ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
চবি’র ভর্তি পরীক্ষা শুরু ২ মার্চ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ (স্নাতক) ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২ মার্চ ‘এ’ ইউনিটের মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে শেষ হবে ১৬ মার্চ। এবার চট্টগ্রামের বাইরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রেও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে চবি ক্যাম্পাসে থাকছে বাড়তি নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা নজরদারি।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে চবি প্রক্টরের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানিয়েছেন চবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. নূরুল আজিম সিকদার।
এ সময় প্রক্টর বলেন, ভর্তি পরীক্ষার সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ বাহিনী, ডিজিএফআই, এনএসআই, ডিএসবি, রেলওয়ে পুলিশ, প্রক্টরিয়াল বডি, নিরাপত্তা কর্মী, বিএনসিসি এবং রোভার স্কাউটের প্রায় ৭ শতাধিক কর্মী নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে। আমরা সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি।
এবারের ভর্তি পরীক্ষায় চবির চারটি ইউনিট ও দুটি উপ-ইউনিটের মোট ৪ হাজার ৯২৬টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছে ২ লাখ ৪৩ হাজার ৫৫৫ জন শিক্ষার্থী। প্রতি আসন লড়বেন ৪৯ জন ভর্তিচ্ছু।
‘এ’ ইউনিট
বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘এ’ ইউনিটের অধীনে রয়েছে চারটি অনুষদ। এগুলো হলো বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেরিন সায়েন্স অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদ। এই চার অনুষদে মোট আসন রয়েছে ১ হাজার ২১৫টি এবং আবেদন করেছেন ৯৯ হাজার ৫২১ জন শিক্ষার্থী। ‘এ’ ইউনিটে আসন প্রতি লড়বেন ৮১ জন।
‘বি’ ইউনিট
কলা ও মানববিদ্যা অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটে মোট আসন রয়েছে ১ হাজার ২২১টি। আবেদন করেছে ৬৫ হাজার ২৬৭ জন শিক্ষার্থী। প্রতি আসনে লড়বেন ৫৩ জন। অন্যদিকে ‘বি-১’ উপ-ইউনিটে ( চারুকলা, নাট্যকলা ও সংগীত বিভাগ নিয়ে গঠিত) আসন রয়েছে ১২৫টি। এর বিপরীতে আবেদন করেছে ১ হাজার ৬৬৯ জন শিক্ষার্থী।
‘সি’ ইউনিট
ব্যবসা প্রশাসন অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটে মোট আসন রয়েছে ৬৪০টি। এর বিপরীতে আবেদন করেছেন ১৭ হাজার ৩০০ জন শিক্ষার্থী। প্রতি আসনে লড়বেন ২৭ জন।
‘ডি’ ইউনিট
সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ডি’ ইউনিটে মোট আসন রয়েছে ৯৫৮টি এবং আবেদন করেছেন ৫৭ হাজার ৮০৪ জন শিক্ষার্থী। আসন প্রতি লড়বেন ৬০ জন। অন্যদিকে ‘ডি-১’ উপ-ইউনিটের ৩০টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ১ হাজার ৯৯৪ জন শিক্ষার্থী। প্রতি আসনে লড়বেন ৬৬ জন।
পরীক্ষার সূচি
আগামী ২ মার্চ ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা দিয়ে শুরু হবে ভর্তি পরীক্ষা। ৮ মার্চ ‘বি’ ইউনিট, ৯ মার্চ ‘সি’ ইউনিট এবং ১৬ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে ‘ডি’ ইউনিটের পরীক্ষা। এ ছাড়া ‘বি-১’ উপ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ৩ মার্চ ও ‘ডি-১’ উপ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ৪ মার্চ, ‘বি-১’ উপ-ইউনিটের ব্যবহারিক পরীক্ষা হবে ১২, ১৩ ও ১৪ মার্চ এবং ‘ডি-১’ উপ-ইউনিটের ব্যবহারিক পরীক্ষা ১০ ও ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে।

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
রাকসু নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৭২ শতাংশ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে ৭২ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ভোট গ্রহণ শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাকসু নির্বাচন কমিশবার মোস্তফা কামাল আকন্দ।
এর আগে দুপুর ১টা পর্যন্ত ৪২ শতাংশ ভোট কাস্ট হওয়ার তথ্য জানায় নির্বাচন কমিশন। এছাড়া বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ৬০ শতাংশ ভোট কাস্ট হওয়ার কথা জানানো হয়।
সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। নির্বাচনে মোট প্রার্থী ৯১৮ জন। আর ভোটার ২৮ হাজার ৯০১ জন।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
২০২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সবাই ফেল

চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় দেশের ২০২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সবাই ফেল করেছে।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার সভাকক্ষে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবির এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ২০২৪ সালে শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠান ছিল ৬৫টি। এবার সে সংখ্যা বেড়ে ২০২টি।
বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রকাশিত ফলাফল শিক্ষার্থীরা তিনভাবে জানতে পারবে।
প্রথমত, অনলাইনে www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে বোর্ডের নাম, রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে ফলাফল দেখা যাবে। দ্বিতীয়ত, সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা পরীক্ষা কেন্দ্র থেকেও ফল জানা যাবে। তৃতীয় পদ্ধতিতে এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল জানা সম্ভব— এক্ষেত্রে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে HSC <স্পেস> বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর <স্পেস> রোল <স্পেস> বছর লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে।
আর ফল প্রকাশ উপলক্ষ্যে একই দিন সকাল ১০টায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভাও অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে, ফলাফল পুনর্নিরীক্ষণ আবেদন গ্রহণ করা হবে আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত। শিক্ষার্থীরা অনলাইনে https: //rescrutiny.eduboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবে। শিক্ষা বোর্ড বা অন্যকোনো অফিসে সরাসরি আবেদন গ্রহণ করা হবে না।
প্রসঙ্গত, এ বছর দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করেন। তাদের মধ্যে ৬ লাখ ১৮ হাজার ১৫ জন ছাত্র এবং ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ জন ছাত্রী। সারাদেশে মোট ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে প্রায় ২৭ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ

চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় দেশের শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট, সংশ্লিষ্ট সব পরীক্ষাকেন্দ্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও এসএমএসের মাধ্যমে এই ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রকাশিত ফলাফল শিক্ষার্থীরা তিনভাবে জানতে পারবে।
প্রথমত, অনলাইনে www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে বোর্ডের নাম, রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে ফলাফল দেখা যাবে। দ্বিতীয়ত, সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা পরীক্ষা কেন্দ্র থেকেও ফল জানা যাবে। তৃতীয় পদ্ধতিতে এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল জানা সম্ভব— এক্ষেত্রে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে HSC <স্পেস> বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর <স্পেস> রোল <স্পেস> বছর লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে।
আর ফল প্রকাশ উপলক্ষ্যে একই দিন সকাল ১০টায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভাও অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে, ফলাফল পুনর্নিরীক্ষণ আবেদন গ্রহণ করা হবে আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত। শিক্ষার্থীরা অনলাইনে https: //rescrutiny.eduboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবে। শিক্ষা বোর্ড বা অন্যকোনো অফিসে সরাসরি আবেদন গ্রহণ করা হবে না।
প্রসঙ্গত, এ বছর দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করেন। তাদের মধ্যে ৬ লাখ ১৮ হাজার ১৫ জন ছাত্র এবং ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ জন ছাত্রী। সারা দেশে মোট ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে প্রায় ২৭ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।
কাফি
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
রাকসু নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু

দীর্ঘ ৩৫ বছর পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
বিকেল ৫টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে কেন্দ্রীয়ভাবে ১৭টি কেন্দ্রের ফলাফল গণনা শুরু হবে। এর আগে সকাল সোয়া ৭টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী সরঞ্জামাদি বিতরণ শুরু হয়। এ সময় প্রিজাইডিং অফিসারদের কাছে হালনাগাদ ভোটার তালিকা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, ওএমআরযুক্ত ব্যালট পেপার, অমোচনীয় কালিসহ অন্যান্য নির্বাচনী সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এ বিষয়ে রাকসুর নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা কামাল আকন্দ জানান, কেন্দ্রে কেন্দ্রে ব্যালেট বাক্স পৌঁছানো হচ্ছে। যথা সময়ে ভোট গ্রহণে কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম পৌঁছে গেছে। সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ নিশ্চিতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয়েছে ১০০টি সিসি ক্যামেরা। সব মিলিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ ও গোছানো নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ২৮ হাজার ৯০১ জন, যার মধ্যে ৩৯ দশমিক ১ শতাংশ নারী এবং ৬০ দশমিক ৯ শতাংশ পুরুষ। মোট ৮৬০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় রাকসুর ২৩ পদে ৩০৫ জন, সিনেটের ৫ পদে ৫৮ জন এবং ১৭টি হল সংসদের ২৫৫ পদে ৫৫৫ জন প্রার্থী লড়াই করছেন।
ভোটগ্রহণ হবে ৯টি একাডেমিক ভবনে স্থাপিত ১৭টি কেন্দ্রে। ভোট পরিচালনায় থাকবেন ২১২ জন শিক্ষক। এর মধ্যে ১৭ জন প্রিসাইডিং অফিসার এবং বাকি সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া ৯১ জন পোলিং অফিসার দায়িত্বে থাকবেন।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ক্যাম্পাসে মোতায়েন করা হয়েছে দুই হাজার পুলিশ সদস্য, ৬ প্লাটুন বিজিবি ও ১২ প্লাটুন র্যাব। সব ভোটকেন্দ্রে থাকবে সিসিটিভি নজরদারি এবং স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ব্যবহার করা হবে।
প্রসঙ্গত, এবার রাকসুতে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির সমর্থিতসহ মোট ১১টি প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচনে ২৩টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৪৭ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ভিপি পদে ১৮, জিএস পদে ১৩ এবং এজিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৬ জন। এছাড়া বাকি ২০টি পদে ২০০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
দীর্ঘ ৪৪ বছর পর চাকসুর নেতৃত্বে শিবির

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে দীর্ঘ ৪৪ বছর পর আবারও নেতৃত্বে ফিরেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। সংগঠনটির সমর্থিত প্যানেল ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ ভিপি ও জিএসসহ মোট ২৪টি পদে বিজয়ী হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ভোর সাড়ে ৪টায় সপ্তম চাকসু নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রার্থী ও ভোটারদের অংশগ্রহণ ছিল উৎসবমুখর।’
সহসভাপতি (ভিপি) পদে নির্বাচিত হয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত মো. ইব্রাহিম হোসেন। ইতিহাস বিভাগের এমফিল শিক্ষার্থী ও সংগঠনটির চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণের সভাপতি তিনি। ইব্রাহিম পেয়েছেন ৭ হাজার ৯৮৩ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত সাজ্জাদ হোসেন পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৭৪ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৮ হাজার ৩১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন একই প্যানেলের সাঈদ বিন হাবিব। ইতিহাস বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সাহিত্য সম্পাদক তিনি। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের মো. শাফায়াত পেয়েছেন ২ হাজার ৭৩৪ ভোট।
চাকসুর এবারের নির্বাচনে মোট ২৬টি পদের মধ্যে ২৪টি দখলে নেয় শিবির সমর্থিত প্যানেল। ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল শুধু সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে জয়লাভ করে। এজিএস পদে ছাত্রদলের আইয়ুবুর রহমান পেয়েছেন ৭ হাজার ১৪ ভোট, শিবির সমর্থিত সাজ্জাদ হোছন পেয়েছেন ৫ হাজার ৪৫ ভোট। এছাড়া সহ খেলাধুলা ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে জয়লাভ করেছেন তামান্না মাহবুব নামে এক ছাত্রী।
চাকসু নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সর্বশেষ বিজয় ছিল ১৯৮১ সালে। সেবার ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন জসিম উদ্দিন সরকার ও জিএস হন আবদুল গাফফার। এরপর ১৯৯০ সালের নির্বাচনে ‘সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য’র কাছে পরাজিত হয় শিবির।
২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ক্যাম্পাসে শিবির নিষিদ্ধ হয় এবং সংগঠনটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। প্রায় এক দশকের নিষ্ক্রিয়তার পর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শিবির আবারও প্রকাশ্যে রাজনীতিতে ফেরে।
প্রায় এক বছর না যেতেই ২০২৫ সালের চাকসু নির্বাচনে তাদের এমন বিজয় ক্যাম্পাসজুড়ে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন পর্যন্ত মাত্র সাতবার চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে: ১৯৭০, ১৯৭২, ১৯৭৪, ১৯৭৯, ১৯৮১, ১৯৯০ এবং এবার ২০২৫ সালে।
১৯৯০ সালের পর দীর্ঘ তিন দশক চাকসু নির্বাচন বন্ধ ছিল। এবার নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত করেছে।
প্রথমবার ভোট দেওয়া শিক্ষার্থীরা বলছেন, ‘জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে পারিনি, কিন্তু চাকসুতে দিয়েছি, এটাই আমাদের গণতান্ত্রিক অভিজ্ঞতার শুরু।’