Connect with us

অন্যান্য

‘৩০ ফেব্রুয়ারি’ দিনটি ইতিহাসে একবারই এসেছিল

Published

on

বাংলাদেশ

লিপ ইয়ার বা অধিবর্ষে প্রতি চার বছর অন্তর ক্যালেন্ডারের পাতায় ফেব্রুয়ারি মাসে বাড়তি একটি দিন যোগ করা হয়। ফলে ওই বছরটি গণনা করা হয় ৩৬৬ দিনে। এভাবে বছর গণনার সমন্বয়ে আমরা অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। এবারও চলছে লিপ ইয়ার। ২০২৪ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি অবশ্যই বিশেষ একটি দিন।

তবে অবাক করা বিষয় হলো, ইতিহাসে একবার ‘৩০ ফেব্রুয়ারি’ এসেছিল।

বিবিসি বাংলার খবরে বলা হয়, সুইডেন একটি ডাবল লিপ ইয়ারের অংশ হিসেবে ১৭১২ সালের ক্যালেন্ডারে ‘৩০ ফেব্রুয়ারি’ দিনটি যুক্ত করা হয়েছিল।

তবে ভেবে দেখুন, সেই তারিখ যাদের জন্ম হয়েছিল তাদের ভাগ্যে কী হয়েছে? তারা কখনো জন্মদিন উদযাপন করতে পারেননি।

লিপ ইয়ার কেন আসে?
প্রতি চার বছর অন্তর ক্যালেন্ডারে যে অসঙ্গতি থাকে তা সমন্বয় করতেই লিপ ইয়ার পদ্ধতি প্রবর্তন করা হয়েছে। এই ক্যালেন্ডার পদ্ধতির প্রাথমিক ধারণা এসেছিল রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজারের কাছ থেকে।

তিনি তখন আলেকজান্দ্রিয়ান জ্যোতির্বিজ্ঞানী সোসিজেনেসকে রোমান ক্যালেন্ডারের একটি বিকল্প তৈরি করতে বলেন। যে ক্যালেন্ডার হবে সূর্যের চারিদিকে পৃথিবীর পরিভ্রমণের সঙ্গে আরও সামঞ্জস্যপূর্ণ।

অনেকের মতে, পৃথিবী সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে ৩৬৫ দিনের সঙ্গে পাঁচ ঘণ্টা, ৪৮ মিনিট, ৫৬ সেকেন্ড বেশি সময় লাগে। এই বাড়তি সময়কে সমন্বয় করতে সোসিজেনেস একটি ক্যালেন্ডার তৈরি করার প্রস্তাব করেন, যা মিশরীয়দের ক্যালেন্ডারের সঙ্গে প্রায় হুবহু মিলে যায়।

সৌর বছরের সঙ্গে সন্নিবেশ করতে প্রতি চার বছরে ৩৬৫ দিনের সঙ্গে একটি অতিরিক্ত দিন যোগ করা হয়। এভাবে জুলিয়ান ক্যালেন্ডারের জন্ম হয়, এর প্রবর্তক জুলিয়াস সিজারের সম্মানে এই নামকরণ করা হয়েছিল।

বাড়তি দিন যেভাবে এলো
জুলিয়ান ক্যালেন্ডারও বেশিদিন টেকেনি। ওই ক্যালেন্ডারে কিছু দুর্বলতা থাকায় ১৫৮২ সাল থেকে ক্রমান্বয়ে জুলিয়ান ক্যালেন্ডারের জায়গা প্রতিস্থাপন করে নেয় আজকের গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার। জুলিয়ান ক্যালেন্ডারে বছর শুরু হতো মার্চ থেকে। যেহেতু প্রতি চার বছরে একটি অতিরিক্ত দিনের প্রয়োজন ছিল, তাই রোমানরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে এটি ফেব্রুয়ারিতে হবে, যা তখন বছরের শেষ মাস ছিল।

লিপ নামটি ল্যাটিন বাক্য থেকে এসেছে। যার অর্থ মার্চ মাস শুরুর ছয় দিন আগে, যা ২৪ ফেব্রুয়ারি। সেসময় ওই দিনটি লিপ ইয়ার হিসেবে পালন করা হত।

বাক্যটি কিছুটা দীর্ঘ হওয়ায় একে সংক্ষেপে ‘বিস সেক্সটাস’ বলা হয়ে থাকে যার অর্থ লিপ ইয়ার বা বাংলায় অধিবর্ষ। কয়েক বছর পরে, ত্রয়োদশ পোপ গ্রেগরি এক ডিক্রি জারির মাধ্যমে ক্যালেন্ডারটিকে ‘নিখুঁত’ করার সিদ্ধান্ত নেন।

তার আনা পরিবর্তনগুলোর মধ্যে একটি ছিল যে লিপ ইয়ারের অতিরিক্ত দিনটি হবে ২৯ ফেব্রুয়ারি।

সময়ের গণনা ও হেরফের
সময়কে মূলত গণনা করা হয়, দিন, মাস ও বছরের হিসেবে। এই গণনা প্রক্রিয়া মানুষের তৈরি। চন্দ্র আবর্তন অনুসরণ করে দেখা গেছে, দুটি পূর্ণিমার মধ্যে কমবেশি সাড়ে ২৯ দিনের পার্থক্য থাকে।

এছাড়া সৌর পরিভ্রমণ অনুযায়ী, পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘুরতে সময় নেয় কমবেশি ৩৬৫ দিন ছয় ঘণ্টার মতো। তবে এটি এমন এক গণনা পদ্ধতি যা হেরফের হতে পারে।

ইতিহাস জুড়ে বিভিন্ন শাসক এক বছরকে কয়েক মাসে ভাগ করেছেন। সব সময়ে ১২ মাসে এক বছর ছিল না, মাসের সংখ্যায় হেরফের ছিল। ওই শাসকদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাহিদা-প্রয়োজন, বা তাদের ব্যক্তিগত ইচ্ছা অনুসারে সেই মাসগুলোয় বাড়তি দিন যোগ করা হতো নাহলে সরিয়ে নেওয়া হতো।

ফলে সৌর বছরের সঙ্গে এই ক্যালেন্ডারগুলোকে সমন্বয় করা প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে, যা উপেক্ষা করার উপায় ছিল না।

সম্রাট জুলিয়াস সিজার, প্রায় দুই হাজার বছর আগে, আমরা বর্তমানে যে ক্যালেন্ডার ব্যবহার করি তার অনুরূপ একটি ক্যালেন্ডার প্রবর্তন করেছিলেন। সেই তথাকথিত জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ১২ মাসে এক বছর ছিল। এবং মাসগুলোর কিছু ৩০ দিন এবং কিছু ৩১ দিনে গণনা করা হতো।

শুধুমাত্র ফেব্রুয়ারি মাস গণনা হতো ২৮ বা ২৯ দিনে। বছর শুরু হতো মার্চ মাস থেকে। কারণ এটি বসন্তের শুরু। এজন্য বছরের শেষ মাস ফেব্রুয়ারিকে লিপ ইয়ারের জন্য বেছে নেওয়া হয়।

এক বছর যেহেতু ৩৬৫ দিন ছয় ঘণ্টায় হয়, তাই বাড়তি এই ছয় ঘণ্টাকে সমন্বয় করার জন্য সেই রোমান সময় থেকে লিপ ইয়ার চিহ্নিত করা হয়েছে।

গ্রেট গ্রেগরিয়ান লিপ
সময় গণনা শতাব্দী ধরে চলে আসছে, কিন্তু এই গণনা পদ্ধতি সঠিক নয়। সৌর বছর আসলে একটু ছোট- সুনির্দিষ্টভাবে বললে ১১ মিনিট ১৪ দশমিক ৭৮৪ সেকেন্ড কম।

আদতে মনে হতে পারে এটি এমন কোন বড় পার্থক্য নয়, যা তাৎক্ষণিক প্রভাব ফেলতে পারে। তবে বছরের পর বছর ধরে, এই বাড়তি মিনিট/ সেকেন্ড যোগ হয়ে সেটি বড় ব্যবধান তৈরি করে।

এ কারণেই ত্রয়োদশ পোপ গ্রেগরি ১৫৮২ সালে তার ক্যালেন্ডারে থাকা অসঙ্গতিগুলো ঠিক করার জন্য কিছু পরিবর্তন এনেছিলেন। এটি প্রধানত ধর্মীয় কারণে করা হয়, কেননা এই সময়ের ব্যবধানের কারণে কয়েকশ বছরে ইস্টারের সূচনা তিন দিন আগ-পিছ হয়ে যায়। তবে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার এখন পর্যন্ত বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত মানসম্মত প্রতিষ্ঠিত ক্যালেন্ডার।

যারা ক্যাথলিক চার্চের সাথে যুক্ত ছিল, প্রথমে তারা এই ক্যালেন্ডার গ্রহণ করে। পরবর্তী চার দশকে লিপ ইয়ার নির্মূল করার পরিবর্তে, তারা অক্টোবর মাস থেকে এক লাফে ১০ দিন কমিয়ে দেয়।

১৫৮২ সালে ৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবারের পরের দিন ১৪ অক্টোবর শুক্রবার করা হয়। অন্যান্য প্রোটেস্ট্যান্ট জাতি ও সাম্রাজ্যগুলো শুরুতে এই ক্যালেন্ডার গ্রহণে অনিচ্ছুক ছিল, কিন্তু অবশেষে তারাও এই পরিবর্তিত ক্যালেন্ডার গ্রহণ করে।

যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও এর আমেরিকান উপনিবেশগুলো এই পরিবর্তন সাদরে গ্রহণ করে। তবে নতুন ক্যালেন্ডারে সমন্বয় করতে গিয়ে ১৭৫২ সালে তাদেরকেও ১২ দিন কমাতে হয়েছিল। তারা ২ সেপ্টেম্বর থেকে এক লাফে ১৪ সেপ্টেম্বরে পদার্পণ করে।

সুইডিশ পার্সিমনি ও ৩০ ফেব্রুয়ারির প্রবর্তন
সুইডেন যখন গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়, তখন তারা হঠাৎ করে ওই দিনগুলোকে একসঙ্গে বাদ দিতে চায়নি। তারা ধীরে ধীরে এই পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়াকে উপযুক্ত বলে মনে করেছিল।

এজন্য তারা টানা ৪০ বছরের জন্য ফেব্রুয়ারির লিপ দিনগুলো এড়িয়ে যায়, যতক্ষণ না সেগুলো সামঞ্জস্যপূর্ণ হচ্ছে।

তাদের এতদিনের অনুসরণ করা জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে ১৭০০ সালে একটি লিপ ইয়ার ছিল, কিন্তু তারা ফেব্রুয়ারি মাস শুধুমাত্র ২৮ দিনেই কাটায়। একইভাবে ১৭০৪, ১৭০৮ সাল লিপ ইয়ার হলেও তারা ফেব্রুয়ারি মাস ২৮ দিনেই সীমাবদ্ধ রাখতে চেয়েছিলেন।

কিন্তু, ওই সময়ে যুদ্ধ শুরু হয়ে যায় এবং অন্যান্য অগ্রাধিকারমূলক কাজের মধ্যে এই লিপ ইয়ার না কাটানোর পরিবর্তনের কথা তারা ভুলে যায়। কয়েক বছর পরে, সম্রাট দ্বাদশ চার্লস বুঝতে পেরেছিলেন যে সুইডেনের ক্যালেন্ডারটি জুলিয়ান বা গ্রেগরিয়ান কোনটিই নয়।

এরপর তিনি ক্যালেন্ডার প্রণয়নে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন এবং আগের সব পরিবর্তন বাতিল করেন। কিন্তু, যেহেতু তারা ইতোমধ্যেই ১৭০০ সালের অধিবর্ষ বাদ দিয়েছিল, তাই তিনি আদেশ দেন যেন ১৭১২ অর্থাৎ আরেকটি লিপ ইয়ারে ২৯ ফেব্রুয়ারির পাশাপাশি আরেকটি অতিরিক্ত দিন যোগ করা হয়।

এভাবে জুলিয়াস সিজারের সময় থেকে ইতিহাসে প্রথম ও একটিমাত্র বারের জন্য ৩০ ফেব্রুয়ারি তারিখটি তৈরি করা হয়েছিল।

শেষ পর্যন্ত, সুইডেন উত্তর ইউরোপে তার প্রতিবেশী দেশগুলোর উদাহরণ অনুসরণ করে। দেশটি ১৭৫৩ সালে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার গ্রহণ করে এবং একই পদ্ধতিতে বছরে ১০ দিন এক সঙ্গে ক্যালেন্ডার থেকে বাদ দিয়ে দেয়।

অন্যান্য ৩০ ফেব্রুয়ারি
বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীতে ৩০ ফেব্রুয়ারি তারিখটি ব্যবহার করতে দেখা গেছে। রে ব্র্যাডবিউরির ছোট গল্প “দ্য লাস্ট নাইট অফ দ্য ওয়ার্ল্ড”-এ ৩০ ফেব্রুয়ারি ভয়াবহ ঘটনা ঘটবে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।

ব্রিটিশ লেখক জন রোনাল্ড রিয়েল টলকিয়েন তার ফ্যান্টাসি উপন্যাস ‘দ্য হবিট এবং দ্য লর্ড অফ দ্য রিংসে’ ৩০ ফেব্রুয়ারির কথা উল্লেখ করেন। তার বই অনুযায়ী হবিটরা একটি ক্যালেন্ডার তৈরি করে যেখানে ফেব্রুয়ারি মাস ছিল ৩০ দিনে। তবে বাস্তব জগতেও এই তারিখের ব্যবহার হতে দেখা গেছে।

যখন কোন মানুষের মৃত্যুর তারিখ অজানা থাকে তখন তাদের সমাধি প্রস্তর বা এপিটাফে জন্ম তারিখ হিসেবে ৩০শে ফেব্রুয়ারি দিনটিকে রেকর্ড করা হয়।

১৭৯২ সালে ফরাসি বিপ্লব চলাকালে দেশটি তাদের গণিতবিদ গিলবার্ট রোমের ডিজাইন করা একটি ‘প্রজাতন্ত্রী’ ক্যালেন্ডার গ্রহণ করে। এই ক্যালেন্ডারে ধর্মীয় রেফারেন্স বাদ দেওয়া হয় এবং মাসগুলোর নতুন নাম দেওয়ার চেষ্টা করা হয় – নতুন নামে প্রাকৃতিক ঘটনা এবং কৃষি খাতের নানা বিষয়কে প্রাধান্য দেয়া হয়েছিল। কিন্তু ক্যালেন্ডারের নতুন এ সংস্করণের স্থায়িত্ব ছিল খুব সংক্ষিপ্ত।

এরপর ১৮১৪ সালে নেপোলিয়নের উৎখাতের পর, ফ্রান্স দ্রুতই ত্রয়োদশ গ্রেগরির তৈরি এবং জুলিয়াস সিজারের সংস্করণের ক্যালেন্ডারে ফিরে আসে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অন্যান্য

নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীরা প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না: ইসি আলমগীর

Published

on

বাংলাদেশ

স্থানীয় নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীরা প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। প্রভাব বিস্তার না করার জন্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আমরা তাদের আহ্বান জানিয়েছি। এ ছাড়া সরকার এবং দলের পক্ষ থেকেও তাদের নিষেধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে রাজবাড়ী জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা কিছুদিন আগে জেলা প্রশাসক, জেলার পুলিশ সুপার, সরকারে যারা সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রয়েছেন তাদের সঙ্গে সভা করেছি। সেখানে একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে যে এমপি ও মন্ত্রীরা কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। প্রভাব বিস্তার দুই রকম রয়েছে। একটি দৃশ্যমান ও আরেকটি অদৃশ্যমান। কোনো এমপি-মন্ত্রী যদি প্রার্থীর সঙ্গে প্রচার-প্রচারণায় থাকেন, প্রার্থীর সভায় থাকেন অথবা টেলিফোনে বা ভিডিও বার্তা পাঠাচ্ছেন প্রার্থীর পক্ষে সেরকম কিছু হলে আমাদের যে আচরণ বিধিমালা রয়েছে তা মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছিও।

ইসি মো. আলমগীর বলেন, গতকাল রোববার যে নির্বাচন হয়েছে সেখানে ভোটার উপস্থিতি ভালো ছিল। কোনো কোনো ভোটকেন্দ্রে ৭০ শতাংশ ও কোনো কোনো ভোটকেন্দ্রে ৮০ শতাংশ, আবার কোথাও ৬০ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি ছিল এই গরমের মধ্যেও। মানুষের মধ্যে এখন একটা আস্থা এসেছে যে ভোট দেওয়া যায়। আমার ভোট আমি দিতে পারব। আমরা আশা করি আপনাদের রাজবাড়ীতে যে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেখানেও ভোটার উপস্থিতি ভালো হবে। তবে এই তীব্র গরমে মানুষের একটু কষ্ট হবে তবে বাংলাদেশের মানুষ ভোটকে উৎসব হিসেবে মনে করে।

তিনি আরও বলেন, বড় দলগুলোর তেমন প্রভাব নেই। দলীয়ভাবে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না। তবে তাদের সমর্থকরা অনেকেই প্রার্থী হয়েছেন। দল থেকে তারা সমর্থন পাচ্ছেন না। অপরদিকে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। তারা স্বতন্ত্র নির্বাচন করছে। তারাও দল থেকে কাউকে সেভাবে সমর্থন দিচ্ছে না। স্থানীয়ভাবে কোনো এমপি-মন্ত্রী অথবা সরকারের কোনো কর্মকর্তা যারা সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে আছেন তাদের আত্মীয়স্বজন থাকলে তারা যেন তাদের সমর্থন না দেন, প্রচার প্রচারণায় অংশ না নেন সে বিষয়ে তাদের কঠোর বার্তা দেওয়া হয়েছে। তারা পক্ষ নিলে প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হবে এবং যে এমপি-মন্ত্রী বা সরকারি কর্মকর্তা পক্ষ নেবেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কাফি

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অন্যান্য

অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতকে পুনরায় বিএসইসি চেয়ারম্যান করে প্রজ্ঞাপন জারি

Published

on

বাংলাদেশ

দ্বিতীয় মেয়াদে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান হিসেবে পুনঃনিয়োগ পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের সাবেক ডিন ও ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। রবিবার (২৮ এপ্রিল) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এ পদে তাঁর পুনঃর্নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এর আগে প্রথমবারের মতো নিয়োগ পেয়ে একাধারে চার বছর পুঁজিবাজারের উন্নয়নে কাজ করছেন তিনি। এসময় পুঁজিবাজারের ডেফথ বাড়াতে গুণগত পরিবর্তন আনতে তিনি বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন ১৯৯৩ এর ধারা ৫ ও ৬ এর বিধানাবলী প্রতিপালন করতে শিবলী রুবাইয়াতকে আগামী চার বছর মেয়াদের জন্য বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। এর আগে ২০২০ সালের ১৭ মে বিএসইসির নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান তিনি।

এর আগে গত ৩১ মার্চ অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে আরো এক মেয়াদে পুনঃর্নিয়োগের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়। এর পর প্রধানমন্ত্রী তাতে ৪ এপ্রিল স্বাক্ষর করেন।

চিঠিতে বলা হয়, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন ১৯৯৩ এর ধারা ৫ ও ৬ এর বিধান অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তির বয়স পঁয়ষট্টি হলে তিনি চেয়ারম্যান বা কমিশনার পদে বহাল থাকতে পারবে না। সেই হিসাবে ২০২০ সালের ১৭ মে প্রথমবার বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পাওয়া শিবলী রুবাইয়াত এর মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালের ১৬ মে। এসময় তাঁর বয়স হবে ৫৬ বছর ৪ মাস ১৫ দিন। সে অনুযায়ী আরও একটি মেয়াদে চার বছরের জন্য পুনঃনিয়োগের যোগ্য।

২০২০ সালের মে মাসে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে অধ্যাপক শিবলী রুবায়াত-উল-ইসলাম দায়িত্ব গ্রহণ করার পর ঘুমন্ত পুঁজিবাজারকে জাগিয়ে তুলেন। এসময় পুরো কমিশন পুনর্গঠিত হয়। নতুন কমিশন পুঁজিবাজারকে গতিশীল করার পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের সচেতনতার জন্য বড় বড় কর্মসূচি গ্রহণ করে। চলমান উদ্যোগের পাশাপাশি নতুন নতুন পদক্ষেন নেয়। তবে এ কাজ করতে নানা ধরণের ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করে কাজ করতে হয় কমিশনকে। নতুন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে করোনা পরিস্থিতিতে সরকার ঘোষিত লকডাউনে শেয়ারবাজার খোলা রাখার ব্যবস্থা নেয়। একই সঙ্গে পুঁজিবাজারে সুশাসন ফেরাতে আইন সংস্কার ও অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে। দুর্বল ও লোকসানে থাকা কোম্পানিতে স্বচ্ছতা আনতে প্রশাসক বসানো এবং ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ পরিবর্তন করা হয়। এছাড়া, শেয়ারবাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য জিরো টলারেন্স নীতিতে স্থগিত করা হয় অনেক কোম্পানির চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পরিচালকদের বিও হিসেবে থাকা শেয়ার। বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে জব্দ করা হয়েছে অনেকের ব্যাংক হিসাব। এর বাইরেও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ন‌্যূনতম ২ শতাংশ এবং সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করা হয়। পাশাপাশি বন্ড মার্কেটকে গতিশীল করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে বৈঠক করে কর সুবিধা বাড়ানো, রাষ্ট্রায়ত্তসহ সকল বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের তাগিদ বৃদ্ধি করা, ব্যাংকের নগদ লভ্যাংশ সেপ্টেম্বরের আগে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে ফেরাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করা, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশকে (আইসিবি) শক্তিশালী করা, সুশাসন প্রতিষ্ঠায় করপোরেট গভর্ন্যান্স শক্তিশালী করা, জেড ক্যাটাগরি কোম্পানিগুলোর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, পুঁজিবাজারের জন্য ১৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠনের উদ্যোগ, ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বিভিন্ন ধরনের সভা (এজিএম, ইজিএম, পর্ষদ সভা) করার অনুমোদন, প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) প্রক্রিয়া সহজতর করা, ইউনিয়ন পর্যায়ে ও বিদেশে ব্রোকার হাউজের শাখা হিসেবে ‘ডিজিটাল বুথ’ খোলার অনুমোদন, পুঁজিবাজারকে ডিজিটালাইজড করা ইত্যাদি।

২০২১ সালে পুঁজিবাজারের সুশাসন ফেরাতে বিভিন্ন আইনকানুন সংস্কার ও অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ, সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ ও এককভাবে ন্যূনতম ২ শতাংশ শেয়ার ধারণ না থাকা কোম্পানিগুলোর ওপর কঠোরতা আরোপ, দুর্বল ও লোকসানি কোম্পানিতে স্বচ্ছতা আনতে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ পরিবর্তন, সুশাসন প্রতিষ্ঠায় দুর্বল কোম্পানির পরিচালকদের শেয়ার ও ব্যাংক হিসাব জব্দ, ২০ হাজার কোটি টাকার ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ) গঠন, আইপিওতে আসা কোম্পানির শেয়ার আনুপাতিক সমবন্টন, স্বচ্ছতা নিশ্চিতে একাধিক আইপিও বাতিল করা, ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেট (ওটিসি) বাতিল করে এসএমই প্ল্যাটফর্ম চালু করা, অল্টারনেটিভ প্ল্যাটফর্ম চালুর উদ্যোগ, ২০২০ সালে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করা, ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ প্রদানের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ, লভ্যাংশ না দেওয়া ও নামমাত্র লভ্যাংশ দেওয়া কোম্পানিগুলোর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, তফসিলি ব্যাংকের শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ বৃদ্ধির উদ্যোগ, বুকবিল্ডিংয়ের বিডিং প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বাড়ানোর উদ্যোগ, বিনিয়োগ বাড়াতে দেশে-বিদেশে ব্রোকার হাউজের শাখা হিসেবে ডিজিটাল বুথ স্থাপন, পুঁজিবাজারের ব্র্যান্ডিং ও বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন দেশে ‘রোড শো’ এর কার্যক্রম শুরু করা, বিএসইসিসহ স্টক এক্সচেঞ্জকে ডিজিটালাইজড করার উদ্যোগ, স্টক এক্সচেঞ্জে বন্ড-সুকুক-ট্রেজারি বন্ড চালুর উদ্যোগ, ব্রোকারেজ হাউজের সংখ্যা বাড়াতে নতুন ট্রেক ইস্যু করা, বাজার মধ্যস্থতাকারীদের কাজে উৎসাহ বাড়াতে পুরস্কার প্রদানের উদ্যোগ, স্বল্প মূলধনী কোম্পানিগুলোর পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর উদ্যোগ, মার্কেট মেকারের অনুমোদন, পাঠ্যপুস্তকে বিনিয়োগ শিক্ষার অন্তর্ভুক্তির উদ্যোগ এবং উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির উদ্যোগ ইত্যাদি।

২০২২ সালে বিএসইসির গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগ হলো পুনরায় ফ্লো প্রাইস আরোপ করা। বৈশ্বিক সংকটের কারণে পুঁজিবাজারে ধারাবাহিক পতন রোধে ওই বছরের ২৮ জুলাই দ্বিতীয় দফায় ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে শেয়ারের দাম কমানো ঠেকিয়ে রাখার উদ্যোগ নেয় বিএসইসি। এ ধরনের পদ্ধতি পৃথিবীর অন্য কোনও দেশের পুঁজিবাজারে না থাকলেও আমাদের সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে বহাল রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে ওই বছরের ২১ ডিসেম্বর ১৬৭ শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড থেকে ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমা গণনার ক্ষেত্রে শেয়ারের বাজারমূল্যের পরিবর্তে ক্রয়মূল্যে নির্ধারণ করার সুপারিশ, দীর্ঘদিন বিভিন্ন কারণে উৎপাদন বন্ধ থাকা কোম্পানিগুলোকে পুনরায় উৎপাদনে ফেরানো, পুঁজিবাজার থেকে টাকা তুলে লাপাত্তা হওয়া সেগুলোকে ডি লিস্টিং করিয়ে বিনিয়োগকারীদের টাকা ফিরিয়ে দেওয়া, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণে বেশ কিছু আইন-কানুন, বিধিবিধান সংস্কার, কোম্পানিগুলোকে বোনাস লভ্যাংশের বদলে নগদ লভ্যাংশ দিতে অনুপ্রাণিত করা, পুঁজিবাজারে সরকারি সিকিউরিটিজের (ট্রেজারি বন্ড ও ডিবেঞ্চার) লেনদেন চালু, মিউচুয়াল ফান্ডগুলোকে শৃঙ্খলায় ফেরানো, বন্ড মার্কেটের উন্নয়ন, ইসলামি গ্রিন সুকুকের লেনদেন চালু, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম চালু, জাপানে ভার্চুয়ালি রোড শো আয়োজন করা, মার্কেট ইন্টারমিডিয়ারিদের কাজে উৎসাহ বাড়াতে স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী পুরস্কার- ২০২২ প্রদান, বাজেটে পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগ পুনর্বহাল রাখার সুপারিশ, এসএমই প্ল্যাটফর্মে বিনিয়োগ সহজ করা, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে (সিএসই) কমোডিটি এক্সচেঞ্জ গঠনে সহায়তা প্রদান, সিএসইর স্ট্রাটেজিক পার্টনার হিসেবে বসুন্ধরা গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এবিজিকে অনুমোদন প্রদান, এক্সচেঞ্জ ট্রেডেট ফান্ড (ইটিএফ) ও অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড (এটিবি) গঠনে আইন প্রণয়ন, বিনিয়োগকারীদের প্রাপ্য লভ্যাংশ ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের (সিএমএসএফ) মাধ্যমে ফেরত প্রদান, চেক জমা দিয়েই শেয়ার কেনার সুযোগ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুঁজিবাজার নিয়ে গুজব বা ভীতি ছড়ানো কমাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ, ব্যাংক ও বিমা কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ, দেশের জনগণকে বিনিয়োগ শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে মাধ্যমিক পর্যায় থেকে পাঠ্যপুস্তকে বিনিয়োগ শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ, শেয়ারহোল্ডারদের নগদ লভ্যাংশ প্রদানে উৎসাহিত করা ও বোনাস শেয়ার অনুমোদনের ক্ষেত্রে নীতিমালা পরিবর্তন, ফ্লোর প্রাইস বহাল রাখার কারণে স্তিমিত থাকা নতুন বিনিয়োগ পুঁজিবাজারে আনতে নগদ লভ্যাংশ বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিওত) অ্যাকাউন্টে আনার উদ্যোগ, ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল মেয়াদে প্রথমবারের মতো বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের আইওএসকোর এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওনালের ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ ইত্যাদি।

২০২৩ সালে পুঁজিবাজারের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ইক্যুইটির (শেয়ার) পাশাপাশি নতুন পণ্যভিত্তিক বৈচিত্র্যময় বাজারব্যবস্থা গড়ে তোলাসহ পলিসিগত বাজারবান্ধব বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বাধীন কমিশন। বিশেষ করে ২০৪১ সালের মধ্যে ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর হওয়ার লক্ষ্যে নতুন বৈচিত্র্যময় পণ্য হিসেবে অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড (এটিবি) চালু করা, এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) চালু করা, কমোডিটি ও ডেরিভিটিভস এক্সচেঞ্জ চালু করতে বিধিমালা তৈরি করে গেজেট প্রকাশ, বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করা ইউরোপের দেশগুলোতে রোড শো আয়োজন করা, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে তৃতীয় দফায় ফ্লো প্রাইস আরোপ করা, শেয়ার, ডিবেঞ্চার, করপোরেট বন্ড এবং মিউচুয়াল ফান্ডে ব্যাংকের বিনিয়োগকে পুঁজিবাজার এক্সপোজারের বাইরে রাখার সিদ্ধান্তে সুপারিশে প্রদান, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা তথা এসডিজি অর্জনে সহায়তার লক্ষ্যে শক্তিশাল বন্ড মার্কেট গঠনে ইউএনডিপি এবং ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশনসের (আইএফসি) সহায়তার গাইডলাইন তৈরির উদ্যোগ গ্রহণসহ সমঝোতা চুক্তি, নারীদের জন্য ‘অরেঞ্জ বন্ড’ নামক এক বিশেষায়িত বন্ড তৈরির উদ্যোগ, বিনিয়োগকারীদের মার্জিন ঋণ প্রদানের সুবিধা বাড়াতে নীতি সহাতা প্রদান, পুঁজিবাজারে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগ সীমা বাড়ানো, ব্রোকারেজ হাউসগুলোতে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ও অর্থের হিসাব সংরক্ষণের জন্য পৃথক ব্যাক অফিস সফটওয়্যারের পরিবর্তে সমন্বিত ব্যাক অফিস সফটওয়্যার চালুর উদ্যোগ, পুঁজিবাজারে ইসলামিক শরিয়াভিত্তিক বিভিন্ন প্রকার সিকিউরিটিজ আনা এবং ইসলামিক ক্যাপিটাল মার্কেট গঠনের লক্ষ্যে শরীয়াহ অ্যাডভাইজারি কাউন্সিলের (এসএসি) অনুমোদন, আইওএসকোর এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওনাল কমিটির (এপিআরসি) সভা প্রথমবারের মত বাংলাদেশে আয়োজন করা, ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরের নির্দেশনা স্পষ্টীকরণ, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে পুঁজিবাজারে সতর্কতা বাড়ানোর উদ্যোগ, মুদ্রা বিনিময় হারের ঝুঁকি কমাতে পুঁজিবাজারে ‘ফরেক্স’ চালুর উদ্যোগ, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে পুনরায় কঠোরতা আরোপ, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারসহ নানা বিষয়ে মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে বিএসইসির বৈঠক, কমোডিটি এক্সচেঞ্জ নিয়ে বিএসইসি-মালয়েশিয়ান রাবার কাউন্সিলের বৈঠক, আইন-পলিসি নির্ধারণ নিয়ে বিএসইসি ও আইএমএফের বৈঠক, ৪ ব্রোকারেজ হাউজে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের অর্থ প্রদান, পুঁজিবাজারে স্বতন্ত্র পরিচালকের কর্তৃত্ব নিয়ে নতুন নির্দেশনা জারি, বিভিন্ন কোম্পানি একীভূতকরণের সিদ্ধান্ত, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণের লক্ষ্যে বেশ কিছু আইন-কানুন, বিধিবিধান সংস্কার, পুঁজিবাজারে শৃঙ্খলা ও স্বচ্ছতা রক্ষার স্বার্থে বছরজুড়েই কারসাজির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান; বগুড়া ও সিলেট বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পুঁজিবাজার সম্পর্কে সম্যক ধারণা ও দক্ষতা বাড়ানো, বছরের শেষ দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে পুঁজিবাজারের সদস্য করা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার পূর্বে উত্তরা ব্যাংকের (তৎকালীন ইস্টার্ন ব্যাংকিং করপোরেশন) ৪০টি শেয়ার তার যোগ্য উত্তরসূরির নিকট হস্তান্তর করা ২০২৩ সালের অন্যতম বড় অর্জন।

২০২৪ সালের শুরুতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করে নেওয়া বিএসইসি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এছাড়া প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে (সিএসই) কমোডিটি এক্সচেঞ্জের সনদ প্রদান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী পালন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ৫ জন দৃষ্টি প্রতিবন্ধীকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি প্রদান, বাংলাদেশের সঙ্গে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সম্পর্ক আরও জোরদার করতে সফরতর দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক, স্টক ব্রোকার এবং মার্চেন্ট ব্যাংকের গ্রাহকের (বিনিয়োগকারী) মার্জিন ঋণের পোর্টফোলিওতে পুনর্মূল্যায়ন জনিত অনাদায়কৃত ক্ষতির বিপরীতে রক্ষিতব্য প্রভিশন সুবিধার মেয়াদ ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো, প্রায় ৫ বছর ধরে বন্ধ থাকা পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিসেস লিমিটেডের লেনদেন শুরুর সিদ্ধান্ত, অডিটর ও অডিট প্রতিষ্ঠান বিএসইসির তালিকাভুক্ত করার ক্ষেত্রে নীতিমালা তৈরির উদ্যোগ, ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাদে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের নিয়ে নির্দেশনা জারি; নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করতে ব্যর্থ হওয়া, ছয় মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকা এবং সম্পদের চেয়ে দায় বেশি থাকায় কোম্পানিগুলোকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরের নির্দেশনা জারি, ২৬টি কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের পরিশোধিত মূলধনের ন্যূনতম ৩০ শতাংশ ধারণ নিশ্চিত করার পুনরায় নির্দেশ ইত্যাদি।

জানা গেছে, শিবলী রুবায়াত-উল-ইসলাম কমিশন দায়িত্ব নিয়ে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সাথে সমন্বিতভাবে কাজ শুরু করে। এতে পুঁজিবাজার উপকৃত হয়। বিশেষ করে বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সর্বাত্মক পারস্পরিক সহযোগিতায় সংকটময় পরিস্থিতিতে পুঁজিবাজার গতিশীল রাখার প্রয়াস নেয়। এসময় বৈশ্বিক সংকটের কারণে দেশের পুঁজিবাজারে অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে গেছে। তবে সূচক বিবেচনায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তুলনায় বৈশ্বিক সংকটে দেশের পুঁজিবাজার অনেক ভালো আছে। এ সময়ে কমিশন এসএমই প্ল্যাটফর্ম, অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড (এটিবি), এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ), ট্রেজারি বন্ড, কমোডিটি এক্সচেঞ্জসহ নতুন নতুন প্রোডাক্ট পুঁজিবাজারে সংযুক্ত করেছে। ইতিমধ্যে এর সুফল বিনিয়োগকারীরা পেতে শুরু করেছে। এছাড়াও কমিশনের সফলতায় কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালুর মাধ্যমে নতুন মাইলফল অর্জন করে পুঁজিবাজার।

অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত একাধিকবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সিনেট সদস্য এবং কোষাধ্যক্ষ হয়েছেন। পাশাপাশি বাণিজ্য অনুষদের ডিন হিসেবে বহুবার দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের কোষাধ্যক্ষ। বর্তমানে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অফ সিকিউরিটিজ কমিশনসের (আইওএসকো) এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওনালের ভাইস চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের গভর্নিং বডির সদস্য। এছাড়া সাধারন বিমা কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান হিসাবেও তিনি ২ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি আওয়ামী লীগের একজন রাজনীতিবিদ।

অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম ১৯৬৮ সালের ১ জানুয়ারি ঢাকার ধামরাইতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকার গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল থেকে ১৯৮৩ সালে এসএসসি পাশ করে ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৮৫ সালে এইচএসসি পাশ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৫-১৯৮৯ সালে এমবিএ ডিগ্রী অর্জন করেন।তাঁর পিতা রফিকুল ইসলাম খান অবসর গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত ন্যাশনাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। তাঁর মা হাসিনা মমতাজ (১০ মার্চ ১৯৪৫-১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪) একজন দেশের প্রখ্যত সংগীতশিল্পী। অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের স্ত্রী শেনিন রুবাইয়াত ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ইংরেজি ও মানবিক বিভাগের অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনের সংবাদ উপস্থাপক। এই দম্পতীর ২ ছেলে সন্তান রয়েছেন।

এসএম

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অন্যান্য

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পর্ষদ সভা ২৪ এপ্রিল

Published

on

বাংলাদেশ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড প্রান্তিক সংক্রান্ত পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ২৪ এপ্রিল বিকাল সাড়ে ৩টায় কোম্পানিটির পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, আলোচিত সভায় ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২৪-মার্চ’২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ এ প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।

কাফি

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অন্যান্য

ভারতে লোকসভা নির্বাচনের ভোট শুরু

Published

on

বাংলাদেশ

ভারতে লোকসভা নির্বাচনের ভোট শুরু হয়েছে। শুক্রবার লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট চলছে। ২১টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ১০২টি আসনে ভোট হচ্ছে। এবার মোট সাত দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।প্রথম দফায় পশ্চিমবঙ্গের তিনটি কেন্দ্রে ভোট হচ্ছে। জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে আজ চলছে ভোট।

এছাড়াও বিহারের চার আসন, উত্তরাখণ্ড এবং মহারাষ্ট্রের ছয় আসন, উত্তরপ্রদেশের ৮ আসন, রাজস্থানের ১২ আসন, অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর, মেঘালয়ে দুটি করে আসন, ছত্তীসগঢ়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, সিকিম, ত্রিপুরা, উত্তরাখণ্ড, আন্দামান ও নিকোবর, জম্মু ও কাশ্মীর, লক্ষদ্বীপ এবং পুদুচেরিতে একটি করে আসনে ভোট হচ্ছে আজ।

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে জিতেছিল বিজেপি। ফলে তিন আসন ফিরে পেতে মরিয়া বাংলার শাসকদল তৃণমূল। রাজনীতিবিদদের মতে, এই তিন আসনেই মূলত বিজেপি-তৃণমূল মুখোমুখি লড়াই হবে।

কোচবিহারে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে লড়াই সিতাইয়ের বিধায়ক তথা তৃণমূল প্রার্থী জগদীশ রায় বসুনিয়ার। জলপাইগুড়িতে বিজেপির বিদায়ী সংসদ সদস্য জয়ন্ত রায়ের সঙ্গে লড়াই হবে তৃণমূলের বিধায়ক তথা প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়ের। তবে আলিপুরদুয়ার আসনে প্রার্থী বদল করেছে বিজেপি। বিদায়ী সংসদ সদস্য কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লার বদলে এই আসনে প্রার্থী করা হয়েছে মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ টিগ্গাকে। তার সঙ্গে লড়াই হবে তৃণমূল প্রার্থী প্রকাশ চিক বরাইকের।

কোচবিহারে ২০৪৩টি বুথে, আলিপুরদুয়ারে ১৮৬৭টি বুথে এবং জলপাইগুড়িতে ১৯০৪টি বুথে ভোট চলছে। কোচবিহারে ভোটাধিকার প্রয়োগ করার কথা ১০ লাখ ১৪ হাজার ৮৬৪ জন পুরুষ এবং ৯ লাখ ৫১ হাজার ৯৯৬ জন নারী ভোটারের।

আলিপুরদুয়ারে ভোট দেবেন ৮ লাখ ৮৯ হাজার ১৯ জন পুরুষ এবং ৮ লাখ ৮৪ হাজার ৮৭১ জন নারী। জলপাইগুড়িতে এই সংখ্যাটি যথাক্রমে ৯ লাখ ৫৮ হাজার ৬১১ এবং ৯ লাখ ২৭ হাজার ৩৩৯। জলপাইগুড়িতে মোট ১৮ লাখ ৮৫ হাজার ৯৬৩ জন, আলিপুরদুয়ারে মোট ১৭ লাখ ৭৩ হাজার ২৫২ জন এবং কোচবিহারে মোট ১৯ লাখ ৬৬ হাজার ৮৯৩ জনের ভোট দেওয়ার কথা।

সবচেয়ে বেশি ভোট হচ্ছে তামিলনাড়ুতে। সেখানে আজ ৩৯টি আসনে ভোট চলছে। মণিপুরে মোট দুটি লোকসভা আসন। ইনার মণিপুর এবং আউটার মণিপুর। তবে নির্বাচন কমিশন আউটার মণিপুরকে ভাগ করে দুই দফায় ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ তাই আউটার মণিপুরের একাংশে ভোট হচ্ছে। বাকি অংশে ভোট হবে আগামী ২৬ এপ্রিল।

শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে ভোট শুরু হয়েছে। ভোট চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ওই কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি বিভিন্ন কেন্দ্রেরাজ্য পুলিশের ওপরেও আস্থা রেখেছে নির্বাচন কমিশন।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অন্যান্য

কৃষকরাই অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি: স্পিকার

Published

on

বাংলাদেশ

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। কৃষকদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের অর্থনীতি শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আছে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) নিজ নির্বাচনী এলাকা ২৪ রংপুর-৬ এর অন্তর্গত পীরগঞ্জ উপজেলার ৯ নম্বর পীরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ আয়োজিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়ন সহায়তা তহবিলের অর্থায়নে এ ইউনিয়নের প্রান্তিক কৃষকদের জন্য স্প্রে মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার এ কথা বলেন।

জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নয় নম্বর পীরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে পীরগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইকবাল হাসান বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।

স্পিকার বলেন, আধুনিক কৃষির বিস্তারে কৃষকদের মাঝে সঠিক পরামর্শ প্রদানে উপজেলা কৃষি অফিস সর্বদা নিয়োজিত আছে।

এ সময় তিনি নিয়মিত প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে কৃষকদের মাঝে ১৫০টি স্প্রে মেশিন বিতরণ করেন।

এরপর তিনি পীরগঞ্জ উপজেলা মডেল মসজিদ এবং লালদিঘী হাবিবিয়া কাদেরীয়া সিদ্দিকিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসা ও এতিমখানা পরিদর্শন করেন।

তিনি মডেল মসজিদের সামনে একটি দৃষ্টিনন্দন বাগান স্থাপনের জন্য পরামর্শ প্রদান করেন এবং প্রয়োজনীয় অর্থ প্রদানে ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানান।

পরে তিনি জয় সদন সংলগ্ন ফতেপুর মিয়াপাড়ার রাস্তাটি পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করেন এবং তার রূহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করেন।

এরপর স্পিকার বিখ্যাত পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার বাড়ি জয় সদনে পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন।

এ অনুষ্ঠানে পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ এস এম তাজিমুল ইসলাম শামীম, পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন রাজা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন
বাংলাদেশ
রাজধানী1 min ago

রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ থাকবে মঙ্গলবার

বাংলাদেশ
পুঁজিবাজার15 mins ago

বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ

বাংলাদেশ
সারাদেশ9 hours ago

নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাচন স্থগিত

বাংলাদেশ
শিল্প-বাণিজ্য10 hours ago

এশিয়ায় অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আমদানি বেড়েছে

বাংলাদেশ
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার10 hours ago

ঢাবিতে বুধবার থেকে সশরীরে ক্লাস শুরু

বাংলাদেশ
জাতীয়10 hours ago

প্রকৌশলীদের আরো কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ
জাতীয়10 hours ago

উপজেলা নির্বাচনে দেড় লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন

বাংলাদেশ
জাতীয়11 hours ago

সরকার বিনিয়োগকারীদের সব সুবিধা নিশ্চিতে বদ্ধপরিকর: পরিবেশমন্ত্রী

বাংলাদেশ
শিল্প-বাণিজ্য11 hours ago

বিশ্ববাজারে টানা দুই বছর কমবে পণ্যের দাম

বাংলাদেশ
জাতীয়12 hours ago

অর্থ-কারাদণ্ডের বিধান রেখে সংসদে পরিশোধ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা বিল

বাংলাদেশ
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার12 hours ago

এসএসসির ফল ১২ মে, জানা যাবে যেভাবে

বাংলাদেশ
অর্থনীতি12 hours ago

মৎস্য খাতের উন্নয়নে দুটি রপ্তানি অঞ্চল চান ব্যবসায়ীরা

বাংলাদেশ
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার12 hours ago

চাকরির সুযোগ দিচ্ছে ব্র্যাক ব্যাংক

বাংলাদেশ
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার12 hours ago

ইবিতে ইনোভেশন শোকেসিং বিষয়ক কর্মশালা

বাংলাদেশ
অর্থনীতি13 hours ago

টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু আগামীকাল

বাংলাদেশ
আবহাওয়া13 hours ago

১৩ অঞ্চলে ৮০ কি.মি বেগে ঝড়ের শঙ্কা

বাংলাদেশ
আন্তর্জাতিক13 hours ago

হজ ভিসায় নতুন শর্ত দিলো সৌদি

বাংলাদেশ
জাতীয়13 hours ago

৮ মে ১৪১ উপজেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা

বাংলাদেশ
জাতীয়14 hours ago

দেশে নারীর চেয়ে পুরুষদের বেকারত্ব বেড়েছে

বাংলাদেশ
জাতীয়14 hours ago

জেদ্দায় ইউএস-বাংলার ফ্লাইট শুরু ১ আগস্ট

বাংলাদেশ
পুঁজিবাজার14 hours ago

অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ

বাংলাদেশ
পুঁজিবাজার14 hours ago

বিএসইসি চেয়ারম্যানকে ন্যাশনাল লাইফের শুভেচ্ছা

বাংলাদেশ
জাতীয়14 hours ago

গ্রামে লোডশেডিং না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

বাংলাদেশ
কর্পোরেট সংবাদ15 hours ago

রূপালী ব্যাংকে ইনোভেশন প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ
জাতীয়15 hours ago

মঙ্গলবার ঢাকায় আসছেন ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী

Advertisement

ফেসবুকে অর্থসংবাদ

২০১৮ সাল থেকে ২০২৩

অর্থসংবাদ আর্কাইভ

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১