জাতীয়
হজ নিবন্ধনের ‘বিশেষ ৮ দিন’ শেষ হচ্ছে আজ
আজ শেষ হচ্ছে হজ নিবন্ধনের বিশেষ ৮ দিন। হজ এজেন্সি ও হজে যেতে ইচ্ছুকদের দাবির প্রেক্ষিতে গত ২৫ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিশেষ ৮ দিন সময় বাড়ানো হয়। কিন্তু শেষ এই সুযোগেও বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দ হজ কোটা পূরণে এখনও বাকি ৫৮ হাজারের বেশি।
এ বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের হজে যাওয়ার কোটা রয়েছে। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন ৬৪ হাজার ৪৫ জন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৯৭৬ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬০ হাজার ৬৯ জন নিবন্ধন করেছেন। সে হিসেবে এখনো কোটা খালি রয়েছে ৬৩ হাজার ১৫৩টি।
গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে এবারের হজ নিবন্ধন শুরু হয়, যা ১০ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা ছিল। প্রত্যাশিত সাড়া না পাওয়ায় প্রথম সময় বাড়ানো হয় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরে সময় ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত এবং তৃতীয় দফায় ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
এদিকে, আসন্ন হজ মৌসুমে মক্কায় প্রায় ২০ লাখ হাজির থাকার ব্যবস্থার পরিকল্পনা সাজাচ্ছে সৌদি আরব। মক্কা সিটির মেয়র দপ্তর এবার চার হাজার ভবনকে লাইসেন্স দেয়ার পরিকল্পনা করছে। যেগুলোয় ৫ লাখ রুম থাকবে। আর এসব রুমে থাকবেন ২০ লাখ হাজি। ইতোমধ্যে এক হাজার ভবনকে লাইসেন্সও দেয়া হয়েছে। গত বছর ১৮ লাখ মানুষ পবিত্র হজ পালন করেন।
প্রসঙ্গত, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন (১৪৪৫ হিজরি সনের ৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পর্যটন খাতে তুরস্ককে বিনিয়োগের আহ্বান মন্ত্রীর
পর্যটন খাতে তুরস্ককে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন সাক্ষাৎ করতে আসলে তিনি এই আহ্বান জানান।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে ভালো বিনিয়োগ পরিবেশের নিশ্চয়তা প্রদান করে। আমাদের দেশের শ্রমমূল্য অন্যান্য দেশের তুলনায় যথেষ্ট যৌক্তিক। আমাদের অফুরন্ত সম্ভাবনার একটি অভ্যন্তরীণ বড় বাজার রয়েছে। বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় পর্যটন শিল্পে তুরস্কের বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করলে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে। বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে ও পর্যটন অবকাঠামো নির্মাণে বিনিয়োগ করলে এতে বিনিয়োগকারীরা লাভবান হবেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ও তুরস্কের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অনেক প্রাচীন। অন্যান্য অনেক শিল্পের মতো এভিয়েশন শিল্পেও দুই দেশের অংশীদারিত্ব রয়েছে। তবে দুই দেশের এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্কে পরিণত করতে পারে পর্যটন শিল্প। আমাদের দুই দেশের যৌথভাবে এই শিল্পে অনেক কিছু করার সুযোগ রয়েছে।
ফারুক খান বলেন, পর্যটন শিল্প ব্যবস্থাপনায় তুরস্কের অনেক দিনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমরা চাই আমাদের দেশে পর্যটন শিল্পে কর্মরত কর্মীদের তুরস্ক যেন পর্যটন শিল্প বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদানে সহায়তা করে। তুরস্কের সরকার প্রতি বছর শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশুনা করার জন্য যে বৃত্তি প্রদান করে সেখানে পর্যটনকে বিশেষ ভাবে বিবেচনা করা যেতে পারে। পর্যটন শিল্পের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা বিনিময় দুই দেশের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে।
সাক্ষাৎকালে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির কারণেই দিনদিন বাংলাদেশের এভিয়েশন ও পর্যটন শিল্পের গুরুত্ব বাড়ছে। আমরা এভিয়েশন শিল্পে দুই দেশের বিদ্যমান সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করতে চাই। বাংলাদেশে ইতোমধ্যে বিভিন্ন শিল্পে আমাদের যৌথ বিনিয়োগ রয়েছে। পর্যটন শিল্পের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের জন্য আমি তুরস্কের বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কথা বলব এবং তাদের বিনিয়োগের জন্য উৎসাহিত করব।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, পর্যটন শিল্প ব্যবস্থাপনায় তুরস্কের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা আমরা বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে কর্মরতদের সঙ্গে শেয়ার করতে আগ্রহী। পর্যটন শিল্পে কর্মরত কর্মীদের যাতে পর্যটন শিল্পের উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় সেই বিষয়ে আমি তুরস্কের প্রতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গে যোগাযোগ করে কথা বলব। প্রশিক্ষণ প্রদানের বিষয়ে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক প্রস্তাব পেলে আমরা তা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করব। এছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানের ক্ষেত্রে পর্যটনকে যেন আলাদাভাবে বিবেচনা করা হয় সেই বিষয়টি আমি তুরস্কের সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবহিত করব। এভিয়েশন ও পর্যটন শিল্পের অংশীদারিত্ব আমাদের দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় উন্নীত করবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
চট্টগ্রামের বে টার্মিনালে ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করলো আবুধাবি পোর্টস
চট্টগ্রাম বন্দরের বে টার্মিনাল প্রকল্পের অধীন মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণে ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করছে আবুধাবি পোর্টস গ্রুপ (এডি পোর্টস)। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে এডি পোর্টস, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (সিপিএ), নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং এডি পোর্টসের বাংলাদেশ এজেন্ট সাইফ পাওয়ারটেকের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করা হয়েছে।
জানা যায়, টার্মিনালটি নির্মিত হলে চট্টগ্রাম বন্দর বছরে ১০ লাখ টিইইউ (টোয়েন্টি-ফুট ইকুইভ্যালেন্ট ইউনিট) কন্টেইনার এবং ৭০ লাখ মেট্রিক টন কার্গো হ্যান্ডলিং করতে পারবে। এতে দেশের আমদানি ও রপ্তানি দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি পরিবহন খরচ এবং সময় কমে আসবে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহেল এর আগে বলেছিলেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ টার্মিনালের অর্থায়নের জন্য এডি পোর্টসের প্রাথমিক প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। তবে নন-বাইন্ডিং সমঝোতার সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামীর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বর্তমান চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে পতেঙ্গা হালিশহর উপকূল বরাবর আড়াই হাজার একর জমিতে বে টার্মিনালটি নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পের অধীনে মোট ৪টি টার্মিনাল নির্মিত হবে। এর মধ্যে আবুধাবি পোর্ট গ্রুপের বিনিয়োগ সহায়তায় মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণ করবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া দেড় বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে পিএসএ ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেড (পূর্বের পোর্ট অব সিঙ্গাপুর অথোরিটি) এবং ডিপি ওয়ার্ল্ড (দুবাইভিত্তিক একটি আমিরাতি বহুজাতিক লজিস্টিক কোম্পানি) উভয়ে দেড় বিলিয়ন ডলার করে বিনিয়োগ করে দুটি কন্টেইনার টার্মিনাল করবে। লিকুইড কার্গো টার্মিনাল নির্মাণে সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে ইস্ট কোস্ট গ্রুপ ও তাদের বিদেশি সহযোগী প্রতিষ্ঠান।
এছাড়া বে টার্মিনালের চ্যানেল তৈরিতে বিনিয়োগ করা হবে ৫০০ মিলিয়ন ডলার। ব্রেক ওয়াটার (ঢেউ নিরোধক বাধ), ট্রাক টার্মিনালসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে বিনিয়োগ হবে প্রায় ১০০০ কোটি ডলার।
চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, বে টার্মিনাল প্রকল্পের মাল্টিপারপাস টার্মিনাল এবং দুটি কন্টেইনার টার্মিনালে বার্থের দৈর্ঘ্য তিন হাজার ৯৫০ মিটার। এর মধ্যে মাল্টিপারপাস টার্মিনালে বার্থের দৈর্ঘ্য দেড় হাজার মিটার। মাল্টি পারপাস টার্মিনালের মোট বার্থসংখ্যা ৫টি। টার্মিনালে প্যানামেক্স ক্লাসের কন্টেইনার জাহাজ, বাল্ক ক্যারিয়া, রো রো শিপ ইত্যাদি জাহাজ ভিড়তে পারবে। দুটি কন্টেইনার টার্মিনালের প্রতিটির বার্থ এরিয়া হবে এক হাজার ২২৫ মিটার করে। কন্টেইনার টার্মিনালে বার্থের সংখ্যা ৪টি করে মোট ৮টি।
এ বিষয়ে এডি পোর্টস গ্রুপের স্থানীয় এজেন্ট সাইফ পাওয়ারটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার রুহুল আমিন জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে চুক্তি করার ক্ষেত্রে সকল কমপ্লায়েন্স মেনেছে এডি পোর্টস গ্রুপ।
বাংলাদেশ ফ্রোইট ফরোয়ার্ডার অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট খায়রুল আলম সুজন বলেন, বে টার্মিনাল প্রকল্প আমাদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা। সেটি বাস্তবায়ন হতে চলেছে; এটি নিঃসন্দেহে ইতিবাচক। টার্মিনালটির কার্যক্রম শুরু হলে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে গতি আসবে, বড় জাহাজ ভিড়তে পারবে। এতে সময় ও ব্যয় কমে আসবে।
তিনি আরও বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে জাহাজ ভেড়ানোর ক্ষেত্রে জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভর করতে হবেনা। টার্মিনালটিতে ছয় হাজার কন্টেইনার বহনক্ষমতাসম্পন্ন জাহাজ পরিচালনা করা সম্ভব হবে। বর্তমান বন্দরের জেটিতে প্রায় দুই হাজার কন্টেইনার ধারণক্ষমতার জাহাজ ঢুকতে পারে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে ১০ মিটার গভীরতা ও ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের বড় জাহাজ প্রবেশ করতে পারে না। বে টার্মিনালে ভিড়তে পারবে ১২ মিটার গভীরতা ও ২৮০ মিটার পর্যন্ত দৈর্ঘ্যের জাহাজ।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ঈদুল আজহার জন্য প্রস্তুত ১ কোটি ৩০ লাখ পশু: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
চলতি বছর কোরবানিতে এক কোটি ৭ লাখ ২ হাজার ৩৯৪টি পশুর চাহিদার বিপরীতে দেশে এক কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৭টি পশু প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে আসন্ন পবিত্র ঈদ উল আযহা উপলক্ষ্যে কোরবানি পশুর চাহিদা নিরূপণ, সরবরাহ এবং কোরবানি পশুর পরিবহন নিশ্চিতকল্পে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এ বছর ১ কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৭টি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত আছে। যা গতবারের চেয়ে ৪ লাখ ৪৪ হাজার ৩৪টি বেশি। আর এক কোটি ৭ লাখ ২ হাজার ৩৯৪টি পশুর চাহিদা থাকতে পারে বলে সম্ভাবনার জায়গা আমরা ধরে নিয়েছি।
মন্ত্রী বলেন, বাইরে থেকে যাতে পশু না আসে, এটা আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত আগেরই। এ সুযোগ নেই। চোরাই পথে যাতে না আসে, সে ব্যাপারেও আমরা সতর্ক এবং সজাগ থাকবো।
তিনি জানান, এ বছর সারা দেশে ৩ হাজার পশুর হাট বসবে। এরমধ্যে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনে বসবে ২১টি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা বিশ্বে রোল মডেল হবে: ইসি হাবিব
বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা এক সময় বিশ্বে রোল মডেল হবে বলে উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান (অব.) বলেছেন, ভোটে অংশগ্রহণকারীদের জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছে নির্বাচন কমিশন। এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদরা ভোটারদের কাছে যেতে পারছেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে আচরণবিধি ও অন্যান্য বিষয় সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান।
যশোর, মাগুরা ও নড়াইল জেলার রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সামনের নির্বাচনগুলো আরও ভালো হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান।
তিনি বলেন, কোনো প্রার্থী যদি কোনো ঝামেলা করার চেষ্টা করে তাহলে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করা হবে। কোনো রকম ছাড় দেওয়া হবে না। অন্যায়কারীরা কখনো সবল হতে পারে না।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, এই কমিশন সাংবাদিকদের সুরক্ষায় আইন করেছে। নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করার সময় কেউ যদি সাংবাদিকদের আহত কিংবা ক্যামেরা ভাঙচুর করে তাহলে তার শাস্তি হবে।
প্রথম ধাপের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সারা দেশে গড়ে ৩৬ শতাংশ ভোটার এসেছে। এটিকে কম বলবো না। বৃহৎ একটি রাজনৈতিক দলসহ আর কিছু দল নির্বাচন করছে না। এ কারণে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কমেছে। তবে, এ অবস্থা উন্নতির দিকে যাচ্ছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
এনইসি সভায় সর্বোচ্চ বরাদ্দ পেলো ১০ খাত
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের জন্য ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার ব্যয় সম্বলিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে দশটি খাতকে। এই দশ খাতেই মোট বরাতের প্রায় ৯০ দশমিক ২৫ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসির এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন এনইসি চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
যেসব খাত পেয়েছে সর্বোচ্চ বরাদ্দ
এনইসি সভায় সর্বোচ্চ বরাদ্দ পেয়েছে ১০টি খাত। সেগুলো হচ্ছে—
১. পরিবহন ও যোগাযোগ খাত : বরাদ্দ পেয়েছে প্রায় ৭০ হাজার ৬৮৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা (মোট বরাদ্দের ২৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ)।
২. বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত : বরাদ্দ পেয়েছে প্রায় ৪০ হাজার ৭৫১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা (মোট বরাদ্দের ১৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ)।
৩. শিক্ষা খাত : প্রায় ৩১ হাজার ৫২৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা (মোট বরাদ্দের ১১ দশমিক ৩৬ শতাংশ)।
৪. গৃহায়ণ ও কমিউনিটি সুবিধাবলী খাত : প্রায় ২৪ হাজার ৮৬৮ কোটি ৩ লাখ টাকা (মোট বরাদ্দের ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ)।
৫. স্বাস্থ্য খাত : প্রায় ২০ হাজার ৬৮২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা (মোট বরাদ্দের ৭ দশিক ৮০ শতাংশ)।
৬. স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন খাত : প্রায় ১৭ হাজার ৯৮৬ কোটি ২১ লাখ টাকা (মোট বরাদ্দের ৬ দশমিক ৭৯ শতাংশ)।
৭. কৃষি খাত : প্রায় ১৩ হাজার ২১৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকা (মোট বরাদ্দের ৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ)।
৮. পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানি সম্পদ খাত : প্রায় ১১ হাজার ৮৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকা (মোট বরাদ্দের ৪ দশমিক ১৮ শতাংশ)।
৯. শিল্প ও অর্থনৈতিক সেবা খাত : প্রায় ৬ হাজার ৪৯২ কোটি ১৮ লাখ টাকা (মোট বরাদ্দের ২ দশমিক ৪৫ শতাংশ)।
১০. বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি খাত : প্রায় ৪ হাজার ৭৮৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা (মোট বরাদ্দের ১ দশমিক ২৫ শতাংশ)।
সবমিলিয়ে এই ১০টি খাতে সর্বমোট ২ লাখ ৪২ হাজার ৯৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এটি মোট বরাদ্দের প্রায় ৯০ দশমিক ২৫ শতাংশ।
You must be logged in to post a comment Login