তে পারে বা পাড়ার রাস্তাটি মেরামত হয়। সেই বিশ্বাস রক্ষা করতে হবে।
সভায় চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা সরোয়ার কামাল, রাজস্ব কর্মকর্তা মো. সাব্বির রহমান সানি, কর কর্মকর্তা, উপ-কর কর্মকর্তা, কর আদায়কারী ও অনুমতিপত্র পরিদর্শকরা উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয়
রোহিঙ্গা সংকট আঞ্চলিক নিরাপত্তায় হুমকি হতে পারে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধান না হলে দ্রুতই এই সংকট আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকির কারণ হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ‘আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার ওপর দারিদ্র্য, উন্নয়নঘাটতি ও সংঘাতের প্রভাব’ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিগত আট বছরের বেশি সময় ধরে ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশ মানবিক দায়িত্ববোধ থেকে আশ্রয় দিয়ে আসছে। কিন্তু দীর্ঘসূত্রিতার কারণে এই সংকট এখন আর শুধু মানবিক বিষয় নয়; এটি অর্থনৈতিক, পরিবেশগত এবং ক্রমবর্ধমানভাবে একটি নিরাপত্তা ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নিজ দেশ মিয়ানমারে নির্মম নির্যাতনের কারণে বাস্তুচ্যুত এই জনগোষ্ঠীকে পূর্ণ নিরাপত্তা ও অধিকারের সঙ্গে প্রত্যাবাসনের জন্য অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান তিনি।
তারুণ্যের গৌরবের প্রসঙ্গ টেনে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে তরুণরা বারবার পরিবর্তনের অগ্রভাগে থেকেছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ, অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন এবং সম্প্রতি গঠিত পিস বিল্ডিং কমিশনের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর আহ্বান জানান, যাতে শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগগুলো বাস্তবভিত্তিক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।
নিরাপত্তা পরিষদের এই বৈঠকে বাংলাদেশ ছাড়াও সুইডেন, উরুগুয়ে ও পূর্ব তিমুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, জার্মানির পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।
জাতীয়
হজে গিয়ে ৩৬ বাংলাদেশির মৃত্যু

চলতি বছর পবিত্র হজপালনে সৌদি আরবে গিয়ে ৩৬ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ গতকাল ১৯ জুন মৃত্যুবরণ করেছেন গাজীপুরের গাছার মো. আফজাল হোসাইন (৬৮)। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃতদের মধ্যে ২৭ জন পুরুষ ও ৯ জন নারী। এর মধ্যে ২৩ জন মারা গেছেন মক্কায়, ১১ জন মদিনায়, একজন আরাফায় এবং একজন জেদ্দায়।
শুক্রবার (২০ জুন) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টালের মৃত্যু সংবাদে এসব তথ্য জানা গেছে।
এতে জানানো হয়, সৌদি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা প্রাপ্ত মোট হজযাত্রীর সংখ্যা ২৭০ জন এবং সৌদি সরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ভর্তিকৃত হজযাত্রীর সংখ্যা ২৫ জন।
এ বছর হজ অনুষ্ঠিত হয়েছে ৫ জুন। মোট ৮৭ হাজার ১০০ জন বাংলাদেশি হজ পালন করেছেন। তাদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পাঁচ হাজার ২০০ জন এবং বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে ৮১ হাজার ৯০০ জন সৌদি আরবে যান।
জাতীয়
বিশ্ব শরণার্থী দিবস আজ

আজ ২০ জুন, বিশ্ব শরণার্থী দিবস। জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর উদ্যোগে ২০০১ সাল থেকে বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। এবারের প্রতিপাদ্য—‘শরণার্থীদের সঙ্গে সংহতি’— অর্থাৎ শুধু কথায় নয়, বাস্তব পদক্ষেপের মাধ্যমে শরণার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা বলছে, ২০২৪ সালের শেষ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১২২ দশমিক ১ মিলিয়ন, যা রেকর্ড পরিমাণ। এর মধ্যে ৪২ দশমিক ৭ মিলিয়ন মানুষ আন্তর্জাতিক শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃত, বাকিরা অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত ও আশ্রয়প্রার্থী। সুদান, মিয়ানমার, ইউক্রেনসহ বিভিন্ন সংঘাতপ্রবণ অঞ্চলের সংকট পরিস্থিতি এ সংখ্যা বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রেখেছে।
ইউএনএইচসিআর-এর হাই কমিশনার ফিলিপো গ্রান্ডি এক বার্তায় বলেছেন, শরণার্থীদের সম্মান জানানোর অর্থ শুধু তাদের সম্পর্কে কথা বলা নয়, বরং তাদের কথা শোনা, অধিকার রক্ষা করা এবং তাদের জন্য টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ার সুযোগ সৃষ্টি করা।
এছাড়া বাংলাদেশে বর্তমানে নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা ১১ লাখ ৩৩ হাজারের বেশি। কক্সবাজারের কুতুপালং এবং নয়াপাড়া ক্যাম্পে তাদের অধিকাংশের বসবাস। এছাড়া ভাসানচরে প্রায় ৩৫ হাজার রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করা হয়েছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস চলতি বছর মার্চে কক্সবাজার সফরে এসে বলেন, এই মানুষগুলো শুধু টিকে থাকার জন্য লড়ছে। আমরা যদি এখনই সাহায্য না করি, তাহলে তারা সত্যি সত্যিই অনাহারে মারা পড়বে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি সহায়তার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শুধু সহানুভূতি নয়, এখন দরকার বাস্তব সহায়তা।
এদিকে, রোহিঙ্গাদের জন্য জাতিসংঘের যৌথ প্রতিক্রিয়া পরিকল্পনায় ২০২৫ সালের জন্য প্রায় ৯৩৪ মিলিয়ন ডলার প্রয়োজন, যার অর্ধেকেরও কম এখনো জোগাড় হয়েছে। এই তহবিলের ঘাটতির কারণে খাদ্য সহায়তা, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার মতো মৌলিক সেবাগুলো হুমকির মুখে।
বিশ্বজুড়ে যখন বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, তখন মানবিক সহায়তার জন্য তহবিল সংকট প্রকট হচ্ছে। জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, অনেক জরুরি প্রকল্প অর্থের অভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে শিশু ও নারী শরণার্থীরা।
জাতীয়
বাধ্যতামূলক অবসরে পাঁচ সচিব

পাঁচজন সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সরকারি চাকরি আইনের ৪৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী তাদেরকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে।
তারা হলেন- বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক (সচিব) কাজী এনামুল হাসান, জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অ্যাকাডেমির মহাপরিচালক (সচিব) সুকেশ কুমার সরকার, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সচিব) মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, ভূমি আপীল বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব) মুহম্মদ ইব্রাহিম ও জাতীয় উন্নয়ন প্রশাসন একাডেমির রেক্টর (সচিব) ড. মো. সহিদ উল্যাহ।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত পাঁচটি পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, আরেকটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) ড. লিপিকা ভদ্রকেও বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনগুলোতে জানানো হয়, তাদের চাকরিকাল ২৫ বছর পূর্ণ হয়েছে এবং সরকার জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে অবসর করা প্রয়োজন মর্মে বিবেচনা করে বিধায় তাদেরকে সরকারি চাকরি থেকে অবসর দেওয়া হয়েছে।
তারা বিধি অনুযায়ী অবসরজনিত সুবিধাদি পাবেন বলেও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালযয়ের প্রজ্ঞাপনগুলোতে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, আইন অনুযায়ী সরকার ২৫ বছর হয়ে গেলে একজন কর্মকর্তাকে অবসরে পাঠাতে পারে কিন্তু সেজন্য সুনির্দিষ্ট কারণ কখনো প্রকাশ করা হয় না।