জাতীয়
মজুত না থাকলে খাদ্যপণ্যের দাম আরও বাড়বে: কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, খাদ্যপণ্যের মজুত না থাকলে হঠাৎ করে বাজারে দাম বাড়লে, বাইরে থেকে কিনে দাম নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। তাই, ঢাকায় ফিরে শিগগিরই মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তাদের সাথে বসে আলোচনা করে উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য অগ্রাধিকার নির্ধারণ করব।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলায় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
কৃষি মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতিকে কোনোরকম প্রশ্রয় দেওয়া হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ে ও মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তাদের দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।
মন্ত্রী আরও বলেন, সবাই মিলে কাজ করতে হবে। দেশের মানুষকে বেশি করে ফসল ফলাবার জন্য আরও উৎসাহ দিতে হবে। উৎসাহের মাধ্যমে পতিত জমি বা ফসলহীন জমিকে চাষের আওতায় আনতে হবে। আমরা কৃষকদের আরও কাছে যাব, উঠান বৈঠক করব। তাদের সমস্যা জেনে অগ্রাধিকার ঠিক করব, সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নিব।
শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলা থেকে সাতবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ড. মো. আব্দুস শহীদ কৃষিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ায় বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সহযোগিতা করে শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এ কে এম নাজিব উল্লাহ। সংগঠনের প্রেসিডেন্ট মো. ইমরান হোসেন বিশেষ অতিথির ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আলী আজম শিবলী স্বাগত বক্তব্য দেন। অন্যদের মধ্যে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নাজিয়া শিরিন, যুগ্ম সচিব কেএম কামরুজ্জামান সেলিম, মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক উর্মি বিনতে সালাম, শ্রীমঙ্গল উপজেলা চেয়ারম্যান ভানু লাল রায়, কমলগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুর রহমান, শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক উম্মে ফারজানা, মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগ, শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামী লীগ ও কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন।
অর্থসংবাদ/এমআই

জাতীয়
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন: প্রেস সচিব

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, ঐতিহাসিক জুলাই চার্টার (সনদ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে অনুষ্ঠান শুরু হতে কিছু সময় বিলম্ব হতে পারে।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেল ২টা ৫৭ মিনিটে প্রেস উইংয়ের পক্ষ থেকে তিনি এসব তথ্য জানান।
সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজক সূত্রের বরাত দিয়ে শফিকুল আলম জানান, পুরো আয়োজন সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে চলছে। এরই মধ্যে অতিথিদের কেউ কেউ ভেন্যুতে উপস্থিত হয়েছেন।
সবকিছু ঠিক থাকলে আজকের এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন শফিকুল আলম।
জাতীয়
দাবির মুখে জুলাই সনদের অঙ্গীকারনামার পঞ্চম দফা সংশোধন

জুলাই বীর যোদ্ধাদের দাবির প্রতিফলন ঘটিয়ে ‘জুলাই জাতীয় সনদ–২০২৫’-এর অঙ্গীকারনামার ৫নং দফায় পরিবর্তন আনা হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় আন্দোলনরত জুলাই বীর যোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ এ কথা বলেন।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা পবন চৌধুরী এক বার্তায় এ তথ্য জানন৷
এ সময় কমিশনের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং ঐকমত্য গঠন প্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
এ সময় অধ্যাপক আলী রীয়াজ অঙ্গীকারনামার ৫নং দফার সংশোধিত ভাষ্যটি পাঠ করেন।
এতে বলা হয়েছে, গণঅভ্যুত্থানপূর্ব বাংলাদেশে ১৬ বছরের আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রামে গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানকালে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্যদের দ্বারা সংঘটিত সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার, শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান ও শহীদ পরিবারকে এবং জুলাই আহতদের রাষ্ট্রীয় বীর, আহত জুলাই বীর যোদ্ধাদের যথোপযুক্ত সহায়তা প্রদান যেমন মাসিক ভাতা, সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন ব্যবস্থা এবং শহীদ পরিবার ও আহত বীর যোদ্ধাদের আইনগত দায়মুক্তি, মৌলিক অধিকার সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো।
কমিশনের সহ-সভাপতি জানান, কমিশন এই অঙ্গীকারনামা বাস্তবায়নের ব্যাপারে সরকারকে সুস্পষ্ট এবং সুনির্দিষ্টভাবে উপস্থাপন করবে।
এ বিষয়ে রাজনৈতিক দল এবং ঐকমত্য কমিশনের কোনো মত পার্থক্য নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷
জাতীয়
ভোক্তা অধিকারের অভিযান, ফেয়ার বিডি ট্রাভেল এজেন্সিকে জরিমানা

রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত ট্রাভেল এজেন্সি ফেয়ার বিডি বাংলাদেশ লিমিটেডকে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথ অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে জরিমানা করা হয়। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সেবা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটিকে জরিমানা করা হয়েছে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানটিতে লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করে ব্যবসা পরিচালনার বেশ কিছু নিদর্শন পাওয়া যায়। এ বিষয়ে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এয়ার টিকিটের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ও যাত্রী হয়রানির বিরুদ্ধে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়।
জাতীয়
‘অস্বাস্থ্যকর’ বাতাসে দূষিত শহরের তালিকায় চতুর্থ ঢাকা

ঢাকার বাতাস আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’। আইকিউএয়ারের বাতাসের মানসূচকে (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স-একিউআই) এ সময় ১৭২ স্কোর নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে রাজধানী ঢাকা। তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা শহর দুটি ভারতের।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৮টায় সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান নির্ধারণ সংস্থা আইকিউএয়ার থেকে এ তথ্য নেওয়া হয়েছে।
আইকিউএয়ারের দেওয়া তথ্যে দেখা যায়, দূষিত শহরের তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, স্কোর ২৫৪, দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি, বায়ুর মানের স্কোর ২১৭, তৃতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা, স্কোর ১৯১। ১৬৮ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর কিনশাসা শহর।
দূষিত বাতাসে শীর্ষ দশে থাকা অপর শহরগুলোর বাতাসের মানের স্কোর ১৬৫ থেকে ১৩০ এর মধ্যে।
আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ‘ভালো’ বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা ‘সহনীয়’ ধরা হয় বায়ুর মান। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠী’র (অসুস্থ বা শিশু-বৃদ্ধ) জন্য অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়। আর স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত থাকলে সে বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়।
স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বলে বিবেচনা করা হয় এবং ৩০১ এর বেশি হলে তা ‘দুর্যোগপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়।
জাতীয়
১৭ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে চট্টগ্রাম ইপিজেডের আগুন

চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ (সিইপিজেড) এলাকায় কারখানায় লাগা আগুন ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিটের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ১৭ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকালে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস।
সিইপিজেডে ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মো. জাকির বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে কিছুটা। তবে পুরোপুরি নির্বাপন করা যায়নি এখনও। ইউনিটগুলো এখনো ঘটনাস্থলে রয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা যাচ্ছে না।
এ ঘটনায় বেপজা ও ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে দুটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। বেপজার পক্ষ থেকে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি ও ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে আরেকটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। উভয় কমিটি যথাক্রমে ৭ ও ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটার দিকে ইপিজেড এলাকার অ্যাডামস ক্যাপস অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেড ও জিহং মেডিকেল কোম্পানির গুদামে আগুন লাগে। অ্যাডামস তোয়ালে, ক্যাপ এবং জিহং মেডিকেল সার্জিক্যাল গাউন তৈরির কারখানা। কারখানা ভবনটি সাততলার। দুটি কারখানার গুদাম সাততলায়, যেখান থেকে আগুনের সূত্রপাত। পরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে সাততলার পুরো ভবনটিতেই। থেমে থেমে কারখানাটির ভেতরে ছোট আকারে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় রাতে।