জাতীয়
রাজধানীর বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে স্পিকারের শোক
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী রাজধানীর বেইলি রোডে একটি বহুতল ভবনে ভয়াবহ আগুনে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
আজ এক শোক বার্তায় স্পিকার নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
তিনি আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে বেইলি রোডের একটি বহুতল ভবনে আগুন লাগে। এই ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে এখন পর্যন্ত ৪৬ জন মারা গেছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
জাতিসংঘের দুর্নীতি প্রতিরোধী সংস্থার সদস্য হলো বাংলাদেশ
জাতিসংঘের দুর্নীতিবিরোধী নতুন প্ল্যাটফর্ম গ্লোব-ই নেটওয়ার্কের সদস্য হলো বাংলাদেশ। গত মার্চে যুক্ত হওয়া বাংলাদেশের পক্ষে ফোকাল পয়েন্ট নিযুক্ত হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার প্রয়োজনীয় তথ্য-প্রমাণ অন্য দেশ থেকে সরাসরি সংগ্রহ করতে জাতিসংঘের নতুন প্ল্যাটফর্মটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছে দুদক।
এখন থেকে দুদক গ্লোব-ই নেটওয়ার্কের (পুরো নাম দ্য গ্লোবাল অপারেশনাল নেটওয়ার্ক অব অ্যান্টিকরাপশন ল এনফোর্সমেন্ট অথরিটিজ) সদস্য অন্য দেশের ফোকাল পয়েন্টের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে নিয়ম মেনে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে পারবে। এই প্রক্রিয়ায় তথ্য সংগ্রহে দুদককে অন্য কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের মুখাপেক্ষী হতে হবে না।
সূত্র জানায়, দুদক বিদেশে পাচার হওয়া অর্থের তথ্য সংগ্রহ করতে প্রথমে জাতিসংঘের ড্রাগ ও অপরাধবিষয়ক অফিসের (ইউএনওডিসি) গ্লোব-ই নেটওয়ার্কের ই-মেইলে চিঠি বা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠাবে। সংস্থাটি পরে ওইসব কাগজপত্র ই-মেইলে সংশ্লিষ্ট দেশে পাঠাবে। গ্লোব-ই নেটওয়ার্ক বিভিন্ন দেশ থেকে প্রাপ্ত কাগজপত্র দেখবে না বা যাচাই করে না। সেগুলো পাওয়ামাত্র সরাসরি পাঠিয়ে দেয়। এ ক্ষেত্রে তারা এক দেশের তথ্যপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে আরেক দেশে কাগজপত্র পাঠাতে গেটওয়ে হিসেবে কাজ করে।
গ্লোব-ই নেটওয়ার্কের আনুষ্ঠানিকতার পর তথ্যপ্রত্যাশী এবং তথ্য প্রদানকারী দেশের ফোকাল পয়েন্ট সরাসরি নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করে থাকে। তারা চিঠি চালাচালি করবে। ফোনে কথা বলবে, অনলাইনে আলোচনা করবে। প্রয়োজনে দুই দেশের ফোকাল পয়েন্টের কর্মকর্তারা সশরীরে সভা করতে পারবেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
হজযাত্রার প্রথম ফ্লাইটে সৌদি গেলেন ৪১৩ যাত্রী
হজযাত্রীদের সৌদি আরব পাঠাতে চলতি বছর চূড়ান্ত আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলো। আজ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৪টা ৫ মিনিটে পবিত্র হজ পালনের জন্য সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা হন ৪১৩ জন বাংলাদেশি। সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের প্রথম ফ্লাইটে সৌদি আরবের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন তারা।
এরপর সকাল ৭টা ২০ মিনিটে বাংলাদেশ বিমান দ্বিতীয় ফ্লাইটে সৌদি যাবেন ৪১৭ জন। ভোর সাড়ে ৫টায় এই ফ্লাইটের উদ্বোধন করবেন ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। এরপর সকাল ৮টায় ফ্লাইনাস এয়ারের আরেকটি ফ্লাইটের উদ্বোধন করবেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারপ্রথম দিনে সাতটি ফ্লাইট হজযাত্রীদের নিয়ে ঢাকা থেকে সৌদি আরবের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর হজে যাওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন ৮৩ হাজার ৩১১ জন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় চার হাজার ৪১৬ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধন করেছেন ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন।
আগামী ৯ মে থেকে ১০ জুন পর্যন্ত জাতীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ১১৭টি হজ পূর্ব ফ্লাইটে করে ৪৫ হাজার ৫২৫ জন এবং মে মাস থেকে ১২ জুনের মধ্যে সৌদি আরবে ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ৪৩টি হজপূর্ব ফ্লাইটে করে বাকী হজযাত্রীদের হজ পালন করতে সৌদি আরবে নিয়ে যাবে।
বাংলাদেশ বিমান ২০ জুন সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশী হজযাত্রীদের নিয়ে ফিরতি ফ্লাইট শুরু করবে এবং সৌদি আরবের বিমান সংস্থা ফ্লাইনাস ২১ জুন থেকে হজ ফিরতি ফ্লাইট চালু করবে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ পালিত হতে পারে। চলতি বছর হজযাত্রীদের ভিসার জন্য আবেদনের সময় নির্ধারিত ছিল ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত। তবে ২৫৯টি বেসরকারি হজ এজেন্সির মধ্যে অনেকেই এই সময়ের মধ্যে ভিসার কার্যক্রম শেষ করতে না পারায় প্রথম ধাপে ৭ মে পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। এরপর দ্বিতীয়বারের মতো ১১ মে পর্যন্ত ভিসার কার্যক্রম শেষ করতে সময় বাড়ায় ধর্ম মন্ত্রণালয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা ১৪.৭৬৯ বিলিয়নে নামিয়ে আনলো আইএমএফ
চলতি অর্থবছর শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশি মুদ্রার রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা ২০ দশমিক ১০ বিলিয়ন থেকে কমিয়ে ১৪ দশমিক ৭৬৯ বিলিয়ন ডলার করতে সম্মত হয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
আইএমএফের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর ফলে আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তির অর্থ পেতে বাংলাদেশের আর কোনো বাঁধা থাকলো না। ঋণের তৃতীয় কিস্তিতে ১ দশমিক ১৫২ বিলিয়ন ডলার পাবে বাংলাদেশ।
জানা গেছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে রিজার্ভ লক্ষ্যমাত্রা ১৪ দশমিক ৮৮৫ বিলিয়ন ডলার এবং ডিসেম্বর শেষে এ লক্ষ্যমাত্রা ১৫ দশমিক ৩০০ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ২০২৫ সালের মার্চ শেষে ১৬ দশমিক ৬০১ বিলিয়ন ডলার এবং জুন শেষে তা ১৯ দশমিক ৪৪০ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিপিএম৬ মেথড অনুযায়ী, বর্তমানে প্রকৃত রির্জাভ আছে ১৫ বিলিয়ন ডলার। ফলে আইএমএফের নতুর টার্গেটের তুলনায় দেশে রির্জাভ কিছুটা বেশি আছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ কীভাবে তার রিজার্ভ বাড়াবে সে বিষয়ে একটি পরিকল্পনা দিয়েছে আইএমএফ।
এদিকে বাংলাদেশ আইএমএফ ঋণের তৃতীয় কিস্তির অর্থ পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় সফররত দাতা সংস্থাটির ডেভেলপমেন্ট মাইক্রোইকোমিক্স ডিভিশনের প্রধান ক্রিস পাপাগেওর্জিউ। বুধবার (৮ মে) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
আইএমএফ প্রতিনিধিদল জানায়, বাংলাদেশের ঋণের পরবর্তী কিস্তি পেতে কোনো সমস্যা হবে না। ঋণদাতা তাদের বোর্ড মিটিংয়ের পর তৃতীয় কিস্তি ছাড় করবে। এরই মধ্যে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর উপায় নিয়ে কাজ করবে সরকার।
ক্রিস পাপাগেওর্জিউ বলেছেন, আইএমএফের তৃতীয় কিস্তির ঋণ পেতে বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে আইএমএফ প্রতিনিধিদল। এখন আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দাতা সংস্থাটির নির্বাহী বোর্ডের অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে।
আইএমএফ প্রতিনিধিদল প্রধান বলেন, আইএমএফ-সমর্থিত কর্মসূচির আওতায় গুরুত্বপূর্ণ কাঠামোগত সংস্কার করেছে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে পেট্রোলিয়াম পণ্যের জন্য ফর্মুলাভিত্তিক জ্বালানি মূল্য সমন্বয় নীতি তারা বাস্তবায়ন করেছেন। মূল্যস্ফীতিসহ নানা সমস্যা থাকা সত্ত্বেও বিনিময় হার পুনর্বিন্যাসে বাংলাদেশ ব্যাংক যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, সেগুলোকে স্বাগত জানিয়েছে আইএমএফ।
তিনি বলেন, নীতিগত পদক্ষেপ গ্রহণ শুরু করলে সামষ্টিক অর্থনীতি ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হবে। ধারণা করছি, আমদানি সংকোচ ও নীতি কাঠামোর কারণে চলতি অর্থবছরে প্রকৃত জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ। যাইহোক আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ কমে এবং আমদানি বেড়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৬ শতাংশ হবে বলে আমরা আশা করছি।
আমরা অনুমান করছি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৪ শতাংশ হবে। তবে কঠোর নীতির মিশ্রণ এবং বৈদেশিক খাদ্য ও দ্রব্যমূল্য কমার কারণে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি কমে ৭ দশমিক ২ শতাংশ হবে।
বাংলাদেশে জিডিপির তুলনায় রাজস্ব আদায় কম হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে আইএমএফ প্রতিনিধিদলের প্রধান বলেন, উন্নয়নমূলক বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য টেকসই রাজস্বকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এক্ষেত্রে জিডিপির দশমিক ৫ শতাংশ রাজস্ব বাড়াতে আগামী বাজেটে বাস্তব কর নীতি এবং বিভিন্ন প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিতে হবে।
মানি লন্ডারিং নিয়ে আইএমএফ কোনো কথা বলে না, কিন্তু শুল্ক অব্যাহতি কমাতে এনবিআরকে পরামর্শ দিচ্ছে। সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে আইএমএফ প্রতিনিধিদলের প্রধান বলেন, আইএফএফের একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি হচ্ছে অর্থ-পাচার নিয়ন্ত্রণ করা। আমাদের টার্গেট বিভিন্ন প্রোগ্রামকে সমর্থন দেওয়া যাতে ট্যাক্স বাড়ে। এনবিআরের সঙ্গে আমাদের প্রোগ্রাম আছে। মানি লন্ডারিং নিয়ে আমরা বিএফআইইউ’র সঙ্গে কাজ করছি। আমাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আমরা সুশাসন প্রতিষ্ঠার কথা বলি। এর মধ্যেই অর্থ-পাচার সমস্যার সমাধান আছে।
মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার মানুষের কষ্ট হচ্ছে, এর মধ্যে ট্যাক্স বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন, এতে মানুষের ভোগান্তি আরও বাড়বে কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের কর্মসূচির একটি বড় অংশ হলো সামাজিক নিরাপত্তা। কাজেই আমাদের নীতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ওপর কি প্রভাব ফেলে সে বিষয়ে সতর্ক থাকি। এনবিআরের সঙ্গে আলোচনায় বিষয়গুলো থাকে।
সুদের হার বেশি থাকার পরেও মূল্যস্ফীতি বেশি কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সুদের হার বাড়ালেও বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি স্টাবল আছে। আমাদের কাছে নতুন তথ্য আছে মূল্যস্ফীতি কমতির দিকে। বাংলাদেশে আগামী বছর মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে আসবে বলে আমরা মনে করছি।
ব্যাংক মার্জার নিয়ে করা এক প্রশ্নের উত্তরে ক্রিস পাপাগেওর্জিউ বলেন, ব্যাংক রি-ক্যাপিটালাইজেশনের যে উদ্যোগ নিয়েছে আমি মনে করি কখনো কখনো এর দরকার আছে। কারণ বাংলাদেশে ৬১টি ব্যাংক আছে, এরমধ্যে কিছু খুবই স্ট্রং, কিছু স্ট্রং না।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলার অংশ হিসেবে আইএমএফ গত বছরের জানুয়ারিতে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করে। ঋণ অনুমোদনের পরপরই প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার ছাড় করে সংস্থাটি। আগামী ২০২৬ সাল পর্যন্ত সাড়ে তিন বছরে সাত কিস্তিতে পুরো অর্থ দেওয়ার কথা রয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি অনুমোদন দেয় আইএমএফের বোর্ড।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
প্রশাসক নিয়োগের বিধান রেখে ইউনিয়ন পরিষদ বিল পাসের সুপারিশ
প্রশাসক নিয়োগের বিধান রেখে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) বিল পাসের সুপারিশ করেছে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। কমিটির পক্ষ থেকে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে এ সংক্রান্ত সুপারিশসহ বিলের উপর প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৮ মে) ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে অধিবেশনে বিল উপর প্রতিবেদন উত্থাপন করেন সংসদীয় কমিটির সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম। এর আগে গত ৫ মে সংসদে বিলটি উত্থাপন করেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। পরে বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিলে বলা হয়েছে, ‘স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৬১ নং আইন), অতঃপর উক্ত আইন বলিয়া উল্লিখিত, এর সর্বত্র উল্লিখিত ‘সচিব’ শব্দের পরিবর্তে ‘ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা’ শব্দসমূহ এবং ‘সচিবের’ শব্দের পরিবর্তে ‘ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তার’ শব্দসমূহ প্রতিস্থাপিত হইবে।’
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে আর্থিকভাবে শক্তিশালীকরণ, সরকার প্রদত্ত বরাদ্দের উপর নির্ভরশীলতা কমানোর উপায় নির্ধারণ এবং ইউনিয়ন পরিষদ আইনকে আরও যুগোপযোগী ও সেবা সহজীকরণের লক্ষ্যে ‘স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) (সংশোধন) আইন-২০২৪’ সংশোধনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সম্মানী প্রদানের বিধান যুক্ত করা হয়েছে। ইহার মাধ্যমে কোন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের বরখাস্তকালীন সময়ে ভাতা প্রদানের বিষয়ে কোন আইনগত জটিলতা থাকিবে না।
আরও বলা হয়েছে, কোন এলাকাকে ইউনিয়ন ঘোষণা বা পরিষদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য সরকার একজন উপযুক্ত কর্মকর্তা বা উপযুক্ত ব্যক্তিকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করবে। গ্রাম আদালত পরিচালনা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারের অর্পিত দায়িত্ব পালন ও প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ ইউনিয়ন পরিষদের কার্যাবলীর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হলে গ্রাম আদালতের কার্যক্রমকে আরও বিস্তৃত ও কার্যকর হবে। এছাড়া বিলে ‘ইউনিয়ন পরিষদ সচিব’ নাম পরিবর্তন করে ‘ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা’ করার বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
৪৮ বছরে বিদেশ গেছেন এক কোটি ৬৩ লাখ মানুষ
গত ৪৮ বছরে এক কোটি ৬৩ লাখ ১২ হাজার ৩২৪ জন বাংলাদেশি বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য গেছেন বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।
বুধবার (৮ মে) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকার দলের শফিউল আলম চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৬ সাল থেকে মার্চ ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এক কোটি ৬৩ লাখ ১২ হাজার ৩২৪ জন কর্মী বৈদেশিক কর্মস্থানের জন্য গেছেন।
পাসপোর্টবিহীন কতজন বাংলাদেশি নাগরিক অবৈধভাবে বিভিন্ন দেশে রয়েছেন, এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য তার মন্ত্রণালয়ে নেই বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগারের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, সরকারের পদক্ষেপের ফলে করোনা পরবর্তী সময়ে বৈদেশিক শ্রমবাজার ঘুরে দাড়াঁতে সক্ষম হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিদেশে পাঠানো কর্মীর সংখ্যা ১১ লাখ ২৬ হাজার ৬০ জন।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত বোয়েসেলের মাধ্যমে স্বল্প/বিনা খরচে ১ লাখ ২৭ হাজার ৫৫৭ জন কর্মী বিদেশে গেছেন।
সরকার দলীয় এমপি নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বের ১৭৬টি দেশে কর্মী প্রেরণ করা হয়েছে।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার জানান, আসন্ন বোরো সংগ্রহ মৌসুমে প্রতি কেজি ৩২ টাকা দরে ৫ লাখ মেট্রিক টন ধান, প্রতি কেজি ৪৫ টাকা দরে ১১ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল, প্রতি কেজি ৪৪ টাকা দরে এক লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল এবং প্রতি কেজি ৩৪ টাকা দরে ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম সংগ্রহের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
নোয়াখালী-২ আসনের মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারি গুদামে (৩০ এপ্রিল) বর্তমানে ১১ লাখ ৩৮ হাজার ৪৬৩ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। এরমধ্যে সাত লাখ ৮৬ হাজার ৩৭৯ টন চাল, তিন লাখ ৫২ হাজার ৮৪ টন গম রয়েছে। বর্তমানে কোনো ধানের মজুত নেই।
স্বতন্ত্র এমপি মো. আবদুল্লাহ’র প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী জানান, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে দেশব্যাপী ২৮ হাজার খাদ্যকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
সরকারদলীয় এমপি হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে শ্রম প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মার্চ, ২০২৪ পর্যন্ত ৭১১৭ শ্রমিকের মাতৃত্ব কল্যাণ সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। মালিক কর্তৃক শ্রমিকদের প্রদানকৃত আর্থিক সুবিধার পরিমাণ ২৬ কোটি ৩১ লাখ ৮৪ হাজার ৭৮৬ টাকা।