অর্থনীতি
চীনের অর্থ ছাড় আগের চেয়ে সহজ হবে: অর্থমন্ত্রী

চীনের অর্থ ছাড় আগের চেয়ে সহজ হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
রোববার (২১ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে চীনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নে নেওয়া প্রকল্পগুলোতে চীনের প্রতিশ্রুতি রয়েছে। চীনের অর্থায়ন ছাড় আগের চেয়ে সহজ হবে বলে আমি আশা করি।
এসময় বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, নতুন সরকারের সঙ্গে আমাদের নতুনভাবে কাজ শুরু হয়েছে। এজন্য আজ অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছি। বাংলাদেশ চায়না দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নিতে নতুন অর্থমন্ত্রী জোরালো ভূমিকা রাখবেন বলে জানিয়েছেন।
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও কূটনীতিক হওয়ার কারণে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর, বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক নতুন করে শুরু হবে বলেও জানান রাষ্ট্রদূত।

অর্থনীতি
এক ও দুই টাকার কয়েন নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা

১ ও ২ টাকার কয়েন নিয়ে জনগণের উদ্দেশে নতুন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বিজ্ঞপ্তিতে ১ ও ২ টাকার ধাতব মুদ্রাকে (কয়েন) বৈধ উল্লেখ করার পাশাপাশি তা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানানোর ব্যাপারে সতর্ক করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব কমিউনিকেশন্স অ্যান্ড পাবলিকেশন্স থেকে গণমাধ্যমে এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় ১ ও ২ টাকার ধাতব মুদ্রা লেনদেনে কেউ কেউ অনীহা প্রকাশ করছেন। কিন্তু কাগজের নোটের পাশাপাশি প্রচলিত সব ধরনের ধাতব মুদ্রাই বৈধ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এসব মুদ্রা নগদ লেনদেনে গ্রহণ না করা আইনবিরোধী। সর্বসাধারণকে ১ ও ২ টাকার ধাতব মুদ্রা স্বাভাবিকভাবে লেনদেনে ব্যবহারের অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
অর্থনীতি
বেপজার নতুন নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোয়াজ্জেম

বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) ১৮তম নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দিয়েছেন মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন।
তিনি বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে যোগদান করেন। মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমানের স্থলাভিষিক্ত হলেন মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন।
বেপজায় যোগদানের আগে মেজর জেনারেল মোয়াজ্জেম বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সপ্তম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) এবং বরিশালের এরিয়া কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯২ সালের ২০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্টিলারি কোরে কমিশন লাভ করেন মেজর জেনারেল মোয়াজ্জেম হোসেন। দীর্ঘ ও বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে তিনি কমান্ড, স্টাফ এবং প্রশিক্ষণমূলক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত থেকে অসাধারণ নেতৃত্ব ও পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি দুটি আর্টিলারি ব্রিগেড এবং দুটি আর্টিলারি রেজিমেন্টের নেতৃত্ব দিয়েছেন। এছাড়া বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে প্লাটুন কমান্ডার, একটি ডিভিশনের কর্নেল স্টাফ এবং সেনা সদর দপ্তরের পরিচালক (বাজেট) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ (ডিএসসিএসসি), মিরপুর থেকে স্নাতক এবং ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ (এনডিসি) থেকে ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স (এনডিসি) ও আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স (এএফডব্লিউসি) সম্পন্ন করেছেন।
এছাড়া তিনি চীনের নানজিং আর্টিলারি একাডেমি এবং পাকিস্তানের স্কুল অব আর্টিলারিতে প্রশিক্ষণসহ বিদেশে বিভিন্ন সামরিক মহড়ায় অংশ নিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস থেকে এমফিল ডিগ্রি অর্জন করেছেন এবং বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করছেন।
অর্থনীতি
জাল নোটের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সতর্কবার্তা

দেশে বিপুল পরিমাণ জাল নোট ছড়িয়ে পড়েছে—সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন খবর ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, এ ধরনের ভ্রান্ত তথ্য জনমনে বিভ্রান্তি ও অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের কমিউনিকেশন্স অ্যান্ড পাবলিকেশন্স বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে জাল নোট তৈরি, বহন ও লেনদেন করা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ এবং এটি দণ্ডনীয় অপরাধ। বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জাল টাকার প্রচলন রোধে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে এবং নিয়মিতভাবে কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে।
জনসাধারণকে জাল নোট শনাক্ত ও প্রতিরোধে আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এজন্য চারটি করণীয় নির্দেশনা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সেগুলো হলো—নোট গ্রহণের সময় জলছাপ, নিরাপত্তা সুতা, অসমতল ছাপা, রঙ পরিবর্তনশীল কালি ও ক্ষুদ্র লেখা ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য যাচাই করা, বড় অঙ্কের লেনদেন ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে সম্পন্ন করা, নগদ লেনদেনে যতটা সম্ভব ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করা এবং সন্দেহজনক নোট পেলে বা জাল নোট সংক্রান্ত কোনো তথ্য জানা গেলে তাৎক্ষণিকভাবে নিকটস্থ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অথবা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, ‘আসল নোট চিনুন, নিরাপদ লেনদেন নিশ্চিত করুন’—এই স্লোগানে জনগণকে সচেতন করতে নিয়মিত প্রচারণা চালানো হচ্ছে। আসল নোটের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট ভিজিট করার পরামর্শও দিয়েছে দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থার প্রধান নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি।
অর্থনীতি
আরও ৫ পোশাক কারখানা পেলো এলইইডি সনদ

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে সবুজ শিল্পায়নের ধারা আরও একধাপ এগিয়ে গেলো। সম্প্রতি দেশের আরও পাঁচটি পোশাক কারখানা লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন (এলইইডি) সনদের স্বীকৃতি পেয়েছে। এরমধ্যে তিনটি কারখানা পেয়েছে প্লাটিনাম এবং দুটি পেয়েছে গোল্ড সার্টিফিকেশন।
পরিবেশবান্ধব কারখানার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) এই সনদ দিয়ে থাকে। ইউএসজিবিসি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের স্থপতিদের সমন্বয়ে গঠিত একটি কাউন্সিল। পৃথিবীজুড়ে এটি পরিবেশবান্ধব ভবন ও কারখানা নির্মাণে পরামর্শ ও সহায়তা দিয়ে থাকে।
প্লাটিনাম সার্টিফিকেশনপ্রাপ্ত কারখানাগুলোর মধ্যে পাকিজা নিট কম্পোজিট লিমিটেড এলইইডি প্লাটিনাম সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে ৮৭ পয়েন্ট পেয়ে। ফ্যাশন পালস লিমিটেড ৮৭ পয়েন্ট স্কোর করে এলইইডি প্লাটিনাম সনদ অর্জন করেছে।
একইভাবে, গাভা প্রাইভেট লিমিটেডও ৮৭ পয়েন্ট পেয়ে এলইইডি প্লাটিনাম সার্টিফিকেশন লাভ করেছে।
এদিকে, ভিজ্যুয়াল নিটওয়্যারস লিমিটেড ৭৬ পয়েন্ট পেয়ে এলইইডি গোল্ড সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে। অন্যদিকে, ট্যালিসম্যান পারফরম্যান্স লিমিটেড ৬২ পয়েন্ট স্কোর করে এলইইডি গোল্ড সার্টিফিকেশন পেয়েছে।
বাংলাদেশে সবুজ শিল্পের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা ইউএসজিবিসির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশে মোট ২৬৮টি কারখানা এলইইডি সনদপ্রাপ্ত। যার মধ্যে ১১৪টি প্লাটিনাম ও ১৩৫টি গোল্ড সার্টিফাইড কারখানা। এছাড়া বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি উচ্চ রেটিংপ্রাপ্ত এলইইডি কারখানার মধ্যে ৬৮টি এখন বাংলাদেশের। তৈরি পোশাক খাতের টেকসই উন্নয়নে বাংলাদেশের এ অর্জন বিশ্বে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
অর্থনীতি
আরেক দফা বাড়লো স্বর্ণের দাম

দেশের বাজারে সোনার দাম আবার বাড়ানো হয়েছে। এতে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতিভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ২ হাজার ৬১৩ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১৬ হাজার ৩৩২ টাকা।
স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। আগামীকাল বুধবার (১৫ অক্টোবর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গতকাল সোমবার ঘোষণা দিয়ে আজ থেকে সোনার নতুন দাম কার্যকর করা হয়। এতে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম হয় ২ লাখ ১৩ হাজার ৭১৯ টাকা। এখন আবার দাম বাড়ানোর ফলে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে সেই রেকর্ড ভেঙে গেলো।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতিভরি সোনার দাম ২ হাজার ৬১৩ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৬ হাজার ৩৩২ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৪৯৬ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৬ হাজার ৪৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ১৪৬ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম এক লাখ ৭৭ হাজার ১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম এক হাজার ৮৩১ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৪৭ হাজার ৩৫১ টাকা।
এর আগে গতকাল সোমবার ঘোষণা দিয়ে আজ সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতিভরি সোনার দাম ৪ হাজার ৬১৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয় ২ লাখ ১৩ হাজার ৭১৯ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৪ হাজার ৪০৯ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৪ হাজার ৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৩ হাজার ৬৭৬ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম এক লাখ ৭৪ হাজার ৮৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। সনাতন পদ্ধতির প্রতিভরি সোনার দাম ৩ হাজার ২১৯ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় এক লাখ ৪৫ হাজার ৫২০ টাকা। আজ মঙ্গলবার এই দামে সোনা বিক্রি হয়েছে।
সোনার দাম বাড়ানো হলেও রুপার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ হাজার ২০৫ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ৫ হাজার ৯১৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ৫ হাজার ৭৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ৩ হাজার ৮০২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।